ছয় বছর আগে গাবতলী বাসস্ট্যান্ডে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী ঈগল পরিবহনের বাসে রেখে যাওয়া একটি ট্রাঙ্ক থেকে এক তরুণীর মৃতদেহ পাওয়া যায়। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্তে বেরিয়ে এসেছে খুলনার দৌলতপুরের তরুণী শম্পা বেগমকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ট্রাঙ্কে ভরে বাসে তুলে দেন তারই কথিত স্বামী নৌবাহিনীর তৎকালীন মেডিক্যাল সহকারী রেজাউল করিম স্বপন।
পিবিআই এর একটি দল শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) কুমিল্লা ইপিজেড থেকে রেজাউল করিম স্বপনকে গ্রেপ্তার করে। স্বপন আদালতে দেয়া ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
পিবিআই-এর উপ-মহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুমদার শনিবার ধানমন্ডির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
বাসের লকারে ট্রাঙ্কবন্দি মৃতদেহ
২০১৫ সালের ২ মে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী এলাকার একটি বাসায় শম্পাকে ওড়না দিয়ে পেছিয়ে শ্বাসরোধে হত্যার পর নিজের দায় এড়াতে পরিকল্পনা করেন স্বপন। পরিকল্পনা অনুযায়ী, শম্পার মরদেহ তারই একটি হলুদ ট্রাঙ্গে ঢুকিয়ে ৩ মে শহরের এ কে খান মোড়ে রিকশায় করে নিয়ে আসেন স্বপন। সেখানে ঈগল পরিবহনের কাউন্টারে গিয়ে ঢাকাগামী একটি টিকেট কেটে ট্রাঙ্কটি তুলে দেন বাসের লকারে।
স্বপন বাসের হেলপারকে বলেন, সামনের ভাটিয়ারী কাউন্টার থেকে এই টিকেটের মহিলা যাত্রী উঠবেন। তাকে যেন ভালোভাবে ঢাকা নামিয়ে দেয়। কিন্তু পরবর্তী কাউন্টারে যাত্রী না উঠায় বাসটি ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে এবং বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে গাবতলীতে পৌঁছায়। শেষ গন্তব্যে সকল যাত্রী যে যার মতো তাদের জিনিসপত্র নিয়ে নেমে যায়।
হেলপার দেখতে পান, একটি ট্রাঙ্ক বাসের লকারে মালিকবিহীন পড়ে আছে। তখন বাসের চালক ও হেলপার মিলে ট্রাঙ্কটি লকার থেকে বের করেন এবং বুঝতে পারেন এটি খুবই ভারী। তাদের সন্দেহ হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে দারুসসালাম থানায় খবর দিলে থানা পুলিশ হাজির হয়ে ট্রাঙ্কটি খুলে এবং মরদেহ দেখতে পান। অজ্ঞাত হিসেবে মৃতদেহটির সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। মৃতদেহের পরিচয় শনাক্ত না হওয়ায় অজ্ঞাত পরিচয়ে দাফন করা হয়।
কেউ বাদী না হওয়ায় থানা পুলিশের পক্ষে উপপরিদর্শক (এসআই) জাহানুর আলী বাদী হয়ে আসামি অজ্ঞাত উল্লেখ করে দারুস সালাম থানায় মামলা করেন।
তদন্তে থানা ও সিআইডি ব্যর্থ হলেও সফল পিবিআই
মামলাটি হওয়ার পর থেকে শুরুতে প্রায় তিন মাস থানা পুলিশ তদন্ত করে। থানা পুলিশের পরে সিআইডি দীর্ঘ চার বছর তদন্ত করে। কিন্তু মৃতদেহের পরিচয় শনাক্ত এবং হত্যা রহস্য উন্মোচিত না হওয়ায় আদালতে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি।
চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ না করে আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে মামলার তদন্তভার পায় পিবিআই। ঢাকা মেট্রো (উত্তর) মামলার তদন্ত করে।
ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদারের নির্দেশে পিবিআই ঢাকা মেট্রো (উত্তর) উক্ত মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করে। ঢাকা মেট্রো (উত্তর) বিশেষ পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলমের তত্বাবধানে পরিদর্শক আশরাফুজ্জামান মামলাটি তদন্ত করেন।
যেভাবে শনাক্ত হয় তরুণীর পরিচয়
