× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Tuberculosis death reduced by half
google_news print-icon

যক্ষ্মায় মৃত্যু কমে অর্ধেক

যক্ষ্মায়-মৃত্যু-কমে-অর্ধেক
যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি সংস্থা  এই চিকিৎসা ফ্রিতে দিচ্ছে। ঔষধ ফ্রি দেয়া হচ্ছে। ল্যাবরেটরি সার্ভিস ফ্রি দেয়া হচ্ছে। মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এ সেবা দেয়া হচ্ছে। সরকারের লক্ষ্য এই রোগী আরও কমিয়ে আনা।’

সরকারের নানামুখী উদ্যোগের কারণে বাংলাদেশে যক্ষ্মা এখন অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বলেছেন, গত ১৭ বছরে দেশে যক্ষ্মাতে মৃত্যুহার প্রায় অর্ধেক কমেছে।

রাজধানীর শ্যামলীতে ওয়ান স্টপ টিবি সার্ভিস সেন্টার ও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টিবি হাসপাতালে রিজিওনাল টিবি রেফারেন্স ল্যাবরেটরি উদ্বোধনের সময় তিনি এ তথ্য দেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে ২০০৪ সালের যক্ষ্মাতে ৭০ হাজারের অধিক মানুষের মৃত্যু হতো। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের আমলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর নানামুখী পদক্ষেপে এটি নিয়ন্ত্রণে আসছে। এখন যক্ষ্মাতে ৪৮ শতাংশ মৃত্যু কমে আসছে। এখন প্রতি বছর ২৮ হাজার মৃত্যু হয়। এই মৃত্যু কমানোর চেষ্টা করছি।’

যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারি সংস্থা এই চিকিৎসা ফ্রিতে দিচ্ছে। ঔষধ ফ্রি দেয়া হচ্ছে। ল্যাবরেটরি সার্ভিস ফ্রি দেয়া হচ্ছে। মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এ সেবা দেয়া হচ্ছে। সরকারের লক্ষ্য এই রোগী আরও কমিয়ে আনা।’

বাংলাদেশে যক্ষ্মা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ার পর ৯০ শতাংশই চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হয়ে ওঠেন বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে যদি যক্ষ্মা নির্মূল করতে চাই এবং যক্ষায় মৃত্যুর হার কমাতে চাই, তাহলে প্রাথমিক সময়ে শনাক্ত সঠিকভাবে করতে হবে এবং চিকিৎসার আওতায় আনতে হবে। প্রাথমিকভাবে যক্ষ্মা শনাক্ত করা সম্ভব হলে, সঠিক সময়ে চিকিৎসা করা গেলে অধিকাংশ রোগী ভালো হয়ে ওঠে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশের প্রায় সব জায়গায় বিনা মূল্যে যক্ষ্মারোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে সরকার। উপজেলা কমিউনিটি ক্লিনিক, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা সদর হাসপাতাল, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে এই চিকিৎসা দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলমসহ আরও অনেকে।

আরও পড়ুন:
করোনার চেয়ে পাঁচ গুণ মৃত্যু যক্ষ্মায়

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
3 deaths due to dengue in one day in the country

দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে ৩ মৃত্যু

দেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে ৩ মৃত্যু ফাইল ছবি
চলতি বছর একদিনে এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃত্যু। এই সময়ে নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯৭ জন। আর চলতি মাসের প্রথম ৩ দিনে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৫৪ ডেঙ্গু রোগী। 

এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার হিসাবে রোববার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

চলতি বছর একদিনে এটাই সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃত্যু। এই সময়ে নতুন করে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯৭ জন। আর চলতি মাসের প্রথম ৩ দিনে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩৫৪ ডেঙ্গু রোগী।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ৯৭ জনের মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৭ জন আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১০ জন।

বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৩৮৭ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার ৫৩টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে রয়েছে ৩৩৮ জন। ঢাকার বাইরের হাসপাতালে রয়েছেন ৪৯ জন। চলতি বছরে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ৩৭৬ জন আর বাড়ি ফিরে গেছেন এক হাজার ৯৭৩ জন।

অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া তিনজনসহ এ বছর মৃত্যু হলো ১৬ জনের। মারা যাওয়া তিনজন মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। রাজধানীর এই হাসপাতালেই ভর্তি ৪৮৭ জন। যা অন্য হাসপাতালের চেয়ে সর্বাধিক। সেখানে বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১০৮ জন। বাকিরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

