× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
New radar in unprotected Shahjalal for two more years
google_news print-icon

অরক্ষিত শাহজালালে নতুন রাডার পেতে আরও দুই বছর

অরক্ষিত-শাহজালালে-নতুন-রাডার-পেতে-আরও-দুই-বছর
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৩০ বছরের পুরনো রাডারটি কার্যক্ষমতা হারিয়েছে অনেক আগে। এটি দিয়ে আকাশপথে ঠিকমতো নজরদারি চালানো যায় না। দেশের প্রত্যন্ত এলাকার দিয়ে কোনো আকাশযান উড়ে গেলে তা জানতে পারছে না বাংলাদেশ। এতে আকাশপথের সার্বভৌমত্ব ঝুঁকির মুখে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

দেশের আকাশপথের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পেতে বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হবে আরও অন্তত দুই বছর। সরকার বলছে, আকাশপথে নজরদারি ও নেভিগেশন প্রযুক্তি আধুনিকায়নে ফ্রান্স থেকে যে রাডার কেনার কথা ছিল, সেটি অল্প কিছু সময়ের মধ্যে তৈরি করবে থ্যালাস নামে একটি প্রতিষ্ঠান।

এটি তৈরি প্রক্রিয়া শেষ হতে পারে ২০২৩-২৪ সাল নাগাদ। এরপরেই এটি স্থাপন করা হবে দেশের প্রধান বিমানবন্দর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘রাডারের ব্যাপারে আমাদের অ্যাগ্রিমেন্ট হয়েছে, সব কিছুই চূড়ান্ত হয়েছে। থ্যালাসের সাথে চুক্তি হয়েছে। ওয়ার্ক অর্ডারও হয়েছে। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা।

‘রাডার তারা তৈরি করে দেবে। আমরা অনেক দূর অগ্রসর হয়েছি। রাডার স্থাপন করা হবে নতুন টার্মিনালের পাশে।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের বছর দুয়ের সময় লাগবে। তারা এটা তৈরি করে তারপর আমাদের দেবে। এখন তৈরির কাজ প্রায় শুরুর পথে। আমরা এরই মধ্যে সবগুলো প্রক্রিয়া শেষ করে এনেছি। অ্যাগ্রিমেন্ট ও প্রাইজ নেগোসিয়েশনও শেষ হয়েছে।

‘এখন শুধু তৈরি বাকি। আশা করছি, দুই বছরের মধ্যে এটি তৈরি শেষ হবে। ২০২৩-২৪ সালের মধ্যে এটি এখানে স্থাপন করা হবে বলে আমরা আশা করছি।’

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যে রাডার রয়েছে, এটি কার্যক্ষমতা হারিয়েছে অনেক আগে। প্রায় ৩০ বছর আগে স্থাপন করা এ রাডার দিয়ে আকাশপথে নজরদারি চালাতে হিমশিম খেতে হয় এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলাকে। তার ওপর সুন্দরবন ও পার্বত্য চট্টগ্রামের কিছু অঞ্চল ও বঙ্গোপসাগরে নতুন নিয়ন্ত্রণে আসা বিস্তীর্ণ এলাকা এর আওতার বাইরে থাকায় সে এলাকায় কোনো আকাশযান উড়ে গেলে তা জানতে পারছে না বাংলাদেশ। এতে আকাশপথের সার্বভৌমত্ব ঝুঁকির মুখে পড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এ ছাড়া নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা দেশের আকাশসীমায় কোনো আকাশযান চলাচল করলে তা থেকে রাজস্বও আদায় করতে পারছে না সরকার। এসব এলাকায় রাডার কাভারেজ দিয়ে আয় করছে ভারত ও মিয়ানমার। ফলে বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

এয়ারলাইন্সগুলো বলছে, পুরনো রাডার দিয়ে সব ক্ষেত্রে সেবা নিশ্চিত করতে পারছে না বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

এভিয়েশন অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব মফিজুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখন যে রাডারটা আছে, এটা অত্যন্ত পুরনো। বারবার মেরামত করে এটি চালানো হচ্ছিল। আরও অন্তত ১০ থেকে ১৫ বছর আগেই এটা পরিবর্তন করা প্রয়োজন ছিল।

‘নতুন রাডারের সাথে নতুন এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলও আসবে। এটি হলে এয়ারলাইন্সগুলোর সেবা প্রাপ্তি আরও সহজ ও নিরাপদ হবে।’

