২০৪১ সালের মধ্যে দেশের এক হাজার গ্রামকে স্মার্টফার্মিংয়ের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এতে ২০ লাখ কৃষক ও সাড়ে ৩ লাখ উদ্যোক্তা যুক্ত হবেন বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক।
বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির উদ্যোগে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত ‘চতুর্থ শিল্পবিপ্লব ও বাংলাদেশের কৃষি যান্ত্রিকীকরণ’ শীর্ষক সেমিনারে রোববার প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এম এন জিয়াউল আলম ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেসবাহুল ইসলাম। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষি অর্থনীতিবিদ সমিতির সভাপতি সাজ্জাদুল হাসান।
পলক বলেন, ‘উন্নত সমৃদ্ধ জ্ঞানভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য সব ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। আমরা স্মার্টফার্মিংয়ে উৎসাহিত করতে চাই, উদ্যোক্তা তৈরি করতে চাই। বিভিন্ন ধাপে এ লক্ষ্য পূরণে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে, পাইলট প্রকল্পের কাজ শেষ হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রথম পর্যায়ে ২০২৫ সালের মধ্যে ১০ গ্রামকে স্মাটফার্মিংয়ের জন্য ডিজিটালাইজ করতে চাই। এতে ২০ হাজার কৃষক, তাদের জন্য ২০ হাজার আধুনিক কৃষি ডিভাইস, সাড়ে ৩ হাজার উদ্যোক্তা তৈরি হবে।
‘এভাবে ফেইজ ওয়ান, টু, থ্রি করে ২০৪১ সালের মধ্যে এক হাজার গ্রামের ২০ লাখ কৃষক এবং সাড়ে ৩ লাখ উদ্যোক্তা স্মার্টফার্মিংয়ের আওতায় আসবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এ ইকোসিস্টেমের জন্য আমাদের ডিজিটাল ভিলেজ সেন্টার, ন্যাশনাল ডেটা সেন্টার, ডিজিটাল ভিলেজেস, এমএফএস, ইন্টার অপারেবল ডিজিটাল ট্রান্সজেকশন প্লাটফর্মসহ অন্যান্য অনুষঙ্গগুলোকে একত্র করে কাজ করব।
‘কৃষি মন্ত্রণালয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষিবিদ অর্থনীতি সমিতি এবং আইসিটি ডিভিশন মিলে সমন্বিতভাবে এ কাজ করা হবে। এর মাধ্যমে এই ২০৪১ সাল পর্যন্ত যে টার্গেট, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশের আধুনিক রূপ, প্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল বাংলাদেশ এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নত সমৃদ্ধ জ্ঞানভিত্তিক বাংলাদেশ তৈরি হবে।’
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্ম পাওয়ার অ্যান্ড মেশিনারি বিভাগের অধ্যাপক মো. মঞ্জুরুল আলম। আলোচক ছিলেন এসিআই অ্যাগ্রো লিংক লিমিটেডের এমডি ও সিইও এফএইচ আনসারী।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় রাইডশেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম উবার ২০২৪ সালে বাংলাদেশে তাদের অর্থনৈতিক প্রভাববিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক ও বিআরটিএ চেয়ারম্যান মো. ইয়াসীনের উপস্থিতিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনটি উন্মোচন করা হয়।
আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাবলিক ফার্স্ট পরিচালিত এ গবেষণায় উঠে এসেছে, ২০২৪ সালে উবার বাংলাদেশের অর্থনীতিতে মোট ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা সমমূল্যের অবদান রেখেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালে উবার মটো ও অটো সার্ভিস বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ৯২০ কোটি টাকার সমপরিমাণ অবদান রেখেছে। শহরের ব্যস্ত জীবনে সহজ ও সাশ্রয়ী মূল্যের পরিবহন হিসেবে এ সার্ভিসগুলো অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। উবার ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের যাত্রীরা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সময় সাশ্রয় করেছেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, ৮২ শতাংশ যাত্রী অফিসে যাতায়াতের জন্য উবার ব্যবহার করেছেন। এতে প্রতি বছর আনুমানিক ১১ লাখ কর্মঘণ্টা সাশ্রয় হয়েছে, যা ৯৪ কোটি টাকার সমপরিমাণ।
প্রতিবেদন অনুযায়ী উবারের অর্থনৈতিক অবদানের প্রধান দিকগুলো নিচে তুলে ধরা হলো।
উপার্জনের সুযোগ: উবার চালকরা তাদের অন্যান্য বিকল্প কর্মসংস্থানের তুলনায় ৪২% বেশি আয় করছেন।
স্থানীয় পর্যটনে ভূমিকা: ২০২৩ সালে উবার বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে অতিরিক্ত ২৯০ কোটি টাকা অবদান রেখেছে ও ২০২৪ সালে ২১ লাখ ৪০ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে।
ভোক্তা উপযোগিতা: ২০২৪ সালে উবারের মাধ্যমে বাংলাদেশের যাত্রীরা মোট ৬৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকার ভোক্তা উপযোগিতা লাভ করেছে।
কাজের সুযোগ: ৫০ শতাংশ চালক মনে করেন, উবার প্ল্যাটফর্ম না থাকলে তাদের জন্য কাজের সুযোগ কমে যেত।
প্রথম আয়: ৭৬ শতাংশ চালক বলেছেন যে, উবার তাদের প্রথম আয়ের প্ল্যাটফর্ম।
সহজে যাতায়াত: ৮১ শতাংশ যাত্রী একমত হয়েছেন উবারের মাধ্যমে রাইড বুক করা রাস্তা থেকে গাড়ি নেওয়ার চেয়ে অনেক সহজ।
পরিবহন প্রযুক্তির উদ্ভাবন: ৮৬ শতাংশ যাত্রী উবার অ্যাপকে তাৎপর্যপূর্ণ পরিবহন উদ্ভাবন হিসেবে মনে করেন।
নারীদের নিরাপত্তা: ৯৫ শতাংশ নারী যাত্রী বলেছেন, নিরাপত্তাই তাদের উবার ব্যবহারের অন্যতম প্রধান কারণ। ৮৯ শতাংশ যাত্রী উবারকে রাতে বাড়ি ফেরার সবচেয়ে নিরাপদ মাধ্যম বলে মনে করেন।
সহজ চলাচল: ৮৭ শতাংশ যাত্রী উবারের কারণে শহরে যাতায়াত সহজ হয়েছে বলে মনে করেন। ৭৮ শতাংশ যাত্রী বলেছেন, উবারের মতো রাইডশেয়ারিং সার্ভিস না থাকলে রাতে নিরাপদ যাতায়াত কঠিন হতো।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বিআরটিএ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইয়াসিন বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই প্রেক্ষাপটে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করা, কর্মসংস্থান তৈরি করা ও পর্যটন খাতকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে উবারের ভূমিকা উল্লেখযোগ্য।
‘রাইডশেয়ারিং শিল্প, যার মধ্যে উবারও অন্তর্ভুক্ত, প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার করে পরিবহন খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রশংসনীয় প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, যা দেশের সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে ইতিবাচক অবদান রাখছে।’
