× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Thousands of families left Shapla
google_news print-icon

শাপলা তুলে চলে হাজারো সংসার

শাপলা-তুলে-চলে-হাজারো-সংসার
সিরাজদিখানের শাপলা সংগ্রহকারী দনিয়া গ্রামের আফজাল মিয়া জানান, তিনি ১০ বছর ধরে শাপলা উঠিয়ে বিক্রি করে সংসার চালান। শাপলায় তার জীবন চলে। আগে বাজারে শাপলা বিক্রি করতেন। এখন গাড়ি এসে শাপলা নিয়ে যায়। শাপলা বিক্রির টাকায় সংসার চালাচ্ছেন, ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পড়াচ্ছেন।

শাপলা ফুল দেখতে যেমন সুন্দর, তরকারি হিসেবে খেতেও সুস্বাদু। দাম কম হওয়ায় নিম্নবিত্তদের কাছে এর চাহিদা অনেক। সুস্বাদু হওয়ায় ধনীরাও খায়।

বর্ষা মৌসুমে আগে গ্রামাঞ্চলের নিম্নবিত্তরা শাপলা তুলে তা দিয়ে ভাজি ও ভর্তা করে খেত। যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতির কারণে এখন শহরের বাজারেও সহজলভ্য শাপলা। সুস্বাদু হওয়ায় শহরেও তাই চাহিদা বাড়ছে।

খাবার হিসেবে যেমনই হোক বর্ষা মৌসুমে মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন উপজেলার হাজারো পরিবারের জীবিকার প্রধান মাধ্যম এই শাপলা। বিল থেকে শাপলা তুলে এসব পরিবার সংসারের নিত্য খরচ মিটিয়ে কিছু সঞ্চয়ও করে। বছরে দুই থেকে তিন মাস শাপলা বিক্রি করেই চলে এসব পরিবার।

জেলার সিরাজদিখান, শ্রীনগর (আড়িয়াল বিল) হাসারা, টঙ্গিবাড়ী ও সদরের চরাঞ্চলের কৃষক ও দিনমজুররা সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত খাল-বিল ও বিস্তীর্ণ জমিতে জন্মানো শাপলা তুলে নৌকায় করে নিয়ে আসে। এরপর বিভিন্ন বাজারে গিয়ে বিক্রি করেন।

শাপলা তুলে চলে হাজারো সংসার

আরেকটি দল সিরাজদিখান উপজেলার রশুনিয়া, ইমামগঞ্জ, চোরমর্দন, লতব্দীসহ সিরাজদিখান-নিমতলা সড়কের বিভিন্ন স্থানে রাস্তার পাশে স্তূপ করে রাখেন তুলে আনা শাপলা। বিকেলের দিকে পাইকাররা গিয়ে সেগুলো কিনে রাজধানীর বিভিন্ন হাট-বাজারে নিয়ে যান।

শাপলা ফুল সাধারণত জ্যৈষ্ঠ থেকে শুরু করে কার্তিক মাস পর্যন্ত পাওয়া যায়। বহু বছর ধরে জেলার প্রতিটি উপজেলায় এ পেশাটি বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এখন অনেকেই শাপলা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন।

সিরাজদিখানের শাপলা সংগ্রহকারী দনিয়া গ্রামের আফজাল মিয়া জানান, তিনি ১০ বছর ধরে শাপলা উঠিয়ে বিক্রি করে সংসার চালান। শাপলায় তার জীবন চলে। আগে বাজারে শাপলা বিক্রি করতেন। এখন গাড়ি এসে শাপলা নিয়ে যায়। শাপলা বিক্রির টাকায় সংসার চালাচ্ছেন, ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পড়াচ্ছেন।

নিয়ামত হোসেন জানান, প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪০ আঁটি শাপলা সংগ্রহ করেন। এবার বর্ষাকালে বৃষ্টি কম হওয়ায় শাপলা উৎপাদন কম হয়েছে। যত পানি বেশি হবে শাপলাও বেশি হবে।

শাপলা তুলে চলে হাজারো সংসার

তিনি আরও জানান, পাইকাররা তাদের কাছ থেকে এসব শাপলা সংগ্রহ করে এক জায়গায় করেন। রাতে রওনা দিয়ে সকালে ঢাকার পাইকারি বাজারে এগুলো বিক্রি করেন।

শ্রীনগর উপজেলার রয়েছে আড়িয়াল বিল। বর্ষা মৌসুমে পানিতে ডুবে থাকে দেশের মধ্যাঞ্চলের সবচেয়ে বড় বিলটি। এ বিলে কয়েক শ পরিবার শাপলা কুড়িয়ে জীবিকা নির্বাহ করে।