সারাবিশ্বে এখন ড্রোন দিয়ে অন্য দেশের উপর নজরদারির প্রবণতা বাড়ছে। শাহজালালে থাকা রাডারটি পুরাতন প্রযুক্তির হওয়ায় দেশের আকাশসীমায় নিচু দিয়ে উড়ে যাওয়া কোনো আকাশযান বা ড্রোন সনাক্ত করা যাচ্ছে না। এতে দেশের নিরাপত্তাও ঝুঁকির মুখে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। নতুন রাডার কাজ শুরু করলে এ সংকট আর থাকবে না বলে আশ্বস্ত করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।

তিনি বলেন, ‘এটা এলে আমাদের টেরিটোরিয়াল ওভারফ্লাইং চার্জ আমরা আরোপ করতে পারব। আমাদের টেরিটরির বাইরের অনেক অংশেও আমরা নজরদারি চালাতে পারব। রাডারের যে কাজ, বিশেষ করে বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে নেভিগেশন দেয়া, সেটিতেও আধুনিকায়ন আসবে।

‘ড্রোন দিয়ে যদি কেউ আমাদের এখানে নজরদারি চালাতে চায় বা অনুনোমোদিত ড্রোন ঢুকে পড়ে, সেগুলো এখানে ধরা পড়বে। আকাশপথের নিরাপত্তা ও ঝুঁকির সব ক্ষেত্রে আমরা পূর্ণ নজরদারি চালাতে পারব। ড্রোনের চেয়ে ক্ষুদ্র কিছু দিয়ে নজরদারি চালালেও আমরা এটি সনাক্ত করতে পারব।’

এর আগেও একবার রাডার প্রতিস্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছিল বেবিচক। ২০১২ সালে সরকারি-বেসরকারি মালিকানার ভিত্তিতে রাডার প্রকল্প বাস্তবায়নের অনুমতি দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। অনুমোদনের পর ২০১৫ সালে দরপত্রও চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু নানা জটিলতায় বাতিল হয়ে যায় সে উদ্যোগ।

আরও পড়ুন:
‘ঘরর সামনে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর স্বপ্নের মতো লার’
সমুদ্র ছুঁয়ে উড়বে বিমান
৫০০ ডলারে মালয়েশিয়া, শাহজালালে প্রতারক আটক

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Goods and passenger crossing closed again for three days in Banglabandha

বাংলাবান্ধায় আবারও তিন দিন বন্ধ পণ্য ও যাত্রী পারাপার

বাংলাবান্ধায় আবারও তিন দিন বন্ধ পণ্য ও যাত্রী পারাপার 
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত টানা তিন দিন ইমিগ্রেশনসহ সব ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ছবি: নিউজবাংলা
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এর মাঝে ভারতীয় ফুলবাড়ী ইমিগ্রেশন দিয়ে বাংলাদেশ থেকে শুধু ভারতীয় সকল যাত্রী এবং বাংলাদেশের জরুরি মেডিক্যাল যাত্রী ভারতে প্রবেশ করতে পারবেন। একই সঙ্গে ভারত থেকে সব বাংলাদেশি যাত্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবেন, তবে কোনো টুরিস্ট যাত্রী এ সময়ে ভারতে প্রবেশ করতে পারবেন না।

ভারতের দার্জিলিংয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া লোকসভার সাধারণ নির্বাচনের কারণে বুধবার থেকে টানা তিন দিন পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে ইমিগ্রেশনসহ সব ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

ভারতের দার্জিলিং জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা কালেক্টর এবং নির্বাচন অফিসার প্রীতি গোয়েলের স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বুধবার থেকে শুক্রবার (২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল) পর্যন্ত টানা তিন দিন ইমিগ্রেশনসহ সব ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এর মাঝে ভারতীয় ফুলবাড়ী ইমিগ্রেশন দিয়ে বাংলাদেশ থেকে শুধু ভারতীয় সকল যাত্রী এবং বাংলাদেশের জরুরি মেডিক্যাল যাত্রী ভারতে প্রবেশ করতে পারবেন। একই সঙ্গে ভারত থেকে সব বাংলাদেশি যাত্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারবেন, তবে কোনো টুরিস্ট যাত্রী এ সময়ে ভারতে প্রবেশ করতে পারবেন না।

বন্ধের পর আগামী ২৭ এপ্রিল থেকে আবারও স্বাভাবিক হবে বন্দরের কার্যক্রম।

পঞ্চগড় পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা ও বাংলাবান্ধা ল্যান্ডপোর্ট লিমিটেডের ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ মঙ্গলবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তারা জানান, ভারতের লোকসভা নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে তারা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এর আগে ভারতে লোকসভা নির্বাচনের কারণে ১৭, ১৮ ও ১৯ এপ্রিল পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে পাথরসহ সকল প্রকার আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ ঘোষণা করে ভারত। পাশাপাশি এ সময় ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপারও বন্ধ ছিল।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট শামা পারভীন স্বাক্ষরিত চিঠিতে ওই সময় এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