উবার বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড নাশিদ ফেরদৌস কামাল বলেন, ‘২০২৪ অর্থনৈতিক প্রভাব প্রতিবেদনে উঠে এসেছে কীভাবে উবার দেশের পরিবহন ব্যবস্থাকে বদলে দিচ্ছে ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে। আমরা আমাদের ইতিবাচক প্রভাব নিয়ে গর্বিত ও ভবিষ্যতে আরও উন্নত সেবা দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
এর আগে পাবলিক ফার্স্ট-এর টেক, মিডিয়া ও টেলিকম প্রধান এমি প্রাইস প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন। প্রতিবেদন প্রকাশের পর নীতিনির্ধারক ও বিশেষজ্ঞদের অংশগ্রহণে একটি প্যানেল আলোচনার আয়োজন করা হয়।
প্যানেল সদস্যরা ছিলেন বিআরটিএর পরিচালক সীতাংশু শেখর বিশ্বাস, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন, পিডব্লিউসি বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজিং পার্টনার শামস জামান ও উবার বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড নাশিদ ফেরদৌস কামাল। সেখানে তারা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ পরিবহন ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন:হুয়াওয়ের ফ্ল্যাগশিপ প্রতিযোগিতা ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার বাংলাদেশ’-এর ১২তম আসরের জন্য দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাস রোডশো শুরু হয়েছে।
এ প্রতিযোগিতার লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের আইসিটিবিষয়ক জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশের আইসিটি খাতের উন্নয়ন।
এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে সম্প্রতি ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, রুয়েট, এইউএসটি এবং ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে আয়োজিত রোডশোতে এক হাজারের বেশি শিক্ষার্থী অংশ নেন।
রোডশোতে হুয়াওয়ের ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ প্রোগ্রামের লক্ষ্য, পরিকল্পনা, প্রস্তুতির পরামর্শ ও শিক্ষার্থীদের সুযোগ সম্পর্কে জানানো হয়। দেশের আরও কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ প্রচারণা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত এ রোডশো অনুষ্ঠিত হবে। আগামী এপ্রিলে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রোগ্রামটির উদ্বোধন হওয়ার পাশাপাশি আবেদনকারীদের জন্য নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হবে।
এ প্রতিযোগিতার বিজয়ীরা পরবর্তী সময়ে চীনে আয়োজিত আঞ্চলিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন।
হুয়াওয়ের ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার’ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজিত জ্ঞান ও দক্ষতাভিত্তিক আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা। ২০১৪ সালে বাংলাদেশে শুরু হওয়ার পর আইসিটি খাতে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গড়ে তোলার জন্য এটি শিক্ষাবিদ ও শিক্ষার্থীদের গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে।
প্রতি বছর বিভিন্ন দেশের বিজয়ীরা এর আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। এরই মধ্যে বিশ্বব্যাপী ১৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী এ প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছেন।
আরও পড়ুন:ভালোবাসার মুহূর্তগুলোকে আরও স্মরণীয় করে তুলতে ইনফিনিক্স ঘোষণা করেছে এক বিশেষ ক্যাম্পেইন।
