× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Opposition blocked the road demanding Jahangirs apology
google_news print-icon

জাহাঙ্গীরের ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে বিরোধীরা ফের রাস্তায়

জাহাঙ্গীরের-ক্ষমা-চাওয়ার-দাবিতে-বিরোধীরা-ফের-রাস্তায়-
মেয়র জাহাঙ্গীরের শাস্তির দাবিতে টঙ্গীতে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ। ছবি: নিউজবাংলা
কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম নুরু বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটূক্তি করার পর এখন পর্যন্ত মেয়র জাতির কাছে ক্ষমা চায়নি। উল্টো শুক্রবার নির্লজ্জ বেহায়ার মতো আনন্দ মিছিলের নামে ভাড়া করা লোকজন দিয়ে শোডাউন দিয়েছে। আমরা তার কঠোর শাস্তি ও পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করছি। যতক্ষণ পর্যন্ত মেয়র জাতির নিকট ক্ষমা না চাইবে এবং সব পদ থেকে পদত্যাগ না করবে ততক্ষণ আমাদের আন্দোলন চলবে।’

মধ্যরাতে নিজ বাসায় বসে একজনের সঙ্গে কথোপকথনের ভিডিও ফেসবুকে ফাঁস হওয়াকে কেন্দ্র করে গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীরের বিচারের দাবিতে শনিবারও বিক্ষোভ হয়েছে।

কর্মসূচির সময় মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা মেয়র জাহাঙ্গীরের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তাকে নির্লজ্জ আখ্যা দিয়ে বলেন, বেহায়ার মতো তিনি আনন্দ মিছিলের নামে ভাড়া করা লোকজন দিয়ে শোডাউন করেছেন।

আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের এই সড়ক অবরোধের কারণে মহাসড়কে হঠাৎ থমকে যায় গাড়ির চাকা। দীর্ঘ যানজটে গন্তব্যে পৌঁছাতে ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীরা।

মেয়র জাহাঙ্গীরের শাস্তির দাবিতে টানা চতুর্থ দিনের মতো টঙ্গীতে বিকেলে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে নামেন বিক্ষুব্ধরা। এ সময় তারা জাহাঙ্গীরের কুশপুত্তলিকায় আগুন দেন। ঘণ্টাব্যাপী চলা অবরোধ কর্মসূচি থেকে নেতাকর্মীরা পরে সরে আসেন পুলিশের অনুরোধে।

ফাঁস হওয়া রেকর্ডটিতে দেখা যায় যায়, মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের সংখ্যা ও আর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীকার আন্দোলনের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন গাজীপুর আওয়ামী লীগের অন্যতম এই নেতা।

গাজীপুর আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খানকে নিয়েও আপত্তিকর বক্তব্য আছে সেই ভিডিওতে।

স্বভাবতই বিষয়টি পছন্দ হয়নি স্থানীয় আওয়ামী লীগের বড় অংশের। চার দিন ধরে নানাভাবে ক্ষোভ বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তারা।

এরই অংশ হিসেবে টঙ্গীর চেরাগআলী এলাকায় শনিবার বিকেল ৪টায় ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম নুরুর নেতৃত্বে কয়েকশ নেতাকর্মী বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় তাদের সঙ্গে ৪৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য সচিব আহসান উল্লাহ ও যুবলীগের আহ্বায়ক মনির হোসেন সাগরের নেতৃত্বে শতাধিক নেতাকর্মী যোগ দেয়। পরে নেতা-কর্মীরা টায়ার জ্বালিয়ে এক ঘণ্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।

ফাঁস হওয়া ভিডিওকে বানোয়াট বলে পার পেতে চাইছেন জাহাঙ্গীর। তিনি তার অনুসারীদেরকে নিয়ে একটি সমাবেশও করেছেন, যার পাশে তার বিরোধীদের অবস্থান ছিল পুলিশ বিরোধীদেরকে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়ার পর জাহাঙ্গীর নির্বিঘ্নে সমাবেশ করেছে।

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে কাউন্সিলর নুরুল ইসলাম নুরু বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কটূক্তি করার পর এখন পর্যন্ত মেয়র জাতির কাছে ক্ষমা চায়নি। উল্টো শুক্রবার নির্লজ্জ বেহায়ার মতো আনন্দ মিছিলের নামে ভাড়া করা লোকজন দিয়ে শোডাউন দিয়েছে। আমরা তার কঠোর শাস্তি ও পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করছি। যতক্ষণ পর্যন্ত মেয়র জাতির নিকট ক্ষমা না চাইবে এবং সব পদ থেকে পদত্যাগ না করবে ততক্ষণ আমাদের আন্দোলন চলবে।’

