× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Good days are returning to ship exports
google_news print-icon

সুদিন ফিরছে জাহাজ রপ্তানিতে

সুদিন-ফিরছে-জাহাজ-রপ্তানিতে
জাহাজ রপ্তানিতে আবার প্রচুর অর্ডার আসতে শুরু করেছে। ফাইল ছবি/নিউজবাংলা
চীনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশ জাহাজ রপ্তানি ১.৫ বিলিয়ন ডলার অর্ডার পাবে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের শিপইয়ার্ডগুলো গুণগত ও প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে অনেক ভালো মানের জাহাজ তৈরি করে, যা বিশ্বের অনেক দেশের ক্রেতাদের নজর কেড়েছে। প্রতিবেশী দেশ ভারত বাংলাদেশ থেকে জাহাজ কিনছে। জাহাজ রপ্তানিতে বাংলাদেশ আগামী দিনগুলোতে ভালো করবে।

রপ্তানি বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনার হাতছানি দিয়ে আশা জাগিয়েছিল যে খাত, তা তছনছ করে দিয়েছিল করোনা মহামারি। এখন জাহাজ রপ্তানিতে আবার প্রচুর অর্ডার আসতে শুরু করেছে তৈরি পোশাকের মতো।

বাংলাদেশের জাহাজ রপ্তানি খাত নিয়ে সম্ভাবনার কথা শুনিয়েছে চীনের জাহাজ নির্মাণ শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন চাইনিজ অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য ন্যাশনাল শিপ বিল্ডিং ইন্ডাস্ট্রি (সিএএনএসআই)।

সংগঠনটি বলেছে, ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশ জাহাজ রপ্তানির জন্য ১৫০ কোটি (১.৫ বিলিয়ন) ডলার অর্ডার পাবে। বর্তমান বিনিময় হার হিসাবে (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ৩০ পয়সা) টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ ১২ হাজার ৭৯৫ কোটি টাকা।

২০১৯-২০ অর্থবছরে জাহাজ রপ্তানি থেকে বাংলাদেশ ১ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার ডলার আয় করেছিল। বিশ্ববাজারে সম্ভাবনা থাকায় ২০২০-২১ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা প্রায় দ্বিগুণ বাড়িয়ে ১ কোটি ৮০ লাখ ডলার ধরা হয়, কিন্তু এক টাকার জাহাজও রপ্তানি করতে পারেননি রপ্তানিকারকরা। শুধু তা-ই নয়, গত বছরের মার্চে মহামারি শুরুর পর এই দেড় বছরে কোনো রপ্তানি হয়নি।

সে কারণে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় মাত্র ২ হাজার ডলার। মহামারির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে নামমাত্র এই লক্ষ্য ধরে সরকার।

হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন এ খাতের রপ্তানিকারকরা। লাখ লাখ ডলার বিনিয়োগ করে পথে বসার উপক্রম হয়েছিল তাদের, কিন্তু এখন আর সেই করুণ দশা নেই। সুদিন ফিরছে।

ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় অন্যান্য পণ্যের মতো জাহাজের চাহিদাও বাড়ছে ব্যাপকভাবে। জাহাজভাড়া বেড়ে গেছে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ। বিশ্ববাজারে জাহাজের চাহিদা ব্যাপক বেড়ে গেছে। যার সুফল বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরাও পাচ্ছেন। প্রতিদিনই অর্ডার পাচ্ছেন তারা।

প্রায় ২ বছর ১০ মাস পর জাহাজ রপ্তানির কার্যাদেশ এলো বাংলাদেশে। চট্টগ্রামের জাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এফএমসি ডকইয়ার্ড সুদান থেকে এই কার্যাদেশ পেয়েছে। নেদারল্যান্ডস, চীন, তুরস্ক ও ভারতের সঙ্গে দরপত্রে প্রতিযোগিতা করেই এই কার্যাদেশ পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এর মাধ্যমে জাহাজ রপ্তানিতে দীর্ঘ সময়ের খরা কাটল।

শুধু এফএমসি ডকইয়ার্ড নয়, দেশের সবচেয়ে বড় জাহাজ নির্মাতা ও রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান ওয়েস্টার্ন মেরিন, আনন্দ শিপইয়ার্ডসহ অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোও প্রচুর কার্যাদেশ পাচ্ছে। দুর্দিন কেটে গিয়ে জাহাজ রপ্তানিতে আবার সুবাতাস বইতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন রপ্তানিকারকরা।