আসন্ন ভালোবাসা দিবসে প্রিয়জনের সঙ্গে সেরা মুহূর্তগুলো ভাগ করে নিতে শুরু হয়েছে ‘সারপ্রাইজ লাভ উইথ ইনফিনিক্স’ ক্যাম্পেইন।
প্রিয়জনকে চমকে দিতে এ ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়ে জিতে নেওয়া যাবে ইনফিনিক্স হট ৫০ প্রো প্লাস স্মার্টফোন।
ক্যাম্পেইনটি চলবে ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
ভালোবাসার উদযাপন
ভালোবাসার প্রকৃত অর্থ হলো প্রিয়জনের সঙ্গে ছোট ছোট অনুভূতি ভাগ করে নেওয়া, সুখ-দুঃখের অংশীদার হওয়া, যা মানুষকে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসে। ভালোবাসা দিবসে প্রিয়জনকে দিতে পারেন ছোট্ট কিন্তু অর্থবহ উপহার; অংশ নিতে পারেন ‘সারপ্রাইজ লাভ উইথ ইনফিনিক্স’ ক্যাম্পেইনে।
ইনফিনিক্স বিশ্বাস করে, প্রযুক্তি বিশেষ এ মুহূর্তগুলোকে আরও স্মরণীয় করে তুলতে পারে।
এ ক্যাম্পেইন আপনার বিশেষ দিনকে অবিস্মরণীয় করে তুলতে পারে। সঙ্গী, বন্ধু বা পরিবারের সদস্য—যে কারোর জন্যই এটি ভালোবাসার মুহূর্তগুলোকে আরও বিশেষ করে তুলতে পারে।
ভালোবাসা, হাসি ও একটি ছোট্ট চমক
ভালোবাসার আবেশ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে এ বছর ইনফিনিক্সের ক্যাম্পেইন চলবে অনলাইন ও অফলাইনে। ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে আয়োজন করা হয়েছে একটি আকর্ষণীয় সোশ্যাল মিডিয়া কনটেস্ট, যেখানে অংশগ্রহণকারীদের বিশেষ কোনো স্মরণীয়, আবেগঘন বা মজার ছবি বা ভিডিও শেয়ার করতে হবে। এটি শুধু সঙ্গীর সঙ্গে হতে হবে—এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
এটি হতে পারে বাবা-মা, ভাই-বোন, পরিবারের সদস্য বা বন্ধুদের সঙ্গে কাটানো কোনো বিশেষ মুহূর্তও। শেয়ার করার সময় #SurpriseLovewithInfinix হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করতে হবে এবং একই সঙ্গে তিনজন বন্ধুকে ট্যাগ করে কনটেস্টে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানাতে হবে।
অফলাইন ইভেন্ট
অন্যদিকে ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিতে অফলাইন ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়, যেখানে শিক্ষার্থীদের জন্য ইনফিনিক্স ভ্যালেন্টাইনস ডে ফটো বুথ ও প্রোডাক্ট এক্সপেরিয়েন্স কর্নার স্থাপন করা হয়।
পাশাপাশি ইনফিনিক্স সার্ভিস সেন্টার কার্লকেয়ার একটি বিশেষ বুথ স্থাপন করা হয়, যেখানে প্রিমিয়াম বিক্রয়োত্তর সেবা দেওয়া হয়। এ ছাড়া ওয়ারেন্টির বাইরে থাকা ডিভাইস সার্ভিসে ২১ শতাংশ ছাড়, বিনা মূল্যে সার্ভিস চার্জ, সফটওয়্যার আপডেট ও ফোন ক্লিনিং সার্ভিসসেরও ব্যবস্থা করা হয়।
শিক্ষার্থীদের জন্য ইনফিনিক্স স্মার্টফোন কেনা আরও সহজ করতে পাম পে ইভেন্টে কার্ডলেস ইএমআই সুবিধা প্রদান করা হয়, যার মাধ্যমে তারা কোনো আর্থিক চাপ ছাড়াই ইনফিনিক্স স্মার্টফোন কিনতে পারবেন।
ক্যাম্পেইনের শেষে তিনজন ভাগ্যবান বিজয়ীর হাতে তুলে দেওয়া হয় ইনফিনিক্স হট ৫০ প্লাস স্মার্টফোন।
ইনফিনিক্স বিশ্বাস করে, পুরস্কারটি ব্যবহারকারীদের প্রিয় মুহূর্তগুলো আরও সুন্দরভাবে ধারণ করতে এবং প্রিয়জনদের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার আনন্দ আরও দীর্ঘস্থায়ী করতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন:বৈশ্বিক প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ‘অপো’ রবিবার বাংলাদেশে যুগান্তকারী স্মার্টফোন সিরিজ ‘অপো রেনো১৩ সিরিজ’ উন্মোচন করেছে।