আড়িয়াল বিল মূলত কয়েকটি উপজেলাজুড়ে রয়েছে। এর মধ্যে শ্রীনগর, সিরাজদিখান, ঢাকার দোহার ও নবাবগঞ্জ অন্যতম। আড়িয়াল বিলের গাদিঘাট, হাঁসাড়া ইউনিয়নের আশলিয়া, আলমপুরসহ অনেক স্থান থেকে নিয়মিত শাপলা তোলা হয়।

বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে জানা গেছে, ভোর ৫টা থেকে দুপুর পর্যন্ত বিলে শাপলা তোলা হয়। প্রায় ৬০-৭০টি শাপলায় করা হয় একটি আঁটি। এসব আঁটি পাইকাররা কেনেন ৫০-৬০ টাকায়।

২০টি শাপলার আঁটিও বিক্রি করা হয়। এগুলো মূলত স্থানীয় লোকজন কেনেন ১২ টাকায়। দৈনিক একজন কমপক্ষে ৫০ আঁটি শাপলা তুলতে পারেন।

শাপলা তুলে চলে হাজারো সংসার

শ্রীনগর থেকে প্রতিদিন শাপলা সংগ্রহ করে ৮-১০টি পিকআপ ভ্যান রাজধানীর বিভিন্ন পাইকারি বাজারে যায়।

শ্রীনগর উপজেলার হাঁসাড়া ইউনিয়নের তাজুল ইসলাম জানান, তারা দলবেঁধে ডিঙি নৌকায় শাপলা তোলেন প্রতিদিন। একটি ডিঙিতে দুই বা তিনজন থাকেন। দুপুরের দিকে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পাইকারদের কাছে শাপলা বিক্রি করেন।

সোনারগাঁও গ্রামের শরীফ জানান, পাঁচটি শাপলা দিয়ে ছোট একটি মুঠা করা হয়। ছোট চারটি মুঠা দিয়ে বড় একটি মুঠা তৈরি হয়। প্রতিটি বড় মুঠা বিক্রি হয় ১২ টাকায়।

হাঁসাড়া ইউনিয়নের আলামপুরের রুমান জানান, লকডাউনে তেমন কোনো খাদ্য সহায়তা পাননি তারা। অনেকটা বাধ্য হয়েই শাপলা কুড়াতে হচ্ছে। এখানে ৩০-৪০টি পরিবারের সংসার চলছে শাপলা বিক্রি করে।

শাপলা তুলে চলে হাজারো সংসার

উপজেলার সদরে ডাকবাংলাে মার্কেটের সামনে শাপলা বিক্রি করেন আবুল হোসেন। তিনি জানান, অন্য সময় দিনমজুরের কাজ করেন। বর্ষায় শাপলা তুলছেন প্রায় ২০ বছর ধরে। লকডাউনের মধ্যে বেকার হয়ে পড়েছিলেন। এখন কামারখোলা বিল থেকে শাপলা তুলে প্রতিদিন ডাকবাংলাে মার্কেটের সামনে বিক্রি করছেন।

ঢাকার পাইকারি ক্রেতা জামাল শেখ জানান, তারা মূলত গদিঘাট, আলমপুর ও আশলিয়া থেকে শাপলা কিনে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ও যাত্রাবাড়ী নিয়ে বিক্রি করেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক খুরশীদ আলম জানান, বর্ষায় প্রাকৃতিকভাবেই শাপলা ফোটে। যেহেতু বর্ষায় জেলার অধিকাংশ জমিতেই পানি থাকে, এ জন্য প্রচুর শাপলা হয়। বহু কৃষক এসব শাপলা তুলে জীবিকা নির্বাহ করেন। যদি ঠিকমতো সংগ্রহ করে বাজারজাত করা যায়, তবে এটিও আয়ের ভালো উৎস হতে পারে।

আরও পড়ুন:
৩ মাস সবজি চারা বেচে আয় ‘৩ লাখ’
সংসার চলে শাপলা চাষে
এক ‘শাপলাপাতার’ দাম ৫২ হাজার টাকা  
প্রত্যাহার নয়, শাপলা চত্বরের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি
বিষমুক্ত সবজির আলাদা বাজার চান কৃষকরা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Commercial coffee cultivation started in Sherpur