পিবিআই প্রধান ডিআইজি বনজ কুমার জানান, ভিকটিমকে শনাক্ত করার জন্য প্রচলিত সকল পদ্ধতি প্রয়োগ করে। চট্টগ্রাম মেট্রো এবং জেলা এলাকার সকল থানায় বিগত ২০১৫ সালে করা নিখোঁজ জিডিগুলো অনুসন্ধান করে তথ্য নিয়ে আসার জন্য পাঠানো হয় তদন্তকারী কর্মকর্তাকে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এক সপ্তাহ নিরলস পরিশ্রম করে ঐ সময়ের কাছাকাছি প্রায় ১০-১২টি নিখোঁজ জিডির তথ্য উদঘাটন করেন। জিডিগুলোর মধ্যে ২০১৫ সালের ১০ জুন করা একটির সন্ধান পান তিনি। যাতে দেখা যায়, শম্পা বেগম নামে এক তরুণী চট্টগ্রামের পাহাড়তলী এলাকা থেকে নিখোঁজ হন। নিখোঁজের ঘটনায় শম্পা বেগমের ভগ্নিপতি আব্দুল মান্নান পাহাড়তলী থানায় জিডিটি করেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা জিডিকারী আব্দুল মান্নান এবং শম্পার বাবা ইলিয়াস শেখের (অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য) সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, ২০১৩ সালে রেজাউল করিম স্বপন (অবসরপ্রাপ্ত নৌ বাহিনী সদস্য) খুলনা তিতুমীর নৌঘাঁটিতে কর্মরত থাকা অবস্থায় শম্পা বেগমের সঙ্গে পরিচয় হয়। এই পরিচয়ের সূত্রে প্রথমে প্রেম এবং পরে ভিকটিম তাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে স্বপন বদলি হয়ে চট্টগ্রামে চলে যান।
ভিকটিম শম্পাও কিছুদিন পরে চট্টগ্রামে চলে যান। চট্টগ্রামে শম্পার এক ফুপুর বাসায় কিছুদিন থাকেন দুজন। এরপর ফয়েজ লেক এলাকায় একটি হোটেলে কিছুদিন অবস্থান করে এই যুগল। পরে পাহাড়তলীর উত্তর গ্রিনভিউ আবাসিক এলাকায় অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য আনোয়ার হোসেনের টিনশেড বাড়ির একটি বাসায় সাবলেট নিয়ে তারা বসবাস শুরু করেন।
এভাবে তারা ২০১৪ থেকে ২০১৫ সালের মে পর্যন্ত একত্রে বসবাস করেন। তারা স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বসবাস করলেও বিয়ে করেননি।
পিবিআই প্রধান বনজ কুমার জানান, পরবর্তীতে তাদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য দেখা দিলে আসামি রেজাউল করিম স্বপন শম্পাকে ২০১৫ সালে ২ মে গভীর রাতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। মৃতদেহ গোপন করার উদ্দেশে একটি ট্রাঙ্কে ভরে ঢাকাগামী ঈগল পরিবহনের একটি বাসে তুলে দেন স্বপন এবং সুচতুরভাবে ভিকটিমের বাবাকে জানান, শম্পাকে খুলনার বাসে তুলে দেয়া হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে ভিকটিম তার বাবার বাড়িতে না পৌঁছলে তারা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ভিকটিমের ভগ্নিপতি আব্দুল মান্নান পাহাড়তলী থানায় নিখোঁজ জিডিটি করেন।
এই জিডির সূত্র ধরেই নিহতের পরিচয় ও আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান পিবিআই প্রধান বনজ কুমার।
আসামি রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে নৌবাহিনী চট্টগ্রাম অফিসে শম্পার বাবা একটি লিখিত অভিযোগ করেন। তবে সে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি বলা হয় নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে। দ্বিতীয় দফায় নৌবাহিনীতে আবার অভিযোগ করেন শম্পার বাবা। তখন চাকরির বয়স ১৯ পার হওয়ায় ২০১৯ সালে স্বপনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় নৌবাহিনী। তবে মেয়ে নিখোঁজের সুরাহা পাননি শম্পার বাবা।
শম্পার বাবা ইলিয়াস শেখ বলেন, ‘ছয় বছর ধরে আমার মেয়ে নিখোঁজ ছিল। কোথায়, কী হয়েছে, কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। আমার মেয়ে স্বপনকে বিয়ে করার কথা জানিয়েছিল। কয়েকদিন আগে পিবিআই জানিয়েছে, আমার মেয়ের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল গাবতলীতে। কালকে (শুক্রবার) শুনলাম স্বপনকে গ্রেপ্তার করেছে। আমার মেয়েকে হত্যার বিচার চাই।’
আরও পড়ুন:উপজেলা নির্বাচন থেকে মন্ত্রী ও এমপিদের স্বজনরা সরে না দাঁড়ালে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে বুধবার দলের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
কাদের বলেন, ‘দলীয় সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রীদের নিকটাত্মীয় এবং স্বজনদের প্রার্থী না হতে দলীয় যে নির্দেশনা, তা না মানলে সময়মতো সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উপজেলা নির্বাচনের প্রথম পর্যায়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় পেরিয়ে গেছে। এদের মধ্যে অনেকেই বলেছেন যে, আমরা বিষয়টি আরও আগে অবহিত হলে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হতো। তারপরও কেউ কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন, কেউ কেউ করেননি।
