× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
PBI is successful why others in the police failed?
google_news print-icon

পিবিআই সফল হলো, পুলিশের অন্যরা কেন ব্যর্থ?

পিবিআই-সফল-হলো-পুলিশের-অন্যরা-কেন-ব্যর্থ?
ঈগল পরিবহনে টিকেট কেটে শম্পা বেগমের মৃতদেহভর্তি ট্রাঙ্কটি তারই কথিত স্বামী রেজাউল করিম স্বপন তুলে দেন বাসের লকারে। ছবি: নিউজবাংলা
এক অজ্ঞাত তরুণীর মরদেহের পরিচয় উদঘাটনে নেমে পিবিআই যেখানে সফল হয়েছে, থানা পুলিশ ও সিআইডি ব্যর্থ হলো কেন? পুলিশের তদন্তের পদ্ধতি কি তারা সঠিকভাবে প্রয়োগ করেনি? তাদের দায়িত্ব পালনে গাফিলতি ছিল?

গাবতলীতে বাসে এক পরিত্যক্ত ট্রাংকে অজ্ঞাত তরুণীর লাশ। তার পরিচয় বের করাই তদন্তের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। চার বছর ধরে তদন্ত চালিয়েও থানা পুলিশ ও সিআইডি বের করতে পারেনি তরুণীর পরিচয়।

পুলিশের আরেকটি বিভাগ পিবিআই দায়িত্ব পেয়ে অল্প কিছু দিনের মধ্যে শুধু তরুণীর পরিচয়ই উদঘাটন করেনি, হত্যাকারীকেও গ্রেপ্তার করেছে।

প্রশ্ন হলো, এটি কি পুলিশের সাফল্যের নাকি ব্যর্থতার কাহিনি? পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন) যেখানে সফল হলো, থানা পুলিশ ও সিআইডি ব্যর্থ হলো কেন? পুলিশের তদন্তের পদ্ধতি কি তারা সঠিকভাবে প্রয়োগ করেনি? তাদের দায়িত্ব পালনে কি গাফিলতি ছিল?

সিআইডি বলছে, অজ্ঞাত তরুণীর ট্রাঙ্কবন্দি মরদেহ উদ্ধারের পর নিহতের পরিচয় উদঘাটনে যে যে স্ট্যান্ডার্ড প্রক্রিয়া অনুসরণীয়, তার সবকটি ধাপই তারা অনুসরণ করেছে। কিন্তু তারা সফল হতে পারেনি। একই পদ্ধতি অনুসরণ করে সফল হয়েছে পিবিআই।

থানা পুলিশ বলছে, তারাও চেষ্টা করেছে। কিন্তু সময়ের স্বল্পতা ও অন্যান্য কিছু কারণে তারা তরুণীর পরিচয় শনাক্ত করতে পারেননি। পরিচয় না পাওয়ায় আসামিকেও বের করা সম্ভব হয়নি।

ছয় বছর আগে যা ঘটেছিল

২০১৫ সালের ৩ মে বিকেলে ঈগল পরিবহনের গাবতলী কাউন্টারে একটি ট্রাংক থেকে এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে দারুসসালাম থানা পুলিশ। বাসটি এসেছে চট্টগ্রাম থেকে। ট্রাংকটিও সেখান থেকে আসা।

ট্রাংকটি ওইদিন সকাল ৯টার দিকে চট্টগ্রামের এ কে খান মোড়ে এক ব্যক্তি তুলে দিয়েছিলেন ওই বাসে। ওই ব্যক্তি একটি টিকিট কেটে বলেছিলেন, পরবর্তী স্টপজে এক নারী যাত্রী উঠবেন। ওই নারী যাত্রী এই ট্রাংকসহ ঢাকা যাবেন। কিন্তু পরের স্টপেজে কোনো যাত্রী ওঠেনি। মালিকবিহীন অবস্থায় ট্রাংকটি এসে পৌঁছায় গাবতলীতে।

ট্রাংকটি অনেক ভারি হওয়ায় সন্দেহ হয় হেলপার ও অন্যদের। তারা পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ট্রাংকের তালা ভেঙ্গে তরুণীর মরদেহ পায়। তাৎক্ষণিক ওই মরদেহের কোনো পরিচয় না পাওয়ায় অজ্ঞাত লাশ হিসেবে তা সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত শেষে সেচ্চাসেবী প্রতিষ্ঠান আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করে।

দারুসসালাম থানার এসআই জাহানুর আলী বাদি হয়ে অজ্ঞাত আসামী করে একটি মামলা করেন। প্রথমে এই মামলা থানা পুলিশই তদন্ত করে। তদন্তে করতে গিয়ে তারা কী কী করেছিল, কোন কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছিল, তা এখনকার দারুস সালাম থানা জানাতে পারেনি।

