প্রথমে দুই বছরের জন্য আলোচনায় থাকলেও পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খুলনা পাওয়ার কোম্পানি কেপিসিএলের দুই বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ তিন বছর বাড়তে যাচ্ছে।
এই কোম্পানিটি ছাড়াও সামিট পাওয়ার ও ওরিয়ন গ্রুপের মালিকানাধীন ওরিয়ন পাওয়ার মেঘনা ঘাট এবং অপরটি ডাচ্-বাংলা পাওয়ার অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসেরও একটি করে বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।
এর মধ্যে কেপিসিএলের দুটি কেন্দ্রের উৎপাদনক্ষমতা ১৫৫ মেগাওয়াটের, নারায়ণগঞ্জের মদনগঞ্জে সামিটের কেন্দ্রের উৎপাদনক্ষমতা ১০২ মেগাওয়াট, ওরিয়নের মেঘনা ঘাট ও ডাচ্-বাংলার পাওয়ার অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটের সিদ্ধিরগঞ্জের উৎপাদনক্ষমতা ১০০ মেগাওয়াট করে।
কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয় যে আইনে, তার মেয়াদ বাড়ানোর পর পাঁচটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বাড়াতে আলোচনার জন্য বৈঠক ডেকেছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার বেলা তিনটায় বিদ্যুৎ ভবনে এই বৈঠক আহ্বান করেছে মন্ত্রণালয়। এতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানিসংশ্লিষ্ট ১৪টি বিভাগের প্রতিনিধি এবং পাঁচটি বিদ্যুৎ কোম্পানির প্রতিনিধিদের থাকতে বলা হয়েছে।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর অসহনীয় বিদ্যুৎ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভাড়াভিত্তিক বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ওপর নির্ভর করে। প্রথমে পাঁচ বছরের জন্য এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তি হয়। পরে তা আরও পাঁচ বছর বাড়ানো হয়।
সম্প্রতি এই পাঁচটি কোম্পানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় বিশেষ করে কেপিসিএলের বিনিয়োগকারীরা হতোদ্যম হয়ে পড়েন। সামিটের বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি সেই তুলনায় কম। কারণ, কোম্পানিটির আরও অনেক বিদ্যুৎকেন্দ্র আছে। ওরিয়ন গ্রুপের অন্য ব্যবসা আছে।
কিন্তু কেপিসিএলের দুই কেন্দ্রের মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ায় তাদের ব্যবসা বলতে সহযোগী কোম্পানি ইউনাইটেড পায়রার ৩৫ শতাংশের মালিকানা ছাড়া আর কিছুই ছিল না।
এই অবস্থায় গত ১৬ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) আইন, ২০১০ পাস হয়।
আইনের মেয়াদ পাঁচ বছর বাড়ানোয় ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মেয়াদ বাড়াতে আইনি বাধা দূর হয়। আর এতে উৎসাহী হয়ে ওঠেন কেপিসিএলের বিনিয়োগকারীরা।
কোম্পানিটির বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ অন্তত দুই বছর বাড়বে বলে নিউজবাংলাকে একাধিকবার নিশ্চিত করেছেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম।
সুইজারল্যান্ডের জুরিখে রোড শোতে যাওয়ার আগেও তিনি বলেন, ‘সময় দুই বছর বাড়িয়ে দেয়া হবে বলে খবর পেয়েছি। আশা করি সেটি হবে। করোনার কারণে লোকজন অফিসে কম এসেছেন। ফলে কাজ কিছুটা কম হয়েছে। আমি আশ্বাস পেয়েছি এটি হবে।’
তবে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে জানান, পাঁচ বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ছে ২০২৪ সাল পর্যন্ত।
কী শর্ত থাকছে, তাও জানান তিনি। বলেন, ‘নো ইলেকট্রিসিটি, নো বিল-এই নীতিতে কেন্দ্রগুলো চলবে।‘
অর্থাৎ, এতদিন বিদ্যুৎ না কিনলে কেন্দ্রকে বসিয়ে রেখে যে ক্যাপাসিটি চার্জ দেয়া হতো, সেটি আর দেয়া হবে না। তবে পুরোটা নির্ভর করছে মঙ্গলবারের বৈঠকের ওপর।
কেপিসিএলের একজন কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন, তারা এই শর্তে রাজি আছেন। তবে চেষ্টা করবেন ন্যূনতম একটি ক্যাপাসিটি চার্জ রাখার।
খুলনায় কেপিসিএলের ৪০ ও ১১৫ মেগাওয়াটের দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র সেখানকার স্থানীয় চাহিদা পূরণে জরুরি। সেখানে দুটি বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র রামপাল ও রূপসা এখনও উৎপাদনে আসতে দেরি হবে। তাই কেপিসিএল থেকে বিদ্যুৎ কিনতেই হবে।
সতর্ক বার্তাও ছিল কেপিসিএল ও ওরিয়নের
