× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
You dont have to make alliances with numbers alone
google_news print-icon

‘শুধু সংখ্যা দিয়ে জোট করলে হবে না’

শুধু-সংখ্যা-দিয়ে-জোট-করলে-হবে-না
নিউজবাংলার সঙ্গে আলাপে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, বীরপ্রতীক।
সাম্প্রতিক রাজনীতি নিয়ে নিউজবাংলার মুখোমুখি হয়েছেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক। ২০-দলীয় জোট নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা চাই কোনো দল কিংবা নেতা কী অবদান রাখতে পারবে বা পেরেছে, সেটার ওপর ভিত্তি করে তার ভূমিকা স্থির করতে হবে। শুধু সভায় গেলাম আর বের হলাম, শুধু শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে বসলাম আর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বের হলাম, এটা হয় না। আর যেহেতু দেশনেত্রী (খালেদা জিয়া) নাই, সরকার এখন কোনো প্রকারের বড় জনসমাবেশ অ্যালাও করছে না, সুতরাং তার রাজনৈতিক প্রক্রিয়াটাও ভিন্ন হবে।’

মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীক বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান। তার দল বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের শরিক হলেও সম্প্রতি তার কথাবার্তায় জোট ত্যাগের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে জোট ও সরকারবিরোধী আন্দোলন নিয়ে নিউজবাংলা কথা বলে তার সঙ্গে।

প্রশ্ন: আপনি কি ২০-দলীয় জোট ছেড়ে যাচ্ছেন?

জেনারেল ইবরাহিম: না না, ২০ দল ছেড়ে যাব কেন? সেদিন এমন কোনো কথা বলিনি। আমরা অনেক দিন যাবৎ আবেদন করছি, অনুভূতি প্রকাশ করছি, প্রধান শরিক বিএনপির সঙ্গে চলতে আমরা আনন্দিত। কিন্তু তাদের কাছে আবেদন, আপনারা আত্মসমালোচনামূলক একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ২০ দলকে পুনর্গঠিত করুন। ২০ দল, ১৮ দল, ১০ দল, ২২ দল করেন, কিন্তু আত্মসমালোচনার প্রক্রিয়া নেয়া প্রয়োজন। কারণ গত আট-নয় বছরে আমরা অনেক ভুল করেছি, ভালো কাজও করেছি, সুতরাং এই আত্মসমালোচনা প্রয়োজন। যদি একান্তই আমাদের প্রধান শরিকের পক্ষে সম্ভব না হয়, তাহলে আমরা নিশ্চয়ই নিজেদের কর্মপন্থা স্থির করব।

প্রশ্ন: বিষয়টি কি এমন যে আপনি বিএনপির কাছে মূল্যায়ন চান? মূল্যায়ন পাচ্ছেন না বলেই কি এমন কথা বলছেন?

জেনারেল ইবরাহিম: অবশ্যই মূল্যায়ন আত্মসমালোচনার একটা অংশ।

প্রশ্ন: কী ধরনের মূল্যায়ন আসলে চান?

জেনারেল ইবরাহিম: আমরা চাই, কোন দল কিংবা নেতা কী অবদান রাখতে পারবে বা পেরেছে, সেটার ওপর ভিত্তি করে তার ভূমিকা স্থির করতে হবে। শুধু সভায় গেলাম আর বের হলাম, শুধু শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে বসলাম আর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বের হলাম, এটা হয় না। আর যেহেতু দেশনেত্রী (খালেদা জিয়া) নাই, সরকার এখন কোনো প্রকারের বড় জনসমাবেশ অ্যালাও করছে না, সুতরাং তার রাজনৈতিক প্রক্রিয়াটাও তো ভিন্ন হবে। এখন থেকে চার-পাঁচ বছর আগে দেশনেত্রী, আমরা রোডমার্চ করেছি, বিভিন্ন জেলায় বিভাগীয় শহরে, বড় শহরে জনসভা হয়েছে। সেটা এখন সম্ভব না, যেহেতু সরকার এখন বৈরী পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। তাহলে এ প্রেক্ষাপটে আমাদের করণীয় কী হতে পারে, সেটা আমাদের স্থির করতে হবে, শুধু সংখ্যা দিয়ে তো আর জোট করলে হবে না, সারবস্তু চাই।

এখন আমরা চরম সংকটে আছি। রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য এই সংকট সৃষ্টি করেছে সরকার, সরকারবিরোধী শিবিরের রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য অস্তিত্বের সংকট সৃষ্টি করেছে, কর্মযজ্ঞের সংকট সৃষ্টি করেছে। সমগ্র দেশের রাজনীতিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় নিয়ে গেছে, বিরাজনীতিকরণ প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছে। সুতরাং এখানে গভীর বিশ্লেষণের মাধ্যমে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে যে, গণতন্ত্রকে কেমন করে পুনরায় ফেরত আনা যায়।

প্রশ্ন: মূল্যায়নটা পাচ্ছেন না কেন?