শেরপুরে বাণিজ্যিকভাবে কফি চাষ শুরু

শেরপুরে বাণিজ্যিকভাবে কফি চাষ শুরু কফি চারা রোপণের ২ বছর পর ফল দিতে শুরু করে এবং এটি টিকে থাকে ৩০ বছর পর্যন্ত। ছবি: বাসস
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর শেরপুরের উপপরিচালক সাখাওয়াত হোসাইন বাসসকে বলেন, কফি চাষের উপযোগী মাটি ও আবহাওয়া এখানে রয়েছে। সে অনুযায়ী কৃষকদের কফি চাষের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শেরপুরের শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার পাহাড়ি এলাকার সমতল ভূমিতেও কফি চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।

শেরপুরের সমতল অঞ্চলে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে কফির চাষ। এতে মিলছে ভালো ফল।

কৃষি বিভাগ জানায়, চাষের পরিধি বাড়লে আগ্রহী কৃষকদের বিপণনসহ প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হবে।

প্রথমবারের মতো কফি চাষ করা কৃষি উদ্যোক্তা কৃষিবিদ সাজ্জাদ হোসাইন তুলিপ জানান, ২০২১ সালে বান্দরবানে চাকরির সুবাদে কফি চাষের অভিজ্ঞতা নেন তিনি। এরপর শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় ২৫০টি কফির চারা নিয়ে পরীক্ষামূলক চাষ শুরু করেন। সফলতা দেখে ২০২২ সালে রোপণ করেন ১ হাজার কফি চারা। এখন তার তিন বিঘা জমিতে রয়েছে ৮০০টি কফি গাছ।

কৃষিবিদ সাজ্জাদ হোসাইন তুলিপ আরও বলেন, ‌‘আমার খামারে ৬০০থেকে ৭০০ গাছ রয়েছে, যেগুলো থেকে ফল সংগ্রহ করে আমি বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি করছি। পাশাপাশি আমার এ খামারে এখনও ২০ হাজারের মতো চারা আছে।

‘এ ছাড়া শেরপুরের পাঁচ উপজেলা ছাড়াও আশপাশের কয়েকটি জেলার কৃষকদের মাঝে ৫০ হাজার কফি চারা বিনা মূল্যে বিতরণ করেছি।’

কফি চারা রোপণের ২ বছর পর ফল দিতে শুরু করে এবং এটি টিকে থাকে ৩০ বছর পর্যন্ত।

ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারিতে ফল সংগ্রহের পর পালপিং, রোদে শুকিয়ে পার্চমেন্ট করে বাদামের মতো অংশ বের করে এবং রোস্টিংয়ের মাধ্যমে তৈরি হয় রোস্টেড কফি বিন।

একটি পরিপক্ব গাছ থেকে বছরে পাঁচ থেকে ছয় কেজি ফল পাওয়া যায়, যা থেকে ১ কেজি রোস্টেড বিন তৈরি হয়। এর বাজার মূল্য প্রায় দুই হাজার টাকা।

বাড়ির পতিত জমি বা ছায়াযুক্ত স্থানে কফি গাছ রোপণ করা যায়। বাংলাদেশে বছরে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার কফি আমদানি করা হয়।

দেশে বাণিজ্যিকভাবে কফি চাষ সফল হলে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারবে এ ফসল।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর শেরপুরের উপপরিচালক সাখাওয়াত হোসাইন বাসসকে বলেন, কফি চাষের উপযোগী মাটি ও আবহাওয়া এখানে রয়েছে। সে অনুযায়ী কৃষকদের কফি চাষের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শেরপুরের শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার পাহাড়ি এলাকার সমতল ভূমিতেও কফি চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে।

কফি চাষে আগ্রহী কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতার আশ্বাস দেন জেলা কৃষি বিভাগের এ কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন:
ত্রিভূজ প্রেমের বলি সুমন, ‘প্রেমিকা’র সহায়তায় খুন করে মাটিচাপা
বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে বন্যহা‌তির মৃত্যু
শেরপুর জেলা আ.লীগ নেতা চন্দন পাল সীমান্তে গ্রেপ্তার
বন্যা: শেরপুরে ৫০০ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি, দিশেহারা কৃষক
বন্যা: শেরপুরে গবাদি পশুর খাদ্য সংকট

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Manufacture of earthworm fertilizer on commercial basis in Narail 

নড়াইলে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কেঁচো সার তৈরি 

নড়াইলে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কেঁচো সার তৈরি  নড়াইল সদরে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে উৎপাদন হচ্ছে কেঁচো সার। ছবি: ইউএনবি
দীপক বিশ্বাস বলেন, ‘কৃষি অফিসের পরামর্শে আমি কেঁচো সার উৎপাদন শুরু করি। প্রথম পর্যায়ে কৃষি অফিস আমাকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করে। গোবর দিয়ে এ সার উৎপাদনে আমার তেমন কোনো খরচ নেই।’