চাইনিজ অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য ন্যাশনাল শিপ বিল্ডিং ইন্ডাস্ট্রি (সিএএনএসআই) গত ২ সেপ্টেম্বর ‘জাহাজ নির্মাণ শিল্পের উত্থান’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে বাংলাদেশের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশ জাহাজ রপ্তানির জন্য ১৫০ কোটি (১.৫ বিলিয়ন) ডলার অর্ডার পাবে।

সিএএনএসআইয়ের এই প্রতিবেদনের বিষয়ে ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সত্যি বিশ্ববাজারে জাহাজের চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এর চাহিদা। আমরাও তার সুফল পাচ্ছি। প্রচুর অর্ডার পাচ্ছি আমরা এখন। শুধু আমরাই না, অন্য সব প্রতিষ্ঠানও পাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে সরকার জাহাজ রপ্তানিসংক্রান্ত একটি নীতিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে। এবার মনে হচ্ছে, আমাদের এই খাতটিতে সত্যিই ভালো দিন আসছে।’

কিছুদিন ধরে সমুদ্রকেন্দ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে জোর দিচ্ছে বিশ্বের উপকূলীয় দেশগুলো। সমুদ্র থেকে মৎস্য ও খনিজ সম্পদ আহরণ, সামুদ্রিক নবায়নযোগ্য শক্তি, সামুদ্রিক পর্যটন, সমুদ্র নিরাপত্তা ও গবেষণা ঘিরে বাড়ছে এসব কর্মকাণ্ড। সমুদ্র অর্থনীতির এসব কর্মকাণ্ডের জন্য দরকার উচ্চ প্রযুক্তির বিশেষায়িত ছোট-বড় জাহাজ।

পণ্যবাহী জাহাজ রপ্তানি বাজারের মতো উত্থান-পতন নেই উচ্চ প্রযুক্তির বিশেষায়িত জাহাজের রপ্তানির বাজারে। তাই সম্ভাবনাময় এই রপ্তানির বাজার ঘিরেই আগ্রহ বেড়েছিল বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর।

সরকারও এ খাতের রপ্তানি বাড়াতে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। রপ্তানিকারকদের নগদ সহায়তা, কর ছাড়সহ নানা প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। ব্যাংকগুলোও মোটা অঙ্কের অর্থায়ন করেছে এই খাতে। দেরিতে হলেও একটি নীতিমালা করা হয়েছে। তাতে জাহাজ রপ্তানি থেকে বছরে ৪ বিলিয়ন ডলার আয় হবে বলে প্রত্যাশা করা হয়েছে।

এক যুগ আগে ২০০৭ সালে সাধারণ পণ্যবাহী জাহাজ রপ্তানির মধ্য দিয়ে জাহাজ রপ্তানি খাতে বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হয়েছিল। জার্মানিতে জাহাজ রপ্তানির ফলে বৈশ্বিকভাবে বাংলাদেশ সম্পর্কে এমন একটা বার্তা যায় যে দেশটি বিশেষায়িত এই শিল্পে দক্ষতা অর্জন করেছে। এতে দেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টি হয়।

তবে ২০০৮ সালে শুরু হওয়া বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এবং ২০১০ সালে ইউরো জোনের মন্দার কারণে সেই সম্ভাবনা কাজে লাগানো যায়নি। সমুদ্রগামী জাহাজের ৭০ ভাগের মালিকানা ইউরোপের দেশগুলো। ওই সময়ে ইউরোপের ব্যাংকগুলো জাহাজ কেনায় অর্থায়ন বন্ধ রাখে। জাহাজ ভাড়াও ৭৫ শতাংশ কমে যায়।

রপ্তানিমুখী জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অফ এক্সপোর্ট ওরিয়েন্টেড শিপ বিল্ডিং ইন্ডাস্ট্রিজ অফ বাংলাদেশের (এইওএসআইবি) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ডের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘যে সময় জাহাজ রপ্তানি টেক অফ করবে, সেই সময়ই ওই ধাক্কা আসে। ২০১০ সালের পর থেকে আমরা টুকটাক করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করে আসছিলাম। আমরা ঘুরে দাঁড়িয়েছিলামও। গত বছরের শুরুতে ভারতের জিন্দাল স্টিল ওয়ার্কস চারটি ৮ হাজার টনের জাহাজ নিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এই রপ্তানির মধ্য দিয়ে আমরা প্রমাণ করেছি, বাংলাদেশ শুধু নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যই উৎপাদন করে তা নয়, উচ্চ প্রযুক্তির ভারী শিল্পপণ্যও এখানে তৈরি হচ্ছে। জার্মানি, ডেনমার্ক, নিউজিল্যান্ড, কেনিয়া, পাকিস্তান ও ভারতে ইতিমধ্যে জাহাজ রপ্তানি হয়েছে। এসব জাহাজের মধ্যে পণ্যবাহী জাহাজের পাশাপাশি যাত্রীবাহী, বহুমুখী ব্যবহারের উপযোগী, মাছ ধরার জাহাজ এবং যুদ্ধজাহাজও ছিল।’