জেনারেল ইবরাহিম: আমি তো বলি নাই মূল্যায়ন পাচ্ছি না। বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়াটাই এমন। আমি একটা কঠিন শব্দ ব্যবহার করতে চাই, আশা করি আপনারা এটা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবেন। সেটা হলো, আমরা শুধু শাসনকারী রাজনৈতিক দলের পরিবর্তন চাই না। শাসনকারী যেই হোক না কেন, কল্যাণ পার্টি অবশ্যই তার মধ্যে গুণগত পরিবর্তন চায়, তার অতীতের কর্মকাণ্ডের প্রেক্ষাপটে আগামীতে তার গুণগত পরিবর্তন চায়। যিনি হবেন হন। কারণ শুধু শাসক পরিবর্তন করলেই তো বাংলাদেশে সমস্যার সমাধান হবে না। দেশের সমস্যাগুলো অনুধাবনে যদি সেই গুণগত পরিবর্তন না থাকে, তাহলে তো হবে না।

প্রশ্ন: ২০-দলীয় জোটের পাশাপাশি আপনারা একটি উপজোটের মতো করেছিলেন ‘জাতীয় মুক্তি মঞ্চ’। সেটা কেন করেছিলেন? আর সেটা গতিই-বা পেল না কেন?

জেনারেল ইবরাহিম: ওটা আমি করি নাই। সুস্পষ্টভাবে আপনাকে জানাই, ওটা করেছিলেন এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম। তিনি দাওয়াত দিয়েছিলেন মুক্তি মঞ্চের কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে এবং সেখানে দেশনেত্রীর (খালেদা জিয়া) মুক্তিই ছিল প্রধান বক্তব্য। ওনার মুক্তির জন্য যে যা বলুক, আমরা সবখানেই ঝাঁপিয়ে পড়েছি। এখন আহ্বায়ক যিনি, উনিই যদি এটা নিয়ে না আগান, তাহলে তো আমাদের কোনো জায়গা থাকে না। আমি সেটার নীতিনির্ধারক ছিলাম না, নাইও। তবে দেশনেত্রীর মুক্তির জন্য আপনি আমাকে সবখানে পাবেন।

প্রশ্ন: আমরা তো বিএনপিকে তাদের দলের চেয়ারপারসনের মুক্তি নিয়ে খুব বেশি কথা বলতে দেখছি না। আপনি যতটুকু বলেন, এটা তো ওনাদের বলতে দেখিনি। আপনি কেন এই দাবি করেন?

জেনারেল ইবরাহিম: আমি ব্যক্তিগতভাবে যেমন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অসীম শ্রদ্ধা করি, তেমনি জিয়াউর রহমানকেও অজস্র শ্রদ্ধা করি। একজন বঙ্গবন্ধু, তিনি তুলনাবিহীন। তার আঙ্গিকে এবং একজন জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি তুলনাবিহীন তার আঙ্গিকে। উভয়ের রাজনৈতিক দল রয়েছে। উভয়ই ভালো কাজ করতে চেষ্টা করেছিলেন। তাদের লক্ষ্য ভালো ছিল। দেশনেত্রী বেগম জিয়া আশির দশকে অনেক পরিশ্রম করেছেন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য। এ জন্য তার প্রতি আমার সম্মান ও মায়া রয়ে গেছে। ওনাকে বন্দি করেছে, এটা আমার পছন্দ হচ্ছে না। সে জন্য আমি বলতেই থাকি যে, ওনার মুক্তি চাই, ওনার সুস্থতা যেন আল্লাহ দেন। আমার দাবি, বাংলাদেশ নিয়ে আমরা চিন্তায়-চেতনায় কোনো বিভাজন চাই না। বাংলাদেশের নিরাপত্তা, অগ্রগতি, উন্নতি এসব নিয়ে। রাজনৈতিকভাবে মতবিরোধের জায়গা আমরা কমিয়ে আনতে চাই।

প্রশ্ন: সেটায় কতটুকু সফল হলেন?

