× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The better the dividend the higher the price drop
google_news print-icon

লভ্যাংশ যত ভালো, দরপতন তত বেশি!

লভ্যাংশ-যত-ভালো-দরপতন-তত-বেশি
যে ফান্ড বেশি লভ্যাংশ দিয়েছে, সেই ফান্ডের দরপতনও তুলনামূলক বেশি। দরপতনে শীর্ষ পাঁচ মিউচ্যুয়াল ফান্ড
জুন শেষে ফান্ডের আর্থিক স্বাস্থ্যের কোনো হানি হয়নি এই লভ্যাংশের কারণে। কিন্তু আগস্টের শেষ ও সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে এসে বড় পতনের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে সব ফান্ডই।

দেশে মিউচ্যুয়াল ফান্ড নিয়ে হতাশা কাটিয়ে যখন উচ্চাশা তৈরি হয়েছিল, সে সময় লভ্যাংশের রেকর্ড ডেটের পর মূল্য পতন আবার সেই হতাশার বৃত্তে নিয়ে গেছে বিনিয়োগকারীদের।

যে ফান্ড বেশি লভ্যাংশ দিয়েছে, সেই ফান্ডের দরপতনও তুলনামূলক বেশি হয়েছে, যার কোনো যুক্তি খুঁজে পাচ্ছেন না পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা।

বাজারে মোট ৩৬টি মিউচ্যুয়াল ফান্ড রয়েছে। এর মধ্যে জুনে অর্থবছর শেষ করে লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে ২৯টি। এই লভ্যাংশ বিতরণ করা হয়েছে ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছর শেষে হাতে থাকা নগদ টাকার ভিত্তিতে।

অর্থাৎ জুন শেষে ফান্ডের আর্থিক স্বাস্থ্যের কোনো হানি হয়নি এই লভ্যাংশের কারণে। কিন্তু আগস্টের শেষ ও সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে এসে বড় পতনের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে সব ফান্ডই।

আর এই দরপতনের ক্ষেত্রে আরও একটি ঘটনা ঘটছে, যেটি বিস্ময়করই বটে।

যেমন- ইউনিটপ্রতি ৮৫ পয়সা করে লভ্যাংশ দেয়া পপুলার ফার্স্ট ও পিএইচপি মিউচ্যুয়াল ফান্ড রেকর্ড ডেট শেষে দর হারিয়েছে ৭০ পয়সা। আগের দিন যে দাম ছিল, তাতে এর চেয়ে বেশি কমতে পারত না দাম।

অন্যদিকে ইউনিটপ্রতি ৪০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়া এফবিএফআইএফ দর হারিয়েছে ৪০ পয়সা।

রোববার রেকর্ড ডেট শেষে লেনদেন শুরু করা ১০টি ফান্ডের সব এভাবে দর হারিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৯০ পয়সা করে দর কমেছে ফার্স্ট জনতা মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের। এই দুটি ফান্ড ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৩০ পয়সা করে লভ্যাংশ দিয়েছিল।

রেকর্ড ডেটে দুটি ফান্ডের দাম ছিল যথাক্রমে ৯ টাকা ৭০ পয়সা ও ৯ টাকা ৪০ পয়সা। এক দিনে কমতে পারত সর্বোচ্চ ৯০ পয়সা, কমেছেও সেটাই।

পুঁজিবাজারে লভ্যাংশ দুই ধরনের হয়ে থাকে। বোনাস শেয়ার ও নগদ লভ্যাংশ। যতটুকু বোনাস শেয়ার দেয়ার প্রস্তাব করা হয়, রেকর্ড ডেট শেষে সেই পরিমাণ দাম আগেই সমন্বয় করে দেয় স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ, কিন্তু নগদ লভ্যাংশ সমন্বয় করা হয় না কখনও।