‘কিন্তু কোভিড-১৯ সব হিসাব-নিকাশ পাল্টে দেয়’ মন্তব্য করে সাইফুল বলেন, ‘আমরা যখন জাহাজ তৈরি করি, তখন যে প্রতিষ্ঠানের জাহাজ তৈরি করি সেই প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি উপস্থিত থাকেন। এমনকি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকেন। গত বছরের মার্চের পর থেকেই তারা চলে গেছেন। আমাদের সব কাজ বন্ধ ছিল। এখন আবার নতুন উদ্যোগে শুরু করেছি আমরা।’

সাইফুল বলেন, ‘জাহাজের মোট রপ্তানির ৭০ শতাংশই রপ্তানি হয় ইউরোপের দেশগুলোতে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসায় ওই সব দেশ থেকে প্রচুর অর্ডার আসছে। করোনার আগেরও অনেক অর্ডার ছিল। সব কিছু মিলিয়ে আগামী দিনগুলোতে আমাদের রপ্তানি বাড়বে বলে প্রত্যাশা করছি।’

এফএমসি ডকইয়ার্ড সূত্রে জানা যায়, কার্যাদেশ অনুযায়ী সুদান সরকারের জন্য সর্বাধুনিক প্রযুক্তির টাগবোট বা সাহায্যকারী জাহাজ নির্মাণ করবে প্রতিষ্ঠানটি। টাগবোটটির রপ্তানি মূল্য প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১৬ কোটি টাকা।

এফএমসি ডকইয়ার্ডের চেয়ারম্যান এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইয়াছিন চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে এই কার্যাদেশ পেয়েছি আমরা। চট্টগ্রামের ইয়ার্ডে শিগগিরই নির্মাণকাজ শুরু হবে। এটি ছাড়াও কয়েকটি আন্তর্জাতিক দরপত্রে আমরা সর্বনিম্ন দরদাতা হয়েছি, যেগুলোর রপ্তানি মূল্যমান হবে ১০ কোটি ডলার।’

জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়নবিষয়ক সংস্থা আঙ্কটাডের তথ্য অনুযায়ী, জাহাজ নির্মাণ খাতে নেতৃত্ব দিচ্ছে চীন, কোরিয়া ও জাপান। বিশ্বের মোট জাহাজ নির্মাণের ৯০.৫ শতাংশ হয় এই তিনটি দেশে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে জাহাজ রপ্তানি থেকে ৪৭ লাখ ৩০ হাজার ডলার আয় করেছিল বাংলাদেশ।

গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে এ খাত থেকে রপ্তানির লক্ষ্য ধরা হয় ৫০ লাখ ডলার। বছর শেষে সেই লক্ষ্য থেকে দ্বিগুণেরও বেশি বেড়ে ১ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার ডলার দাঁড়ায়, যা ছিল এ যাবৎকালে জাহাজ রপ্তানি থেকে সবচেয়ে বেশি আয়।

ওই অর্থবছরে আগের বছরের চেয়ে রপ্তানি বেড়েছিল ১৪০ শতাংশ।

সেই ধারাবাহিকতায় ২০২০-২১ অর্থবছরে এ খাত থেকে আয়ের লক্ষ্য ধরা হয় ১ কোটি ৮০ লাখ ডলার। কিন্তু মহামারির কারণে বছর শেষে আয় হয় মাত্র ২ হাজার ডলার, যা আবার কোনো নতুন জাহাজ রপ্তানি থেকে নয়; আগে রপ্তানি করা জাহাজের বকেয়া বিল থেকে এসেছিল ওই অর্থ।

চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে এ খাত থেকে কোনো বিদেশি মুদ্রা দেশে আসেনি।

সুদিন ফিরছে জাহাজ রপ্তানিতে

বাংলাদেশকে নিয়ে সিএএনএসআইয়ের প্রতিবেদন

চীনের জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন চাইনিজ অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য ন্যাশনাল শিপ বিল্ডিং ইন্ডাস্ট্রির (সিএএনএসআই) প্রতিবেদনে বলা হয়, ১০ বছরের মন্দার পর বৈশ্বিক জাহাজ নির্মাণের ব্যবসা বিকশিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় ২০২১ সালেই বিশ্বের জাহাজ রপ্তানি প্রতিষ্ঠানগুলো ৯০ বিলিয়ন ডলারের অর্ডার পাবে। ইতিমধ্যে ২৮.৩৯ বিলিয়ন ডলারের অর্ডার ইতিমধ্যে পেয়েছেন চীনের রপ্তানিকারকরা।

