× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Casino online in one year of the campaign
google_news print-icon

অভিযানের ২ বছরে ক্যাসিনো অনলাইনে

অভিযানের-২-বছরে-ক্যাসিনো-অনলাইনে
ঢাকাসহ দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় চলে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান। ফাইল ছবি
সারা দেশে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে অনেকগুলো মামলা হলে র‍্যাব তদন্তের দায়িত্ব পায় ১০টি মামলায়। এর মধ্যে ৯টির তদন্ত শেষ করে অভিযোগপত্র দেয়া হয়ে গেছে। একটির তদন্ত আটকে আছে আদালতের স্থগিতাদেশে।

দুই বছর আগের আলোচিত ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের পর থেকে রাজধানীর ক্লাবগুলোতে প্রকাশ্যে এই খেলা বন্ধ হয়েছে। তবে এই খেলা বন্ধ হয়ে গেছে, এমনটা বলার সুযোগ নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি আর অভিযানের কারণে এখন ঝোঁক তৈরি হয়েছে অনলাইন ক্যাসিনোতে।

২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করে র‍্যাব। এই অভিযানে সরকার দলীয় বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বসহ ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করার কথা জানানো হয়।

অভিযানের সফলতা প্রসঙ্গে বাহিনীটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঢাকার ক্লাবগুলোতে ক্যাসিনোর জন্য খেলাধুলা বন্ধ ছিল। আমাদের অভিযানের পর আবার খেলা চালু হয়েছে। দ্বিতীয়ত, ঢাকা শহরে দৃশ্যত এখন ক্যাসিনো নেই। কোনো ক্লাবেই এটা হচ্ছে না। গোয়েন্দারা নজরদারি করছে। কোথাও এমন কিছু পেলে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। তবে ক্যাসিনো বন্ধ হলেও অনলাইন ক্যাসিনোতে ঝুঁকছে মানুষ। তা বন্ধেও আমাদের নজরদারি রয়েছে।’

ফেসবুক ব্যবহারকারীদের টার্গেট করে এসব সাইটের বিজ্ঞাপন দেয়া হচ্ছে বাংলায়। অনলাইন ক্যাসিনোর অ্যাপ ইনস্টলের জন্যও দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন অফার। এমনকি বিজ্ঞাপনে বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগোও ব্যবহার করা হচ্ছে।

এসব অ্যাপের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে কারিগরি সক্ষমতার অভাব রয়েছে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের। তারা বলছে, বিদেশ থেকে অনলাইন ক্যাসিনো পরিচালিত হওয়ায় এগুলো ঠেকানো সহজ নয়।

অভিযানের ২ বছরে ক্যাসিনো অনলাইনে
ঠিকাদার ও ক্যাসিনো কারবারি জি কে শামীম। ফাইল ছবি

ফেসবুকে বুস্ট করা বেশ কয়েকটি অনলাইন ক্যাসিনোর বিজ্ঞাপন পেয়েছে নিউজবাংলা। অনুসন্ধানে জানা গেছে, সারা দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে এই অনলাইন ক্যাসিনো। তবে এসব ক্যাসিনোর মালিক কারা বা কোথা থেকে পরিচালিত হচ্ছে, সে বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে কোনো তথ্য নেই।

কয়েকটি ক্যাসিনোর ফেসবুক পেজে দেয়া রয়েছে ওয়াটসঅ্যাপ নম্বর। এগুলোতে যোগাযোগ করেও তেমন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। বরং টাকার বিনিময়ে গ্রুপের সদস্য হওয়ার শর্ত দেয়া হয়েছে। চাওয়া হয়েছে ভোটার আইডি কার্ড, নাম, বয়স, জন্মতারিখ, মোবাইল ফোন নম্বর। এসব তথ্য দিলেই মেলে গ্রুপের সদস্য হওয়ার অনুমতি।

অনলাইনে ক্যাসিনো চালাতে রীতিমতো অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। এর নাম বাজি। অ্যাপটি স্মার্টফোনে নামিয়ে জিমেইল আইডি ও ফোন নম্বর দিয়ে আইডি খুললেই ঢোকা যায় অনলাইন ক্যাসিনো দুনিয়ায়। যে অ্যাকাউন্ট খোলা হলো, তাতে বিকাশ, নগদ বা রকেটের মাধ্যমে টাকা ঢুকিয়ে শুরু করা যায় বাজি খেলা বা জুয়া খেলা। বাজি ধরা যায় সর্বনিম্ন ১০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ‘যত ইচ্ছা’ তত টাকা।