তার পরই মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ক্ষেত্রে এই নগদ লভ্যাংশও কার্যত সমন্বয় হয়ে যাওয়ায় লভ্যাংশ নেয়া বিনিয়োগকারীদের আসলে কোনো মুনাফা থাকছে না।

পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ইপিএলের সাবেক গবেষণা প্রধান দেবব্রত কুমার সরকার এর কোনো যুক্তিই খুঁজে পাচ্ছেন না।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘নগদ লভ্যাংশ দেয়ার পর মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর কমে আসার কারণ হচ্ছে, সারা বছর এ খাতের ইউনিটের দুরবস্থা। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের ধারণা তৈরি হয়েছে, মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর বেড়েছে মূলত লভ্যাংশ দেবার সময় এসেছে এ জন্য। ফলে ভালো লভ্যাংশ দেবে এমন প্রত্যাশায় বেশ কিছু মিউচ্যুয়াল ফান্ডে নতুন বিনিয়োগ হয়।

‘তবে বেশির ভাগ ইউনিট হোল্ডার লভ্যাংশ না নিয়েই ইউনিটপ্রতি মুনাফা হলেই বিক্রি করে বের হয়ে যায়। ফলে পরবর্তী সময়ে এখানে নতুন করে কোনো বিনিয়োগ হয় না। যারা দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ করেন তারাই শুধু এখানে থাকেন।’

‘তবে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দাম ওঠা-নামার সঙ্গে লভ্যাংশের খুব বেশি সম্পর্ক আছে বলে মনে হয় না। এটাই হয়তো একটা কারণ।’

পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কমিশনার মিজানুর রহমান আশা করছেন, ভবিষ্যতে এই চিত্র হয়তো থাকবে না। তিনি বলেন, ‘মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো যদি ইউনিটধারীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী রিটার্ন দিতে না পারে, তাহলে এখানে কেউ বিনিয়োগ করতে আসবে না। তবে এখন আসছে। সর্বশেষ অর্থবছর বিবেচনায় সিংহভাগ মিউুচ্যয়াল ভালো লভ্যাংশ দিয়েছে। ফলে আশা করা যায়, এ খাতে নতুন বিনিয়োগ আসবে।’

লভ্যাংশ যত ভালো, দরপতন তত বেশি!

বেশি লভ্যাংশ দিয়ে বেশি পতন

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ফান্ডগুলোর মধ্যে ইউনিটপ্রতি সবচেয়ে বেশি ১ টাকা ৭৫ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছে এনএলআই মিউচ্যুয়াল ফান্ড।

ফান্ডটির লভ্যাংশসংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ছিল ২৮ আগস্ট। সেদিন দর ছিল ১৭ টাকা ৬০ পয়সা।

পরের দিন এক দিনেই দাম কমে ১ টাকা ৬০ পয়সা। দাম দাঁড়ায় ১৫ টাকা ৯০ পয়সা। পরে আরও কমে রোববার লেনদেন হয়েছে ১৪ টাকা ৪০ পয়সা।

অর্থাৎ ১ টাকা ৭৫ পয়সা লভ্যাংশ নেয়ার পর একেকটি ইউনিটের দাম পড়েছে ৩ টাকা ২০ পয়সা।

এসইএমএল লেকটার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড ইউনিটধারীদের ২০২১ সালের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। ফান্ডটির লভ্যাংশসংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ছিল ২ সেপ্টেম্বর।

সেদিন ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি দর ছিল ১২ টাকা ৫০ পয়সা। পরদিন দর কমে হয় ১১ টাকা ৩০ পয়সা। অর্থাৎ দাম কমে ৮০ পয়সা।

সে সময় ৭০ পয়সা মুনাফা হলেও পরে তা আর থাকেনি। কারণ এরপর থেকে দাম আরও কমছে। রোববার ফান্ডটির একেকটি ইউনিট লেনদেন শেষ করেছে ১০ টাকা ৪০ পয়সায়।