জেনারেল ইবরাহিম: আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আগামী নির্বাচনে এটা সুস্পষ্টভাবে দেখা যাবে যে, বঙ্গবন্ধুকে মান্য করেই, জিয়াউর রহমানকে মান্য করেই গণতন্ত্রের চর্চা করা যায়, যুগপৎ দুজনকে মান্য করেই। আজকের তরুণ প্রজন্ম, বিভাজনকে স্বাগত জানায় না।

প্রশ্ন: ২০-দলীয় জোট নিয়ে আপনি বলেছিলেন, জোট আছে এটাও সঠিক, নেই এটাও সঠিক। এরপর কি বিএনপি থেকে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল?

জেনারেল ইবরাহিম: না। আমরা বন্ধুপ্রতিম বড় দল-ছোট দল।

প্রশ্ন: তাহলে আপনার বক্তব্যকে তারা পাত্তাই দিল না, বিষয়টা কি এমন?

জেনারেল ইবরাহিম: এটা আমি কোনোমতেই বলতে পারব না। এটা আমার বুদ্ধিতে-জ্ঞানে আসবে না।

প্রশ্ন: বিএনপি জোটে যদি না থাকেন, তাহলে কী করবেন?

জেনারেল ইবরাহিম: সেটা অত্যন্ত বাস্তবসম্মত প্রশ্ন। তখন আমরা নিজে নিজে চলতে চেষ্টা করব। আমাদের মতো আরও যদি দল থাকে, তাদের বলব, চলো একসঙ্গে বসব, একসঙ্গে চলব। যদি সম্মত হয় কেউ, তখন আমরা চলব। আমরা তো আর বিএনপিকে বাধ্য করতে পারব না যে আমাদের নিয়ে জোট করেন। সুতরাং আমাদের নিজেদের অবস্থা বের করে নিতে হবে। তবে এটা অগ্রিম বলা খুব কঠিন। আমরা বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছি, আমরা প্রধান শরিককে সম্মান জানাই, আমরা প্রধান শরিকের প্রতি আহ্বান রাখছি, যে প্রধান শরিক যতদিন একটা বাস্তবসম্মত চূড়ান্ত ফয়সালা না দিচ্ছেন, ততদিন আমরা অস্থির হব না।

প্রশ্ন: তাহলে কি বলা যায়, আপনারা বিএনপির বাইরে কোনো অবস্থান তৈরি করতে পারেননি?

জেনারেল ইবরাহিম: তৈরি করতে পেরেছি কি পারি নাই, এটা নিজেরা বলা সমীচীন মোটেই না। এটা পর্যবেক্ষকরা বলবেন।

প্রশ্ন: ইদানীং আপনাকে জোটের বাইরেও অনেক রাজনৈতিক অনুষ্ঠানে দেখা যায়। নতুন কোনো রাজনৈতিক সমীকরণ কি হচ্ছে?

জেনারেল ইবরাহিম: রাজনীতিতে অনেক রকমের পথ নিয়ে মানুষ চলে এবং একটা পর্যায়ে গিয়ে একটা পথ বেছে নেয়। জোটের বাইরেও তো অনেক রাজনৈতিক দল সক্রিয় আছে। যিনি কাজ করতে চান, তিনি তো কাজের জন্যই ছুটবেন। আমি ও আমার দল কাজ করতে চাই। আমি কাজ চাই, তরুণদের নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।

প্রশ্ন: এক-এগারোর প্রেক্ষাপটে যে কিংস পার্টি হয়েছিল, সেখানে আপনার দল ছিল। এ বিষয়ে কী বললেন?

জেনারেল ইবরাহিম: আপনার রাজনৈতিক জ্ঞান অতি সীমিত, দুর্বল। কিংস পার্টি তাকেই বলে যাহা কিং বানায়। প্রতীকী অর্থে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় যারা রাজনৈতিক দল তৈরি করে। ১/১১ এসেছিল ২০০৭ সালের জানুয়ারি মাসের ১১ তারিখ। কিংস পার্টির সঙ্গে আমার কোনো যোগাযোগ ছিল না। তবে কল্যাণ পার্টির জন্ম ২০০৭ সালের ডিসেম্বরের ৭ তারিখ। এর সঙ্গে তৎকালীন সরকারি কর্তৃপক্ষ ও গোয়েন্দাদের ন্যূনতম সম্পর্কও নেই। কিন্তু সৌভাগ্য বলেন, আর দুর্ভাগ্য বলেন, ১/১১ নামক যন্ত্রণার যে জন্ম হয়েছিল, সে সময় সেনাবাহিনী ক্ষমতায় ছিল। আর আমি একজন সাবেক সৈনিক। অনেকে দুই আর দুই মিলাইয়া চার করে, জোর করে হোক আর যেভাবেই হোক। আমি অতি বিনয়ের সঙ্গে বলছি, আমাদের সঙ্গে সেই কর্তৃপক্ষের কোনো সম্পর্ক নাই।

প্রশ্ন: গত জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আপনাদের বিস্তর অভিযোগ। কিন্তু এমনটা কী করে হলো? আপনাদের ভোটের আগে ক্যাম্পিংয়ে দেখা গেল না, পোস্টারিংও তেমন ছিল না। আপনারা ভোটের পরও কোনো কর্মসূচি দিলেন না। সবই কি সরকারের দোষ?

