ব্যাংক খাতে হস্তক্ষেপ একটা সমস্যা বলে মনে করেন দেশের প্রথম বেসরকারি ব্যাংক এবি ব্যাংক লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর তারিক আফজাল।
তিনি বলেন, ‘অনেক সময় ব্যাংকাররা ইন্টারফেয়ারেন্সের কারণে তাদের কাজ সঠিকভাবে করতে পারেন না। আইনের সঠিক প্রয়োগ ও অনুশাসন ব্যাংকার এবং গ্রাহক উভয়ের জন্য প্রয়োজন। ব্যাংকের মালিকদের জন্যও এটা প্রয়োজন। কারণ, তারা দেশের জনগণের স্বার্থে প্রতিষ্ঠান দিয়েছেন। কিন্তু সেটা যদি ব্যক্তিস্বার্থে উপনীত হয়, তবে সমস্ত ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। সুতরাং এটাকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে হবে। সবকিছুর পাশে দেশ, মানুষ, সমাজের কথা চিন্তা করতে হবে।’
ব্যাংক খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে ব্যাংকিং কমিশন গঠন ‘খুবই জরুরি’ বলেও মন্তব্য করেন তারিক আফজাল।
করোনার ধাক্কার পর বিশ্ব অর্থনীতির মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিও গভীর সংকটে পড়ে গত বছরের শুরুর দিকে। সেই ধাক্কা সামলে অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড় করাতে সোয়া লাখ কোটি টাকার ২৩টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে সরকার। বর্তমানে সেই প্রণোদনার অঙ্ক বেড়ে ১ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকায় ঠেকেছে।
এই প্রণোদনা ঋণের পুরোটাই বিতরণ করছে ব্যাংকগুলো। গত বছর প্রণোদনা ছাড়া ঋণ বিতরণ খুব একটা ছিল না। তবে এখন মহামারির ধকল কমতে শুরু করেছে। মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা কমতির দিকে। ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে দেশের অর্থনীতি। সব খাতেই এখন পুরোদমে উৎপাদন কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে। আমদানি-রপ্তানি বাড়ছে। ঋণ বিতরণও বাড়ছে।
এমন পরিস্থিতিতে ‘কেমন চলছে ব্যাংক খাত’ শিরোনামে নিউজবাংলা ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করছে। সাক্ষাৎকারভিত্তিক এই প্রতিবেদনের তৃতীয় পর্বে দেশের ব্যাংকিং খাতের হালচাল নিয়ে কথা বলেছেন বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি ব্যাংক এবি ব্যাংক লিমিটেডের প্রেসিডেন্ট এবং ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এমডি) তারিক আফজাল।
করোনা মহামারির মধ্যেও জরুরি সেবার আওতায় নিরলস সেবা দিয়ে গেছেন ব্যাংক কর্মকর্তারা। সেই ব্যাংক খাতের অবস্থা এখন কেমন?
ব্যাংকিং সেবার সঙ্গে সব শ্রেণির মানুষ জড়িত। করোনার সময়ে অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, শিল্পকলকারখানা বন্ধ ছিল। মহামারির ক্ষতি কাটাতে সরকার বিভিন্ন খাতে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। সরকারের এ সিদ্ধান্ত ব্যাংকগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পেরেছিল বলে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান কিছুটা সচল ছিল।
ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সচল অবস্থা এবং ব্যাংক খাতের মাধ্যমে সরকারের প্রণোদনার অর্থের সঠিক প্রয়োগ ব্যবসাকে সচল এবং দেশের অর্থনীতিকেও সচল রেখেছে।
