× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Train derailed at Tongi Sylhet Chittagong train derailed from Dhaka
google_news print-icon

টঙ্গীতে ট্রেন লাইনচ্যুত, ঢাকা থেকে বিচ্ছিন্ন সিলেট-চট্টগ্রাম

টঙ্গীতে-ট্রেন-লাইনচ্যুত-ঢাকা-থেকে-বিচ্ছিন্ন-সিলেট-চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকামুখী মালবাহী ট্রেনটি টঙ্গী রেলস্টেশনের ১০০ গজ উত্তরে পৌঁছালে এর বগিগুলো লাইনচ্যুত হয়। এতে ঢাকা থেকে সিলেট ও চট্টগ্রামে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

গাজীপুরের টঙ্গীতে মালবাহী ট্রেনের তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। এতে ঢাকা থেকে সিলেট ও চট্টগ্রামে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।

বিমানবন্দর রেলস্টেশনের মাস্টার মো. হালিমুজ্জামান জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

তিনি জানান, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকামুখী মালবাহী ট্রেনটি টঙ্গী রেলস্টেশনের ১০০ গজ উত্তরে পৌঁছলে এর বগিগুলো লাইনচ্যুত হয়।

তিনি আরও জানান, রেলপথে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। উদ্ধারকারী ট্রেন সেখানে যাচ্ছে। এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।

আরও পড়ুন:
রেলে ঢাকা থেকে বিচ্ছিন্ন উত্তর-দক্ষিণবঙ্গ
ট্রেনের ধাক্কায় বাবা ও দুই ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা
‘আমার বাইচ্চাডির কী হইব’
২ ছেলের পর চলে গেলেন বাবাও
অটোরিকশায় ট্রেনের ধাক্কা, নিহত ২ ভাই

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Meeting European Union Ambassador Ace E Michael Miller with Labor Secretary

শ্রম সচিবের সাথে ইউরোপীয়ন ইউনিয়ন অ্যাম্বাসেডর এইস ই মাইকেল মিলারের সাক্ষাৎ

শ্রম সচিবের সাথে ইউরোপীয়ন ইউনিয়ন অ্যাম্বাসেডর এইস ই মাইকেল মিলারের সাক্ষাৎ

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সাথে শ্রম খাতের পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার, শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষা সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাংলাদেশে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত এইস ই মাইকেল মিলারের মধ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে শ্রম আইন যুগোপযোগীকরণ, ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজেশন, শ্রমিকদের বিরুদ্ধে থাকা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি, শিশুশ্রম ও জবরদস্তিমূলক শ্রম নিরসন, সামাজিক সংলাপ জোরদার, ফ্যাক্টরি পরিদর্শন কার্যক্রম বৃদ্ধি এবং সামগ্রিকভাবে শ্রম খাতের সংস্কার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

শ্রম সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বৈঠকে বলেন, গত বছরের সেপ্টেম্বরে ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ (টিসিসি) কর্তৃক স্বাক্ষরিত ১৮ দফা দাবি বাস্তবায়ন এবং শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ পর্যালোচনা করা হচ্ছে । মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুযায়ী শ্রম উপদেষ্টার নেতৃত্বে শ্রম আইন আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী সংশোধন করা হবে। আগামী ২৬ আগস্ট ত্রিপক্ষীয় পরামর্শক পরিষদ (TCC) এর সভায় সংশোধনী প্রস্তাব উপস্থাপন করে সকল অংশীজনের মতামত গ্রহণ করা হবে।

তিনি আরও জানান, শ্রমিক বা শ্রমিক নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক বা হয়রানিমুলক ৪৫ টি মামলার মধ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ‍্যমে যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ইতোমধ্যে ৪৪ টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এর কনভেনশন সি ১৫৫ এবং সি ১৮৭ অনুস্বাক্ষর এবং কর্মক্ষেত্রে নারীর প্রতি সহিংসতা ও হয়রানি বন্ধে কনভেনশন সি ১৯০ অনুস্বাক্ষরের প্রক্রিয়া দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে। এছাড়া, ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন ব্যবস্থাকে আরও স্বচ্ছ ও দ্রুততর করতে শ্রম অধিদপ্তর একে ডিজিটালাইজড করার কাজ করছে।