বাংলাদেশ সরকারও এই সুফল পাবে। ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশ ১.৫ বিলিয়ন ডলার অর্ডার পাবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো বর্তমান বিশ্বব্যাপী জাহাজ নির্মাণের চাহিদার কমপক্ষে ১ শতাংশ জোগান দেয়ার জন্য সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত। বৈশ্বিক বাজারের চাহিদার একটি অংশ দখল করার জন্য বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাতাদের রপ্তানির জন্য একটি বড় সুযোগের দ্বার খুলে দেয়া হয়েছে।

‘বাংলাদেশের শিপইয়ার্ডগুলো গুণগত ও প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে অনেক ভালো মানের জাহাজ তৈরি করে, যা বিশ্বের অনেক দেশের ক্রেতাদের নজর কেড়েছে। প্রতিবেশী দেশ ভারত বাংলাদেশ থেকে জাহাজ কিনছে। জাহাজ রপ্তানিতে বাংলাদেশ আগামী দিনগুলোতে ভালো করবে।’

বাংলাদেশের সরকার জাহাজ রপ্তানি খাতের জন্য যে নীতিমালা করেছে তা এ খাতের বিকাশের জন্য যথেষ্ট সহায়তা করবে বলে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাতারা আগামী বছরগুলোতে উচ্চ মূল্যের রপ্তানি আদেশের সঙ্গে অর্থনীতিতে অবদান রাখার জন্য উন্মুখ; যা এই খাতে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে এবং পশ্চাৎ সংযোগ শিল্পের আরও সুযোগ তৈরি করবে।’

আরও পড়ুন:
ইলিশের প্রথম চালান যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে
রপ্তানিতে নতুন আশা কৃষিপণ্য
ভারতে বাংলাদেশি পোশাক রপ্তানি বেড়ে দ্বিগুণ
পোশাক রপ্তানি: ফের ভিয়েতনামকে পেছনে ফেলছে বাংলাদেশ
রপ্তানিতে ‘নগদ সহায়তা’ আবেদনের সময় বাড়ল

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The price of bottled soybean oil increased by Tk 4 per liter

লিটারে ৪ টাকা বাড়ল বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম

লিটারে ৪ টাকা বাড়ল বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম দোকানে সাজিয়ে রাখা সয়াবিন তেলের বোতল। ফাইল ছবি
সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘…১৪৯ টাকা যেটা খোলাবাজারে ছিল, সেটাকে দুই টাকা কমিয়ে ১৪৭ টাকা সর্বোচ্চ খোলাবাজারে সয়াবিন তেল বিক্রি হবে। আর আমাদের সয়াবিন তেলের প্রতি লিটার, বোতল যেটা, পেট বোতলে যেটা, যেটার মধ্যে সিল করা থাকে, সেইটা আমাদের নির্ধারিত ছিল ১৬৩ টাকা। সেইখান থেকে বৃদ্ধি করে ১৬৭ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।’

বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

খোলা সয়াবিন তেলের দাম কমার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান তিনি।

সয়াবিন তেলের দাম নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘…১৪৯ টাকা যেটা খোলাবাজারে ছিল, সেটাকে দুই টাকা কমিয়ে ১৪৭ টাকা সর্বোচ্চ খোলাবাজারে সয়াবিন তেল বিক্রি হবে।

‘আর আমাদের সয়াবিন তেলের প্রতি লিটার, বোতল যেটা, পেট বোতলে যেটা, যেটার মধ্যে সিল করা থাকে, সেইটা আমাদের নির্ধারিত ছিল ১৬৩ টাকা। সেইখান থেকে বৃদ্ধি করে ১৬৭ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।’

খোলা সয়াবিন তেলের পাঁচ লিটারের বোতলের দামের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আর খোলাবাজারে সয়াবিন তেল পাঁচ লিটারের বোতল ৮০০ টাকা ছিল। সেটাকে ৮১৮ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে।’

পাম অয়েলের দাম নিয়ে টিটু বলেন, ‘সুপার পাম অয়েল তেল প্রতি লিটার, এটা আগে নির্ধারণ করা ছিল না। এবার আমরা নির্ধারণ করে দিচ্ছি। সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৩৫ টাকা লিটার।

