টানা তৃতীয় রোববার পতন নিয়ে শুরু হলো পুঁজিবাজারের লেনদেন।
জুলাই থেকে টানা এক হাজার দুইশ পয়েন্টে বেশি সূচক বাড়ার পর সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে সংশোধন শুরু হয়েছে, তাতে সূচকের পতন না ঘটলেও বেশিরভাগ শেয়ারের দরপতন ঘটছে।
দুই সপ্তাহ এভাবে চলার পর চলতি সপ্তাহ থেকে বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর যে আশা করছিলেন বিনিয়োগকারীরা, তা পূরণ হলো না।
তবে আগের দুই সপ্তাহের তুলনায় সূচকের পতন হয়েছে কম। গত ১২ সেপ্টেম্বর সংশোধন শুরুর দিন সূচক পড়েছিল ৫৬ পয়েন্ট।
১৯ সেপ্টেম্বর পরের রোববার সূচকের পতন হয় ৩৭ পয়েন্ট। আর এক সপ্তাহ পর সূচক পড়ল ৭ পয়েন্ট।
আগের দুই পতনের মতোই এবারও সূচক বেড়ে গিয়ে শেষ বেলায় পড়েছে।
১২ সেপ্টেম্বর সূচক এক পর্যায়ে সূচক বেড়ে গিয়েছিল ৭৮ পয়েন্ট। সেখান থেকে ১২৪ পয়েন্ট পতন হয় বেলা শেষে।
১৯ সেপ্টেম্বর লেনদেনের শুরুতে সূচক বেড়ে গিয়েছিল ২৮ পয়েন্ট। সেখান থেকে ৬৫ পয়েন্ট পতনে শেষ হয় লেনদেন।
আর টানা তৃতীয় রোববার সূচক এক পর্যায়ে বেড়ে যায় ২৯ পয়েন্ট। সেখান থেকে পতন হয় ৩৬ পয়েন্ট।
তবে সূচকের পতন হলেও লেনদেন বেড়েছে অনেকটাই। আগের কর্মদিবস বৃহস্পতিবারের তুলনায় চারশ কোটি টাকা বেড়েছে। গত ১২ সেপ্টেম্বর সংশোধন শুরুর পর থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে আজই।
তলানিতে থাকা ব্যাংক খাত আরও দর হারিয়েছে, বিমা খাতের পতন ছিল আরও বেশি। জ্বালানি এবং খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতেও গেছে বাজে দিন। প্রকৌশল খাতেও ভালো গেছে এমন নয়।
অন্যদিকে ওষুধ ও রসায়ন, বস্ত্র এবং ব্যাংক বহির্ভুত আর্থিক খাতে দেখা গেছে মিশ্র প্রবণতা। আর সবচেয়ে ভালো দিন গেছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে।
সব মিলিয়ে ১১৩টি কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ২৩০টির দর। আর দাম ধরে রাখতে পেরেছে ৩৩টি।
রোববার সূচকের উত্থান ও পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখা ১০টি কোম্পানি
ওষুধ রসায়নে আগ্রহ তুঙ্গে, এরপরই বস্ত্র
মোট লেনদেনের প্রায় ১৭ শতাংশই হয়েছে ওষুধও রসায়ন খাতে। গত কয়েকদিন ধরেই এই খাতটির শেয়ার কিনে চলেছেন বিনিয়োগকারীরা। এবার বিনিয়োগ বাড়ল আরও।
৩৬৮ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এই একটি খাতেই। বৃহস্পতিবার খাতওয়ারি লেনদেনের শীর্ষে থাকার দিন লেনদেন হয়েছিল ২৯৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।
আগের দিনের তুলনায় ওষুধ ও রসায়ন খাতের লেনদেন বেড়েছে ২২.৯০ শতাংশ।
এই খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর যে খুব বেশি বেড়েছে এমন নয়। ৩১টি কোম্পানির মধ্যে একটির লেনদেন স্থগিত, বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ১২টির। দুটির শেয়ার দর ছিল অপরিবর্তিত।
শতকরা হিসেবে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে সিলভা ও অরিয়ন ফার্মার দর। দুটির শেয়ারদরই বেড়েছে ৮.৭৬ শতাংশ করে।
এছাড়া অরিয়ন ইনফিউশনের দর ৪.৭৯ শতাংশ এবং ফার কেমিক্যালের দর বেড়েছে ২.৫০ শতাংশ।
এই খাতের শেয়ারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪.৪৩ শতাংশ দর হারিয়েছে এএফসি এগ্রো। বড় মূলধনি বেক্সিমকো ফার্মা দর হারিয়েছে ৩.১৩ শতাংশ।
বস্ত্র, প্রকৌশলে মিশ্র প্রবণতা
বস্ত্র খাতের সমান সংখ্যাক কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে ও কমেছে। এই খাতে লেনদেন হয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২৭৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
৫৮টি কোম্পানির মধ্যে ২৬টির কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে, কমেছেও সম সংখ্যক, আর অপরিবর্তিত ছিল ৬টির দর।
সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পেয়েছে এমন তালিকায় যেমন বেশ কিছু বস্ত্র খাতের কোম্পানি দেখা গেছে, তেমনি দরপতনের তালিকাতেও ছিল আরও বেশ কিছু কোম্পানি।
বস্ত্র খাতের সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেডের ৯.৯০ শতাংশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯.৬৩ শতাংশ বেড়েছে ইভেন্স টেক্সটাইলের দর।
তৃতীয় সর্বোচ্চ ৯.৫২ শতাংশ বেড়েছে জাহিন টেক্সটাইলের আর চতুর্থ সর্বোচ্চ ৬.৬২ শতাংশ বেড়েছে নিউলাইন টেক্সটাইলের।
আবার সবচেয়ে বেশি দরপতনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানেই ছিল তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল। অস্বাভাবিকভাবে দর বৃদ্ধি পাওয়া এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৭.৪০ শতাংশ।
এছাড়া দেশ গার্মেন্টসের দর ৫.০৫ শতাংশ, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ৪.৪০ শতাংশ, মিথুন নিটিংয়ের দর ২.৮৫ শতাংশ কমেছে।
হঠাৎ আগ্রহের কেন্দ্র তথ্যপ্রযুক্তি খাত
আগের দিন এই খাতে লেনদেন ছিল ৩৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এক লাফে তা প্রায় তিন গুণ হয়েছে। দিন শেষে লেনদেন দাঁড়িয়েছে ১০২ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
এই খাতে মোট কোম্পানি ১১টি। পতনের বাজারেও দাম কমেনি একটিরও, বেড়েছে ১০টির। একটির দর ছিল অপরিবর্তিত।
দিনের সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া আমরা নেটওয়ার্ক এই খাতেরই কোম্পানি। এর দর বেড়েছে ৯.৯২ শতাংশ।
এ ছাড়া আমরা টেকনোলজির দর ৫.৬৪ শতাংশ, ডেফোডিল কম্পিউটারের দর ৫.০৩ শতাংশ, বিডিকমের দাম ৪.১২ শতাংশ, জেনেক্স ইনফোসিসের দর ৩.৮৭ শতাংশ বেড়েছে।
ব্যাংক-বিমা ধরাশায়ী
ব্যাংক খাত হতাশা আরও বাড়াল। যমুনা, আইসিবি ইসলামী, পূবালী ও শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের দর বেড়েছে যৎসামান্য। দর ধরে রাখতে পেরেছে আটটি ব্যাংক। কমেছে বাড়ি ১৯টির দরই।
এসব শেয়ারের মধ্যে কেবল যমুনা ব্যাংকের শেয়ারদর বেড়েছে ৫০ পয়সা, বাকি চারটির দাম বেড়েছে ১০ পয়সা করে।
মোট লেনদেন চারশ কোটি টাকা বাড়লেও ব্যাংক খাতে বেড়েছে অল্পই। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ৯০ কোটি ৪১ লাখ টাকা, সেটি সামান্য বেড়ে ৯২ কোটি ১৩ লাখ টাকা।
ব্যাংক খাতের সবচেয়ে বেশি কমেছে সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের দর, ৩.২৫ শতাংশ। এনআরবিসি ব্যাংকের ২.৫০ শতাংশ এবং এবি ব্যাংকের দর কমেছে ১.৯৫ শতাংশ।
বিমা খাতেও ঢালাও পতন হয়েছে। এই খাতে কেবল ৫টির দর বেড়েছে ৫টির দর, দর ধরে রাখতে পেরেছে তিনটি, কমে গেছে বাকি ৪৩টির দর।
তবে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন লেনদেন ছিল ১৯৫ কোটি ১৬ লাখ টাকা। তা বেড়ে হয়েছে ২১৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা।
বিমা খাতের সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ৩.৭৬ শতাংশ। মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের দর ১.৬৮ শতাংশ, কর্ণফুলি ইন্স্যুরেন্সের দশমিক ৬৪ শতাংশ, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দশমিক ১৬ শতাংশ, আর ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে দশমিক ০৭ শতাংশ।
পতন হওয়া কোম্পানির মধ্যে শীর্ষে আছে রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, যার শেয়ার প্রতি দর কমেছে ৫.৭৮ শতাংশ।
এ ছাড়া প্রগতি লাইফের দর ৪.৯৭ শতাংশ, ফারইস্ট লাইফের ৪.৩২ শতাংশ কমেছে।
অন্যান্য খাতের লেনদেন
প্রধান অন্যান্য খাতগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দরপতন হলেও লেনদেন বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার লেনদেন ছিল ১০৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা। সেটি এক লাফে বেড়ে হয়েছে ১৮৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা।