বাংলাদেশে কোভিডসংক্রান্ত অর্থনৈতিক যে নীতিমালা করা হয়, সেগুলো ছিল পজিটিভ। সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপ এবং সেটার সঠিক প্রয়োগের ফলে অর্থনীতির কার্যক্রম ধারাবাহিকভাবে অগ্রগামী রেখেছে।
আমাদের আমদানি-রপ্তানি অগ্রসর ছিল। বর্তমান সরকারের উন্নয়নকাজও থেমে থাকেনি। পদ্মা সেতু সেটার বড় উদাহরণ।
দেশে কয়েক বছর ধরে মন্দ ঋণের প্রভাব রয়েছে। সেই মন্দ ঋণের প্রভাব কিন্তু অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ব্যাংকিং খাতের অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করে। করোনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক প্রণোদনার পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের কিছু সুবিধা দিয়েছে। ব্যাংকের ঋণ পরিশোধে ছাড় দেয়া হয়েছে। চলতি বছরেও কিছু নতুন নির্দেশনা দিয়েছে।
করোনায় ব্যাংকের গ্রাহকদের ঋণ পরিশোধে যে সুবিধা দেয়া হয়েছিল, সে কিস্তিগুলোর আংশিক শোধ করার পরেও ব্যাংকগুলো মোটামুটিভাবে বেশ ভালো মুনাফা করেছে। তবে করোনার কারণে বিভিন্ন ব্যাংকের অগ্রগতির যে পরিকল্পনা ছিল, সেগুলো বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। কিন্তু ব্যাংক কর্মীদের বেতন-বোনাস দেয়াসহ সার্বিক দিক মোকাবিলা করতে আমরা সক্ষম হয়েছি আমরা।
অন্যান্য সময় ব্যাংক যেভাবে চলছে, তার সঙ্গে যদি মহামারির এ সময় ব্যাংক খাতের অবস্থা তুলনা করি, সেটা নিয়মমাফিক হবে না।
অন্য ব্যাংকের মতো এবি ব্যাংকও ব্যতিক্রম নয়। সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঠিক নীতিমালা মেনে আমরা প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করেছি। আমাদের কিছু ঘাটতি ছিল সেগুলো পূরণ করেছি।
প্রণোদনা প্যাকেজ বিষয়ে অনেক অভিযোগ আছে। ব্যবসায়ীদের মধ্যে প্রণোদনার অর্থ বণ্টন করছে ব্যাংক। কিন্তু বলা হচ্ছে, বড় বড় ব্যবসায়ীকেই প্রণোদনার অর্থ দেয়া হচ্ছে, বঞ্চিত হচ্ছে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্প। এ বিষয়ে আপনার মতামত কী?
গণমাধ্যমের প্রকাশিত খবরে দেখেছি, প্রণোদনার ঋণ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন না করার কারণে ১৬টি ব্যাংককে কেন্দ্রীয় ব্যাংক শোকজ করেছে।
এবি ব্যাংক প্রণোদনার ঋণ সঠিকভাবে বিতরণের চেষ্টা করেছে। বড় শিল্পের পাশাপাশি ছোট শিল্পে প্রায় ৮০ শতাংশ ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।
দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প। এ শিল্পের প্রসার অর্থনীতির মন্দাভাব ও মন্দঋণ দুটোই প্রতিহত করবে। আমি বিশ্বাস করি, প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে গ্রাহক তৈরি করে যদি তাদের মধ্যে ক্ষুদ্র ঋণ দিতে পারি, তাহলে ঝুঁকির সম্ভাবনা কম থাকে।
বিভিন্ন ক্ষুদ্র ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় ৯৮ শতাংশ ক্ষুদ্র ঋণ গ্রহীতা ঋণের টাকা ফেরত দেয়। ব্যাংক খাতে এসব গ্রাহক তৈরি করা হলে মন্দ ঋণের মাত্রা অনেক কমে যাবে। কারণ মন্দ ঋণ বৃহৎ শিল্পে পুঞ্জিভূত।