জেনারেল ইবরাহিম: আমি জোটের কোনো কিছুরই উত্তরও দিতে পারব না। কারণ জোট এ বিষয় নিয়ে সমন্বিত কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। বরং নির্বাচনের আগে সরকারের বিরোধী শিবিরে অসমন্বয়টা ছিল প্রকট। সেই ফাঁকে সরকার তার কাজ করে নিয়েছে। আমি বলব, আমরা যারা সরকারের বিরোধী শিবিরে ছিলাম, সম্মিলিতভাবে সচেতন হতে পারিনি। নিজেদের সমন্বয় পাকাপোক্ত করতে পারিনি। যার কারণে সরকার তাদের অভিপ্রায় পূরণ করেছে। আমাদের ফাঁকি দিয়ে। ভোটের পরও আমরা সমন্বিত কোনো পদক্ষেপ নিতে পারিনি। এর কারণ নির্বাচনের আগে একটা হেলুসিনেশনে ভুগছিল সবাই।

প্রশ্ন: আন্দোলন হচ্ছে না কেন? আপনারা বলছেন, সরকার বাধা দিচ্ছে। সব সরকারই তো বাধা দেয়, তারপরও তো আন্দোলন হয়।

জেনারেল ইবরাহিম: আন্দোলন করতে হবে। বাস্তবতার নিরিখে যদি বিবেচনা করি, বিগত কয়েকটা মেজর আন্দোলন অসফল হয়েছে। আর একবার যে আন্দোলনের ডাক দেবেন, কে কার জন্য প্রাণটা হাতে নিয়ে নামবে? আমরা চাই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন হোক। আমি একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে দলে বা জোটের পক্ষের কর্মীদের কীভাবে আশ্বস্ত করব যে, আপনার প্রাণ নিরাপদ, বাড়িঘর নিরাপদ কিংবা আপনার নামে মামলা হবে না?

বলা খুব সহজ আন্দোলন করব, আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নিন। কিন্তু তার আনুষঙ্গিক বিষয়গুলো যদি আমরা অ্যাড্রেস না করি, তাহলে তো আন্দোলন গড়ে উঠবে না। লাখ লাখ বিএনপি-জামায়াত ২০-দলীয় জোটের কর্মী মামলার ভারে ভারাক্রান্ত। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র আন্দোলন করা যাচ্ছে না। সেখানে রাজপথে আন্দোলন করা মারাত্মক চ্যালেঞ্জের একটা কাজ। এটা ৩০ বছর আগেও ছিল না।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The image of Daksu Jaksu Chaksu will be seen by the nation in the future Jamaat Amir

ডাকসু-জাকসু-চাকসুর প্রতিচ্ছবি আগামীতেও জাতি দেখবে: জামায়াত আমির

ডাকসু-জাকসু-চাকসুর প্রতিচ্ছবি আগামীতেও জাতি দেখবে: জামায়াত আমির জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

যুব ও নারী সমাজ ইসলামকে দারুণভাবে ধারণ করছে উল্লেখ করে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, ঢাকসু, জাকসু ও চাকসুতে যুব সমাজ ছাত্রশিবিরের ওপর আস্থা রেখেছে। সব জায়গায় একই চিত্র। মেয়েদের ও তরুণদের আস্থা ছাত্রশিবিরের ওপর। আজ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে হচ্ছে। এর প্রতিচ্ছবি জাতি আগামীতে দেখবে ইনশাআল্লাহ।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত ঢাকা-১৫ নির্বাচনী আসনের এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি ইসলামের ইতিহাসে নারীদের ভূমিকা ও অবদানের কথা তুলে ধরেন বক্তব্যজুড়ে।

জামায়াত আমির বলেন, ‘আমরা অভিভূত হয়ে লক্ষ্য করছি, দুটো সমাজ ইসলামকে দারুণভাবে ধারণ করছে—একটি আমাদের যুবসমাজ, আরেকটি আমাদের মায়েদের সমাজ। আজ পর্যন্ত তিনটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্বাচন হয়ে গেছে। সব জায়গায় একই চিত্র—মেয়েদের আস্থা ছাত্রশিবিরের ওপর; তরুণদের আস্থা ছাত্রশিবিরের ওপর। এরই প্রতিচ্ছবি আগামীতে বাংলাদেশ দেখবে।’

