ই-কমার্সভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পণ্য দিতে পারেনি ঠিকই, তবে গ্রাহকের দায়-দেনা অস্বীকার করেনি। করোনা মহামারিতে বিশ্বব্যাপী ব্যবসা-বাণিজ্যের খারাপ অবস্থার কারণে এমনটি হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের পক্ষে শুনানিতে এসব কথা বলেন তার আইনজীবী মনিরুজ্জামান আসাদ।
শুনানিতে তিনি বলেন, ‘প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইভ্যালি ৭০ লাখ গ্রাহককে পণ্য ডেলিভারি দিয়েছে। জুলাই মাস থেকে এ পর্যন্ত তিন লাখ গ্রাহকের অর্ডার বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। আগস্ট মাসেই আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে ছয় মাস সময় চেয়েছি।
‘যে গ্রাহক মামলা করেছেন তার পণ্য নির্ধারিত ৪৫ দিনের মধ্যে দেয়া হয়নি এটা ঠিক। তবে পণ্য ইভ্যালি দেবে না সেটি কখনও বলেনি। তাই এখানে প্রতারণা বা বিশ্বাস ভঙ্গের মতো ঘটনা ঘটেনি।’
আইনজীবী মনিরুজ্জামান বলেন, ‘সর্বোচ্চ চুক্তি প্রতিপালন না করায় চুক্তি আইনে দেওয়ানি মামলা হতে পারে। ফৌজদারি মামলার কোনো উপাদান এখানে নেই। তাই কোনোভাবেই এই ধারায় মামলাটি লাই করে না (আইনসিদ্ধ বা উপযুক্ত নয়) ।
তিনি বলেন, ‘ইভ্যালি গ্রাহকের কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে সেটি পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে দেয়। ওই পণ্য পেলে গ্রাহককে ডেলিভারি দেয়া হয়। করোনা পরিস্থিতিতে সারা বিশ্বেই ব্যবসা-বাণিজ্যে মন্দা চলছে। এ কারণে পণ্য ডেলিভারিতে একটু সমস্যা হয়েছে। ছয় মাস সময় পেলে আমরা গ্রাহকের দাবি মেটাতে পারতাম। তাই আমরা রিমান্ড বাতিল করে জামিন চাইছি।’
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকার মহানগর দায়রা আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু বলেন, ‘একজন গ্রাহক মামলা করেছেন। এমন লাখ লাখ গ্রাহক একইভাবে প্রতারণার শিকার হয়েছেন। গ্রাহকের শত শত কোটি টাকা তারা আত্মসাৎ করেছেন। এই কাজে রাসেলের সঙ্গে আর কারা জড়িত সেই তথ্য উদঘাটন হওয়া দরকার। তাই তদন্ত কর্মকর্তার প্রার্থিত ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করা হোক।’
শুনানি শেষে বিচারক এই দম্পতিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছেন।
শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে রাসেল দম্পতিকে আদালতে আনা হয়। এ সময় মামলাটির সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ১০ দিনের হেফাজতে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পুলিশের উপপরিদর্শক মো. ওহিদুল ইসলাম।
আসামিদের পক্ষে ব্যারিস্টার মনিরুজ্জামান আসাদ ও জে আর খান রবিন রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষে বিচারক তিনদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশান থানায় আরিফ বাকের নামে এক ভুক্তভোগী প্রতারণা ও অর্থ-আত্মসাতের অভিযোগ এনে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির সিইও মো. রাসেল এবং তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলায় বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণা ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ আনা হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আরিফ বাকের ২৯ মে থেকে জুন মাস পর্যন্ত মোটরসাইকেলসহ বেশ কয়েকটি পণ্য অর্ডার করেন। এগুলো ৭ থেকে ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে দেয়ার কথা থাকলেও তারা দেয়নি। কাস্টমার কেয়ারে ফোন দিয়েও সমাধান পাওয়া যায়নি।
অফিসে গিয়ে তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বললে তারা খারাপ ব্যবহার করেছে। সিইও রাসেলের সঙ্গেও দেখা করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন তিনি। তার সঙ্গে ইভ্যালি চরম দুর্ব্যবহার করেছে বলেও অভিযোগে বলা হয়।
মামলার পর বৃহস্পতিবার বিকেলে মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডের বাসা থেকে রাসেল ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