২৩টি কোম্পানির মধ্যে ১৫টির দর কমেছে, ৬টির বেড়েছে আর দুটির দর ছিল অপরিবর্তিত।
প্রকৌশল খাতেও লেনদেন বেড়েছে। আগের দিন এই খাতে লেনদেন ছিল ২০৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। সেটি বেড়ে হয়েছে ২২৭ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।
৪২টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৭টির, একটির দর পাল্টায়নি আর কমেছে ২৪টির দর।
আর্থিক খাতে লেনদেন হয়েছে ১৯৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা, আগের কর্মদিবসে যা ছিল ১৭০ কোটি ১৮ লাখ টাকা।
এ খাতের আটটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর কমেছে, বেড়েছে ১১টির আর অপরিবর্তিত ছিল তিনটির দর।
বিবিধ খাতের ১৪টি লেনদেন হয়েছে ১২৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১২৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
এই খাতে ১৪টি কোম্পানির মধ্যে চারটির দর বেড়েছে। নয়টির দর কমেছে, একটির দর ছিল অপরিবর্তিত
খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ২০টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ২টির, কমেছে ১৬টির, দুটির দর ছিল অপরিবর্তিত।
লেনদেন হয়েছে ৪৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৯ কোটি ২০ লাখ টাকা।
মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ইউনিটগুলোর মধ্যে ৩১টি ফান্ডের দর কমেছে। দুটির দর বেড়েছে। তিনটির দর আগের দিনের মতোই আছে।
হাতবদল হয়েছে কেবল ২০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ১৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
সূচক ও লেনদেন
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৩ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ২৩৭ পয়েন্টে।
শরিয়াভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ৬ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৭৪ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ৭ দশমিক ৯৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৬৫ পয়েন্টে।
দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ২৫৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা। আগের দিন যা ছিল ১ হাজার ৮৫২ কোটি ৪১ লাখ টাকা। এক দিনে লেনদেন বেড়েছে ৪০৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৯ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ১২৬ দশমিক ৭০ পয়েন্টে।
৩১৭টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১১৩টির, কমেছে ১৭২টির ও পাল্টায়নি ৩২টির।
লেনদেন হয়েছে ৯৫ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:ঢাকার পুঁজিবাজারে গত এক সপ্তাহের লেনদেনে বেড়েছে সূচক ও মূলধন। তবে পুঁজিবাজার ইতিবাচক দিকে মোড় নিলেও কমেনি মন্দ কোম্পানির শেয়ারের দৌরাত্ম্য।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত পাঁচ কার্যদিবসে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় থাকা দশ কোম্পানির মধ্যে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানি মাত্র দুটি।
বাকি আট কোম্পানির মধ্যে মধ্যম মানের ‘বি’ ক্যাটাগরির সংখ্যা তিন এবং লভ্যাংশ না দেওয়া এমন মন্দ কোম্পানির সংখ্যা পাঁচ।
সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে শীর্ষে উঠে এসেছে নিউ লাইন ক্লোথিংস লিমিটেড। কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের সর্বশেষ লভ্যাংশ দিয়েছে ২০২১ সালে।
কোম্পানিটির সর্বশেষ বার্ষিক সভা হয়েছে ২০২২ সালে। এরপর থেকে বিনিয়োগকারীদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ না দিয়ে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে আছে কোম্পানিটি।