অন্যদিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বর্তমানে ভর্তি রয়েছেন ৫৩ জন। এখানে মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৪০ জন আর মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে বাকি ৩ জনের।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৫৬৬ জন। তাদের মধ্যে মারা যান ৬ জন। এ ছাড়া ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬ জন ভর্তি হয়, মৃত্যু হয় তিনজনের। মার্চে কারও মৃত্যু না হলেও হাসপাতালে ভর্তি হয় ১১১ জন। এপ্রিলে ভর্তি হয় ১৪৩ জন আর মৃত্যু হয় দুজনের। চলতি মাসে ডেঙ্গুতে মারা যান দুজন আর গত মে মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৩৬ জন।

সাধারণত দেশে জুন মাস থেকেই ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব শুরু হয়, কিন্তু এবার মে মাসেই সর্বাধিক ডেঙ্গু রোগী সারা দেশে শনাক্ত হয়েছে।

আরও পড়ুন:
২৪ ঘণ্টায় বছরের সর্বোচ্চ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে
ডেঙ্গু: একদিনে ৯৫ জন হাসপাতালে
বর্ষা না আসতেই ডেঙ্গুর বিস্তার, কেন?

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The highest number of dengue patients in the hospital in 24 hours

২৪ ঘণ্টায় বছরের সর্বোচ্চ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে

২৪ ঘণ্টায় বছরের সর্বোচ্চ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে হাসপাতালে বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। ফাইল ছবি
একদিনে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হলেও এ সময়ে কারও মৃত্যু হয়নি। ঢাকার ভেতরে ভর্তি হয়েছেন ১২৮ জন ডেঙ্গু রোগী আর ঢাকার বাইরে ১৩ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৪১ জন। চলতি বছর এখন পর্যন্ত এটাই একদিনে সর্বোচ্চ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তির রেকর্ড।

শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২ জুন সকাল ৮টা থেকে ৩ জুন সকাল ৮টা পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপতালে ভর্তি হয়েছে ১৪১ জন।

একদিনে রেকর্ড সংখ্যক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হলেও এ সময়ে কারও মৃত্যু হয়নি।

ঢাকার ভেতরে ভর্তি হয়েছেন ১২৮ জন ডেঙ্গু রোগী আর ঢাকার বাইরে ১৩ জন।

বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৩৯৭ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ৩৪৫ জন আর ঢাকার বাইরে ৫২ জন।

চলতি বছরে এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২ হাজার ২৭৯ জন আর চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ হাজার ৮৬৯ জন। চলতি বছর ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১৩ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানায়, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৫৬৬ জন। তাদের মধ্যে মারা যান ৬ জন। এ ছাড়া ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬ জন ভর্তি হন, মৃত্যু হয় তিনজনের। মার্চে কারও মৃত্যু না হলেও হাসপাতালে ভর্তি হন ১১১ জন। এপ্রিলে ভর্তি হন ১৪৩ জন আর মৃত্যু হয় দুজনের।

মে মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার ৩৬ জন আর চলতি মাসের প্রথম দুইদিনে কারও মৃত্যু না হলেও হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ২৫৭ জন। এর মধ্যে শুক্রবার একদিনে ১১২ রোগী ভর্তির তথ্য দিয়েছিল অধিদপ্তর।

বাংলাদেশে ২০০০ সালে প্রথম ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০১৯ সালে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয় দেশে। সে বছরে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন আর মৃত্যু হয় ১৭৯ জনের।

২০২০ সালে শুরু হয় করোনা, কমে আসে ডেঙ্গুর প্রকোপ। রোগী শনাক্ত হয় ১ হাজার ৪০৫ জন। তাদের মধ্যে মারা যান সাতজন। এ ছাড়া ২০২১ সালে শনাক্ত হয় ২৮ হাজার ৪২৯ জন, মৃত্যু হয় ১০৫ জনের। ২০২২ সালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন মোট ৬২ হাজার। মারা যান ২৮১ জন।

আরও পড়ুন:
বর্ষা না আসতেই ডেঙ্গুর বিস্তার, কেন?