প্রণোদনার ঋণ হয়তো অনেক ব্যাংক সঠিকভাবে বিতরণ করতে পারেনি। আবার অনেক ব্যাংক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। সেখানে কিছু জটিলতা আছে। এখানে গ্রাহকের অভাব আছে।
ঋণ দেয়ার ক্ষেত্রে একটি ব্যাংক ঋণগ্রহীতার আনুষঙ্গিক বিষয় পরিপালন করেই ঋণ দেয়, কিন্তু গ্রাহকের অভাব থাকলে লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ পূরণ না-ও হতে পারে। ৭০ থেকে ৮০ শতাংশের কম ঋণ দেয়া হলে সেটা প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
ব্যাংকে গ্রাহক পাওয়া, আনুষঙ্গিক বিষয় পরিপালন, গ্রাহকের সামর্থ্য, ব্যাংকের আন্তরিকতা সবকিছু বিবেচনা করতে হবে। না হলে ঋণ না দেয়ায় শুধু ব্যাংকের ওপর দায় দেয়া হলে সেটা অন্যায় হবে।
ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েই চলেছে। দেশের ব্যাংক খাতের এখন অন্যতম প্রধান সমস্যাও এটি। বিপুল পরিমাণ খেলাপি ঋণ আদৌ কি আদায় করা সম্ভব? এ সংস্কৃতি থেকে বের হতে কী করা দরকার বলে আপনি মনে করেন।
২০১৮ সালের অক্টোবের আমি এবি ব্যাংকের এমডি হিসেবে যোগদান করি। তখন থেকে মন্দ ঋণের মাত্রা ৫০ শতাংশ কমিয়েছি। সামনে এটা আরও কমে আসবে।
খেলাপি ঋণ থেকে বের হওয়ার দুটি সুযোগ আছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে প্রসার এবং আইনের সঠিক প্রয়োগ করতে হবে। আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে কঠোর থেকে কঠোরতর হতে হবে।
ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের থেকে ঋণ আদায় করা গেলে খেলাপি সংস্কৃতি থেকে বের হওয়া সম্ভব। এ ক্ষেত্রে প্রশাসন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সহযোগিতা দরকার। আমানতকারীদের যে অর্থ ব্যাংকে গচ্ছিত থাকে, তার প্রতি ব্যাংক থেকে শুরু করে সরকারেরও দায়বদ্ধতা আছে।
বর্তমানে ব্যাংক খাতে আলোচিত বিষয় আমানতের সুদহার। অর্থাৎ আমানতের সুদহার বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কারণ কিছু কিছু ব্যাংক আমানতে ২ থেকে আড়াই শতাংশ সুদ দিচ্ছে। আমানতে মূল্যস্ফীতির কম সুদ না দেয়ার এই নির্দেশনা পরিপালনে ব্যাংক খাতের চ্যালেঞ্জ কী?
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। ব্যাংকে বিভিন্ন ধরনের আমানতকারী রয়েছেন। সবার প্রতি ব্যাংকের কর্তব্য আছে। ব্যাংক শুধু ঋণ দিয়ে সুদ গ্রহণ করবে সেটা নয়।
আমানতকারীদের নিম্নমানে সুদ দেয়া আইনের পরিপন্থি। কারণ, প্রত্যেকে কিছু আশায় ব্যাংকে সঞ্চয় করে থাকে। কিন্তু সেই আমানতে টাকায় যদি কোনো আশানুরূপ রোজগার না হয়, তবে সেটা আমানতকারীদের প্রতি অন্যায়। ব্যাংক আমানতকারীকে নিম্ন সুদ দিয়ে অতিরিক্ত মাত্রায় অর্থ বিনিয়োগ করছেন নিজেদের মুনাফার জন্য। এতে আমানতকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ফলে ভারসাম্য থাকছে না। এ জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন জরুরি।
ব্যাংক খাতের সুশাসন নিশ্চিত করতে একাধিবার ‘ব্যাংক কমিশন’ গঠনের আলোচনা হয়েছে, ‘কমিশন’ গঠনের প্রয়োজন আছে বলে কি মনে করেন? কেন করেন?