অ্যাপটিতে রাত-দিন ২৪ ঘণ্টাই চলে জুয়া খেলা। অংশগ্রহণকারীরা যে যার মতো বিভিন্ন দানের ঘর বা আইকন বাজি ধরার পর ঘুরতে শুরু করে ক্যাসিনোর চাকা বা হুইল। হুইলের কাঁটা যে ঘরে থামে, সেই ঘরে যারা বাজি ধরেছিলেন তারা জিতে যান দান। টাকা পান ১০ গুণ, ২০ গুণ, ৪০ গুণ, ৪০০ গুণ, এমনকি ৪০০০ গুণ পর্যন্ত।

সাইবার পুলিশ বলছে, অনলাইন ক্যাসিনোর সাইটগুলোর ডোমেইন দেশের বাইরে এবং নির্ধারিত সময় পর পর এসব সাইটের আইপি (ইন্টারনেট প্রটোকল) ঠিকানা পরিবর্তন করে নিয়ন্ত্রণকারীরা। যে কারণে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) মাধ্যমে অনলাইন ক্যাসিনোর কিছু সাইট বন্ধ করা হলেও ফল মিলছে না। এমন শতাধিক সাইট ও অ্যাপস চিহ্নিত করেছে র‍্যাব।

অভিযানের ২ বছরে ক্যাসিনো অনলাইনে
র‍্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ও ক্যাসিনো কারবারি সম্রাট। ফাইল ছবি

সারা দেশে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে অনেকগুলো মামলা হলে র‍্যাব তদন্তের দায়িত্ব পায় ১০টি মামলায়। এর মধ্যে ৯টির তদন্ত শেষ করে অভিযোগপত্র দেয়া হয়ে গেছে। একটির তদন্ত আটকে আছে আদালতের স্থগিতাদেশে।

পাঁচটি ক্লাবে অভিযান দিয়ে শুরু

২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মতিঝিলে চারটি ও গুলশানের একটি ক্যাসিনোতে র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান শুরু করে। ২০১ জনকে আটক করে দেয়া নয় বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড। বিদেশি মদ, বিদেশি সিগারেট, বিয়ার, হেরোইন, কষ্টি পাথরের মূর্তি এবং ক্যাসিনো সামগ্রী উদ্ধার ও জব্দ করা হয়।

পাঁচটি ক্লাব হলো- ফকিরাপুল ইয়াং ম্যান্স ক্লাব, ওয়ান্ডার্স ক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা চিত্তবিনোদন ক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া ও গোল্ডেন ঢাকা বাংলাদেশ।

খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া গ্রেপ্তার

অভিযান শুরুর প্রথমদিন সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশান থেকে যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। ফকিরাপুল ইয়াং ম্যান্স ক্লাবে ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা নেয়া হয়।

তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় মাদক, অবৈধ অস্ত্র, ১০ লাখ ৩৪ হাজার ৫৫০ টাকা ও বিদেশি মুদ্রা। লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করায় তার দুটি অস্ত্রও জব্দ করা হয়।

অভিযানের ২ বছরে ক্যাসিনো অনলাইনে
ক্যাসিনো খালেদ নামে পরিচিত ছিলেন যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া।

তার কমলাপুর অফিসে অভিযান চালিয়ে মাদক ও শক দেয়ার ইলেক্ট্রিক মেশিনও জব্দ করা হয়। গুলশান ও মতিঝিল থানায় চারটি মামলা করা হয়। গুলশান থানায় অস্ত্র আইনে মামলাটির অভিযোগপত্রও দিয়েছে র‌্যাব।

একই দিনে ঢাকার ওয়ান্ডার্স ক্লাবে অভিযান করে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তারা হলেন- সাইফুল ইসলাম, তুহিন মুন্সি ও নবীর হোসেন সিকদার।

ওই ক্লাব থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা ছাড়াও বিদেশি মদ পাওয়ার কথা জানানো হয়। এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মতিঝিল থানায় মামলা হয়।