নড়াইল সদর উপজেলায় প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে কেঁচো সার বা ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন।

উপজেলার গোপালপুর গ্রামের দীপক বিশ্বাস এ সার উৎপাদন করে এখন স্বাবলম্বী।

যেভাবে তৈরি

প্রথমে সংরক্ষণের জন্য টিনের চালায় রাখা হয় গোবর। তারপর সেই গোবর হালকা শুকিয়ে রিং বা হাউসে কয়েক দিন রাখার পরই তাতে কেঁচো দিয়ে ৩৫ থেকে ৪০ দিন রাখার পর উৎপাদিত হয় ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সার।

দীপক বিশ্বাস ব্যক্তিগত চাষাবাদের প্রয়োজনে ২০২৪ সালের মার্চ মাসে শুরু করেন ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন। বাড়ির আঙিনায় পরিত্যক্ত জায়গায় ছোট পরিসরে শুরু করলেও বর্তমানে চাহিদা থাকায় উৎপাদন করছেন বাণিজ্যিকভাবে।

বাড়িতে প্যাকেটজাত করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করছেন তিনি। রাসায়নিক সার বর্জন করে তার উৎপাদিত এ জৈব সার শীতকালীন সবজি চাষে ব্যবহার করছেন চাষিরা। ফলে বিষমুক্ত হচ্ছে সবজি।

দীপক বিশ্বাস বলেন, ‘কৃষি অফিসের পরামর্শে আমি কেঁচো সার উৎপাদন শুরু করি। প্রথম পর্যায়ে কৃষি অফিস আমাকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করে। গোবর দিয়ে এ সার উৎপাদনে আমার তেমন কোনো খরচ নেই।

‘এ সার দিয়ে আমি আমার নিজের বাগানের চাহিদা পূরণ করে স্থানীয় বাজারে বিক্রি করছি। গ্রামের অধিকাংশ লোক এখান থেকে সার নিয়ে শীতকালীন সবজি উৎপাদন করছেন।’

কৃষক পলাশ শেখ বলেন, ‘আমি ২৬ শতক জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ করেছি। এখানে কোনো রাসায়নিক সার দেয়া হয়নি।

‘অল্প টাকায় দীপকের বাড়ি থেকে জৈব সার কিনে এনে ব্যবহার করছি। সবজির ফলনও ভালো হয়েছে।’

সিংগিয়া গ্রামের হাসিবুর ইসলাম বলেন, ‘ফুলকপি, বাঁধাকপি ও বস্তা পদ্ধতিতে আমি শিম চাষ করেছি। সব ধরনের ফসলে আমি এ কেঁচো সার দিয়েছি। আশা করছি ভালো ফলন হবে।’

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রোকনুজ্জামান বলেন, ‘সবজি চাষে রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমিয়ে জৈব সারের প্রাধান্য দিলে উৎপাদিত সবজি হবে বিষমুক্ত। অপরদিকে মাটির গুণাবলী বাড়বে।

‘তার এই সার উৎপাদন দেখে স্থানীয় অনেকেই এগিয়ে আসবে এবং তার মতো স্বাবলম্বী হবে।’

আরও পড়ুন:
বিনা মূল্যে বাংলাদেশকে ৩০ হাজার টন সার দিচ্ছে রাশিয়া
সারদায় এএসপিদের সমাপনী কুচকাওয়াজ ফের স্থগিত, আটকালেন এসআইরাও
দুদক সার্চ কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন
শুধু নির্বাচনের জন্য এই অভ্যুত্থান হয়নি: সিলেটে সারজিস
হত্যাচেষ্টা মামলায় শমী কায়সার তিনদিনের রিমান্ডে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bakribi researchers claim to produce vinegar from wild dates

বন্য খেজুর থেকে ভিনেগার উৎপাদনের দাবি বাকৃবি গবেষকের

বন্য খেজুর থেকে ভিনেগার উৎপাদনের দাবি বাকৃবি গবেষকের বন্য খেজুর থেকে ভিনেগার উৎপাদন প্রক্রিয়া ও এর সঙ্গে যুক্ত গবেষণা দলের দুই সদস্য। ছবি: ইউএনবি
ভিনেগার তৈরির এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কর্মসংস্থান ও মাঠ পর্যায়ে সফলতা সম্পর্কে এ অধ্যাপক বলেন, ‘এই গবেষণা স্থানীয় কৃষকদের জন্য একটি নতুন আয় সৃষ্টির পথ খুলতে পারে। একদিকে খেজুর থেকে তৈরি ভিনেগারের উচ্চমান এবং পুষ্টিগুণ সম্পন্ন হওয়ায় বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের স্থানীয় কৃষিপণ্যের চাহিদা বাড়াতে সাহায্য করবে।’