টঙ্গী বাজার এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসড়ক অবরোধ করে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ খানের অনুসারীরা। বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে মহাসড়ক ঘুরে টঙ্গী বাজার এলাকায় মেয়র জাহাঙ্গীরের কুশপুত্তলিকায় আগুন ধরিয়ে দেয়।

এ সময় মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ওসমান আলী খান, ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক আলী আফজাল খান দুলু, যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুজ্জামান জামান, ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য সচিব আজহারুল বেপারী, মুকুল সরকার, সালাম খান, বাসেত খান, আফিল উদ্দিন, কামরুল রাসেল, আদিম হায়দারসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের হাজারখানেক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। পরে পুলিশের অনুরোধে বিকেল সাড়ে ৫টায় বিক্ষুব্ধরা অবরোধ তুলে নেয়।

বহুধাবিভক্ত গাজীপুর আওয়ামী লীগে নতুন সমীকরণ

গাজীপুরের রাজনীতিতে ক্ষমতাসীন দলে যে ফাটল ধরে গেছে, তার ইঙ্গিতও স্পষ্ট।

২০১৩ সালের সিটি নির্বাচনের আগেই তুমুল আলোচনায় ছিলেন জাহাঙ্গীর। আওয়ামী লীগের ঘাঁটিতে সে সময় দলের বড় পরাজয়ের পেছনে যেসব কারণ উঠে এসেছিল, তার মধ্যে ভোট থেকে সরে গেলেও জাহাঙ্গীর অনুসারীদের তৎপর না থাকা ছিল একটি।

পরে ২০১৮ সালে যখন জাহাঙ্গীরকে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ, তখন তিনি তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির প্রার্থী হাসানউদ্দিন সরকারকে বলতে গেলে উড়িয়ে দেন।

এরপর থেকে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বড় অংশ ভিড়তে শুরু করে তার কাছেই। তবে এবার তার গুণমুগ্ধদের একটি অংশই বেঁকে বসেছেন।

মহানগর আওয়ামী লীগের যে নেতারা এতদিন জাহাঙ্গীরের বলয়ে ছিলেন, তারাও যোগ দিয়েছেন তার শাস্তি ও মেয়র পদ থেকে অপসারণের আন্দোলনে।

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ কী করে, তার অপেক্ষায় আছেন এখনও কেউ কেউ।

টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রজব আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা নিরপেক্ষরা চুপ আছি। আজকের বিক্ষোভ কর্মসূচিতেও যাইনি, আনন্দ মিছিলেও যাইনি। এত বড় ঘটনা ঘটছে, সেন্ট্রাল (কেন্দ্র) কিছু বলছে না। আমরা সেন্ট্রালের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি।’

জাহাঙ্গীর ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিকে বানোয়াট বললেও সেটা হালে পানি পাচ্ছে না। বরং এর আগে ৪ মিনিটের একটি ভিডিও ছড়িয়েছিল। এবার ছড়িয়েছে ১১ মিনিটের একটি। এখানে আরও বেশ কিছু কথা আছে, যা আরও ক্ষুব্ধ করছে তার বিরোধীদেরকে।

টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তুলে ধরেন সে কথাই। আওয়ামী লীগের প্রধান অর্জন মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি তিনি মেনে নিতে পারছেন না।

বলেন, ‘আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে রাজনীতি করি। তাকে নিয়ে যে বক্তব্য শুনা যাচ্ছে, তা নিয়ে আমরা পার্টি ফোরামে কথা বলব। কিন্তু মিটিং কে ডাকবে? সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক দুই পক্ষে অবস্থান করছে। আজকে মহানগর আওয়ামী লীগের আয়োজনে আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ ছিল। কিন্তু এতে সভাপতি আসে নাই।’

মেয়র জাহাঙ্গীর বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যে মন্তব্য করেছে তা মিথ্যে প্রমাণ করা না পর্যন্ত তার সঙ্গে কোনো কর্মসূচিতে অংশ নেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লাহ। সে কথাও জানিয়ে দিলেন রজব আলী।

টঙ্গী পৌরসভার একাধিকবারের মেয়র আজমত গাজীপুরে ভীষণ জনপ্রিয় ছিলেন। ২০১৩ সালের মেয়র নির্বাচনে তার পরাজয় ছিল অপ্রত্যাশিত। সে সময় তিনি জাহাঙ্গীর অনুসারীদের সমর্থন পাননি বলে প্রচার আছে। এও প্রচার আছে যে, জাহাঙ্গীর সমর্থকরা তার বিপক্ষে কাজ করেছে। এই বিষয়টি আট বছর পর আবার সামনে আসছে।