জি কে শামীম গ্রেপ্তার

২০ সেপ্টেম্বর যুবলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় নেতা ও শীর্ষ ঠিকাদার জি কে শামীমের নিকেতনের বাসায় অভিযান চালায় র‍্যাব। সাত দেহরক্ষীসহ জি কে শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জি কে শামীমের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে গুলশান থানায় তিনটি মামলা হয়।

শফিকুল আলম ফিরোজ গ্রেপ্তার

২০ সেপ্টেম্বর অভিযান চালানো হয় কলাবাগান ক্রীড়া চক্রে। অভিযানে ক্লাবটির সভাপতি শফিকুল আলম ফিরোজকে মাদক, অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ তাসসহ গ্রেপ্তার করা হয। তার বিরুদ্ধে ধানমন্ডি ও গুলশান থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা হয়

এই মামলাতেও র‌্যাব অভিযোগপত্র দিয়েছে।

অভিযানের ২ বছরে ক্যাসিনো অনলাইনে
লোকমান ও শফিকুল আলম ফিরোজকেও ক্যাসিনো কারবারির জন্য গ্রেপ্তার করা হয়। ফাইল ছবি

ধানমন্ডি ক্লাবে অভিযান

একইদিন ধানমন্ডি ক্লাবে অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযানে ক্লাবটি সিলগালা করা হয়। পরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

চট্টগ্রামের বিভিন্ন ক্লাবে অভিযান

২১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পাশাপাশি চট্টগ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া চক্র, হালিশহরের আবাহনী লিমিটেড ও সদরঘাট এলাকায় মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ জুয়া খেলার সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।

এনু-রুপনের বাসায় অভিযান

ওয়ান্ডার্স ক্লাবে ক্যাসিনো পরিচালনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় দুই ভাই এনামুল হক এনু, রুপন ভূঁইয়া ও তার দুই বিশ্বস্ত সহযোগীর বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ৫ কোটি ৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা, ৭ দশমিক ২০ ভরি সোনা এবং ৬টি আগ্নেয়াস্ত্র (একটি অবৈধ) উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় গেন্ডারিয়া, সূত্রাপুর, ওয়ারী থানাতে সাতটি মামলা হয়। অস্ত্র, মানি লন্ডারিং ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাগুলো করা হয়।

এই মামলাতেও র‌্যাব অভিযোগপত্র দিয়েছে।

ফু-ওয়াং ক্লাবে অভিযান

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ফু-ওয়াং ক্লাবে অভিযান হয় ২৫ সেপ্টেম্বর। ব্যবস্থাপকসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ক্লাব থেকে নগদ ৭ লাখ টাকা, অবৈধ মদ ২ হাজার বোতল, বিয়ার ক্যান ১০ হাজার ও বিপুল পরিমাণ আমদানি নিষিদ্ধ বিদেশি সিগারেট জব্দ করা হয়। তেজগাঁও থানায় মাদক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়।

এই মামলায় র‌্যা অভিযোগপত্র দিয়েছে।

‘ক্যাসিনো সেলিম’ গ্রেপ্তার

দেশ ত্যাগ করে পালিয়ে যাওয়ার সময় ৩০ সেপ্টেম্বর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থাই এয়ারওয়েজের বিমান থেকে অনলাইনে ক্যাসিনো ব্যবসার হোতা সন্দেহে সেলিম প্রধানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তার দেয়া তথ্যে সেলিমের বাসা ও অফিস থেকে বিপুল পরিমাণ মাদক, পাসপোর্ট, চেক বই, দেশি ও বিদেশি মুদ্রা উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া সেলিমের তিন সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

অভিযানের ২ বছরে ক্যাসিনো অনলাইনে
দেশে অনলাইন ক্যাসিনোর হোতা সেলিম প্রধান। ফাইল ছবি

সেলিম প্রধানকে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়। এ ছাড়া গুলশানে মাদক ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা হয়।

এই মামলাতেও র‌্যাব অভিযোগপত্র দিয়েছে।

সম্রাট-আরমান গ্রেপ্তার

৬ অক্টোবর ভোরে র‌্যাবের অভিযানে যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন সম্রাট ও এনামুল হক আরমানকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানাধীন সাহেব নগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। মনির চৌধুরী নামে একজনের বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন তারা।

গ্রেপ্তারের সময় এমরানুল হক আরমানকে মদ্যপ অবস্থায় পাওয়া যাওয়ার পর ভ্রাম্যমাণ আদালত মাদক আইনে তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়।