‘নির্বাচন কমিশনে সময়সীমা শেষ হয়ে গেলে কেউ ইচ্ছা করলে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে পারেন। এ বিষয়টা চূড়ান্ত হতে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এখানে কেউ অমান্য করলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ আছে দলে; সময়মতো সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়ে কাদের বলেন, ‘আমাদের দলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের বিষয়টি আছে। দল যার যার কর্মকাণ্ড বিবেচনায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কৌশলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নিয়ে থাকে। চূড়ান্ত পর্যায়ে যারা প্রত্যাহার করবে না, এ ব্যাপারে দলের সিদ্ধান্ত সময়মতো নেয়া হবে।’
চূড়ান্ত পর্যায়ে এসেও কেউ প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে কি না, এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সাধারণ ক্ষমা একটা বিশেষ পরিস্থিতিতে দলীয় রণকৌশল। সেটা হতেই পারে। সেটা দলের সভাপতি নিতে পারেন। নির্বাচন হওয়া পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ আছে।’
বিএনপির সমাবেশের দিনে আওয়ামী লীগেরও সমাবেশ থাকে—সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির সন্ত্রাস থেকে জনগণকে রক্ষায় কর্মসূচি দেয় আওয়ামী লীগ। বিএনপি একতরফা সমাবেশ করতে গেলে সন্ত্রাস, আগুন সন্ত্রাসের আশঙ্কা থেকেই যায়। জনগণের জানমাল রক্ষায় সরকারি দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব আছে।
‘আমরা মাঠে থাকলে তারা এসব অপকর্ম করতে মানসিকভাবে চাপে থাকবে। সে জন্য আমরা কর্মসূচি দিই। বিএনপির চোরাগোপ্তা হামলা প্রতিহত করতে জনগণের স্বার্থে আমাদের কর্মসূচি থাকা উচিত।’
আরও পড়ুন:গ্যাস পাইপলাইনের জরুরি কাজের জন্য বুধবার তিন ঘণ্টা রাজধানীর কয়েকটি এলাকায় গ্যাস থাকবে না।
এদিন দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ অবস্থা বিরাজ করবে।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের তথ্য অনুযায়ী, যেসব এলাকায় সব শ্রেণির গ্রাহকদের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে সেগুলো হলো- শনির আখড়া, বড়ইতলা, ছাপড়া মসজিদ, দনিয়া, জুরাইন, ধোলাইরপাড় ও কদমতলী।
আশপাশের এলাকায় গ্যাস সরবরাহে চাপ কম থাকতে পারে জানিয়ে গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তিতাস গ্যাস।
রাজধানীর সদরঘাটের শ্যামবাজার ঘাটে একটি লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে ওই আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এমভি বাঙালি নামের লঞ্চটিতে কোনো যাত্রী ছিল না।
ফায়ার সার্ভিসের গণমাধ্যম কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম জানিয়েছেন, দুপুর ১টা ৫ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় চারটি ইউনিট। পরে যোগ দেয় আরও একটি ইউনিট।
তিনি জানান, দুপুর পৌনে ২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। লঞ্চটির তৃতীয় তলায় আগুনের সূত্রপাত। আগুনের কারণ ও বিস্তারিত তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, লঞ্চটি নোঙর করা ছিল। হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) গেছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি।
মঙ্গলবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে শেখ হাসিনা আমিরকে টাইগার গেটে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান। খবর বাসসের
তারা সেখানে একান্ত বৈঠকেও মিলিত হবেন। পরে তারা দুই দেশের মধ্যে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করবেন।
পিএমও ত্যাগের আগে আমির টাইগার গেটে রক্ষিত ভিজিটরস বুকেও সই করবেন। এরপর তিনি বঙ্গভবনে যাবেন যেখানে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন কাতার আমিরের সম্মানে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেছেন।
সন্ধ্যায় আমির একটি বিশেষ বিমানে কাতারের উদ্দেশে যাত্রা করবেন।
রাষ্ট্রপতি মো.সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ আমন্ত্রণে কাতারের আমির সোমবার দু দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকা এসেছেন।