‘তো এই চারটা পণ্যের দাম, এইটা কিন্তু আমরা নির্ধারণ করলাম না। আমাদের যারা অ্যাসোসিয়েশনের, তাদের রিকমেন্ডেশনে এবং আমাদের ট্যারিফ কমিশনের অনুমোদনক্রমে উনারা উনাদের অ্যাসোসিয়েশন থেকে চিঠি দিয়ে আগামীকাল থেকে এই মূল্য উনাদের মিল গেট থেকে উনারা কার্যকরী করবে।’

আরও পড়ুন:
চলতি মাসেই জ্বালানি তেলের দাম কমছে: প্রতিমন্ত্রী
সয়াবিন তেলের নতুন দাম কার্যকর হচ্ছে শুক্রবার
বিশ্ববাজারের সঙ্গে ওঠানামা করবে জ্বালানি তেলের দাম: প্রতিমন্ত্রী
দুর্ঘটনার ১০ দিন না যেতে সড়কেই প্রাণ গেল তেলেঙ্গানার বিধায়কের
সয়াবিন তেলের দাম লিটারে কমল ১০ টাকা, ১ মার্চ থেকে কার্যকর

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bank Asia to acquire foreign bank Alfalah

বিদেশি ব্যাংক আলফালাহ অধিগ্রহণ করবে ব্যাংক এশিয়া

বিদেশি ব্যাংক আলফালাহ অধিগ্রহণ করবে ব্যাংক এশিয়া
পাকিস্তানের করাচিভিত্তিক ব্যাংক আলফালাহ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের বাংলাদেশ পরিচালনা, সম্পদ ও দায় অধিগ্রহণের জন্য প্রাপ্ত বাধ্যবাধকতামুক্ত ইঙ্গিতমূলক প্রস্তাবের ক্ষেত্রে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রতি জানিয়েছিল যে আর কোনো ব্যাংককে একীভূতকরণের সুযোগ দেয়া হবে না। তবে সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে বিদেশি ব্যাংক আলফালাহকে অধিগ্রহণের জন্য ব্যাংক এশিয়াকে অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

নতুন মাত্রার অংশ হিসেবে বাংলাদেশের বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক এশিয়া বিদেশি ব্যাংক আলফালাহকে অধিগ্রহণের পরিকল্পনা করছে। সূত্র: ইউএনবি

করাচিভিত্তিক ব্যাংক আলফালাহ বুধবার (১৭ এপ্রিল) পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জকে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রকাশিত তথ্যে জানা যায়, ব্যাংক আলফালাহ লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংক এশিয়া লিমিটেডের বাংলাদেশ পরিচালনা, সম্পদ ও দায় অধিগ্রহণের জন্য প্রাপ্ত বাধ্যবাধকতামুক্ত ইঙ্গিতমূলক প্রস্তাবের ক্ষেত্রে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে।

এতে বলা হয়, ব্যাংক আলফালাহ বাংলাদেশের ব্যাংক এশিয়ার জন্য যথাযথ কার্যক্রম শুরুর জন্য স্টেট ব্যাংক অফ পাকিস্তানের অনুমোদন চাইছে।

ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহেল আর কে হুসেইন বলেন, ‘এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং এটি একীভূতকরণ নিয়ে খুব বেশি আলোচনার অংশ নয়।’

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী সপ্তাহে দুই ব্যাংকের নির্বাহীদের সঙ্গে বৈঠকে অধিগ্রহণের বিষয়টি চূড়ান্ত রূপ পাবে বলে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Legal notice and cancellation of contracts to advertising companies promoting dramas contrary to Waltons ideals and principles

‘রূপান্তর’ নাটক ইস্যুতে বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানকে ওয়ালটনের নোটিশ, চুক্তি বাতিল

‘রূপান্তর’ নাটক ইস্যুতে বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠানকে ওয়ালটনের নোটিশ, চুক্তি বাতিল ওয়ালটনের লোগো। ছবি: সংগৃহীত
আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ওয়ালটনের ভাষ্য, দেশের মানুষের ধর্মীয় ও সামাজিক অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কোনো কর্মকাণ্ড কখনও তারা সমর্থন করে না এবং এসব কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকে না। অনাকাঙ্ক্ষিত এই বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ মর্মাহত এবং সম্মানিত ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।

বিষয়বস্তু অবহিত না করে ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থিভাবে ‘রূপান্তর’ শিরোনামের একটি নাটক প্রচার করায় বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’কে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে ওয়ালটন।

পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে সব ধরনের বিজ্ঞাপনী চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।

ওয়ালটনের পক্ষ থেকে বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’ এর স্বত্বাধিকারী মোহন আহমেদকে মঙ্গলবার ওই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।

