× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The source of the murder was in the vest of the dead body
google_news print-icon

মৃতদেহের গেঞ্জিতে ছিল হত্যাকাণ্ডের সূত্র

মৃতদেহের-গেঞ্জিতে-ছিল-হত্যাকাণ্ডের-সূত্র
গ্রেপ্তারকৃত মিরাজ ও রাসেল
প্রতি ডেলিভারিতেই জুয়েলের কাছে কালেকশনের ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা থাকতো। এই কথা ভালো করেই জানতো মিরাজ। টাকা আত্মসাৎ করার জন্যই সে জুয়েলকে হত্যা করে।

টাকার জন্যই খুন হন জুয়েল মিয়া। পরে তাকে একটি ড্রামে ভরে মিরপুর এলাকায় ফেলে যায় সঙ্গীরা।

প্রথমে অজ্ঞাত পরিচয় হিসেবে জুয়েলের মৃতদেহ পায় পুলিশ। পরে পরনে থাকা গেঞ্জির সূত্র ধরে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়। গ্রেপ্তার করা হয় তিন সঙ্গীকেও।

সোমবার বিকেলে ডিএমপির মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার আ স ম মাহাতাব উদ্দিন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।

ব্রিফিংয়ে বলা হয়, ১৭ তারিখ প্রথম প্রহর রাত আনুমানিক ২টার দিকে এক সুইপার পুলিশকে জানান, মিরপুর লাভ রোডে রাস্তার উপর নীল রংয়ের একটি ড্রাম পড়ে আছে। ড্রামের ভেতর একটি মৃতদেহ। এ তথ্য পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ।

তাৎক্ষনিকভাবে মৃতদেহের পরিচয় ও ড্রামটি কোথা থেকে এল তা জানতে ব্যর্থ হয় পুলিশ। ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়েও মরদেহের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। থানা পুলিশের পাশাপাশি অন্যান্য সংস্থাও প্রাথমিকভাবে পরিচয় শনাক্তে ব্যর্থ হয়।

শেষ পর্যন্ত একটি সূত্র পাওয়া যায়। মৃতদেহের পরনে থাকা গেঞ্জিতে লেখা ছিল- ‘সাফল্যের পথে একসাথে’। এই স্লোগানের সূত্র ধরেই পরিচয় শনাক্ত হয়। মৃতের নাম জুয়েল রানা। চাকরি করেন একটি টোব্যাকো কোম্পানিতে। তার পরিবারকে খবর দেয় পুলিশ। মৃতদেহের ছবি দেখে স্বামীর পরিচয় নিশ্চিত করেন জুয়েলের স্ত্রী। পরে তিনি মিরপুর মডেল থানায় একটি মামলা করেন।

আসামীদের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে উপ-পুলিশ কমিশনার মাহতাব উদ্দিন বলেন, ‘শনাক্তের পর- লাশ কোথা থেকে এল- আমরা তার তদন্ত শুরু করি। ঘটনাস্থলের আশপাশে থাকা সিসিটিভি ফুটেজসহ গোপনে ও প্রকাশ্যে তদন্ত শুরু হয়।’

তদন্ত করতে গিয়েই হত্যাকাণ্ডে জুয়েলের বন্ধু মিরাজের সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ। সোমবার প্রথম প্রহর রাত আড়াইটায় দারুস সালাম গৈদার টেক এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় মিরাজকে। এ সময় তার কাছে জুয়েল রানার কাছ থেকে নেয়া ৩৮ হাজার টাকাও জব্দ করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর হত্যার রহস্য উদঘাটিত হয় এবং এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সাইফুল ও সোহাগ নামে আরও দুজন গ্রেপ্তার হয়। তারাও হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

মিরাজের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে একটি কাভার্ড ভ্যান ও এর ভেতরে থাকা জুয়েল রানার মার্লবোরো সিগারেট কোম্পানির আইডি কার্ড, চার কার্টুন মার্লবোরো সিগারেট ও হত্যার কাজে ব্যবহৃত রশি জব্দ করা হয়।

কী কারণে হত্যাকাণ্ডটি ঘটল, এ প্রসঙ্গে মাহাতাব উদ্দিন জানান, মিরাজ একটি দুধ কোম্পানিতে ডেলিভারি ম্যান হিসেবে চাকরি করেন। জুয়েলের সঙ্গে তার চলাফেরা ছিল। প্রতি ডেলিভারিতেই জুয়েলের কাছে কালেকশনের ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা থাকতো। এই কথা ভালো করেই জানতো মিরাজ। টাকা আত্মসাৎ করার জন্যই সে মূলত জুয়েলকে হত্যা করে। হত্যার সময় সহযোগী হিসেবে নেয় বাকী দুজনকে।