ইইউ রাষ্ট্রদূত এইস ই মাইকেল মিলার ট্রেড ইউনিয়ন গঠন ও তাদের কার্যক্রম পরিচালনায় নিয়োগকর্তা বা কোনো পক্ষের হস্তক্ষেপ না থাকতে দেওয়া, বাংলাদেশ শ্রম আইন (বিএলএ) এবং রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) শ্রম আইনের মধ্যে সামঞ্জস্য আনা, শ্রমিকদের বিরুদ্ধে চলমান সকল পুরনো ও বিচারাধীন মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি, নিয়মিত সামাজিক সংলাপের আয়োজন, শ্রমঘন এলাকায় ফ্যাক্টরি পরিদর্শন বাড়ানো এবং অনানুষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদেরও শ্রম আইনের আওতায় আনার গুরুত্বের উপর আলোকপাত করেন।

এছাড়াও বাংলাদেশের চলমান শ্রম সংস্কার কার্যক্রমের মধ‍্যে আন্তর্জাতিক শ্রম মানদণ্ডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কম্প্রিহেনসীভ শ্রম আইনের সংশোধনীর উপর তিনি গুরুতারোপ করেন। কেননা ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রাপ্ত 'এভরিথিং বাট আর্মস' (ইবিএ) সুবিধার ধারাবাহিকতায় স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পরে জিএসপি প্লাস বাজার সুবিধাসহ সেইফ গার্ড ক্লজের ক্ষেত্রে ইতিবাচক পদক্ষেপ বিবেচনার লক্ষ‍্যে শ্রম আইনের প্রত‍্যাশিত সংশোধনী ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন‍্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানান রাষ্ট্রদূত এইস ই মাইকেল মিলার।

বৈঠকে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The reservoir of the non reservoir cannot be leased Fisheries and Livestock Advisor

অমৎস্যজীবীদের জলাশয় ইজারা দেওয়া যাবে না: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

অমৎস্যজীবীদের জলাশয় ইজারা দেওয়া যাবে না: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, “প্রাকৃতিকভাবে মাছ পাওয়ার স্থান ধ্বংস হলে মৎস্যজীবীরা মাছ পাবে না। বর্তমানে যেখানে যে পরিমাণ মাছ পাওয়ার কথা, তা পাওয়া যাচ্ছে না। এতে প্রকৃত মৎস্যজীবীরা বঞ্চিত হচ্ছে। তাই সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অমৎস্যজীবীদের কাছে আর জলাশয় ইজারা দেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বাওড় ইজারা সমস্যার সমাধানে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নেওয়া হয়েছে।

আজ বিকেলে রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২৫-এর মূল্যায়ন, সমাপনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে মৎস্য অধিদপ্তর।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, মৎস্য সপ্তাহ শেষ হলেও, আজ থেকেই শুরু হলো সারা বছরের মৎস্য সপ্তাহ। নতুন উদ্যোমে কাজ শুরু করতে হবে। এ সপ্তাহে যেভাবে মানুষের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে, তা সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। তিনি এ বছরের মৎস্য পদক প্রসঙ্গে বলেন, পদকপ্রাপ্তি বিষয়ে কোনো প্রকার তদবির হয়নি। একাধিক ধাপ অতিক্রম করেই যোগ্যদের পদক প্রদান করা হয়েছে।

বিএফআরআইয়ের তরুণ বিজ্ঞানীদের প্রশংসা করে উপদেষ্টা বলেন, অভয়াশ্রম নিয়ে আপনাদের নিবিড় গবেষণা আমাদের অনুপ্রাণিত করছে। গবেষণাকে কেবল কাগজে সীমাবদ্ধ না রেখে মাঠ পর্যায়ে প্রয়োগ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় শুধু খাদ্য উৎপাদন নয়, এটি একটি বৌদ্ধিক কেন্দ্র (ইন্টেলেকচুয়াল স্পেস)। দেশের মানুষের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে ইলিশ সরবরাহ করতে হবে, আর আমরা তা করতে সক্ষম হবো।

অনুষ্ঠানে মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফ বলেন, ইলিশ উৎপাদন প্রকৃতি নির্ভর। অনেক জায়গায় বাধার কারণে ইলিশ সাগর থেকে নদীতে আসতে পারে না। ফলে ইলিশ আহরণ কম হয়, আর দাম বেড়ে যায়। তিনি আরও বলেন, চিংড়ি চাষ বৃদ্ধির জন্য নির্দিষ্ট জোন তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে।

মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের। সম্মানিত অতিথি ছিলেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. অনুরাধা ভদ্রা এবং মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের পরিচালক মোহাম্মদ বদরুল হক। অনুষ্ঠানে মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মৎস্যজীবী ও সুধীজন অংশ নেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
ACCs mass hearing was held in Sirajganj

সিরাজগঞ্জে দুদকের গণশুনানি অনুষ্ঠিত

সিরাজগঞ্জে দুদকের গণশুনানি অনুষ্ঠিত

সিরাজগঞ্জে দুদকের ১৮১তম গণশুনানিতে ১৩৪টি অভিযোগের মধ্যে উত্থাপিত ৯৫ টি অভিযোগের মধ্যে তাৎক্ষণিকভাবে ৩৪টি অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়,৩২টি অভিযোগ দুদুক কর্তৃক অনুসন্ধান হবে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ২৬ টি অভিযোগের এবং আদালতে মামলা থাকায় ৩ টি অভিযোগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং দুর্নীতি প্রতিরোধের লক্ষ্যে রবিবার সকাল ৯টায় সিরাজগঞ্জ জেলার জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে দুদকের ১৮১ তম গণশুনানি উদ্বোধন করে প্রধান অতিথি দুদকের কমিশনার ( তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী বলেন, সুনীতি নয় তাই দুর্নীতি। সেবাদাতা ও সেবাগ্রহীতার মধ্যে দ্বন্দ্ব ও অনৈতিক কর্মকান্ডের কারণে দুর্নীতির প্রসার ঘটে। ছোট ছোট অসংগতি দিনে দিনে কিভাবে ক্ষোভের বিদ্রোহ ছড়িয়ে পড়ে তা বিগত গণহত্যাকারী পতিত সরকার হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছে,এর চেয়ে আর ভাল উদাহরণ হতে পারে না।

বর্তমান দুর্নীতি দমন কমিশন ( মোমেন কমিশন) জিরো টলারেন্স নীতিতে চলছে,চলবে। আর দুর্নীতি নয়,দুর্নীতি নির্মূল করে সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলাই গণশুনানির উদ্দেশ্য।

দুদকের পাবনা সমন্বিত জেলা কার্যালয় আয়োজিত ও সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় দুদকের ১৮১তম গণশুনানিতে সভাপতিত্ব করেন সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।

গণশুনানিতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন দুর্নীতি দমন কমিশনের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক মোঃ ফজলুল হক। অতিথিবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুদকের মহাপরিচালক ( প্রতিরোধ) মোঃ আখতার হোসেন, মহাপরিচালক ( তদন্ত ১) মুহাম্মদ রেজাউল করিম ও পুলিশ সুপার মোঃ ফারুক হোসেন।

কানায় কানায় পূর্ণ অডিটোরিয়ামে জেলার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ,ছাত্র জনতাসহ সহকারী বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারী গণমাধ্যমকর্মীদের উপস্থিতিতে দাখিলকৃত ১৩৪ অভিযোগের মধ্যে ৯৫টি উত্থাপিত হয়। সকাল ৯টা থেকে বিরতিহীনভাবে বিকেলে ৫টা পর্যন্ত গণ শুনানির মডারেট করেন জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।

দুদকের উপপরিচালক ( জনসংযোগ) মোঃ আকতারুল ইসলাম জানান গণশুনানিতে বিভিন্ন সরকারি অফিসে সেবা প্রাপ্তিতে হয়রানীর শিকার বা সেবা বঞ্চিত সংক্ষুব্ধ জনসাধারণ তাদের অভিযোগসমূহ সিরাজগঞ্জ জেলার সকল সরকারি দপ্তর প্রধানদের উপস্থিতিতে কমিশনের সামনে তুলে ধরেন। একই সাথে সেবা বঞ্চিত জনসাধরণের উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়ে দুদক কর্তৃক তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। সরকারি পরিষেবা প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ এবং সরকারি কর্মকর্তাদের মাঝে সততা, নিষ্ঠা, জবাবদিহিতা ও মূল্যাবোধ বৃদ্ধি করার মাধ্যমে দেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূল করাই ছিল এই গণশুনানির মূল অভিপ্রায়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Meeting the chief adviser to Pakistan Deputy Prime Minister and Foreign Minister Ishaq Dar