আগামী ২৬ এপ্রিলের (শুক্রবার) শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ স্থগিত করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সমাবেশের অনুমতি চেয়ে পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়েছিল, কিন্তু অনুমতি দেয়া হয়নি। ফলে সমাবেশ আপাতত স্থগিত। শান্তি সমাবেশের তারিখ পরে জানানো হবে।’
প্রসঙ্গতঃ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে এ শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
রোববার (২১ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশের ঘোষণা দেয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) বেলা ৩টা থেকে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করা হবে।
অবশ্য এর আগে গত শনিবার (২০ এপ্রিল) চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ দলের নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে ২৬ এপ্রিল বিকেলে নয়াপল্টনে সমাবেশ ডেকেছিল বিএনপি। পরে তাপপ্রবাহের কারণ দেখিয়ে সোমবার তা স্থগিত করে দলটি।
রাজধানীর গুলিস্তানে গোলাপ শাহ মাজারের সামনে থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার সকাল ৯টার দিকে ৪০ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে পাঠানো হয়।
শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ আরিফ নেওয়াজ বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গোলাপ শাহ মাজার সংলগ্ন ফুটপাত থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করি,পরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে ঢাকা মেডিক্যালের মর্গে পাঠানো হয়।
তিনি বলেন, আশেপাশের লোকদের সাথে কথা বলে জানতে পারি, মৃত ব্যক্তি ভবঘুরে প্রকৃতির ছিলেন। ভিক্ষাবৃত্তি করতেন এবং সেখানে ঘুমাতেন। তার পরিচয় এখনো জানা যায়নি তবে জানার চেষ্টা চলছে।
এসআই বলেন, সিআইডির ক্রাইম সিনকে খবর দেয়া হয়েছে। ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে হয়তো তার পরিচয় জানা যেতে পারে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ মর্গে রাখা হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবসে নিম্ন মানে শীর্ষে না থাকলেও অস্বাস্থ্যকরই রয়ে গেছে ঢাকার বাতাস।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মানবিষয়ক প্রযুক্তি কোম্পানি আইকিউ এয়ারের র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল ৯টা ৫৯ মিনিটে ১২০ স্কোর নিয়ে ১২২টি শহরের মধ্যে বায়ুর নিম্ন মানে অষ্টম ছিল ঢাকা।
একই সময়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে ছিল নেপালের কাঠমান্ডু, চীনের বেইজিং, ও থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই।
আইকিউএয়ার জানিয়েছে, আজ দিনের ওই সময়ে ঢাকার বাতাসে অতি ক্ষুদ্র কণা পিএম২.৫-এর উপস্থিতি ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আদর্শ মাত্রার চেয়ে ৮ দশমিক ৭ গুণ বেশি।
নির্দিষ্ট স্কোরের ভিত্তিতে কোনো শহরের বাতাসের ক্যাটাগরি নির্ধারণের পাশাপাশি সেটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকর, তা জানায় আইকিউএয়ার।
কোম্পানিটি শূন্য থেকে ৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘ভালো’ ক্যাটাগরিতে রাখে। অর্থাৎ এ ক্যাটাগরিতে থাকা শহরের বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।
৫১ থেকে ১০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘মধ্যম মানের বা সহনীয়’ হিসেবে বিবেচনা করে কোম্পানিটি।
আইকিউএয়ারের র্যাঙ্কিংয়ে ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরিতে ধরা হয়।
১৫১ থেকে ২০০ স্কোরে থাকা শহরের বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরির বিবেচনা করা হয়।
র্যাঙ্কিংয়ে ২০১ থেকে ৩০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।
তিন শর বেশি স্কোর পাওয়া শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করে আইকিউএয়ার।
আজ সকাল ৯টা ৫৯ মিনিটে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ১২০। এর মানে হলো ওই সময়টাতে সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ছিল ঢাকার বাতাস।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য