তারা বলছে, অনেক আগের ঘটনা। তখনকার দায়িত্বশীলরা এখন অন্যত্র বদলি হয়েছেন। এ কারণে তারা এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারছেন না।

এ মামলার তিন মাস পর তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি ঢাকা মেট্রোর পশ্চিম বিভাগ। তারা চার বছর ধরে তদন্ত করে।

সিআইডি অপরাধ তদন্তে পুলিশ বাহিনীর সবচেয়ে প্রশিক্ষিত ও সরঞ্জাম সমৃদ্ধ বিভাগ। তারা অজ্ঞাত তরুণীর পরিচয় শনাক্ত করতে ফরেনসিক টিমের সহায়তায় ফিঙ্গার প্রিন্ট সংগ্রহ করেছে। সে ফিঙ্গারপ্রিন্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের সার্ভারে মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করেছে। সেখান থেকে কিছু পাওয়া যায়নি।

একই সঙ্গে চট্টগ্রামের যে এলাকা থেকে ট্রাংকটি বাসে উঠিয়ে দেয়া হয়, সেই এলাকার বিভিন্ন থানায় ওই সময়ে দায়ের হওয়া নিখোঁজ সংক্রান্ত সাধারণ ডায়েরিগুলোর খোঁজ করেছে সিআইডি। সেখানেও কিছু পাওয়া যায়নি। নিহত তরুণীর ছবি ওই এলাকার বাসিন্দাদের দেখানো হয়। কেউ ছবি দেখে তরুণীকে চিনতে পারেনি।

তরুণীর পরিচয় শনাক্ত করতে সিআইডির নিজস্ব সাময়িকীতে ছবিসহ পোস্টার প্রকাশ করা হয়। ডিজিটাল ও ম্যানুয়াল পদ্ধতি দুটোই প্রয়োগ করে তরুণীর পরিচয় এবং তার হত্যাকারীকে বের করার চেষ্টা করা হয় বলে সিআইডির পক্ষ থেকে নিউজবাংলাকে জানানো হয়। দীর্ঘ সময়েও কোনো অগ্রগতি করতে না পারায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় তারা।

সিআইডি পারেনি, পিবিআই পেরেছে – এমনটা মানতে নারাজ সিআইডি ঢাকা মেট্রো উত্তরের বিশেষ পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এমন অনেক উদাহরণ আছে, যেটা অন্য সংস্থা পারেনি, কিন্তু সিআইডি উদঘাটন করেছে। পরিচয় শনাক্তে আমরা ডিজিটাল ও ম্যানুয়াল দুই পদ্ধতিতেই চেষ্টা করেছি, সিআইডি সেটা করে থাকে।’

যেভাবে সফল হলো পিবিআই

আদালতের নির্দেশে পিবিআই মামলাটি তদন্তভার পায় ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে। এটির শীর্ষ কর্মকর্তা ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদারের নির্দেশনায় মামলাটি তদারকি করেন পিবিআই ঢাকা মেট্রো উত্তরের বিশেষ পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম। আর মামলাটি তদন্ত করেন পরিদর্শক আশরাফুজ্জামান।

চার বছরের বেশি সময় আগের ঘটনা তদন্ত করতে গিয়ে তিনি কী প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছেন, তা নিয়ে রোববার কথা হয় বিশেষ পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম ও আশরাফুজ্জামানের সঙ্গে। তারা তরুণীর পরিচয় শনাক্ত এবং জড়িত হত্যাকারীকে গ্রেপ্তারে তাদের নানা কৌশল অবলম্বনের কথা জানিয়েছেন।

সিআইডি যে পথে হেঁটে পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করছে, সেই একই পথে পিবিআইও হেঁটেছে। তবে ‘সময় ও ধৈর্য্য’ নিয়ে বিস্তৃত পরিসরে অনুসন্ধান চালানোয় সফলতা এসেছে বলে মনে করেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

নিখোঁজ জিডিতেই আটকে ছিল জট

ঢাকায় অজ্ঞাত তরুণীর মরদেহ উদ্ধার হয় ২০১৫ সালের ৩ মে। সাধারণত কাউকে খুঁজে পাওয়া না গেলে যে এলাকা থেকে তিনি নিখোঁজ হয়েছেন, সেই এলাকার থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়। আর এই নিখোঁজ ডায়েরিটা নিখোঁজ হওয়ার পর কাছাকাছি সময়েই হয়ে থাকে। কিন্তু এই তরুণী নিখোঁজ হওয়ার এক মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে ১০ জুলাই পাহাড়তলী থানায় সাধারণ ডায়েরি হয়।