গ্রেপ্তারকৃতরা জানায়, হত্যা করার উদ্দেশে জুয়েলকে তারা ঘটনাস্থলে আসতে বলে। পরে জুয়েল সেখানে আসলে মিরাজ ও সাইফুল তাকে মাদক জাতীয় ইয়াবা ট্যাবলেট খাওয়ায়। এক পর্যায়ে আসামী রাসেল কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।

ইয়াবা সেবনের সময় পরিকল্পনা মতো জুয়েলকে পেছন থেকে রশি দিয়ে গলায় পেচিয়ে ধরে সাইাফুল। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে জুয়েলের পা চেপে ধরে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে মিরাজ। পরে জুয়েলের পকেটে থাকা মার্লবোরো কোম্পানির মালামাল বিক্রির ৭৬ হাজার টাকা নিয়ে নেয় তারা।

জুয়েলের মৃতদেহ গোপন করার জন্য সেকশন-১১ থেকে একটি নীল রংয়ের ড্রাম কিনে আনে মিরাজ ও সাইফুল। মৃতদেহটি ড্রামের মধ্যে ঢুকিয়ে মুখ বন্ধ করে এটি ফেলার জন্য নিরাপদ স্থান খুঁজতে থাকে তারা। এক পর্যায়ে আসামীরা পরিকল্পনা করে ড্রামটি মিরপুর সেকশন-২, লাভ রোডস্থ প্রশাসনিক কর্মকর্তার কার্যালয় মিরপুর হাউজিং এস্টেট এর সরকারী অফিসের বিপরীত পার্শ্বে রাস্তার উপরে রেখে চলে যায়।

আরও পড়ুন:
মোবাইল ফোন নিয়ে মারামারিতেই খুন হন ভাসমান যুবক
কে এই মোল্লা হাসান আখুন্দ
প্রেমিকার ‘আত্মহত্যায় প্ররোচনাকারী’ সন্দেহে খুন
স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের সন্দেহে বন্ধুকে খুন
রাজশাহীতে চোরের হাতে গেল ২ প্রাণ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Prothom Alo editor sought anticipatory bail in the High Court

হাইকোর্টে আগাম জামিন চাইলেন প্রথম আলো সম্পাদক

হাইকোর্টে আগাম জামিন চাইলেন প্রথম আলো সম্পাদক প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান। ফাইল ছবি
জামিন আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করে আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার রোববার বলেন, ‘আগাম জামিন চেয়ে আবেদন ফাইল হয়েছে।’

রাজধানীর রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়েছেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান।

হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রোববার আবেদনটি করা হয়।

জামিন আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করে মতিউর রহমানের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার বলেন, ‘আগাম জামিন চেয়ে আবেদন ফাইল হয়েছে।’

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

স্বাধীনতা দিবসে সংবাদ প্রকাশের জেরে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও সাভারে কর্মরত প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসের নামে ২৯ মার্চ মধ্যরাতে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন আবদুল মালেক নামের আইনজীবী।

রমনা থানার ডিউটি অফিসার হাবিবুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলায় প্রথম আলোর সম্পাদক, প্রতিবেদক ছাড়াও সহযোগী একজন ক্যামেরাম্যান ও অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।

ওই থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) আবু আনসারকে এ মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ এর (২), ৩১, ৩৫ ধারায় আনা অভিযোগে বলা হয়, আসামিরা প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ব্যবহার করে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি বা সুনাম ক্ষুণ্নের পাশাপাশি বিভ্রান্তি ছড়াতে মিথ্যা তথ্য প্রচার করেন।

প্রেক্ষাপট

স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়, যাতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে একজন শ্রমিকের ক্ষোভের বার্তা ছিল।

প্রতিবেদনটিতে স্মৃতিসৌধে ফুল বিক্রেতা শিশু সবুজ মিয়ার বক্তব্য ছিল। একই প্রতিবেদনে জাকির হোসেন নামে দিনমজুরের বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলা হয়, ‘বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। আমাগো মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগব।’

প্রতিবেদনটির ভিত্তিতে প্রথম আলোর ফেসবুক পেজে ফটো কার্ড ছাপা হয়েছিল। এতে উদ্ধৃতিটি ছিল দিনমজুর জাকিরের আর ছবি ছিল ফুল বিক্রেতা সবুজের।

ওই পোস্টে ছবি, উদ্ধৃতির এ গরমিলের পর প্রথম আলোর পক্ষ থেকে পোস্টটি সরিয়ে ফেলা হয়। পরবর্তী সময়ে সংশোধনী দেয় সংবাদমাধ্যমটি।

