গত মে ৩০ মে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ছয় হাজার পয়েন্ট অতিক্রম করার পর টানা এক মাস একই বৃত্তে ঘুরপাক খেয়েছে।
৩০ মে সূচক উঠে ৬ হাজার ৮ পয়েন্ট। এরপর কোনোদিন ছয় হাজারের নিচে, কোনোদিন আবার ছয় হাজারের ওপরে, এমন করতে করতে ২৯ জুন সূচকের অবস্থান দাঁড়ায় ৬ হাজার ৪২ পয়েন্টে।
এরপর আরেক দফা উত্থান শুরু হয়ে টানা চলে গত ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ৩০ জুন থেকে ৪১ কর্মদিবসে সূচক বেড়েছে ১ হাজার ২১৬ পয়েন্ট।
এরপর দুই সপ্তাহ আবার দেখা যাচ্ছে সেই মে থেকে জুন পর্যন্ত চিত্র। ৭ হাজার ২৫৮ পয়েন্ট উঠার পর আবার সেই মে থেকে জুন পর্যন্ত এক মাসের মতো চিত্র দেখা যাচ্ছে।
এই দুই সপ্তাহে ১০ কর্মদিবসে সূচক পড়েছে ৮ পয়েন্ট। এর মধ্যে কমেছে ৪ দিন, বেড়েছে ৬দিন, কিন্তু বলতে গেলে কোনো দিন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের উচ্ছ্বাস ছিল না।
পুঁজিবাজারকেন্দ্রিক নানা ফেসবুক পেজে শত শত মানুষ বলছেন, সূচক বাড়লেও তাদের শেয়ারের দর কমে যাচ্ছে। আর যেদিন সূচক পড়ে যাচ্ছে, সেদিন আরও পড়ছে।
এর কারণ হচ্ছে, এই দুই সপ্তাহে সূচক বেড়েছে মূলত বড় মূলধনি বড় মূলধনি ও বহুজাতিক বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারদরে উত্থানের কারণে। এসব শেয়ারে ব্যক্তিশ্রেণির ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ সচরাচর কম থাকে।
পুঁজিবাজারে দর সংশোধনের মধ্যেও সূচকের একই বৃত্তে ঘুরপাক একেবারেই সাম্প্রতিক প্রবণতা। এই সময়ে কোনো একটি খাতে শেয়ারের পতন হলে অন্য খাতের বৃদ্ধিতে অবস্থান ধরে রাখে পুঁজিবাজার।
এবার আবার কোনো বিশেষ খাত বাড়ছে না, ব্যাংক ছাড়া মৌলভিত্তির বেশির ভাগ শেয়ারের দর বৃদ্ধি পাচ্ছে, বিপরীতে কমছে এতদিন বেড়ে চলা স্বল্প মূলধনি, লোকসানি কোম্পানির শেয়ারের দর। স্বল্প মূলধনির মধ্যে যেগুলো উচ্চ মুনাফা করতে পারছে, সেগুলোর দরপতন হচ্ছে না।
চলতি বছর দুই দফা সংশোধনে যা হয়েছে, এবার যা হচ্ছে
গত বছরের জুলাই থেকে শুরু হওয়া উত্থানে জানুয়ারি পর্যন্ত টানা বাড়ার পর ওই মাসের মাঝামাঝি থেকে এপ্রিলের শুরু পর্যন্ত সূচক পড়েছিল প্রায় ৮০০ পয়েন্ট। ১৪ এপ্রিল সূচক ৫ হাজার ৯০৯ পয়েন্টে ওঠার পর থেকে ৪ এপ্রিল তা নেমে আসে ৫ হাজার ৮৮ পয়েন্ট।
এর মধ্যে ৪ এপ্রিল সূচক ১৮২ পয়েন্ট পড়ে যায় পরদিন লকডাউনে লেনদেন বন্ধ হয়ে যায় কি না, এই আতঙ্কে। সেটি বাদ দিলেও ৬০০ পয়েন্টের বেশি সূচক পড়েছিল।
আবার জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সংশোধনে লেনদেনের ব্যাপক পতনের যে চিত্র দেখা গিয়েছিল, সেটিও এবার দেখা যাচ্ছে না।
১৭ জানুয়ারি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন ছিল ২ হাজার ৩৮৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। অথচ ৫ এপ্রিল তা নেমে আসে ২৩৬ কোটি ৬০ লাখ টাকায়।
৩০ মে থেকে এক মাস যখন আবার সংশোধন পর্ব শুরু হয়, তখন অতটা না কমলেও লেনদেন কমে যায় অনেকটাই।
৩০ মে লেনদেন ছিল ২ হাজার ১৪৯ কোটি ২১ লাখ টাকা আর ২৯ জুন এই সংশোধন শেষ হওয়ার দিন হাতবদল হয় ১ হাজার ১৪৮ কোটি ৮ লাখ টাকা।
এবার লেনদেন এতটা কমছে না। ৯ সেপ্টেম্বর লেনদেন ছিল ২ হাজার ৬৯৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। এরপর ১০ কর্মদিবসে মোট তিন দিন লেনদেন হয়েছে ২ হাজার কোটি টাকার কম, যার মধ্যে সর্বনিম্ন ছিল ২০ সেপ্টেম্বর ১ হাজার ৭৬২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা।
সতর্কতা গায়ে না মেখে এখন হতাশা
পতন এমন কিছু নয়, তবে আগের দুই দফা সংশোধনের মধ্যে বিনিয়োগকারীরা যে ধরনের হতাশার কথা বলতেন, এবারও সূচকের এক বৃত্তে ঘুরপাকের মধ্যেও তার অন্যথা হচ্ছে না।
