মহাসড়কের পাশে পেট্রল পাম্পে উন্নত বিশ্বের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে চাইছে সরকার। এসব পাম্পে থাকবে রেস্টুরেন্ট, এটিএম বুথ, ওষুধের দোকান, টয়লেট, চালকদের গোসলের ব্যবস্থা, বিশ্রামাগার।
আরও থাকবে শিশুদের খেলার স্থান, বাচ্চাদের বুকের দুধ খাওয়ানোর আলাদা স্থাপনা। থাকবে শপিং ও গিফট কর্নারও।
একই স্টেশনে জ্বালানি তেল ও গ্যাসের পাশাপাশি থাকবে বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জের ব্যবস্থাও, থাকবে সৌর বিদ্যুতের মাধ্যমে চার্জের সুযোগ। ব্যাটারি পরিবর্তন, পাম্পিংসহ গাড়ির টুকিটাকি কাজও সেরে নেয়া যাবে এসব পাম্পে।
সরকার এগুলোকে বলছে ‘হাইওয়ে মডেল ফিলিং স্টেশন’। এর একেকটির আয়তন হবে আড়াই একর।
এসব উদ্যোগ পাম্প মালিকের খরচ প্রাথমিকভাবে বাড়ালেও তার আয় বাড়বে বহুগুণ। কারণ, প্রতিটি সেবার বিপরীতে তারা টাকা নিতে পারবে।
প্রাথমিকভাবে যে হিসাব করা হয়েছে, তাতে ধারণা করা হচ্ছে, একেকটি পাম্প স্থাপনে খরচ হবে ১২ থেকে ১৫ কোটি টাকা।
একেবারেই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে এই পরিকল্পনা, যা বিভিন্ন অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে এগিয়ে নেয়া হবে।
প্রথমে তিনটি থেকে ছয়টি পাম্প স্থাপন করবে সরকারি তিনটি তেল বিপণনকারী কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল। পরে বেসরকারি খাতে করা হবে আরও।
সরকার বলছে দীর্ঘদিন ধরেই প্রচলিত পেট্রোল পাম্পগুলোর বিরুদ্ধে ভেজাল তেল বিক্রি, ওজনে কম দেয়াসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। সেই সঙ্গে পাম্পগুলোর পরিবেশও উন্নত বিশ্ব তো দূরে থাকুক, এশিয়ার মানেরও নয়। তাই সরকার এইসব মাথায় রেখেই একটি সমন্বিত উদ্যোগ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
মুজিব শতবর্ষ ও স্বাধীনতার সূবর্ণজয়ন্তী পালনের বছরকে তাই এ প্রকল্প গ্রহণের বছর হিসেবে নেয়া হয়ছে।
যেমন হবে মডেল পাম্প
প্রস্তাবিত মডেল পাম্পের জন্য জমির প্রয়োজন হবে সোয়া দুই একর থেকে আড়াই একর। এর মধ্যে হাইওয়ে ব্যবহারকারীদের সুযোগ সুবিধার জন্য বরাদ্দ থাকবে ৯৫৩ বর্গ কিলোমিটার বা ১০ হাজার ২৫৮ বর্গফুট জায়গা।
সেখানে থাকবে রেস্টুরেন্ট যার আয়তন হবে ২৭০ বর্গমিটার বা ২ হাজার ৯০৬ বর্গফুট। ৮২ জন এই রেস্টুরেন্টে একসঙ্গে খাবার গ্রহণ করতে পারবেন। শিশুদের খেলার স্থান থাকবে ১৫০ বর্গফুটের। বেবি ফিডিং এরিয়া থাকবে ১০০ বর্গফুটের। নামাজের স্থান থাকবে ২৪০ বর্গফুট। রান্নাঘরের আয়তন হবে এক হাজার ৪৮৫ বর্গফুট।
পাম্প মালিকের কেবিন থাকবে ৩০০ বর্গফুটের। প্রক্ষালন (ওয়াশরুম) কক্ষের আয়তন হবে ৬৫ বর্গফুট। এটিএম বুথের জন্য থাকবে ২২৫ বর্গফুট।
টয়লেট জোন হবে ১ হাজার ১৫৫ বর্গফুটের। এর মধ্যে পুরুষ টয়লেট ৫৪৮ বর্গফুট (একসঙ্গে ২০ জনের ব্যবহার যোগ্য), নারীদের টয়লেট হবে ২৭০ বর্গফুটের (একসঙ্গে ৯ জন ব্যবহার যোগ্য)। প্রতিবন্ধীদের জন্য থাকছে ৬৭ বর্গফুট এলাকা।
পাম্পের কাউন্টার এবং লুব্রিকেন্ট স্টোরেজের জন্য বরাদ্দ থাকবে ৩১২ বর্গফুট জায়গা। আট জনের অফিস কক্ষের জন্য থাকছে ৪১৫ বর্গ ফুট, স্টাফ বিশ্রামের জন্য থাকছে ৪৬২ বর্গফুট।
এই পাম্প ব্যবহারকারীদের জন্য থাকছে মোবাইল ফোন চার্জিং পয়েন্ট। ওয়াটার বডি থাকছে ১ হাজার ৪০০ বর্গফুটের। থাকছে মেডিক্যাল ইউনিট।