এ নিয়ে বেসরকারি একাত্তর টিভিতে প্রচারিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সাত বছরের শিশুর হাতে ১০ টাকা দিয়ে দৈনিক প্রথম আলোর ফটোসাংবাদিক ছবি তুলেছেন বলে দাবি ওই শিশু ও তার পরিবারের।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, এ ধরনের সংবাদের মাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করেছে প্রথম আলো।

দলটির সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ১ এপ্রিল সাংবাদিকদের বলেন, ‘দৈনিক প্রথম আলো তাদের নিজস্ব প্রভুদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য জাতির সামনে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে তরুণ সমাজের মনে হতাশা ও ক্ষোভ সৃষ্টির জন্য উসকানি দেওয়ার অপচেষ্টা করেছে।

‘অনেকে বলেছেন যে, এটা তাদের একটা ভুল। আমি তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, স্বাধীনতা দিবসের দিনে বাঙালি জাতির ৫২ বছরের অর্জন মর্যাদা নিয়ে তামাশা করা সাধারণ ভুল নয়; একটি ফৌজদারি অপরাধ।’

এর আগে ৩০ মার্চ আওয়ামী লীগের প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রথম আলোর প্রতিবেদন রাষ্ট্রের ভিত্তিমূলে আঘাত করেছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Condemnation of 50 prominent citizens for spreading anti state news in Prothom Alo

প্রথম আলোতে ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ সংবাদ প্রচারে ৫০ বিশিষ্ট নাগরিকের নিন্দা

প্রথম আলোতে ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ সংবাদ প্রচারে ৫০ বিশিষ্ট নাগরিকের নিন্দা সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ফাইল ছবি
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গণমাধ্যম একটি সভ্য সমাজের অন্যতম দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান। কিন্তু আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, প্রথম আলো পত্রিকা এই নৈতিক দায়িত্ব উপেক্ষা করে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করে দেশের সুনাম ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে। মহান স্বাধীনতা দিবসে তারা এ-দেশের স্বাধীনতাকে বিদ্রূপ করে বানোয়াট প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। দেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে আমরা এই ষড়যন্ত্রমূলক অপতৎপরতার তীব্র নিন্দা জানাই।’

প্রথম আলো পত্রিকায় রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রমূলক সংবাদ প্রচারের উল্লেখ করে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশের ৫০ জন বিশিষ্ট নাগরিক।

শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গণমাধ্যম একটি সভ্য সমাজের অন্যতম দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান। কিন্তু আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, প্রথম আলো পত্রিকা এই নৈতিক দায়িত্ব উপেক্ষা করে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করে দেশের সুনাম ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছে। মহান স্বাধীনতা দিবসে তারা এ-দেশের স্বাধীনতাকে বিদ্রূপ করে বানোয়াট প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। দেশের সচেতন নাগরিক হিসেবে আমরা এই ষড়যন্ত্রমূলক অপতৎপরতার তীব্র নিন্দা জানাই।

‘সম্প্রতি ওই পত্রিকার একটি প্রতিবেদনে জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রেক্ষাপটে একটি শিশুর ছবি এবং সেই ছবির নিচে ক্যাপশনের পরিবর্তে একজন দিনমজুরের বক্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে। ক্যাপশনে উল্লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতাকে পরিষ্কারভাবে উপহাস করা হয়েছে। একজনের ছবির ক্যাপশনে অন্য আরেকজনের উদ্ধৃতি প্রকাশ গণমাধ্যমের নৈতিকতা পরিপন্থী।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সংবাদপত্রের স্বাধীনতার নামে এ ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকারকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে এ ধরনের বানোয়াট সংবাদ পরিবেশনের ঘটনা আমরা আগেও প্রত্যক্ষ করেছি।

‘স্বাধীনতার অব্যবহিতকাল পরে ১৯৭৪ সালে বাসন্তী নামের এক নারীকে জাল পরিয়ে সাজানো ছবি তুলে দুর্ভিক্ষের কাল্পনিক চিত্র তুলে ধরা হয়েছিল। প্রথম আলোর তৎপরতা ১৯৭৪-এর ঘটনার ধারাবাহিকতা বলে প্রতীয়মান হয়। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে একটি মহল অনুরূপ ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে।

দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে আমরা যথাযথ তদন্তসাপেক্ষে এ ধরনের ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি। তবে এ প্রক্রিয়ায় ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ কোনো আইনের যেন অপপ্রয়োগ না হয় সেটিও নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