অর্থাৎ দেড় টাকা নগদ লভ্যাংশ দিতে গিয়ে বিনিয়োগকারী খুইয়েছেন ২ টাকা ১০ পয়সা।

ইউনিটধারীদের ১৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ড। এর লভ্যাংশসংক্রান্ত রেকর্ড ডেটও ছিল ২ সেপ্টেম্বর।

সেদিন ইউনিট মূল্য ছিল ১২ টাকা ২০ পয়সা। রেকর্ড ডেটের পর সার্কিট ব্রেকারের নিম্নতম সীমা অনুযায়ী দাম কমে ১ টাকা ২০ পয়সা। এরপর আরও কমে রোববার লেনদেন শেষ করে ১০ টাকা ৬০ পয়সায়।

অর্থাৎ দেড় টাকা লভ্যাংশ দিয়ে এই ফান্ডে বিনিয়োগকারী ইউনিটপ্রতি মূল্য হারিয়েছেন ১ টাকা ৬০ পয়সা।

লভ্যাংশ যত ভালো, দরপতন তত বেশি!

এশিয়ান টাইগার সন্ধানী লাইফ গ্রোথ ফান্ডে ইউনিটপ্রতি দেড় টাকা লভ্যাংশ নেয়ার রেকর্ড ডেট ছিল ৭ সেপ্টেম্বর। সেদিন ইউনিটপ্রতি দর ছিল ১৩ টাকা ১০ পয়সা।

রেকর্ড ডেট শেষে প্রথম দিন কমে ১ টাকা ৩০ পয়সা। পরে আরও কমে রোববার দাঁড়িয়েছে ১১ টাকা ১০ পয়সায়।

অর্থাৎ দেড় টাকা লভ্যাংশ নিয়ে দুই টাকা খুইয়েছেন বিনিয়োগকারী।

সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামী মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৩৫ পয়সা লভ্যাংশ নিয়েও লাভবান হয়নি বিনিয়োগকারীরা।

ফান্ডটি লভ্যাংশসংক্রান্ত রেকর্ড ডেটের দিন দর ছিল ১৯ টাকা ৫০ পয়সা। রোববারের দর ১৭ টাকা ৮০ পয়সা।

অর্থাৎ ১ টাকা ৩৫ পয়সা লভ্যাংশ দিয়ে একেকজন খুইয়েছেন ১ টাকা ৭০ পয়সা।

সিএপিএম বিডিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ানের ইউনিটধারীরা ১ টাকা ৩০ পয়সা লভ্যাংশ নিতে গিয়ে খুইয়েছেন ১ টাকা ৫০ পয়সা।

৮ সেপ্টেম্বর রেকর্ড ডেটের দিন ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি দাম ছিল ১২ টাকা ৭০ পয়সা। রোববার দাম কমে দাঁড়ায় ১১ টাকা ২০ পয়সা। অর্থাৎ কমেছে দেড় টাকা।

ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ২০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়া ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর রেকর্ড ডেটে ছিল ৯ টাকা ৭০ পয়সা।

১ টাকা ২০ পয়সা লভ্যাংশ নিতে গিয়ে বিনিয়োগকারীর এখন পর্যন্ত লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৫০ পয়সা। রোববার ফান্ডটির প্রতিটি ইউনিটের দাম ছিল ৮ টাকা ২০ পয়সা।

সমপরিমাণ লভ্যাংশ দেয়া গ্রিনডেল্টা মিউচ্যুয়াল ফান্ডেরও একই দশা। রেকর্ড ডেট ১ সেপ্টেম্বর ইউনিটপ্রতি দাম ছিল ৯ টাকা ৬০ পয়সা। সেটি এখন কমে হয়েছে ৮ টাকা ১০ পয়সা।