গ্রেপ্তারের পর সম্রাট ও আরমানকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। সম্রাটের দেয়া তথ্যে ঢাকার কাকরাইল (সম্রাটের অফিস), মহাখালী ডিওএইচএস (বাসা), শান্তিনগরে (ভাইয়ের বাসা) অভিযান পরিচালনা করা হয়।

সম্রাটের কাকরাইলের অফিস থেকে উদ্ধার করা মাদক, অবৈধ অস্ত্র, গোলাবারুদ, বন্যপ্রাণীর চামড়া ও শারীরিক নির্যাতনে ব্যবহার করা সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। সম্রাটকে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত অফিসে বন্যপ্রাণী চামড়া রাখার দায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়।

সম্রাটের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা করা হয়। এ ছাড়া আরমানের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মিরপুরের বাসায় অভিযান করে বিভিন্ন ব্যাংকের ১২টি চেক বই জব্দ করা হয়।

কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম থানায় তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করা হয়েছে এবং রমনা মডেল থানায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। রমনা থানায় অস্ত্র আইনে মামলার অভিযোগপত্র দিয়েছে র‌্যাব।

পাগলা মিজান গ্রেপ্তার

২০১৯ সালের ১১ অক্টোবর র‌্যাবের অভিযানে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা চেষ্টা মামলার আসামি ও সাবেক কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান ওরফে পাগলা মিজানকে দেশত্যাগের সময় মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের পর মিজানকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। মিজানের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার লালমাটিয়া অফিস ও আওরঙ্গজেব রোডের বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। মিজানের আওরঙ্গজেব সড়কের বাসা থেকে নগদ ২ লাখ টাকা, ৬ কোটি ৫৮ লাখ ৯০ হাজার টাকার চেক, এক কোটি টাকার এফডিআরসহ অস্ত্র এবং গুলি উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় শ্রীমঙ্গল থানায় অস্ত্র আইনে ও মোহাম্মদপুরে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা হয়।

কমিশনার রাজীব গ্রেপ্তার

১৯ অক্টোবর চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলদারিত্ব, কিশোরগ্যাং নিয়ন্ত্রণ ও মাদক সেবন করার অভিযোগে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অভিযান চালায় র‌্যাব। রাজীবকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তার দেয়া তথ্যে মোহাম্মদপুর বাসা ও অফিস অভিযান পরিচালনা করে বাসা থেকে নগদ ৩৩ হাজার টাকা, ৫ কোটি টাকার চেক, বিদেশি মদ, পাসপোর্টসহ অস্ত্র এবং গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।

তার বিরুদ্ধে ভাটারা থানায় মাদক ও অস্ত্র আইনে মামলা হয়। অস্ত্র আইনে মামলাটির অভিযোপত্র দিয়েছে র‌্যাব।

কাউন্সিলর ময়নুল গ্রেপ্তার

চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, মাদক কারবার ও জুয়ার আসর পরিচালনার অভিযোগে ৩১ অক্টোবর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করে ময়নুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়।

তার অফিস থেকে অস্ত্র ও মাদক জব্দ করা হয়। পরে তার তথ্যে হাটখোলা রোডের ‘গ্লোব নিবাসে' অভিযান চালিয়ে মাদক উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ওয়ারী থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা হয়।

সম্রাটের সহযোগী জাকির গ্রেপ্তার

ইসমাইল হোসেন সম্রাটের ক্যাসিনো ব্যবসার সহযোগী হিসেবে নাম আসা জাকির হোসেন আত্মগোপন করে ভোলার চরনোয়াবাদ এলাকায় চলে যান। ২৯ অক্টোবর অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। এ সময় তার কাছ থেকে অস্ত্র ও মাদক জব্দ করা হয়। ভোলা সদর থানায় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা হয়।

আরও পড়ুন:
অনলাইন ক্যাসিনোর লাগামহীন বিজ্ঞাপন ফেসবুক, গুগলে 
গ্রামেও ছড়িয়েছে ‘বাজি’র ক্যাসিনো, বেশি বুঁদ শিক্ষার্থীরা
ক্যাসিনোকাণ্ড: হাইকোর্টে জামিন পেলেন জয় গোপাল
এবার লোকমান-শফিকুলের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
ক্যাসিনোকাণ্ড: এনু-রূপনের বিরুদ্ধে দুদকের অভিযোগপত্র