মন্তব্য

বাংলাদেশ
2 more deaths due to Corona in the country

দেশে করোনায় আরও ২ মৃত্যু

দেশে করোনায় আরও ২ মৃত্যু ফাইল ছবি
সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃত দুজনের মধ্যে একজন পুরুষ ও একজন নারী। তারা ঢাকা বিভাগের সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন। তাদের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে।

দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

২৪ ঘণ্টার হিসাবে শুক্রবার বিকেলে এক সাংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

দুজনের মৃত্যুর মধ্যদিয়ে এ পর্যন্ত দেশে করোনায় মোট মৃত্যু হয়েছে ২৯ হাজার ৪৪৮ জন।

সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় মৃত দুজনের মধ্যে একজন পুরুষ ও একজন নারী। তারা ঢাকা বিভাগের সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন। তাদের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে।

একই দিনে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৮৯ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৩৯ হাজার ৫০৬ জনে।

অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গবিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় ১২ জন সুস্থ হয়েছেন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ৬ হাজার ৩১৩ জন। সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮৮৫টি ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১ হাজার ৫০৯টি এবং মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ১ হাজার ৫১৫টি।

গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২২ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।

আরও পড়ুন:
এক দিনে হাসপাতালে ৭২ ডেঙ্গু রোগী, বেড়েছে করোনা
করোনা বুস্টার ভিসিভির ৩য় ও ৪র্থ ডোজ এ সপ্তাহেই
এক দিনে হাসপাতালে ৬৭ ডেঙ্গুরোগী, করোনা শনাক্ত ৭৩

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Proposed allocation of Tk 29282 crore for health sector

স্বাস্থ্য খাতে ৩.২২ শতাংশ বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রস্তাব

স্বাস্থ্য খাতে ৩.২২ শতাংশ বরাদ্দ বৃদ্ধির প্রস্তাব বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বিদায়ী অর্থবছরের চেয়ে ২ দশমিক ২৩ শতাংশ বেশি বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। ফাইল ছবি
বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ ছিল ৩৬ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা। সে হিসাবে আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে ৩ দশমিক ২২ শতাংশ বেশি বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।

আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে স্বাস্থ্যসেবা খাতে ৩৮ হাজার ৫২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ ছিল ৩৬ হাজার ৮৬৩ কোটি টাকা। সে হিসাবে আগামী অর্থবছরের বাজেটে ৩ দশমিক ২২ শতাংশ বেশি বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।

জাতীয় সংসদে বৃহস্পতিবার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপনকালে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বিগত বছরের মতো এবারও স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেয়ার জন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সে লক্ষ্যে ওষুধ, চিকিৎসা পণ্য এবং কিছু স্বাস্থ্যসেবা পণ্য উৎপাদনের জন্য রেয়াতি হারে কাঁচামাল আমদানির বিদ্যমান সুবিধা অব্যাহত রাখার প্রস্তাব করছি।’

জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এটি অর্থমন্ত্রী হিসেবে তার পঞ্চম এবং বাংলাদেশ সরকারের ৫২তম জাতীয় বাজেট।

দেশের ইতিহাসে এবারের বাজেটই সবচেয়ে বড় আকারের। ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরের জন্য তাজউদ্দীন আহমেদ প্রথম ৭৮৬ কোটি টাকার বাজেট উত্থাপন করেছিলেন।

আরও পড়ুন:
সিগারেটের দাম বাড়ছে, বিড়ি-জর্দা আগের মতোই
দাম কমতে পারে কৃষি যন্ত্রপাতি, ক্যানসারের ওষুধ, ন্যাপকিনের
করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৩ লাখ
বাসমতি চালের বিরিয়ানি খেতে বইতে হবে ভ্যাটের বোঝা
সংসদে বাজেট উপস্থাপন শুরু অর্থমন্ত্রীর

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Dengue 95 people in hospital in one day

ডেঙ্গু: একদিনে ৯৫ জন হাসপাতালে

ডেঙ্গু: একদিনে ৯৫ জন হাসপাতালে ফাইল ছবি।
সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ৮২ জন আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ১৩ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ভর্তি রয়েছেন ২৮৩ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ২৪২ জন এবং অন্যান্য বিভাগের হাসপাতালে ৪১ জন।

দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ৯৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছেন। তবে এই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।

এ নিয়ে চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা অন্যান্য বছরের একই সময়ের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গছে। এর মধ্যে চলতি মাসে এক হাজার রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বুধবার অধিদপ্তরের দেয়া বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৯৫ জন। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে রোগী ভর্তি হন ৮৪ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ৮২ জন আর ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ১৩ জন ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ভর্তি রয়েছেন ২৮৩ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ২৪২ জন আর অন্যান্য বিভাগের হাসপাতালে ৪১ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন দুই হাজার ২২ জন। তাদের মধ্যে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন এক হাজার ৭২৬ জন। মারা গেছেন ১৩ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বছরের শুরুতে জানুয়ারি মাসে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৫৬৬ জন। তাদের মধ্যে মারা যান ছয়জন। এ ছাড়া ফেব্রুয়ারিতে ১৬৬ জন ভর্তি হন। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয় তিনজনের। মার্চে কারও মৃত্যু না হলেও হাসপাতালে ভর্তি হয় ১১১ জন। এপ্রিলে ভর্তি হয় ১৪৩ জন, আর মৃত্যু হয় দুজনের। চলতি মাসে মৃত্যু হয়েছে দুজনের। আর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এক হাজার ৩৬ জন।