অর্থাৎ ১ টাকা ২০ পয়সা লভ্যাংশ নিয়ে একেকজন হারিয়েছেন ১ টাকা ৫০ পয়সা।

ফার্স্ট জনতা ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ড ২০২১ সালে ইউনিটধারীদের জন্য ১৩ শতাংশ বা ইউনিটপ্রতি ১ টাকা ৩০ পয়সা হারে লভ্যাংশ দিয়েছে।

ফান্ডটির লভ্যাংশসংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ১৬ সেপ্টেম্বরে ইউনিটপ্রতি দাম ছিল ৯ টাকা ৭০ পয়সা। রোববার দাম ৯০ পয়সা কমে দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা ৮০ পয়সা। সার্কিট ব্রেকারের কারণে ৯০ পয়সার বেশি কমার সুযোগ ছিল না।

ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডেও একই অবস্থা। ইউনিটধারীদের ১৩ শতাংশ অর্থাৎ ১ টাকা ৩০ পয়সা নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে ফান্ডটি। রেকর্ড ডেট ১৬ সেপ্টেম্বর ইউনিটপ্রতি দর ছিল ৯ টাকা ৯০ পয়সা।

রেকর্ড ডেট শেষে সার্কিট ব্রেকারের নিম্নতম সীমা অনুযায়ী কমতে পারত ৯০ পয়সা, কমেছেও তা।

ইউনিটপ্রতি ৯০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়া ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের রেকর্ড ডেটে দাম ছিল ৭ টাকা ৪০ পয়সা। সার্কিট ব্রেকারের কারণে কমার সুযোগ ছিল ৭০ পয়সা। কমেছে তাই। রেকর্ড ডেট শেষে দাম দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৭০ পয়সা।

৮৫ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করা পিএইচপি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের রেকর্ড ডেটের দিন ইউনিটপ্রতি দাম ছিল ৭ টাকা ২০ পয়সা। সার্কিট ব্রেকার অনুযায়ী কমার সুযোগ ছিল সর্বোচ্চ ৭০ পয়সা। কমেছেও ততটাই। রেকর্ড ডেট শেষে দাম দাঁড়িয়েছে ৬ টাকা ৫০ পয়সা।

একই পরিমাণ লভ্যাংশ দেয়া পপুলার ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটপ্রতি দাম রেকর্ড ডেটে ছিল ৭ টাকা। রেকর্ড ডেট শেষে সার্কিট ব্রেকারের নিম্ন সীমা ছিল ৬ টাকা ৩০ পয়সা। এই একটি দামেই লেনদেন হয়েছে দিনভর।

৮০ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করা এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর রেকর্ড ডেটে ছিল ৭ টাকা ১০ পয়সা। সার্কিট ব্রেকার অনুযায়ী কমতে পারত সর্বোচ্চ ৭০ পয়সা। কমেছেও তাই।

রেকর্ড ডেটে ৭৫ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করা এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটপ্রতি দাম ছিল ৭ টাকা ৯০ পয়সা। কমার সুযোগ ছিল সর্বোচ্চ ৭০ পয়সা। কমেছেও তাই।

ইউনিটপ্রতি ৭৫ পয়সা লভ্যাংশ দেয়া আইএফআইসি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর রেকর্ড ডেটে ছিল ৭ টাকা। কমার সুযোগ ছিল ৭০ পয়সা। তবে কমেছে ৬০ পয়সা।

ইবিএল এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও এফবিএফআইএফের লভ্যাংশ নেয়া বিনিয়োগকারীদের কার্যত কোনো মুনাফা হয়নি।

৬০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়া প্রথম ফান্ডের দাম কমেছে সমপরিমাণ, আর ইউনিটে ৪০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়া দ্বিতীয় ফান্ডের দাম কমেছে ৪০ পয়সা।

লভ্যাংশ যত ভালো, দরপতন তত বেশি!