সরকার, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং অন্যান্য কর্মকর্তার কাছে বলতে চাই, আমাদের ব্যাংক খাতকে আরও শক্তিশালী করার জন্য কমিশন গঠন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বর্তমানে ৬০টি ব্যাংকের পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানও রয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একার পক্ষে এগুলো সঠিকভাবে পরিচালনা করা সহজ নয়। একটি ডেডিকেটেড ব্যাংকিং কমিশন যদি গঠন করা যায়, তাহলে ব্যাংক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে।
ব্যাংক খাতে ইন্টারফেয়ারেন্স (হস্তক্ষেপ) একটা সমস্যা। অনেক সময় ব্যাংকাররা এটির কারণে তাদের কাজ সঠিকভাবে করতে পারেন না। আইনের সঠিক প্রয়োগ ও অনুশাসন ব্যাংকার এবং গ্রাহক উভয়ের জন্য প্রয়োজন। ব্যাংকের মালিকদের জন্যও এটা প্রয়োজন। কারণ, তারা দেশের জনগণের স্বার্থে প্রতিষ্ঠান দিয়েছেন। কিন্তু সেটা যদি ব্যক্তিস্বার্থে উপনীত হয়, তবে সমস্ত ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। সুতরাং এটাকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে হবে। সবকিছুর পাশে দেশ, মানুষ, সমাজের কথা চিন্তা করতে হবে।
বর্তমান সরকার উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, সেটাকে সঠিকভাবে সহযোগিতা করা অত্যন্ত প্রয়োজন। সরকারের হাতকে আরও শক্তিশালী করতে প্রতিটি ক্ষেত্রে অনুশাসন জরুরি। অনুশাসন যদি সঠিকভাবে প্রয়োগ করা হয়, বাংলাদেশকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হবে না।
আরও পড়ুন:জেলা, উপজেলা এবং গ্রাম অঞ্চলে যেসব ব্যবসায়ীরা পর্যাপ্ত আয় করেন কিন্তু ট্যাক্স দেন না, সেসব ব্যবসায়ী ও চিকিৎসকদের ট্যাক্সের আওতায় আনতে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসকদের।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিন দিনের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন সোমবারের দ্বিতীয় অধিবেশন শেষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
একই সঙ্গে চিকিৎসক এবং আইনজীবীরা যে ফি নেন, সেটাও রসিদ বা ডিজিটাল পেমেন্ট মেথডে এনে তাদেরও করের আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন,‘আপনারা জানেন, সরকারের যেকোনো সিদ্ধান্ত আমরা বাস্তবায়ন করি মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের দিয়ে। মাঠ পর্যায়ের অফিসাররা যদি দক্ষ এবং সেবক হন, তাহলে জনগণ যে সেবাটা পান, সেটা কার্যকর হয়।
‘চিকিৎসক, আইনজীবীরা সরাসরি ক্যাশ ট্রানজেকশন করেন। এর কারণে কিন্তু তাদের করের আওতায় আনা যায় না। চিকিৎসকরা যে ফি নেন, তার রিসিট তো আপনারা নেন না। এই ফি যদি ডিজিটাল মাধ্যমে দেওয়া হয়, তাহলে কিন্তু তার একটা রেকর্ড থাকে। বিদেশে কিন্তু এগুলো সব রেকর্ডেড।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের এম্পলয়মেন্টটা বাড়াতে হবে। লোকাল লেভেলে এম্পলয়মেন্ট বাড়ানো সহজ। চায়নাতে গ্রাম্য শিল্পের সাথে গভীর যোগাযোগ।
‘চায়নার প্রত্যন্ত একটি গ্রামে তৈরি হওয়া পণ্য আমেরিকার ওয়ালমার্টেও পাবেন। অথচ বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের এই জিনিসগুলো যোগাযোগের অভাবে উঠে আসে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডিসিরাই উত্থাপন করেছে গ্রামাঞ্চলে ব্যবসায়ীরা অনেক আয় করেন। তখন এনবিআর এ বিষয়টি নিয়ে ড্রাইভ দিতে বলেছে। আমাদের ট্যাক্সের আওতা না বাড়ালে তো হবে না। এমনিতেই তো দাবি থাকে ভ্যাট কমান-ট্যাক্স কমান। সুতরাং ভ্যাট-ট্যাক্স সহনীয় পর্যায়ে রেখে ট্যাক্স গ্রহণের পরিধিটা বাড়ানোর বিষয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
‘প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতে এই ট্যাক্স নেটটা বাড়িয়ে রাজস্ব আরও বিস্তৃত করতে পারি। মোটকথা জোর করে করের পরিমাণ না বাড়িয়ে ট্যাক্সের নেট বাড়ানো হবে। আমাদের শিল্প প্রতিষ্ঠান আছে ৫০ থেকে ৬০ লাখ, কিন্তু কর দেয় মাত্র পাঁচ লাখ।’