সিরিজটি বাংলাদেশের বাজারে প্রথমবারের মতো আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফির সুযোগ উন্মুক্ত করেছে।
অপোর ভাষ্য, স্মার্টফোনটি শুধু প্রযুক্তির প্রতীক নয়, বরং এটি ব্যবহারকারীদের জীবনকে আরও আনন্দময় ও সৃজনশীল করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফি: এক নতুন অভিজ্ঞতা
‘অপো রেনো১৩ সিরিজ’ হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম স্মার্টফোন যা আন্ডারওয়াটার ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফির সুযোগ দিচ্ছে। এটি আইপি৬৯-রেটেড ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেজিস্ট্যান্স সুবিধার মাধ্যমে পানির ২ মিটার গভীরতায় ৩০ মিনিট পর্যন্ত ফটো ও ভিডিও ধারণের সুযোগ দেয়। এ ছাড়াও পানির অন্ধকার ও রঙের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে এআই কালার ক্যালিব্রেশন অ্যালগরিদম ব্যবহার করে ফোকাস, রঙ ও কনট্রাস্টের সমন্বয় করে।
ফিচারটি ব্যবহারকারীদের পানির তলদেশে অসাধারণ ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে সাহায্য করবে।
মডেল
‘অপো রেনো১৩ সিরিজ’-এর দুটি মডেল হলো ‘অপো রেনো১৩ ৫জি’ ও ‘অপো রেনো১৩ এফ’ ।
রেনো১৩ ৫জি: ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেটের ৬.৫৯ ইঞ্চি ডিসপ্লে, ৫৬০০ এমএএইচ ব্যাটারি, ৮০ ওয়াট সুপারভোগ চার্জিং, ১২ জিবি র্যাম (১২জিবি এক্সটেন্ডেড) এবং ২৫৬ জিবি রম। এটি পাম হোয়াইট ও লুমিনাস ব্লু রঙে পাওয়া যাবে ৬৯ হাজার ৯৯০ টাকায়।
রেনো১৩ এফ: ১২০ হার্টজ রিফ্রেশ রেটের ৬.৬৭ ইঞ্চি ওলেড ডিসপ্লে, ৫৮০০ এমএএইচ ব্যাটারি, ৪৫ ওয়াট সুপারভোগ চার্জিং, ৮ জিবি র্যাম (৮জিবি এক্সটেন্ডেড) এবং ২৫৬ জিবি রম। এটি পাম পার্পল ও গ্রাফাইট গ্রে রঙে পাওয়া যাবে ৩৪ হাজার ৯৯০ টাকায়।
এআই প্রযুক্তির বিস্ময়
‘অপো রেনো১৩ সিরিজ’-এর মূল আকর্ষণ হচ্ছে এর অত্যাধুনিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) সংবলিত ফিচারগুলো।
এআই লাইভফটো: শাটার প্রেস করার আগে ও পরে ১.৫ সেকেন্ডের টাইম ক্যাপসুল রেকর্ড করে নেয়। এআই ডি-ব্লারিং, ইআইএস ও ভিজ্যুয়াল রিকগনিশন অ্যালগরিদম ব্যবহার করে শটগুলো স্থিতিশীল করে।
এআই এডিটর স্যুট: ঝাপসা ছবিকে হাই-কোয়ালিটি ভিজ্যুয়ালে রূপান্তর করে। এ ছাড়াও এআই আনব্লার, এআই রিফ্লেকশন রিমুভার এবং এআই ইরেজার ২.০-এর মাধ্যমে অপ্রয়োজনীয় বিষয় সরিয়ে দেওয়া যায়।
গেমিং ও নেটওয়ার্ক অভিজ্ঞতা
গেমার্স ও স্ট্রিমারদের জন্য ‘এআই লিংকবুস্ট ২.০’ ফিচার উল্লেখযোগ্য। এটি লো-সিগনাল অথবা ক্রাউডেড এরিয়াতে নেটওয়ার্ক শক্তিশালী রাখতে সাহায্য করে।
৯টি ৩৬০° ডিগ্রি অ্যান্টেনা, ডুয়েল-চ্যানেল ওয়াই-ফাই এবং ব্লুটুথ অ্যাসিলারেশন ব্যবহার করে নির্বিঘ্ন গেমিং ও স্ট্রিমিং অভিজ্ঞতা দেয়।
ডকুমেন্টেশন ও মাল্টি-টাস্কিং
দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহারের জন্য এ স্মার্টফোনে রয়েছে এআই সংবলিত ডকুমেন্টেশন টুলস। নিচে সেগুলো তুলে ধরা হলো।
ডকুমেন্টস অ্যাপ: লেখা সামারাইজেশন ও এডিটিং করতে সাহায্য করে।
এআই অ্যাসিস্ট্যান্ট নোটস: ফরম্যাটিং ও কনটেন্ট এক্সপ্যানশন সক্ষমতা দেয়।
