× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Deliberate defaulters are more Arfan Ali
google_news print-icon

ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপিই বেশি: আরফান আলী

ইচ্ছাকৃত-ঋণ-খেলাপিই-বেশি-আরফান-আলী
যেকোনো উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে খেলাপি ঋণ বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। নতুন বিনিয়োগ করলে কোনো কারণে ব্যবসা যদি লোকসান করে, তখন তারা খেলাপি হয়ে যায়। তবে আমাদের দেশে ইচ্ছাকৃত খেলাপির সংখ্যা বেশি। কারণ, আমাদের আইনি কাঠামো থেকে শুরু করে ব্যাংকিং কাঠামোতে দেখা যায়, ভালো ঋণগ্রহীতার চেয়ে খেলাপি গ্রাহকের দিকে সবার মনযোগ বেশি থাকে।

ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পাহাড়সম যে খেলাপি ঋণ, তার পেছনে উদ্যোক্তাদের টাকা ফেরত না দেয়ার ইচ্ছাকেই দায়ী করেছেন ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরফান আলী। তার মতে, খেলাপি ঋণদাতাদের মধ্যে ইচ্ছাকৃত খেলাপিই বেশি।

তিনি এও মনে করেন যে, করোনাকালে বিনিয়োগের যে খরা তৈরি হয়েছে, সেটি কেটে যাবে সহসাই।

করোনার ধাক্কার পর বিশ্ব অর্থনীতির মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিও গভীর সংকটে পড়ে গত বছরের শুরুর দিকে। সেই ধাক্কা সামলে অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড় করাতে সোয়া লাখ কোটি টাকার ২৩টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে সরকার। বর্তমানে সেই প্রণোদনার অঙ্ক বেড়ে ১ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকায় ঠেকেছে।

এই প্রণোদনা ঋণের পুরোটাই বিতরণ করছে ব্যাংকগুলো। গত বছর প্রণোদনা ছাড়া ঋণ বিতরণ খুব একটা ছিল না। তবে এখন মহামারির ধকল কমতে শুরু করেছে। মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা কমতির দিকে। ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে দেশের অর্থনীতি। ঋণ বিতরণও বেড়েছে।

এমন পরিস্থিতিতে ‘কেমন চলছে ব্যাংক খাত’ এ শিরোনামে নিউজবাংলার ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করছে। সাক্ষাৎকারভিত্তিক এই প্রতিবেদনের দ্বিতীয় পর্বে দেশের ব্যাংকিং খাতের হালচাল নিয়ে কথা বলেছেন ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আরফান আলী।

খেলাপি ঋণ দেশের ব্যাংক খাতের এখনও অন্যতম সমস্যা। এ সমস্যা থেকে বের হতে কী করা দরকার?

যেকোনো উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে খেলাপি ঋণ বাড়ার আশঙ্কা থাকে। নতুন বিনিয়োগ করলে কোনো কারণে ব্যবসায় লোকসান করে, তখন খেলাপি হয়ে যায়। এটা হতেই পারে।

তবে আমাদের দেশে ইচ্ছাকৃত খেলাপির সংখ্যা বেশি। কারণ, আমাদের আইনি কাঠামো থেকে শুরু করে ব্যাংকিং কাঠামোতেও দেখা যায়, ভালো ঋণগ্রহীতার চেয়ে খেলাপি গ্রাহকের দিকে সবার মনযোগ বেশি থাকে।

যারা ভালো ঋণগ্রহীতা তাদের দিকে বেশি খেয়াল রাখা হয় না। যারা নিয়মিত ঋণ শোধ করেন তাদের কিছু সুবিধা দেয়া উচিত। কিন্তু এখানে হয়েছে উল্টো। যারা টাকা-পয়সা আটকে রাখে তাদের এক সময় ডিসকাউন্ট দেয়া হয়, ছাড় দেয়া হয়। কিন্তু তাদের সুযোগ-সুবিধাগুলো কমিয়ে দেয়া উচিত। প্রকাশ্যে ঘোষণা দেয়া উচিত যে, তারা ঋণ শোধ করছে না।