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সাক্ষাৎ

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দারের সাক্ষাৎ

পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার আজ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাসস’কে এ তথ্য জানান।
ইসহাক দার দুই দিনের বাংলাদেশ সফরে গতকাল ঢাকায় পৌঁছান।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Government is committed to amending NHRC Act 20 Law Advisor

সরকার এনএইচআরসি আইন, ২০০৯ সংশোধনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: আইন উপদেষ্টা

সরকার এনএইচআরসি আইন, ২০০৯ সংশোধনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: আইন উপদেষ্টা

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এনএইচআরসি আইন, ২০০৯ সংশোধনের বিষয়ে সরকারের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘কমিশনার নিয়োগ অবশ্যই স্বচ্ছ, উন্মুক্ত ও প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হতে হবে। কেবলমাত্র সর্বোচ্চ সততার অধিকারী ব্যক্তিরাই নাগরিকদের অধিকার রক্ষায় দায়িত্ব পালন করবেন।’

শনিবার সিলেটে আয়োজিত এক সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি একথা বলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আসিফ নজরুল বলেন, আইন সংশোধন ও এর যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও আস্থাভাজন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উদাহরণ স্থাপন করতে পারবে।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে (এনএইচআরসি) একটি স্বাধীন, গ্রহণযোগ্য ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে এবং জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনতে দেশব্যাপী পরামর্শ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

সুইস দূতাবাসের সহযোগিতায় এই উদ্যোগে নেতৃত্ব দিচ্ছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ (এলপিএডি) ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)।

সংস্কার প্রক্রিয়াটি এনএইচআরসি আইন, ২০০৯ সংশোধনের মাধ্যমে বিদ্যমান আইনগত ও প্রাতিষ্ঠানিক ঘাটতি দূর করা এবং কমিশনকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানদণ্ড, বিশেষত জাতিসংঘের প্যারিস প্রিন্সিপলস এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে বলে ইউএনডিপি’র এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নের জন্য প্রতিষ্ঠিত এনএইচআরসি তাদের পূর্ণাঙ্গ ম্যান্ডেট কার্যকরভাবে বাস্তবায়নে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। সীমিত ক্ষমতা ও স্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্নের কারণে এর কার্যকারিতা ব্যাহত হয়েছে। তাই সংস্কার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কমিশনের ভূমিকা ও সক্ষমতা জোরদার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে দেশের আটটি বিভাগে বহুপক্ষীয় পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হবে, শেষে ঢাকায় জাতীয় পরামর্শ সভা হবে। এসব পরামর্শ সভায় সরকারি কর্মকর্তা, সুশীল সমাজ, মানবাধিকার কর্মী, শিক্ষাবিদ, গণমাধ্যম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার ব্যক্তিরা একত্রিত হয়ে সংস্কারের জন্য বাস্তবসম্মত প্রস্তাব দেবেন।

প্রথম পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ২৩ আগস্ট ২০২৫ সিলেটে। সেখানে অংশগ্রহণকারীরা আইনগত ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার, জবাবদিহিতা জোরদার এবং রাষ্ট্রীয় ও অরাষ্ট্রীয় উভয় ধরনের নির্যাতন থেকে নাগরিক সুরক্ষার বিষয়ে মতামত ও সুপারিশ দেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন এলপিএডি সচিব ড. হাফিজ আহমেদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘ভালো আইন প্রয়োজনীয়, কিন্তু এর কার্যকর প্রয়োগ সমান গুরুত্বপূর্ণ। এনএইচআরসি আইনকে আরও শক্তিশালী ও কার্যকর করার জন্য আমরা আজ সিলেট থেকে শুরু করে দেশব্যাপী পরামর্শ সভার মাধ্যমে সংশোধন প্রক্রিয়া শুরু করেছি।’

জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) বাংলাদেশ-এর ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ আনোয়ারুল হক বলেন, ‘এনএইচআরসি শক্তিশালী করা দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা এবং মানবাধিকারের প্রতি প্রতিশ্রুতি রক্ষার জন্য অপরিহার্য। এই পরামর্শ সভার মাধ্যমে আমরা কমিশনের স্বাধীনতা, গ্রহণযোগ্যতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে চাই, যা বৈশ্বিক মানদণ্ডের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।’