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
It may rain but the heat will not decrease

বৃষ্টি হয়তো হবে, তবে গরম কমবে না

বৃষ্টি হয়তো হবে, তবে গরম কমবে না তীব্র গরমে একটু স্বস্তির জন্য নগরীতে গাছের নিচে বসে আছেন এক ব্যক্তি। ফাইল ছবি
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

কদিন ধরেই তীব্র গরম। দেশের কোথাও মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হচ্ছে, তবে গরম অবশ্য কমছে না। আবহাওয়া আপাতত এমনই থাকবে।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ তথ্য দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কুমিল্লা ও কিশোরগঞ্জ অঞ্চলসহ ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এতে বলা হয়, একই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

অধিদপ্তর বলছে, রাজশাহী, পাবনা ও টাঙ্গাইল জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

আবহাওয়ার সার্বিক পর্যবেক্ষণে বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে।

আগামী পাঁচ দিনের পূর্বভাসে বলা হয়েছে, তাপপ্রবাহ প্রায় একই রকম থাকতে পারে। আবহাওয়ায় তেমন পরিবতর্তন আসবে না।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
An ongoing burn may continue for 72 hours

চলমান দাবদাহ ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে

চলমান দাবদাহ ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে গরমে পানিতে নামা শিশুর উচ্ছ্বাস। ফাইল ছবি
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত সতর্কবার্তায় বলা হয়, ‘দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ (১৯ এপ্রিল, ২০২৪) হতে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।’

দেশে চলমান দাবদাহ শুক্রবার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রাষ্ট্রীয় সংস্থাটি শুক্রবার তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তায় এ কথা জানায়।

আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত সতর্কবার্তায় বলা হয়, ‘দেশের ওপর দিয়ে চলমান তাপপ্রবাহ আজ (১৯ এপ্রিল, ২০২৪) হতে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে এবং তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে।

‘জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।’

৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস

আবহাওয়া অধিদপ্তর শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সিনপটিক অবস্থা নিয়ে বলেছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে রয়েছে।

তাপপ্রবাহ বা দাবদাহের বিষয়ে বলা হয়, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে দিনাজপুর, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলা এবং ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি অব্যাহত থাকতে পারে।

আরও পড়ুন:
দাবদাহ অব্যাহত থাকতে পারে ৬ বিভাগে
দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি ঝরতে পারে ঢাকাসহ চার বিভাগে
বিস্তৃত হতে পারে ঢাকাসহ ৬ বিভাগের দাবদাহ
বইছে তাপপ্রবাহ, নেই বৃষ্টির সম্ভাবনা
মেঘ মেঘ করবে, হতে পারে বৃষ্টিও

মন্তব্য

বাংলাদেশ
There are 1786 valid candidates in the first phase upazila elections

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬ জন

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে বৈধ প্রার্থী ১৭৮৬ জন ফাইল ছবি
নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন এক হাজার ৮৯০ জন। এদের মধ্যে বাছাইয়ে ১০৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে মোট বৈধ প্রার্থী দাঁড়িয়েছে এক হাজর ৭৮৬ জন। মাঠ পর্যায় থেকে পাঠনো তথ্য একীভূত করার পর এ তথ্য জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ।

তিনি জানান, প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন এক হাজার ৮৯০ জন। এদের মধ্যে বাছাইয়ে ১০৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল, আর বৈধতা পেয়েছে এক হাজার ৭৮৬ প্রার্থীর।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ১৮ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত আপিল করা যাবে। আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল। এরপর প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল এবং ১৫০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে আগামী ৮ মে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Will take help of Indian institutions for anti disinformation training Minister of State for Information

অপপ্রচার রোধে প্রশিক্ষণের প্রয়োজনে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নেব: তথ্য প্রতিমন্ত্রী

অপপ্রচার রোধে প্রশিক্ষণের প্রয়োজনে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নেব: তথ্য প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের মুখোমুখি তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। ছবি: সংগৃহীত
মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, বিটিভিতে দুই ঘণ্টার একটি চাংক নিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক সংবাদ বিশ্লেষণ, চলমান ঘটনাপ্রবাহ এবং সংবাদ উপস্থাপনা শুরু করতে যাচ্ছি। সেক্ষেত্রে ভারতের যে সংবাদ সংস্থাগুলো আছে, বিশেষ করে এএনআইয়ের সঙ্গে কোলাবরেশন করা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