আরও পড়ুন:
বাংলাবান্ধা দিয়ে পণ্য ও যাত্রী পারাপার তিন দিন বন্ধ
চারদেশীয় বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
বিরল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শিগগিরই
দুর্গাপূজা: বাংলাবান্ধায় ৮ দিন বন্ধ আমদানি-রপ্তানি
স্থবির নাকুগাঁও স্থলবন্দর, বেকার কয়েক হাজার শ্রমিক

মন্তব্য

বাংলাদেশ
2 passengers of an autorickshaw were killed after being hit by a train in Mymensingh

ময়মনসিংহে ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত

ময়মনসিংহে ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত ময়মনসিংহে মঙ্গলবার রাতে ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হন। ছবি: নিউজবাংলা
রেলওয়ে থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, রেলক্রসিংয়ে গেট ব্যারিয়ার না ফেলার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটছে কি না তা জানতে চেষ্টা চলছে।

ময়মনসিংহে ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন।

শহরের পঁচাপুকুরপাড় এলাকায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতের মধ্যে একজন পুরুষ ও একজন নারী। তাদের পরিচয় বিস্তারিত জানা যায়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে রেলওয়ে থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ময়মনসিংহ থেকে জামালপুরের দিকে যাচ্ছিল যাত্রীবাহী ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনটি। রাত সাড়ে ১০টার দিকে ময়মনসিংহ শহরের পঁচাপুকুরপাড় এলাকা পর্যন্ত আসতেই যাত্রীবাহী একটি অটোরিকশা রেলক্রসিংয়ের ওপর উঠে পড়ে। এ সময় অটোরিকশাটিকে ট্রেন ধাক্কা দিলে সেটি দুমড়েমুচড়ে গিয়ে দুই যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।’

তিনি জানান, নিহতদের পরিচয় শনাক্তসহ রেলক্রসিংয়ে গেট ব্যারিয়ার না ফেলার কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটছে কি না তাও জানতে চেষ্টা চলছে।

আরও পড়ুন:
হিট স্ট্রোকে তিন জেলায় তিনজনের মৃত্যু
ঢাবির সুইমিংপুলে শিক্ষার্থীর মৃত্যু: তদন্তে কমিটি
ট্রেনে ভ্রমণের ভাড়া বাড়ছে, কার্যকর ৪ মে থেকে
নওগাঁয় গৃহবধূ হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
ভাতিজিকে ধর্ষণের পর হত্যার মামলায় চাচার মৃত্যুদণ্ড

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Three people died of heat stroke in three districts

হিট স্ট্রোকে তিন জেলায় তিনজনের মৃত্যু

হিট স্ট্রোকে তিন জেলায় তিনজনের মৃত্যু ফাইল ছবি
শনিবার থেকে টানা তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারির পর নতুন করে সোমবার (২২ এপ্রিল) আবারও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এই আবহাওয়া চলতি মাসজুড়ে অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

কদিন ধরেই দাবদাহে পুড়ছে দেশ। দিনভর তীব্র তাপপ্রবাহ। অসহনীয় গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। এ অবস্থায় জামালপুর, নাটোর ও কুমিল্লায় হিট স্ট্রোকে তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

জামালপুরে ব্যবসায়ীর মৃত্যু

জামালপুরের ইসলামপুরে চলমান তীব্র তাপদাহে হিট স্ট্রোক করে গোলাম রাব্বানী নামের এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে ওই ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়।

৪৮ বছর বয়সী রব্বানী উপজেলার চিনাডুলি ইউনিয়নের পশ্চিম গিলাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা। তিনি গুঠাইল বাজারে কাঁচামালের ব্যবসা করতেন।

নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, কয়েক দিনের চলমান তীব্র তাপদাহের কারণে এদিন সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বাড়িতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন গোলাম রাব্বানী। পরে তাকে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান। হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এএএম আবু তাহের বলেন, ‘গোলাম রাব্বানীকে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। অতিরিক্ত গরমে হিট স্ট্রোকেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে আমার ধারণা।’

বড়াইগ্রামে কৃষকের মৃত্যু

নাটোরের বড়াইগ্রামে কৃষিখেতে কাজ করার সময় হিট স্ট্রোক করে রকুল হোসেন নামের এক কৃষকের মুত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার চান্দাই ইউনিয়নের সাতইল বিলে এই ঘটনা ঘটে।