বন্য খেজুর থেকে পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে ভিনেগার উৎপাদনের দাবি করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফুড টেকনোলজি ও গ্রামীণ শিল্প বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আনিছুর রহমান মজুমদার ও তার গবেষক দল।

বন্য খেজুর থেকে ভিনেগার তৈরি বাংলাদেশের খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের জন্য একটি নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে বলেও মন্তব্য করেন এ অধ্যাপক।

গবেষক আনিছুর রহমান বলেন, ‘বন্য খেজুর থেকে ভিনেগার উৎপাদনে প্রক্রিয়াকরণের জন্য গাজন প্রক্রিয়াটি পরিবেশবান্ধব। স্থানীয় কৃষিসম্পদ কাজে লাগিয়ে এবং অপচয় কমিয়ে এ পদ্ধতি খাদ্য উৎপাদনের কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমাতেও সহায়ক হতে পারে। গবেষণাটি বাংলাদেশের বৃহত্তর টেকসই উন্নয়ন এবং খাদ্য নিরাপত্তার লক্ষ্যগুলোর সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।’

উৎপাদিত ভিনেগারটির দেশের বাজারে প্রভাব সম্পর্কে অধ্যাপক আনিছুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে এই গবেষণার ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। ভিনেগার উৎপাদন কেবল খাদ্য ও পানীয় হিসেবে ব্যবহারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি প্যাকেজিং, কসমেটিক ও ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্পেও ব্যবহৃত হতে পারে।

‘বিশেষ করে স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের কাছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও পুষ্টিকর ভিনেগারের চাহিদা বাড়ছে, যা বাজারে এর গ্রহণযোগ্যতা বাড়াবে।’

বাংলাদেশে বিগত কয়েক বছরে খাদ্য নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য স্থানীয় কৃষি সম্পদের টেকসই ব্যবহারের ওপর বাড়তি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে উল্লেখ করে অধ্যাপক আনিছুর বলেন, ‘বাংলাদেশে বন্য খেজুর ইদানীং ব্যাপকভাবে পাওয়া যাচ্ছে। এটি বেশ সস্তা ও স্থানীয়ভাবে সহজলভ্য।

‘এই খেজুর গাছ সাধারণত গ্রামীণ এলাকায় এবং রাস্তার পাশের জমিতে পাওয়া যায়, তবে নানা পুষ্টি উপাদানে সমৃদ্ধ হওয়ার পরও এই বন্য খেজুর দেশের প্রেক্ষাপটে অনেকটাই অব্যবহৃত একটি সম্পদ।’

গবেষণা পদ্ধতি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক আনিছুর বলেন, ‘বন্য খেজুরের রস ফারমেন্টেশন প্রক্রিয়া মাধ্যমে ভিনেগারে পরিণত করা হয়েছে। এ গবেষণায় এক ধরনের ইস্ট ব্যবহার করে ওই রসে অ্যালকোহল তৈরি করা হয় এবং পরে অ্যাসিটোব্যাক্টর প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া দিয়ে অ্যালকোহলকে অ্যাসিটিক অ্যাসিডে রূপান্তর করা হয়।’

গবেষক আরও বলেন, ‘গবেষণায় দেখা গেছে যে, রসের ঘনত্ব যত বেশি হয়, তত বেশি অ্যালকোহল ও অ্যাসিডিটি বৃদ্ধি পায়। বেশি ঘনত্বের রসটি সবচেয়ে ভালো পুষ্টিগুণ, অ্যাসিডিটি ও ম্যাক্রো মিনারেলস (পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, সোডিয়াম) সমৃদ্ধ হয়। তাই এটি স্বাস্থ্য সচেতন ভোক্তাদের জন্য একটি আকর্ষণীয় পণ্যও বটে।’

গবেষণাটি বিশ্ববিখ্যাত প্রকাশনা এলসভিয়ারের নামী সাময়িকী অ্যাপ্লায়েড ফুড রিসার্চে সম্প্রতি প্রকাশ হয়েছে।

