দুই সপ্তাহ ধরে পুঁজিবাজারে সূচক উঠানামার মধ্যে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে তা স্পষ্ট হলো লেনদেনে। চলতি সেপ্টেম্বরে প্রথমবারের মতো আর ১৪ কর্মদিবস পর প্রথমবারের মতো লেনদেন দুই হাজার কোটি টাকার নিচে নামল।
সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার সূচকের পতনের পর দ্বিতীয় দিন সোমবার উঠানামা করতে করতে শেষ পর্যন্ত ১৪ পয়েন্ট যোগ হওয়ার স্বস্তি উবে যাচ্ছে লেনদেন দেখে। আগের দিনের তুলনায় ২৭১ কোটি টাকার কম শেয়ার কেনাবেচা হয়েছে।
দিন শেষে হাতবদল হয়েছে ১ হাজার ৭৬২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এই লেনদেন গত ২৭ জুলাইয়ের পর সর্বনিম্ন।
এর আগে শেষ দুই হাজার কোটি টাকার নিচে লেনদেন হয়েছিল গত ২৯ আগস্ট। সেদিরও দুই হাজার কোটি টাকার নিচে লেনদেন হয়েছিল ১৬ কর্মদিবস পর।
২৯ আগস্টের আগে লেনদেন দুই হাজার কোটি টাকার নিচে হয়েছিল ২৭ জুলাই। সেদিন হাতবদল হয় ১ হাজার ৫২১ কোটি ৩১ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছিল।
পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিলে ব্যাংকের অবণ্টিত লভ্যাংশ জমা নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আপত্তি তোলার পর গত সপ্তাহ থেকেই পুঁজিবাজারে বিভ্রান্তি দেখা দেয়। সূচকের উঠানামার ভিড়ে গত কয়েক মাসে যেসব কোম্পানির শেয়ারদর ব্যাপকভাবে বেড়েছিল, সেগুলো সংশোধনে যেতে শুরু করে।
বড় মূলধনি ও বহুজাতিক কোম্পানির উল্লম্ফনে ওই সপ্তাহে সূচকের বড় পতন ঠেকানো গেলেও চলতি সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার পতন হয় বড় মূলধনি ও বহুজাতিক কোম্পানির শেয়ারদরও।
তবে একটি গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করেছে যে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক অবণ্টিত লভ্যাংশ তহবিলে স্থানান্তর নিয়ে আপত্তি তুলে নিয়েছে। এরপর তহবিলে ব্যাংক থেকে টাকা আসছে।
তবে এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কোনো আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি আসেনি। আর এই বিষয়টি নিয়ে তাই বিভ্রান্তি এখনও রয়ে গেছে।
এমনিতেই জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সূচক টানা বেড়েছে এক হাজার পয়েন্টের বেশি। ফলে একটি দর সংশোধন এমনিতেই স্বাভাবিকভাবে হতে পারে বলে ধারণা ছিল। তার ওপর এই তহবিল সংক্রান্ত জটিলতার বিষয়টি যোগ হওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যে মানসিক চাপ তৈরি হয়েছে, সেটি স্পষ্ট।
আগের দিন ৩৬ পয়েন্ট পতনের পর সোমবার লেনদেনের শুরুটা বেশ ভালোই ছিল। বেলা সোয়া ১১টার দিকে সূচক প্রায় ৫০ পয়েন্ট বাড়ার পর ধারণা করা হয়েছিল, সেই মনোস্তাত্ত্বিক চাপ থেকে বিনিয়োগকারীরা বুঝি বের হয়ে এসেছেন।
তবে এরপরের সোয়া তিন ঘণ্টায় সূচক কেবল উঠানামা করতে করতে দিনের সেই সর্বোচ্চ অস্থান থেকে কমে যায় ৩৬ পয়েন্ট।
এ বিষয়ে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক দেবব্রত কুমার সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের আপত্তির কারণে তহবিল নিয়ে কিছুটা অনিশ্চয়তা দেখা গিয়েছিল। কারণ ব্যাংকের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন বিএসইসি তালিকাভুক্ত কোম্পানির নিয়ন্ত্রক। কোনো আইনের কারণে তহবিলের অর্থ জমা হতে সমস্যা হলে পুরো পরিকল্পনাটি দুর্বল হয়ে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংক এখন যে কথাগুলো বলছে সেটি আগে বলছে হয়ত এত জটিলতা হতো না। আর বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও এ নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি তৈরি হতো না।’
সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সূচক বৃদ্ধি ও কমায় সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে যে ১০টি কোম্পানি
সূচকের লড়াইয়ের দিন পুঁজিবাজারে ঝলমলে দিন গেছে বিমা খাতে। সাধারণ বিমা কোম্পানির শেয়ারগুলো বহুদিন পর দল বেঁধে বাড়তে দেখা গেছে। দর বৃদ্ধির হারও ছিল উল্লেখযোগ্য।
পাশাপাশি বস্ত্র ও প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ার দরও বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।
ব্যাংক খাতে আরও একটি হতাশার দিন গেল। পতন হয়েছে খাদ্য, জ্বালানি, আর্থিক, ওষুধ ও রসায়ন এবং তথ্য প্রযুক্তি খাতেও।
ঝলমলে বিমা খাত
গত বছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত এক দফায় এবং পরে এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায় বিমা খাতের শেয়ারগুলোর দল বেঁধে উত্থানের যে প্রবণতা দেখা দিয়েছিল, সেটি বহুদিন পর দেখা গেল আবার।