এই দীর্ঘসূত্রতার কারণেই বাধে বিপত্তি। থানা পুলিশ ও সিআইডি নিখোঁজ সংক্রান্ত জিডি খুঁজেছে ওই তরুণীর মরদেহ উদ্ধার পরবর্তী এক মাসের বেশি সময়ের ব্যাপ্তিতে। তাতে কিছু পাওয়া যায়নি।

কিন্তু পিবিআই এক মাসের ব্যাপ্তিতে সীমাবদ্ধ থাকেনি। তারা আরও বড় সময়ের ব্যাপ্তির সব নিখোঁজ জিডি সংগ্রহ করেছে। বিচক্ষণতার সঙ্গে সময় নিয়ে জিডিগুলো সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হয়েছে বলে জানান মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা আশরাফুজ্জামান।

তিনি বলেন, ‘আমি চট্টগ্রামে গিয়ে ৭ দিন সেখানে অবস্থান করে আশপাশের ১৪টি থানার জিডি সংগ্রহ করে সেগুলো বিশ্লেষণ শুরু করি। বাকি থানাগুলো জিডি পরবর্তী সময়ে সংগ্রহের টার্গেট ছিল। ১৪ থানার জিডিগুলোর মধ্যে কয়েকটি নিখোঁজের ডায়েরি পাওয়া যায়।’

আশরাফুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি ওই সময়ে যেগুলো মিসিং ডায়েরি পেয়েছিলাম, সেখান থেকে প্রথম দুজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারি, যাদের নিখোঁজের বিষয়ে ডায়েরি হয়েছিল, তাদের পাওয়া গেছে। তৃতীয় জিডিটির বিষয়ে খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারি, তরুণীটি এখনও নিখোঁজই রয়েছে। গাবতলীতে ‍উদ্ধার হওয়া তরুণীর সঙ্গে নিখোঁজ তরুণীর বর্ণনা মিলে যায়।

‘তখনই আমরা জানতে পারি, উদ্ধার হওয়ার তরুণীর নাম শম্পা বেগম। এবং পরবর্তীতে তাকে হত্যায় জড়িত কে বা কারা তা তদন্ত করে অপরাধীকে গ্রেপ্তার করি।’

মামলাটির তদারকি কর্মকর্তা বিশেষ পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শম্পা নিখোঁজের বিষয়টি তার পরিবার জানতে পারে হত্যাকাণ্ডের একদিন পর। শম্পার পরিবারকে আসামী স্বপন জানান যে, শম্পা খুলনা যাওয়ার জন্য বাসে রওনা হয়েছে। কিন্তু রাত হয়ে গেলেও শম্পা আর পৌঁছায়নি। খুলনায় না যাওয়ায় খোঁজাখুজি শুরু হয়। আত্মীয়-স্বজন ও নানান জায়গায় খোঁজার পর শম্পার ভগ্নিপতি চট্টগ্রামে এসে পাহাড়তলী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।’

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘সাধারণত অজ্ঞাত লাশ উদ্ধারের কয়েক দিনের মধ্যে হওয়া জিডিগুলো খুঁজে দেখা হয়। আমরা কাছাকাছি সময়ের জিডিগুলো বের করার পাশাপাশি এক মাসের বেশি সময় পর কোনো মিসিং জিডি হয়েছে কিনা তাও খুঁজে দেখেছি। আমরা বিস্তৃত সময় ধরে হওয়া জিডিগুলো অনুসন্ধান করতে গিয়ে সফল হয়েছি।’

শম্পার পরিচয় শনাক্তের পর আসামি গ্রেপ্তারেও যথেষ্ঠ বেগ পেতে হয়েছে বলে জানান পিবিআই-এর এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘আসামি স্বপনকে শম্পার পরিবার মেয়ের স্বামী হিসেবে জানত। শম্পা তার পরিবারকে জানিয়েছিলেন, স্বপনকে তিনি বিয়ে করেছেন। কিন্তু মূলত তারা বিয়ে করেননি। আমরা তদন্ত করতে গিয়ে স্বপনের ঠিকানা চাইলে শম্পার পরিবার তা যথাযথভাবে দিতে পারেনি। কারণ তাদের কাছে তা ছিল না। আমরা বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে আসামির স্থায়ী ঠিকানা পাই। কিন্তু ওই ঠিকানায় আসামি স্বপন থাকতেন না। থাকতেন কুমিল্লা ইপিজেড এলাকায়। সেখান থেকে তাকে গত ২৪ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই আমরা। স্বপন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।’