ঋণ নিয়ে এক হিসেব থেকে অন্য হিসেবে ব্যবহার করার প্রবণতা রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদে সম্পদ দীর্ঘমেয়াদে দায় দিয়ে ব্যবস্থাপনা করতে হবে। ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল (চলতি মূলধন) দিয়ে অনেকে দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগে চলে গেছে। ফলে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়ছে।

তাহলে বিষয়টি কি এমন যে, খেলাপিদের প্রশয় দেয়া হয়, ভালো ঋণগ্রহীতাদের বঞ্চিত করা হয়?

অনেকটা সেরকমই। আমার কাছে মনে হয়েছে ভালো ঋণগ্রহীতার চেয়ে খেলাপিদের প্রভাবটা বেশি। অনেক করপোরেট হাউজ আছে যারা নিয়মিত ঋণ পরিশোধ করছেন, ব্যাংকের শর্ত সব পূরণ করছেন। তাদের জন্য বিশেষ সুযোগ সুবিধা থাকা দরকার। তাদের জন্য আরও বেশি সুযোগ তৈরি করা উচিত বলে আমি মনে করি।

করোনার ধাক্কায় যেখানে সবদিক দিয়েই স্থবিরতা তৈরি হয়েছে, সেখানে তথ্য বলছে, ব্যাংকগুলো ভালো পরিচালন মুনাফা করেছে। কীভাবে এটা সম্ভব হয়েছে?

২০২০ সালের ডিসেম্বরে ব্যালেন্স শিটে সব ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা কম ছিল। ঋণের সর্বোচ্চ ৯ শতাংশের সুদহারের সুফল কিন্তু ওই বছর পাওয়া যায়নি।

চলতি বছর আমানতের সুদহার যখন সমন্বয় করতে পারলাম তখন সুদের আয়টা একটু বেশি ছিল। খেলাপি ঋণেরও ছাড় দেয়া হয়েছে। ফলে ব্যাংকগুলো সঞ্চিতিতে কিছুটা ছাড় পেয়েছে। এ কারণেও মুনাফা হয়েছে বেশি। চলতি ডিসেম্বরে যখন সুবিধাগুলো আরও কমে যাবে তখন ব্যাংকের প্রকৃত মুনাফা বোঝা যাবে।

বর্তমানে ব্যাংক খাতে আলোচিত বিষয় আমানতের সুদহার। আমানতের সুদ হার বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বলেছে, সুদহার মূল্যস্ফীতির চেয়ে কম হতে পারবে না। এতে আপনাদের আপত্তি আছে, যা গভর্নরের সঙ্গে বৈঠকে স্পষ্ট করেছেন। এই নির্দেশনা পরিপালনে ব্যাংক খাতের চ্যালেঞ্জ কী?

চাহিদা ও যোগানের উপর ভিত্তি করে ব্যাংকিং পরিচালনা করা হয়। এখন ঋণে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ সুদ বাস্তবায়ন করা হয়েছে। কিন্তু সেটা ৯ শতাংশেরও নিচে চলে এসেছে। ৭ থেকে ৮ শতাংশ সুদেও ঋণ বিতরণ করা হচ্ছে। করপোরেট ঋণে কোনো কোনো ঋণে সেটা আরও কম।

ঋণ ও আমানতে সুদহারের যে ব্যবধান (স্প্রেড) থাকে ব্যাংক সেটা দিয়ে ব্যাংক চলে। সুতরাং ঋণে সুদ বাড়ানোর যেহেতু কোনো সুযোগ নেই, ব্যাংক গ্রাহকের সঙ্গে এটা সমন্বয় করে ফেলছে।

তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের এ নির্দেশনার ফলে ব্যক্তি আমানতকারীদের সুবিধা হবে। তাদের টাকার মান যেন নষ্ট না করে, বিনিয়োগ যেন নিরাপদ থাকে এ কারণে মূল্যস্ফীতির কম সুদ না দেয়ার বিষয়ের নির্দেশনা সঠিকভাবে পরিপালন করা হবে। এর ফলে টাকার মান নষ্ট হচ্ছে না। কারণ, সঞ্চয় বিষয়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ব্যক্তি বিশেষ সঞ্চয় না করলে বড় বড় করপোরেটরা এত টাকা ঋণ পাবে না।