জামায়াতের আমির বলেন, ‘৯১ শতাংশ মুসলমানের দেশে আমাদের মায়েদের সম্মান ঘরে-বাইরে কোথাও নেই। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আল্লাহর কোরআন এবং রাসূলের জীবনী থেকে সেই শিক্ষা নিয়েছে যে আমাদের মায়ের জাতিকে মায়ের মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করতে হবে। এই রাষ্ট্রে বাস্তব প্রয়োজনে এবং যোগ্যতা অনুযায়ী পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও রাষ্ট্র গঠনে অবদান রাখবেন।’

শফিকুর রহমান বলেন, ‘ইমান, ধর্মবিশ্বাস—এসবের হিসাব নেওয়ার দায়িত্ব আমাদের নয়। আমরা এই রাষ্ট্রের মানুষকে সম্মান করব। তারা এ দেশের নাগরিক। আমরা দেখব না সে কোন ধর্মের, কোন দলের, তার গায়ের রং কী, মুখের ভাষা কী, সে পাহাড়ে থাকে নাকি সমতলে থাকে। সে আমার ভাই, সে আমার বোন, সে এই দেশের নাগরিক—সেই হিসেবে আমরা তাদেরকে পরিচালনা করব।’

শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘আমাদের অনেকগুলো প্রাধান্য আছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক আছে। এ দেশের অর্থনীতি ভাঙাচোরা, উল্টে পড়া, ধসে যাওয়া। দুর্নীতিগ্রস্ত লোকদের হাত থেকে দেশকে উদ্ধার করে প্রকৃত সেবকদের হাতে তুলে দিতে হবে। সেই লোকটা আমাদের দলের হতে পারে, না-ও হতে পারে। সেই লোকটা মুসলমান হতে পারে, অন্য ধর্মেরও হতে পারে। যে এই দায়িত্বের জন্য উপযুক্ত, তার হাতে এই দায়িত্বের চাবি তুলে দেওয়া হবে। এমন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ আমরা গড়ে তুলতে চাই।’

জামায়াতের আমির বলেন, আমরা এমন একটি সমাজ চাইছি, যেখানে শাসকেরা জনগণের কাছে তাদের ত্রুটি ও ঘাটতির জন্য মাফ চাইবে। তারা কারও কাছ থেকে প্রশংসা চাইবে না, বাহবা চাইবে না, কোনো স্লোগান চাইবে না, যেমন “অমুক ভাই, তমুক ভাই জিন্দাবাদ”—এটা চাইবে না। তাদের অন্তর ভয়ে কাঁপবে, জনগণের এই বোঝা “আমার কাঁধে যেটা দেওয়া হয়েছে, আমি তা বহন করতে পারছি কি না”—এই ভেবে।

তিনি বলেন, যে সমাজে যুব সমাজ সিদ্ধান্ত নেয় এবং নারীরা এগিয়ে আসে, সেই সমাজ ও জাতি কখনো পরিবর্তন না হয়ে পারে না।

তিনি জামায়াতে ইসলামীর অঙ্গীকার তুলে ধরে বলেন, আমাদের প্রথম অঙ্গীকার, একটি সুন্দর ও সুশৃঙ্খল শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলবো। শিক্ষা ভালো না হলে জাতি কখনো ভালো হতে পারে না। শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড।

দ্বিতীয়ত, সমাজের প্রত্যেকটি স্তরে দুর্নীতি বাসা গেঁড়ে বসে আছে। এই দুর্নীতি থাকবে না। এজন্য যত ত্যাগ স্বীকার করতে হয়, করবো ইনশাআল্লাহ। লড়াই করবো, হিমালয়ের মতো পর্বত সমান বাধা আসলেও দুর্নীতির অস্তিত্ব যেন আসমান থেকে মাটিতে নামিয়ে আনতে পারি।

তৃতীয়ত, প্রত্যেকটি মানুষ যেন তার প্রাপ্ত হক বা ন্যায়বিচার পান, সেই ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। এজন্য যেন আবাল-বৃদ্ধ, বনিতা, নারী ও শিশু কাউকে চেষ্টা করতে না হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
There is no option but to have national elections and referendum together Ruhul Kabir Rizvi

জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে হওয়া ছাড়া উপায় নেই: রুহুল কবির রিজভী

জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে হওয়া ছাড়া উপায় নেই: রুহুল কবির রিজভী