পুঁজিবাজারে তৃতীয় দফায় উত্থানে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে লোকসানি, বন্ধ ও স্বল্প মূলধনি বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারদর। এগুলোর মধ্যে কয়েকটির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন ইস্যু ছিল, কিন্তু এগুলোর মধ্যে কিছু কোম্পানি সহসা মুনাফায় ফিরতে পারবে কি না, এ নিয়ে সংশয় আছে। আবার বেশ কিছু লোকসানি কোম্পানির লভ্যাংশ আসার সম্ভাবনাও একেবারেই ক্ষীণ।
এসব কোম্পানির কোনোটির শেয়ারদর দ্বিগুণ, কোনোটির তার চেয়ে বেশি বেড়েছে এই আড়াই মাসে। সঙ্গে কেবল শেয়ার সংখ্যা কম, এ কারণে বেড়েছে আরও বেশ কিছু কোম্পানির শেয়ারদর। পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা বারবার এসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ নিয়ে সতর্ক করেছেন, এমনকি পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যানও শক্তিশালী মৌলভিত্তির শেয়ারে বিনিয়োগের।
কিন্তু ক্রমেই বাড়তে থাকা দুর্বল কোম্পানিতে সে সময় বিনিয়োগ বাড়িয়েই চলেছেন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা। কোনো সাবধানতা তারা কানে তোলেননি। বরং পুঁজিবাজারকেন্দ্রিক ফেসবুক পেজগুলোতে নানা পোস্ট আসতে থাকে যে, এগুলো আরও বাড়বে।
এসব কোম্পানির শেয়ারদর অনেক বাড়লেও সূচকে প্রভাব পড়ে না বললেই চলে। এর কারণ স্বল্প মূলধনি কোম্পানির শেয়ার সংখ্যা একেবারেই নগণ্য। আর লোকসানি জেড ক্যাটাগরির শেয়ার দরে উত্থান পতনে সূচকে কোনো হেরফের হয় না। ফলে এখন যখন এসব কোম্পানির শেয়ারে দরপতন হচ্ছে, তখন সূচক আসলে সেভাবে পড়ছে না। আর এ কারণে এসব শেয়ারের মালিকরা প্রশ্ন তুলছেন, শেয়ারের দরপতন হচ্ছে, সূচক কীভাবে বাড়ছে বা এক জায়গায় থাকছে।
বিশ্লেষকরা যা বলছেন
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সূচকের উত্থান পতন পুঁজিবাজারের স্বাভাবিক বিষয়। এটা নিয়ে আতঙ্কের কিছু দেখছি না। আতঙ্কের ছিল যখন খারাপ কোম্পানির ক্রমাগত দর বৃদ্ধির মাধ্যমে সূচক ও লেনদেন বাড়ছিল।
‘এর আগে যখন একইভাবে বিমা কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে তখনও স্বাভাবিক ছিল না পুঁজিবাজার। এখন অনেকটা পরিবর্তন হয়েছে। পুঁজিবাজারে খারাপ কোম্পানির দাপট কমে এখন ফান্ডামেন্টাল কোম্পানির শেয়ার দর বাড়ছে। এতে সূচক ও লেনদেন যদি কিছুটা সংশোধনও হয় তাতে ক্ষতির কিছু নেই।’
বিনিয়োগকারীদের ক্রমে শেয়ার কেনাবেচার প্রবণতা থেকে বের হয়ে আসার পাশাপাশি মার্জিন ঋণেও নিরুৎসাহিত করেছেন আবু আহমেদ। বলেন, ‘মার্জিন ঋণে শেয়ার কেনা হলে তাদের সুদ প্রদানের একটি চাপ থাকে। ফলে তারা চাইলেও দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘লোন নিয়ে যারা দর্বল কোম্পানিতে বিনিয়োগ করছে তারাই এখন লোকসানে আছে। কিন্ত ভালো কোম্পানিতে যারা বিনিয়োগ করেছে তাদের এ ধরনের পুঁজিবাজারে লোকসান হওয়ার কথা নয়।’
সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি ভিআইপিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শহিদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লেনদেন কমে আসায় আতঙ্কের কিছু দেখছি না। কারণ, বিনিয়োগকারীরা যখন ডে ট্রেডিং যাবে তখন লেনদেন বাড়বে। কিন্ত ডে টেডিংয়ে বিনিয়োগকারীদের মুনাফাও কিন্তু কমে যায়। কারণ যতবার শেয়ার কেনা বেচা করবে ততবারই তাকে কমিশন দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘দর সংশোধনে লেনদেন কমে আসা মানে এখন বিনিয়োগকারীরা শেয়ার ধরে রেখেছেন। তারা দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছে।’
‘পুঁজিবাজারে দুর্বল কোম্পানির শেয়ারের দর যখন বাড়ছিল তখন অনেক বিনিয়োগ হয়েছে। লেনদেনও বেড়েছে। এখন সেসব শেয়ারের দর কমে আসায় তারা শেয়ার ক্রয় বিক্রয় না করে ধরে রেখেছে তাই লেনদেন আগের তুলনায় কমেছে। এটা পুঁজিবাজারের স্বাভাবিক অবস্থা। এটা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের বিচলিত হওয়ার কিছু নেই’-এমনটিও বলেন এই বিশ্লেষক।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য