টানা তৃতীয় রোববার পতন নিয়ে শুরু হলো পুঁজিবাজারের লেনদেন।
জুলাই থেকে টানা এক হাজার দুইশ পয়েন্টে বেশি সূচক বাড়ার পর সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে সংশোধন শুরু হয়েছে, তাতে সূচকের পতন না ঘটলেও বেশিরভাগ শেয়ারের দরপতন ঘটছে।
দুই সপ্তাহ এভাবে চলার পর চলতি সপ্তাহ থেকে বাজার ঘুরে দাঁড়ানোর যে আশা করছিলেন বিনিয়োগকারীরা, তা পূরণ হলো না।
তবে আগের দুই সপ্তাহের তুলনায় সূচকের পতন হয়েছে কম। গত ১২ সেপ্টেম্বর সংশোধন শুরুর দিন সূচক পড়েছিল ৫৬ পয়েন্ট।
১৯ সেপ্টেম্বর পরের রোববার সূচকের পতন হয় ৩৭ পয়েন্ট। আর এক সপ্তাহ পর সূচক পড়ল ৭ পয়েন্ট।
আগের দুই পতনের মতোই এবারও সূচক বেড়ে গিয়ে শেষ বেলায় পড়েছে।
১২ সেপ্টেম্বর সূচক এক পর্যায়ে সূচক বেড়ে গিয়েছিল ৭৮ পয়েন্ট। সেখান থেকে ১২৪ পয়েন্ট পতন হয় বেলা শেষে।
১৯ সেপ্টেম্বর লেনদেনের শুরুতে সূচক বেড়ে গিয়েছিল ২৮ পয়েন্ট। সেখান থেকে ৬৫ পয়েন্ট পতনে শেষ হয় লেনদেন।
আর টানা তৃতীয় রোববার সূচক এক পর্যায়ে বেড়ে যায় ২৯ পয়েন্ট। সেখান থেকে পতন হয় ৩৬ পয়েন্ট।
তবে সূচকের পতন হলেও লেনদেন বেড়েছে অনেকটাই। আগের কর্মদিবস বৃহস্পতিবারের তুলনায় চারশ কোটি টাকা বেড়েছে। গত ১২ সেপ্টেম্বর সংশোধন শুরুর পর থেকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে আজই।
তলানিতে থাকা ব্যাংক খাত আরও দর হারিয়েছে, বিমা খাতের পতন ছিল আরও বেশি। জ্বালানি এবং খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতেও গেছে বাজে দিন। প্রকৌশল খাতেও ভালো গেছে এমন নয়।
অন্যদিকে ওষুধ ও রসায়ন, বস্ত্র এবং ব্যাংক বহির্ভুত আর্থিক খাতে দেখা গেছে মিশ্র প্রবণতা। আর সবচেয়ে ভালো দিন গেছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে।
সব মিলিয়ে ১১৩টি কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ২৩০টির দর। আর দাম ধরে রাখতে পেরেছে ৩৩টি।
রোববার সূচকের উত্থান ও পতনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখা ১০টি কোম্পানি
ওষুধ রসায়নে আগ্রহ তুঙ্গে, এরপরই বস্ত্র
মোট লেনদেনের প্রায় ১৭ শতাংশই হয়েছে ওষুধও রসায়ন খাতে। গত কয়েকদিন ধরেই এই খাতটির শেয়ার কিনে চলেছেন বিনিয়োগকারীরা। এবার বিনিয়োগ বাড়ল আরও।
৩৬৮ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে এই একটি খাতেই। বৃহস্পতিবার খাতওয়ারি লেনদেনের শীর্ষে থাকার দিন লেনদেন হয়েছিল ২৯৯ কোটি ৪৩ লাখ টাকা।
আগের দিনের তুলনায় ওষুধ ও রসায়ন খাতের লেনদেন বেড়েছে ২২.৯০ শতাংশ।
এই খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর যে খুব বেশি বেড়েছে এমন নয়। ৩১টি কোম্পানির মধ্যে একটির লেনদেন স্থগিত, বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ১২টির। দুটির শেয়ার দর ছিল অপরিবর্তিত।
শতকরা হিসেবে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে সিলভা ও অরিয়ন ফার্মার দর। দুটির শেয়ারদরই বেড়েছে ৮.৭৬ শতাংশ করে।
এছাড়া অরিয়ন ইনফিউশনের দর ৪.৭৯ শতাংশ এবং ফার কেমিক্যালের দর বেড়েছে ২.৫০ শতাংশ।
এই খাতের শেয়ারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৪.৪৩ শতাংশ দর হারিয়েছে এএফসি এগ্রো। বড় মূলধনি বেক্সিমকো ফার্মা দর হারিয়েছে ৩.১৩ শতাংশ।
বস্ত্র, প্রকৌশলে মিশ্র প্রবণতা
বস্ত্র খাতের সমান সংখ্যাক কোম্পানির শেয়ারের দর বেড়েছে ও কমেছে। এই খাতে লেনদেন হয়েছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২৭৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