যারা বিবৃতি দিয়েছেন

অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, অধ্যাপক ড. আবদুল খালেক, অধ্যাপক ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী, অধ্যাপক ড. শরীফ এনামুল কবীর, অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক, অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, অধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইন, অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী, অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহাম্মদ, অধ্যাপক ড. অহিদুজ্জামান, অধ্যাপক এ কে এম সাইদুল হক চৌধুরী, অধ্যাপক ড. মো. আলী আকবর, অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান আকন্দ, অধ্যাপক ড. মো. সেকান্দর আলী, অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, অধ্যাপক ড. মো. আখতারুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূইয়া ও অধ্যাপক ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়া।

অন্যদের মধ্যে রয়েছেন- সাংবাদিক মোজাম্মেল বাবু, নাইমুল ইসলাম খান, মো. মনজুরুল ইসলাম ও শ্যামল দত্ত; অধ্যাপক চৌধুরী জুলফিকার মতিন, অধ্যাপক মলয় কুমার ভৌমিক, অধ্যাপক ড. আবুল কাশেম, অধ্যাপক ড. বিধান চন্দ্র দাশ, অধ্যাপক ড. অজিত কুমার মজুমদার, অধ্যাপক ড. এ এ মামুন, অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক ড. নোমান ও অধ্যাপক ডাক্তার কামরুল হাসান খান।

বিবৃতিদাতাদের মধ্যে আরও রয়েছেন- প্রকৌশলী কাজী খায়রুল বাশার, ইঞ্জিনিয়ার নূরুল হুদা, ইঞ্জিনিয়ার শাহাদাত হোসেন শিবলু, ডা. নুজহাত চৌধুরী, ডা. মামুন আল মাহতাব, পীযুষ বন্দ্যোপাধ্যায়, তারানা হালিম, গোলাম কুদ্দুস, ডা. এহতেশামুল হক দুলাল, ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, ডা. মনিরুজ্জামান, অধ্যাপক ড. মো. হারুনর রশীদ খান, অধ্যাপক ড. এমরান কবীর চৌধুরী, অধ্যাপক ড. ইকবাল কবির জাহিদ, অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গালিব, অধ্যাপক ড. কবির হোসেন এবং অধ্যাপক ড. মো. রাশেদ তালুকদার।

আরও পড়ুন:
প্রথম আলো’র ঘটনায় বিএফইউজে-ডিইউজের উদ্বেগ
স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করা প্রতিবেদনের প্রতিবাদ সম্পাদক প্রকাশক আইনজীবীদের
শাহবাগ মোড়ে প্রথম আলো সম্পাদকের কুশপুতুল পোড়ালেন ‘সাধারণ শিক্ষার্থীরা’
প্রথম আলো আমাদের শত্রু ভাবে: কাদের
কেরানীগঞ্জ থেকে কাশিমপুরে নেয়া হলো সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Concern of BFUJ DUZ over Prothom Alo incident

প্রথম আলো’র ঘটনায় বিএফইউজে-ডিইউজের উদ্বেগ

প্রথম আলো’র ঘটনায় বিএফইউজে-ডিইউজের উদ্বেগ সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ফাইল ছবি
যৌথ বিবৃতিতে সংগঠন দুটি বলেছে, ‘প্রথম আলোর অনলাইনে একটি শিশুর ছবির সঙ্গে আরেকজনের বক্তব্য সংযোজন করে যে ফটো কার্ড প্রচার করা হয়, সেটি পেশাদারি ব্যর্থতার বড় দৃষ্টান্ত। আবার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করে যে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে সেটিও এড়ানো যেত বলে আমরা মনে করি।’

সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা ও গ্রেপ্তার এই আইনের অপপ্রয়োগ, দৈনিক প্রথম আলোর দায়িত্বহীন ও অপেশাদারী সাংবাদিকতার কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)।

শনিবার সংগঠন দুটির পক্ষে এক যৌথ বিবৃতিতে বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুক ও মহাসচিব দীপ আজাদ এবং ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন এই উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

সংগঠন দুটি মনে করে, ‘প্রথম আলো অনলাইন মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা দিবসে একটি শিশুর ছবির সঙ্গে ভিন্ন একজনের বক্তব্য সংযোজন করে যে ফটো কার্ড প্রচার করা হয়, সেটি সেই সংবাদপত্রের সম্পাদক ও বার্তা কক্ষের পেশাদারি ব্যর্থতার বড় দৃষ্টান্ত। ফটো কার্ডটি দ্রুত প্রত্যাহার করা হলেও জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির কাজটি হয়েই গেছে।