চিকিৎসকদের করের আওতায় আনতে কী উদ্যোগ নেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তাদের যেসব সহকারী বসে থাকেন, তারা টাকা নেন, কিন্তু রিসিট দেওয়া হয় না। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের ইনসিস্ট করা যে আপনারা রিসিট দেন। আমি তো কোনো চিকিৎসককে দেখি না তারা রিসিট দেন।’
আরও পড়ুন:গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
আরও পড়ুন:ঢাকার পুঁজিবাজারে গত এক সপ্তাহের লেনদেনে বেড়েছে সূচক ও মূলধন। তবে পুঁজিবাজার ইতিবাচক দিকে মোড় নিলেও কমেনি মন্দ কোম্পানির শেয়ারের দৌরাত্ম্য।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সাপ্তাহিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত পাঁচ কার্যদিবসে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় থাকা দশ কোম্পানির মধ্যে ‘এ’ ক্যাটাগরির কোম্পানি মাত্র দুটি।
বাকি আট কোম্পানির মধ্যে মধ্যম মানের ‘বি’ ক্যাটাগরির সংখ্যা তিন এবং লভ্যাংশ না দেওয়া এমন মন্দ কোম্পানির সংখ্যা পাঁচ।
সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে শীর্ষে উঠে এসেছে নিউ লাইন ক্লোথিংস লিমিটেড। কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের সর্বশেষ লভ্যাংশ দিয়েছে ২০২১ সালে।
কোম্পানিটির সর্বশেষ বার্ষিক সভা হয়েছে ২০২২ সালে। এরপর থেকে বিনিয়োগকারীদের কোনো ধরনের লভ্যাংশ না দিয়ে ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে আছে কোম্পানিটি।
লেনদেনে শীর্ষ কোম্পানিগুলোর মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে থাকা অ্যাপোলো ইস্পাত কমপ্লেক্স লিমিটেড কোম্পানিটিও ‘জেড’ ক্যাটাগরির। কোম্পানিটি ২০১৬ সালের পর আর কোনো লভ্যাংশ না দিয়েও হয়ে উঠেছে বিনিয়োগকারীদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।
ডিএসইর পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, ‘তারল্য সংকটের মধ্যে সূচকের উত্থান হওয়ায় দ্রুত মুনাফা পাওয়ার আশায় অনেক বিনিয়োগকারী খারাপ শেয়ারে অর্থলগ্নি করছেন। এতে করে মন্দ কোম্পানির শেয়ার ফুলেফেঁপে উঠলেও ঝুঁকি বাড়ছে পুঁজিবাজারে।’
তিনি বলেন, ‘বাজারে ভুল তথ্য ছড়িয়ে সুবিধাভোগী কিছু কোম্পানি এসব মন্দ কোম্পানিকে টার্গেট করেই অর্থ লোপাটের পরিকল্পনা করছে। শুধু কোম্পানিই নয়, বাজার অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে অনেক ব্রোকারেজ হাউসও জড়াচ্ছে কারসাজিতে।’
নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি প্রতারণামূলক সফটওয়্যার ব্যবহার করে বিনিয়োগকারীদের প্রায় ৩০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে চার ব্রোকারেজ হাউসের বিরুদ্ধে।
সপ্তাহজুড়ে লেনদেনে পিছিয়ে আছে ব্যাংক খাত। পাঁচ কর্মদিবসে এ খাতে শেয়ারের দাম কমেছে ২৩ দশমিক ৭২ শতাংশ। গত সপ্তাহে এ খাতের সূচক ৬৪৮ পয়েন্ট থেকে কমে ৪৯৪ পয়েন্টে নেমে এসেছে।
ব্যাংকের পাশাপাশি দাম কমেছে বিমা খাতেও। পাঁচ কার্যদিবসে বিমা খাতে শেয়ারের দাম কমেছে ১৬ দশমিক ৬২ শতাংশ।
ব্যাংক-বিমা পিছিয়ে পড়লেও ভালো অবস্থানে রয়েছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শেয়ার। এ খাতে শেয়ারের দাম বেড়েছে ৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ। এ ছাড়া জ্বালানি খাতে শেয়ারের দাম বেড়েছে ৩৫ শতাংশের ওপরে।
সর্বোপরি পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ২২ পয়েন্ট, ব্লু-চিপ ডিএস-৩০ বেড়েছে ৬ এবং শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ৭ পয়েন্ট।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ১৮৩ কোম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ১৬৬টির দাম এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ডিএসইতে সপ্তাহের ব্যবধানে গড় লেনদেন ১ শতাংশের মতো কমলেও মোট বাজার মূলধন বেড়েছে ২ দশমিক ৩৫ শতাংশ।