মহামারি করোনাভাইরাসের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে বড় ভূমিকা রাখছে ব্যাংক খাত। জরুরি সেবার আওতায় লকডাউনের মধ্যেও বন্ধ থাকেনি এ খাতের সেবা। সেই ব্যাংক খাতের সার্বিক অবস্থা এখন কেমন?

করোনার মধ্যে ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করতে নিজেদের প্রস্তুত করেছি। কারণ ব্যক্তি থেকে শুরু করে করপোরেট, সবারই আর্থিক খাতের সেবা দরকার পড়ে। আমাদের দেশে অনলাইন ও ডিজিটাল ব্যাংকিং এখনও সেভাবে প্রসার লাভ করেনি। সে কারণে ব্যাংকের শাখা বা এজেন্ট বুথে এসে গ্রাহদের সেবা নেয়ার প্রবণতা এখনও আছে। আমরা করোনার সময়েও সীমিত পরিসরে সব খোলা রেখে গ্রাহকদের সেবা দেয়ার সর্বোত্তম চেষ্টা করেছি।

বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সরকারের ভাতাসহ সব ধরনের সেবা দেয়ার জন্য নিজেদের সেভাবে তৈরি রেখেছি।

ক্ষতি পোষাতে বিশাল অংকের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। কিন্তু অভিযোগ আছে বড় বড় ব্যবসায়ীদেরই প্রণোদনার অর্থ দেয়া হচ্ছে, বঞ্চিত হচ্ছে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্প। প্রকৃত চিত্র কী?

ছোটরা বঞ্চিত হচ্ছে বিষয়টি তেমন নয়। কর্মাশিয়াল কোনো ব্যাংকের হেড অফিস কিন্তু গ্রামাঞ্চলে নেই। শহরভিত্তিক কার্যক্রম বেশি করা হয়। ব্যাংকগুলো প্রত্যন্ত অঞ্চলে এ ধরনের সেবার জন্য তেমন প্রস্তুত ছিল না। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের কারণে ওইসব জায়গায় সেবা দেয়ার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। সব ব্যাংক এখন চেষ্টা করছে।

প্রণোদনার ক্ষুদ্র ঋণ দেরি হয়েছে। কিন্তু এরপরেও অনেকাংশে ঋণ বিতরণ হয়েছে। করপোরেট ঋণগুলো ঢাকা, চট্রগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেটসহ এমন কিছু শহরে ছিল। কিন্তু ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের কাজ তো পুরো দেশজুড়ে ছড়িয়ে আছে। সেজন্য সময় বেশি লেগেছে।

ব্যাংক ঋণের সুদের সর্বোচ্চ হার এখন ৯ শতাংশ। যখন এই সুদ হার কার্যকর হয়, তারপরই হানা দেয় করোনা। সুবিধা দেয়ার পরও দিন দিন কমছে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ। তাহলে কি বিনিয়োগ বাড়ার ক্ষেত্রে কম সুদ কোনো ভূমিকা রাখে না?

ঋণের ক্ষেত্রে ডিমান্ড-সাপ্লাই এর একটা বিষয় আছে। ঋণের সুদ ৯ শতাংশ হলেই যে সব ধরনের ঋণ বিতরণ হবে বিষয়টি তেমন না।

করোনাকালে বেসরকারি ঋণ প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রার অনেক নিচে। কারণ, উদ্যোক্তারা নতুন বিনেয়াগের ব্যাপারে খুব একটা সাহসী ছিল না। করোনা পরিস্থিতিতে অনেকের জন্য নতুন বিনিয়োগ করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া কস্টকর ছিল। বিনিয়োগে করলে রিটার্ন কেমন পাবে বা পরিস্থিতি কেমন হবে-এসব কারণে তাদের মধ্যে ‘ওয়েট অ্যান্ড সি’ পলিসি কাজ করেছে। সে কারণে নতুন কোনো প্রজেক্ট আমরা তেমন দেখতে পাইনি।

