× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
This time the lotus index is the fall of multinational and large capital
google_news print-icon

এবার বহুজাতিক ও বড় মূলধনির পতনে কমল সূচক

এবার-বহুজাতিক-ও-বড়-মূলধনির-পতনে-কমল-সূচক
আগের সপ্তাহে দরপতনের পর নতুন সপ্তাহের শুরুটিও ভালো গেল না পুঁজিবাজারে।
আগের সপ্তাহে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে সূচক কমেছিল দুই দিন আর বেড়েছিল তিন দিন। এই তিন দিন বৃদ্ধিতে মূল ভূমিকায় ছিল বহুজাতিক ও বড় মূলধনি কোম্পানি। অন্যদিকে সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবসে সবচেয়ে বেশি সূচক পড়েছে যে ১০টি বড় মূলধনি কোম্পানির কারণে, তার বেশির ভাগই গত সপ্তাহে ছিল তেজি।

আগের সপ্তাহের ধারাবাহিকতায় নতুন সপ্তাহের শুরুটাও ভালো গেল না পুঁজিবাজারে। আগের সপ্তাহে সূচক বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখলেও সূচকের পতনে এবার প্রধান ভূমিকা রেখেছে বড় মূলধনি ও বহুজাতিক কোম্পানি।

এমন কোনো খাত ছিল না যেগুলোর বেশির ভাগ কোম্পানি দর হারায়নি। তবে এর ভিড়েও বড় মূলধনি বহুজাতিক ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানি, গ্রামীণফোন, লাফার্জ হোলসিম সিমেন্ট, দেশি বড় মূলধনি কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মা, এনআরবিসি ব্যাংক, অলিম্পিক, বিকন ফার্মা, সাউথ বাংলা, ডেল্টা লাইফ ও বহুজাতিক রেকিট বেনকিজার সূচক পতনে রেখেছে বড় ভূমিকা।

এই ১০টি কোম্পানির শেয়ারের দরপতনে সূচক পড়েছে ৩৩ দশমিক ৩২ শতাংশ। আর সার্বিকভাবে সূচক পড়েছে ৩৬ পয়েন্ট।

অন্যদিকে ওয়ালটনের দরপতন থামার পর কোম্পানিটি সূচকে যোগ করেছে ১৪ পয়েন্ট। নইলে ১০৬টি কোম্পানির শেয়ারের দর বৃদ্ধির বিপরীতে ২৪৪টি কোম্পানির পতনে সূচকে আরও বড় পতন হতে পারত।

দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির মধ্যে মতভিন্নতার খবর প্রকাশে গত সপ্তাহের পুরোটাই পুঁজিবাজারে টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে গেছে। ওঠানামা করতে করতে শেষ পর্যন্ত সপ্তাহে সূচক কমে ৩০ পয়েন্ট। টানা প্রায় ১১ সপ্তাহ পর সূচকের পতন হলো।

আগের সপ্তাহে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে সূচক কমেছিল দুই দিন আর বেড়েছিল তিন দিন। এই তিন দিন বৃদ্ধিতে মূল ভূমিকায় ছিল বহুজাতিক ও বড় মূলধনি কোম্পানি।

নতুন সপ্তাহে বাজার ঘুরে দাঁড়াবে, এমন আশা নিয়ে রোববার লেনদেনের শুরুতেই সূচক বেড়ে যায় ২৮ পয়েন্ট। কিন্তু এই অগ্রগতি ধরে রাখা যায়নি ১৫ মিনিটও। তবে ওঠানামা করতে করতে দুপুর ১২টা ৪৯ মিনিট পর্যন্ত সূচক ইতিবাচকই ছিল। সে সময় আগের দিনের চেয়ে ৬ পয়েন্ট বেশি সূচকে চলছিল লেনদেন। কিন্তু সেখান থেকে ৪২ পয়েন্ট হারিয়ে লেনদেন শেষ হয়।

তথ্যপ্রযুক্তি ও বিমা খাতের শেয়ারধারীরাই কিছুটা স্বস্তিতে ছিল পতনের এই দিনটিতে। অন্যদিকে সবচেয়ে বেশি হতাশ করেছে মিউচ্যুয়াল ফান্ড, খাদ্য, প্রকৌশল, ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত।

এবার বহুজাতিক ও বড় মূলধনির পতনে কমল সূচক
রোববার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনের চিত্র

