করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দীর্ঘ ১৮ মাস বন্ধ থাকার পর ১২ সেপ্টেম্বর থেকে খুলেছে দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। মুখরিত হতে শুরু করেছে স্কুলগুলো। তবে জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেন মিলিয়ে অন্তত ৪২ হাজার শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার তথ্য দিয়েছে জেলা শিক্ষা অফিস।
নোয়াখালী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৯ উপজেলায় ১ হাজার ২৫৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৪ লাখ ৮০ হাজার ৯০৪ শিক্ষার্থী রয়েছে। ১২ সেপ্টেম্বর সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলেও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার ৬২ থেকে ৭৩ শতাংশের ওপর ওঠেনি।
জেলা শিক্ষা অফিস ২০২০ সালের ১৬ মার্চের আগেও এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার পর্যালোচনা করেছে। তখন বিদ্যালয়গুলোতে ৮০ থেকে ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিতি পাওয়া গেছে। দীর্ঘ ১৮ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার ৮৫ শতাংশ থেকে কমে গড়ে ৭০ শতাংশে নেমে এসেছে। সে ক্ষেত্রে অনুপস্থিত আছে ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থী।
জেলা শিক্ষা অফিস জানায়, ২০২১ সালের জরিপে জেলায় ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার তথ্য পাওয়া গেছে। যার সংখ্যা দাঁড়ায় ২৪ হাজার ৪৫ জন।
২০১৮ সালেও এপিএসসির জরিপে দেখা গেছে, সারা দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৮ দশমিক ৮ শতাংশ শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে।
নোয়াখালীতেও সে হার ছিল বেশি, যা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা, উপজেলা শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা ও শিক্ষকদের প্রচেষ্টায় কমে ৫ শতাংশে নিয়ে আসতে পেরেছেন।
সরকারি হিসাবে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার ৫ শতাংশ হলেও ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থী অনুপস্থিতিতে প্রকৃত ঝরে পড়ার হার আরও বেশি হবে বলে শিক্ষাবিদরা মনে করছেন।
জেলা সদরের চর উরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, ১২ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩০৯ শিক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিতির হার গড়ে ৬৯ শতাংশ। সবশেষ গত বৃহস্পতিবার পঞ্চম শ্রেণির ৬৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিত ছিল ৪১ জন। এতে উপস্থিতির হার ৬৩ শতাংশ।
চর উরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সালমা ইমাম বলেন, ‘দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম হচ্ছে। তাদের বিদ্যালয়মুখী করতে আমরা সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করছি।’
এ সময়ে অবশ্য কিন্ডারগার্টেন থেকে ৮ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সদর উপজেলার পূর্ব চর উরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার ৬০ শতাংশ। ২৮২ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫ দিনে গড়ে উপস্থিত ছিল ২০৭ জন। ওই বিদ্যালয়েও বেসরকারি কিন্ডারগার্টেন থেকে ৬ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে।
সদর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার নাজিহা বিনতে আনোয়ার বলেন, ‘আমরা নিয়মিত বিদ্যালয় মনিটর করছি। যে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত রয়েছে, তাদের সঙ্গে শিক্ষকরা যোগাযোগ করছেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিভাবকদের বুঝিয়ে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আনার চেষ্টা করছেন। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ধরে রাখতে তাদের চকলেট, বেলুন, ফুল ও বিভিন্ন খেলনাসামগ্রী উপহার দিয়ে শিক্ষার্থীদের উৎফুল্ল রাখা হচ্ছে।’
গত বৃহস্পতিবার হাতিয়া উপজেলায় ২২৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৭ হাজার ৮০৩ শিক্ষার্থীর মধ্যে উপস্থিত ছিল ৪ হাজার ৮৪১ জন। ওই উপজেলায় উপস্থিতির হার ৬০ শতাংশ।
হাতিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার আবদুল হান্নান পাটোয়ারী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আনতে হোম ভিজিট ও মসজিদের ইমামদের মাধ্যমে প্রচারণা চালাচ্ছি। আশা করছি, আগের মতো শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখরিত হবে বিদ্যালয়।’
চাটখিল উপজেলা শিক্ষা অফিসার এ টি এম এহসানুল হক চৌধুরী বলেন, ‘উপজেলার ১১৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত ৫ দিনে শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার ছিল গড়ে ৬০ শতাংশ। শতভাগ শিক্ষার্থীকে বিদ্যালয়ে উপস্থিত করতে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে আসছি।’
সরকারি জরিপে জেলায় ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার রেকর্ড করলে সরেজমিনে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত গড়ে ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। যার সংখ্যা ৩৩ হাজারের বেশি।
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন নোয়াখালী উত্তর এবং দক্ষিণ শাখা জানায়, জেলায় ৫৪৩টি কিন্ডারগার্টেনের প্রতিটিতে গড়ে ১২০ জন করে ৬৫ হাজার ১৬০ শিক্ষার্থী ছিল। এর মধ্যে করোনার প্রভাবে বন্ধ হয়ে গেছে ৫৪টি কিন্ডারগার্টেন। করোনায় আর্থিক সংকট এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী বিভিন্নভাবে শিশুশ্রমে জড়িয়ে পড়েছে।
কিছুসংখ্যক শিক্ষার্থী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসায় ভর্তি হলেও জেলায় চলমান ৪৮৯ কিন্ডারগার্টেন থেকে প্রায় ১২ শতাংশ শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে, যার সংখ্যা দাঁড়ায় ৭ হাজার ৪১ জন।
এ ছাড়া বন্ধ হয়ে যাওয়া ৫৪টি কিন্ডারগার্টেনে গড়ে ৬ হাজার ৪৮০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে কিছু শিক্ষার্থী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হলেও এখনো ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ ঝরে পড়ার তালিকায় রয়েছে। যার সংখ্যা দাঁড়ায় ১ হাজার ৯৪৪ জন।
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন নোয়াখালী দক্ষিণ শাখার সভাপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘করোনা মহামারিতে শিক্ষকদের বেতন দিতে না পারা, বাড়িভাড়া মেটাতে না পারা, অর্থ সংকটে শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠান ছেড়ে দেয়াসহ বেশ কিছু কারণে সদর উপজেলায় ১১৯টি কিন্ডারগার্টেনের মধ্যে ১১টি বন্ধের খবর পেয়েছি।’
অনেকেই শিশুশ্রমে যুক্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন নোয়াখালী উত্তর শাখার সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক জানান, বেগমগঞ্জ উপজেলায় ১১৭টি কিন্ডারগার্টেনের মধ্যে ১২টি বন্ধ হয়ে গেছে। সোনাইমুড়ির ৫টি, কোম্পানীগঞ্জের একটি এবং সেনবাগে ১০টি কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হয়ে যায়।
উত্তর শাখার সহসভাপতি খায়রুল বাশার কবিরহাট উপজেলায় ৬টি কিন্ডারগার্টেন বন্ধের তথ্য জানান।
চাটখিল উপজেলা কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের কোষাধ্যক্ষ মো. সোহেল জানান, উপজেলার ৬৮ কিন্ডারগার্টেনের মধ্যে ১০টি বন্ধ হয়েছে করোনায়।
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন নোয়াখালী দক্ষিণ শাখার সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহাম্মদ বলেন, ‘জেলায় ৫৪টি কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হয়ে গেছে। বাকিগুলো খোলা থাকলেও উপস্থিতির হার ৫০ শতাংশের নিচে। অনুপস্থিতির ১২ শতাংশ শিক্ষার্থী ঝরে পড়েছে। ৩৮ শতাংশের মধ্যে কিছু অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছে।’
সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সাহাব উদ্দিন বলেন, ‘সদরে ১৯৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১২-১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গড়ে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। বাকিদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্কুলে ফেরাতে কাজ করছেন শিক্ষকরা।’
শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার বিষয়ে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা ঝরে পড়ার জরিপ করব ডিসেম্বরের শেষে। এখনও অনুপস্থিত শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া হিসাবে ধরতে পারছি না।’
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘দীর্ঘ ১৮ মাস পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে পাঁচ দিনে শহর ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে গড়ে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত রয়েছে। করোনার আগে ২০২০ সালের ১৬ মার্চ বিদ্যালয়ে ৮৫ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল, যার এখন অন্তত ১৫ শতাংশ কম।’
তার প্রত্যাশা, এই উপস্থিতি কয়েক দিনের মধ্যেই বাড়বে।
শিক্ষার্থী উপস্থিতির হারের হিসাবকে ঝরে পড়া বলা যায় কি না- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘পূর্ণাঙ্গ খুলে দিলে ৮০ শতাংশ উপস্থিতি হবে বলে আশা করছি। বাকি ১৫ শতাংশ শিক্ষার্থীকে ঝরে পড়া বলা যাবে না। তাদের মধ্যে অনেকেই নিয়মিত না হোক, অনিয়মিত হলেও বিদ্যালয়ে আসে। আমাদের চলতি বছরের জরিপে ঝরে পড়ার হার ৫ শতাংশ রেকর্ড হয়েছে।’
আরও পড়ুন:বুধবার, ২০শে আগষ্ট, ২০২৫, সকাল ১১ টায় বিশেষ অতিথিদের নিয়ে আরবী ভাষা ও সংস্কৃতির উপর এক প্রাণবন্ত অনুষ্ঠান উদযাপন করলো এমারেল্ড ইন্টারন্যশনাল স্কুল ঢাকা।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই তিনজন সম্মানিত অতিথিকে স্কুলের ম্যানেজমেন্ট টিম এবং প্রধান উপদেষ্টা জনাব এম এম রনক (Mr. M M Ronok) ফুলের তোড়া ও তাদের নামের ইসলামিক ক্যালিওগ্রাফি দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের লিবীয় দূতাবাসের মিশন উপপ্রধান জনাব আব্দালফাত্তাহ এ. এ. খিতরেশ (Mr. Abdalfattah A. A. Khitresh)। তার সঙ্গে ছিলেন চৌধুরী লেদার অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব ইমরান চৌধুরী (Mr. Imran Chowdhury) এবং বিজনেস ইন বাংলাদেশের সহ-প্রতিষ্ঠাতা জনাব রাজিব (Mr. Rajib)।
শিক্ষার্থীরা আজ কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তাদের মেধার ও আরবী ভাষায় লব্ধ জ্ঞানের এক মনোমুগ্ধকর প্রদর্শনী দিয়ে অতিথিদের মুগ্ধ করে। এমারেল্ড এর শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাসী ও সাবলীল আরবি কথোপকথনের মাধ্যমে তাদের ভাষার দক্ষতা প্রদরশীত হয়, যা দর্শকদের মন ভুলিয়ে দেয় এবং তাদের ভাষা কার্যক্রমের সাফল্য EISD তুলে ধরে। নতুন প্রজন্ম থেকে আলোকিত ও সপ্রতিভ শিক্ষার্থী তৈরি করে বিশ্বকে আত্মবিশ্বাসী ও মুসলিম নেতৃত্ব দেয়ার যে প্রতিশ্রুতি EISD স্কুল দিয়েছে, আজকের তাদের পরিবেশনা তারই একটি প্রমাণ।
শিক্ষার্থীদের পরিবেশনা শেষে, অতিথিদেরকে মধ্যাহ্নভোজের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়, যেখানে তারা স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে আরও গভীরভাবে মতবিনিময় করার সুযোগ পান। এই অনুষ্ঠানটি কেবল সংস্কৃতি এবং ভাষার উদযাপনই ছিল না, বরং শিক্ষাবিদ ও পেশাদার জগতের মধ্যে এক অর্থপূর্ণ চিন্তাধারার আদান-প্রদানও ছিল।
ইআইএসডি-তে আরবি সপ্তাহের সাফল্য একটি সামগ্রিক শিক্ষা পদ্ধতিকে তুলে ধরে, যা শিক্ষা, নৈতিকতা এবং ইসলামী সংস্কৃতির সমন্বয় সাধন করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের জন্য পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
বুধবার (২০ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এই প্যানেল ঘোষণা করেন।
প্যানেল থেকে ভিপি পদে (সহ-সভাপতি) নির্বাচন করবেন আবিদুল ইসলাম খান, জিএস পদে (সাধারণ সম্পাদক) শেখ তানভীর বারী হামিম এবং এজিএস পদে (সহকারী সাধারণ সম্পাদক) তানভীর আল হাদী মায়েদ।
প্যানেল থেকে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক পদে নির্বাচন করবেন আরিফুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদে এহসানুল ইসলাম, কমনরুম, পাঠকক্ষ ও ক্যাফেটেরিয়া বিষয়ক সম্পাদক পদে চেমন ফারিয়া ইসলাম মেঘলা।
আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে মো. মেহেদী হাসান, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক পদে আবু হায়াত মো. জুলফিকার জিসান, ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক পদে চিম চিম্যা চাকমা, ছাত্র পরিবহন বিষয়ক সম্পাদক পদে মো. সাইফ উল্লাহ (সাইফ) নির্বাচন করবেন।
গবেষণা ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক পদে ১৫ জুলাইয়ে আহত সানজিদা আহমেদ তন্বীর সম্মানে খালি থাকবে বলে জানিয়েছেন রাকিব।
সমাজসেবা সম্পাদক পদে সৈয়দ ইমাম হাসান অনিক, ক্যারিয়ার উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক পদে মো. আরকানুল ইসলাম রূপক, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক পদে আনোয়ার হোসাইন এবং মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে মো. মেহেদী হাসান মুন্না নির্বাচিত হবেন।
এছাড়া সদস্যপদের জন্য প্যানেল থেকে নির্বাচন করবেন মো. জারিফ রহমান, মাহমুদুল হাসান, নাহিদ হাসান, মো. হাসিবুর রহমান সাকিব, মো. শামীম রানা, ইয়াসিন আরাফাত আলিফ, মুনইম হাসান অরূপ, রঞ্জন রায়, সোয়াইব ইসলাম ওমি, মেহেরুন্নেসা কেয়া, ইবনু আহমেদ, সামসুল হক আনান এবং নিত্যানন্দ পাল।
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করেছেন ১০ লাখ ৭৭ হাজার ৫৮২ জন শিক্ষার্থী। গত ৩০ জুলাই থেকে শুরু হওয়া আবেদনের সময় শেষ হওয়ার কথা ছিল ১১ আগস্ট। তবে পরে বাড়িয়ে দেওয়া হয় ১৫ আগস্ট রাত ৮টা পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যেই আবেদন জমা পড়ে প্রায় সাড়ে ১০ লাখ।
গতকাল সোমবার মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার কলেজ পরিদর্শক প্রফেসর মো. রিজাউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এবারের আবেদনে বোর্ডভিত্তিক ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে। সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে—২ লাখ ২৯ হাজার ৫৪৩ জন। মাদরাসা বোর্ডে আবেদন করেছেন ১ লাখ ৫৭ হাজার ১৮২ জন শিক্ষার্থী। দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ড থেকেও আবেদন পড়েছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক, ১ লাখ ২৯ হাজার ১৪ জন।
রাজশাহী ও যশোর বোর্ড থেকে যথাক্রমে ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৬৩টি আবেদন জমা পড়েছে। চট্টগ্রাম বোর্ডে আবেদন ৯২ হাজার ১৬১, কুমিল্লা বোর্ডে ৯২ হাজার ৪৮৪, সিলেট বোর্ডে ৬২ হাজার ৩৭৯, ময়মনসিংহ বোর্ডে ৫১ হাজার ৮৭১ এবং বরিশাল বোর্ডে পড়েছে ৪০ হাজার ৬৩৪টি আবেদন। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে আবেদন জমা পড়েছে ৩৮ হাজার ৬৮৭টি, আর বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের এইচএসসি প্রোগ্রামে আবেদন করেছেন মাত্র ৭০১ জন।
দেশের ৯ হাজার ১৮১টি কলেজ ও মাদরাসায় একাদশ শ্রেণিতে আসন রয়েছে ২২ লাখের বেশি। কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পর্যায়ে রয়েছে প্রায় ৯ লাখ আসন এবং সরকারি-বেসরকারি পলিটেকনিকে রয়েছে আরও ২ লাখ ৪১ হাজার আসন। সব মিলিয়ে একাদশ শ্রেণি ও সমমানের প্রতিষ্ঠানে মোট আসন রয়েছে প্রায় ৩৩ দশমিক ২৫ লাখ। অথচ এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন ১৩ লাখ ৩ হাজার ৪২৬ জন। ফলে ভর্তি নিয়ে শিক্ষার্থীদের তেমন কোনো চাপ নেই।
গত ২৪ জুলাই প্রকাশিত ভর্তি নীতিমালা অনুযায়ী, এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় পাস করা শিক্ষার্থীরা অনলাইনে আবেদন করেছেন পছন্দক্রম অনুযায়ী। এতে অটো মাইগ্রেশন সুবিধা প্রযোজ্য থাকবে। যারা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছেন, যোগ্য হলে তারাও আবেদন প্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছেন।
নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, চলতি খ্রিষ্টাব্দসহ ধারাবাহিকভাবে পূর্ববর্তী দুই খ্রিষ্টাব্দে দেশের যেকোনো শিক্ষা বোর্ড ও বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ভর্তি হওয়ার যোগ্য বিবেচিত হবেন।