পাম্প শেডের আয়তন হবে প্রায় ১০ হাজার বর্গফুটের। এতে একসঙ্গে ২২টি গাড়ি তেল ও গ্যাস নিতে পারবে। থাকবে রেস্টুরেন্টের মধ্যে ৫৫ বর্গফুটের খোলা স্থান।
সার্ভিস এরিয়া
সার্ভিস এরিয়ায় থাকবে বাস ও গাড়ি ওয়াশিং জোন। এর মধ্যে টুলস রুম থাকবে ২২৬ বর্গফুটের। সেখানে ব্যাটারি পরিবর্তন-চার্জিং ও টায়ার পাম্পিং সুবিধা থাকবে। থাকবে অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থাও।
ড্রাইভার জোনের আয়তন হবে ২ হাজার ২৫৩ বর্গফুট। সেখানে ৯৪৩ বর্গফুটের রেস্টুরেন্ট, ৪৯০ বর্গফুটের কিচেন, ৩৮০ বর্গফুটের টয়লেট থাকছে। থাকছে চালকদের গোসলের ব্যবস্থা।
ট্যাংক স্টোরেজ ও পার্কিং ক্যাপাসিটি
হাইওয়ে মডেল পাম্পে অকটেন স্টোরেজ ক্যাপাসিটি থাকবে ১৮ হাজার লিটার। পেট্রোল স্টোরেজ ক্যাপসিটি থাকবে ১৩ হাজার লিটার। দুইটি হাইস্পিড ডিজেল স্টোরেজ ট্যাংকের মোট স্টোরেজ ক্যাপসিটি থাকবে ৬০ হাজার লিটার। অটো গ্যাস (এলপিজি) ক্যাপাসিটি হবে ২০ হাজার লিটার।
এই পাম্পে ১৩ টি ব্যক্তিগত গাড়ি, ২০টি বাস ও ট্রাক পার্কিং ব্যবস্থা থাকবে। ফুয়েল আনলোডিং ক্যাপাসিটি থাকবে একটি। একই সঙ্গে চারটি ব্যাটারিচালিত গাড়ি চার্জের ব্যবস্থাও থাকছে।
কেন এই উদ্যোগ?
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (অপারেশন) ড. মহ. শের আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পেট্রল পাম্প নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা ও অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা একটি জরিপ চালিয়েছিলাম। এই জরিপে মারাত্মক ও চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে। এতে দেখা যায় দেশের প্রচলিত পাম্পগুলোর ৬২ ভাগই তেল বিক্রি করে লাভ করতে তো পারেই না, উল্টো লোকসানে থাকে।
‘তারা ভেজাল তেল বিক্রি করে ও ওজনে কম দিয়ে ব্যবসা টিকিয়ে রাখে বা সামান্য লাভও করে। এতে দেশের পাম্পগুলোর সেচ্ছ্বাচারিতা ও গ্রাহক ভোগান্তির এক করুণ চিত্র ফুটে ওঠে।’
নতুন ধরনের পাম্পে ভেজাল তেল বিক্রি বন্ধ হবে-এমন নিশ্চয়তা কী, এমন প্রশ্নে যুগ্মসচিব বলেন, ‘এসব পাম্পে ভেজাল বা ওজন কম দেয়ার প্রয়োজন পড়বে না। কারণ, তেল বেচে যদি লাভ নাও হয়, তাহলেও অন্যান্য যে সেবা থাকবে, তাতে মালিকের মুনাফা হবে অনেক বেশি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের পেট্রল পাম্পগুলোর ফ্রেশ রুমগুলো অত্যন্ত নোংরা। নেই কোনো রিফ্রেসমেন্ট ব্যবস্থাও। এতে নারী, শিশু ও প্রবীণরা ঝামেলায় পড়েন। চালকদের বিশ্রামের ব্যবস্থা না থাকায়, দুর্ঘটনাও ঘটে।
‘এরপরই সরকার প্রতিকারের বিষয়ে চিন্তা করতে থাকে এবং নতুন করে পেট্রল পাম্পের অনুমোদন দেয়া বন্ধ করে দেয়। এরপর আমরা একটি হাইওয়ে মডেল পাম্পের চিন্তা ও পরিকল্পনা করি। সেই মোতাবেকই একটি ডিজাইনও করা হয়।‘
শের আলী বলেন, ‘আমাদের দেশের অর্থনীতির আকার বড় হচ্ছে। মহাসড়কগুলো দুই লেন থেকে চার লেন ও এক্সপ্রেসওয়েতে উন্নত হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়া, এশিয়া ও ট্রান্স এশিয়ান হাইওয়ের যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ভারত, নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশের মধ্যে বিবিআইএন চুক্তি সাক্ষর হয়েছে। তারা চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করবে। ফলে আমাদের পাম্প গুলোও আন্তুর্জাতিক মানের হওয়া উচিত। আমরা সে ধরনেরই নকশা করেছি।