তবে আশার কথা হলো, এখন আবার পুরোদমে কাজ শুরু হয়েছে। অনেকে নতুন নতুন প্রকল্প নিয়ে আমাদের সামনে আসছেন। সুতরাং, এতদিন যে স্থবিরতা গেছে, এখন সেটা কেটে যেতে শুরু করেছে। বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বাড়বে। বিনিয়োগে স্থবিরতা কেটে যাবে।

করোনাকে সঙ্গে নিয়েই বিশ্ব পরিস্থিতি পাল্টাতে শুরু করেছে। সবকিছু স্বাভাবিক হচ্ছে। মহামারির এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ব্যাংক খাত কী ধরনের কর্মপরিকল্পনা নিতে পারে?

যারা ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তা তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। তারা আমাদের চালিকাশক্তি। বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তা দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। করোনার মধ্যে এসব শিল্পে কাজ চলমান ছিল। ব্যাংকারদের এসব উদ্যোক্তার পাশে দাঁড়াতে হবে। ঋণ প্রবৃদ্ধি যেন বাড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

আগে আমাদের ব্যাংকগুলো শহরভিত্তিক ছিল। কিন্তু এখন প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ব্যংকের সেবা পৌঁছে গেছে। এটা আরও ছড়িয়ে দিতে হবে। করোনার সময়েও অনেক ব্যবসা চালু ছিল। কাজ চালু রাখার কারণে অর্থনীতিতে তেমন নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি।

করোনা পরবর্তী ব্যাংক খাত আরও ভালো করবে বলে আমি আশা করি। সম্পদের সমৃদ্ধি আরও ভালো হবে। ক্যারিয়ার ব্যাংকিংও ভালো হবে। ব্যাংক খাতে কাজ করার সক্ষমতা আরও বাড়বে।

আরও পড়ুন:
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ পুনঃতফসিলে নতুন নীতিমালা
২০০ কোটি টাকা পরিশোধের অঙ্গীকার বেসিকের খেলাপি গ্রাহকের
ব্যাংকের পর আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও ঋণ পরিশোধে ছাড়
কিস্তির ২৫ শতাংশ দিলেই খেলাপি নয়
তিন মাসে খেলাপি ঋণ বাড়ল ৩৮৯৯ কোটি টাকা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Bangladesh Bank will provide re financing assistance to BRAC Bank with start up financing

স্টার্ট-আপ অর্থায়নে ব্র্যাক ব্যাংককে পুনঃঅর্থায়ন সহায়তা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক

স্টার্ট-আপ অর্থায়নে ব্র্যাক ব্যাংককে পুনঃঅর্থায়ন সহায়তা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক

দেশের ক্রমবর্ধমান স্টার্ট-আপ খাতকে অর্থায়ন সুবিধা দিতে ব্র্যাক ব্যাংকের সাথে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এই চুক্তির আওতায় স্টার্ট-আপ খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের সৃষ্ট ৫০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল ব্যবহারের সুযোগ পাবে ব্র্যাক ব্যাংক, যা ব্যাংকটির এই খাতে অর্থায়ন সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করবে। এ উদ্যোগের লক্ষ্য হলো, অর্থায়ন সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে উদীয়মান উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং তাঁদেরকে জাতীয় অর্থনীতিতে আরও বেশি অবদান রাখতে উৎসাহিত করা।

২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নূরুন নাহার ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান এবং ব্র্যাক ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন চুক্তিপত্র হস্তান্তর করেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অংশগ্রহণকারী ২২টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্টের সহায়তায় এই উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করা হবে।