ভিনেগার তৈরির এ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কর্মসংস্থান ও মাঠ পর্যায়ে সফলতা সম্পর্কে এ অধ্যাপক বলেন, ‘এই গবেষণা স্থানীয় কৃষকদের জন্য একটি নতুন আয় সৃষ্টির পথ খুলতে পারে। একদিকে খেজুর থেকে তৈরি ভিনেগারের উচ্চমান এবং পুষ্টিগুণ সম্পন্ন হওয়ায় বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের স্থানীয় কৃষিপণ্যের চাহিদা বাড়াতে সাহায্য করবে।’

অধ্যাপক আনিছুর রহমানের নেতৃত্বে বাকৃবি, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (সিকৃবি) ও ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) আরও ছয় জন গবেষক এই প্রকল্পে যুক্ত ছিলেন। বাকৃবি থেকে গবেষক দলে রয়েছেন ফুড টেকনোলজি ও গ্রামীণ শিল্প বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলিম, একই বিভাগের অধ্যাপক ড. পলি কর্মকার এবং ওই বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্নকারী শিক্ষার্থী উম্মে হাবিবা ও আ ন ম ইফতেখার আলম।

এ ছাড়া সিকৃবির খাদ্য প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ফাহাদ জুবায়ের এবং ডুয়েটের ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক লোপা আনসারী গবেষক দলে যুক্ত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
ব্রহ্মপুত্রের বালুতে মিলেছে ৬টি মূল্যবান খনিজ পদার্থ
শুল্ক ১০ শতাংশ কমলেও খেজুরের দাম নাগালের বাইরে
সুস্থ থাকতে দিনে কতটুকু হাঁটলেই চলে, কী বলছে গবেষণা?
সৌদির খেজুরে হাসি আইনজীবী জাকিরের
খেজুরের স্বাস্থ্যগত ৭ উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
India opens and closes sluice gates at will finance adviser

ভারত ইচ্ছেমতো স্লুইস গেট খোলে আর বন্ধ করে: অর্থ উপদেষ্টা

ভারত ইচ্ছেমতো স্লুইস গেট খোলে আর বন্ধ করে: অর্থ উপদেষ্টা অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সেমিনারে বক্তব্য দেন। ছবি: সংগৃহীত
ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নিজেদের মধ্যে পলিটিকাল ইস্যু থাকতে পারে, কিন্তু নদীর পানির হিস্যা নীতি ছিল। ভারতের কোনো যুক্তিই নেই আমাদের পানি না দেয়ার। এটা নিয়ে ভারতকে চাপ দিতে হবে।’

অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, নিজেদের মধ্যে পলিটিকাল ইস্যু থাকতে পারে, কিন্তু নদীর পানির হিস্যা নীতি ছিল। ভারতের কোনো যুক্তিই নেই আমাদের পানি না দেয়ার। এটা নিয়ে ভারতকে চাপ দিতে হবে।

শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘উজানে যৌথ নদীর পানি প্রত্যাহার: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বিপর্যয়’ শীর্ষক এই সেমিনারের আয়োজন করে আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি, বাংলাদেশ।

ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ভারতে যখন পানির চাপ থাকে তখন আমাদের এদিকে স্লুইস গেটগুলো খুলে দেয়। আবার ওখানে যখন পানির স্বল্পতা থাকে তখন গেটগুলো বন্ধ করে দেয়।

‘তারা ইচ্ছেমতো এটা করছে। আর সেজন্য আমরা পানি পাচ্ছি না। এতে করে আমাদের চাষাবাদে সমস্যা হচ্ছে। দিন দিন মরুভূমির মতো হয়ে হচ্ছে। গ্রাউন্ড ওয়াটার লেভেল নেমে যাচ্ছে। আমরা আর কত সহ্য করব।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যে কাজগুলো করছি সেগুলো অনেক চ্যালেঞ্জিং। এগুলোতে জনগণের সাপোর্ট প্রয়োজন। শুধু ফারাক্কা নয়; অভিন্ন আরও যে ৫৪টি নদী আছে, সেগুলো থেকে যাতে ন্যায্য হিস্যা অনুযায়ী বাংলাদেশ পানি পায় সেজন্য আমরা কাজ করব।’

আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির সমন্বয়ক মোস্তফা কামাল মজুমদারের সভাপতিত্বে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন নিউ ইয়র্কের আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির চেয়ারম্যান সৈয়দ টিপু সুলতান, আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক জসিম উদ্দিন আহমাদ, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু প্রমুখ।