দেশে ২০০০ সালে প্রথম ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০১৯ সালে সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয় দেশে। সে বছর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ছিল এক লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন। তাদের মধ্যে মারা যান ১৭৯ জন। এ ছাড়া ২০২১ সালে শনাক্ত হয় ২৮ হাজার ৪২৯ জন, যাদের মধ্যে মৃত্যু হয় ১০৫ জনের। আর গত বছর ডেঙ্গু শনাক্ত হয় মোট ৬২ হাজার এবং মারা যান ২৮১ জন।

আরও পড়ুন:
বর্ষা না আসতেই ডেঙ্গুর বিস্তার, কেন?
এক দিনে হাসপাতালে ৭২ ডেঙ্গু রোগী, বেড়েছে করোনা
এক দিনে হাসপাতালে ৬৭ ডেঙ্গুরোগী, করোনা শনাক্ত ৭৩
এখনই নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে ডেঙ্গু পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
বাড়ছে ডেঙ্গু, একদিনে ৮০ রোগী হাসপাতালে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Why the spread of dengue before the monsoon?

বর্ষা না আসতেই ডেঙ্গুর বিস্তার, কেন?

বর্ষা না আসতেই ডেঙ্গুর বিস্তার, কেন? রাজধানীর মুগদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। মঙ্গলবারের চিত্র। ছবি: নিউজবাংলা
সাধারণত জুন মাসের পর ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিলেও এ বছর মে মাস থেকেই এই রোগের প্রকোপ বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় মে মাসেই চার থেকে পাঁচ গুণ বেশি ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ডেঙ্গুর এই আগাম প্রকোপের নেপথ্যে বেশকিছু কারণ উল্লেখ করেছেন সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা।

বর্ষা আসতে আরও বেশ কিছুদিন বাকি। কিন্তু বর্ষার রোগ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া ডেঙ্গুর প্রকোপ ইতোমধ্যে বাড়তে শুরু করেছে। একইসঙ্গে হাসপাতালে বাড়ছে এই রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।

সাধারণত জুন মাসের পর ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিলেও এ বছর মে মাস থেকেই এই রোগের প্রকোপ বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় মে মাসেই চার থেকে পাঁচ গুণ বেশি ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ডেঙ্গুর এই আগাম প্রকোপের নেপথ্যে বেশকিছু কারণ উল্লেখ করেছেন সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞরা।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশার বলেন, ‘আগের বছর ডেঙ্গুর সিজনটা দেরিতে শুরু হয়েছিল। গত বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চসংখ্যক ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এই ধারাটা নভেম্বর, ডিসেম্বর ও জানুয়ারি পর্যন্ত চলে এসেছে।

‘বর্তমান সময়ে এসে সারা বছরই ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। এর নেপথ্য কারণ হিসেবে যা দেখেছি সেটি হলো রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় নগরায়নের বেশ কিছু পরিবর্তন হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত একদমই বৃষ্টিপাত থাকে না। আমরা বার বার বলে এসেছি যে বৃষ্টির সঙ্গে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার একটি সম্পর্ক থাকলেও এখন আর সেটি নেই। ডেঙ্গু এখন আর মৌসম বুঝে হবে না, এটি সারা বছরই বাংলাদেশে থাকবে। বহুতল ভবনগুলোতে পার্কিং স্পেস তৈরি করা হয়েছে। পার্কিংয়ের এই জায়গাতে গাড়ি ধোয়া-মোছা করা হয়। সেখানে যে পানি জমে তাতে আমরা এডিস মশার লার্ভা পাই।

‘একেকটি বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ ১০-১২ বছর ধরে চলে। নির্মাণাধীন সেসব ভবনের বেসমেন্টে আমরা এডিস মশা পাই। ঢাকায় যেসব জায়গায় পানির সংকট আছে, ওয়াসার পানির নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহ নেই, সেসব এলাকায় ভবন মালিকরা সার্বক্ষণিক পানির সরবরাহ দেন না। এ অবস্থায় ওইসব ভবনের বাসিন্দারা পাত্রে পানি সংরক্ষণ করে রাখেন। সেখানেও আমরা এডিস মশা পাই।’