লেনদেনে শীর্ষ কোম্পানিগুলোর মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে থাকা অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স লিমিটেড কোম্পানিটিও ‘জেড’ ক্যাটাগরির। কোম্পানিটি ২০১৬ সালের পর আর কোনো লভ্যাংশ না দিয়েও হয়ে উঠেছে বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।
ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, ‘তারল্য সংকটের মধ্যে সূচকের উত্থান হওয়ায় দ্রুত মুনাফা পাওয়ার আশায় অনেক বিনিয়োগকারী খারাপ শেয়ারে অর্থলগ্নি করছেন। এতে করে মন্দ কোম্পানির শেয়ার ফুলেফেঁপে উঠলেও ঝুঁকি বাড়ছে পুঁজিবাজারে।’
তিনি বলেন, ‘বাজারে ভুল তথ্য ছড়িয়ে সুবিধাভোগী কিছু কোম্পানি এসব মন্দ কোম্পানিকে টার্গেট করেই অর্থ লোপাটের পরিকল্পনা করছে। শুধু কোম্পানিই নয়, বাজার অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে অনেক ব্রোকারেজ হাউসও জড়াচ্ছে কারসাজিতে।’
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি প্রতারণামূলক সফটওয়্যার ব্যবহার করে বিনিয়োগকারীদের প্রায় ৩০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে চার ব্রোকারেজ হাউসের বিরুদ্ধে।
সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে পিছিয়ে আছে ব্যাংক খাত। পাঁচ কর্মদিবসে এ খাতে শেয়ারের দাম কমেছে ২৩ দশমিক ৭২ শতাংশ। গত সপ্তাহে এ খাতের সূচক ৬৪৮ পয়েন্ট থেকে কমে ৪৯৪ পয়েন্টে নেমে এসেছে।
ব্যাংকের পাশাপাশি দাম কমেছে বিমা খাতেও। পাঁচ কার্যদিবসে বিমা খাতে শেয়ারের দাম কমেছে ১৬ দশমিক ৬২ শতাংশ।
ব্যাংক-বিমা পিছিয়ে পড়লেও ভালো অবস্থানে রয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার। এ খাতে শেয়ারের দাম বেড়েছে ৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এ ছাড়া জ্বালানি খাতে শেয়ারের দাম বেড়েছে ৩৫ শতাংশের ওপরে।
সর্বোপরি পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ২২ পয়েন্ট, ব্লু-চিপ ডিএস-৩০ বেড়েছে ৬ এবং শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ৭ পয়েন্ট।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ১৮৩ কোম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ১৬৬টির দাম এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে সপ্তাহের ব্যবধানে গড় লেনদেন ১ শতাংশের মতো কমলেও মোট বাজার মূলধন বেড়েছে ২ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
প্রথাগত লেনদেনের বাইরেও সপ্তাহজুড়ে ব্লক মার্কেটে ১০৬ কোটি টাকার শেয়ার বেচাকেনা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার বিক্রি করে এসিআই লিমিটেড। কোম্পানিটি পাঁচ দিনে ব্লক মার্কেটে ২৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করে।
সপ্তাহব্যাপী লেনদেনে সবচেয়ে বেশি রিটার্ন আসে সিরামিক খাত থেকে। রিটার্নের হিসাবে তলানিতে আছে আর্থিক খাত, জীবনবিমা ও সাধারণ বিমা। সর্বোপরি মার্কেট রিটার্ন বেড়েছে দশমিক ৫০ শতাংশ।
গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো পুঁজিবাজার সংস্কারে গঠিত টাস্কফোর্স বিএসইসির কাছে নিজেদের প্রাথমিক দুটি সুপারিশ জমা দেয়।
মার্জিন ঋণ ও মিউচুয়াল ফান্ড সংক্রান্ত এসব সুপারিশ আমলে নেওয়া হলে শেয়ারবাজারের অস্থিরতা অনেকটাই কমে আসবে বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে। বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বাড়ে ১০ পয়েন্ট।
শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএস ৩ এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বাড়ে ৪ পয়েন্ট।
লেনদেনের শুরুতেই দাম বাড়ে ১৭৭ কোম্পানির, কমে ১৩৩টির এবং অপরিবর্তিত থাকে ৭৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৭০ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
লেনদেনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক বাড়ে ২৮ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ১১০ কোম্পানির মধ্যে দাম বাড়ে ৭০, কমে ২২ এবং অপরিবর্তিত থাকে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম। মোট শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন ছাড়ায় ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস সোমবার ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে। বিপরীতে দিনের শুরুতেই সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বাড়ে ১১ পয়েন্ট।
বাকি শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএস ৩ ও ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বাড়ে ২ পয়েন্ট।
লেনদেনের শুরুতেই দাম বাড়ে ১৭০ কোম্পানির, কমে ৮৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত ছিল ৭৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম আধা ঘণ্টায় ডিএসইতে ৬০ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
লেনদেনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৩৯ কোম্পানির মধ্যে দাম বাড়ে ২১, কমে ১৪ এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম। শুরুতেই মোট শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন ছাড়ায় ২০ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে। দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) রবিবার লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বাড়ে ৪ পয়েন্ট।
বাকি শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএস ও ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ দুটি সূচকেরই উত্থান দশমিকের নিচে।
লেনদেনের শুরুতেই দাম বাড়ে ১৬৪ কোম্পানির, কমে ১৪৩ এবং অপরিবর্তিত ছিল ৭৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১০০ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
লেনদেনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক বাড়ে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৬৬ কোম্পানির মধ্যে দাম বাড়ে ৩২, কমে ২২ এবং অপরিবর্তিত ছিল ১২ কোম্পানির শেয়ারের দাম। শুরুতেই মোট শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন ছাড়ায় ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে। দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএস ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১ পয়েন্ট।
লেনদেনের শুরুতেই দাম বেড়েছে ২২৬ কোম্পানির, কমেছে ৬০ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর লেনদেনে ডিএসইতে ৭০ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
লেনদেনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৪১ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৬, কমেছে ৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুতেই মোট শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন ছাড়িয়েছে ৪০ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস সোমবার ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে। দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বাড়ে ৩৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএস ৭ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বাড়ে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনের শুরুতেই দাম বাড়ে ২৭২ কোম্পানির, কমে ২৭ এবং অপরিবর্তিত ছিল ৫০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম আধা ঘণ্টায় ডিএসইতে মোট ৮০ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়।
সূচক কিছুটা কমেছে চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ৪০ কোম্পানির মধ্যে দাম বাড়ে ২৫, কমে ৮ এবং অপরিবর্তিত ছিল ৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম। শুরুতেই মোট শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন ছাড়ায় ২৫ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য