৫৮টি কোম্পানির মধ্যে ২৬টির কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে, কমেছেও সম সংখ্যক, আর অপরিবর্তিত ছিল ৬টির দর।
সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পেয়েছে এমন তালিকায় যেমন বেশ কিছু বস্ত্র খাতের কোম্পানি দেখা গেছে, তেমনি দরপতনের তালিকাতেও ছিল আরও বেশ কিছু কোম্পানি।
বস্ত্র খাতের সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে তসরিফা ইন্ডাস্ট্রিস লিমিটেডের ৯.৯০ শতাংশ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯.৬৩ শতাংশ বেড়েছে ইভেন্স টেক্সটাইলের দর।
তৃতীয় সর্বোচ্চ ৯.৫২ শতাংশ বেড়েছে জাহিন টেক্সটাইলের আর চতুর্থ সর্বোচ্চ ৬.৬২ শতাংশ বেড়েছে নিউলাইন টেক্সটাইলের।
আবার সবচেয়ে বেশি দরপতনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানেই ছিল তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল। অস্বাভাবিকভাবে দর বৃদ্ধি পাওয়া এই কোম্পানিটি দর হারিয়েছে ৭.৪০ শতাংশ।
এছাড়া দেশ গার্মেন্টসের দর ৫.০৫ শতাংশ, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের ৪.৪০ শতাংশ, মিথুন নিটিংয়ের দর ২.৮৫ শতাংশ কমেছে।
হঠাৎ আগ্রহের কেন্দ্র তথ্যপ্রযুক্তি খাত
আগের দিন এই খাতে লেনদেন ছিল ৩৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এক লাফে তা প্রায় তিন গুণ হয়েছে। দিন শেষে লেনদেন দাঁড়িয়েছে ১০২ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
এই খাতে মোট কোম্পানি ১১টি। পতনের বাজারেও দাম কমেনি একটিরও, বেড়েছে ১০টির। একটির দর ছিল অপরিবর্তিত।
দিনের সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পাওয়া আমরা নেটওয়ার্ক এই খাতেরই কোম্পানি। এর দর বেড়েছে ৯.৯২ শতাংশ।
এ ছাড়া আমরা টেকনোলজির দর ৫.৬৪ শতাংশ, ডেফোডিল কম্পিউটারের দর ৫.০৩ শতাংশ, বিডিকমের দাম ৪.১২ শতাংশ, জেনেক্স ইনফোসিসের দর ৩.৮৭ শতাংশ বেড়েছে।
ব্যাংক-বিমা ধরাশায়ী
ব্যাংক খাত হতাশা আরও বাড়াল। যমুনা, আইসিবি ইসলামী, পূবালী ও শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের দর বেড়েছে যৎসামান্য। দর ধরে রাখতে পেরেছে আটটি ব্যাংক। কমেছে বাড়ি ১৯টির দরই।
এসব শেয়ারের মধ্যে কেবল যমুনা ব্যাংকের শেয়ারদর বেড়েছে ৫০ পয়সা, বাকি চারটির দাম বেড়েছে ১০ পয়সা করে।
মোট লেনদেন চারশ কোটি টাকা বাড়লেও ব্যাংক খাতে বেড়েছে অল্পই। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ৯০ কোটি ৪১ লাখ টাকা, সেটি সামান্য বেড়ে ৯২ কোটি ১৩ লাখ টাকা।
ব্যাংক খাতের সবচেয়ে বেশি কমেছে সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের দর, ৩.২৫ শতাংশ। এনআরবিসি ব্যাংকের ২.৫০ শতাংশ এবং এবি ব্যাংকের দর কমেছে ১.৯৫ শতাংশ।
বিমা খাতেও ঢালাও পতন হয়েছে। এই খাতে কেবল ৫টির দর বেড়েছে ৫টির দর, দর ধরে রাখতে পেরেছে তিনটি, কমে গেছে বাকি ৪৩টির দর।
তবে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। আগের দিন লেনদেন ছিল ১৯৫ কোটি ১৬ লাখ টাকা। তা বেড়ে হয়েছে ২১৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা।
বিমা খাতের সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ৩.৭৬ শতাংশ। মার্কেন্টাইল ইন্স্যুরেন্সের দর ১.৬৮ শতাংশ, কর্ণফুলি ইন্স্যুরেন্সের দশমিক ৬৪ শতাংশ, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দশমিক ১৬ শতাংশ, আর ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে দশমিক ০৭ শতাংশ।