কেন শম্পাকে হত্যা

স্বপনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, শম্পাকে চট্টগ্রাম পাহাড়তলীর গ্রিনভিউ এলাকার একটি বাসায় ওড়না দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। ২ মে গভীর রাতে তাকে হত্যা করেন স্বপন।

২০১৩ সালে খুলনা নৌঘাঁটিতে ল্যান্স করপোরাল (মেডিক্যাল অ্যাসিসটেন্ট) হিসেবে কর্মরত ছিলেন স্বপন। শম্পার বাবা ইলিয়াস শেখ অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য। শম্পার মা চিকিৎসা করাতে গেলে স্বপনের সঙ্গে শম্পার পরিচয় হয়।

পিবিআই জানায়, এই পরিচয়ের সূত্রে দুজনের প্রেমের সম্পর্ক হয়। এক সময় স্বপনে বিয়ের জন্য চাপ দেন শম্পা। স্বপন আগে থেকে বিবাহিত ছিলেন এবং তার সংসারে এক সন্তান ছিল, যা তিনি শম্পার কাছে গোপন করেন। বিয়ের চাপ দেয়ায় স্বপন খুলনা থেকে বদলি হয়ে চট্টগ্রামে চলে আসেন।

এরপর শম্পাও চট্টগ্রামে আসেন। চট্টগ্রামে এক ফুফুর বাসায় কিছু দিন থাকেন শম্পা। এরপর ফয়েজ লেক এলাকায় একটি হোটেলে কিছুদিন অবস্থান করেন তিনি। পরবর্তীতে পাহাড়তলীর উত্তর গ্রিনভিউ আবাসিক এলাকায় একটি বাসায় সাবলেট নিয়ে এক সঙ্গে থাকা শুরু করেন দুজন। তখন শম্পা তার পরিবারকে জানান স্বপনকে তিনি বিয়ে করেছেন, যদিও তারা বিয়ে করেননি।

এভাবে তারা ২০১৪ সাল থেকে ২০১৫ সালের ২ মে পর্যন্ত একত্রে বসবাস করছিলেন। এক সময় শম্পা বিয়ের জন্য রেজাউল করিম স্বপনকে চাপ দেন। এ নিয়ে দুজনের ঝগড়া হয়।

এরই এক পর্যায়ে ২০১৫ সালের ২ মে গভীর রাতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শম্পাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন স্বপন। মরদেহ গোপন করার জন্য শম্পার মরদেহ একটি ট্রাংকে ঢুকিয়ে ঈগল পরিবহনের একটি বাসে তুলে দেন তিনি এবং কৌশলে শম্পার বাবাকে জানান, শম্পাকে খুলনার বাসে তুলে দেয়া হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে শম্পা তার বাবার বাড়িতে না পৌঁছলে বাড়ির লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ১০ জুন পাহাড়তলী থানায় জিডি করা করেন।

এদিকে জিডি করার পাশাপাশি নিখোঁজ মেয়ের সন্ধান চেয়ে স্বপনের কর্মস্থল চট্টগ্রাম নৌ বাহিনীর অফিস এবং সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন শাখায় অভিযোগ করেন শম্পার বাবা ইলিয়াস শেখ।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুই দফা অভিযোগ করেও মেয়ের সন্ধান পাইনি। তবে দ্বিতীয়বার অভিযোগের পর স্বপনের পদের অবনতি করা হয়। কিন্তু আমার মেয়েকে আর পাইনি। ২০১৯ সালে স্বপনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। তবে আমার মেয়ের সন্ধান দিতে পারেনি কেউ। পিবিআই ২২ সেপ্টেম্বর আমার বাড়িতে গেলে আমার মেয়ের বিষয়ে প্রথম কোনো খবর পাই।’

আরও পড়ুন:
‘ঘুষ গ্রহণ’: সেই পিবিআই কর্মকর্তাকে বদলি, তদন্তে কমিটি
পিবিআই কর্মকর্তার ঘুষ নেয়ার প্রমাণ ফোনালাপে
ছয় বছর পর বের হলো হত্যা রহস্য
ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার এসআই কারাগারে
হত্যার তদন্তে ব্যর্থ পুলিশ, ‘সফল’ পিবিআই

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Action is being taken even though the hilsa production is reduced Farida Akhter

ইলিশ উৎপাদন কমলেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে: ফরিদা আক্তার

ইলিশ উৎপাদন কমলেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে: ফরিদা আক্তার