অপপ্রচার রোধে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হলে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রীর নিজ দপ্তরে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভার্মার সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

আরাফাত বলেন, ‘অপপ্রচার রোধে ভারতের কিছু প্রতিষ্ঠান কাজ করে। তারা কীভাবে কাজ করে, তাদের অভিজ্ঞতা এবং প্রক্রিয়া-পদ্ধতি বিনিময় জানা-বোঝার চেষ্টা করব। এক্ষেত্রে কোনো প্রশিক্ষণের প্রয়োজন হলে আমরা তাদের কাছ থেকে সহায়তা নেব।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে যেসব কো-অপারেশন আছে, সেসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে বিটিভিতে দুই ঘণ্টার একটি চাংক নিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক সংবাদ বিশ্লেষণ, চলমান ঘটনাপ্রবাহ এবং সংবাদ উপস্থাপনা শুরু করতে যাচ্ছি। সেক্ষেত্রে ভারতের যে সংবাদ সংস্থাগুলো আছে, বিশেষ করে এএনআইয়ের সঙ্গে কোলাবরেশন করা যায় কি না, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

‘যেহেতু বিটিভি ইন্ডিয়াতে দেখানো হয়, সেহেতু দুই ঘণ্টার এ চাংক আমরা ধীরে ধীরে দুই, তিন, চার ঘণ্টা পর্যন্ত বাড়াব। আমরা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী করতে চাচ্ছি, যেখানে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের খবর থাকবে। এর বাইরেও বিভিন্ন দেশের খবর থাকবে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করব ভারতীয় দর্শকদের আকৃষ্ট করতে। এ ছাড়া ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন নিয়ে ইনস্টিটিউশন আছে, তাদের সঙ্গে কোলাবরেশন করা, বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম ও ট্রেনিং করা।’

‘সম্প্রতি মুজিব শিরোনামের যে সিনেমাটি সহ-প্রযোজনা হয়েছে, এমন অন্য কোনো সিনেমায় সহ-প্রযোজনার সুযোগ আছে কি না তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে’- যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।

ভারতের সিনেমা যেহেতু বাংলাদেশের বাজারে চলে সেহেতু বাংলাদেশেরও ভালো মানের সিনেমা ভারতে চালানোর বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘দর্শককে জোর করে কিছু দেখানো যায় না। বাজারে কোনো জিনিসের চাহিদা থাকলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই যাবে-আসবে। সিনেমা যেহেতু প্রোডাক্ট, সেহেতু ভারতের বাজারে দর্শক থাকলে অবশ্যই যাবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যে বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের আরও কো-অপারেশনের সুযোগ আছে, সেসব নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। আমি মনে করি- বাংলাদেশ এ বিষয়ে বেশি লাভবান হবে। কারণ ভারতের ফিল্মে, টেলিভিশনে বা অন্যান্য জায়গায় যে অভিজ্ঞতা আছে, তা আমরা যত বেশি নেয়ার চেষ্টা করা যায়। দেশের উন্নয়নের জন্য এসব জরুরি।’

আরও পড়ুন:
অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে উদীচীর অনুষ্ঠান দুঃখজনক: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
পুনর্বাসন না করে বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করা হবে না: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
বিএসসিএলের টিআরপি সেবার বাণিজ্যিক কার্যক্রম উদ্বোধন
অবৈধ ক্যাবল ও ডিটিএইচ অপারেটরদের কপাল পুড়ছে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Protecting motherland is our main duty Army Chief

মাতৃভূমি রক্ষা করা আমাদের প্রধান কর্তব্য: সেনাপ্রধান

মাতৃভূমি রক্ষা করা আমাদের প্রধান কর্তব্য: সেনাপ্রধান বৃহস্পতিবার বিআইআইএসএস মিলনায়তনে সেমিনারে বক্তব্য দেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। ছবি: নিউজবাংলা
জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কেবল যুদ্ধে লড়াই করাই শেখে না, বরং জাতীয় স্বার্থে কীভাবে যুদ্ধ প্রতিরোধ বা এড়াতে হয় তা-ও জানে। আমরা সঠিক পথেই আছি এবং আমরা আমাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হবো না।’

সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি অর্জনে অবদান রাখতে এবং দেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করায় অবদান রাখতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবকিছু করছে।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে ‘ডিফেন্স ডিপ্লোমেসি: স্ট্র্যাটেজি ফর বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সূত্র: ইউএনবি

সেনাপ্রধান বলেন, ‘মাতৃভূমিকে রক্ষা করা, দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা আমাদের কর্তব্য এবং আমরা তার জন্য প্রস্তুত আছি। আমরা সবকিছুই করছি।’

বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্র নীতির বাণী ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এই পররাষ্ট্রনীতি বাস্তবায়নে আমরা সবকিছু করছি।’

জাতীয় নিরাপত্তা বজায় রেখে টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে সেনাপ্রধান বলেন, ‘কূটনীতি যেকোনো ধরনের জাতীয় স্বার্থ অর্জনের প্রচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।’

বেসামরিক শক্তির সহায়তায় সেনাবাহিনী কীভাবে দেশে গঠনমূলক কর্মকাণ্ড, দেশ-বিদেশে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে সে কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

সেনাপ্রধান বলেন, ‘যেখানেই সুযোগ আছে, তা প্রত্যক্ষ হোক বা পরোক্ষ, আমরা সুযোগ গ্রহণ করি এবং বাংলাদেশের স্বার্থে সবকিছু করি।’

সামরিক কূটনীতির কথা বলতে গিয়ে জেনারেল শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আরও সম্পদ ও বাজেট বরাদ্দ করে তাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। আমরা জানি কীভাবে এটা করতে হয়। কিন্তু আমাদের এটা করার সামর্থ্য থাকা উচিত।’

মিয়ানমার ইস্যু প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান বলেন, ‘মিয়ানমারের সামরিক নেতাদের কেউ কেউ আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হচ্ছেন এবং এখানে নিজেদের সমস্যায় ফেলার ঝুঁকি রয়েছে।

‘এক বন্ধুকে খুশি করার জন্য আমরা আরেক বন্ধুর বিরোধিতা করতে পারি না। বেশকিছু বিষয় রয়েছে যা আমাদের খেয়াল করতে হবে। এসব ঘটনার প্রভাবও বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি এবং আমরা সঠিক পথেই রয়েছি।’

জেনারেল শফিউদ্দিন বলেন, দূর থেকে চালানো যায় এমন কিছু যানবাহন দেশেই তৈরি হচ্ছে যা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জন্য বেশ উপকারে আসবে। আগে এসব যন্ত্রপাতি আমদানি করতে হতো। তাই এখন আমাদের প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে।’

সেনাপ্রধান বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কেবল যুদ্ধে লড়াই করাই শেখে না, বরং জাতীয় স্বার্থে কীভাবে যুদ্ধ প্রতিরোধ বা এড়াতে হয় তা-ও জানে। আমরা সঠিক পথেই আছি এবং আমরা আমাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হবো না।’

একইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা সামরিক বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব। এটি তারা কখনও ভুলে যায় না এবং এ কাজে সবসময় তাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।

‘উদ্দেশ্য রাতারাতি পরিবর্তন হতে পারে। কিন্তু সক্ষমতা রাতারাতি পরিবর্তন হয় না। আজ আপনি আমার বন্ধু, আগামীকাল বন্ধু না-ও হতে পারেন। কিন্তু জাতীয় স্বার্থ, মাতৃভূমি রক্ষায় আমাদের সক্ষমতা থাকতে হবে- পররাষ্ট্রনীতির এই আদেশ আমাদের সবার জন্য সমান।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিআইআইএসএস চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গওসোল আযম সরকার ও মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. আবু বকর সিদ্দিক খান।

আরও পড়ুন:
পাহাড়ের পরিস্থিতি শান্ত না হওয়া পর্যন্ত কম্বিং অপারেশন চলবে: সেনাপ্রধান
পেশাগত দক্ষতা দিয়ে সেনাবাহিনী বিদেশেও সুনাম অর্জন করেছে: সেনাপ্রধান
কাতার সফর শেষে দেশে ফিরলেন সেনাপ্রধান
আমিরাত সফর শেষে দেশে ফিরলেন সেনাপ্রধান
নির্বাচন উপলক্ষে মোতায়েন করা সেনাবাহিনীর কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন সেনাপ্রধান