পতন হওয়া কোম্পানির মধ্যে শীর্ষে আছে রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, যার শেয়ার প্রতি দর কমেছে ৫.৭৮ শতাংশ।
এ ছাড়া প্রগতি লাইফের দর ৪.৯৭ শতাংশ, ফারইস্ট লাইফের ৪.৩২ শতাংশ কমেছে।
অন্যান্য খাতের লেনদেন
প্রধান অন্যান্য খাতগুলোর মধ্যে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দরপতন হলেও লেনদেন বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার লেনদেন ছিল ১০৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা। সেটি এক লাফে বেড়ে হয়েছে ১৮৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা।
২৩টি কোম্পানির মধ্যে ১৫টির দর কমেছে, ৬টির বেড়েছে আর দুটির দর ছিল অপরিবর্তিত।
প্রকৌশল খাতেও লেনদেন বেড়েছে। আগের দিন এই খাতে লেনদেন ছিল ২০৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। সেটি বেড়ে হয়েছে ২২৭ কোটি ৩৭ লাখ টাকা।
৪২টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৭টির, একটির দর পাল্টায়নি আর কমেছে ২৪টির দর।
আর্থিক খাতে লেনদেন হয়েছে ১৯৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা, আগের কর্মদিবসে যা ছিল ১৭০ কোটি ১৮ লাখ টাকা।
এ খাতের আটটি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর কমেছে, বেড়েছে ১১টির আর অপরিবর্তিত ছিল তিনটির দর।
বিবিধ খাতের ১৪টি লেনদেন হয়েছে ১২৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১২৪ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
এই খাতে ১৪টি কোম্পানির মধ্যে চারটির দর বেড়েছে। নয়টির দর কমেছে, একটির দর ছিল অপরিবর্তিত
খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ২০টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ২টির, কমেছে ১৬টির, দুটির দর ছিল অপরিবর্তিত।
লেনদেন হয়েছে ৪৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৯ কোটি ২০ লাখ টাকা।
মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে ইউনিটগুলোর মধ্যে ৩১টি ফান্ডের দর কমেছে। দুটির দর বেড়েছে। তিনটির দর আগের দিনের মতোই আছে।
হাতবদল হয়েছে কেবল ২০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ১৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
সূচক ও লেনদেন
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৩ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ২৩৭ পয়েন্টে।
শরিয়াভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ৬ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৭৪ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ৭ দশমিক ৯৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৬৫ পয়েন্টে।
দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ২৫৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা। আগের দিন যা ছিল ১ হাজার ৮৫২ কোটি ৪১ লাখ টাকা। এক দিনে লেনদেন বেড়েছে ৪০৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা।
চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৯ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ১২৬ দশমিক ৭০ পয়েন্টে।
৩১৭টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১১৩টির, কমেছে ১৭২টির ও পাল্টায়নি ৩২টির।
লেনদেন হয়েছে ৯৫ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য