সাধারণ বিমা খাতের ১৩টি কোম্পানির সবগুলো দর হারলেও সাধারণ বিমার ৩৮টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৩৭টির।
সবচেয়ে বেশি দর বৃদ্ধি পেয়েছে এমন ১০টি কোম্পানির মধ্যে দুটি ছিল এই খাতের। এর মধ্যে ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স ও বিএনআইসিএলের দর ছুঁয়েছে দিনের সর্বোচ্চ সীমা।
এই খাতে দলের পাশাপাশি লেনদেনও বেড়েছে। সব মিলিয়ে হাতবদল হয়েছে ২৪৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার শেয়ার। আগের দিন লেনদেন ছিল ২০৩ কোটি ১০ লাখ টাকা।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির দর। ৯.৯৩ শতাংশ বেড়ে ১৩০ টাকা ৮০ পয়সার শেয়ার হয়েছে ১৪৩ টাকা ৮০ পয়সা।
দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স, যার শেয়ার দর ১২১ টাকা ৯০ পয়সা থেকে ৯.৯২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ১৩৪ টাকা।
সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর ৮.২৯ শতাংশ বেড়ে ৫৭ টাকা ৮০ পয়সা থেকে হয়েছে ৬২ টাকা ৬০ পয়সা।
দর বৃদ্ধির তালিকায় আছে রূপালী ইন্স্যুরেন্স, নর্দার্ন ইন্স্যুরেন্স, ইসলামী ইন্স্যুরেন্স। যাদের শেয়ার দর বেড়েছে ৪.৪৬ শতাংশ থেকে ৭.৭৬ শতাংশ পর্যন্ত।
এই খাতে জীবন বিমা খাতের প্রতিটি কোম্পানি দর হারিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৩.৬৪ শতাংশ কমেছে রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দর ৩.৩৯ শতাংশ, মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দর ৩.৩২ শতাংশ, ডেল্টা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দর ২.৯২ শতাংশ কমেছে।
বস্ত্র, প্রকৌশলেও ভালো দিন
বস্ত্র খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ২০৬ কোটি ৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২০৫ কোটি টাকা। লেনদেনে দর বেড়েছে ৪৪টির কোম্পানির। দর হারিয়েছে ১২ টি কোম্পানির।
এদিন বস্ত্র খাতের ‘জেড‘ ক্যাটাগরির আরএন স্পিনিং মিলস লিমিটেডের শেয়ার দর বেড়েছে দিনের সবচেয়ে বেশি ১০ শতাংশ। শেয়ার দর ৭ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৭ টাকা ৭০ পয়সা।
তারপরই আছে রিং শাইন টেক্সটাইল, যার দর ৯.৫৯ শতাংশ বেড়ে ১২ টাকা ৫০ পয়সা থেকে হয়েছে ১৩ টাকা ৭০ পয়সা।
জাহিন স্পিনিং মিলসের দর ৯.২৭ শতাংশ, ডেল্টা স্পিনার্সের দর ৮.৪৮ শতাংশ, এনভয় টেক্সটাইলের দর বেড়েছে ৭.৫৪ শতাংশ।
এ খাতে দুলামিয়া কটনের দর সবচেয়ে বেশি কমেছে ৩.৪৬ শতাংশ। দেশ গার্মেন্টসের দর বেড়েছে ৩.০৫ শতাংশ।
প্রকৌশল খাতের ৪২টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৪টির, কমেছে ১৭টির, আর অপরিবর্তিত ছিল একটির।
এই খাতে লেনদেন হয়েছে ১৬২ কোটি ৮০ লাখ টাকা, যা আগের দিনের তুলনায় বেশ কম। রোববার হাতবদল হয়েছিল ২১৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
এই খাতের দুই কোম্পানি খান ব্রাদার্স ও অ্যাপোলো ইস্পাতের দর বেড়েছে সবচেয়ে বেশি। প্রথম কোম্পানির দর বেড়েছে ৯.৭৭ শতাংশ, আর দ্বিতীয়টির ৯.১৭ শতাংশ। এক দিনে এর চেয়ে বেশি দাম বাড়া সম্ভব ছিল না কোম্পানি দুটির।
দর হারিয়ে বিনিয়োগ কমছে ব্যাংকে
৩২টি ব্যাংকের মধ্যে দর কমেছে ১২টির, বেড়েছে ৮টির। আগের দিনের দামেই আছে ১২টি।
লেনদেন হয়েছে মোট ১০২ কোটি ৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৩০ কোটি ৭৪ লাখ টাকা।
লেনদেনে ব্যাংক খাতের সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংকের ৩.১৬ শতাংশ। শেয়ার দর ১২ টাকা ৬০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ১২ টাকা ২০ পয়সা।
তারপরেই আছে ইস্টার্ন ব্যাংক, যার দর কমেছে ২.১৫ শতাংশ। আগের দিন বড় পতনের পর এনআরবিসি ব্যাংকের দর আরও কমেছে ১.৪১ শতাংশ। ২৮ টাকা ২০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ২৭ টাকা ৮০ পয়সা।
ইউসিবি, সিটি ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, এবি ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে।
ব্যাংকের দর খাতের সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ন্যাশনাল ব্যাংকের ২.৩৭ শতাংশ। ডাচ বাংলা ব্যাংকের ১.০৯ শতাংশ, এক্সিম ব্যাংকের বেড়েছে ৭৭ শতাংশ।
অন্যান্য খাতের লেনদেন
আর্থিক খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ১৮১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। ২৩টি কোম্পানির মধ্যে ৫টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৪টির। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২৬৮ কোটি ০৪ লাখ টাকা।