‘শিশুর ছবির সঙ্গে ভিন্ন পরিচয়ের ব্যক্তির উদ্ধৃতিটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে তৈরি ও ব্যবহার করা হয়েছে বলে মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। শিশুটিকে সাংবাদিকের আর্থিক সাহায্য দেয়া এবং তাকে সাংবাদিকতার উপাদান হিসেবে ব্যবহার করার বিষয়টিও পেশাদারী সাংবাদিকতার দিক থেকে গ্রহণযোগ্য নয়।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করে যে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে আমরা মনে করি সেটিও এড়ানো যেত। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের সময় সাংবাদিক ইউনিয়ন যে পরামর্শ দিয়েছিল তার পুনরাবৃত্তি করে আমরা আবারও বলি- সাংবাদিক বা সংবাদ মাধ্যমের বেলায় এই আইন প্রয়োগের আগে উত্থাপিত অভিযোগটির ‘প্রাইমাফেসী’ ঠিক করার জন্য তা প্রেস কাউন্সিলে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হোক, আইনের কতিপয় ধারা সম্পর্কে আমাদের আগের সুপারিশ আমলে নিয়ে তা সংশোধন করা হোক। এসব ব্যবস্থা নেয়ার আগে আইনটির অপপ্রয়োগ বন্ধে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হোক।’

বিএফইউজে ও ডিইউজে আরও বলেছে, ‘ওই সংবাদ পরিবেশন করে উদ্ভূত পরিস্থতির সুযোগ নিয়ে ১২টি দেশের কূটনীতিকের প্রকাশ্যে যৌথ বিবৃতি অনভিপ্রেত। এই ইস্যুতে বিদেশি কূটনীতিকদের অযাচিত হস্তক্ষেপ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর হস্তক্ষেপের শামিল বলে মনে করে সাংবাদিক সমাজ।

‘কেউ অপরাধ বা ভুল করলে দেশের প্রচলিত আইনে সমাধানের পথ খোলা আছে। কিন্তু বিদেশি কূটনীতিকরা কারণে-অকারণে যেভাবে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন তা উদ্বেগের। বিদেশি কূটনীতিকরা ভিয়েনা কনভেনশন মেনে দায়িত্ব পালন করবেন সে বিষয়টিও সাংবাদিক ইউনিয়ন প্রত্যাশা করে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Not being given an opportunity to protest the governments corruption and failure Sada Dal

সরকারের দুর্নীতি-ব্যর্থতার প্রতিবাদের সুযোগ দেয়া হচ্ছে না: সাদা দল

সরকারের দুর্নীতি-ব্যর্থতার প্রতিবাদের সুযোগ দেয়া হচ্ছে না: সাদা দল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো ও কার্জন হল। ছবি কোলাজ: নিউজবাংলা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠনটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘বর্তমান সরকার সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। তাই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের লক্ষ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ নিবর্তনমূলক নানা আইন করা হয়েছে ও হচ্ছে। প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা এবং সাংবাদিক শামসকে কারাগারে পাঠানো এর সর্বশেষ নজির।’

দৈনিক প্রথম আলোর সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা এবং পত্রিকাটির সাভার প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানোর প্রতিবাদ এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল।

শনিবার রাতে সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যাপক মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান ও অধ্যাপক আবদুস সালাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানানো হয়।

তাতে বলা হয়, ‘সরকারের দুর্নীতি এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যর্থতা তুলে ধরে প্রতিবাদ জানানোর সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। হামলা-মামলাসহ নানামুখী নিপীড়ন-নির্যাতনের মাধ্যমে রুদ্ধ করা হচ্ছে জনগণের প্রতিবাদের ভাষা। এমনকি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অসহনীয় মূল্যবৃদ্ধির ফলে সৃষ্ট জনদুর্ভোগ বা ক্ষুধার কথাও জনগণ প্রকাশ্যে বলতে পারছে না।

‘উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সংবাদপত্র দেশের জনগণের পক্ষে স্বাধীনভাবে কথা বলবে এটাই প্রত্যাশিত। কিন্তু বর্তমান সরকার সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। তাই গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের লক্ষ্যে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ নিবর্তনমূলক নানা আইন করা হয়েছে এবং হচ্ছে। আর এসব আইনের জেরে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা মারাত্মকভাবে সংকুচিত করে ফেলা হয়েছে। প্রথম আলো সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা এবং সাংবাদিক শামসকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনা এর সর্বশেষ নজির।’

বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সরকারের এহেন পদক্ষেপ দেশে মুক্তচিন্তা, বাক-স্বাধীনতা ও স্বাধীন সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে সংবাদ মাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার অপপ্রয়াস বলে আমরা মনে করি। মুক্তচিন্তা ও স্বাধীন মত প্রকাশের ঐতিহ্যবাহী লালনক্ষেত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং সর্বোপরি বিবেকবান মানুষ হিসেবে এটি আমাদের কাছে কোনোভাবেই কাম্য নয়।