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BGB Director General inspects Naikshyongchari border

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত পরিদর্শনে বিজিবি মহাপরিচালক

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত পরিদর্শনে বিজিবি মহাপরিচালক বৃহস্পতিবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। ছবি: নিউজবাংলা
মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী চাকঢালা বিওপি পরিদর্শনকালে মিয়ানমার থেকে জান্তা বাহিনীর সদস্যদের পালিয়ে আসার স্পটগুলো সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। একইসঙ্গে সীমান্তে বিজিবিকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেন তিনি।

বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

বিজিবি মহাপরিচালক বৃহস্পতিবার সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ১১ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরের কোয়ার্টার গার্ড পরিদর্শন শেষে বিজিবি কার্যালয় পরিদর্শন করেন। দুপুরে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা বর্ডার গার্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেয়া প্রতিবেশী দেশটির জান্তা বাহিনীর সদস্যদের খোঁজখবর নেন তিনি।

পরে তিনি ১১ বিজিবির অধীন চাকঢালা বিওপি (বর্ডার অবজারবেশন পোস্ট) পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি মিয়ানমার থেকে জান্তা বাহিনীর সদস্যদের পালিয়ে আসার স্পটগুলো সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। সীমান্তে বিজিবিকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেন।

পরিদর্শনকালে বিজিবি মহাপরিচালকের সঙ্গে ছিলেন কক্সবাজার রিজিয়ন কমন্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ মোরশেদ আলমসহ বিজিবি রামুর সেক্টর ও অধীনস্ত বিজিবি ব্যাটালিয়নে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি’র জোন কমন্ডার ও অধিনায়ক লে. কর্নেল সাহল আহমদ এসিসহ বিজিবির কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন:
বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলন শুরু
মিয়ানমার সীমান্তে যাচ্ছেন বিজিবি মহাপরিচালক

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Remand of 53 persons granted in two cases in Bandarban

বান্দরবানে দুই মামলায় ৫৩ জনের রিমান্ড মঞ্জুর

বান্দরবানে দুই মামলায় ৫৩ জনের রিমান্ড মঞ্জুর বৃহস্পতিবার বান্দরবানে আদালতে নেয়ার পথে কেএনএফ সদস্যরা। ছবি: নিউজবাংলা
আইনজীবীরা জানান, রুমা থানার দুই মামলায় পুলিশ আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ৫৩জনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এর মধ্যে ৫২জনকে দু’দিন করে রিমান্ড এবং একজনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়া হয়।

বান্দরবানে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া ৫৩জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। রুমা থানার দুটি মামলায় বৃহস্পতিবার এই আদেশ দেয়া হয়। পাশাপাশি এক নারীকে জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদসহ মামলায় ৫৭জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

বান্দরবান সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ নাজমুল হোছাইন বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলার শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

আদালতে আসামি পক্ষে একাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। আইনজীবীরা জানান, রুমা থানার জিআর মামলা নং- ৪ ও ৭ মামলায় পুলিশ আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ৫৩জনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এর মধ্যে ৫২জনকে দু’দিন করে রিমান্ড এবং একজনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেয়া হয়।

এর আগে বান্দরবান জেলা কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তায় ১৮জন নারী ও ৩৯জন পুরুষ বন্দিকে দুটি গাড়িতে করে আদালতে হাজির করা হয়। সম্প্রতি বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে লুটের ঘটনায় তাদেরকে রুমা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে বান্দরবানে চলমান যৌথ অভিযানে সন্দেহভাজন আর‌ও একজনকে আটক করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ৬৬জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন:
রুমার সোনালী ব্যাংক ম্যানেজারকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর
চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করায় কুকি-চিনের সঙ্গে শান্তি আলোচনা স্থগিত
স্বর্ণ উদ্ধারের মামলায় নভোএয়ারের গাড়িচালক রিমান্ডে
সিনেমায় অনুপ্রাণিত হয়ে কেনা অস্ত্র দিয়ে ছাত্রকে গুলি করেন রায়হান
যৌন হয়রানিতে অভিযুক্ত ভিকারুননিসার শিক্ষক মুরাদ রিমান্ডে

মন্তব্য

p
উপরে