পরপর দুই দিন বাড়ল সূচক। প্রথম দিনের তুলনায় দ্বিতীয় দিনে উত্থান হলো আরও বেশি। কিন্তু লেনদেনে গতি ফেরেনি। আড়াই মাস পর প্রথমবারের মতো পরপর দুই দিন ২ হাজার কোটি টাকার নিচে লেনদেন হলো। যদিও আগের দিনের তুলনায় দেড় শ কোটি টাকা বেশি লেনদেন হয়েছে।
পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিলে ব্যাংক থেকে অবণ্টিত টাকা আসতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আপত্তিকে কেন্দ্র করে গত সপ্তাহে পুঁজিবাজারে দেখা যায় বিভ্রান্তি। বিএসইসির সঙ্গে আলোচনার পর এই আপত্তি তুলে নেয়ার সংবাদ এসেছে গণমাধ্যমে। এরপর তহবিলে ব্যাংক থেকে টাকা আসছে।
তবে এখন যোগ হয়েছে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে বিএসইসির হিসাব চাওয়া। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দিন ধরে লেনদেনে দেখা যাচ্ছে মন্দাভাব।
১৪ কর্মদিবস পর সোমবার প্রথমবারের মতো লেনদেন নামে ২ হাজার কোটি টাকার নিচে। আর এই লেনদেন ছিল ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ১ হাজার ৭৬২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। সেটি বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৯১০ কোটি ৩ লাখ টাকা।
পরপর দুই দিন ২ হাজার কোটি টাকার লেনেদেন গত ২৮ ও ২৯ জুলাইয়ের পর আর দেখা যায়নি।
মঙ্গলবার সূচকের ৫২ পয়েন্ট উত্থানে প্রধান ভূমিকায় বড় মূলধনি কোম্পানির পাশাপাশি বস্ত্র খাতে উত্থান। আগের দিন চাঙা থাকা বিমা খাত দিনের প্রথম ভাগে চাঙা থাকলেও শেষ ভাগে এসে দর হারিয়েছে অর্ধেকের মতো কোম্পানি। বেশ কয়েক দিনের হতাশা কাটিয়ে মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাত কিছুটা হলেও আশা দেখাল।
কেপিসিএল, সামিটের মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়া তিনটিসহ মোট পাঁচটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য বৈঠক ডাকার খবরে চাঙাভাব দেখা গেছে এই খাতেও। তথ্য প্রযুক্তি খাতেও বেড়েছে বেশির ভাগ শেয়ারের দর।
ব্যাংক খাতে দীর্ঘ যে হতাশা, তা থেকে বের হওয়ার যেন কোনো লক্ষণ নেই। তবে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক খাত ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রকৌশল খাতে দেখা গেছে মিশ্র প্রবণতা।
লেনদেনে সেরা আগের মতোই বেক্সিমকো গ্রুপের দুই কোম্পানি।
সূচক বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে ওয়ালটন, বেক্সিমকো ফার্মা, গ্রামীণফোন, ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো, স্কয়ার ফার্মা, রবি, লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্ল কোম্পানি, কেপিসিএল ও পাওয়ার গ্রিড।
এই ১০টি কোম্পানির কারণে সূচকে যোগ হয়েছে ৩৮.৭২ পয়েন্ট। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৩.৩৭ পয়েন্ট যোগ করেছে ওয়ালটন একাই।
অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি সূচক হারিয়েছে যে ১০টি কোম্পানি, সেগুলো হলো রেনাটা, ব্র্যাক ব্যাংক, লিনডে বিডি, ডাচ্বাংলা ব্যাংক, ইবিএল, ডরেন পাওয়ার, ন্যাশনাল হাইজিং ফাইন্যান্স, কোহিনূর কেমিক্যাল, এনভয় টেক্সটাইল ও ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালস।
তবে কোম্পানিগুলোর দর হারানোর হার খুব একটা বেশি নয়। এই ১০টি কোম্পানির জন্য সূচক কমেছে মোট ৫.৬৪ পয়েন্ট।
মঙ্গলবার ডিএসইতে সূচক বৃদ্ধি ও কমার পেছনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে যে ১০টি করে কোম্পানি
লেনদেনে সেরা বিমা, উত্থানে বস্ত্র
আগের দিন বিমা খাতের ঝলমলে দিন গেলেও আজ তা ধরে রাখতে পারেনি এই খাতটি। দিনের প্রথম ভাগে উত্থানে থাকলেও দ্বিতীয় ভাগে কমে যায় অর্ধেক কোম্পানির শেয়ার দর।
শেষ পর্যন্ত ২৫টি বিমা কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে, কমেছে ২৩টির, পাল্টায়নি বাকি তিনটির দর।
এই খাতে লেনদেন হয়েছে ২৮৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা। আগের দিন তা ছিল ২৪৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
সাধারণ বিমা খাতের সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্সের ৭.৬৮ শতাংশ। শেয়ার দর ১৩৪ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪৪ টাকা ৩০ পয়সা।
তারপরই আছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, যার দর বেড়েছে ৭.১৫ শতাংশ। ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে ৪.৫০ শতাংশ।
ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স, বাংলাদেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স, পদ্মা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে উল্লেখযোগ্য।
পতনের দিক দিয়ে শীর্ষে ছিল প্রগতি লাইফ, যার শেয়ারপ্রতি দর কমেছে ১.৭৭ শতাংশ। শেয়ার দর ১১৭ টাকা ৭০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ১১৫ টাকা ৬০ পয়সা।
দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের দর ১.৬২ শতাংশ কমে ৪৯ টাকা থেকে হয়েছে ৪৮ টাকা ২০ পয়সা।
বিমার পরেই লেনদেন বেশি হয়েছে বস্ত্র খাতে। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ২০৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা। তা বেড়ে হয়েছে ২৭৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
৫৮টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৪৩টির, কমেছে ১১টির আর পাল্টায়নি বাকি চারটির।
দিনের সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধির তালিকায় এই খাতের কোম্পানিগুলোর প্রাধান্য দেখা গেছে।
এর মধ্যে দর বৃদ্ধিতে বস্ত্র খাতের শীর্ষে ছিল প্যাসিফিক ডেনিম, যার দর বেড়েছে ৯.৮৬ শতাংশ। শেয়ার দর ১৫ টাকা ২০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৬ টাকা ৭০ পয়সা।
তারপরই ছিল আলিফ ম্যানুফেকচারিং, যার দর ৯.৫১ শতাংশ বেড়ে ১৮ টাকা ৯০ পয়সা থেকে হয়েছে ২০ টাকা ৭০ পয়সা।
‘জেড’ ক্যাটাগরির তুং হাইয়ের দর ৮.৮১ শতাংশ বেড়ে ৬ টাকা ৮০ পয়সা থেকে হয়েছে ৭ টাকা ৪০ পয়সা।