এলপিএডি’র যুগ্ম-সচিব ড. এস এম শফায়েত হোসেন সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

তিনি এনএইচআরসি আইন, ২০০৯-এর ম্যান্ডেট, সীমাবদ্ধতা ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন।

সিলেটের জেলা প্রশাসক সরওয়ার আলমও সভায় বক্তব্য রাখেন।

সভায় আলোচনার মূল বিষয় ছিল কমিশনারদের নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা, তদন্ত ক্ষমতা জোরদার, কার্যক্রমের স্বাধীনতা বৃদ্ধি এবং সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমের সঙ্গে উন্নত সহযোগিতা।

বিভাগীয় পরামর্শ সভা থেকে প্রাপ্ত সুপারিশগুলো ঢাকার জাতীয় পরামর্শ সভায় আইন সংস্কারের রোডম্যাপে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

এই সংস্কার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সরকার ও এর সহযোগী সংস্থাগুলোর আইনের শাসনকে আরও শক্তিশালী করা, নাগরিক অধিকার সুরক্ষিত করা এবং মানবাধিকারকে অংশগ্রহণমূলক শাসনব্যবস্থা ও টেকসই উন্নয়নের মূল ভিত্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য নিয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Teachers do not want to stay in haor because of social and political problems Primary and Mass Education Advisor

সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যার কারণে শিক্ষক হাওরে থাকতে চান না: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যার কারণে শিক্ষক হাওরে থাকতে চান না: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

সামজিক ও রাজনৈতিক সমস্যার কারণে হাওর এবং চরাঞ্চলের দুর্গম এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা থাকতে চান না এবং তারা শহরে চলে আসতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যার কারণে শিক্ষক হাওরে থাকতে চান না: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

শনিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণের সাথে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে করণীয় বিষয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, আমার বাড়ি হাওরে আমি সবই জানি। বিষয়গুলো নিয়ে আমি পরিষ্কার। এটা শুধু হাওরের সমস্যা না। সব জায়গাতেই চরাঞ্চলে শিক্ষকেরা থাকতে চায় না এবং তারা শহরে আসতে চায়। এই বিষয়টি সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটা শুধুমাত্র যদি আমাদের সমস্যা হতো তাহলে সমাধান করা যেতো। আমাদের নিয়ম কি? আমাদের নিয়ম হচ্ছে শিক্ষকেরা উপজেলাতে নিয়োজিত হবেন, যেখানে চাকরি পাবেন সেখানে থাকবেন। কিন্তু বদলির বিষয়গুলো কোথা থেকে আসে? উপর থেকে আসে। তদবিরগুলো কোথা থেকে আসে? উপর থেকে আসে। উপর থেকে আসে সমস্যাগুলো। এগুলো কিসের সমস্যা? এগুলো আমাদের সামাজিক সমস্যা, আমাদের রাজনৈতিক সমস্যা। বিষয়টি জটিল উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, এগুলোকে যতটুকু সম্ভব কাটিয়ে উঠার জন্য চেষ্টা করছি। আমরা বরাবরই চাই হাওরে শিক্ষকেরা থাকুক। কিন্তু বিভিন্নভাবে বিষয়গুলো হয় না।

সম্প্রতি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার, তাদের নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারগণও একই গ্রেডে আছে, এক্ষেত্রে প্রশাসনিক চেইন অব কমান্ড বজায় রাখার জন্য এটিইওদের গ্রেড উন্নয়নে সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, আমাদের অনেক ক্ষেত্রেই একই গ্রেডের কর্মকর্তারা রয়েছেন। যারা নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা। কলেজগুলোতে যান যেখানে প্রিন্সিপাল এবং প্রফেসররা একই। মেডিকেল কলেজে যান সেখানেও একই। এমন অনেক জায়গাতেই রয়ে গেছে। ফলে এইটা হলেই যে করা যায় না এটা ঠিক না। এটা হচ্ছে আমার অবস্থান। দুই নাম্বার অবস্থান তাদের গ্রেডের উন্নতি প্রয়োজন কিনা? অবশ্যই প্রয়োজন। কারণ তারা দশম গ্রেডে ঢুকছেন তাদের তো পদোন্নতি প্রয়োজন। সুতরাং তাদের গ্রেড উন্নতি করা প্রয়োজন। আমি মনে করি এটা প্রয়োজন। আমরা সেজন্য কতৃপক্ষের কাছে লিখছি যে তাদের গ্রেডের উন্নতি করা হউক। উন্নতি না হলেই চেইন অফ কমাণ্ড ভেঙে যাবে এটি আমরা ঠিক মনে করি না।