‘এই পাম্প বাস্তবায়ন হলে এমনিতেই প্রচলিত পাম্প বন্ধ হয়ে যাবে।’
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু নিউজবাংলাকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যে উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন, ভিশন-২০৪১; হাইওয়ে মডেল ফিলিং স্টেশন তারই একটা অংশ।
তিনি জানান, দেশের জ্বালানি সক্ষমতা অর্জনের সঙ্গে সঙ্গে, কোয়ালিটি সার্ভিস নিশ্চিতের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য নেয়া হয়েছে বিশ্বমানের নানা কার্যক্রম ও প্রকল্প।
বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নত বিশ্বের আদলে পাম্পগুলো বদলে গেলে প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতেও পাম্প ঘিরে অর্থনৈতিক কর্মচাঞ্চল্য সৃষ্টি হবে। অন্যদিকে গ্রাহকরা একই স্থানে অনেকগুলো সেবা পাবেন। মোট কথা অকটেন, পেট্রোল, ডিজেল, অটো গ্যাস ও সৌরবিদ্যুৎ চার্জিংয়ের মতো পাঁচটি সেবা, সেই সঙ্গে চাকা ও ব্যাটারি পরিবর্তন ও মেরামতের সুযোগ থাকছে।’
মালিকদের আগ্রহ কম যে কারণে
সরকার উচ্ছ্বসিত হলেও বেসরকারি উদ্যোক্তাদের আগ্রহ এখন পর্যন্ত কম। এর ফলে রাষ্ট্রায়ত্ত পেট্রলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) সারা দেশে মডেল ফিলিং স্টেশন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে।
পেট্রল পাম্প মালিকদের সংগঠন পেট্রল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মডেল পেট্রল পাম্প করার প্রথম সমস্যা হচ্ছে এটি করতে প্রায় ১০ বিঘা জমি দরকার, যা ব্যয়বহুল। বিশাল বিনিয়োগ করতে হবে। এটি আমাদের দেশের জন্য উপযোগী নয়।’
তিনি বলেন, ‘অনেক মালিক ঋণ করে পাম্প দেন। সেই ঋণের সুদ দিতেই তাদের গলদঘর্ম হতে হয়। এখন বাড়তি এত কিছুর পেছনে বিনিয়োগ করতে বলাটা অমানবিক বটে।
‘এদিকে নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়েও আমরা ভাবছি। এ রকম সুবিধা থাকলে অনেক লোকই পাম্পে আসবে। পাম্পে নগদ টাকা থাকে। সেটিও বিবেচনা করতে হবে। এ ছাড়া এ কাজের জন্য যে জমির কথা বলা হচ্ছে তা হাইওয়ের পাশে পাওয়া আরও কঠিন। জমির দামও বেশি পড়বে। এখন কারোরই এত বড় জমি নেই।’
এই অবস্থার মধ্যে বিপিসি জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের এক সভায় বলছে, কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ, পদ্মা সেতু এবং মিরেরসরাই বঙ্গবন্ধু অর্থনৈতিক অঞ্চলে মডেল ফিলিং স্টেশন নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে। তেল বিপণন কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা নিজস্ব অর্থায়নে এগুলো বাস্তবায়ন করবে।
জ্বালানি বিভাগের সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান ওই সভায় বিপিসির এই উদ্যোগে সায় দেন এবং এই বিষয়ে কাজ শুরু করতে গুরুত্ব আরোপ করেন।
জ্বালানি সচিব আনিছুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই ধরনের ফিলিং স্টেশন নির্মাণের খরচ বেশি। তাই উদ্যোক্তাদের আগ্রহ কম। এই কারণেই এবার বিপিসির অধীন বিপণন সংস্থাগুলো তাদের নিজস্ব জায়গায় মডেল ফিলিং স্টেশন নির্মাণ করবে। এটা দেখে অন্যরাও উৎসাহিত হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিপিসির জমি ছাড়াও পূর্বাচলে কয়েকটি স্টেশন নির্মাণের জন্য আমরা জমি চেয়েছি। পেলে সেখানেও নির্মাণ করা হবে।’
চ্যালেঞ্জটা কী?