আরও পড়ুন:ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধির অনন্য উদাহরণ গড়ে ২০২৪ সালে ১৬৭ কোটি ৩০ লাখ টাকার একক (স্ট্যান্ড্যালোন) কর পরবর্তী নিট মুনাফা অর্জন করেছে আইডিএলসি ফাইন্যান্স, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫৩% বৃদ্ধি পেয়েছে। একত্রিত (কনসোলিডেটেড) কর পরবর্তী নিট মুনাফার পরিমাণ পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩২.৩২% বৃদ্ধি পেয়ে ২০০ কোটি ২৮ লাখ টাকায় দাঁড়িয়েছে। শেয়ার প্রতি আয়ও ৩.৬৪ টাকা থেকে বেড়ে ৪.৮২ টাকা হয়েছে। গ্রাহকের আমানত বৃদ্ধি পেয়ে মোট ৮ হাজার ৩৯১ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে, পাশাপাশি গ্রুপটি সাফল্যের সাথে ১১ হাজার ৩৯৭ কোটি টাকার লোন পোর্টফোলিও ধরে রেখেছে।
ব্যবসায়ের লাভজনকতা ও শেয়ারহোল্ডার মূলধনের যথাযথ উপযোগীতা নিশ্চিতের মাধ্যমে আইডিএলসি’র রিটার্ন অন এক্যুইটি (আরওই) বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০.৩৩% এ; অন্যদিকে রিটার্ন অন অ্যাসেটস (আরওএ) বেড়ে ১.৩৫% হয়েছে, যা প্রতিষ্ঠানের মূল সম্পদের কার্যকরী ও লাভজনক ব্যবহারের প্রমাণ।
উল্লেখিত বছরে ১০৬.১১% মন্দ ঋণের কভারেজ অনুপাত সহ আইডিএলসি’র মন্দ ঋণের (এনপিএল) অনুপাত ছিল ৪.৪৫%, যা প্রতিষ্ঠানটির আগের বছরের অনুপাতের তুলনায় কম এবং আর্থিক খাতের গড়ের তুলনায়ও উল্লেখযোগ্যভাবে কম। এটি আইডিএলসি’র দক্ষ ঋণ ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার পরিচয় দেয় এবং দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক প্রস্তুতি বজায় রাখার ক্ষেত্রে আইডিএলসি’র দৃঢ় প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে।
আইডিএলসি-এর পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান - আইডিএলসি সিকিউরিটিজ লিমিটেড, আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড, এবং আইডিএলসি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড - ২০২৪ সালেও নিজেদের সাফল্যের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে, যা আইডিএলসি গ্রুপের সাফল্যে অবদান রেখেছে।
আজ ১৭ এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে রাজধানীর গুলশানে আইডিএলসি কর্পোরেট হেড অফিসে আয়োজিত প্রতিষ্ঠানটির ৩৫১ তম পরিচালনা পর্ষদ সভায় ২০২৪ সালের আর্থিক প্রতিবেদন অনুমোদিত হয়। বিস্তারিত আর্থিক তথ্য প্রকাশের পাশাপাশি সভায় আইডিএলসি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য বছর শেষে মোট ২০% লভ্যাংশ প্রস্তাব করা হয়, যার ১৫% নগদ লভ্যাংশ ও ৫% স্টক (বোনাস) লভ্যাংশ। মূলধন ভিত্তি আরো শক্তিশালী করে তুলতে স্টক লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে আইডিএলসি।
প্রতিষ্ঠানের অনন্য প্রবৃদ্ধিতে সন্তুষ্ট আইডিএলসি পরিচালনা পর্ষদের মতে, বছর জুড়ে নানা অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও কৌশলী পদক্ষেপের মাধ্যমে ব্যবসায়ের গতিপথ সঠিক রাখে আইডিএলসি। ২০২৪ সালের এই সাফল্য আইডিএলসি’র সুশাসন, গ্রাহকদের অটুট আস্থা, এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার প্রতিফলন, যা গত চার দশক ধরে প্রতিষ্ঠানটিকে দক্ষতার সাথে সামনে এগিয়ে নিচ্ছে। আগামীতে আইডিএলসি অতীতের তুলনায় আরও বেশি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকার মাধ্যমে একটি টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক, ও ভবিষ্যতমুখী আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠতে চায়।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
ঈদের পরও রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ে ঊর্ধ্বমুখী ধারা অব্যাহত রয়েছে। ৩১ মার্চ ঈদুল ফিতর উদ্যাপিত হয়েছে। এরপর চলতি এপ্রিল মাসের ১২ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১০৫ কোটি (১.০৫ বিলিয়ন) ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
