টানা তৃতীয় রোববার পতন নিয়ে শুরু হলো পুঁজিবাজারের লেনদেন।
জুলাই থেকে টানা এক হাজার দুইশ পয়েন্টে বেশি সূচক বাড়ার পর সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে সংশোধন শুরু হয়েছে, তাতে সূচকের পতন না ঘটলেও বেশিরভাগ শেয়ারের দরপতন ঘটছে।
দুই সপ্তাহ এভাবে চলার পর চলতি সপ্তাহ থেকে বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর যে আশা করছিলেন বিনিয়োগকারীরা, তা পূরণ হলো না।
তবে আগের দুই সপ্তাহের তুলনায় সূচকের পতন হয়েছে কম। গত ১২ সেপ্টেম্বর সংশোধন শুরুর দিন সূচক পড়েছিল ৫৬ পয়েন্ট।
১৯ সেপ্টেম্বর পরের রোববার সূচকের পতন হয় ৩৭ পয়েন্ট। আর এক সপ্তাহ পর সূচক পড়ল ৭ পয়েন্ট।
আগের দুই পতনের মতোই এবারও সূচক বেড়ে গিয়ে শেষ বেলায় পড়েছে।
১২ সেপ্টেম্বর সূচক এক পর্যায়ে সূচক বেড়ে গিয়েছিল ৭৮ পয়েন্ট। সেখান থেকে ১২৪ পয়েন্ট পতন হয় বেলা শেষে।
১৯ সেপ্টেম্বর লেনদেনের শুরুতে সূচক বেড়ে গিয়েছিল ২৮ পয়েন্ট। সেখান থেকে ৬৫ পয়েন্ট পতনে শেষ হয় লেনদেন।
আর টানা তৃতীয় রোববার সূচক এক পর্যায়ে বেড়ে যায় ২৯ পয়েন্ট। সেখান থেকে পতন হয় ৩৬ পয়েন্ট।
তবে সূচকের পতন হলেও লেনদেন বেড়েছে অনেকটাই। আগের কর্মদিবস বৃহস্পতিবারের তুলনায় চারশ কোটি টাকা বেড়েছে। গত ১২ সেপ্টেম্বর সংশোধন শুরুর পর থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে আজই।
তলানিতে থাকা ব্যাংক খাত আরও দর হারিয়েছে, বিমা খাতের পতন ছিল আরও বেশি। জ্বালানি এবং খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতেও গেছে বাজে দিন। প্রকৌশল খাতেও ভালো গেছে এমন নয়।
অন্যদিকে ওষুধ ও রসায়ন, বস্ত্র এবং ব্যাংক বহির্ভুত আর্থিক খাতে দেখা গেছে মিশ্র প্রবণতা। আর সবচেয়ে ভালো দিন গেছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে।
সব মিলিয়ে ১১৩টি কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ২৩০টির দর। আর দাম ধরে রাখতে পেরেছে ৩৩টি।
রোববার সূচকের উত্থান ও পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখা ১০টি কোম্পানি
ওষুধ রসায়নে আগ্রহ তুঙ্গে, এরপরই বস্ত্র
মোট লেনদেনের প্রায় ১৭ শতাংশই হয়েছে ওষুধও রসায়ন খাতে। গত কয়েকদিন ধরেই এই খাতটির শেয়ার কিনে চলেছেন বিনিয়োগকারীরা। এবার বিনিয়োগ বাড়ল আরও।
৩৬৮ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এই একটি খাতেই। বৃহস্পতিবার খাতওয়ারি লেনদেনের শীর্ষে থাকার দিন লেনদেন হয়েছিল ২৯৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।
আগের দিনের তুলনায় ওষুধ ও রসায়ন খাতের লেনদেন বেড়েছে ২২.৯০ শতাংশ।
এই খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর যে খুব বেশি বেড়েছে এমন নয়। ৩১টি কোম্পানির মধ্যে একটির লেনদেন স্থগিত, বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ১২টির। দুটির শেয়ার দর ছিল অপরিবর্তিত।
শতকরা হিসেবে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে সিলভা ও অরিয়ন ফার্মার দর। দুটির শেয়ারদরই বেড়েছে ৮.৭৬ শতাংশ করে।
এছাড়া অরিয়ন ইনফিউশনের দর ৪.৭৯ শতাংশ এবং ফার কেমিক্যালের দর বেড়েছে ২.৫০ শতাংশ।
এই খাতের শেয়ারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪.৪৩ শতাংশ দর হারিয়েছে এএফসি এগ্রো। বড় মূলধনি বেক্সিমকো ফার্মা দর হারিয়েছে ৩.১৩ শতাংশ।
বস্ত্র, প্রকৌশলে মিশ্র প্রবণতা
বস্ত্র খাতের সমান সংখ্যাক কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে ও কমেছে। এই খাতে লেনদেন হয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২৭৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
৫৮টি কোম্পানির মধ্যে ২৬টির কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে, কমেছেও সম সংখ্যক, আর অপরিবর্তিত ছিল ৬টির দর।
সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পেয়েছে এমন তালিকায় যেমন বেশ কিছু বস্ত্র খাতের কোম্পানি দেখা গেছে, তেমনি দরপতনের তালিকাতেও ছিল আরও বেশ কিছু কোম্পানি।