মহানগর আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর একজন নেতা বলেন, ‘গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে আজমত উল্লাহ খান ও জাহাঙ্গীর মুখোমুখি অবস্থানে থাকলেও ২০১৫ তারা দুজন এক হয়ে যান দুজন। নিজেদের মধ্যে কমিটিকে কেন্দ্র করে একটা সমঝোতা হয়। যা দীর্ঘদিন ধরেই বলবৎ ছিল।

‘এই দুজনের সমঝোতার কারণে একই এলাকার একাধিক শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব কিছুটা পাশে পড়ে যান। যা মেয়র জাহাঙ্গীরকে গাজীপুর এলাকায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে শীর্ষস্থানে নিয়ে যায়।’

আগামী সিটি নির্বাচনও আছে হিসেবে

আগামী সিটি নির্বাচনকে ঘিরে সমীকরণও আছে। ৩৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল্লাহ আল মামুন মণ্ডল এবার মেয়র নির্বাচনে আগ্রহী। তিনি মেয়রের শাস্তির দাবিতে কর্মসূচিতে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার। তারও একটি বড় সমর্থক গোষ্ঠী আছে সেখানে।

মামুন গাজীপুরের প্রভাবশালী একাধিক নেতা এমনকি আজমত উল্লাহ খানেরও সমর্থন পাচ্ছেন বলেও এলাকায় প্রচার আছে।

শুক্রবার মেয়র জাহাঙ্গীর যেখানে সমাবেশ করেছেন, তার অদূরে মামুনের কার্যালয় ঘিরে যে কর্মসূচি পালন করেন, তাতে আজমত অনুসারীদেরকেও দেখা গেছে, যদিও তিনি নিজে সেখানে যাননি।

কী করবেন জাহাঙ্গীর

দেশে ফিরেই মেয়র এক ভিডিও বার্তায় বলেছিলেন, এই ভিডিও (ভাইরাল রেকর্ড) বানোয়াট, কথা কেটে কেটে বসানো হয়েছে। ভিডিওগুলো ফেসবুক থেকে ডিলিট করার আহ্বান জানিয়েছেন, বলেছেন, নইলে আইনি ব্যবস্থা নেবেন।

শুক্রবারের সমাবেশেও মেয়র বলেছেন, তিনি চক্রান্তকারীদের মুখ উন্মোচন করে দেবেন। তবে এগুলো যে মাঠের রাজনীতির কথা, সেটি নিউজবাংলাকে দেয়া তার সাক্ষাৎকারেই স্পষ্ট।

কার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেবেন, এমন প্রশ্নে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘এখন মামলার ব্যবস্থা নিতাছি, এখন বাদী, বিবাদী কে এটাই তো মিলাইতে পারতেছি না। কে এটা করছে? আমি তো ছিলাম দেশের বাইরে। আসছি কালকে। আর আমাদের যারা আছে তারা সবাই এটা নিয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা যেকোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সহযোগিতা চাইব, বলব কারা এটা করেছে, বাইর কইরা দিতে।’

‘প্রমাণ করতে হবে যে এই ভিডিও তার না’

মেয়র যে বক্তব্য রেখেছেন, তার প্রতিক্রিয়ায় নিউজবাংলাকে আজমত উল্লাহ খান বলেন, ‘মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে প্রমাণ করতে হবে যে এই ভিডিও তার না।’

তিনি বলেন, ‘উনি (জাহাঙ্গীর আলম) বলেছেন ওই ভিভিও অসত্য। কিন্তু বক্তব্যের কণ্ঠ তো তার। তাকেই প্রমাণ করতে হবে যে এই ভিডিও তার না।’

গাজীপুর তিনদিন ধরে উত্তপ্ত থাকলে প্রধানমন্ত্রী দেশের বাইরে থাকায় চুপ রয়েছে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। ঢাকা বিভাগের দায়িত্বশীলদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে, তারাও কোনো মন্তব্য করছেন না। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে মনে করছেন গাজীপুরের নেতারা।

আরও পড়ুন:
গাজীপুরে কি অবস্থান হারাবেন মেয়র জাহাঙ্গীর
‘শক্তি দেখালেন’ জাহাঙ্গীর, চক্রান্তকারীর মুখোশ খোলার ঘোষণা
বাদী, বিবাদীই তো মিলাইতে পারতেছি না: মেয়র জাহাঙ্গীর
বিরোধীরা হটল, জাহাঙ্গীর সমর্থকদের ‘দখলে’ বোর্ডবাজার
জাহাঙ্গীরের পক্ষে-বিপক্ষে সমাবেশে পুলিশের ব্যাপক নিরাপত্তা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Father in law

ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরার সময় বাবা-মেয়ে নিহত, আহত মা

ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফেরার সময় বাবা-মেয়ে নিহত, আহত মা নাটোরের লালপুরের গোধড়া এলাকায় বৃহস্পতিবার সকালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বিধ্বস্ত প্রাইভেট কার। ছবি: নিউজবাংলা
বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, নাটোর-পাবনা মহাসড়কের গোধড়া এলাকায় যশোর থেকে বগুড়াগামী দ্রুতগতির একটি প্রাইভেট কার মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত একটি ভ্যানকে রক্ষা করতে গিয়ে সড়কের পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে প্রাইভেট কারটি দুমড়েমুচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হয়। এ সময় গুরুতর আহত হন দুজন।

নাটোরের লালপুরের গোধড়া এলাকায় প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুই বছরের মেয়ে শিশুসহ বাবা নিহত হয়েছেন।

উপজেলার গোধড়া এলাকায় বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনায় শিশুটির মা ও গাড়ির চালক গুরুতর আহত হন।

নিহত দুজন হলেন বগুড়া সদরের কইতলা এলাকার বাসিন্দা শাহরিয়ার শাকিল ও তার মেয়ে সুমাইরা আক্তার।

বনপাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, নাটোর-পাবনা মহাসড়কের গোধড়া এলাকায় যশোর থেকে বগুড়াগামী দ্রুতগতির একটি প্রাইভেট কার মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত একটি ভ্যানকে রক্ষা করতে গিয়ে সড়কের পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে প্রাইভেট কারটি দুমড়েমুচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হয়। এ সময় গুরুতর আহত হন দুজন।

পুলিশ জানায়, শাহরিয়ার শাকিল যশোরের কর্মস্থল থেকে পরিবার নিয়ে ঈদের ছুটিতে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন:
রাজশাহীতে ট্রেনের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের ২ আরোহী নিহত
বগুড়ায় ট্রাকচাপায় দুজন নিহত, আহত ২১
গাজীপুরে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার চালকসহ তিনজন নিহত
প্রশিক্ষণ বিমান আছড়ে পড়ল রানওয়েতে, অক্ষত দুই পাইলট
চট্টগ্রামে বাসের ধাক্কায় ভাই, বোনসহ তিনজন নিহত

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two motorcyclists killed in a train collision in Rajshahi

রাজশাহীতে ট্রেনের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের ২ আরোহী নিহত

রাজশাহীতে ট্রেনের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের ২ আরোহী নিহত প্রতীকী ছবি
রাজশাহী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান বলেন, ‘ইফতারের আগ মুহূর্তে রাজশাহী থেকে ছেড়ে যাওয়া বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস ট্রেন বেলপুকুর রেলক্রসিংয়ের কাছাকাছি এলে ব্যারিকেড ফেলা হয়। কিন্তু মোটরসাইকেলটি ব্যারিকেডের নিচ দিয়ে ঢুকে লাইনে উঠে যায়। আর তখনই ট্রেন চলে এলে দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হন।’

রাজশাহীর পুঠিয়ায় ট্রেনের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন।

উপজেলার বেলপুকুর রেলগেট এলাকায় বুধবার সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত দুজন হলেন নাটোর সদর উপজেলার চাঁদপুর বাজারের আবদুর রাজ্জাকের ছেলে মিজানুর রহমান (৩৩) ও একই এলাকার সোলাইমান ইসলামের ছেলে জহুরুল ইসলাম (৩৫)।

রাজশাহী রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান বলেন, ‘ইফতারের আগ মুহূর্তে রাজশাহী থেকে ছেড়ে যাওয়া বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেস ট্রেন বেলপুকুর রেলক্রসিংয়ের কাছাকাছি এলে ব্যারিকেড ফেলা হয়। কিন্তু মোটরসাইকেলটি ব্যারিকেডের নিচ দিয়ে ঢুকে লাইনে উঠে যায়। আর তখনই ট্রেন চলে এলে দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হন।’