এর মধ্যে ১ থেকে ৫ এপ্রিল ৫ দিনে এসেছে ১১ কোটি ৯২ লাখ ডলার; প্রতিদিনের গড় হিসাবে এসেছে ২ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। এই পাঁচ দিন ছিল সরকারি ছুটি। ঈদের পর ব্যাংক-বিমা, অফিস-আদালত শুরু হয় ৬ এপ্রিল থেকে। সে হিসাবে বলা যায়, এপ্রিল মাস শুরু হয়েছে আসলে ৬ এপ্রিল থেকেই।
বাংলাদেশ ব্যাংক মঙ্গলবার ১২ এপ্রিল পর্যন্ত রেমিট্যান্সের তথ্য প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যায়, ৬ থেকে ১২ এপ্রিল- এই সাত দিনেই (এক সপ্তাহ) ৯৩ কোটি ৩২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। প্রতিদিনের গড় হিসাবে এসেছে ১৩ কোটি ৩৩ লাখ ডলার। টাকার হিসাবে যা ১ হাজার ৬৪০ কোটি টাকা।
মাসের বাকি ১৮ দিনে (১৩ থেকে ৩০ এপ্রিল) এ হারে এলে মাস শেষে মোট রেমিট্যান্সের অঙ্ক গিয়ে দাঁড়াবে ৩৪৫ কোটি ২০ লাখ (৩.৪৫ বিলিয়ন) ডলার, যা হবে নতুন রেকর্ড।
গত মার্চ মাসে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে ব্যাংকিং চ্যানেলে ৩২৯ কোটি (৩.২৯ বিলিয়ন) ডলার দেশে এসেছে, যা ছিল গত বছরের মার্চ মাসের চেয়ে ৬৫ শতাংশ বেশি। প্রতিদিনের গড় হিসাবে এসেছে ১০ কোটি ৬১ আট লাখ ডলার।
অর্থনীতির প্রধান সূচকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থায় রয়েছে রেমিট্যান্স। প্রতিবারই দুই ঈদকে উপলক্ষ করে প্রবাসীরা দেশে বেশি রেমিট্যান্স পাঠান। তারপর কমে যায়; কিন্তু এবার তার ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে। ঈদের পরও সেই আগের গতিতেই বাড়ছে অর্থনীতির এই সূচক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম ১২ দিনে মোট ১০৫ কোটি ২৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার (১.০৫ বিলিয়ন) পাঠিয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানকারী প্রবাসীরা।
প্রবাসী আয় বা রেমিটেন্সে প্রতি ডলারে ১২৩ টাকা টাকা দিচ্ছে এখন ব্যাংকগুলো। সে হিসাবে টাকার অঙ্কে এই ১২ দিনে প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। প্রতিদিনের গড় হিসাবে এসেছে ১ হাজার ৮০ কোটি টাকা।
সব মিলিয়ে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের নয় মাস ১২ দিনে (২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৫ সালের ১২ এপ্রিল) ২ হাজার ২৮৩ কোটি ৬৭ লাখ ৫০ হাজার (২২.৮৪ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
আগামী জুন মাসে কোরবানির ঈদ উদদযাপিত হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা আশা করছেন, ওই ঈদ ঘিরেও বেশি রেমিট্যান্স পাঠাবেন প্রবাসীরা। সব মিলিয়ে চলতি অর্থ বছরে মোট রেমিট্যান্সের অঙ্ক ২৮ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে; যা হবে আরেকটি রেকর্ড।
২০২৩-২৪ অর্থ বছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে এসেছিল ২২ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার। ২০২১-২২ অর্থ বছরে এসেছিল ২১ দশমিক শূন্য তিন বিলিয়ন ডলার। ২০২০-২১ অর্থ বছরে আসে ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার, যা ছিল অর্থ বছরের হিসাবে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স।
২০১৯-২০ অর্থ বছরে এসেছিল ১৮ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছর শুরু মাস জুলাইয়ে রেমিট্যান্সপ্রবাহ কিছুটা কমেছিল; এসেছিল ১৯১ কোটি ৩৭ কোটি (১.৯১ বিলিয়ন) ডলার। তার আগের তিন মাস অবশ্য ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি এসেছিল।
তবে তারপর থেকে প্রতি মাসেই ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স দেশে এসেছে; মার্চে এসেছি তিন বিলিয়ন ডলারের বেশি। অর্থাৎ চলতি অর্থ বছরের নয় মাসের (জুলাই-মার্চ) আট মাসেই (আগস্ট-মার্চ) ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনই এমনটি দেখা যায়নি।
২০২৫ সালের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ২১৮ কোটি ৫২ লাখ (২.১৮ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। প্রতিদিনের গড় হিসাবে এসেছিল ৭ কোটি ৪ লাখ ডলার; টাকার অঙ্কে ছিল ৮৬০ কোটি টাকা।