এই সম্ভাবনাময় খাতের উদ্যোক্তাদের অর্থায়নের মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশের স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই খাতটি ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে এবং বৈশ্বিক অংশীদারদের সঙ্গে টেকসই সম্পর্কও গড়ে তুলছে। ব্র্যাক ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন সুবিধাটি উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী উদ্যোগ সম্প্রসারণের জন্য প্রয়োজনীয় মূলধন পেতে সহায়তা করবে, যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।

ব্র্যাক ব্যাংকের এমন উদ্যোগ বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় তরুণ উদ্যোগগুলোর বিকাশে ব্যাংকটির ব্যক্ত করা প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সরকারের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা দেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখবে।

ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি.:

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের অর্থায়নে অগ্রাধিকার দেয়ার ভিশন নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসি. ২০০১ সালে যাত্রা শুরু করে, যা এখন পর্যন্ত দেশের অন্যতম দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জনকারী একটি ব্যাংক। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ‘BRACBANK’ প্রতীকে ব্যাংকটির শেয়ার লেনদেন হয়। ২৯১টি শাখা ও উপশাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট এবং দশ হাজারেরও বেশি মানুষের বিশাল কর্মীবাহিনী নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক কর্পোরেট ও রিটেইল সেগমেন্টেও সার্ভিস দিয়ে আসছে। ব্যাংকটি দৃঢ় ও শক্তিশালী আর্থিক পারফরম্যান্স প্রদর্শন করে এখন সকল প্রধান প্রধান মাপকাঠিতেই ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রির শীর্ষে অবস্থান করছে। বিশ লাখেরও বেশি গ্রাহক নিয়ে ব্র্যাক ব্যাংক বিগত ২৪ বছরেই দেশের সবচেয়ে বৃহৎ জামানতবিহীন এসএমই অর্থায়নকারী ব্যাংক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, স্বচ্ছতা ও নিয়মানুবর্তিতায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Signature of Strategic Partnership Agreement on Transport sector between Community Bank and SoulShare

কমিউনিটি ব্যাংক ও সোলশেয়ার এর মধ্যে পরিবহন খাত বিষয়ক কৌশলগত অংশীদারত্ব চুক্তি স্বাক্ষর

কমিউনিটি ব্যাংক ও সোলশেয়ার এর মধ্যে পরিবহন খাত বিষয়ক কৌশলগত অংশীদারত্ব চুক্তি স্বাক্ষর

দেশে বৈদ্যুতিক থ্রি-হুইলার খাতে স্মার্ট ও জ্বালানি-সাশ্রয়ী ব্যাটারির ব্যবহার বাড়াতে কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি ও সোলশেয়ার লিমিটেড কৌশলগত অংশীদারিত্বে যুক্ত হয়েছে। মঙ্গলবার (০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫) রাজধানীতে এক অনুষ্ঠানে এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক কিমিয়া সাআদত এবং সোলশেয়ার লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ড. সেবাস্টিয়ান গ্রোহ।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিউনিটি ব্যাংকের, হেড অব করপোরেট ব্যাংকিং ও হেড অব বিজনেস (ব্রাঞ্চ) ড. মো. আরিফুল ইসলাম; হেড অব এডিসি অ্যান্ড হেড অব এমডি’স কোঅর্ডিনেশন টিম মো. মামুন-উর রহমান; সোলশেয়ার-এর ফাইন্যান্স ডিরেক্টর আনিসা আলী, সিএফএ সহ উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

এই অংশীদারিত্বের ফলে দেশের শত শত বৈদ্যুতিক পরিবহনের গ্যারেজ সহজেই স্মার্ট ব্যাটারি প্রযুক্তি গ্রহণে সক্ষম হবে। এখন পর্যন্ত উচ্চ ব্যয়ের কারণে অনেক উদ্যোক্তা ব্যাটারি ব্যবহারে আগ্রহী হলেও অর্থায়নের সীমাবদ্ধতায় তা সম্ভব হচ্ছিল না। কমিউনিটি ব্যাংকের গ্রিন এসএমই ঋণ সুবিধা ও সোলশেয়ার -এর উদ্ভাবনী পে-অ্যাজ-ইউ-গো (পিএওয়াইজি) প্রযুক্তি একত্রে উদ্যোক্তাদের জন্য সাশ্রয়ী, নমনীয় ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থায়নের নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে।