বস্ত্র খাতের সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেডের ৯.৯০ শতাংশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯.৬৩ শতাংশ বেড়েছে ইভেন্স টেক্সটাইলের দর।
তৃতীয় সর্বোচ্চ ৯.৫২ শতাংশ বেড়েছে জাহিন টেক্সটাইলের আর চতুর্থ সর্বোচ্চ ৬.৬২ শতাংশ বেড়েছে নিউলাইন টেক্সটাইলের।
আবার সবচেয়ে বেশি দরপতনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানেই ছিল তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল। অস্বাভাবিকভাবে দর বৃদ্ধি পাওয়া এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৭.৪০ শতাংশ।
এছাড়া দেশ গার্মেন্টসের দর ৫.০৫ শতাংশ, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ৪.৪০ শতাংশ, মিথুন নিটিংয়ের দর ২.৮৫ শতাংশ কমেছে।
হঠাৎ আগ্রহের কেন্দ্র তথ্যপ্রযুক্তি খাত
আগের দিন এই খাতে লেনদেন ছিল ৩৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এক লাফে তা প্রায় তিন গুণ হয়েছে। দিন শেষে লেনদেন দাঁড়িয়েছে ১০২ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
এই খাতে মোট কোম্পানি ১১টি। পতনের বাজারেও দাম কমেনি একটিরও, বেড়েছে ১০টির। একটির দর ছিল অপরিবর্তিত।
দিনের সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া আমরা নেটওয়ার্ক এই খাতেরই কোম্পানি। এর দর বেড়েছে ৯.৯২ শতাংশ।
এ ছাড়া আমরা টেকনোলজির দর ৫.৬৪ শতাংশ, ডেফোডিল কম্পিউটারের দর ৫.০৩ শতাংশ, বিডিকমের দাম ৪.১২ শতাংশ, জেনেক্স ইনফোসিসের দর ৩.৮৭ শতাংশ বেড়েছে।
ব্যাংক-বিমা ধরাশায়ী
ব্যাংক খাত হতাশা আরও বাড়াল। যমুনা, আইসিবি ইসলামী, পূবালী ও শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের দর বেড়েছে যৎসামান্য। দর ধরে রাখতে পেরেছে আটটি ব্যাংক। কমেছে বাড়ি ১৯টির দরই।
এসব শেয়ারের মধ্যে কেবল যমুনা ব্যাংকের শেয়ারদর বেড়েছে ৫০ পয়সা, বাকি চারটির দাম বেড়েছে ১০ পয়সা করে।
মোট লেনদেন চারশ কোটি টাকা বাড়লেও ব্যাংক খাতে বেড়েছে অল্পই। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ৯০ কোটি ৪১ লাখ টাকা, সেটি সামান্য বেড়ে ৯২ কোটি ১৩ লাখ টাকা।
ব্যাংক খাতের সবচেয়ে বেশি কমেছে সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের দর, ৩.২৫ শতাংশ। এনআরবিসি ব্যাংকের ২.৫০ শতাংশ এবং এবি ব্যাংকের দর কমেছে ১.৯৫ শতাংশ।
বিমা খাতেও ঢালাও পতন হয়েছে। এই খাতে কেবল ৫টির দর বেড়েছে ৫টির দর, দর ধরে রাখতে পেরেছে তিনটি, কমে গেছে বাকি ৪৩টির দর।
তবে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন লেনদেন ছিল ১৯৫ কোটি ১৬ লাখ টাকা। তা বেড়ে হয়েছে ২১৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা।
বিমা খাতের সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ৩.৭৬ শতাংশ। মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের দর ১.৬৮ শতাংশ, কর্ণফুলি ইন্স্যুরেন্সের দশমিক ৬৪ শতাংশ, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দশমিক ১৬ শতাংশ, আর ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে দশমিক ০৭ শতাংশ।
পতন হওয়া কোম্পানির মধ্যে শীর্ষে আছে রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, যার শেয়ার প্রতি দর কমেছে ৫.৭৮ শতাংশ।
এ ছাড়া প্রগতি লাইফের দর ৪.৯৭ শতাংশ, ফারইস্ট লাইফের ৪.৩২ শতাংশ কমেছে।
অন্যান্য খাতের লেনদেন
প্রধান অন্যান্য খাতগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দরপতন হলেও লেনদেন বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার লেনদেন ছিল ১০৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা। সেটি এক লাফে বেড়ে হয়েছে ১৮৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা।
২৩টি কোম্পানির মধ্যে ১৫টির দর কমেছে, ৬টির বেড়েছে আর দুটির দর ছিল অপরিবর্তিত।
প্রকৌশল খাতেও লেনদেন বেড়েছে। আগের দিন এই খাতে লেনদেন ছিল ২০৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। সেটি বেড়ে হয়েছে ২২৭ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।