গত বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ব্যাংকিং চ্যানেলে ২৬৪ কোটি (২.৬৪ বিলিয়ন) ডলার দেশে এসেছিল। টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ ৩২ হাজার ২০৮ কোটি টাকা। প্রতিদিনের গড় হিসাবে এসেছিল ৮ কোটি ৫১ লাখ ডলার; টাকায় ছিল এক হাজার ৩৯ কোটি টাকা।
চলতি অর্থ বছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ (১.৯১ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। দ্বিতীয় মাস আগস্টে তারা পাঠান ২২২ কোটি ৪১ লাখ (২.২২ বিলিয়ন) ডলার। তৃতীয় মাস সেপ্টেম্বরে এসেছিল ২৪০ কোটি ৪৮ লাখ (২.৪০ বিলিয়ন) ডলার।
চতুর্থ মাস অক্টোবরে আসে ২৩৯ কোটি ৫১ লাখ (২.৩৯ বিলিয়ন) ডলার। পঞ্চম মাস নভেম্বরে এসেছিল ২১৯ কোটি ৯৫ লাখ (২ বিলিয়ন) ডলার।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা এবং চট্টগ্রামে লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় বেশিরভাগ কোম্পানির দাম বাড়লেও সূচকের দশা দোদুল্যমান।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বুধবার (১৬ এপ্রিল) লেনদেনের শুরুতে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএসের অবস্থান শূন্যের নিচে এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৯৯, কমেছে ১২৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৮০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় সার্বিক সূচক কমেছে ২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১২৫ কোম্পানির মধ্যে ৫৭ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ৫২ কোম্পানি এবং দাম অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির।
সিএসইতে লেনদেনের প্রথমার্ধে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
পুঁজিবাজারে চলতি সপ্তাহ মোটেই ভালো কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সূচকের পতনের পর নববর্ষের ছুটি শেষে দ্বিতীয় কার্যদিবসেও বড় পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রাম—দেশের উভয় পুঁজিবাজার। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৭ পয়েন্ট। মন্দাবস্থা চলছে বাকি দুই সূচকেও। শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস ১০ এবং বাছাইকৃত শেয়ারের ব্লু-চিপ সূচক কমেছে ১৮ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৭টি কোম্পানির মধ্যে সিংহভাগের দরপতন হয়েছে। আজ ৯৮টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২৫৫টি কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত ছিল ৪৪টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসেবে ‘এ’, ‘বি’ ও ‘জেড’—তিন ক্যাটাগরিতেই প্রধান্য পেয়েছে দর কমা কোম্পানির সংখ্যা। বিশেষ করে ‘বি’ ক্যাটাগরির ৮৩টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে মাত্র ১১টির এবং কমেছে ৬৭টির; আর লেনদেন অপরিবর্তিত ছিল ৫টি কোম্পানির।
লেনদেন হওয়া ৩৬টি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে বেশিরভাগেরই দাম ছিল নিম্নমুখী। মাত্র ৭টি কোম্পানির ইউনিটের দাম বৃদ্ধি হয়েছে, কমেছে ২৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৫টির।
ডিএসইর ব্লক মার্কেটে আজ ২৬টি কোম্পানির মোট ৪৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে মারিকো বাংলাদেশ।
ডিএসইতে সূচক কমলেও গতদিনের তুলনায় বেড়েছে লেনদেন। সারা দিনে মোট ৪৪৬ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে, গতদিন যার পরিমাণ ছিল ৪১৪ কোটি টাকা।
৯.৯৪ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ারের তালিকায় আছে রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেড। ১৪২.৯০ টাকায় লেনদেন শুরু হয়ে দিন শেষে কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫৭.১০ টাকা।
অন্যদিকে, ৯.৯৬ শতাংশ দর হারিয়ে আজ একেবারে তলানিতে ঠাঁই হয়েছে খান ব্রাদার্সের। প্রতিটি শেয়ার ১৩৪.৫০ টাকা দরে লেনদেন শুরু হলেও দিন শেষে দাম কমে ১২১.১০ টাকায় ক্রয়-বিক্রয় হয়েছে।
চট্টগ্রামেও বড় পতন