৩০ বছর বয়সী রকুল উপজেলার গাড়ফা উত্তরপাড়া গ্রামের হাজী আব্দুর রহিমের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চান্দাই ইউপি চেয়ারম্যান শাহানাজ পারভীন বলেন, ‘সকাল থেকে জমিতে কাজ করছিল কৃষক রকুল হোসেন। এক পর্যায়ে তীব্র দাবদাহ সহ্য করতে না পেরে তিনি পাশের জলাশয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু সেখানে পোঁছানোর আগেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। পরে স্থানীয়রা বিষয়টি দেখতে পেয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়।’

বুড়িচংয়ে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু

তীব্র গরমে কাজ করতে গিয়ে কুমিল্লার বুড়িচংয়ে হিট স্ট্রোক করে মজিবুর রহমান নামের এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বুড়িচং উপজেলা সদরের ব্যবসায়ী মো. রুহুল আমিনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

৪৫ বছর বয়সী মজিবুর রহমান উপজেলার জগতপুর গ্রামের আলফাজ উদ্দিনের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, এদিন সকাল নয়টার দিকে রুহুল আমিনের বাড়িতে কাজ করতে যান মজিবুর। কিছুক্ষণ পর ভবনের বেইজ কাটার সময় হিটস্ট্রোক করেন তিনি। স্থানীয়রা তাকে সঙ্গে সঙ্গে বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বুড়িচং থানার এসআই মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘মরদেহের গায়ে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। ফলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি স্ট্রোক করে মারা গিয়েছেন। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসলে মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা যাবে।’

গত ১১ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া তাপপ্রবাহ সারা দেশে এখনও অব্যাহত রয়েছে। শনিবার থেকে টানা তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারির পর নতুন করে সোমবার (২২ এপ্রিল) আবারও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। এসময় বন্ধ রাখা হয়েছে স্কুল, কলেজ, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও। আদালতেও আইনজীবীদের কালো পোশাক পরা শিথিল করা হয়েছে।

এই আবহাওয়া চলতি মাসজুড়ে অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ঈশ্বরদীতে ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন অর্থাৎ সোমবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল খুলনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গায় ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

শনিবার মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় যশোরে। সেদিন চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার তাপমাত্রাও ছিল ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাব অনুসারে, সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হলে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
173 Bangladeshis are returning from Myanmar prisons

মিয়ানমারের কারাগার থেকে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি

মিয়ানমারের কারাগার থেকে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি ছবি: সংগৃহীত
এসব বাংলাদেশিকে বহনকারী জাহাজটি বুধবার দেশের সমুদ্রসীমায় পৌঁছবে। তাদের মধ্যে ১২৯ জন কক্সবাজার, ৩০ জন বান্দরবান, সাতজন রাঙ্গামাটি এবং খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, নরসিংদী ও নীলফামারী জেলার একজন করে বাসিন্দা রয়েছেন।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের সিতোয়ে কারাগার থেকে ১৭৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরছেন। মঙ্গলবার ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে।

একই দিন সকালে এসব বাংলাদেশি নাগরিককে নিয়ে মিয়ানমারের নৌ-জাহাজ চিন ডুইন সিতোয়ে বন্দর ত্যাগ করেছে। জাহাজটি রাখাইন রাজ্যে সংঘাতের কারণে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আসতে বাধ্য হওয়া মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে কক্সবাজারে আসছে।

বুধবার জাহাজটি বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় পৌঁছবে এবং পরে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বাংলাদেশের নাগরিকদের হস্তান্তর করা হবে।

দূতাবাস জানায়, বাংলাদেশি ১৭৩ জনের মধ্যে ১২৯ জন কক্সবাজার, ৩০ জন বান্দরবান, সাতজন রাঙ্গামাটি এবং খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, নরসিংদী ও নীলফামারী জেলার একজন করে বাসিন্দা রয়েছেন।

ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাস মিয়ানমারের জাহাজটির বাংলাদেশ সফরে যাওয়ার তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশের পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মিয়ানমারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি তুলে ধরে। সর্বোচ্চসংখ্যক যাচাই করে বাংলাদেশি নাগরিকদের দ্রুত ও সহজে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনায় দূতাবাস মিয়ানমারের বিভিন্ন কারাগারে অবস্থানরত ১৪৪ জন ‘যাচাই করা বাংলাদেশি নাগরিক, যাদের কারাভোগের মেয়াদ পূর্ণ হয়েছে বা ক্ষমা পেয়েছেন’ তাদেরকে সিতোয়ে কারাগারে আনার উদ্যোগ নেয়।