কবিরুল বাশার বলেন, ‘এডিস মশার এই যে তিনটি প্রজনন ক্ষেত্রের কথা বললাম সেগুলোর সঙ্গে বৃষ্টিপাতের কোনো সম্পর্ক নেই। এই ক্ষেত্রগুলো সারা বছর বিদ্যমান। বাংলাদেশের তাপমাত্রা সারা বছরই এডিস মশা প্রজননের উপযোগী। তাই বৃষ্টিহীন সময়েও স্থায়ী প্রজনন ক্ষেত্র থাকার কারণে আমাদের দেশে মৌসুম ছাড়াও ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিচ্ছে।

‘মে মাসে যখন বৃষ্টি হয়েছে তখন এডিস মশা নতুন প্রজনন ক্ষেত্র পেয়েছে। প্রকৃতিতে যেহেতু এডিস মশা ছিলোই, তাই এদের প্রজনন বৃদ্ধি পেয়েছে জ্যামিতিক হারে। তাই মে মাসেই ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরু হয়ে গেছে, যেটা আমাদের দেশে আগে কখনোই ছিল না।’

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার (জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি ও প্রোগ্রাম ম্যানেজার, ব্যান-ম্যাল এবং ডেঙ্গু রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা) ইকরামুল হক বলেন, ‘এডিস মশা বংশ বিস্তারের জন্য যে আবহাওয়া দরকার বাংলাদেশে এখন সেটিই বিরাজ করছে। বিগত ৫০ বছরের ইতিহাসে শীর্ষ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে এ বছরের মার্চ-এপ্রিলে। বলা হচ্ছে, দেশের গড় যে তাপমাত্রা তার চেয়ে এক ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লে ডেঙ্গু চার থেকে পাঁচ গুণ বাড়তে পারে।

‘গত বছরের তুলনায় এবার মে মাসেই ডেঙ্গু রোগী পাঁচ গুণ বাড়ার প্রথম কারণ আবহাওয়া পরিবর্তন। দ্বিতীয়ত, বাতাসে যে আর্দ্রতা থাকে, সেটি স্বাভাবিক অবস্থায় থাকে ৫০-৮০ শতাংশ। সেটা স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে ২৫-৩০ শতাংশে নেমে এসেছে। এটা এডিস মশার বংশবিস্তারের জন্য খুবই সহায়ক। অর্থাৎ আমাদের দেশের তাপমাত্রা এডিস মশার বংশবিস্তারের উপযোগী।

‘এই আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রভাব শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের সব উষ্ণ দেশেই পড়ছে। আর এর প্রভাবে সেসব দেশেও ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সার্ভে করে দেখেছি, ঢাকা শহরে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চলছে। সেসব নির্মাণস্থল এবং বিভিন্ন বিল্ডিংয়ে হঠাৎ বৃষ্টিতে পানি জমে থেকে এডিস মশার প্রজনন বাড়ছে।’

আরও পড়ুন:
ডেঙ্গুতে আরও একজনের মৃত্যু
ডেঙ্গুতে আরও ২ মৃত্যু
ডেঙ্গুতে মৃত্যুহীন দিনে হাসপাতালে আরও ১৪ রোগী
মৃত্যুহীন দিনে হাসপাতালে ৬৫ ডেঙ্গু রোগী
ডেঙ্গুতে ৬৭ জন হাসপাতালে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Gallbladder removal of Parvez after seeing Parveens report Writ in High Court

পারভীনের রিপোর্ট দেখে পারভেজের পিত্তথলি কর্তন: হাইকোর্টে রিট

পারভীনের রিপোর্ট দেখে পারভেজের পিত্তথলি কর্তন: হাইকোর্টে রিট আরেকজনের রিপোর্ট দেখে কাটা হয়েছে মো. পারভেজের পিত্তথলি। ফাইল ছবি
‘পারভীনের রিপোর্ট দেখে পারভেজের পিত্তথলি কাটলেন চিকিৎসক’ শিরোনামে অনলাইন পোর্টাল নিউজবাংলা২৪-এ সংবাদ প্রকাশ হয়। সেই সংবাদ যুক্ত করে জনস্বার্থে দুই আইনজীবী রিটটি দায়ের করেন। রিটে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও সোনিয়া নার্সিং হোমের মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।