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রকাশিত ষষ্ঠ বিজ্ঞপ্তিতে আবেদনকারী প্রার্থীদের মধ্য থেকে যোগ্য প্রার্থীদের প্রাথমিক সুপারিশের ফল চলতি সপ্তাহে প্রকাশ করা হতে পারে। এ জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি শেষ করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
গতকাল রোববার এনটিআরসিএর সংশ্লিষ্ট সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।
সূত্র বলছে, ফল প্রকাশের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। অনুমতি পেলেই দ্রুততম সময়ে সুপারিশের ফল প্রকাশ করা হবে।
এ বিষয়ে এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ষষ্ঠ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির সুপারিশ প্রকাশের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পাওয়া মাত্রই ফল প্রকাশ করা হবে।
জানা গেছে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে (স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান) শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত ১৬ জুন ষষ্ঠ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এনটিআরসিএ। এতে শূন্য পদ ছিল ১ লাখ ৮২২টি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফরম পূরণ ও ফি পরিশোধ করে সফলভাবে আবেদন করেন ৫৭ হাজার ৮৪০ জন।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, একজন প্রার্থী শূন্য পদের তালিকা থেকে তার আবেদনে সর্বোচ্চ ৪০টি প্রতিষ্ঠানে পছন্দ দিতে পেরেছেন।
২০০৫ সাল থেকে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিচ্ছে এনটিআরসিএ। তবে শুরুর ১০ বছর শিক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা ছিল সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডি বা ম্যানেজিং কমিটির হাতে।
২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর সরকার এনটিআরসিএকে সনদ দেওয়ার পাশাপাশি শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশের ক্ষমতাও দেয়।
এরপর পাঁচটি গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে চলতি বছরের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ১ লাখ ৩২ হাজার ৮৯৮ জন শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করে এনটিআরসিএ।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাসুম ইকবাল ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে যোগদান করেছেন। রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালযয়ের ৩১ জুলাই ২০২৫ তারিখের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাকে উক্ত পদে নিয়োগ দেয়া হয়। গত ০৭ আগস্ট ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজজের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খানের কাছে তিনি যোগদানপত্র হস্তান্তর করেন।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাসুম ইকবাল ২০০২ সালে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে একাডেমিক ও প্রশাসনিক বিভিন্ন পদে বিভাগীয় প্রধান, সহযোগী ডিন এবং ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার কৃতী সন্তান প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মাসুম ইকবাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্সে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মার্কেটিং-এ এমবিএ ও বিবিএস সম্পন্ন করেছেন।
ড. ইকবাল মালয়েশিয়ার ইউসিসিআই ইউনিভার্সিটির অতিথি অধ্যাপক এবং তুরস্কের আনাদোলু ইউনিভার্সিটিতে এরাসমাস+ প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেন। তিনি একজন প্রখ্যাত গবেষক। তার ৫০টিরও বেশি গবেষণা প্রবন্ধ স্কোপাস ও ওয়েব অব সায়েন্সে প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশ ওপেন ইউনিভার্সিটির সাথে যৌথভাবে সার্ভিস মার্কেটিং বিষয়ে একটি পাঠ্যপুস্তক প্রকাশ করেছেন।