পাশাপাশি আরও ২৯ জন যাচাই করা বাংলাদেশি নাগরিক, যারা এখনও কারাভোগ করছেন কিংবা বিচারাধীন, একইসঙ্গে তাদেরও মুক্তি দেয়ার বিষয়টি মিয়ানমারের কাছে তুলে ধরা হয়। এর ভিত্তিতে সাজা মওকুফ করে তাদেরকেও দেশে পাঠানো হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, সবশেষ গত বছরের ৩ অক্টোবর দুই দেশের সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মিয়ানমারে কারাভোগ শেষ করা ২৯ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন:
মিয়ানমার নৌবাহিনীর গুলিতে আহত বাংলাদেশি দুই জেলে
রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতা: জবাবদিহির পরিবেশ সৃষ্টিতে জোর জি-৭ দেশগুলোর
বাংলাদেশে আশ্রয়ের জন্য ঢুকল বিজিপির আরও ১৩ সদস্য
বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে মোট ২৬১ বিজিপি সদস্য
গোপনে ঢুকছে রোহিঙ্গারা, সীমান্তে অপেক্ষায় আরও

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two engineers of Paubo arrested with bribe money

‘ঘুষের’ টাকাসহ পাউবোর দুই প্রকৌশলী আটক

‘ঘুষের’ টাকাসহ পাউবোর দুই প্রকৌশলী আটক কোলাজ: নিউজবাংলা
বন্ধ কক্ষে সরকারি অফিসে ঠিকাদারের সঙ্গে কীসের অর্থ লেনদেন হচ্ছে, তা জানতে চান সাংবাদিকরা, কিন্তু প্রশ্নের সদুত্তর দিতে ব্যর্থ হন উপস্থিত প্রকৌশলী ও ঠিকাদাররা। বিষয়টি সন্দেজনক মনে হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেন সাংবাদিকরা।

পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডে (পাউবো) বিপুল পরিমাণ টাকাসহ দুই উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া পুলিশ আসার খবর পেয়ে আগেই পালিয়ে যান ঠিকাদার রাজীব ও কনকসহ কয়েকজন। এ সময় ওই দুই কর্মকর্তার কাছ থেকে ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।

মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে পাবনা পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে তাদের আটক করা হয়। দিনভর নানা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সন্ধ্যায় তাদের পাবনা সদর থানা পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়।

আটককৃতরা হলেন- দাপুনিয়া ইউনিয়নের টিকশাইল গ্রামের বাসিন্দা পাবনা পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মাসুদ রানা এবং কুমিল্লার মেঘনা থানার শিবনগরের বাসিন্দা ও পাবনা পাউবোর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) মোশাররফ হোসেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকালে ঠিকাদার ও কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে পাবনা পাউবোতে অনুসন্ধানে যান কয়েকজন সাংবাদিক। সেখানে উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মাসুদ রানার কক্ষে গেলে ওই কক্ষ ভেতর থেকে বন্ধ পাওয়া যায়। কয়েকবার ধাক্কা দেয়ার পর মাসুদ রানা দরজা খোলেন। কক্ষে ঠিকাদার ও স্থানীয় কমিশনার আরিফুজ্জামান রাজিব ও উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোশাররফসহ কয়েকজনকে দেখা যায়। এ সময় টেবিলে বিপুল অর্থও দেখতে পান সাংবাদিকরা। এরপরই আরেক ঠিকাদার কনক হাজির হন।

সরকারি অফিসে ঠিকাদারের সঙ্গে বন্ধ কক্ষে কীসের অর্থ লেনদেন হচ্ছে, তা জানতে চান সাংবাদিকরা, কিন্তু প্রশ্নের সদুত্তর দিতে ব্যর্থ হন তারা। বিষয়টি সন্দেজনক মনে হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেন ওই সাংবাদিকরা। পুলিশ এসে পৌঁছানোর আগেই দুই ঠিকাদার পালিয়ে যান। পরে পুলিশ এসে দুই প্রকৌশলীকে আটক করে এবং দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) খবর দেয়।

তাদের সেখানেই দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করে তথ্য সংগ্রহ করে দুদক ও পুলিশ। পরে সন্ধ্যার দিকে তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

তানভীর আহমেদ দীপ নামের পাবনা পাউবোর এক ঠিকাদার বলেন, ‘আটক দুইজন হয়ত ষড়যন্ত্রের শিকার হতে পারে। কারণ তারা মাত্র কয়েকমাস এখানে এসেছেন। এত দ্রুত এসব টাকা লেনদেন করবে, এটা অসম্ভব বলে মনে হচ্ছে। কোনো ঠিকাদার তাদের কাছ থেকে সুবিধামতো কাজ (প্রকল্প) না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের ষড়যন্ত্রমূলকভাবে হয়ত ফাঁসিয়েছে।’