প্রথাগত লেনদেনের বাইরেও সপ্তাহজুড়ে ব্লক মার্কেটে ১০৬ কোটি টাকার শেয়ার বেচাকেনা হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার বিক্রি করে এসিআই লিমিটেড। কোম্পানিটি পাঁচ দিনে ব্লক মার্কেটে ২৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করে।
সপ্তাহব্যাপী লেনদেনে সবচেয়ে বেশি রিটার্ন আসে সিরামিক খাত থেকে। রিটার্নের হিসাবে তলানিতে আছে আর্থিক খাত, জীবনবিমা ও সাধারণ বিমা। সর্বোপরি মার্কেট রিটার্ন বেড়েছে দশমিক ৫০ শতাংশ।
গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো পুঁজিবাজার সংস্কারে গঠিত টাস্কফোর্স বিএসইসির কাছে নিজেদের প্রাথমিক দুটি সুপারিশ জমা দেয়।
মার্জিন ঋণ ও মিউচুয়াল ফান্ড সংক্রান্ত এসব সুপারিশ আমলে নেওয়া হলে শেয়ারবাজারের অস্থিরতা অনেকটাই কমে আসবে বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন:ভালোবাসার মুহূর্তগুলোকে আরও স্মরণীয় করে তুলতে ইনফিনিক্স ঘোষণা করেছে এক বিশেষ ক্যাম্পেইন।
আসন্ন ভালোবাসা দিবসে প্রিয়জনের সঙ্গে সেরা মুহূর্তগুলো ভাগ করে নিতে শুরু হয়েছে ‘সারপ্রাইজ লাভ উইথ ইনফিনিক্স’ ক্যাম্পেইন।
প্রিয়জনকে চমকে দিতে এ ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়ে জিতে নেওয়া যাবে ইনফিনিক্স হট ৫০ প্রো প্লাস স্মার্টফোন।
ক্যাম্পেইনটি চলবে ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
ভালোবাসার উদযাপন
ভালোবাসার প্রকৃত অর্থ হলো প্রিয়জনের সঙ্গে ছোট ছোট অনুভূতি ভাগ করে নেওয়া, সুখ-দুঃখের অংশীদার হওয়া, যা মানুষকে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসে। ভালোবাসা দিবসে প্রিয়জনকে দিতে পারেন ছোট্ট কিন্তু অর্থবহ উপহার; অংশ নিতে পারেন ‘সারপ্রাইজ লাভ উইথ ইনফিনিক্স’ ক্যাম্পেইনে।
ইনফিনিক্স বিশ্বাস করে, প্রযুক্তি বিশেষ এ মুহূর্তগুলোকে আরও স্মরণীয় করে তুলতে পারে।
এ ক্যাম্পেইন আপনার বিশেষ দিনকে অবিস্মরণীয় করে তুলতে পারে। সঙ্গী, বন্ধু বা পরিবারের সদস্য—যে কারোর জন্যই এটি ভালোবাসার মুহূর্তগুলোকে আরও বিশেষ করে তুলতে পারে।
ভালোবাসা, হাসি ও একটি ছোট্ট চমক
ভালোবাসার আবেশ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে এ বছর ইনফিনিক্সের ক্যাম্পেইন চলবে অনলাইন ও অফলাইনে। ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে আয়োজন করা হয়েছে একটি আকর্ষণীয় সোশ্যাল মিডিয়া কনটেস্ট, যেখানে অংশগ্রহণকারীদের বিশেষ কোনো স্মরণীয়, আবেগঘন বা মজার ছবি বা ভিডিও শেয়ার করতে হবে। এটি শুধু সঙ্গীর সঙ্গে হতে হবে—এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
এটি হতে পারে বাবা-মা, ভাই-বোন, পরিবারের সদস্য বা বন্ধুদের সঙ্গে কাটানো কোনো বিশেষ মুহূর্তও। শেয়ার করার সময় #SurpriseLovewithInfinix হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করতে হবে এবং একই সঙ্গে তিনজন বন্ধুকে ট্যাগ করে কনটেস্টে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানাতে হবে।
অফলাইন ইভেন্ট
অন্যদিকে ১২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটিতে অফলাইন ক্যাম্পেইনের আয়োজন করা হয়, যেখানে শিক্ষার্থীদের জন্য ইনফিনিক্স ভ্যালেন্টাইনস ডে ফটো বুথ ও প্রোডাক্ট এক্সপেরিয়েন্স কর্নার স্থাপন করা হয়।
পাশাপাশি ইনফিনিক্স সার্ভিস সেন্টার কার্লকেয়ার একটি বিশেষ বুথ স্থাপন করা হয়, যেখানে প্রিমিয়াম বিক্রয়োত্তর সেবা দেওয়া হয়। এ ছাড়া ওয়ারেন্টির বাইরে থাকা ডিভাইস সার্ভিসে ২১ শতাংশ ছাড়, বিনা মূল্যে সার্ভিস চার্জ, সফটওয়্যার আপডেট ও ফোন ক্লিনিং সার্ভিসসেরও ব্যবস্থা করা হয়।
শিক্ষার্থীদের জন্য ইনফিনিক্স স্মার্টফোন কেনা আরও সহজ করতে পাম পে ইভেন্টে কার্ডলেস ইএমআই সুবিধা প্রদান করা হয়, যার মাধ্যমে তারা কোনো আর্থিক চাপ ছাড়াই ইনফিনিক্স স্মার্টফোন কিনতে পারবেন।