আইসিবির ৮ ফান্ডে মুনাফা

এবার চাঙা পুঁজিবাজারে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট পরিচালিত আটটি মিউচ্যুয়াল ফান্ড ভালো মুনাফা করতে না পারার পর লভ্যাংশ দিয়েছে তুলনামূলক কম। তবে লভ্যাংশ যারা নিয়েছেন, তারা অতটা হতাশ নন। এর কারণ একটির ইউনিট মূল্য লভ্যাংশের পর বেড়েছে। বাকিগুলোর কমলেও এতটা কমেনি যে লভ্যাংশ হিসাব করলে লোকসান হবে।

আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বিনিয়োগকারীরা অবশ্য ব্যাপক মুনাফা করেছেন। ইউনিটপ্রতি ৮০ পয়সা লভ্যাংশ নিয়ে রেকর্ড ডেটের দিন ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি দাম ছিল ১১ টাকা ৬০ পয়সা। রোববার দাম ছিল ১৫ টাকা। অর্থাৎ লভ্যাংশ নেয়ার পরও দাম বেড়েছে ৩ টাকা ৪০ পয়সা।

আইসিবি এএমসিএল অগ্রণী ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটপ্রতি ৭০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছে।

রেকর্ড ডেটে ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি দাম ছিল ৯ টাকা ৪০ পয়সা। এখন দাম ৯ টাকা ১০ পয়সা। অর্থাৎ এই ফান্ডে বিনিয়োগকারীর মুনাফা হয়েছে ইউনিটপ্রতি ৪০ পয়সা।

আইসিবি এএমসিএল থার্ড এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটপ্রতি ৭০ পয়সা লভ্যাংশ দিয়েছে।

আইসিবি এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ড মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান ইউনিটপ্রতি ৬০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এই ফান্ডটির ইউনিটধারীরাও মুনাফা পেয়েছেন। রেকর্ড ডেটের দিন ইউনিটপ্রতি দাম ছিল ৮ টাকা ১০ পয়সা। ৩০ পয়সা কমে এখন দাম ৭ টাকা ৮০ পয়সা। অর্থাৎ ইউনিটপ্রতি ৩০ পয়সা মুনাফায় আছেন বিনিয়োগকারীরা।

লভ্যাংশ যত ভালো, দরপতন তত বেশি!

আইসিবি এএমসিএল সোনালী ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান ইউনিটপ্রতি ৭০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

লভ্যাংশসংক্রান্ত রেকর্ড ডেটে ইউনিটপ্রতি দাম ছিল ৮ টাকা ৮০ পয়সা। রোববার দাম ৮ টাকা ৪০ পয়সা। অর্থাৎ দাম কমেছে ৪০ পয়সা। এই ফান্ডেও ইউনিটপ্রতি মুনাফা আছে ৩০ পয়সা।

আইএফআইএল ইসলামী মিউচ্যুয়াল ফান্ড ওয়ান ইউনিটপ্রতি ৪০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রেকর্ড ডেটে ইউনিটপ্রতি দাম ছিল ৬ টাকা ৯০ পয়সা। রোববার দাম দাঁড়ায় ৬ টাকা ৭০ পয়সা। অর্থাৎ দাম কমেছে ২০ পয়সা।

সবচেয়ে কম লভ্যাংশ দেয়া ফান্ডটির বিনিয়োগকারীরাও ইউনিটপ্রতি ২০ পয়সা মুনাফায় আছেন।

ফিনিক্স ফিন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটপ্রতি ৬০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই ফান্ডটির ইউনিটধারীদেরও মুনাফা হয়েছে।

রেকর্ড ডেটে ইউনিটপ্রতি দাম ছিল ৯ টাকা ৬০ পয়সা। রোববার দাম ৯ টাকা ৫০ পয়সা। অর্থাৎ যারা লভ্যাংশ নিয়েছেন, তাদের অন্তত লভ্যাংশের ৫০ পয়সা মুনাফা আছে।