আরও পড়ুন:
চাঁদাবাজের এক দল গেলে আরেক দল আসে: অর্থ উপদেষ্টা
রাঘববোয়ালদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা আরও দৃশ্যমান হবে: অর্থ উপদেষ্টা
হাজার টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত সহজে নেয়া যাবে না: অর্থ উপদেষ্টা
বাংলাদেশে চলমান সব প্রকল্প অব্যাহত রাখবে জাপান: অর্থ উপদেষ্টা
দেশের অর্থনীতির গতি থেমে যায়নি, মন্থর হয়ে আছে: অর্থ উপদেষ্টা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Russia is giving 30 thousand tons of fertilizer to Bangladesh free of cost

বিনা মূল্যে বাংলাদেশকে ৩০ হাজার টন সার দিচ্ছে রাশিয়া

বিনা মূল্যে বাংলাদেশকে ৩০ হাজার টন সার দিচ্ছে রাশিয়া সারের স্তূপ করা বস্তা। ছবি: বাসস
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, উরাচেম গ্রুপ বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির আওতায় বন্ধুত্ব ও গভীর আন্তরিকতার নিদর্শন হিসেবে সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে বাংলাদেশকে এ সার দেবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিনা মূল্যে বাংলাদেশকে ৩০ হাজার টন পটাশ সার দেবে রাশিয়া।

দেশটির উরাচেম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী দিমিত্রি কনিয়েভ স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে কৃষি মন্ত্রণালয়কে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

কৃষি মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানায়।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, উরাচেম গ্রুপ বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির আওতায় বন্ধুত্ব ও গভীর আন্তরিকতার নিদর্শন হিসেবে সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে বাংলাদেশকে এ সার দেবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

ঢাকায় রুশ ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত একেতেরিনা সেমেনোভা বুধবার এ সংক্রান্ত একটি চিঠি কৃষি উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর কাছে হস্তান্তর করেন।

ওই চিঠির উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাশিয়ার পিজেএসসি ইউরালকালি বিশ্বের মধ্যে অন্যতম পটাশ সার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। ২০১৩ সাল থেকে পিজেএসসি ইউরালকালি জিটুজি ভিত্তিতে জেএসসি বৈদেশিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার অংশ হিসেবে বাংলাদেশে এক মিলিয়ন টনেরও বেশি এমওপি সার সরবরাহ করে।

আরও পড়ুন:
হত্যাচেষ্টা মামলায় শমী কায়সার তিনদিনের রিমান্ডে
শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে আরও ৫৮ ক্যাডেট এসআইকে অব্যাহতি
নির্বাচন কমিশন গঠনে ৭ নভেম্বরের মধ্যে নাম আহ্বান
‘ইসি গঠনে সৎ, যোগ্য ও দক্ষদের নাম অগ্রাধিকার পাবে’
নির্বাচন কমিশন গঠনে ৬ সদস্যের সার্চ কমিটি 

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Special train for agricultural products from Chapainawabganj suspended

চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে কৃষিজাত পণ্যের জন্য বিশেষ ট্রেন স্থগিত

চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে কৃষিজাত পণ্যের জন্য বিশেষ ট্রেন স্থগিত কৃষিপণ্য নিয়ে গত ২৬ অক্টোবর থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-ঢাকা রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। ছবি: ইউএনবি
ট্রেনটির প্রতি শনিবার কৃষিপণ্য পরিবহন করার কথা ছিল। ঢাকার তেজগাঁও স্টেশনে পৌঁছানোর আগে নাচোল ও আমনুরা জংশনসহ ১৩টি স্টেশনে যাত্রাবিরতি করার কথা ছিল।

নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে কৃষিপণ্য কম খরচে ঢাকায় পরিবহনের লক্ষ্যে চালু করা বিশেষ ট্রেন স্থগিত করা হয়েছে।

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান বাণিজ্যিক ব্যবস্থাপক সুজিত কুমার বিশ্বাস জানান, শুক্রবার রাতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সবাইকে অবহিত করে।

গত ২৬ অক্টোবর থেকে কৃষিপণ্য নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-ঢাকা রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।

ট্রেনটির প্রতি শনিবার কৃষিপণ্য পরিবহন করার কথা ছিল। ঢাকার তেজগাঁও স্টেশনে পৌঁছানোর আগে নাচোল ও আমনুরা জংশনসহ ১৩টি স্টেশনে যাত্রাবিরতি করার কথা ছিল।

প্রথম দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর স্টেশন থেকে কোনো ধরনের কৃষিপণ্য ছাড়াই ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় বিশেষ ট্রেনটি।