তিনি ডিআইইউ-এর ইউনুস সোশ্যাল বিজনেস সেন্টার এবং বেল্ট অ্যান্ড রোড রিসার্চ সেন্টার-এর পরিচালক হিসেবে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও পাঠ্যক্রম উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। তিনি নিয়মিতভাবে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন এবং সোশ্যাল বিজনেস শিক্ষার অঙ্গনে একজন স্বনামধন্য ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত। তার দূরদর্শী নেতৃত্ব, একাডেমিক সততা এবং উদ্ভাবনের প্রতি অঙ্গীকার তাকে বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ব্যবসায় শিক্ষার ভবিষ্যত গঠনে একটি সম্মানিত শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এবং হল সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ শুরু হবে আজ মঙ্গলবার থেকে। প্রতিটি মনোনয়ন ফরমের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০০ টাকা।
গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়টির জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রার্থীরা ১২ আগস্ট থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ১৯ আগস্ট, বিকেল ৩টা।
এতে আরও বরা হয়, প্রার্থীরা সশরীরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের তৃতীয় তলায় অবস্থিত চিফ রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিস থেকে এ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিল করতে পারবেন। একই সময়ে হল সংসদের মনোনয়নপত্র প্রার্থীকে সংশ্লিষ্ট হল রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সশরীরে সংগ্রহ ও দাখিল করতে হবে।
ডাকসু ও হল সংসদ আচরণ বিধিমালা-২০২৫ অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমাদানের সময় কোনো মিছিল বা শোভাযাত্রা করা যাবে না এবং পাঁচজনের বেশি সমর্থক নিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ বা জমা দেওয়া যাবে না।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন-২০২৫-এর চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের পরও তালিকায় বহিষ্কৃত ও মামলায় অভিযুক্ত কোনো শিক্ষার্থীর নাম অন্তর্ভুক্ত থাকলে উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ পাওয়া সাপেক্ষে তার নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেছেন, হলগুলোকে ছাত্ররাজনীতিমুক্ত রাখার গত বছর নেওয়া সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।
শনিবার (৯ আগস্ট) ভোরে তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের এ কথা বলেন। এর আগে শুক্রবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে ঢাবিতে হল রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিতে ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করতে থাকেন শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার(৮ আগস্ট) সকালে ছাত্রদল বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলে কমিটি ঘোষণা করার পর এই বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
২০২৪ সালের ১৭ জুলাই শিক্ষার্থীরা হল প্রশাসনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল হল থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (বর্তমানে নিষিদ্ধ) নেতাকর্মীদের অপসারণ ও হলগুলোকে রাজনীতিমুক্ত রাখার সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে বাধ্য করে।
রাত সাড়ে ১২টার বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে আসে, ১-২-৩-৪, হল রাজনীতি আর নয়, স্বাধীনতা না দাসত্ব, স্বাধীনতা-স্বাধীনতা ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের সিদ্ধান্ত হলো হল স্তরে কোনো ছাত্ররাজনীতির অনুমতি দেওয়া হবে না। তারা কেন্দ্রীয় স্তরে, মধুর ক্যান্টিনে এটি করতে পারে। এটাই ছিল বোঝাপড়া। তবে, আমরা কোনো ছাত্র সংগঠনকে 'আপনি এটি বাতিল করুন' বলতে বাধ্য করতে পারি না। আমরা জানিয়েছি, ১৭ জুলাই যা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল তা বলবৎ থাকবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিয়ম লঙ্ঘনের বিষয়ে আজ প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির একটি সভা হবে। এরপর, যেসব ছাত্র সংগঠনের নাম উঠে এসেছে, তাদের সঙ্গেও আমাদের কথা বলব।’
মন্তব্য