এ উদ্যোগের মাধ্যমে গ্যারেজ মালিকরা টেকসই অর্থায়ন সুবিধা পাবেন, দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে জ্বালানি-সাশ্রয়ী ব্যাটারি ব্যবহার, দেশের বৈদ্যুতিক পরিবহন খাতে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত হবে এবং বাংলাদেশ পরিচ্ছন্ন জ্বালানির দিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।

এই উদ্যোগকে দেশের পরিবেশবান্ধব জ্বালানি ও টেকসই পরিবহন ব্যবস্থার জন্য এক মাইলফলক হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jamuna Bank and Apollo Clinic License to Pay World Other Health Services Understanding agreement between JMI Specialized Hospital

বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে যমুনা ব্যাংক ও অ্যাপোলো ক্লিনিক লাইসেন্সঃ জেএমআই স্পেশালাইজড হাসপাতালের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি

বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে যমুনা ব্যাংক ও অ্যাপোলো ক্লিনিক লাইসেন্সঃ জেএমআই স্পেশালাইজড হাসপাতালের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি

যমুনা ব্যাংক পিএলসি. এবং অ্যাপোলো ক্লিনিক লাইসেন্সঃ জেএমআই স্পেশালাইজড হাসপাতাল লিমিটেডের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছে। গত ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে রাজধানীর যমুনা ব্যাংক টাওয়ারে এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। যমুনা ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিবিও নূর মোহাম্মদ এবং অ্যাপোলো জেএমআই স্পেশালাইজড হাসপাতাল লিমিটেডের উপদেষ্টা মসিউর রহমান কামাল উক্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে যমুনা ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিওও মো. আব্দুস সালামসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এই চুক্তির মাধ্যমে যমুনা ব্যাংক তাদের সম্মানিত গ্রাহক, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং তাঁদের পোষ্যদের জন্য বিশ্বমানের স্বাস্থ্যসেবা আরও সহজলভ্য ও সুফলদায়ক করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করল। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অ্যাপোলো ক্লিনিকের লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে জেএমআই স্পেশালাইজড হাসপাতালের সঙ্গে এই অংশীদারিত্ব গ্রাহকদের জন্য বিশেষ সুবিধাসহ উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Shahjalal Islami Bank gave financial assistance to the poor farmers and rickshaw drivers in Comilla

কুমিল্লার হতদরিদ্র কৃষক ও রিকশাচালককে আর্থিক সহায়তা দিল শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক

কুমিল্লার হতদরিদ্র কৃষক ও রিকশাচালককে আর্থিক সহায়তা দিল শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক

শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি এর করপোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত সোমবার কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার হতদরিদ্র কৃষক ও রিকশাচালককে স্ত্রী ও সন্তানের চিকিৎসার জন্য পাঁচ লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি।

শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির করপোরেট প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ইমতিয়াজ ইউ. আহমেদ হতদরিদ্র কৃষক ও রিকশাচালক মো. মেহেদী হাসানকে ওই অনুদানের চেক প্রদান করেন।

ওই অনুদানের চেক প্রদানকালে শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসির এসইভিপি ও কোম্পানি সচিব জনাব মো. আবুল বাশার, ব্যাংকের এসএভিপি মো. জাকির হোসেন, ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগ ও ব্যাংক ফাউন্ডেশনের ইনচার্জ কে. এম. হারুনুর রশীদ এবং ব্যাংক ফাউন্ডেশন এর এক্সিকিউটিভ অফিসার মো. কামাল মিয়া উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সীমান্ত ব্যাংকের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সীমান্ত ব্যাংকের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় সীমান্ত ব্যাংকের উদ্যোগে শ্যামনগর (সাতক্ষীরা) এবং টেকনাফ (কক্সবাজার) উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ফলজ, বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপনের মাধ্যমে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়। এই কর্মসূচির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় বৃক্ষরোপণের গুরুত্ব সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সচেতন করা হয় এবং বৃক্ষরোপণে উৎসাহিত করা হয়। শ্যামনগরের ৭টি এবং টেকনাফে ২টি বিদ্যালয়ে গাছের চারা রোপণ করা হয়।