প্রাইম ব্যাংক ফার্স্ট এএমসিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড ইউনিটপ্রতি ৭৫ পয়সা লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এই ফান্ডের রেকর্ড ডেটের দিন ইউনিটপ্রতি দাম ছিল ৭ টাকা ৯০ পয়সা, রোববার দাম দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ৬০ পয়সা। অর্থাৎ ইউনিট-মূল্য কমেছে ৩০ পয়সা।

আরও পড়ুন:
লভ্যাংশ ১.৭৫ টাকা, দাম কমল ২ টাকা ৩০ পয়সা
আনরিয়েলাইজড গেইন: দায় ডিএসইকে দিল গ্রামীণ টু
৪ টাকা আয় করে ১ টাকা ৫ পয়সা লভ্যাংশ রিলায়েন্স ওয়ানের
৬ টাকা আয় করে ১ টাকা ৩০ পয়সা লভ্যাংশ গ্রামীণ টুর
রেইসের লভ্যাংশে মিউচ্যুয়াল ফান্ডে ফের আগ্রহ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Transaction in Dhaka is going on in Chittagong

ঢাকায় লেনদেন চলছে উত্থানে, চট্টগ্রামে পতন

ঢাকায় লেনদেন চলছে উত্থানে, চট্টগ্রামে পতন

শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।

লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।

এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।

সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।

দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital market

পতনে পর্যদুস্ত পুঁজিবাজার

পতনে পর্যদুস্ত পুঁজিবাজার

পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।

লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।

ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।

ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।

৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।

অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।

চট্টগ্রামেও বড় পতন

.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।

লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।

সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।

এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।

আরও পড়ুন:
পুঁজিবাজার: উত্থান দিয়ে সপ্তাহ শুরু
পুঁজিবাজারে উত্থানের জোয়ারেও কমেনি মন্দ শেয়ারের দৌরাত্ম্য
পুঁজিবাজার: শেষ কর্মদিবসে উত্থানে শুরু লেনদেন
পুঁজিবাজার: দ্বিতীয় কর্মদিবসের শুরুতে ঢাকায় উত্থান, চট্টগ্রামে পতন
পুঁজিবাজার: প্রথম কর্মদিবসে লেনদেন শুরু উত্থানে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The index has dropped again in the capital market of Dhaka Chittagong

আবারও সূচক কমল ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, বেড়েছে লেনদেন

আবারও সূচক কমল ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, বেড়েছে লেনদেন
সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আবারও সূচকের পতন ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে। দুই পুঁজিবাজারে সবকটি সূচক কমলেও বেড়েছে সামগ্রিক লেনদেন।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ২ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়া ভিত্তিক ডিএসএস ১ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ কমেছে আধা পয়েন্টের বেশি।

সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। ডিএসইতে মোট ৪৮২ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা আগেরদিন ছিল ৪৫১ কোটি টাকা।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের। ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৫০, বিপরীতে দাম কমেছে ১৮৬ কোম্পানির। সারাদিনের লেনদনে দাম অপরিবর্তিত ছিল ৫৯ কোম্পানির শেয়ারের।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ এবং জেড ক্যাটাগরির বেশিরভাগ শেয়ারেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। বি ক্যাটাগরিতে দাম বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের। মধ্যম মানের শেয়ারের এই ক্যাটাগরিতে লেনদেন হওয়া ৮২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩৯, কমেছে ৩৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে তালিকাভুক্ত ৩৬ কোম্পানির ২৪টিরই দাম ছিল উর্ধ্বমুখী। দাম কমেছে ৪ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮ কোম্পানির।

ব্লক মার্কেটে লেনদেন হওয়া ২৬ কোম্পানির ২৬ কোটি ৯২ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এরমধ্যে ব্যাংক এশিয়া সর্বোচ্চ ১০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার ব্লক মার্কেটে বিক্রি করেছে।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ১০ শতাংশ দাম বেড়ে শীর্ষে আছে প্রাইম ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। অন্যদিকে ৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ দাম হারিয়ে তলানিতে তাল্লু স্পিনিং মিলস।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকার মতো পতন হয়েছে চট্টগ্রামের সূচকেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১ পয়েন্টের বেশি।