ক্যাম্পেইনের শেষে তিনজন ভাগ্যবান বিজয়ীর হাতে তুলে দেওয়া হয় ইনফিনিক্স হট ৫০ প্লাস স্মার্টফোন।
ইনফিনিক্স বিশ্বাস করে, পুরস্কারটি ব্যবহারকারীদের প্রিয় মুহূর্তগুলো আরও সুন্দরভাবে ধারণ করতে এবং প্রিয়জনদের সঙ্গে সংযুক্ত থাকার আনন্দ আরও দীর্ঘস্থায়ী করতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে। বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বাড়ে ১০ পয়েন্ট।
শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএস ৩ এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ বাড়ে ৪ পয়েন্ট।
লেনদেনের শুরুতেই দাম বাড়ে ১৭৭ কোম্পানির, কমে ১৩৩টির এবং অপরিবর্তিত থাকে ৭৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৭০ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।
লেনদেনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক বাড়ে ২৮ পয়েন্ট।
লেনদেন হওয়া ১১০ কোম্পানির মধ্যে দাম বাড়ে ৭০, কমে ২২ এবং অপরিবর্তিত থাকে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম। মোট শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন ছাড়ায় ১ কোটি ১৫ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় হওয়া মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার জন্য আগামী ১৭ এপ্রিল দিন ঠিক করেছেন ঢাকার একটি আদালত।
মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ঠিক ছিল মঙ্গলবার। তবে মামলার তদন্ত সংস্থা সিআইডি প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান নতুন এ দিন ঠিক করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে ২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি জালিয়াতি করে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করা হয়। পরে ওই টাকা ফিলিপাইনে পাঠানো হয়।
দেশের অভ্যন্তরের কোনো একটি চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থ পাচার করে বলে ধারণা করেন সংশ্লিষ্টরা।
ওই ঘটনায় একই বছরের ১৫ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড বাজেটিং ডিপার্টমেন্টের উপপরিচালক জোবায়ের বিন হুদা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মতিঝিল থানায় মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ (সংশোধনী ২০১৫)-এর ৪ এবং তথ্য ও প্রযুক্তি আইন-২০০৬- এর ৫৪ ধারা ও ৩৭৯ ধারায় একটি মামলা করেন।
মামলাটি বর্তমানে সিআইডি তদন্ত করছে।
আরও পড়ুন:চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাকি সময়ের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৭ থেকে ৮ শতাংশ নির্ধারণ করে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এ ছাড়াও জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪ থেকে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে নতুন মুদ্রানীতি উপস্থাপন করেন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
বিনিময় হার, মুদ্রাস্ফীতি ও সুদের হারসহ তিনটি মূল আর্থিক সূচক স্থিতিশীল করতে নজর দেওয়া হয়েছে ঘোষিত মুদ্রানীতিতে।
এর লক্ষ্য বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহে উল্লেখযোগ্য হ্রাস সত্ত্বেও কিছুটা আর্থিক সরবরাহ বাড়ানো। কারণ বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা ও দেশের অভ্যন্তরীণ আর্থিক কেলেঙ্কারির প্রভাবের পাশাপাশি বাংলাদেশের জিডিপি ও ঋণ প্রবৃদ্ধি মন্থর হয়ে পড়েছে।
তবে নীতিগত সুদের হার অপরিবর্তিত থাকায় ঋণের সুদের হার আর বাড়বে না। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সুপারিশ সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি সুদহার বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জানুয়ারিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ। আর ডিসেম্বরে ছিল ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য