সীমান্ত ব্যাংকের টেকনাফ শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ হোসেন এবং শ্যামনগর উপশাখার ব্যবস্থাপক মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম যথাক্রমে টেকনাফ এবং শ্যামনগরে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী সমন্বয় করেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ এবং শিক্ষার্থীগন স্বতঃস্ফূর্তভাবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহন করেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Prime Bank stands next to ICDDR B for life saving tuberculosis in Sylhet

সিলেটে জীবনরক্ষাকারী যক্ষ্মা চিকিৎসায় আইসিডিডিআর,বি-এর পাশে দাঁড়ালো প্রাইম ব্যাংক

সিলেটে জীবনরক্ষাকারী যক্ষ্মা চিকিৎসায় আইসিডিডিআর,বি-এর পাশে দাঁড়ালো প্রাইম ব্যাংক

বাংলাদেশে প্রতি বছর হাজারো মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে যক্ষ্মা (টিবি)। কেবল ২০২৩ সালেই ৪৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে- ফলে প্রতি ১২ মিনিটে একজন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন যক্ষ্মায়। এই জাতীয় সংকট মোকাবেলায় সাহসী উদ্যোগ নিয়েছে প্রাইম ব্যাংক পিএলসি। জীবনরক্ষাকারী যক্ষ্মা প্রতিরোধ কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করতে প্রাইম ব্যাংক বিশ্বখ্যাত স্বাস্থ্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআর,বি-এরর সাথে অংশীদারিত্ব করেছে।

আজ (০৯ সেপ্টেম্বর) গুলশানে প্রাইম ব্যাংকের করপোরেট অফিসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষর হয়। চুক্তি অনুযায়ী, প্রাইম ব্যাংক এক বছরের জন্য আইসিডিডিআর,বি-এর সিলেট টিবি স্ক্রিনিং অ্যান্ড ট্রিটমেন্ট সেন্টার (TBSTC)-এর যক্ষ্মা পরীক্ষার ও চিকিৎসা সেবার ধারাবাহিকতায় আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে। প্রাইম ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান ও. রশীদ এবং আইসিডিডিআর,বি-এর নির্বাহী পরিচালক ড. তাহমীদ আহমেদ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

দেশে যক্ষ্মা প্রতিরোধে দীর্ঘদিনের আস্থাভাজন প্রতিষ্ঠান আইসিডিডিআর,বি ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৫ কোটি ২০ লাখেরও বেশি মানুষকে স্ক্রিনিং করেছে। এ সময়ে শনাক্ত হয়েছে ১ লাখ ৪৮ হাজারের বেশি টিবি রোগী, যার মধ্যে ১৮ হাজার শিশু। পাশাপাশি ৫,৫০০-এরও বেশি ওষুধ-প্রতিরোধী টিবি রোগীর চিকিৎসা নিশ্চিত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

এই সহযোগিতার মাধ্যমে প্রাইম ব্যাংক জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কমিউনিটির কল্যাণে তাদের অঙ্গীকার আরও জোরদার করছে। ব্যাংকটি প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যু হ্রাস এবং একটি সুস্থ, সহনশীল বাংলাদেশ গঠনে অবদান রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bonded Warehouse Licensed

বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আমদানিকৃত পণ্যচালান শুল্কায়নের বিষয়ে দিক-নির্দেশনা প্রদান

বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আমদানিকৃত পণ্যচালান শুল্কায়নের বিষয়ে দিক-নির্দেশনা প্রদান

উপর্যুক্ত বিষয়ের প্রতি সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলো।