ওয়ালটনের পক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট রাইসুল ইসলাম রিয়াদ স্বাক্ষরিত আইনি নোটিশে উল্লেখ করে যা বলা হয়, ‘আপনি লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান এর স্বত্বাধিকারী। আপনার প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে আপনার নির্মিত ছয়টি নাটকে ওয়ালটন ফ্রিজ ব্র্যান্ডিং করতে সম্মত হয়। শর্ত থাকে যে, উক্ত নাটকসমূহে দেশের আইন, নীতি, নৈতিকতা বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হয় এরকম কোনো বিষয় অর্ন্তভুক্ত হবে না। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক যে, উক্ত নাটকসমূহের মধ্যে ‘রূপান্তর’ নাটকটিতে এমন কিছু বিষয় অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে, যাতে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে ও মানুষের অনুভূতিতে আঘাত লেগেছে।’

নোটিশে আরও বলা হয়, ‘ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে নাটকটির বিষয়বস্তু সম্পর্কে পূর্বে অবহিত না করে রূপান্তর নাটক প্রচার করায় আপনার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হলো এবং সেই সঙ্গে কেন আপনার বিরুদ্ধে ওয়ালটনের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থিভাবে নাটক প্রচারের জন্য আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা নোটিশ প্রাপ্তির সাত দিনের মধ্যে জানানোর জন্য বলা হলো।’

এর আগে ফেসবুক-ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যম থেকে ‘রূপান্তর’ নাটকটি প্রত্যাহারের জন্য বিজ্ঞাপনী সংস্থাকে নির্দেশ দেয় ওয়ালটন। তাৎক্ষণিকভাবে ফেসবুক-ইউটিউবসহ সব মাধ্যম থেকে নাটকটি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।

এরপর বিজ্ঞাপনী সংস্থার সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে ওয়ালটন গ্রুপের আদর্শ ও নীতিমালার পরিপন্থি নাটকে বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য কেন আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা জানতে চেয়ে বিজ্ঞাপনী সংস্থা ‘লোকাল বাস এন্টারটেইনমেন্ট’কে লিগাল নোটিশ দেয় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।

আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ওয়ালটনের ভাষ্য, দেশের মানুষের ধর্মীয় ও সামাজিক অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কোনো কর্মকাণ্ড কখনও তারা সমর্থন করে না এবং এসব কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকে না। অনাকাঙ্ক্ষিত এই বিষয়টির জন্য ওয়ালটন গ্রুপ মর্মাহত এবং সম্মানিত ক্রেতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের নিকট আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে।

আরও পড়ুন:
ঈদ উৎসবে ওয়ালটন ফ্রিজ কেনার হিড়িক
ওয়ালটন টিভি কিনে এয়ার টিকিটের সুযোগ চাঁদরাত পর্যন্ত
ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ৩৩তম মিলিয়নিয়ার হলেন রাজশাহীর মাদ্রাসাশিক্ষক আমিনুল
সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মধ্যে ইফতার বিতরণ হিরো বাংলাদেশের
ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম নিয়ে এলো কল্লোল গ্রুপ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The DMD of the state owned bank is Faiz Alam

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ডিএমডি হলেন ফয়েজ আলম

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ডিএমডি হলেন ফয়েজ আলম রূপালী ব্যাংক পিএলসির মহাব্যবস্থাপক মো. ফয়েজ আলম। ছবি: সংগৃহীত
ডিএমডি হিসেবে পদোন্নতি হওয়ার আগে তিনি রূপালী ব্যাংক পিএলসিতে মহাব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন রূপালী ব্যাংক পিএলসির মহাব্যবস্থাপক মো. ফয়েজ আলম। সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সরকার কর্তৃক পদোন্নতিপ্রাপ্ত হয়ে তিনিসহ রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন ব্যাংকের আট জন মহাব্যবস্থাপককে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে পদোন্নতি দেয়া হয়।

ডিএমডি হিসেবে পদোন্নতি হওয়ার আগে তিনি রূপালী ব্যাংক পিএলসিতে মহাব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

মো. ফয়েজ আলম ১৯৯৮ সালে বিআরসির মাধ্যমে সিনিয়র অফিসার পদে রূপালী ব্যাংকে যোগদান করেন। কর্মজীবনে ব্যাংকের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শাখার শাখা ব্যবস্থাপক, জোনাল অফিস এবং প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন। পেশাগত প্রয়োজনে তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপ ও আরব অঞ্চলের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণসহ দেশ-বিদেশে ব্যাংকিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও সেমিনারে অংশগ্রহণ করেছেন।