ইলিশের উৎপাদন একদিকে কমছে, এতে প্রাকৃতিক কারণও রয়েছে। নদীর নাব্যতা কমে যাচ্ছে, মেঘনা নদীর অববাহিকায় দূষণের মাত্রা বেড়েছে। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে বৃষ্টি না হলে ইলিশ মাছ ডিম পাড়তে পারে না। পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকৃতিক কারণ ও তথাকথিত উন্নয়নের কারণে নদী ভরাট ও দখল হয়ে যাচ্ছে। এমন মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার। বরিশাল ক্লাব প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত উপকূলীয় এলাকার মহিষের চারণভূমি ও উন্নয়নের সমস্যা এবং সাধন শীর্ষক জাতীয় কর্মশালা-২০২৫-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ইলিশ একটি মাইগ্রেটরি মাছ এটি সমুদ্র থেকে নদীতে আসে এবং আবার ফিরে যেতে হয়। কিন্তু বর্তমানে তা হচ্ছে না। সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো ঝাটকা নিধন। কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী অভিযান চালালেও এটি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা যায়নি। এছাড়া অবৈধ জালের ব্যবহার ইলিশের প্রাপ্যতা কমাচ্ছে। তবে এসবের বিরুদ্ধে আমরা কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছি। আশা করছি খুব শীঘ্রই ইলিশের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে।

তিনি জানান,খুব শীঘ্রই ঢাকায় একটি মিটিং অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে নদী থেকে মাছ ধরে হাত বদলের সিন্ডিকেট বন্ধ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। এ উদ্যোগের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ সরাসরি বাজারে মাছ পাবে এবং সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে আসবে।

ফরিদা আক্তার বলেন, উপকূল এলাকায় মহিষের চারণভূমি সংকুচিত হয়ে গেছে। আমরা গবেষণায় দেখেছি এর পেছনে নানা কারণ রয়েছে। বাড়িঘর তৈরি হচ্ছে, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও নির্মিত হচ্ছে। আমাদের দেশে গরু, ছাগল ও মহিষ পালন অন্তত মানুষের খাদ্য ও জীবন রক্ষার জন্য জরুরি। চারণভূমি বিষয়ে আমরা দেখছি যে অনেক কিছু পরিকল্পনা বিহীনভাবে তৈরি হচ্ছে। এতে মহিষের মতো গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তবে সঠিক নীতি ও ব্যবস্থা নিলে এটি দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,পিকেএসএফ উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ফজলে রাব্বি সাদেক আহমেদ, বরিশাল বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, জিজেইউএস নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন মহিন। সভাপতিত্ব করেন প্রফেসর ড. ওমর ফারুক, প্রেসিডেন্ট।

বক্তারা বলেন, নদী ও সমুদ্রের টেকসই ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব। মৎস্যজীবী, প্রশাসন ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান একত্রিতভাবে কাজ করলে মাছ চাষ ও সংরক্ষণ কার্যকর হবে।

এছাড়া তারা বলেন, উপকূলীয় এলাকায় মহিষ পালনের সম্ভাবনা অনেক, তবে জলবায়ু পরিবর্তন, চারণভূমির অভাব ও বাজার ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা খাতটির উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে। গবেষণা ও আধুনিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মহিষ পালনকে লাভজনক ও টেকসই খাতে রূপান্তর করা সম্ভব।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The first meeting of the Triparthya Committee on the standard of international labor is held

আন্তর্জাতিক শ্রম মান নিয়ে ত্রিপক্ষীয় কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত

আন্তর্জাতিক শ্রম মান নিয়ে ত্রিপক্ষীয় কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান এর সভাপতিত্বে আজ রাজধানীর একটি হোটেলে আন্তর্জাতিক শ্রম মান বিষয়ক ত্রিপক্ষীয় কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় শ্রম সচিব বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ৩৬টি কনভেনশন ও একটি প্রটোকল অনুমোদন করেছে। আইএলও সংবিধান অনুযায়ী, অনুমোদিত ও অননুমোদিত উভয় ধরনের সনদের প্রয়োগ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা সকল সদস্য রাষ্ট্রের জন্য বাধ্যতামূলক। এই কমিটি আইএলও কনভেনশন ১৪৪-এর বাধ্যবাধকতার আলোকে বাংলাদেশ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদনে মালিকপক্ষ ও শ্রমিক সংগঠনগুলোর মতামত, পরামর্শ ও সুপারিশ নিশ্চিত করবে।