প্রি-অর্ডার অফার
অপো-ভক্তরা ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ‘রেনো১৩ সিরিজ’ প্রি-অর্ডার করতে পারবেন। প্রি-অর্ডারের সঙ্গেই বিশেষ উপহারসহ ড্রিম ট্রিপ জেতার সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়াও অপো ট্রাভেল ব্যাগ এবং ১০০ শতাংশ শিওর শট অপো সুপার শিল্ড কার্ডসহ নানা আয়োজন রয়েছে।
সিরিজের বিষয়ে অপো সাউথ এশিয়ার মার্কেটিং ডিরেক্টর ইয়াং গু বলেন, “‘মেক ইউর মোমেন্ট’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আমরা বর্তমান সময়কে ধারণ ও ভালো লাগার মুহূর্তকে গ্রহণের জন্য একটি নতুন প্রজন্মকে ক্ষমতায়িত করছি।”
অপো বাংলাদেশ অথোরাইজড এক্সক্লুসিভ ডিস্ট্রিবিউটরের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেমন ইয়াং বলেন, ‘এই অনন্য ফিচারটি স্মার্টফোনপ্রেমীদের কাছে পৌঁছে দিতে পেরে আমরা আনন্দিত। এ অর্জন প্রতিযোগিতামূলক বাজারে মানসম্পন্ন পণ্য পৌঁছে দিতে আমাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে।”
আরও পড়ুন:স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের জন্য সুখবর নিয়ে এসেছে ইনফিনিক্স। এখন থেকে প্রতি শনিবার ইনফিনিক্স ব্যবহারকারীরা তাদের স্মার্টফোনের জন্য বিনা মূল্যে সার্ভিসিং সেবা পাবেন।
ইনফিনিক্সের অফিশিয়াল সার্ভিস পার্টনার কার্লকেয়ার এই ‘ফ্রি সার্ভিস ডে’ চালু করেছে, যা প্রতি শনিবার অব্যাহত থাকবে।
এ উদ্যোগের মাধ্যমে ইনফিনিক্স ব্যবহারকারীরা আরও সুবিধাজনক, সাশ্রয়ী ও সহজ সেবা অভিজ্ঞতা লাভ করবেন। কার্লকেয়ারের সাপ্তাহিক ফ্রি সার্ভিস ডেতে ডিভাইস ক্লিন-আপ, প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার আপডেট এবং মেরামতের সুবিধা থাকছে।
সারা দেশে কার্লকেয়ারের ৭৪টি সার্ভিস পয়েন্ট রয়েছে, যার মধ্যে ১৪টি ফ্লাগশিপ সার্ভিস সেন্টার। শুধু রাজধানীতেই ৯টি সার্ভিস সেন্টার রয়েছে।
ঢাকার বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স, বাড্ডা এবং মিরপুরে কার্লকেয়ারের অত্যাধুনিক সার্ভিস সেন্টারগুলোতে গ্রাহকরা উন্নত সেবা নিতে পারবেন।
যা থাকছে ফ্রি সার্ভিস ডেতে
১. বিনামূল্যে স্মার্টফোন ক্লিন-আপ।
২. ফ্রি সফটওয়্যার আপডেট, যা ডিভাইসের নিরাপত্তা ও পারফরম্যান্স নিশ্চিত করবে।
৩. ওয়ারেন্টির বাইরে থাকা মেরামতের ক্ষেত্রে ১৫% ছাড়।
৪. প্রতি শনিবার মেরামতের ক্ষেত্রে সার্ভিস চার্জ সম্পূর্ণ ফ্রি।
৫. গ্রাহকদের জন্য বিশেষ উপহার।
ইনফিনিক্স ও কার্লকেয়ারের ভাষ্য, তাদের লক্ষ্য ব্যস্ত শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে কর্মজীবী, পেশাজীবী—সবাই যেন তাদের দৈনন্দিন ব্যস্ততায় ব্যাঘাত না ঘটিয়ে নির্ভরযোগ্য বিক্রয়োত্তর সেবা পেতে পারেন।
কার্লকেয়ারের বিস্তৃত সার্ভিস নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ইনফিনিক্স নিশ্চিত করতে চায়, বিক্রয়োত্তর সেবা নিয়ে গ্রাহকদের আর কোনো দুশ্চিন্তা করতে হবে না।
ইনফিনিক্স ব্যবহারকারীরা যেকোনো শনিবার নিকটস্থ কার্লকেয়ার সেন্টারে গিয়ে এ বিশেষ সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন:জনপ্রিয় স্মার্টফোন ব্র্যান্ড অপো এবার বাংলাদেশের বাজারে ‘রেনো১৩ সিরিজ’-এর উন্মোচনের ঘোষণা দিয়েছে।