ফয়েজ আলমের জন্ম ১৯৬৮ সালে নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার যোগীরনগুয়া গ্রামে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে বিএ অনার্সসহ এমএ পাশ করার পর এমফিল ডিগ্রিও অর্জন করেন খ্যাতিমান এই ব্যাংকার।

পেশাগত জীবনের বাইরে ফয়েজ আলম একজন সফল লেখকও। বাংলাদেশে তিনি অগ্রণী উত্তর উপনিবেশী তাত্ত্বিক, প্রাবন্ধিক ও কবি হিসেবে বিশেষ খ্যাতিমান। এডওয়ার্ড সাঈদের বিখ্যাত গ্রন্থ অরিয়েন্টালিজম-এর অনুবাদক হিসেবেও তার আলাদা খ্যাতি আছে। তার পনেরটির বেশি গ্রন্থ এ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Traders want to increase the price of edible oil by 10 taka per liter not the state minister

ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়াতে চান ব্যবসায়ীরা, প্রতিমন্ত্রীর ‘না’

ভোজ্যতেলের দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়াতে চান ব্যবসায়ীরা, প্রতিমন্ত্রীর ‘না’
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। দাম আন্তর্জাতিক বাজার দরের সঙ্গে সমন্বয় করা যেতে পারে, তবে সময় লাগবে। ভোজ্যতেলের নতুন চালান আমদানির ক্ষেত্রে দাম বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’

ভোজ্যতেলের ওপর শুল্ক অব্যাহতির সময়সীমা শেষ হয়েছে সোমবার (১৫ এপ্রিল)। এ অবস্থায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যটির দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই।

বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিভিওআরভিএমএফএ) সোমবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে।

বিভিওআরভিএমএফএ’র নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল ইসলাম মোল্লার পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, কাঁচামাল আমদানি ও ভোজ্যপণ্য উৎপাদনে কর অব্যাহতির মেয়াদ ১৫ এপ্রিল শেষ হচ্ছে বিধায় পরদিন ১৬ এপ্রিল থেকে ভ্যাট অব্যাহতির আগের নির্ধারিত মূল্যে পণ্য সরবরাহ করা হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের বোতল ১৭৩ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতল ৮৪৫ টাকা ও এক লিটার পাম তেল ১৩২ টাকায় বিক্রি করা হবে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গত ফেব্রুয়ারিতে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত (অপরিশোধিত) সয়াবিন ও পাম তেলের মূল্য সংযোজন কর ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করে।

এদিকে মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। ভোজ্যতেলের দাম আন্তর্জাতিক বাজার দরের সঙ্গে সমন্বয় করা যেতে পারে, তবে সময় লাগবে।

‘ভোজ্যতেলের নতুন চালান আমদানির ক্ষেত্রে দাম বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।’

আরও পড়ুন:
ভোজ্যতেলের আমদানিনির্ভরতা কমবে: খাদ্যমন্ত্রী
ভোজ্যতেলে ভ্যাটমুক্ত সুবিধা তিন মাস বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন
ভোজ্যতেলের দাম বাড়াতে সেই পুরোনো কৌশল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In the current financial year the majority of remittances have come to Dhaka district
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশ্লেষণ

চলতি অর্থবছরে রেমিট্যান্সের সিংহভাগ এসেছে ঢাকা জেলায়

চলতি অর্থবছরে রেমিট্যান্সের সিংহভাগ এসেছে ঢাকা জেলায়
জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৮ মাসে প্রবাসীরা ১ হাজার ৫০৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা জেলায় ৫২৩ কোটি ও চট্টগ্রাম জেলায় ১৪২ কোটি ডলার এসেছে। এই সময়ে সিলেট জেলা ৮৭০ মিলিয়ন, কুমিল্লা ৮১০ মিলিয়ন ও নোয়াখালী ৪৬০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে।

প্রবাসীদের আয়ের একটি বড় অংশ‌ই আসে ঢাকায় অবস্থিত ব্যাংকের শাখাগুলোতে। অর্থাৎ প্রবাসীদের পরিবারের বেশিরভাগই ঢাকায় থাকেন বা তাদের অধিকাংশ অ্যাকাউন্ট ঢাকার ব্যাংক শাখায়।

ইউএনবি জানায়, রেমিট্যান্সের জেলাভিত্তিক চিত্র নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক বিশ্লেষণে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্সে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চট্টগ্রাম। সিলেট তৃতীয় এবং কুমিল্লা চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে।

এরপরে রয়েছে উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, মৌলভীবাজার, চাঁদপুর ও নরসিংদীর অবস্থান।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জেলাভিত্তিক প্রবাসী আয় প্রতিবেদনে গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হিসাব প্রকাশ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৮ মাসে প্রবাসীরা ১ হাজার ৫০৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে গত ফেব্রুয়ারিতে এসেছে ২১৬ কোটি ডলার। তার আগের মাস জানুয়ারিতে দেশে প্রবাসী আয় ছিল ২১০ কোটি ডলার।