লেনদেনও কমে গেছে খানিকটা। বৃহস্পতিবার ২ হাজার ১৭১ কোটি ৩১ লাখ টাকার লেনদেন হলেও পরের কর্মদিবসে লেনদেন হলো ২ হাজার ৩৩ কোটি ৭৭ লাখ টাকা।

গত সপ্তাহ থেকে পুঁজিবাজার দরপতনের মধ্য দিয়ে গেলেও একে স্বাভাবিক সংশোধন হিসেবেই দেখছেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষকরা। গত বছরের জুলাই থেকে মূল্যসূচক ৩ হাজার পয়েন্টের বেশি বেড়েছে। এর মধ্যে গত ৫ জুলাই থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টানা বেড়েছে ১ হাজার ৩৯ পয়েন্ট। এরপর ছয় কর্মদিবস মিলিয়ে পড়েছে ৬৬ পয়েন্ট।

বহুজাতিক ও বড় মূলধনির দর পতনের ছাপ সূচকে

বহুজাতিক বৃটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ লিমিটেডের শেয়ার দর কমেছে ৭ টাকা ২০ পয়সা। শেয়ার দর ৬৫৬ টাকা ২০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ৬৪৯ টাকা। এই পতনের জন্য সূচক কমেছে ৭.৫২ পয়েন্ট।

অন্য বহুজাতিকের মধ্যে ইউনিলিভারের শেয়ার দর ০.৫৬ শতাংশ, ম্যারিকোর ০.০৮ শতাংশ, গ্রামীণফোনের ০.৬৫ শতাংশ দাম কমেছে।

গ্রামীণ ফোনের শেয়ারের দাম কমায় সূচক পড়েছে ৪.৪৫ পয়েন্ট।

এবার বহুজাতিক ও বড় মূলধনির পতনে কমল সূচক
যেসব কোম্পানির দরপতনে সূচক কমেছে সবচেয়ে বেশি

লাফার্জ হোলসিমের দর দর ২.৩৩ শতাংশ কমায় সূচক পড়েছে ৪.০৫ পয়েন্ট।

বড় মূলধনি দেশি কোম্পানির মধ্যে বেক্সিমকো ফার্মার শেয়ার দর কমেছে ১.৬৫ শতাংশ। এ জন্য সূচক কমেছে ৩.৩৭ পয়েন্ট।

ব্যাংক খাতের এনআরবিসির দর কমেছে ৭.৩৩ শতাংশ। এর জন্য সূচক পড়েছে ৩.১৫ পয়েন্ট। অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার দর কমেছে ৩.৯৮ শতাংশ যা সূচক কমায় ৩.১৪ পয়েন্ট, বিকন ফার্মার দর কমে ২.৬৭ শতাংশ, সূচক পড়ে ২.৬ পয়েন্ট।

লেনদেন এগিয়ে আর্থিক খাত, দর বৃদ্ধিতে প্রযুক্তি ও বিমা

প্রায় সব খাতের দরপতনের ভিড়ে তাও কিছুটা স্বস্তি গেছে বিমা ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে। তবে দরপতন হলেও সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ব্যাংক বহির্ভুত আর্থিক খাতে, যদিও তা আগের কর্মদিবসের তুলনায় অনেকটাই কম।

আর্থিক খাতের লেনদেন হয়েছে ২৬৮ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩০৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।

লেনদেনে সেরা হলেও দরপতন হয়েছে এই খাতে। ২৩টি কোম্পানির মধ্যে একটির লেনদেন স্থগিত। বাকিগুলোর মধ্যে কেবল ৬টির দাম বেড়েছে, কমেছে ১৬টির।

এবার বহুজাতিক ও বড় মূলধনির পতনে কমল সূচক
সূচকের বড় পতন ঠেকিয়েছে যে ১০টি কোম্পানি

যেগুলোর দর বেড়েছে, তার মধ্যে সবার চেয়ে এগিয়ে মাইডাস ফাইন্যান্স। ৮.২০ শতাংশ বেড়েছে কোম্পানিটির শেয়ারদর। তারপরই আছে উত্থানে থাকা ন্যাশনাল হাউজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স, যার দর বেড়েছে ৩.৫৪ শতাংশ।