৪২টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৭টির, একটির দর পাল্টায়নি আর কমেছে ২৪টির দর।
আর্থিক খাতে লেনদেন হয়েছে ১৯৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা, আগের কর্মদিবসে যা ছিল ১৭০ কোটি ১৮ লাখ টাকা।
এ খাতের আটটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর কমেছে, বেড়েছে ১১টির আর অপরিবর্তিত ছিল তিনটির দর।
বিবিধ খাতের ১৪টি লেনদেন হয়েছে ১২৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১২৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
এই খাতে ১৪টি কোম্পানির মধ্যে চারটির দর বেড়েছে। নয়টির দর কমেছে, একটির দর ছিল অপরিবর্তিত
খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ২০টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ২টির, কমেছে ১৬টির, দুটির দর ছিল অপরিবর্তিত।
লেনদেন হয়েছে ৪৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৯ কোটি ২০ লাখ টাকা।
মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ইউনিটগুলোর মধ্যে ৩১টি ফান্ডের দর কমেছে। দুটির দর বেড়েছে। তিনটির দর আগের দিনের মতোই আছে।
হাতবদল হয়েছে কেবল ২০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ১৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
সূচক ও লেনদেন
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৩ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ২৩৭ পয়েন্টে।
শরিয়াভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ৬ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৭৪ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ৭ দশমিক ৯৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৬৫ পয়েন্টে।
দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ২৫৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা। আগের দিন যা ছিল ১ হাজার ৮৫২ কোটি ৪১ লাখ টাকা। এক দিনে লেনদেন বেড়েছে ৪০৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৯ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ১২৬ দশমিক ৭০ পয়েন্টে।
৩১৭টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১১৩টির, কমেছে ১৭২টির ও পাল্টায়নি ৩২টির।
লেনদেন হয়েছে ৯৫ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সূচক বাড়ার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রবিবার লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ৫ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১২০১ ও ২১৫৬ পয়েন্টে রয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ১১১ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
রবিবার এ সময়ে লেনদেন হওয়া কম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২০৩টির, কমেছে ৭৪টির এবং অপরির্বতিত রয়েছে ৯৩টি কম্পানির শেয়ার।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ কম্পানি হলো-খান ব্রাদার্স, শাইনপুকুর সিরামিক, সালাম স্টিল, রবি, ডোমেনেজ, আইপিডিসি, লাভেলো আইসক্রিম, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, রূপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ও ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
এর আগে আজ লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ৮ পয়েন্ট।
সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে আরো ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর অর্থাৎ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৫১ পয়েন্টে অবস্থান করে।
অপরদিকে লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৫ হাজার ৫৪৬ পয়েন্টে অবস্থান করে।
এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এসময়ের ২০টি কম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৮টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২টি কম্পানি শেয়ারের দর।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
মন্তব্য