০২। সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, বন্ডেড ওয়্যারহাউস লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক কাস্টমস হাউস/স্টেশনে আমদানিকালে দাখিলকৃত পণ্য ঘোষণায় প্রদত্ত পণ্যের বর্ণনা ও HS Code কায়িক পরীক্ষায় পণ্যের নমুনা কিংবা শুল্কায়ন পরবর্তী সময়ে পণ্যের ঘোষিত বর্ণনা পরিবর্তিত হয়, যা ক্ষেত্রবিশেষে প্রতিষ্ঠানের বন্ড লাইসেন্স অথবা প্রাপ্যতা শীট বা সংশ্লিষ্ট Utilization Declaration (UD) তে অন্তর্ভূক্ত থাকে না। ফলে শুল্কায়নকালে উহা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতার সৃষ্টি হয়। ফলশ্রুতিতে যথাসময়ে কাঁচামাল/পণ্য খালাস না হওয়ায় রপ্তানি আদেশ অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পণ্য জাহাজীকরণে বিঘ্ন ঘটছে মর্মে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অবগত হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে বর্তমানে বৈশ্বিক বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ও রপ্তানি বাণিজ্যের বৃহত্তর স্বার্থে জরুরি বিবেচনায় নিম্নরূপ নির্দেশনা প্রদান করা হলো:

(ক) বন্ড লাইসেন্সে অন্তর্ভূক্ত বর্ণনা ও HS Code অনুযায়ী আমদানিকৃত পণ্যের ঘোষণা দাখিল করার পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ভিন্ন HS Code নিরূপণ করলে এবং নিরূপিত HS Code এর প্রথম ৪ ডিজিট বন্ড লাইসেন্সে অন্তর্ভূক্ত HS Code এর প্রথম ৪ ডিজিট এর সাথে মিল থাকলে; আমদানিকারক পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে এই নিরূপিত HS Code বন্ড লাইসেন্সে ও ইউডিতে অন্তর্ভূক্ত করবেন মর্মে একটি অঙ্গীকারনামা সংশ্লিষ্ট কাস্টমস হাউস এর কমিশনার এর নিকট দাখিল করবেন যার বিপরীতে কমিশনার পণ্যচালান খালাসের অনুমতি প্রদান করে সংশ্লিষ্ট বন্ড কমিশনারেটকে অবহিত করবেন।

(খ) বন্ড লাইসেন্সে অন্তর্ভূক্ত বর্ণনা ও HS Code অনুযায়ী আমদানিকৃত পণ্যের ঘোষণা দাখিল করার পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ভিন্ন বর্ণনা নিরূপণ করলে; আমদানিকারক পরবর্তী ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে উক্তরূপ নিরূপিত পণ্যের বর্ণনা বন্ড লাইসেন্সে ও ইউডিতে অন্তর্ভূক্ত করবেন মর্মে একটি অঙ্গীকারনামা সংশ্লিষ্ট কাস্টমস হাউস এর কমিশনার এর নিকট দাখিল করবেন যার বিপরীতে কমিশনার পণ্যচালান খালাসের অনুমতি প্রদান করে সংশ্লিষ্ট বন্ড কমিশনারেটকে অবহিত করবেন।

গ) বন্ড লাইসেন্সে অন্তর্ভূক্ত বর্ণনা ও HS Code অনুযায়ী আমদানিকৃত পণ্যের ঘোষণা দাখিল করার পর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ভিন্ন HS Code নিরূপণ করা হলে এবং বন্ড লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠান কাস্টমস বন্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে সংশ্লিষ্ট বন্ড কমিশনারেটের মাধ্যমে তার প্রাপ্যতায় উক্ত HS Code অন্তর্ভুক্ত করলে কাস্টমস হাউস এর কমিশনার পণ্যচালান খালাসের অনুমতি প্রদান করবেন এবং পণ্য চালান খালাসের তথ্য সংশ্লিষ্ট বন্ড কমিশনারেটকে অবহিত করবেন।

০৩। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে; এবং বর্তমানে উক্তরূপ কারণে শুল্কায়ন নিষ্পত্তির জন্য অপেক্ষমান পণ্যচালানসমূহের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।

মন্তব্য

p
উপরে