জ্বালানি বিভাগ থেকে জানানো হয়, তারা ৯টি মডেল পেট্রোল পাম্প স্থাপনের বিষয়ে অনাপত্তিপত্র দিয়েছে। এর মধ্যে ৩টি তেল বিপণন কোম্পানির অর্থায়নে ৫টি আর ৬টি ডিলারের অর্থায়নে নির্মাণ করা হবে।
এর মধ্যে পদ্মা ও যমুনা অয়েলের মাধ্যমে দুটি করে এবং মেঘনা পেট্রলিয়ামের মাধ্যমে একটি মডেল পাম্প নির্মাণে লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) বা প্রাথমিক সম্মতিপত্র ইস্যু করা হয়েছে।
তবে বিপিসির চেয়ারম্যান আবু বকর ছিদ্দিক বলেন, ‘যতদূর জানি এ নিয়ে কাজ চলছে। আমি নতুন। তাই বেশি কিছু জানি না। তবে এটা এমন কোনও বড় বিষয় নয়।’
আরও পড়ুন:প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আসন্ন উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারি (দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন) যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেটি ব্যর্থ হবে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বিষয় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘দেশের নির্বাচনে আবেগ-অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। যেকোনো মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে। এই নির্বাচনে ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে যে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে, তা ক্ষুণ্ন হতে পারে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে, তা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে।’
সভায় দেশের সব জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সব ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর পাশাপাশি যুদ্ধকে ‘না’ বলতে বৃহস্পতিবার সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
থাইল্যান্ডে জাতিসংঘের কনফারেন্স সেন্টারে (ইউএনসিসি) এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে দেয়া ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান বলে বার্তা সংস্থা বাসসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সব ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে এবং যুদ্ধকে ‘না’ বলতে হবে। বাংলাদেশ জাতিসংঘ মহাসচিবের ‘শান্তির জন্য নতুন এজেন্ডা’র পক্ষে।”
ভাষণে সব ধরনের যুদ্ধ, আগ্রাসন ও নৃশংসতা বন্ধে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুধু হতাহতের সংখ্যা বাড়াচ্ছে, বিশেষত নারী ও শিশুরা এর বলি হচ্ছে। অথচ আলোচনায় আসতে পারে শান্তি।
তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনি যুদ্ধ ও গণহত্যা চলছে। এটি অবশ্যই বন্ধ হতে হবে। যুদ্ধ কোনো সমাধান দিতে পারে না।’
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা তার উদ্যোগ ও শাসনামলে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশে ‘পার্বত্য শান্তি চুক্তি’র কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আঞ্চলিক বিরোধ ও উত্তেজনা নিষ্পত্তি করতে হবে।’
আরও পড়ুন:দেশজুড়ে চলমান দাবদাহ আরও ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রাষ্ট্রীয় সংস্থাটির আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বৃহস্পতিবার তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন।
সতর্কবার্তায় বলা হয়, ‘দেশের ওপর চলমান তাপপ্রবাহ আজ (২৫ এপ্রিল, ২০২৪) হতে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে।’
৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাস
আবহাওয়া অধিদপ্তর বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে তাপপ্রবাহ বা দাবদাহ নিয়ে জানায়, খুলনা বিভাগসহ দিনাজপুর, নীলফামারী, রাজশাহী, পাবনা, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ বরিশাল বিভাগ এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
তাপমাত্রার বিষয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।
আরও পড়ুন:রাজধানীর উপকণ্ঠ সাভারে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১১ বছর পূর্তিতে বুধবার প্রাণ হারানো শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন হতাহত শ্রমিক, তাদের পরিবার, বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন ও পুলিশ সদস্যরা।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল ঘটে যাওয়া ওই দুর্ঘটনায় পাঁচটি পোশাক কারখানার এক হাজার ১৩৮ জন শ্রমিক প্রাণ হারান। পঙ্গুত্ব নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন দুই সহস্রাধিক শ্রমিক।