‘আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত এবং এর প্রত্যাশিত ভূমিকা পালনের স্বার্থে প্রথম আলোর সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহার ও সাংবাদিক শামসুজ্জামানের দ্রুত মুক্তির আহ্বান জানাচ্ছি। একইসঙ্গে মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো নিবর্তনমূলক আইনগুলো বাতিলের জোর দাবি জানাচ্ছি।’

আরও পড়ুন:
ঢাবির শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় ‘প্রলয় গ্যাংয়ের’ দুই সদস্য গ্রেপ্তার
‘ক্যাম্পাসে যেমন ইচ্ছা তেমন করব বলে সব জায়গায় পেটানো হয়’
গাড়িতে আটকে মৃত্যু: তদন্ত প্রতিবেদন ৭ মে
ঢাবির রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনে জয়ী গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের নিজাম চৌধুরী
ঢাবির প্রক্টরিয়াল টিমের চাঁদাবাজি তদন্তে কমিটি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Attack on journalists 3 leaders of Juba Dal expelled

সাংবাদিকদের ওপর হামলা: যুবদলের ৩ নেতা বহিষ্কার

সাংবাদিকদের ওপর হামলা: যুবদলের ৩ নেতা বহিষ্কার পল্লবীতে মহানগর উত্তর বিএনপির ইফতার মাহফিলে সাংবাদিকদের ওপর হামলা। ফাইল ছবি
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কারণে জাতীয়তাবাদী যুবদল পল্লবী থানার ৬ নম্বর ওয়ার্ড শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, রুপনগর থানা শাখার যুগ্ম সম্পাদক মো. আসিফ ও পল্লবী থানা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি জুয়েল খানকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হলো।

রাজধানীর পল্লবীতে বিএনপির ইফতার মাহফিলে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের তিন নেতাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শনিবার যুবদলের দপ্তর সম্পাদক কামরুজ্জামান দুলাল স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বহিষ্কৃতরা হলেন- যুবদল নেতা ইসমাইল হোসেন, মো. আসিফ ও জুয়েল খান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংগঠন বিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত থাকা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কারণে জাতীয়তাবাদী যুবদল পল্লবী থানার ৬ নম্বর ওয়ার্ড শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, রুপনগর থানা শাখার যুগ্ম সম্পাদক মো. আসিফ ও পল্লবী থানা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি জুয়েল খানকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হলো।

এর আগে শুক্রবার বিকেলে পল্লবীতে মহানগর উত্তর বিএনপির ইফতার মাহফিলে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।

ইফতার মাহফিলে সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেন ইফতার মাহফিলে উপস্থিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল।

দলের নেতাকর্মীদের সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, এই রূপনগর ও পল্লবী থানার কর্মীরা আপনারা কি সত্যিকারে দলকে ভালোবাসেন? মনে হয় না। তাহলে আজকের এই ঘটনা ঘটতো না। আপনারা অতিথিদেরকে (সাংবাদিক) সম্মান করতে জানেন না। আমি অত্যন্ত দুঃখিত ও শোকাহত।

তিনি বলেন, আমি অনুরোধ করবো দয়া করে শৃঙ্খলার সঙ্গে এখানে থাকেন। আমি নিজে দেখেছি, কারা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

ফখরুলের বক্তব্যের সময় নেতা কর্মীরা উত্তেজিত হলে তিনি রেগে গিয়ে বলেন, থামেন আপনারা থামেন। এখানে আওয়ামী লীগের দালালেরা ঢুকে। এখানে সরকারের দালালেরা এসেছে। আমি আবারও সাংবাদিক ভাইদের কাছে আমার ব্যক্তিগত তরফ থেকে ও দলের পক্ষ থেকে ক্ষমা চাচ্ছি।

আরও পড়ুন:
বিএনপিকে আলোচনার আহ্বান জানিয়ে সিইসির চিঠি
বিনা পরোয়ানায় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার বন্ধ চায় বিএনপি
মানবাধিকার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদনে লজ্জিত হই: ফখরুল
শওকত মাহমুদকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার
সুপ্রিম কোর্টে নির্বাচনি ব্যবস্থার শেষ দেখছেন ফখরুল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Prothom Alo thinks that our enemy Kader

প্রথম আলো আমাদের শত্রু ভাবে: কাদের

প্রথম আলো আমাদের শত্রু ভাবে: কাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
সাংবাদিকরা ক্ষমতাসীন দলের শত্রু নয় মন্তব্য করে কাদের বলেন, ‘সাংবাদিক বন্ধুগণ, সাংবাদিকরা আমাদের শত্রু নয়, কিন্তু প্রথম আলো আপনাদের সঙ্গে শত্রুতা করছে। বিএনপিকে আমরা ভাবি প্রতিপক্ষ। বিএনপি আমাদের ভাবে শত্রু। প্রথম আলো আমাদের শত্রু ভাবে। ‘