আইডিএলইসির ১.৬৪ শতাংশ, আইপিডিসি শেয়ার দর বেড়েছে ১.০৮ শতাংশ।

এ খাতের সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে বাংলাদেশ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিন্যান্সের ৭.৩২ শতাংশ। এছাড়া ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ৭ শতাংশ, ফাস ফাইন্যান্সের ৫.৬০ শতাংশ দর কমেছে।

বিমা খাতের ৫১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৩১টির, কমেছে ১৭টির আর অপরিবর্তিত ছিল বাকি ৩টির।

এই খাতে লেনদেনও সামান্য কমেছে। এদিন হাতবদল হয়েছে ২০৩ কোটি ১০ লাখ টাকার শেয়ার, যা আগের দিন ছিল ২০৪ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।

এই খাতের সবচেয়ে বেশি ৮.৯০ শতাংশ বেড়েছে রূপালী ইন্স্যুরেন্সের। এছাড়া ইস্টার্ন ইন্সুরেন্সের ৫.০৯ শতাংশ, নিটল ইন্স্যুরেন্সের ৪.১৪ শতাংশ, এশিয়া প্যাসিফিক ইন্সুরেন্সের দর বেড়েছে ৪.০৯ শতাংশ।

এ খাতে সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে প্রভাতী ইন্স্যুরেন্স, যার র কমেছে ৪.৮৯ শতাংশ। পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের ৩.১১ শতাংশ, ঢাকা ইন্স্যুরেন্সের ১.১০ শতাংশ, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের দর কমেছে ১ শতাংশ।

তথ্য প্রযুক্তি খাতের ১১টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৮টিরই আর কমেছে তিনটির। লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি ২০ লাখ টাকা। আগের কর্মদিবসে এই খাতে লেনদেন ছিল ৪৮ কোটি ৮০ লাখ টাকা।

এই খাতে সবচেয়ে বেশি ৯.৭৮ শতাংশ বেড়েছে আমরা টেকনোলজির শেয়ার দর। আমরা নেটওয়ার্কের শেয়ারদরও বেড়েছে ৩ টাকা ২০ পয়সা।

পতনের বৃ্ত্তেই প্রকৌশল ও বস্ত্র খাত

লেনদেন ভালো হলেও প্রকৌশল ও বস্ত্র খাতের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার হারিয়েছে।

প্রকৌশল খাতের ৪২টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে কেবল ১২টির, কমেছে ৩০টির দর। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হওয়া খাতটিতে হাতবদল হয়েছে মোট ২১৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আগের কর্মদিবসে এই খাতে লেনদেন ছিল ১৯৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

প্রকৌশল খাতের সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে বিডিঅটোকারস লিমিটেডের ৯.৯৪ শতাংশ। দুর্বল এই কোম্পানিটির শেয়ার দর ১৭০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৮৭ টাকা ৯০ পয়সা।

এবার বহুজাতিক ও বড় মূলধনির পতনে কমল সূচক
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সবচেয়ে বেশি যে পাঁচ খাতে লেনদেন হয়েছে

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শেয়ারদর বৃদ্ধি পাওয়া আজিজ পাইপের দর বেড়েছে ৯.৮৩ শতাংশ। উৎপাদন বন্ধ থাকা এই কোম্পানিটি ১ অক্টোবর থেকে উৎপাদন শুরুর অপেক্ষায় আছে।

রেনউইক যগেশ্বর, কেডিএস একসেসোরিজ, ওয়ালটন, কেঅ্যান্ড কিউ, মুন্নু অ্যাগ্রো এবং এসএস স্টিলের দর বেড়েছে।

বস্ত্র খাতের ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১১টির, কমেছে ৪৫টির আর অপরিবর্তিত ছিল বাকি দুটির দর। এই খাতে লেনদেন হয়েছে মোট ২০১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। আগের কর্মদিবসে লেনদেন ছিল ১৬৫ কোটি টাকা।

এই খাতে সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে তুংহাই নিটিংয়ের দর। ৭.১৩ শতাংশ কমে শেয়ার দর ৭ টাকা থেকে হয়েছে ৬ টাকা ৫০ পয়সা।

তারপরই আছে মুন্নু ফেব্রিক্স লিমিটেড, যার শেয়ার প্রতি দর কমেছে ৬.৬৮ শতাংশ। তাল্লু স্পিনিংয়ের দর ৬.৬১ শতাংশ, তজিমউদ্দিন টেক্সটাইলের দর কমেছে ৫.৮৪ শতাংশ।