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
বগুড়ায় ট্রাকচাপায় দুজন নিহত, আহত ২১
ঈদে ট্রেনযাত্রায় প্রতারণা এড়াতে অ্যাপ বা কাউন্টার থেকে টিকিট কেনার পরামর্শ
গাজীপুরে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার চালকসহ তিনজন নিহত
প্রশিক্ষণ বিমান আছড়ে পড়ল রানওয়েতে, অক্ষত দুই পাইলট
চট্টগ্রামে বাসের ধাক্কায় ভাই, বোনসহ তিনজন নিহত

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Grocery store arrest

গজারিয়ায় শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, মুদি দোকানি গ্রেপ্তার

গজারিয়ায় শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, মুদি দোকানি গ্রেপ্তার প্রতীকী ছবি
বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, মুদি দোকানির বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ আগেও পাওয়া গিয়েছিল। এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না।

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় পাঁচ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে প্রতিবেশী এক মুদি দোকানিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ঘটনার দিন মঙ্গলবার রাতে গ্রেপ্তারের পর ৬৫ বছর বয়সী আসামিকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

গজারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার আলম আজাদ বলেন, ‘বিষয়টি আমরা মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জানতে পারি। খবর পাওয়ামাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়।

‘রাত ৯টার দিকে অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পরে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।’

প্রত্যক্ষদর্শী দাবিদার শিশুটির ফুফু জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাদের বাড়ির পাশের মুদি দোকানে যায় শিশুটি। দোকানের মালিক শিশুটিকে চকলেট দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে দোকানের ভেতরে নিয়ে যান। সে সময় তিনি শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। হঠাৎ তিনি (ফুফু) সেখানে উপস্থিত হলে হাতেনাতে বিষয়টি ধরে ফেলেন।

ফুফুর অভিযোগ, তাৎক্ষণিকভাবে তিনি এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে উল্টো মুদি দোকানি ও তার ছেলেরা তার ওপর চড়াও হন। অভিযুক্তের পরিবার এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় ধর্ষণের অভিযোগ করে ভুক্তভোগীরা উল্টো নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।

শিশুটি বলে, ‘শুধু আমি একা না, দাদার দোকানে যারাই যায় আশেপাশে কেউ না থাকলে তিনি বাচ্চাদের তার কোলে নিয়ে বসায়। বিস্কুট দেয়, বেলুন দেয়। তারপর শরীরে হাত দেয়।’

এদিকে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, মুদি দোকানির বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ আগেও পাওয়া গিয়েছিল। এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না।

বিষয়টি সম্পর্কে অভিযুক্ত দোকানির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন:
কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড
নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের সংশোধনী পাসসহ উপদেষ্টা পরিষদে বেশকিছু সিদ্ধান্ত
‘ধর্ষণ’ শব্দ ব্যবহার না করার পরামর্শ: ডিএমপি কমিশনারের দুঃখপ্রকাশ
ভবিষ্যতে কেউ যেন এমন অপরাধ করার সাহস না পায়: তারেক রহমান
দেশব্যাপী ধর্ষণের প্রতিবাদে জিসাসের মানববন্ধন

মন্তব্য

জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা প্রধান উপদেষ্টার

জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা প্রধান উপদেষ্টার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে আজ সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার ফেসবুক পেজ
শ্রদ্ধা নিবেদনকালে প্রধান বিচারপতি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা, তিন বাহিনীর প্রধান, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিদেশি কূটনীতিক এবং উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

৫৫তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বুধবার সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

তিনি সকাল ৬টা ১১ মিনিটে স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

ওই সময় তিনি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কয়েক মিনিট নীরবতা পালন করেন।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল তাকে রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়। ওই সময়ে বিউগলে করুণ সুর বাজানো হয়।

শ্রদ্ধা নিবেদনকালে প্রধান বিচারপতি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা, তিন বাহিনীর প্রধান, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিদেশি কূটনীতিক এবং উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রধান উপদেষ্টা স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন।

পরে সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন:
স্টারলিংকের ইন্টারনেট বাণিজ্যিকভাবে চালু করতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশ
দেশবিরোধী আন্দোলনে উসকানিদাতাদের গ্রেপ্তার করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন প্রধান উপদেষ্টা
গণহত্যা দিবস উপলক্ষে জাতীয় পর্যায়ে নানা কর্মসূচি গ্রহণ
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের কিছু প্রস্তাব দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হবে : প্রধান উপদেষ্টা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Three in the case of a teenager

কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড ন্যায়দণ্ডের নিচে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল লেখা। ছবি: বাসস
পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক অলক কুমার দে। মামলার বিচার চলাকালে ১৯ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।

ঢাকার কেরানীগঞ্জে এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে করা মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪-এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করেন।