তবে সূচক কমলেও লেনদেন বেড়েছে সিএসই'র বাজারে। সারাদিনে সিএসইতে মোট ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গতদিন ছিল ৩ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।

লেনদেনে অংশ নেয়া ১৯৩ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৬, কমেছে ৭৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ২৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষে আছে পদ্মা ইসলামি লাইফ ইনস্যুরেন্স লিমিটেড এবং ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ দাম কমে তলানিতে বিচ হ্যাচারি লিমিটেড।

আরও পড়ুন:
পুঁজিবাজার: শেষ কর্মদিবসে উত্থানে শুরু লেনদেন
পুঁজিবাজার: দ্বিতীয় কর্মদিবসের শুরুতে ঢাকায় উত্থান, চট্টগ্রামে পতন
পুঁজিবাজার: প্রথম কর্মদিবসে লেনদেন শুরু উত্থানে
শেষ কার্যদিবসে লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে
ডিএসইতে সূচকের উত্থানে শুরু দ্বিতীয় কর্মদিবসের লেনদেন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital Market In the first hour of the rise in Dhaka the fall in Chittagong

পুঁজিবাজার: প্রথম ঘণ্টায় ঢাকায় উত্থান, চট্টগ্রামে পতন

পুঁজিবাজার: প্রথম ঘণ্টায় ঢাকায় উত্থান, চট্টগ্রামে পতন ডিএসই ও সিএসইর লোগো। কোলাজ: ইউএনবি
শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।

সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার ঢাকার পুঁজিবাজারে প্রধান সূচকের উত্থান হলেও সার্বিক সূচক কমেছে চট্টগ্রামে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১ ও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক কমেছে ১১ পয়েন্ট।

লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২৩১, কমেছে ৬৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

শুরুর প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৩০ কোটি টাকা।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১৩ পয়েন্ট।

লেনদেন হওয়া ৭০ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৪০, কমেছে ১৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে প্রথম ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৭৩ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

আরও পড়ুন:
পুঁজিবাজার: দ্বিতীয় কর্মদিবসের শুরুতে ঢাকায় উত্থান, চট্টগ্রামে পতন
পুঁজিবাজার: প্রথম কর্মদিবসে লেনদেন শুরু উত্থানে
শেষ কার্যদিবসে লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে
ডিএসইতে সূচকের উত্থানে শুরু দ্বিতীয় কর্মদিবসের লেনদেন
পুঁজিবাজার: প্রথম কর্মদিবসে উত্থান দিয়ে শুরু লেনদেন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital Market More than 1 crore transactions in two hours

পুঁজিবাজার: দুই ঘণ্টায় ৩০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন

পুঁজিবাজার: দুই ঘণ্টায় ৩০০ কোটি টাকার বেশি লেনদেন প্রতীকী ছবি
লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।

টানা দুই দিন উত্থানের পর তৃতীয় দিন মঙ্গলবারও ঢাকার পুঁজিবাজারে বইছে সুবাতাস।

সূচক বৃদ্ধির পাশাপাশি লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় শেয়ার ও ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় ছাড়িয়েছে ৩০০ কোটি টাকা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৪৭ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক ডিএসইএস এবং ব্লু-চিপ কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট করে।

লেনদেন হওয়া কোম্পানির বেশির ভাগেরই দাম বেড়েছে। ১০৯ কোম্পানির দরপতন এবং ৫৩ কোম্পানির দাম অপরিবর্তিত থাকার বিপরীতে দাম বেড়েছে ২৩০ কোম্পানির।

ঢাকার মতো চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারেও বইছে চনমনে হাওয়া। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ১০২ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৭ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭, কমেছে ৫১ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৯ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথমার্ধে সিএসইতে ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়।