ট্র্যাজেডির বার্ষিকীতে আহত শ্রমিকদের পুনর্বাসন ও সুচিকিৎসা নিশ্চিতের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন শ্রমিক ও সংগঠনগুলোর সদস্যরা।
সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বুধবার সকাল থেকে ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনে অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানানো শুরু হয়।
একে একে নিহত শ্রমিকের পরিবার, আহত শ্রমিক, পুলিশ ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের ফুলের শ্রদ্ধায় সিক্ত হয়ে ওঠে বেদি। ওই সময় নিহত শ্রমিকদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
পরে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি আদায়ে বিক্ষোভ সমাবেশ, র্যালি ও মানববন্ধন করা হয়।
রানা প্লাজা ট্র্যাজেডিতে প্রাণ হারানো শ্রমিকদের অনেক স্বজন প্রিয়জনের কথা স্মরণ করে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
সমাবেশে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১১ বছর পর এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের সুচিকিৎসা, ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত না হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়ে তা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান বক্তারা।
একই সঙ্গে ভবনের মালিক সোহেল রানার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডেরও দাবি জানান তারা।
আরও পড়ুন:দেশজুড়ে বয়ে চলেছে তাপপ্রবাহ। প্রচণ্ড গরমে অস্থির জনজীবন। বিদ্যুতের লোডশেডিং সেই অস্বস্তি-অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন রেকর্ড গড়লেও সারাদেশে লোডশেডিং কমার কোনো লক্ষণ নেই। বরং আগের তুলনায় লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অফ বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ন্যাশনাল লোড ডিসপ্যাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) তথ্যের উল্লেখ করে বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানায়, বুধবার (দেশে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে। আগের দিন মঙ্গলবার তা ছিল ১ হাজার ৪৯ মেগাওয়াট।
এনএলডিসির তথ্যে আরও দেখা যায়, মঙ্গলবার রাত ১টায় লোডশেডিং ছিল ১ হাজার ৪৬৮ মেগাওয়াট। তবে বুধবার দিনের বেলায় বিদ্যুৎ ঘাটতির মাত্রা কমে সকাল ৭টায় ৫৪২ মেগাওয়াটে নেমে আসে। আবার বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়তে থাকে। বিকেল ৩টায় লোডশেডিং বেড়ে দাঁড়ায় ৮২১ মেগাওয়াট।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ও পিজিসিবির তথ্য বলছে, ১৫ হাজার ২০০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে বুধবার বিকেল ৫টায় দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ১৪ হাজার ৪৭৩ মেগাওয়াট। সে হিসাবে সন্ধ্যার এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উৎপাদন ঘাটতি ছিল ৭২৭ মেগাওয়াট।
ওদিকে বুধবার সন্ধ্যায় চাহিদার পূর্বাভাস ছিল ১৬ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট এবং সরবরাহের পূর্বাভাস ছিল ১৬ হাজার ৫৩০ মেগাওয়াট।
সরকারি সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য বড় শহরে লোডশেডিং এড়াতে গিয়ে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়েছে।
বিভিন্ন এলাকা থেকে পাওয়া সংবাদে জানা যায়, এই গ্রীষ্মে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিংয়ের মাত্রা গ্রামীণ মানুষের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে তুলছে।
এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলার সরকারি তথ্যে দেখা যায়, ৩ হাজার ৭৬০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে দেশে গ্যাস উৎপাদন হয়েছে দৈনিক ৩ হাজার ৫৬ মিলিয়ন ঘনফুট।
বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিশেষ করে যেগুলো প্রাথমিক জ্বালানি হিসেবে গ্যাস ব্যবহার করে, সেগুলোতে গ্যাস সংকটের কারণে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।
বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ২ হাজার ৩১৬ দশমিক ৯ মিলিয়ন ঘনফুট চাহিদার বিপরীতে ১ হাজার ৩৪৯ দশমিক ৯ মিলিয়ন ঘটফুট গ্যাস সরবরাহ পেয়েছে।
আরও পড়ুন:সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নতুন তিন বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। বৃহস্পতিবার তারা শপ্রথ গ্রহণ করবেন।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে বুধবার।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মহামান্য রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের তিনজন বিচারককে তাদের শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করেছেন।