সচিব আরও উল্লেখ করেন যে, আইএলও এর ১১টি কনভেনশন (C-01, C-14, C-19, C-81, C-89, C-100, C-106, C-111, C-118, C-138, MLC-2006) নিয়ে আলোচনা করা হয়। এগুলোর মধ্যে C-81 (শ্রম পরিদর্শন), C-100 (নারী ও পুরুষের সমান পারিশ্রমিক), C-111 (কর্মসংস্থান ও পেশায় বৈষম্য) এবং C-138 (ন্যূনতম কাজের বয়স) বিষয়ক চূড়ান্ত প্রতিবেদন আইএলও সংবিধানের ২২ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাধ্যতামূলকভাবে খুব দ্রুত আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার জেনেভাস্থ প্রধান কার্যালয়ে প্রেরণ করা হবে।

সভায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার প্রতিনিধি নিরান রাজমুঠান, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের এবং শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, ইমপ্লোয়ার্স ফেডারেশন এর প্রতিনিধি , ইন্ডাস্ট্রি অল বাংলাদেশ এর প্রতিনিধি , বেপজা প্রতিনিধি , NCCWE এর প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Fisheries and Livestock Advisor to Fisheries and Livestock

চারণভূমি হ্রাসে মহিষসম্পদ ক্ষতির সম্মুখীন: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

চারণভূমি হ্রাসে মহিষসম্পদ ক্ষতির সম্মুখীন: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, গবাদিপশু পালন প্রোটিন ঘাটতি নিরসন, মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষা এবং জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তার জন্য অপরিহার্য। অথচ অপরিকল্পিত উন্নয়নের কারণে চারণভূমির হ্রাস হচ্ছে, ফলে মহিষের মতো মূল্যবান সম্পদ ক্ষতির মুখে পড়ছে।

আজ সকালে বরিশাল ক্লাবে অনুষ্ঠিত “উপকূলীয় এলাকার মহিষের চারণভূমি ও উন্নয়নের সমস্যা এবং সমাধান” শীর্ষক জাতীয় কর্মশালা ২০২৫-এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কর্মশালার আয়োজন করে বাংলাদেশ বাফেলো এসোসিয়েশন, গ্রামীণ জন উন্নয়ন সংস্থা (জিজিইউএস) এবং কোস্টাল ভেট সোসাইটি।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, সঠিক নীতি নির্ধারণ ও আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয়ের মাধ্যমে এখনো অনেক চরাঞ্চল রক্ষা করা সম্ভব। মহিষ পালন বাড়াতে পারলে জাতীয়ভাবে মাংস ও দুধ উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা যাবে।

প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মহিষের চারণভূমি দ্রুত কমে যাচ্ছে। অপরিকল্পিত বাড়িঘর নির্মাণ এবং এমনকি সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর উপজেলায় বৃহৎ গরুর বাথান ভরাট করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিও উঠছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি প্রশ্ন তোলেন, শুধু একটি ডিগ্রি অর্জনের উদ্দেশ্যে গরুর বাথান ধ্বংস করা দেশের সামগ্রিক কল্যাণে কতটা ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে? তিনি আরও বলেন, মহিষের স্বাস্থ্যসুরক্ষার বিষয় বিবেচনায় উপকূলীয় এলাকায় স্পিডবোটভিত্তিক ভেটেরিনারি ক্লিনিক স্থাপন করা প্রয়োজন।

কর্মশালায় বক্তারা বলেন, বর্তমানে গবাদিপশুর চারণভূমি কমে যাওয়া এবং খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় মহিষসহ অন্যান্য গবাদিপশুর সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্থানীয় পর্যায়ে কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ ও টেকসই চারণভূমি উন্নয়ন অপরিহার্য। পাশাপাশি মহিষের উৎপাদন বৃদ্ধি ও জাতীয়ভাবে মাংস ও দুধ উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান জানান তারা।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বাফেলো এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. ওমর ফারুক।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) লুসিকান্ত হাজং, পিকেএসএফ-এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ফজলে রাব্বি সাদেক আহমেদ, জিজিইউএস-এর নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন মহিন। এছাড়া সরকারি ও বেসরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, স্হানীয় খামারীরা কর্মশালায় অংশ গ্রহণ করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Mothers Health Adviser