বিশেষ ট্রেন চালুর পর চাষিদের কাছ থেকে কোনো সাড়া মেলেনি জানিয়ে সুজিত বলেন, ‘তারা ট্রেনে করে কৃষিপণ্য পরিবহনে আগ্রহী নয়। কর্তৃপক্ষ এটি স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
ছিনতাইয়ের অভিযোগে দুজনকে পিটিয়ে হত্যা
ট্রেনের সময়সূচিতে বিপর্যয় কাটেনি, ২ ট্রেনের যাত্রা বাতিল
১১ ঘণ্টা পর খুলনার সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
সাড়ে ৮ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহে ট্রেন চলাচল শুরু
চলন্ত ট্রেন থেকে ইঞ্জিন বিচ্ছিন্ন, ভয়াবহ দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Livestock advisor calls for egg to be declared essential food

ডিমকে অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য ঘোষণার আহ্বান প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার

ডিমকে অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য ঘোষণার আহ্বান প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে (কেআইবি) শুক্রবার দুপুরে বিশ্ব ডিম দিবস-২০২৪ আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। ছবি: ইউএনবি
ডিমের উৎপাদন বাড়াতে গ্রামের নারীদের হাঁস-মুরগি পালনে উৎসাহিত করতে আহ্বান জানিয়ে ফরিদা আখতার বলেন, ‘আগে গ্রামীণ নারীরা হাঁস-মুরগি পালন করতেন। গ্রামেই পাইকারদের কাছে বিক্রি করতেন। এতে তারা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারতেন। ‘সেই অবস্থা আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। এ জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে।’

ডিমকে অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য হিসেবে ঘোষণার আহ্বান জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, ডিম সহজলভ্যতার দিক থেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, ডিম প্রাপ্যতার কোনো বৈষম্য থাকবে না। সব শ্রেণি-বর্ণ নির্বিশেষে যাদের ডিম বেশি দরকার, তাদের জন্য তা সরবরাহ করতে হবে।

তিনি জানান, ডিমের মূল্য কমাতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে (কেআইবি) শুক্রবার দুপুরে বিশ্ব ডিম দিবস-২০২৪ আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

ডিমের উৎপাদন বাড়াতে গ্রামের নারীদের হাঁস-মুরগি পালনে উৎসাহিত করতে আহ্বান জানিয়ে ফরিদা আখতার বলেন, ‘আগে গ্রামীণ নারীরা হাঁস-মুরগি পালন করতেন। গ্রামেই পাইকারদের কাছে বিক্রি করতেন। এতে তারা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারতেন। ‘সেই অবস্থা আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। এ জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে।’

উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বছরের আশ্বিন-কার্তিক মাসে সবজির সরবরাহ কমে যাওয়ায় ডিমের চাহিদা বাড়ে। ডিম সাধারণ খামারি থেকে কয়েক দফা হাত বদল হয়ে ভোক্তার কাছে যায়। এ কারণেই ডিমের দাম বেড়ে যায়।’

তিনি বলেন, ‘এ জন্য উৎপাদক থেকে ভোক্তা পর্যন্ত সরাসরি কীভাবে ডিম পৌঁছানো যায়, সে ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চলছে। এ ছাড়া রমজানে ডিমের ব্যবহার কমে যায়।

‘তাই মজুত নয়, চাহিদার আলোকে আমাদের কোল্ডস্টোরেজ করার চিন্তা করতে হবে। বন্যার কারণে দেশের অনেক খামার নষ্ট হয়েছে। এসব খামার উৎপাদনে যেতে কিছুটা সময় লাগছে। সব মিলিয়ে সরবরাহে সমস্যা হচ্ছে।’

সিন্ডিকেটের কারণে ডিমের মূল্য বাড়ে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এসব বিষয় নিয়ে কাজ করছে সরকার। বাজারে নিয়মিত অভিযান চলছে। পাইকারিতে কিছুটা দাম কমেছে। দ্রুতই দাম নাগালে আসবে।’

আরও পড়ুন:
শেখ হা‌সিনা ভারতে না অন্য কোথাও, জানে না সরকার
পূজার নিরাপত্তা নিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে উস্কানিমূলক খবর প্রচার হচ্ছে
সাত প্রতিষ্ঠানকে সাড়ে ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি
অংশীজনের পরামর্শের ভিত্তিতে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন: তথ্য উপদেষ্টা
সরকার বিদেশি অর্থায়নের প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে

মন্তব্য

p
উপরে