ঢাকা জেলার আদালত পরিদর্শক আকতার হোসেন বাসসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন মো. সজিব, মো. রাকিব ও শাওন ওরফে ভ্যালকা শাওন। এ ছাড়া লাশ গুমের ঘটনায় তাদের তিনজনকে সাত বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।

এদিকে আলী আকবর ও মো. রিয়াজ নামে দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তাদের খালাস দেন আদালত।

রায় ঘোষণার আগে কারাগারে থাকা তিন আসামি রাকিব, রিয়াজ ও শাওনকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে দণ্ডিত রাকিব এবং শাওনকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। দণ্ডিত সজিব পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ১১ জুন কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন আঁটিবাজার এলাকায় পুলিশ টহল দিচ্ছিল। ডিউটি চলাকালে সকাল পৌনে ৮টার দিকে জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে সংবাদ পায়, কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পশ্চিম বামনসুর জামে মসজিদের সামনে পুকুরের পানিতে একজনের লাশ পানিতে ভাসছে। পুলিশ সেখানে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

পরে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় পুলিশ মামলা করে তদন্ত শুরু করে। প্রথমে ভুক্তভোগীর পরিচয় শনাক্ত করা হয়। তার বান্ধবী বৃষ্টি আক্তার সাক্ষী হিসেবে আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে জানান, এটা তার বান্ধবী মারিয়ার লাশ।

স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পুলিশ শাওনকে গ্রেপ্তার করে। শাওন আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। সেখানে জানান, তিনি, মো. রাকিব, মো. সজিব, মো. আলী আকবর মিলে ভিকটিম মারিয়াকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে পশ্চিম বামনসুর জামে মসজিদের পানিতে ফেলে রাখেন। পরে রাকিব এবং সজিবকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারাও একই কথা বলে আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।

পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক অলক কুমার দে। মামলার বিচার চলাকালে ১৯ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন।

আরও পড়ুন:
গণহত্যা দিবস উপলক্ষে জাতীয় পর্যায়ে নানা কর্মসূচি গ্রহণ
‘ধর্ষণ’ শব্দ ব্যবহার না করার পরামর্শ: ডিএমপি কমিশনারের দুঃখপ্রকাশ
আবরার হত্যা: ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনের যাবজ্জীবন বহাল
আবরার ফাহাদ হত্যা: হাইকোর্টের রায় রবিবার
ভবিষ্যতে কেউ যেন এমন অপরাধ করার সাহস না পায়: তারেক রহমান

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Tamims condition should improve at rest Doctor

তামিমের অবস্থার উন্নতি, থাকতে হবে বিশ্রামে: চিকিৎসক

তামিমের অবস্থার উন্নতি, থাকতে হবে বিশ্রামে: চিকিৎসক তামিমের স্বাস্থ্যের অবস্থা মঙ্গলবার সাংবাদিকদের জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবু জাফর (ডানে) ও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক আবদুল ওয়াদুদ। ছবি: ইউএনবি
অধ্যাপক আবু জাফর বলেন, ‘আপনাদের সবার দোয়ায় আমাদের জাতীয় দলের ক্রিকেট তারকা তামিম ইকবাল এখন সুস্থ। তার সার্বিক অবস্থা আশাব্যঞ্জক। কিন্তু কখনও কখনও যে প্রাইমারি পিসিআই হয়েছে, এটা একটা ফরেন বডি, এটা রিঅ্যাকশন হতে পারে, হার্ট নানাভাবে এটার ওপর অ্যাকশন ও রিঅ্যাকশন হতে পারে। রে রিংটা লাগানো হয়েছে, সেটা সামায়িকভাবে, কোনোভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সেই ঝুঁকি রয়েছে। যদিও সেই পরিসংখ্যান খুবই কম।’

জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও তাকে বিশ্রামে থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবু জাফর।

তিনি বলেন, ‘তবে তার স্বাভাবিক কাজকর্মে—অর্থাৎ খেলাধুলায়—ফিরতে অন্তত তিন মাস সময় লাগবে।’

সাভারের কেপিজি হাসপাতালে মঙ্গলবার দুপুরে তামিমকে দেখে সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য দিয়েছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে এ চিকিৎসক বলেন, ‘তামিম ইকবালকে নরমাল কাজে ফিরে যাওয়ার জন্য অন্তত তিন মাস সময় দিতে হবে। মানে খেলাধুলায়। এ ছাড়া তিনি বাসায় স্বাভাবিক কাজকর্ম ও হাঁটাচলা করবেন সপ্তাহখানেক। তাকে বিশ্রামেই থাকতে হবে। যদিও সব পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সব রোগ সবসময় ধরা পড়ে না।