মাতৃদুগ্ধ খাওয়ানোর হার বাড়ানোর আহবান স্বাস্থ্য উপদেষ্টার

মাতৃদুগ্ধ খাওয়ানোর হার বাড়ানোর আহবান স্বাস্থ্য উপদেষ্টার

শিশু জন্মের পরপরই মায়ের দুধ খাওয়ানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। তিনি বলেছেন, শিশু জন্মের দুই-তিন দিন পর যখন পর্যাপ্ত দুধ আসে না, তখন অনেক সময় চিকিৎসকরা ফরমুলা দুধের পরামর্শ দেন। কিন্তু ডাক্তারদের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ, আপনারা মায়ের দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দিবেন। ফরমুলা দুধের পরামর্শ দেবেন না। তিনি বলেন, একসময় শাল দুধ (কোলস্ট্রাম) খাওয়ানো নিয়ে নানা কুসংস্কার ছিল। এখন মানুষ সচেতন হয়েছে। তবুও উদ্বেগজনকভাবে মাতৃদুগ্ধ খাওয়ানোর হার কমছে। এখন মাত্র ৫৫ শতাংশ শিশু মায়ের দুধ পাচ্ছে, আগে এ হার আরও বেশি ছিল। তিনি মাতৃদুগ্ধ খাওয়ানোর হার বাড়ানোর জন্য কাজ করতে সংশ্লিষ্টদের আহৃবান জানান।

আজ রাজধানীর বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সম্মেলন কক্ষে ‘বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ ২০২৫’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। জাতীয় পুষ্টি প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন এনজিও ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সহযোগিতায় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এর আগে এ উপলক্ষে এক বর্নাঢ্য রেলির আয়োজন করা হয়।

মাতৃদুগ্ধ উৎপাদনের প্রস্তুতির ওপর গুরুত্বারোপ করে

উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম বলেন, শিশু জন্মের পরপরই অনেকসময় পর্যাপ্ত দুধ আসে না। কাজেই প্রস্তুতি আগে থেকেই নিতে হয়। গর্ভাবস্থার ছয় মাস পর থেকে মায়ের খাদ্যাভ্যাস ও যত্নের বিষয়ে নজর দিতে হবে। মা ভালো খেলে, তার শরীর থেকে সন্তানের জন্য যথেষ্ট দুধ তৈরি হবে।

কর্মজীবী মায়েদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, মাঠে-ঘাটে নানা কাজে যুক্ত মায়েরা সচেতনতার অভাব ও খাদ্যের ঘাটতির কারণে সন্তানকে পর্যাপ্ত দুধ খাওয়াতে পারেন না। এ প্রসঙ্গে তিনি দারিদ্র্য বিমোচনের দিকেও আলোকপাত করেন। সরকারি হিসাবে দেশে এখন দারিদ্র্যের হার ২০ শতাংশের মতো, বেসরকারি হিসাবে আরও বেশি। যদি এই ২০ শতাংশ মা পর্যাপ্ত খেতে না পারেন, তবে সন্তানও পর্যাপ্ত দুধ পাবে না। তাই দারিদ্র্য হ্রাসে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি বদলানোর আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, গৃহকর্মী নারীদেরও শিশু জন্মের পরপরই বাচ্চাকে কোলে নেবার সুযোগ দেওয়া উচিত। আমাদের বাসাবাড়িতে যারা কাজ করেন, তাদের অনেক সময় সন্তানকে আনতে দিই না। বিষয়টি ভেবে দেখার অনুরোধ করছি।

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. সায়েদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব ডা. সারোয়ার বারী, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ডা. মোহাম্মদ ইউনুছ আলীসহ মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Ansar forces in the district upazila started the election training

জেলা-উপজেলায় আনসার বাহিনীর নির্বাচনী প্রশিক্ষণ শুরু

জেলা-উপজেলায় আনসার বাহিনীর নির্বাচনী প্রশিক্ষণ শুরু

আগামী নির্বাচনে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের লক্ষ্যে সারাদেশে জেলা-উপজেলায় বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর চলমান প্রশিক্ষণ কর্মসূচির সঙ্গে নির্বাচনী প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে।

চলমান ২৮ দিনব্যাপী ভিডিপি অ্যাডভান্সড কোর্সের সঙ্গে সমন্বয় করে নির্বাচনী ডিউটির প্রাকপ্রস্তুতি হিসেবে প্রয়োজনীয় অনুশীলন সম্পৃক্ত করা হয়েছে।

এই প্রশিক্ষণের আওতায় বাহিনীর সদস্যদের নির্বাচনে করণীয়, ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন, কেন্দ্রের শৃঙ্খলা রক্ষা, ভোটারদের ভোটদানে সহযোগিতা করা, ব্যালট পেপার এবং ব্যালট বাক্সের নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ কয়েকটি বিষয়ে হাতে কলমে মহড়া দেয়া হচ্ছে।