টাঙ্গাইলে পারভীনের রিপোর্ট দেখে পারভেজ নামে এক ব্যক্তির পিত্তথলি কর্তনের ঘটনায় জড়িত চিকিৎসক ও সোনিয়া নার্সিং হোমের মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন হয়েছে।

সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ফয়সাল আহমদ রনি ও তনয় কুমার সাহা এই রিট দায়ের করেন।

‘পারভীনের রিপোর্ট দেখে পারভেজের পিত্তথলি কাটলেন চিকিৎসক’ শিরোনামে অনলাইন পোর্টাল নিউজবাংলা২৪-এ সংবাদ প্রকাশ হয়। সেই সংবাদ যুক্ত করে জনস্বার্থে দুই আইনজীবী রিটটি দায়ের করেন।

পারভীনের রিপোর্ট দেখে পারভেজের পিত্তথলি কাটলেন চিকিৎসক

রিটে এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক মো. তুহিন তালুকদার ও সোনিয়া নার্সিং হোমের মালিক আবুল কালাম রিজভির বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না- এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি এ ঘটনার তদন্ত করতে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

রিট আবেদনে স্বাস্থ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন, সদর থানার নির্বাহী কর্মকর্তা, সোনিয়া নার্সিং হোমের মালিক ও চিকিৎসককে বিবাদী করা হয়েছে।

বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটটির শুনানি হতে পারে বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী তনয় কুমার সাহা।

নিউজবাংলায় প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক নারী রোগীর রিপোর্ট দেখে সে অনুযায়ী অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে এক যুবকের পিত্তথলি কাটার অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।

২১ মে দুপুরে ওই যুবকের পিত্তথলির অস্ত্রোপচার করেন শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত সোনিয়া নার্সিং হোমের সার্জারি বিশেষজ্ঞ মো. তুহিন তালুকদার।

ভুল চিকিৎসার শিকার মো. পারভেজ প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রশাসক ও জেলা সিভিল সার্জন বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ থেকে জানা গেছে, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বুয়ালী এলাকার আবদুল কাদের শেখের ছেলে মো. পারভেজ প্যানক্রিয়াসের ব্যথা হওয়ায় ২৭ এপ্রিল সোনিয়া নার্সিং হোমের সার্জারি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মো. তুহিন তালুকদারের কাছে যান। ওই চিকিৎসক পারভেজকে দেখে আল্ট্রাসনোগ্রাম ও এক্স-রে পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন।

চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযারী ওই নার্সিং হোম থেকে রোগী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রিপোর্ট চিকিৎসককে দেখান। পরে চিকিৎসক রিপোর্ট দেখে তাৎক্ষণিক অপারেশনের কথা জানান। চিকিৎসকের কথায় ওইদিনই পারভেজের পেটে অস্ত্রোপচার করে পিত্তথলি কেটে ফেলেন চিকিৎসক তুহিন তালুকদার।

অভিযোগে আরও বলা হয়, অপারেশনের পর পিত্তথলি তার স্বজনদের দেখালেও এতে কোনো পাথর ছিল না। পরে রোগীর স্বজনদের জানানো হয় কেটে ফেলা পিত্তথলিতে কোনো ক্যানসারের জীবাণু রয়েছে কি না সেটি পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানোর কারণে পিত্তথলি নার্সিং হোমে রেখে দেয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়, কয়েকদিন চিকিৎসা শেষে বকেয়া টাকা আদায় শেষে নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষ রোগীকে ছাড়পত্র দেন। তারপর রোগীর স্বজনরা ছাড়পত্র নিয়ে দেখতে পান রোগী পারভেজ ভুল চিকিৎসার শিকার। পারভীন নামের এক নারীর রিপোর্ট দেখে সার্জারি চিকিৎসক পারভেজের পিত্তথলি কেটে ফেলেছেন।

পরে বিষয়টি নিয়ে চিকিৎসক ও নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে তারা ভুল স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেন রোগী ও তার স্বজনদের কাছে।

আরও পড়ুন:
পারভীনের রিপোর্ট দেখে পারভেজের পিত্তথলি কাটলেন চিকিৎসক
বিনা মূল্যে চিকিৎসা-ওষুধ পেল গারো পাহাড়ের ৭ হাজার মানুষ
নিরাপদ হাসপাতাল চান তারা
‘অস্ত্রোপচারে’ গৃহবধূর মৃত্যু, স্বজনদের ভাঙচুরের পর বন্ধ হাসপাতাল
লক্ষ্ণীপুরের হাসপাতালে এক্স-রে করাতে ভোগান্তি

মন্তব্য

p
উপরে