ঢাকা ডায়িং, আলিফ, এআইএল, পিটিএলের দর বেড়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ।

ব্যাপকভাবে হতাশ করল মিউচ্যুয়াল ফান্ড

এই খাতে ৩৬টি ফান্ডের মধ্যে লেনদেন হয়েছে কেবল ২২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। ৩৬টি ফান্ডের মধ্যে কেবল একটির দর বেড়েছে ১০ পয়সা। ৯টির দর ছিল অপরিবর্তিত। আর কমেছে আবি ২৬টির দাম।

আগের কর্মদিবস বৃহস্পতিবার এই খাতে লেনদেন ছিল ৪১ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি রেইস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট পরিচালিত ১০টি মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবার বেশ ভালো নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করলেও লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট শেষে প্রথম দিনের লেনদেনে দরপতন হয়েছে।

পুঁজিবাজারে নগদ লভ্যাংশে শেয়ারের দরে সমন্বয় না হলেও বাংলাদেশে দাম পড়ে যাওয়ার প্রবণতা আছে। যেসব ফান্ড বেশি লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, সেগুলোর দরপতন হয়েছে বেশি।

এবার বহুজাতিক ও বড় মূলধনির পতনে কমল সূচক
প্রধান খাতগুলোর মধ্যে এই ছয়টিতে লেনদেন হয়েছে সবচেয়ে কম

তবে শতকরা হিসেবের কারণে সবগুলো ফান্ড ইউনিটপ্রতি যত টাকা লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে, ততটুকু কমেনি।

জনতা ব্যাংক ও ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডে তাও লভ্যাংশ নিয়ে ইউনিটপ্রতি ৪০ পয়সা মুনাফা হয়েছে। ১ টাকা ৩০ পয়সা করে লভ্যাংশ পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। কিন্তু রেকর্ড ডেট শেষে দাম কমেছে ৯০ পয়সা।

সার্কিট ব্রেকারের সুবিধার কারণে এই লভ্যাংশ হয়েছে তাদের। ফান্ড দুটির দাম রেকর্ড ডেটে ছিল ৯ টাকা ৭০ পয়সা ও ৯ টাকা ৯০ পয়সা। ফলে এক দিনে সর্বোচ্চ ৯০ পয়সা দর কমতে পারত।

অন্য ফান্ডগুলোর মধ্যে ইউনিটপ্রতি ৯০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়া ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও ৮৫ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করা পিএইচপি ও পপুলার ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবং ৮০ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করা এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও ৭৫ পয়সা লভ্যাংশ ঘোষণা করা এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটপ্রতি দাম কমেছে ৭০ পয়সা করে। সার্কিট ব্রেকারের কারণে এর চেয়ে বেশি কমার সুযোগ ছিল না।

ইবিএল এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও এফবিএফআইএফের লভ্যাংশ নেয়া বিনিয়োগকারীদের কার্যত কোনো মুনাফা হয়নি। ৬০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়া প্রথম ফান্ডের দাম কমেছে সমপরিমাণ, আর ইউনিটে ৪০ পয়সা লভ্যাংশ দেয়া দ্বিতীয় ফান্ডের দাম কমেছে ৪০ পয়সা।

সার্কিট ব্রেকার অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৭০ পয়সা কমার সুযোগ থাকলেও ইউনিটপ্রতি ৭৫ পয়সা লভ্যাংশ দেয়া আইএফআইসি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটপ্রতি দাম কমেছে ৬০ পয়সা।

অন্যান্য ফান্ডের মধ্যে সিএপিএম বিডিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর কমেছে ৬০ পয়সা, সিএপিএম আইবিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিটপ্রতি দর কমেছে ৪০ পয়সা। ফিনিক্স ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডেরও দর কমেছে সম পরিমাণ।

কেবল ১০ পয়সা দর বেড়েছে আইসিবি থার্ড এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের।

পতনের ভিড়ে ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড, গ্রিনডেল্টা মিউচ্যুয়াল ফান্ড, আইসিবি প্রাইম ফাইন্যান্স, আইসিবি সোনালী, এলআর গ্লোবাল ওয়ান, এসইএমএলএফবিএসএল গ্রোথ ফান্ড, ভ্যানগার্ড বিডি ফাইন্যান্স ও ভ্যানগার্ড রূপালী ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ডের দর ধরে রাখাটা তাও ইউনিটধারীদের জন্য স্বস্তির কারণ হয়েছে।