বাহিনীর সদস্যরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই মহড়ায় অংশগ্রহণ করছেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Eid Miladunnabi celebrates a colorful national program

ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপনে বর্ণাঢ্য জাতীয় কর্মসূচি ঘোষণা

ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপনে বর্ণাঢ্য জাতীয় কর্মসূচি ঘোষণা

আসছে ০৬ সেপ্টেম্বর পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপিত হবে। গত রবিবার (২৪ আগস্ট) জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপনে বর্ণাঢ্য জাতীয় কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার।

ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ জাতীয় কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। এসভায় ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামানিক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আঃ ছালাম খানসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা পৃথক পৃথক বাণী প্রদান করবেন। এদিন সকল সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি ভবন ও সশস্ত্র বাহিনীর সকল স্থাপনাসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। সরকারিভাবে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ঢাকা মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও রাস্তাসমূহে জাতীয় পতাকা, রঙিন পতাকা ও 'কালিমা তায়্যিবা' লিখিত ব্যানার প্রদর্শনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সারাবিশ্বের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হযরত মুহাম্মদ (সা.) জন্ম ও মৃত্যুর স্মৃতিধন্য এ দিবসটি উপলক্ষ্যে ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা) কে ক্বিরাত, হামদ-নাত, স্বরচিত কবিতা পাঠ, সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা ও আরবিতে খুতবা লেখা প্রতিযোগিতা আয়োজনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে স্মরণিকা প্রকাশ ও সেমিনার আয়োজন করতে বলা হয়েছে।

১২ রবিউল আউয়াল থেকে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ প্রান্তে পক্ষকালব্যাপী ইসলামিক বইমেলার আয়োজন করবে ইফা। এদিনে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও প্রচার মাধ্যমে দিবসটি উপলক্ষ্যে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচারের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। সংবাদপত্রসমূহে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশও করা হবে।

এ দিবসটি উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় সহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান, ইফা, ওয়াকফ প্রশাসকের কার্যালয়, ঢাকা ও জেদ্দা হজ অফিসসহ সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে হযরত(সা.) এর জীবন ও কর্ম, ইসলামের শান্তি, প্রগতি, সৌহার্দ্য, সহিষ্ণুতা, বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব, মানবাধিকার, নারীর মর্যাদা প্রভৃতি বিষয়ের ওপর আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, হামদ-নাত ও কুইজ প্রতিযোগিতা আয়োজনের নির্দেশনা রয়েছে জাতীয় কর্মসূচিতে। বাংলাদেশ শিশু একাডেমি শিশুদের জন্য হামদ-নাত, রচনা প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করবে।

এ দিবসে দেশের সকল সামরিক ও বেসামরিক হাসপাতাল, কারাগার, শিশু সদন, বৃদ্ধ নিবাস ও এতিমখানায় উন্নতমানের খাবার পরিবেশনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দপ্তরসমূহকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাস ও মিশনসমূহেও ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) যথাযথভাবে উদযাপিত হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The countrys economy has returned to the path of stability in interim governments one year hard work and integrated effort Advisor Sharmin S Murshid

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরের কঠোর পরিশ্রম ও সমন্বিত প্রচেষ্টায় দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীলতার পথে ফিরে এসেছে: উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরের কঠোর পরিশ্রম ও সমন্বিত প্রচেষ্টায় দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীলতার পথে ফিরে এসেছে: উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ

অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরের কঠোর পরিশ্রম ও সমন্বিত প্রচেষ্টায় দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীলতার পথে ফিরে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ।

আজ সোমবার (২৫ আগস্ট) বগুড়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘নাগরিক অধিকার ও জলবায়ু ন্যায্যতা’ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

শারমীন এস মুরশিদ বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার সময় দেশের অর্থনীতি ছিল নাজুক অবস্থায়। আমরা অভ্যন্তরীণ আস্থা ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিসরেও প্রমাণ করেছি যে বাংলাদেশ এখনো কোনো ঋণখেলাপি রাষ্ট্র নয়।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বগুড়ার জেলার জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন লাইট হাউজ বগুড়ার প্রধান নির্বাহী হারুন অর রশিদ, বগুড়ার পুলিশ সুপার জিদান আল মুসা, সিভিল সার্জন ডা. এ কে এম মোফাখখারুল ইসলাম, বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শামসুদ্দীন ফিরোজসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা।

উল্লেখ্য, ‘নাগরিক অধিকার ও জলবায়ু ন্যায্যতা’ প্রকল্পের মাধ্যমে বগুড়া জেলায় নাগরিকদের অধিকার সুরক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।

মন্তব্য

p
উপরে