দেশে শিগগিরই উন্মোচন হতে যাচ্ছে এ সিরিজের স্মার্টফোন, যেখানে গ্রাহকদের জন্য অপেক্ষা করছে ফ্যাশন ও প্রযুক্তির এক অভিনব মেলবন্ধন।
প্রকৃতি থেকে অনুপ্রাণিত আকর্ষণীয় ডিজাইন, সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং অনবদ্য ফ্যাশন উপকরণের সমন্বয়ে ডিভাইসটি গ্রাহকদের মোবাইল ব্যবহারের অভিজ্ঞতাই বদলে দেবে।
প্রজাপতির ডানার মতো করে তৈরি বাটারফ্লাই শ্যাডো এবং লুমিনাস লুপ ডিজাইনের মাধ্যমে নান্দনিকতা ও আবেগময় ভাব প্রকাশে ‘রেনো১৩ সিরিজ’ নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে।
একনজরে দেখা যাক, কী নতুনত্ব থাকছে এ স্মার্টফোনে
বাটারফ্লাই শ্যাডো ডিজাইন: প্রকৃতিতে রূপান্তরবিষয়ক সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতীকগুলোর একটি হচ্ছে প্রজাপতি, যেটিকে বাটারফ্লাই শ্যাডো ডিজাইনের অনুপ্রেরণা হিসেবে নেওয়া হয়েছে। এটি শুধু দেখার মতো সৌন্দর্যই নয়, বরঞ্চ এই অলংকরণ প্রকৃতির গভীর অকৃত্রিম নান্দনিকতা, সাহসিকতা ও শহুরে জীবনের গতিময়তা ফুটিয়ে তোলে। এ ছাড়া লেজার ডিরেক্ট রাইটিং টেকনিকের মাধ্যমে নিখুঁত এ নকশা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এর ফলে ফোনটি নাড়াচাড়া করলে উড়ন্ত প্রজাপতির মতোই প্রতিবিম্ব পড়বে।
ফ্যাশন ও প্রযুক্তির নতুন চ্যাপ্টার: বর্তমান দুনিয়াতে ফ্যাশন ও প্রযুক্তি দুটোই খুব দ্রুত বদলাচ্ছে। ডিজাইন, প্রকৃতি ও আবেগের মিশেলে ‘অপো রেনো১৩ সিরিজ’ সবার সামনে উপস্থাপন করছে ভিন্ন কিছু। বাটারফ্লাই শ্যাডো ও লুমিনাস লুপ শুধু ফিচার নয়, এগুলো ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষারই যেন বহিঃপ্রকাশ।
প্রিমিয়াম ডিজাইন: রেনো১৩ সিরিজের মাধ্যমে স্বকীয় ডিজাইন ভাবনার প্রতি অপোর দায়বদ্ধতা ও কারিগরি দক্ষতার বিষয়টি আবারও স্পষ্ট হয়েছে। এটির ক্যামেরা মডিউল এবং ব্যাক ফ্রেম নিখুঁতভাবে একই সঙ্গে মিলে যায়। তাই এটি দেখতে দারুণ লাগে ও মোটেই অসমাঞ্জস্যপূর্ণ মনে হয় না। এতে ডিভাইসটি আরও নান্দনিক হয়ে ওঠে ও প্রকাশ পায় পরিশীলতা।
লুমিনাস লুপ: লুমিনাস লুপ হচ্ছে ক্যামেরা মডিউলকে ঘিরে অভিনব সেলফ-ইলুমিনেটিং রিং, যা আবেগকেন্দ্রিক ডিজাইনের চর্চায় রেনো১৩ সিরিজকে নতুন মাত্রায় নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। এটি শুধু দেখার নান্দনিক কোনো বিষয়ই নয়, বরং ব্যবহারকারী ও ডিভাইসের মধ্যে শক্তিশালী, ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরিরও একটি উপকরণ। প্রাকৃতিক বায়োলুমিনেসেন্স থেকে অনুপ্রাণিত এ লুমিনাস লুপ রেনো১৩ সিরিজকে কেবল একটি ফোনের চাইতে নিবিড় বিশেষ কিছু হিসেবেই প্রমাণ করতে পেরেছে।
ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) ইকোসিস্টেম অনেকগুলো আন্তঃসংযুক্ত ডিভাইসের একটি নেটওয়ার্ক, যা ব্যবহারকারীদের একটি সমন্বিত অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
সম্প্রতি ওয়ানপ্লাস বাংলাদেশে তাদের তিনটি আইওটি ইকোসিস্টেম ডিভাইস উন্মোচন করেছে।
উদ্ভাবনী প্রযুক্তির এ তিনটি ডিভাইস— ওয়ানপ্লাস প্যাড ২, ওয়ানপ্লাস বাডস প্রো ৩ ও ওয়ানপ্লাস ওয়াচ ২— একে অপরের সাথে সহজে সংযুক্ত হয়ে প্রোডাক্টিভিটি ও সৃজনশীলতা বৃদ্ধিতে সেরা ইউজার এক্সপেরিয়েন্স নিশ্চিত করে।
সহজ সংযোগ