মতবিনিময় সভায় উপদেষ্টা অধ্যাপক ডাঃ বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, বেসরকারি বিদ্যালয়গুলো বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে অভিভাবকদের আর্কষণ করার জন্য। এটা তাদের ব্যবসা। আর অভিভাবকরা মনে করে সরকারি বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করলে প্রেস্টিজ চলে যাবে। অনেক কিছু চলে যেটা সংবিধান বা আইন মেনে চলে না। কিন্তু আমাদের অবস্থান কি সেটা জানা আমাদের কর্তব্য। আমাদের সংবিধান বলে শিক্ষা আমাদের মৌলিক অধিকার। আমরা একটা আইন করেছি বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা। অর্থাৎ দেশের প্রত্যেকটা শিশু অবৈতনিক শিক্ষা পাবে। এজন্য অভিভাবকরা প্রত্যেকটা শিশুকে এটা গ্রহণ করাতে বাধ্য। আমাদের শিশুদের ছোট বেলা থেকেই বিভিন্নভাবে ভাগ করে ফেলছে। আমাদের যাদের অর্থের অভাব নেই তারা দামি দামি স্কুল খুললাম। আমাদের যারা নীতিনির্ধারক তাদের সন্তানেরা পড়ছে দামি স্কুলে। সাধারণ মানুষের সন্তানেরা পড়ছে সরকারি স্কুলে। ফলে সরকারি স্কুল, অবৈতনিক স্কুল যে মনোযোগ পাওয়ার কথা তা পায় না। সেজন্য আমাদের শিক্ষাখাতে বরাদ্দের প্রয়োজন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মোঃ মাসুদ রানা বলেন, জেলায় ৮০৫ জন শিক্ষক প্রশিক্ষণ বিহীন রয়েছে। অহেতুক কারন দেখিয়ে যেন কেউ প্রশিক্ষণ থে‌কে‌ বিরত না থা‌কেন। নির্বাচন ব্যতীত অন্যান্য দায়িত্ব যেনো পালন করতে না হয় সেজন্য আমরা কাজ করছি। প্রধান শিক্ষকরা ১০ম গ্রেড পে‌য়ে‌ছেন। এতে আপনা‌দের প্রতিও রা‌ষ্ট্রের চা‌হিদা বে‌ড়ে‌ছে, সে‌দিক‌টি খোয়াল রাখ‌তে হ‌বে। সহকা‌রি শিক্ষক‌দেরও মূল‌্যায়ন করা প্রয়োজন। স্কুল ফি‌ডিং কার্যক্রম চালু হ‌বে ১৮০‌টি স্কু‌লে। খা‌দ্যের মান নি‌য়ে প্রশ্ন উঠ‌লে নমুনা সংগ্রহ ক‌রতে হবে। খাদ্যের নমুনাতে কোনো সমস্যা দেখা দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ কর‌তে হ‌বে। ইউপিইটি‌সি ইন্সট্রাক্টররা ম‌ডেল স্কু‌লে স‌ঠিকভাবে ম‌নিট‌রিং ক‌রে না। পি‌টিআই'র ইন্সট্রাক্টরদেরও এ কা‌জে লাগা‌তে হ‌বে। প্রাথ‌মি‌কের সকল শূন‌্যপ‌দ পূর‌নের বিষ‌য়ে দ্রুত ব‌্যবস্থা নেয়া হ‌বে। বিদ্যালয়ের জ‌মি সংক্রান্ত মামলা জট কমানোর জন‌্য জেলা প্রশাসক ব‌্যবস্থা নি‌বেন ব‌লে তিনি আশা ক‌রেন।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবু নূর মোঃ শামসুজ্জামান মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বলেন, আমাদের এই মূহুর্তে কিন্তু শিক্ষকদের শূন্য পদের সংখ্যা বেশি নয়। সাড়ে ১৩ হাজার পদ শূন্য। আমরা আশা করতেছি এই মাসের মধ্যেই বিজ্ঞপ্তি দিব এবং ডিসেম্বরের মধ্যে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করব। জেলায় ১৩টি উপজেলার মধ্যে ১০টি উপজেলাতেই মিড ডে মিল চালু আছে।