জাতীয় নির্বাচন এবং গণভোট একসঙ্গে করার বিষয়ে আবারও জোরালো মত দিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
গতকাল বুধবার নয়াপল্টনে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একসঙ্গে করা ছাড়া কোনো উপায় নেই। কারণ গণভোট আগে হলে জাতীয় নির্বাচনে বিলম্ব হবে। আর জনগণের নির্বাচিত সরকার দ্রুত না এলে সংকট আরো ঘনীভূত হবে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই সিনিয়র নেতা।
তিনি বলেন, আমি মনে করি যে যারা গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন, তারা সবাই এমন এক জায়গায় উপনীত হবেন যাতে আমাদের পরবর্তী গণতন্ত্রের অভিযাত্রার পথে আমাদের যেন বিঘ্ন না ঘটে। তা না হলে কালো ঘোড়া প্রবেশ করতে পারে, কালো ঘোড়া ঢুকে যেতে পারে।
রিজভী বলেন, উন্নত দেশ দীর্ঘদিনের গণতন্ত্র চর্চার দেশেও এখন কথা উঠেছে, এই পদ্ধতিতে (পিআর) জনমতের ট্রু রিফ্লেকশন হয় না। এ নিয়ে সেইসব দেশে আলাপ-আলোচনা, বির্তক চলছে। আপনি জানেন যে, জাপান গণতন্ত্রের দিক থেকে অতি উন্নত একটি দেশ এবং সেখানেও ৩৭ শতাংশ পিআর পদ্ধতি চালু আছে। যেখানে সারাবিশ্বেই পিআর পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে, কোথাও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়িত হয়নি, সেখানে হঠাৎ করে আমাদের এখানে কেনো চালু করতে চাইবেন?
তিনি বলেন, আমরা মনে করি, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে আপনি হঠাৎ করে পিআরের কথা বলেন, এতে জনমনে বিভ্রান্ত তৈরি করবে। আমি এ পর্যন্ত যত জরিপ দেখেছি, বিশেষ করে গণমাধ্যমে- সেখানে অধিকাংশ মানুষের আনুপাতিক হারে ভোট পদ্ধতি সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই। অনেকেই কনফিউজড অবস্থায় আছেন।
বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, বিশ্বের অধিকাংশ গণতান্ত্রিক দেশ যেগুলো অতি উন্নত গণতান্ত্রিক দেশ যেমন ব্রিটেন, আমেরিকা যদি আমরা বলি বা আরও অন্য দেশে প্রতিনিধি নির্বাচনের যে পদ্ধতিটা চালু আছে- সরাসরি প্রার্থীকে ভোট দেওয়া। আমাদের এখানে কী এমন ঘটনা ঘটলো যে পিআর উৎকৃষ্ট গণতন্ত্রের মডেল? এটা আমার মনে হয়, অবান্তর কথা তারা (জামায়াতে ইসলামী) বলছেন। এটা বলে একটা বিভ্রান্তি তৈরি করছেন অথবা তাদের অন্য কোনো মাস্টার প্ল্যান আছে কি না আমি জানি না।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
NCP will not sign July charter without legal basis

আইনি ভিত্তি ছাড়া জুলাই সনদে সই করবে না এনসিপি

আইনি ভিত্তি ছাড়া জুলাই সনদে সই করবে না এনসিপি

আইনি ভিত্তি ছাড়া জুলাই সনদে সই করবে না বলে জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটরে দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আইনি ভিত্তি ছাড়া কোনো নাটকীয়তায় অংশ নেবে না এনসিপি।’

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান কোনো ক্ষমতা পরিবর্তনের জন্য হয়নি। বরং একটি ফ্যাসিবাদী কাঠামো সংস্কারের জন্য হয়েছিল। সেই সূত্র ধরেই আমরা একটি নতুন বাংলাদেশের কথা বলেছিলাম।’

এনসিপি আহ্বায়ক বলেন, ‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ সনদ স্বাক্ষরের আগেই প্রকাশ করতে হবে। জনগণের সার্বভৌম অভিপ্রায়কে প্রাধান্য দিয়ে এ আদেশ প্রধান উপদেষ্টা জারি করবেন।’

তিনি বলেন, ‘স্বাক্ষরের আগেই সনদ বাস্তবায়ন আদেশের খসড়ায় দলগুলোর ঐক্যমত হতে হবে। এর ওপর ভিত্তি করেই আমরা জুলাই সনদে স্বাক্ষরের বিষয়টা বিবেচনা করব। আদেশের টেক্সটের খসড়া আমরা আগে দেখতে চাই। প্রধান উপদেষ্টা যেহেতু জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শক্তিতে সরকার গঠন করেছেন, সেই জায়গা থেকে সেটা প্রেসিডেন্ট নয় বরং সরকার প্রধান হিসেবে তিনি সেটি জারি করবেন।’