ওষুধ ও রসায়ন খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ১৫৮ কোটি ৯ লাখ টাকা। ১২টি কোম্পানির শেয়ার দর বৃদ্ধির বিপরীতে কমেছে ১৭টির। অপরিবর্তিত ছিল বাকি তিনটির। আর একটির লেনদেন দীর্ঘদিন ধরেই স্থগিত। এই খাতে আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২০৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা।
মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মোট লেনদেন আরও কম হয়েছে। হাতবদল হয়েছে মাত্র ১৫ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।
তথ্য প্রযুক্তি খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ৪১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। লেনদেনে এ খাতের ৩টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। কমেছে ৮টির।
বিবিধ খাতের ১৪টি কোম্পানিতে লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটি টাকা। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৬টির, কমেছে ৮টির দর। আগের দিন এই খাতে লেনদেন ছিল ১৬৯ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।
সূচক ও লেনদেন
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৪ দশমিক ০১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ২০৫ পয়েন্টে।
শরিয়াভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ৩ দশমিক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৭০ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস ৩০ সূচক ৫ দশমিক ৬০৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৬১ পয়েন্টে।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৪৭ দশমিক ৪১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ০৩০ দশমিক ৬৭ পয়েন্টে।
লেনদেন হওয়া ৩২৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৫৬টির, কমেছে ১৩১টির ও পালটায়নি ৩৮টির।
লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।
আরও পড়ুন:দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সূচক বাড়ার মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে।
ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রবিবার লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় ডিএসইর সাধারণ সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৩ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৩৭ পয়েন্টে অবস্থান করে। ডিএসই শরীয়াহ্ সূচক ৫ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে যথাক্রমে ১২০১ ও ২১৫৬ পয়েন্টে রয়েছে।
এই সময়ের মধ্যে লেনদেন হয়েছে ১১১ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট।
রবিবার এ সময়ে লেনদেন হওয়া কম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ২০৩টির, কমেছে ৭৪টির এবং অপরির্বতিত রয়েছে ৯৩টি কম্পানির শেয়ার।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ কম্পানি হলো-খান ব্রাদার্স, শাইনপুকুর সিরামিক, সালাম স্টিল, রবি, ডোমেনেজ, আইপিডিসি, লাভেলো আইসক্রিম, সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট, রূপালি লাইফ ইন্স্যুরেন্স, ও ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
এর আগে আজ লেনদেন শুরুর প্রথম ৫ মিনিটে ডিএসইএক্স সূচক বাড়ে ৮ পয়েন্ট।
সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সূচক আগের অবস্থান থেকে আরো ১২ পয়েন্ট বেড়ে যায়। এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। লেনদেন শুরুর ২০ মিনিট পর অর্থাৎ সকাল ১০টা ২০ মিনিটে সূচক আগের দিনের চেয়ে ২৮ পয়েন্ট বেড়ে ৫ হাজার ৫৫১ পয়েন্টে অবস্থান করে।
অপরদিকে লেনদেন শুরুর আধা ঘণ্টা পর অর্থাৎ সকাল সাড়ে ১০টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সিএএসপিআই সূচক ২৭ পয়েন্ট বেড়ে ১৫ হাজার ৫৪৬ পয়েন্টে অবস্থান করে।
এরপর সূচকের গতি ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়।
এদিন সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৫ লাখ টাকার শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট। এসময়ের ২০টি কম্পানির দাম বেড়েছে, কমেছে ৮টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২টি কম্পানি শেয়ারের দর।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
মন্তব্য