আপিল বিভাগে নবনিযুক্ত বিচারপতিগণ হলেন- বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ, বিচারপতি মো শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।
বৃহস্পতিবার শপথ
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার বলা হয়, আপিল বিভাগে নবনিযুক্ত তিন বিচারপতি বৃহস্পতিবার শপথ গ্রহণ করবেন। এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেজ লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি তাদেরকে শপথ পাঠ করাবেন।
মিয়ানমারের কারাগারে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ শেষে ১৭৩ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। গভীর সাগরে অবস্থানরত মিয়ানমার প্রতিরক্ষা বাহিনীর জাহাজ ‘চিন ডুইন’ থেকে তাদের নিয়ে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর একটি জাহাজ বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ার ছড়া ঘাটে এসে পৌঁছায়।
এর আগে বুধবার বেলা ১১টার দিকে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজার এসে পৌঁছায়।
প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজার পৌঁছানোর পরপরই ঘাট থেকে গাড়িযোগে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার উদ্দেশে রওনা হয়, যেখানে বিজিবির অধীনে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ২৮৫ সদস্য রয়েছেন। তাদের নিয়ে বৃহস্পতিবার মিয়ানমার ফেরত যাবে প্রতিনিধি দলটি।
এদিন বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও কক্সবাজার ৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল।
তিনি বলেন, ‘দুপুর ১টার দিকে ১৭৩ বাংলাদেশি ঘাটে এসে পৌঁছাতে পারেন। তারা মিয়ানমারের কারাগারে ভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ করে সরকারের প্রচেষ্টায় ফিরছেন।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ১৭৩ জনের মধ্যে ১২৯ জন কক্সবাজার জেলার, ৩০ জন বান্দরবান জেলার, সাতজন রাঙ্গামাটি জেলার এবং একজন করে রয়েছেন খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, নরসিংদী ও নীলফামারী জেলার। ইতোমধ্যে ফেরত আসাদের অপেক্ষায় ঘাটে ভীড় করছেন তাদের স্বজনরা।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম জানিয়েছেন, দেশে ফেরত আসাদের গ্রহণ করে পুলিশে হস্তান্তর করবে বিজিবি। তারপর যাচাই-বাছাই শেষে স্ব স্ব থানার পুলিশের মাধ্যমে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
এদিকে ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্র জানিয়েছে, রাখাইন রাজ্যে সংঘাতের কারণে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আসতে বাধ্য হওয়া মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ সফররত মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা বাহিনীর ‘চিন ডুইন’ জাহাজটি ১৭৩ বাংলাদেশিকে বহন করে মঙ্গলবার যাত্রা শুরু করে। এর মধ্যে ১৪৪ জন কারাগারে পূর্ণ মেয়াদে সাজা ভোগ করেছেন। অপর ২৯ জন মিশনের প্রচেষ্টায় ক্ষমা পেয়ে বাংলাদেশে ফিরছেন।
মূলত বাংলাদেশিদের নিয়ে আসা মিয়ানমারের জাহাজটিই বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বিজিপির ২৮৫ সদস্যকে নিয়ে ফেরত যাবে।
মিয়ানমারের ২৮৫ সদস্যকে ফেরত নেয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতেই মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলটি নাইক্ষ্যংছড়ি গেছে।
মিয়ানমারে ফেরত যাওয়াদের মধ্যে গত ১৯ এপ্রিল একদিনে নতুন ২৪ জন, ১৬ এপ্রিল ৬৪ জন, ১৪ এপ্রিল ১৪ জন, ৩০ মার্চ ৩ জন ও ১ মার্চ ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনা সদস্য পালিয়ে আশ্রয় নেন। এরও আগে ফেব্রুয়ারির শুরুতে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন আরও ৩৩০ জন, যাদের গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।
প্রথম দফায় ফেরতের সময় ঘটনাস্থলে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশ ও সংশ্লিষ্টরা কথা বললেও এবার তা হচ্ছে না। ফেরত আসা বাংলাদেশিদের গ্রহণ এবং ২৮৫ জনকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শেষ করে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে। সেখানেও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশ সংরক্ষিত হতে পারে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য