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘গণভোট দ্বারা জনগণ সনদের পক্ষে ভোট দিলে পরের সংসদকে কনস্টিটিউট পাওয়ার দেওয়া হবে। সনদ অনুযায়ী সংবিধান সংস্কার করতে এই দাবির সঙ্গে মোটামুটি সবাই একমত। এটার সংশোধনী হবে কিনা আমাদের কাছে কিন্তু তা এখনও স্পষ্ট হয়নি।’ তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদে ৮৪টি সংস্কারের বিষয়ে গণভোট হবে। এতে নোট অব ডিসেন্টের আলাদা কোনো কার্যকারিতা থাকবে না। গণভোটের প্রশ্ন কি হবে তা আগেই চূড়ান্ত করতে হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব ও আহ্বায়ক জাবেদ রাসিনসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BNP Liberation War Party Freedom Fighters

বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের দল, মুক্তিযোদ্ধাদের দল

কোটালীপাড়ায় এস এম জিলানী
বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের দল, মুক্তিযোদ্ধাদের দল

স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এসএম জিলানী বলেছেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের দল, মুক্তিযোদ্ধাদের দল। আমরা এই আদর্শকে ধারণ করি, লালন করি। মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ রাতে পাক হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালীদের ওপর ঝাপিয়ে পড়েছিল, গণহত্যা চালিয়েছিল তখন একজন দেশপ্রেমিক সেনা অফিসার শহীদ জিয়াউর রহমান পাকিস্তানীদের এই নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তিনি বলেছিলেন, ‘আমি বিদ্রোহ ঘোষণা করলাম পাকিস্তান সরকারের সাথে। আমি বিদ্রোহ ঘোষণা করলাম পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সাথে। বাংলাদেশ যদি স্বাধীন না হতো তাহলে কোর্ট মার্শালে জিয়াউর রহমানের ফাঁসি হতো এই বিদ্রোহ ঘোষণার কারণে। নিশ্চিত ফাঁসি জেনেও তিনি দেশ মাতৃকার জন্য বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার কাজি মন্টু কলেজ মাঠে আয়োজিত ‘সম্প্রীতি সমাবেশ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

স্বাধীনতার ঘোষণা নিয়ে এসএম জিলানী বলেন, ইতিহাস থেকে জেনেছি, যখন কোনো দেশে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয় তখন সেই দেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক দলের নেতা সে দেশের মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে থাকেন। স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে থাকেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য ছিল বাংলাদেশের মানুষের। কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা সেদিন স্বাধীনতার ঘোষণা দেন নাই। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ সেদিন দিকবেদিক নেতৃত্ব শূণ্যতায় ছিল। জিয়াউর রহমান অপেক্ষায় ছিলেন হয়তো স্বাধীনতার ঘোষণা কেউ দিবে। কিন্তু কোন রাজনৈতিক দলের নেতা যখন স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন না। জিয়াউর রহমান উপলব্ধি করলেন যদি স্বাধীনতার ঘোষণা না দেই তাহলে বাংলাদেশর মানুষ ঐক্যবদ্ধ হবে না। আর যদি বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ না হয় তাহলে স্বাধীনতা যুদ্ধে আমরা বিজয়ী হতে পারব না।

সমাবেশে কোটালীপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস এম মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গোপালগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কাজী আবুল খায়ের। অন্যদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন কোটালীপাড়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বশার হাওলাদার, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অলিউর রহমান হাওলাদার, মুক্তিযোদ্ধা মোদাচ্ছের ঠাকুরসহ জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নের সিনিয়র নেতারা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Chaksu and Hall have ended voting in the parliamentary elections

চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে

চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে।

বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এখন চলছে ভোট গণনার প্রস্তুতি। এ নির্বাচনে ভোট হয়েছে ব্যালট পেপারে। গণনা হচ্ছে ওএমআর (অপটিক্যাল মার্ক রিডার) পদ্ধতিতে। ভোট গণনা সরাসরি দেখানো হবে এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে। এজন্য রয়েছে ১৪টি এলইডি স্ক্রিন।

চাকসু নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. মনির উদ্দিন বলেন, চাকসু নির্বাচনে হাতে লাগানো অমোচনীয় কালি উঠে যাওয়াসহ বিচ্ছিন্ন কিছু অভিযোগ ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ হয়েছে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে।


উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, খুবই শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে চাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আগ্রহ-উদ্দীপনা দেখে সত্যি ভালো লাগছে। আমাদের পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সিভিল প্রশাসনের লোকবল রয়েছে। ক্যাম্পাসকে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা হয়েছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
If voting will be easier to go to heaven campaigning Rizvi

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা: রিজভী

ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা প্রতারণা: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘ভোট দিলে বেহেশতে যাওয়া সহজ হবে, এমন প্রচারণা মানুষের সঙ্গে প্রতারণা।’
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী ওলামা দল আয়োজিত কোরআন অবমাননা ও বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে আয়োজিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, জামায়াত ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা চালাচ্ছে। তারা কিছু ছেলেপেলেকে দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যাচার, কটূক্তি ও করুচিপূর্ণ কথা ছড়ানোর বাহিনী গড়ে তুলেছে। এরা মিথ্যাকে সাজিয়ে গুছিয়ে প্রচার করছে প্রতিনিয়ত।
তিনি আরও বলেন, ‘জামায়াত আওয়ামী লীগের লেজ ধরে চলতে ভালোবাসে, এখনো কেন যেন আওয়ামী লীগের ভোট নেওয়ার জন্য কায়দা কানুন করছে। শুধুমাত্র ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ইসলামের মৌলিক নীতির বাইরে কথা বলছে তারা।’
সাধারণ মানুষ পিআর সম্পর্কে জানে না জানিয়ে রিজভী বলেন, ‘যারা নভেম্বরে গণভোটের কথা বলছেন তাদের কোনো মাস্টারপ্ল্যান আছে, তারা শর্ত দিয়ে বিভ্রান্ত করে জাতীয় নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে চাচ্ছে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Some advisers have a record of conspiracy to us Taher

কিছু উপদেষ্টা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, আমাদের কাছে রেকর্ড আছে: তাহের

কিছু উপদেষ্টা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, আমাদের কাছে রেকর্ড আছে: তাহের জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের

অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টার বিরুদ্ধে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের হয়ে ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর মৎস্য ভবনের সামনে জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা আয়োজিত মানববন্ধনে এ অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে হলে প্রশাসন ও উপদেষ্টা পর্যায়ে দলীয় প্রভাবমুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, কিছু উপদেষ্টা একটি দলের হয়ে কাজ করছেন। কারা কারা ষড়যন্ত্রে জড়িত, তাদের তালিকা ও রেকর্ড আমাদের কাছে রয়েছে।
তিনি আরো দাবি করেন, বর্তমানে ডিসি, এসপি ও ইউএনও নিয়োগে পক্ষপাতিত্ব করা হচ্ছে। একটি গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে এই নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এসব নিয়ন্ত্রণ করছে সরকারের কিছু উপদেষ্টা, যারা নিজেরা নিরপেক্ষ থাকার কথা বললেও, মূলত একটি দলের হয়ে ভূমিকা রাখছেন।
তাহের বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এই ষড়যন্ত্র থামাতে হবে। প্রশাসনের ভেতর দলীয় প্রভাব ও গোপন মদদ থাকলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে। যারা নির্বাচনের নামে নাটক করতে চায়, জনগণ তা মেনে নেবে না।
জামায়াতের পক্ষ থেকে আবারও গণভোটের দাবি তুলে তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে একটি গণভোট আয়োজন করতে হবে। এতে জনগণের ইচ্ছা ও বাস্তবতা পরিস্কার হবে। স্বচ্ছতা থাকলে ২১ দিনেই গণভোট সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, একটি দল মুখে গণতন্ত্র ও সংস্কারের কথা বললেও ঐক্যমতের ক্ষেত্রে তারা অনুপস্থিত। জুলাই সনদের বাস্তবায়নের জন্য আমরা রাজপথে থাকব। প্রয়োজন হলে আরও বড় কর্মসূচিতে যাব।
জামায়াতের রাজনীতি নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণার জবাবে তাহের বলেন, জামায়াত দখলবাজি করে না, চাঁদাবাজি করে না। আমরা জনগণের জন্য রাজনীতি করি। ক্ষমতায় গেলে কৃষকের ঋণ মামলাগুলো প্রত্যাহার করব। আমরা সুষ্ঠু ও ন্যায়ভিত্তিক বিচার চাই, যেন-তেন বিচার নয়।
তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, গণমানুষের দাবি মেনে নিতে হবে। গণভোট দিতে হবে। পিআর পদ্ধতি মানতে হবে। আর যারা খুন-গুমে জড়িত, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।

মন্তব্য

p
উপরে