আনিছুর রহমান মারুফ নামের আরেক ঠিকাদার বলেন, ‘প্রত্যেক অফিসের কাজে কর্মকর্তাদের বিশেষ কমিশন দিতে হয়। কাজের শুরু থেকে ধাপে ধাপে এসব টাকা দিতে হয়। না দেয়া হলে বিল আটকে দেয়া হয়।’

পাবনা পাউবোর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুদক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বিষয়টি দেখছে। কোথাকার টাকা, কীভাবে লেনদেন হলো- সেসব বিষয়ে খোঁজ নিয়ে সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

পাবনা সদর থানার ওসি রওশন আলী বলেন, ‘পাবনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ ফোন করে জানান যে সেখানে ঘুষের টাকা লেনদেন হচ্ছে। খবর পেয়ে আমরা সেখানে গিয়ে ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকাসহ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে এসেছি। তাদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। সত্যতা পেলে দুই প্রকৌশলী ও ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে দুদককে অবহিত করা হয়েছে। তারা বিষয়টি অনুসন্ধান করবে।’

এ বিষয়ে দুদক, পাবনা শাখার কর্মকর্তারা মন্তব্য করতে রাজি হননি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Emir of Qatar leaves Dhaka

কাতারের আমিরের ঢাকা ত্যাগ

কাতারের আমিরের ঢাকা ত্যাগ কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি দু’দিনব্যাপী বাংলাদেশ সফর শেষে মঙ্গলবার বিকেলে ঢাকা ত্যাগ করেন। ছবি: পিআইডি
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি রাষ্ট্রপতির মো. সাহাবুদ্দিনের আমন্ত্রণে ২২-২৩ এপ্রিল দু’দিনব্যাপী বাংলাদেশ সফর করেন। তিনি সরকারি ও বেসরকারি সেক্টরের সদস্যদের সমন্বয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বাংলাদেশে তার দু’দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে মঙ্গলবা বিকেলে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কাতার আমিরের সফর দু’দেশের মধ্যে অসাধারণ সদিচ্ছা ও বোঝাপড়া তৈরি করেছে। সর্বোচ্চ পর্যায়ের এ সফর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও সুসংহত এবং পরবর্তী স্তরে উন্নীত করতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারে।

কাতারের আমির বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে ২২-২৩ এপ্রিল দু’দিনব্যাপী বাংলাদেশ সফর করেন। তিনি সরকারি ও বেসরকারি সেক্টরের সদস্যদের সমন্বয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

প্রতিনিধি দলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন আমির-ই দেওয়ান প্রধান, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী, কাতারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী, কাতার চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির চেয়ারম্যান, কাতার ইনভেস্টমেন্ট অথরিটির (কিউআইএ) এশিয়া ও আফ্রিকা ইনভেস্টমেন্টের প্রধান, এশিয়ান অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড স্টাডিজ অ্যান্ড রিসার্চের পরিচালক।

সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল এবং কাতারি আমিরের নেতৃত্বে কাতারি প্রতিনিধিদল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ফলপ্রসূ দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করেন।

দ্বিপক্ষীয় আলোচনার সময় উভয় পক্ষই দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার প্রশংসা করে এবং বর্ধিত পারস্পরিক আলাপ-আলোচনা, দু’দেশের জনগণের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ এবং রাষ্ট্রীয়, ব্যবসা ও রাজনৈতিক নেতৃত্বসহ সকল স্তরে সফর বিনিময়ের মাধ্যমে সম্পর্ককে আরও বাড়ানো ও এগিয়ে নেয়ার পন্থা ও উপায় নিয়ে আলোচনা হয়। আলোচনায় যেসব বিষয় উঠে এসেছে- সেগুলো ছিল বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ, জনশক্তি, প্রতিরক্ষা, শিক্ষা, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা ইত্যাদি।

উভয়পক্ষ গাজা যুদ্ধ এবং মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনসহ পারস্পরিক স্বার্থের আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যুতেও মতবিনিময় করেছে। উভয় নেতা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ও সহিংসতা বৃদ্ধির বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং ফিলিস্তিনের সমস্যার টেকসই সমাধানের জন্য বিশ্ব নেতাদের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী তার উদ্বোধনী বক্তব্যে একটি উন্নত জ্ঞানভিত্তিক বহু-সাংস্কৃতিক সমাজ হিসাবে কাতারের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ও রূপান্তর এবং আমিরের নেতৃত্বে মধ্যস্থতা ও বহুপক্ষীয় কূটনীতিতে কাতারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবদ্দশায় বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়া কয়েকটি উপসাগরীয় দেশের অন্যতম হওয়ার জন্য কাতারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