‌‘প্রথমিক ইসিজিতে কোনো চেঞ্জ আসেনি। আজ সকালে ইকো (ইকোকার্ডিওগ্রাম) করা হয়েছে। সবকিছুই ভালো। কিন্তু তারপরও যেকোনো সময় যেকোনো জিনিস ঘটে যেতে পারে। এ বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে তার পরিবারের সাথে আলাপ করেছি। এখন তাদের সিদ্ধান্ত আমাদের সিদ্ধান্ত।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘আমাদের জাতীয় সম্পদ তামিম ইকবালের শারীরিকভাবে অসুস্থবোধ করেন গতকাল সাড়ে ১০টায়। তিনি এখানে আসার পর ডাক্তাররা তাকে কার্ডিয়াক প্রবলেম হিসেবে সন্দেহ করেছেন। প্রাথমিকভাবে কিছু চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছিলেন। তাকে এখন মুভ (নিয়ে যাওয়া) করানো ঠিক হবে না বলেও পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।

‘তিনি একজন জাতীয় সেলিব্রেটি। নিজের অবস্থান বিবেচনা করে তিনি তাড়াতাড়ি ঢাকায় শিফট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। হেলিকপ্টারের ব্যবস্থাও হয়েছিল। আমাদের এখানকার দুজন ও ওখানকার দুজন মিলে চারজন চিকিৎসক মিলে প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। তখন তার হার্ট অ্যাটাক হয়, তার নাড়ির স্পন্দন পাওয়া যায়নি। তারপর ডাক্তারররা সিপিআর দিয়েছেন। হার্ট বন্ধ হয়ে গেলে চালু করার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছিলেন।’

অধ্যাপক আবু জাফর বলেন, ‘আপনাদের সবার দোয়ায় আমাদের জাতীয় দলের ক্রিকেট তারকা তামিম ইকবাল এখন সুস্থ। তার সার্বিক অবস্থা আশাব্যঞ্জক। কিন্তু কখনও কখনও যে প্রাইমারি পিসিআই হয়েছে, এটা একটা ফরেন বডি, এটা রিঅ্যাকশন হতে পারে, হার্ট নানাভাবে এটার ওপর অ্যাকশন ও রিঅ্যাকশন হতে পারে।

‘রে রিংটা লাগানো হয়েছে, সেটা সামায়িকভাবে, কোনোভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সেই ঝুঁকি রয়েছে। যদিও সেই পরিসংখ্যান খুবই কম।’

তিনি বলেন, ‘তার পরিবারের সদস্যদের সেটা বলেছি। চিকিৎসক যারা ছিলেন, ডা. মারুফ, তাদের পরিশ্রমে, আল্লাহর বিশেষ রহমতে তাকে আমরা একটি নবজীবন দিতে পেরেছি। সর্বোচ্চ চিকিৎসা সুবিধা যেখানে সম্ভব, সেখানে মানুষ যেতে চাইবে। কিন্তু তার যাওয়াটা কতটা নিরাপদ, সে বিষয়ে আমরা তার পরিবারের সঙ্গে আলাপ করেছি। তার এই মুহূর্তে শিফট করায় ঝুঁকি আছে।’

এ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক আবদুল ওয়াদুদ বলেন, ‘ঝুঁকিটা কম, এক শতাংশ। যদি ঘটে যায়, তখন ঝুঁকিটা শতভাগ। ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা তার এখানে থাকা উচিত। তার পর তিনি অন্য কোথাও যেতে পারবেন।’

আবদুল ওয়াদুদ বলেন, ‘তামিমের যেটা হয়েছিল, অ্যাকিউট হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে সেটা কিন্তু হয়। আমরা দেখেছি, অ্যাকিউট হার্ট অ্যাটাক হলে ১০ থেকে ২০ শতাংশ রোগী কখনও হাসপাতাল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেন না। তার হার্ট অ্যারেস্ট হয়। এখানেও তাই হয়েছে। কিন্তু তার সাথে চিকিৎসকরা ছিলেন, সাথে সাথে কার্ডিয়াক ম্যাসেজ শুরু হয়েছিল। হার্ট নিজে পাম্প করছে না, জোর করে কিছুটা পাম্প করিয়ে রাখা হয়েছিল। তারপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