প্রথম আলো আওয়ামী লীগকে শত্রু হিসেবে গণ্য করে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে দলটির সভাপতি-সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এবং ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথ সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।

কাদের বলেন, ‘দৈনিক প্রথম আলো তাদের নিজস্ব প্রভুদের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের জন্য জাতির সামনে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে তরুণ সমাজের মনে হতাশা ও ক্ষোভ সৃষ্টির জন্য উসকানি দেওয়ার অপচেষ্টা করেছে। অনেকে বলেছেন যে, এটা তাদের একটা ভুল। আমি তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, স্বাধীনতা দিবসের দিনে বাঙালি জাতির ৫২ বছরের অর্জন মর্যাদা নিয়ে তামাশা করা সাধারণ ভুল নয়; একটি ফৌজদারি অপরাধ।’

তিনি প্রশ্ন করে বলেন, ‘স্বাধীনতা দিবসের প্রথম আলোর এই উদ্যোগ জাতিসত্তা বিনাশী অপতৎপরতা নয় কি? স্বাধীনতা দিবস তরুণ প্রজন্মের কাছে দেশপ্রেম ও দেশাত্মবোধ সৃষ্টির এক অনন্য দিন। অথচ এই দিনে পলিটিক্যালি সিলেক্টেড বিশেষ এজেন্ডা সেটিংয়ের উদ্দেশ্যে কি এই সংবাদটি মহান মুক্তিযুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ অর্জনকে অস্বীকার করার শামিল নয়?’

ক্ষমতাসীন দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা অভিযোগ করেন, ‘ঐতিহ্যগতভাবেই দৈনিকটি এক বিশেষ স্বার্থান্বেষী মহলের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে থাকে। আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারের বিরুদ্ধে সংবাদ পরিবেশন তারা বরাবরই বিরাজনীতিকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করে আসছে।’

তিনি বলেন, ‘দেখুন কী রকম ষড়যন্ত্র! নিউজ করা হয়েছে আজকে এই ঘটনায় একজন সম্পাদক এবং একজন রিপোর্টারের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রতিবাদে বিশ্বের বিভিন্ন মিডিয়ায় এবং সংস্থা থেকে যেসব রিপোর্ট এসেছে, প্রত্যেকে বলছে যে একে ধরিয়ে দেয়া হয়েছে। এরা অত্যন্ত চতুর। আন্তর্জাতিক লিংক এদের অনেক শক্ত। তাই এ খবর ছড়িয়ে দিয়েছে যে, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির জন্য রিপোর্ট করায় এই পত্রিকার, এই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্য রিপোর্ট করার জন্য, টকশোতে অংশ নেবার জন্য সরকার কি একজন লোকের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিয়েছে? তাহলে মিথ্যা সংবাদ আজকের সারা দুনিয়ায় রটানো হচ্ছে যে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির জন্যই রিপোর্ট করাতে এই সাংবাদিক, এই সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।’

সাংবাদিকরা ক্ষমতাসীন দলের শত্রু নয় মন্তব্য করে কাদের বলেন, ‘সাংবাদিক বন্ধুগণ, সাংবাদিকরা আমাদের শত্রু নয়, কিন্তু প্রথম আলো আপনাদের সঙ্গে শত্রুতা করছে। বিএনপিকে আমরা ভাবি প্রতিপক্ষ। বিএনপি আমাদের ভাবে শত্রু। প্রথম আলো আমাদের শত্রু ভাবে। ‘প্রত্যেকের সম্পাদকীয় পলিসি আছে। (প্রথম আলো) আওয়ামী লীগের সাথে শত্রুতা, যেটা বিএনপির রাজনীতি তারা সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে। এটা হচ্ছে আজকের বাস্তবতা।’

তিনি বলেন, ‘আমরা সাংবাদিকদের জন্য আওয়ামী লীগ সরকার শেখ হাসিনা যা করেছেন, অষ্টম ওয়েজবোর্ডসহ সাংবাদিক কল্যাণ ভাতাসহ সাংবাদিকদের জন্য যেসব সাংবাদিক কল্যাণের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে শেখ হাসিনা সরকার এবং পার্সোনালি আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী তিনি এ ব্যাপারে অত্যন্ত আন্তরিক। আপনারা আমাদের শত্রু নয়। কেউ কেউ আমাদের সাথে শত্রুতা করছে। আমরা আজকে এ বিষয়গুলো কখনো আপনাদেরকে বলিনি। আজকে আমাদের পিঠ ঠেকে গেছে৷ শুনতে শুনতে।