কাতারের আমির প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন। তিনি বাংলাদেশকে একটি উদীয়মান বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে প্রশংসা করেন এবং কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে বিনিয়োগ প্রসার ও সুরক্ষা সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য উভয় পক্ষকে ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশে সম্ভাবনার ক্ষেত্রে ব্যবসা অনুসন্ধানে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে আরও কর্মী, পেশাদার, নার্স, টেকনিশিয়ান, কেয়ারগিভার ইত্যাদি নিয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য কাতারের আমিরকে অনুরোধ করেন। আমির এতে ইতিবাচকভাবে সাড়া দেন।

মতবিনিময়কালে কাতারের আমির ইইজেড ও কক্সবাজারের পর্যটন স্পটগুলোতে বিনিয়োগের প্রস্তাবকে স্বাগত জানান। তিনি কাতারের ফ্রি ইকোনমিক জোন সম্পর্কেও বৈঠকে অবহিত করেন এবং প্রধানমন্ত্রীকে ব্যবসায়িক প্রতিনিধি দল পাঠানোর অনুরোধ জানান।

দ্বিপক্ষীয় আলোচনা শেষে প্রতিনিধি দলের নেতারা বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে মোট ১০টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করেন।

উভয় নেতা কাতারের আমিরের নামে ইসিবি সার্কেল থেকে কালশী পয়েন্ট পর্যন্ত একটি বিশেষ এভিনিউ এবং রাজধানীর মিরপুরে একটি পার্কের নামকরণ ও উদ্বোধন প্রত্যক্ষ করেন।

আমির ও তার প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বিকেলে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে তারা দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে মতবিনিময় করেন।

পরে আমির বঙ্গভবনে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পর তার সম্মানে রাষ্ট্রপতির দেয়া আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেন।

মধ্যাহ্নভোজে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কাতারের আমির
কাতারের আমিরকে ঢাকায় লালগালিচা অভ্যর্থনা
কাতারের আমির আসছেন সোমবার, সই হবে ৬ চুক্তি ও ৫ এমওইউ
কাতারের আমিরের বাংলাদেশ সফরে গুরুত্ব পাবে যেসব বিষয়

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Chhatra League leader Mokhlesh was killed by his friend Mizan

ছাত্রলীগ নেতা মোখলেছকে গলা কেটে হত্যা করেন ‘বন্ধু’ মিজান

ছাত্রলীগ নেতা মোখলেছকে গলা কেটে হত্যা করেন ‘বন্ধু’ মিজান নিখোঁজের ২৫ দিন পর মোখলেছের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। কোলাজ: নিউজবাংলা
পারিবারিক দ্বন্দ্বে বন্ধু হয়েছে শত্রু। আর সেই বন্ধুত্বকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেই মোখলেছকে গলা কেটে হত্যা করেন মিজান শেখ। ঘটনার ২৫ দিন পর নরসুন্দা নদী থেকে মোখলেছ ভূঁইয়ার মাথাবিহীন মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

‘মোখলেছ ও মিজান ঘনিষ্ঠ বন্ধু। শৈশব ও কৈশোরের বেড়ে ওঠা সব একসঙ্গে, একই গ্রামে। সম্প্রতি গ্রামের একটি রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব বাধে তাদের দুই পরিবারে। ওই ঘটনার পর তাদের মধ্যে মারামারি হয়েছে একাধিকবার। চারটি মামলাও চলছে তাদের মধ্যে। তারপরও তাদের বন্ধুত্ব ছিল অটুট; নিয়মিত মেলামেশা ছিল তাদের। মারামারিতে মিজান আহত হলে গোপনে তাকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলেন মোখলেছ।

‘সবশেষ ২৯ মার্চ রাতে তারা পাগলা মসজিদে একসঙ্গে তারাবি পড়েন। এক পর্যায়ে সেই সম্পর্কই কাল হয়ে দাঁড়ালো মোখলেছের জীবনে। ওইদিন রাতেই তাকে গলা কেটে হত্যা করে বন্ধু মিজান।’

কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন মোখলেছের বড় ভাই মিজান ভূঁইয়া।