প্রকৌশলে মিশ্র প্রবণতা
এই খাতের ৪২টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ২৩টির, কমেছে ১৮টির। অপরিবর্তিত ছিল বাকি তিনটির দর।
এ খাতে মোট লেনদেন হয়েছে ১৭০ কোটি ৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৬২ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।
এই খাতের সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে বেঙ্গল উইসডমের ৫.৮৫ শতাংশ। শেয়ার দর ২৭ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ২৮ টাকা ৯০ পয়সা।
বিবিএসের দর ৪.৯৭ শতাংশ বেড়ে ২০ টাকা ১০ পয়সা থেকে হয়েছে ২১ টাকা ১০ পয়সা।
অ্যাপোলো ইস্পাতের দর বেড়েছে ৩.৩৫ শতাংশ। বিবিএস কেব্লের দর বেড়েছে ৩.১৫ শতাংশ।
ব্যাংকের চিত্র
৩২টি ব্যাংকের মধ্যে দর বেড়েছে ১২টির, কমেছে ৬টির। আগের দিনের দামেই আছে ১২টি।
সোমবার লেনদেন হয়েছিল মোট ১০২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ১০৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
সবচেয়ে বেশি বেড়েছে রূপালী ব্যাংকের ২.৩৮ শতাংশ। শেয়ার দর ৩৭ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৮ টাকা ৫০ পয়সা।
সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের বেড়েছে ২.৩৭ শতাংশ। শেয়ার দর ২১ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ২১ টাকা ৫০ পয়সা।
স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, এবি ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে।
দর কমেছে এনসিসি ব্যাংকের ১.২৫ শতাংশ, ইস্টার্ন ব্যাংকের ১.২২ শতাংশ, সাউথ ইস্ট ব্যাংকের ১.১৯ শতাংশ।
অন্যান্য খাতের লেনদেন
আর্থিক খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ১৭১ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৮১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।
২৩টি কোম্পানির মধ্যে ১৪টির দর বেড়েছে, কমেছে ৫টির। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২৬৮ কোটি ৪ লাখ টাকা।
ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন হয়েছে ২০৪ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। আগের দিন তা ছিল ১৫৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
৩১টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৭টির। বিপরীতে কমেছে ১২টির, অপরিবর্তিত ছিল একটির আর একটির লেনদেন দীর্ঘদিন ধরে স্থগিত আছে।
মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মোট লেনদেন আগের দিন বেড়েছে। সোমবার লেনদেন হয়েছে ১৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা। মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ২৪ কোটি ১০ লাখ টাকা।
দর বেড়েছে ২২টির। কমেছে ৫টির। বাকি ৯টি ফান্ডের দর পাল্টায়নি।
তথ্যপ্রযুক্তি খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ৪১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ৭৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।
এই খাতে ৩টি কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে, বেড়েছে বাকি ৮টির।
বিবিধ খাতের ১৪টি কোম্পানিতে লেনদেন হয়েছে ১৭২ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৫০ কোটি টাকা।
লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১১টির। দর কমেছে ৩টির।
সূচক ও লেনদেন
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৫২ দশমিক ৭৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ২৫৮ পয়েন্টে।
শরিয়াভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ১৬ দশমিক ৮৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৮৬ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস ৩০ সূচক ২৪ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৮৫ পয়েন্টে।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ২১০ দশমিক ২৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ২৪০ দশমিক ৪৮ পয়েন্টে।
লেনদেন হওয়া ৩২৭টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৯৪টির, কমেছে ১০০টির, পাল্টায়নি ৩৩টির।
লেনদেন হয়েছে ৭০ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সূচক বাড়ার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রবিবার লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ৫ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১২০১ ও ২১৫৬ পয়েন্টে রয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ১১১ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
রবিবার এ সময়ে লেনদেন হওয়া কম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২০৩টির, কমেছে ৭৪টির এবং অপরির্বতিত রয়েছে ৯৩টি কম্পানির শেয়ার।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ কম্পানি হলো-খান ব্রাদার্স, শাইনপুকুর সিরামিক, সালাম স্টিল, রবি, ডোমেনেজ, আইপিডিসি, লাভেলো আইসক্রিম, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, রূপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ও ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
এর আগে আজ লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ৮ পয়েন্ট।
সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে আরো ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর অর্থাৎ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৫১ পয়েন্টে অবস্থান করে।
অপরদিকে লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৫ হাজার ৫৪৬ পয়েন্টে অবস্থান করে।
এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এসময়ের ২০টি কম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৮টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২টি কম্পানি শেয়ারের দর।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
মন্তব্য