‘এসব অপবাদ এসব মিথ্যাচার চলতেই আছে। বিশেষ করে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অপপ্রচার, মিথ্যাচার, তারপর অনলাইনে ফেসবুকের কুৎসিত প্রচারণা; পার্সোনালি প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করা, গালিগালাজ।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ করে আমরা কি ভুল করে ফেললাম? সেই ডিজিটাল মাধ্যমে এখন আমাদের বিরুদ্ধে ব্যাবহার হচ্ছে। তারা এ বিষয়টা অত্যন্ত চতুরভাবে করে যাচ্ছে।’

প্রেক্ষাপট

স্বাধীনতা দিবসে প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়, যাতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে একজন শ্রমিকের ক্ষোভের বার্তা ছিল।

প্রতিবেদনটিতে স্মৃতিসৌধে ফুল বিক্রেতা শিশু সবুজ মিয়ার বক্তব্যও ছিল। একই প্রতিবেদনে জাকির হোসেন নামে দিনমজুরের বক্তব্য উদ্ধৃত করে বলা হয়, ‘বাজারে গেলে ঘাম ছুটে যায়। আমাগো মাছ, মাংস আর চাইলের স্বাধীনতা লাগব।’

প্রতিবেদনটির ভিত্তিতে প্রথম আলোর ফেসবুক পেজে ফটো কার্ড ছাপা হয়েছিল। এতে উদ্ধৃতিটি ছিল দিনমজুর জাকিরের আর ছবি ছিল ফুল বিক্রেতা সবুজ মিয়ার।

ওই পোস্টে ছবি, উদ্ধৃতির এ গরমিলের পর প্রথম আলোর পক্ষ থেকে পোস্টটি মুছে ফেলা হয়। পরবর্তী সময়ে সংশোধনী দেয় সংবাদমাধ্যমটি।

এ নিয়ে একাত্তর টিভিতে প্রচারিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সাত বছরের শিশুর হাতে ১০ টাকা দিয়ে দৈনিক প্রথম আলোর ফটোসাংবাদিক ছবি তুলেছেন বলে দাবি ওই শিশু ও তার পরিবারের।

ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বলছেন, এ ধরনের সংবাদের মাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করেছে প্রথম আলো। তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রথম আলোর প্রতিবেদন রাষ্ট্রের ভিত্তিমূলে আঘাত করেছে।

প্রতিবেদন প্রকাশের জেরে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে প্রতিবেদক শামসুজ্জামান ও প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের নামে। রাজধানীর রমনা থানায় করা মামলায় কারাগারে রয়েছেন শামসুজ্জামান।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
A student of North South was killed after being hit by a covered van in Lalbagh

লালবাগে কাভার্ড ভ‍্যানের ধাক্কায় নর্থ সাউথের ছাত্রী নিহত

লালবাগে কাভার্ড ভ‍্যানের ধাক্কায় নর্থ সাউথের ছাত্রী নিহত নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল ছবি
লালবাগ থানার এসআই আখতার হোসেন জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

রাজধানীর লালবাগে কাভার্ড ভ‍্যানের ধাক্কায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী নিহত হয়েছেন।

লালবাগের বেরিবাঁধে শুক্রবার রাত বারোটার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ২৭ বছর বয়সী সানজিদা আক্তার তামান্না নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ছাত্রী ছিলেন।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে লালবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আখতার হোসেন জানান, সানজিদা ধানমন্ডি থেকে লালবাগের উদ্দেশ্যে মোটরসাইকেলে (পাঠাও) যাবার সময় লালবাগ বেরিবাঁধের পাশে শামীম গার্মেন্টস এর সামনে একটি কাভার্ডভ্যান বাইকটিকে ধাক্কা দেয়। এতে ওই ছাত্রীর মাথায় গুরুতর জখম হয়।

তিনি আরও জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। পরে দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শুক্রবার রাতে তাকে মৃত বলে জানান।

এসআই জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
শাহজাদপুরে অটোরিকশাকে চাপা ট্যাংকলরির, নিহত ২
সৌদিতে বাস উল্টে নিহতদের মধ্যে ৮ জন বাংলাদেশি
কালীগঞ্জে পিকআপের ধাক্কায় দম্পতি নিহত
বাসের ধাক্কায় পিকআপ চালক নিহত, ৩ সন্তানকে নিয়ে দিশেহারা স্ত্রী
দেয়াল ধসে মাদ্রাসার নৈশপ্রহরী নিহত

মন্তব্য

p
উপরে