আরও পড়ুন:
সপ্তাহের লেনদেন শুরু ঢাকার উত্থানে, পতন চট্টগ্রামে
পুঁজিবাজার: উত্থান দিয়ে সপ্তাহ শুরু
পুঁজিবাজারে উত্থানের জোয়ারেও কমেনি মন্দ শেয়ারের দৌরাত্ম্য
পুঁজিবাজার: শেষ কর্মদিবসে উত্থানে শুরু লেনদেন
পুঁজিবাজার: দ্বিতীয় কর্মদিবসের শুরুতে ঢাকায় উত্থান, চট্টগ্রামে পতন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Week transaction began in Chittagong to fall in Dhaka

সপ্তাহের লেনদেন শুরু ঢাকার উত্থানে, পতন চট্টগ্রামে

সপ্তাহের লেনদেন শুরু ঢাকার উত্থানে, পতন চট্টগ্রামে ডিএসই ও সিএসইর লোগোর মাঝে সূচকের উত্থানের গ্রাফিক্স। ছবি: ইউএনবি
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রবিবারের লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে ঢাকার পুঁজিবাজারে; বেড়েছে সবকটি সূচক।

অন্যদিকে চট্টগ্রামে পতন দিয়ে শুরু হয়েছে লেনদেন।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচক শরিয়াহভিত্তিক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে এবং বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপ সূচকের উত্থান হয়েছে ৫ পয়েন্ট।

লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় দাম বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের। দরবৃদ্ধির ২৪৫ কোম্পানির বিপরীতে দর কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৫৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ডিএসইতে দিনের শুরুতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১৯০ কোটি টাকা।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট। সূচক কমলেও বেড়েছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেন হওয়া ১০২ কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৫, কমেছে ২৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে প্রথম দুই ঘণ্টায় লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন:
পুঁজিবাজার: উত্থান দিয়ে সপ্তাহ শুরু
পুঁজিবাজারে উত্থানের জোয়ারেও কমেনি মন্দ শেয়ারের দৌরাত্ম্য
পুঁজিবাজার: শেষ কর্মদিবসে উত্থানে শুরু লেনদেন
পুঁজিবাজার: দ্বিতীয় কর্মদিবসের শুরুতে ঢাকায় উত্থান, চট্টগ্রামে পতন
পুঁজিবাজার: প্রথম কর্মদিবসে লেনদেন শুরু উত্থানে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital Market Starting the week with rise

পুঁজিবাজার: উত্থান দিয়ে সপ্তাহ শুরু

পুঁজিবাজার: উত্থান দিয়ে সপ্তাহ শুরু প্রতীকী ছবি
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।

গত সপ্তাহের উত্থানের ধারা ধরে রেখে এ সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রবিবার ঢাকা ও চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন হয়েছে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শুরুতেই প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএসের উত্থান দশমিকের নিচে থাকলেও বাছাইকৃত শেয়ার ব্লু-চিপের সূচক বেড়েছে ৩ পয়েন্ট।

লেনদেনে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।

লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৬৯, কমেছে ৮৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

শুরুর ৩০ মিনিটে ডিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০ কোটি টাকা। ঢাকার মতোই চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।

লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২২, কমেছে ৭ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে প্রথম আধা ঘণ্টায় মোট লেনদেন ৩০ লাখ টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

আরও পড়ুন:
ডিএসইতে সূচকের উত্থানে শুরু দ্বিতীয় কর্মদিবসের লেনদেন
পুঁজিবাজার: প্রথম কর্মদিবসে উত্থান দিয়ে শুরু লেনদেন
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার পুঁজিবাজারে সব সূচকের পতন
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার পুঁজিবাজারে সূচকের উত্থান, চট্টগ্রামে বড় পতন
উত্থানের ধারা বজায় রেখে পুঁজিবাজারে লেনদেন

মন্তব্য

p
উপরে