ওয়ানপ্লাস ইকোসিস্টেমের প্রধান বৈশিষ্ট্য এর ডিভাইসগুলোর মধ্যে সহজে সংযোগ স্থাপনের ক্ষমতা। যেমন: ওয়ানপ্লাস প্যাড ২ ও ওয়ানপ্লাস বাডস প্রো ৩-এর মধ্যে সহজে অডিও ট্রান্সফার করা যায় ফলে মিটিং বা কোনো সিনেমা দেখার সময় স্ক্রিন থেকে সাময়িক সময়ের জন্য দূরে চলে গেলেও মিটিং করা বা সিনেমা চালু রাখা সম্ভব। ৩২ ফুটেরও বেশি কার্যকরী রেঞ্জ নিয়ে ওয়ান প্লাস বাডস প্রো ৩-এর শক্তিশালী ব্লুটুথ ৫.৪ এ ক্ষেত্রে দারুণ কার্যকরী।
ওয়ানপ্লাস ওয়াচ ২ এই ডিভাইস দুটির মাঝে একটি সেতু হিসেবে কাজ করে। এটি ব্যবহারকারীদের স্মার্টফোনের নোটিফিকেশন চেক করার পাশাপাশি মিউজিক প্লেব্যাক নিয়ন্ত্রণ করতে এমনকি ওয়ানপ্লাস প্যাড ২-এর রিমোট কন্ট্রোল হিসেবে কাজ করতে পারে। এ ইন্টারকানেক্টিভিটি ফিচার ডিভাইসগুলোকে আরও কার্যকর ও ব্যবহারকারীদের লাইফস্টাইলের সাথে মানানসই করে তোলে।
সবকিছু আরও সহজে
ওয়ানপ্লাস ইকোসিস্টেমের প্রতিটি ডিভাইস জীবনকে সহজ করতে একটি নতুন মাত্রা যোগ করছে। ওয়ানপ্লাস প্যাড ২-এর উন্নত ডিজাইন ও শক্তিশালী পারফরম্যান্স কাজ, পড়াশোনা ও বিনোদনের জন্য একটি বহুমুখী ডিভাইস। এর ১২.১ ইঞ্চি ডিসপ্লে ও উচ্চ রিফ্রেশ রেট একটি মসৃণ ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতা প্রদান করে।
ওয়ানপ্লাস বাডস প্রো ৩ ডাইনাঅডিও টিউনিং ও অ্যাডাপটিভ নয়েজ ক্যান্সেলেশনের মাধ্যমে স্টুডিও-মানের সাউন্ড অনুভূতি দেয়। যাতায়াত, ব্যায়াম বা ফোনে কথা বলা যেকোনো পরিস্থিতিতে এটি নিরবচ্ছিন্ন অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করে। যেকোনো ওয়ানপ্লাস ডিভাইসের সাথে দ্রুত সংযুক্ত হতে সক্ষম ডিভাইসটির এডজাস্টেবল এয়ারপিস থাকায় হওয়ায় খুব সহজেই কানের সাথে মানিয়ে যায়।
ওয়ানপ্লাস ওয়াচ ২ গুরুত্বপূর্ণ যেকোনো নোটিফিকেশন ও ডিভাইসটির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবহারকারীদের হাতের নাগালে এনে দেয়। ফিটনেস ট্র্যাকিং, হার্ট রেট মনিটরিং, কল নোটিফিকেশনের মতো ফিচার এটিকে স্বাস্থ্য ও প্রোডাক্টিভিটি বজায় রাখতে দারুণ কার্যকরী ডিভাইসে পরিণত করেছে।
বাড়বে কর্মদক্ষতা
ওয়ানপ্লাস ইকোসিস্টেমের মূলে রয়েছে প্রোডাক্টিভিটি। ওয়ানপ্লাস প্যাড ২-এর শক্তিশালী প্রসেসর ও ব্যবহারকারীবান্ধব ইন্টারফেসের জন্য মাল্টিটাস্কিংয়ে দক্ষ। ওয়ানপ্লাস স্টাইলো নোট নেওয়া এবং স্কেচ করার জন্য আদর্শ করে তোলে। ওয়ানপ্লাস ম্যাগনেটিক কীবোর্ড একটি মিনি ওয়ার্কস্টেশনে রূপান্তরিত করে, যা রিপোর্ট বা ইমেইল লেখার জন্য পারফেক্ট।
ওয়ানপ্লাস বাডস প্রো ৩ উন্নত নয়েজ ক্যান্সেলেশন প্রযুক্তির মাধ্যমে পরিষ্কার কল ও মনোযোগ ধরে রাখতে সহায়তা করে। ওয়ানপ্লাস ওয়াচ ২ রিমাইন্ডার, মিটিং অ্যালার্ট ও ফিটনেস আপডেট দিয়ে ব্যবহারকারীদের প্রতিদিনের কাজগুলো সহজ করে তোলে।
প্রযুক্তিনির্ভর জীবনে নতুন ধারা
ওয়ানপ্লাস ইকোসিস্টেম উন্মোচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে স্মার্ট ও কানেক্টেড জীবনধারার একটি নতুন যুগ শুরু হয়েছে। ওয়ানপ্লাস প্যাড ২, ওয়ানপ্লাস বাডস প্রো ৩, এবং ওয়ানপ্লাস ওয়াচ ২-এর সমন্বয়ে তৈরি এই ইকোসিস্টেম ব্যবহারকারীদের জীবনকে সহজ ও আরও সময় সাশ্রয়ী করে তুলবে। শিক্ষার্থী, পেশাজীবী, বা প্রযুক্তিপ্রেমী— সবার জন্য ওয়ানপ্লাস ইকোসিস্টেম একটি স্মার্ট ও কার্যকর অভিজ্ঞতার মাধ্যমে প্রযুক্তির সম্ভাবনাকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য