অন্যান্য খাতের লেনদেন

ওষুধ ও রসায়ন খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ২০৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২২৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। দর বৃদ্ধি পেয়েছে ৬টি কোম্পানির, দর হারিয়েছৈ ২৪টি কোম্পানি।

বিবিধ খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ১৬৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৮৬ কোটি ৭ লাখ টাকা। লেনদেনে দর বৃদ্ধি পেয়েছে ৫টি কোম্পানির, দর হারিয়েছৈ ৮টি কোম্পানির।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ১৫৮ কোটি ৬ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ১৫৪ কোটি ৯ লাখ টাকা।

এই খাতে দর বেড়েছে ৯টি কোম্পানির, হারিয়েছে ১২ টি আর পাল্টায়নি ২টি কোম্পানির দর।

ব্যাংক খাতে লেনদেন হয়েছে ১৩০ কোটি ৭৪ লাখ টাকা, আগের দিন যা ছিল ১৫৪ কোটি ২ লাখ টাকা।

কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৬টির। দর কমেছে ১৬টির। দর পাল্টায়নি ১০টি কোম্পানির।

খাদ্য ও আনুষাঙ্গিক খাতে লেনদেন হয়েছে ৬৬ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৭২ কোটি ৯১ লাখ টাকা।

এ খাতে ৪টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে, কমেছে ১৬টির।

সূচক লেনদেন

ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৩৬ দশমিক ৫০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ১৯১ পয়েন্টে।

শরিয়াভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ১০ দশমিক ৩০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৬৬ পয়েন্টে।

বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস ৩০ সূচক ১৮ দশমিক ৭৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৫৫ পয়েন্টে।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৫৮ দশমিক ৫৩ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৯৮২ দশমিক ৬৭ পয়েন্টে।

লেনদেন হওয়া ৩১৬টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮৮টির, কমেছে ২১৩টির ও পালটায়নি ১৫টির। মোট লেনদেন হয়েছে ৬৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা।

আরও পড়ুন:
অস্বাভাবিক শেয়ার দর: তদন্তের মধ্যেই আরও বৃদ্ধি
উড়তে থাকা সোনালী পেপারে ২০ শতাংশ বোনাস, শেয়ারে ২ টাকা লভ্যাংশ
সূচক বাড়লেও স্বস্তির ঘাটতি পুঁজিবাজারে
পুঁজিবাজার নিয়ে গুজব: ৩১ ফেসবুক পেজ বন্ধ
চাপ কাটিয়ে ঝলমলে পুঁজিবাজার

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
In the capital market of the index is on the rise in the capital market

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে পুঁজিবাজারে

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।

এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।

সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital market

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার

দ্বিতীয় দিনেও পতনের মুখে পুঁজিবাজার ছবি: সংগৃহীত

সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।

১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।

৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
With the beginning of the transaction starting in the first hour of the capital market

পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে

পুঁজিবাজারের প্রথম ঘণ্টায় লেনদেন শুরু উত্থান দিয়ে

সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।

ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।

এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital Market With the fall of transactions in Dhaka Chittagong

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে লেনদেন শুরু পতন দিয়ে

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে লেনদেন শুরু পতন দিয়ে

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।

বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।

একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital market

সূচকের পতনে চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন

সূচকের পতনে চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন

টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।

লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।

বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।

এই সম‌য়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯‌টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২‌টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, ‌সেখা‌নে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।

চট্টগ্রা‌মে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩‌টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬‌টির, কমেছে ৪৪‌টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital Market Most companies have decreased major collapse in Dhaka Chittagong

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে বড় পতন, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির

পুঁজিবাজার: ঢাকা-চট্টগ্রামে বড় পতন, দাম কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির

উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।

২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।

সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।

৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।

চট্টগ্রামেও পতন

ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।

লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Transaction in Dhaka is going on in Chittagong

ঢাকায় লেনদেন চলছে উত্থানে, চট্টগ্রামে পতন

ঢাকায় লেনদেন চলছে উত্থানে, চট্টগ্রামে পতন

শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।

লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।

এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।

সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।

দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।

দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।

পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

মন্তব্য

p
উপরে