জুলাই-ফেব্রুয়ারি সময়কালে ঢাকা জেলায় এসেছে ৫২৩ কোটি ডলার এবং চট্টগ্রাম জেলায় এসেছে ১৪২ কোটি ডলার।

এই সময়ে সিলেট জেলা ৮৭০ মিলিয়ন ডলার, কুমিল্লা ৮১০ মিলিয়ন ডলার এবং নোয়াখালী ৪৬০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৮ কোটি, ফেনীতে ৩৭ কোটি, মৌলভীবাজারে ৩৬ কোটি, চাঁদপুরে ৩৫ কোটি ডলার এবং নরসিংদীতে ২৫০ মিলিয়ন ডলার এসেছে।

ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, প্রবাসী অধ্যুষিত জেলাগুলো থেকে বেশি প্রবাসী আয় আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। কিন্তু এমনটা হচ্ছে না। কারণ অনেক প্রবাসী বিদেশে স্থায়ী হয়েছেন। বরং তারা (প্রবাসীরা) দেশে থাকা সম্পদ বিক্রি করে বিদেশে নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে অর্থ পাচার বাড়ছে।

আরও পড়ুন:
ঈদের আগের সপ্তাহে এসেছে সাড়ে ৪৫ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স
ঈদ সামনে রেখেও রেমিট্যান্স প্রবাহে নিম্নগতি
ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছে ২১৬ কোটি ডলার
চলতি মাসে দিনে গড়ে রেমিট্যান্স এসেছে ৬ কোটি ৮৫ লাখ ডলার
ফেব্রুয়ারির ১৬ দিনে এসেছে ১২,৬০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bangladesh GDP growth likely to be 61 in current fiscal year ADB

চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬.১%: এডিবি

চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৬.১%: এডিবি পরপর দুই অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে এডিবি। ফাইল ছবি
এডিওতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার বিষয়ে এডিবি বলেছে, ২০২৪ (২০২৩-২৪) অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ছয় দশমিক এক শতাংশ পর্যন্ত। ২০২৫ (২০২৪-২৫) অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি আগের অর্থবছরের চেয়ে বেড়ে হতে পারে ছয় দশমিক ছয় শতাংশ।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ছয় দশমিক এক শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)।

আঞ্চলিক উন্নয়ন ব্যাংকটি তাদের এপ্রিলের এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুকে (এডিও) এমন পূর্বাভাস দিয়েছে।

এডিওতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনার বিষয়ে এডিবি বলেছে, ২০২৪ (২০২৩-২৪) অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ছয় দশমিক এক শতাংশ পর্যন্ত। ২০২৫ (২০২৪-২৫) অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি আগের অর্থবছরের চেয়ে বেড়ে হতে পারে ছয় দশমিক ছয় শতাংশ।

বাংলাদেশে কোনো বছরের জুলাই থেকে পরবর্তী বছরের জুন পর্যন্ত ১২ মাসকে এক অর্থবছর ধরা হয়। সে হিসাবে ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষ হচ্ছে চলতি বছরের ৩০ জুন।

এডিওতে বলা হয়, বিশ্বজুড়ে চাহিদা কমে যাওয়ার পরও বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সস্তা তৈরি পোশাক রপ্তানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। ডলার সংকটের কারণে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা দেশে তৈরি সুতা ও বস্ত্র ব্যবহার করছেন।

মূল্যস্ফীতির বিষয়ে বলা হয়, মূল্যস্ফীতি কমার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বেসরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন পণ্য ও সেবার ভোগ বাড়তে পারে। অন্যদিকে ভর্তুকি কম দেয়া এবং কৃচ্ছ্রতার ব্যবস্থাগুলো অব্যাহত রাখায় সরকারি পর্যায়ে ভোগও সামান্য বাড়তে পারে।

আরও পড়ুন:
৬ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস দিল আইএমএফ
চট্টগ্রামবাসীর জীবনমান উন্নয়নে এডিবির ঋণ পাচ্ছে বাংলাদেশ
প্রবৃদ্ধি কমে ৫.৬% হতে পারে: বিশ্ব ব্যাংক
আগামী অর্থবছর বাংলাদেশের জন্য ভালো বছর হবে
রামপুরা-আমুলিয়া-ডেমরা এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ২৬.১ কোটি ডলার দিচ্ছে এডিবি

মন্তব্য

p
উপরে