হত্যাকাণ্ডের শিকার ২৮ বছর বয়সী মোখলেছ ভূঁইয়া কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের ফুলপুর গ্রামের মৃত হোসেনের ছেলে। তিনি কেওয়ারজোড় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। সম্প্রতি শহরের গুরুদয়াল সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন তিনি।

অভিযুক্ত ২৮ বছর বয়সী মিজান শেখও একই গ্রামের বাসিন্দা।

ছাত্রলীগ নেতা মোখলেছকে গলা কেটে হত্যা করেন ‘বন্ধু’ মিজান

গত ২৯ মার্চ রাতে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদে তারাবির নামাজের পর নিখোঁজ হন ছাত্রলীগ নেতা মোখলেছ। পরিবারের সদস্যরা তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে ফোন করে সাড়া না পেয়ে যোগাযোগ করেন নানাজনের সঙ্গে। তারপরও খোঁজ না পেয়ে পরদিন সকালে বাড়ি থেকে স্বজনরা ছুটে আসেন শহরের হারুয়া এলাকায় তাদের ভাড়া বাসায়। সেটি তালাবদ্ধ দেখে কক্ষের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দেখেন, মোখলেছের মোবাইলটি রয়েছে বালিশের নিচেই। এরপরই মনে সন্দেহ জাগে তাদের।

৩১ মার্চ রাতে কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন মোখলেছের বড় ভাই মিজান ভূঁইয়া। থানায় জিডি হলে হারুয়া এলাকার বেশ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ। ফুটেজে ২৯ মার্চ রাত পৌনে ১০টার দিকে মোখলেছকে গুরুদয়াল সরকারি কলেজের দিকে হেঁটে যেতে দেখা যায়। সে সময় মোখলেছের সঙ্গে যে কয়েকজনকে দেখা যায়, তাদের মধ্যে মিজান শেখও ছিলেন।

ছাত্রলীগ নেতা মোখলেছকে গলা কেটে হত্যা করেন ‘বন্ধু’ মিজান

সিসিটিভি ফুটেজের বর্ণনা দিয়ে নিখোঁজের বড় ভাই মিজান ভূঁইয়া বলেন, ‘সে যে বাসায় থাকত তার কাছাকাছি একটা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ফুটেজে দেখা গেছে, ২৯ মার্চ রাত ৯টা ৪৪ মিনিটে মোখলেছ হেঁটে বাসায় ফিরছে। কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে পেছন থেকে মিজানও হেঁটে আসছে। অথচ মিজান হারুয়া এলাকায় থাকে না।’

তিনি জানান, আদরের ছেলের সন্ধান না পেয়ে ১৩ এপ্রিল হার্ট অ্যাটাক করে মারা গেছেন তাদের বাবা মকবুল হোসেন।

এ ঘটনায় ১৬ এপ্রিল কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় মিজান ও অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামি করে অপহরণের মামলা করেন মিজান ভূঁইয়া। মামলার পর ২০ এপ্রিল সিলেটের শায়েস্তাগঞ্জ থেকে মিজানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এদিকে নিখোঁজ হওয়ার দিনের সিসিটিভি ফুটেজে মিজানকে দেখা যাওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার পরিবারের তিনজনকে হেফাজতে নেয় পুলিশ।

আটককৃতরা হলেন— মিজানের বাবা শেফুল শেখ এবং দুই ভাই মারজান শেখ ও রায়হান শেখ। শনিবার তাদের আটক করা হয়।

ছাত্রলীগ নেতা মোখলেছকে গলা কেটে হত্যা করেন ‘বন্ধু’ মিজান

আটকদের জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর তথ্য পায় পুলিশ। মোখলেছকে গলা কেটে হত্যার পর তার শরীরে সিমেন্টের ব্লক বেঁধে নদীতে ফেলে দেয়া হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য দেন মিজান শেখ। এ তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার থেকে নরসুন্দা নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায় ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ওয়াচ টাওয়ারের সামনে থেকে ভাসমান অবস্থায় তার মাথাবিহীন অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, ‘যে ছোরা দিয়ে মোখলেছকে গলা কেটে হত্যা করা করা হয়, সেটিও উদ্ধার করা হয়েছে। ছোরাটি ২৩০ টাকা দিয়ে যার কাছ থেকে কেনা হয়েছিল, তিনিও স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।’

যাদের সঙ্গে নিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে তাদের বিষয়েও মিজান তথ্য দিয়েছেন উল্লেখ করে পুলিশ সুপার বলেন, ‘এসব পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।’

মরদেহ বিকৃত হয়ে যাওয়ায় অধিকতর নিশ্চিত হওয়ার জন্য ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

মন্তব্য

p
উপরে