‘তার বন্ধ আর্টারি খুলে দেওয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে, অ্যাকিউট এপিসোডটা গেছে। ৩২ মিনিটের মতো তাকে কার্ডিয়াক প্লেসে দিতে হয়েছে। সেখান থেকে উঠে আসার সৌভাগ্য সবার হয় না। যথাসময়ে উপযুক্ত চিকিৎসা পাওয়ার কারণেই তামিমকে আমরা ফিরে পেয়েছি। কতটা ফেরত পেয়েছি, আজ সকালবেলায় ইকোকার্ডিয়াক করে হার্টের ফাংশন দেখা হচ্ছিল, দেখে মনে হয়, কোনো সমস্যা নেই, একেবারে তরতাজা। মনে রাখতে হবে, এটিই একটি ছদ্মবেশ। হার্ট আবার অ্যাবনরমাল হতে পারে। তবে শঙ্কা অবশ্যই কমে গেছে।’

এই চিকিৎসক আরও বলেন, ‘তবে ওটা হয়েছিল, কারণ একটা বড় আর্টারি বন্ধ ছিল। খাবার নেই, অক্সিজেন নেই, ওই টিস্যুটা ইরিটেটেড, সে জন্যই এটা হয়েছিল। এখন সেটা খুলে গেছে। স্লাইট শঙ্কা আছে। সে জন্য আমরা তাকে বলেছি, ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত একটি ক্রিটিক্যাল টাইম, যাতে আর কোনো প্রবলেম না হয়।

‘কথাবার্তা একটু কম বলা উচিত, বিশ্রামে থাকা উচিত। এখানে থেকে স্থিতিশীল হয়ে আরও ভালো কোনো জায়গায় যদি যেতে চান, তাহলে যেতে পারবেন।’

আরও পড়ুন:
রিং পরানো হয়েছে তামিমের হৃৎপিণ্ডে
বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে তামিম ইকবাল
দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা সাকিব জ্যোতি তামিমদের
নারী ক্রিকেটারদের উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী
লাইভে এসে ফোনালাপের বিষয়টি খোলাসা করলেন তামিম

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The ring is worn on Tamims heart

রিং পরানো হয়েছে তামিমের হৃৎপিণ্ডে

রিং পরানো হয়েছে তামিমের হৃৎপিণ্ডে ক্রিকেটার তামিম ইকবাল। ছবি: ইউএনবি
ইউএনবিকে সোমবার এমন তথ্য নিশ্চিত করেন বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুনীরুল ইসলাম।

বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালের হৃৎপিণ্ডে রিং পরানো হয়েছে।

বর্তমানে তাকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) রাখা হয়েছে।

ইউএনবিকে সোমবার এমন তথ্য নিশ্চিত করেন বিকেএসপির মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুনীরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘তাকে রিং পরানো হয়েছে নিশ্চিত। প্রথমে মাঠে খেলার সময় তার বুকে ব্যথা ওঠে। আমরা তাকে হাসপাতালে পাঠাই। তাকে যখন হেলিকপ্টারে তোলা হচ্ছিল, তখন আবার বুকে ব্যথা শুরু হয়।

‘হঠাৎ করেই তার বুকে ব্যথা ওঠে। এরপর আমাদের অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসকসহ তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চিকিৎসা বিভাগের প্রধান দেবাশীষ চৌধুরী সাংবাদমাধ্যমকে জানান, তামিমের দুইবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল। এখন পরিস্থিতি উন্নতির দিকে।

বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে মোহামেডানের হয়ে শাইনপুকুরের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিলেন তামিম। অধিনায়ক হিসেবে টসেও অংশ নেন।

এরপর হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করায় তামিমকে বিকেএসপিতেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় নিয়ে যাওয়া হয় বিকেএসপির পাশে সাভারের ফজিলাতুন্নেছা হাসপাতালে। এ মুহূর্তে তিনি সেখানেই ভর্তি।

তামিমের অসুস্থতার খবরে বিসিবির বোর্ড সভা স্থগিত করা হয়। দুপুর ১২টায় ১৯তম বোর্ড সভা শুরু হওয়ার কথা ছিল।

এ ক্রিকেটারকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছেন বিসিবি পরিচালক ও কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন:
ঝালকাঠিতে হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ককে ‌‘হত্যাচেষ্টা’: অ্যাম্বুলেন্সের চালক গ্রেপ্তার
গজারিয়ায় হাসপাতালের সামনে ভ্যানে সন্তান প্রসব
সিলেট জেলা হাসপাতালের নির্মাণ কাজ শেষ, দায়িত্ব নিচ্ছে না কেউ
ভারতকে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
টানা দুই জয়ে সিরিজ বাংলাদেশের

মন্তব্য

p
উপরে