এ সময় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এনডিসি (পলিসি এন্ড অপারেশন) মোহাম্মদ কামরুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মুকিত সরকার, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মজিব আলম। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Changing the overall system to protect the environment of Dhaka is essential Environment Advisor

ঢাকার পরিবেশ রক্ষায় সামগ্রিক ব্যবস্থার পরিবর্তন জরুরি: পরিবেশ উপদেষ্টা

ঢাকার পরিবেশ রক্ষায় সামগ্রিক ব্যবস্থার পরিবর্তন জরুরি: পরিবেশ উপদেষ্টা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ঢাকার পরিবেশ রক্ষায় সামগ্রিক ব্যবস্থার পরিবর্তন প্রয়োজন। শুধু ব্যক্তির পরিবর্তন নয়, দেশের সামগ্রিক ব্যবস্থার পরিবর্তন প্রয়োজন। আমাদের সবাইকে পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত হতে হবে এবং পরিবর্তনের দিকে এগিয়ে আসতে হবে।

তিনি আজ ঢাকার মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশন (এফজিডি) শীর্ষক “ডি-সেন্ট্রালাইজেশন অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ওয়েলফেয়ার অফ দ্য ক্যাপিটাল: টুয়ার্ডস আ সাসটেইনেবল ঢাকা” অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা জানান, শিল্প দূষণের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করা হবে এবং ঢাকার আশেপাশের নদী দূষণ রোধে বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হবে। পলিথিন বিরোধী প্রক্রিয়া ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে। ঢাকাকে বায়ুদূষণের কারণে সাভারকে ‘ডিগ্রেডেড এয়ারশেড’ ঘোষণা করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, ভবন ও কক্ষের নকশা পরিবেশবান্ধবভাবে করতে হবে। গ্রামীণ আবহই টেকসই এবং একজন আদর্শ কৃষকের জীবনযাপন-ই টেকসই উন্নয়নের প্রতিচ্ছবি। অনাবৃত জায়গায় ঘাস লাগাতে হবে। শুধু সরকারের উদ্যোগ যথেষ্ট নয়, জনগণের সক্রিয় সম্পৃক্ততা অপরিহার্য।

উপদেষ্টা আরও বলেন, বর্তমান সরকার টেকসই উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে এবং জনগণকে সম্পৃক্ত করছে। তিনি দেশ নিয়ে নতুন করে ভাবার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকার দিকনির্দেশনা দেবে, কিন্তু পরিবর্তনের পথে এগিয়ে আসতে হবে সবার।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রাজউক-এর চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. রিয়াজুল ইসলাম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভিত্তি স্থপতিবৃন্দ লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্থপতি ইকবাল হাবিব। ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-এর সভাপতি তাসকিন আহমেদ এফজিডি-এর সভাপতিত্ব এবং সঞ্চালনা করেন।

অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মোঃ জহিরুল ইসলাম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি); মোঃ জিয়াউল হক, পরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর (ডিওই), বাংলাদেশ সরকার; কাজী গোলাম নাসির, সাবেক প্রধান স্থপতি, স্থাপত্য অধিদপ্তর, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়; মোঃ আশরাফুল ইসলাম, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ, রাজউক; ড. মোঃ শামসুল হক, অধ্যাপক, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, বুয়েট; লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি, রিহ্যাব; দিলবাহার আহমেদ, ভৌগোলিক ও নগর পরিকল্পনাবিদ, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি); ড. আদিল মোহাম্মদ খান, সভাপতি, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি)।

আলোচনায় বক্তারা ঢাকার বিকেন্দ্রীকরণ, পরিবেশ সুরক্ষা ও টেকসই নগর উন্নয়ন নিয়ে মতামত প্রদান করেন। তারা মনে করেন, নগরের স্থায়ী কল্যাণ নিশ্চিত করতে সমন্বিত পরিকল্পনা ও শক্তিশালী নীতিমালা বাস্তবায়ন জরুরি।

মন্তব্য

p
উপরে