যে আইনের অধীনে কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনা করা হচ্ছে, সেই আইনের মেয়াদ বৃদ্ধির চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার আগেই শেয়ারমূল্য বেড়ে যাওয়া নিয়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করে খুলনা পাওয়ার কোম্পানি কেপিসিএল ও ওরিয়ন ফার্মা।
কোম্পানি দুটি সেদিন জানায়, তাদের বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বাড়েনি। আইন সংশোধন আর মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়টি দুটি আলাদা বিষয়।
কেপিসিএল সেদিন বলে, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) আইনের মেয়াদ ২০২৬ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাবে অনুমোদন দেয়া হলেও কোম্পানির সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয়ের কোনো চুক্তি হয়নি।
‘বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানির জন্য এই সিদ্ধান্ত ইতিবাচক হতে পারে। আপনাদের আগেই জানানো হয়েছিল, কেপিসিএলের দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের (১১৫ মেগাওয়াটের কেপিসিএল ইউনিট টু ও ৪০ মেগাওয়াটের নওয়াপাড়া কেন্দ্র) মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
‘তবে আমরা বিদ্যুৎ বিভাগ বা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা পাইনি। এ বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত যথাসময়ে আপনাদের জানানো হবে। এই পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায়, যে সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা কোম্পানির আর্থিক হিসাবে কোনো প্রভাব ফেলবে না।’
তবে মেয়াদ বৃদ্ধির বৈঠক ডাকার বিষয়ে কোম্পানির পক্ষ থেকে কোনো বার্তা বিনিয়োগকারীদের জন্য রাখা হয়নি।
কেপিসিএলের পূর্বাপর তথ্য
কোম্পানির হাতে ছিল তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্র। এর মধ্যে একটির মেয়াদ ২০১৮ সালে শেষ হওয়ায় আর নবায়ন করা হয়নি।
বাকি দুটির মধ্যে খানজাহান আলী পাওয়ার লিমিটেডের ৪০ মেগাওয়াট কেন্দ্রের মেয়াদ শেষ হয় ৩১ মে। কেপিসিএলে ইউনিট-টু ১১৫ মেগাওয়াট কেন্দ্রের মেয়াদ শেষ হয় ২৮ মে।
এই দুটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কেপিসিএলের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড পায়রা প্লান্টই বিনিয়োগকারীদের একমাত্র ভরসার জায়গা।
গত ২১ জানুয়ারি ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পটুয়াখালীর খোলিশখালীতে অবস্থিত এই কেন্দ্র থেকে ১৫ বছর বিদ্যুৎ কিনবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। এখানে কেপিসিএলের মালিকানা ৩৫ শতাংশ।
শেয়ার নিয়ে হতাশা
২০১০ সালে চাঙা পুঁজিবাজারে সরাসরি তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির শেয়ার বিক্রি হয় গড়ে ২১৪ টাকা করে। ছয় বছর বোনাস শেয়ার দিয়ে কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন দাঁড়িয়েছে ৩৯৭ কোটি ৪১ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
গত ৩১ আগস্টের তথ্য অনুযায়ী কোম্পানিটির ৬৯.৯৯ শতাংশ শেয়ার আছে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের হাতে আছে ০.২১ শতাংশ আর ব্যক্তিশ্রেণির বিনিয়োগকারীদের কাছে আছে ২১ দশমিক ০৬ শতাংশ শেয়ার।
দুই মাস আগে প্রতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা হাতে থাকা প্রায় সব শেয়ার বিক্রি করে দিলেও জুলাই মাসে তারা কিনে নেন সোয়া তিন কোটির বেশি শেয়ার।
আয়ের হিসাব
কোম্পানিটির দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় গত ৩০ জুলাই সমাপ্ত অর্থবছরে আগের বছরের চেয়ে বেশিও হতে পারে, আবার কমও হতে পারে।
মার্চে শেষ হওয়া তৃতীয় প্রান্তিক অনুযায়ী কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৬৫ পয়সা। গত বছর একই সময়ে এই আয় ছিল ২ টাকা ৬২ পয়সা।
তবে চতুর্থ প্রান্তিকের তিন মাসের জায়গায় দুই মাস চলেছে কোম্পানিটির দুই বিদ্যুৎকেন্দ্র। এই হিসাবে আয় কিছুটা কম হতে পারে। তবে ইউনাইটেড পাওয়ারের আয় যোগ হলে তা আবার গত বছরের আয়কে ছাড়িয়েও যেতে পারে।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
মন্তব্য