.ঢাকার মতো চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের বড় পতন হয়েছে। সারা দিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ১০০ পয়েন্ট।
লেনদেন অংশ নেওয়া ২১১টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫৪টির, বিপরীতে দাম কমেছে ১৩৫টির এবং ২২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম ছিল অপরিবর্তিত।
সূচকের পাশাপাশি সিএসইতি আজ লেনদেনও কমেছে। গত কার্যদিবসে ১৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হলেও মঙ্গলবার তা কমে ৭ কোটি টাকায় নেমেছে।
এদিন ৯.৯৫ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে আর্থিক মূল্যে শীর্ষ শেয়ার হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড। অপরদিকে ৯.৭৭ শতাংশ দর হারিয়ে তলানিতে নেমেছে দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে লেনদেনের শুরুতেই পতনের মুখে পড়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজার, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) রোববার (১৩ এপ্রিল) লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির শেয়ার ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৮ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১০৬ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ২০৯ কোম্পানি এবং দর অপরিবর্তিত আছে ৭৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকার বাজারে মোট শেয়ার এবং ইউনিটের লেনদেন ছাড়িয়েছে ২০০ কোটি টাকা।
একইভাবে সূচকের পতন হয়েছে চট্টগ্রামের বাজারেও। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক কমেছে ৫ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেয়া ১২৭ কোম্পানির মধ্যে ৩৮ কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে দর হারিয়েছে ৬৭ কোম্পানি এবং অপরিবর্তিত আছে ২২ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে শেয়ার এবং ইউনিটের লেনদেন ৪ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে হতাশা কাটছে না। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি থেকে ৬২ কোটি ৬৩ লাখ ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। গত অর্থ বছরের একই সময়ে আয় হয়েছিল ৬৭ কোটি ৮৪ লাখ ডলার। এই হিসাবে জুলাই-মার্চ সময়ে গত অর্থ বছরের একই সময়ের চেয়ে পাট খাতে রপ্তানি আয় কমেছে ৭ দশমিক ৬৮ শতাংশ।
পাঁচ বছর আগে পাটের সুদিন ফিরে আসার হাতছানি দেখা দিয়েছিল; পাট ও পাটজাত পণ্য থেকে প্রথমবারের মতো রপ্তানি ১ বিলিয়ন (১০০ কোটি) ডলার ছাড়িয়ে ১ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলারে উঠেছিল। স্বাধীনতার পর ১৯৭২-৭৩ সালে দেশের মোট রপ্তানি আয়ে পাটের অবদান ছিল ৯৩ শতাংশ। বাকি ৩ শতাংশ ছিল অন্যান্য পণ্যের।
সেই চিত্র এখন পুরোটাই বিপরীত। ক্রমেই কমে আসে পাটের প্রাধান্য। গত সোমবার প্রকাশিত রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুারোর (ইপিবি) প্রতিবেদন বলছে, গত মার্চ মাস পর্যন্ত অর্থাৎ চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) মোট রপ্তানিতে পাটের অবদান মাত্র ১ দশমিক ৬৫ শতাংশ; গত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের পুরো সময়ে (২০২৩ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৪ সালের ৩০ জুন) ছিল ১ দশমিক ৯২ শতাংশ।
বাংলাদেশের সোনালি আঁশ পাটের ‘সোনালি দিন’ ফিরিয়ে আনার কথা বলা হচ্ছে বছরের পর বছর ধরে। বিভিন্ন সরকারের সময়ে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। কিন্তু কাজের কাজ খুব একটা হয়নি। পাঁচ বছর আগে পাটের সুদিন ফিরে আসার হাতছানি দেখা দিয়েছিল; পাট ও পাটজাত পণ্য থেকে প্রথমবারের মতো রপ্তানি ১ বিলিয়ন (১০০ কোটি) ডলার ছাড়িয়ে ১ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলারে উঠেছিল। মোট রপ্তানিতে পাট খাতের অবদান ৩ শতাংশ ছাড়িয়েছিল।
কিন্তু এর পর ফের হোঁচট; কমতে থাকে রপ্তানির অঙ্ক। হতাশা দেখা দিয়েছে শুধু পাট ও পাটজাত পণ্যে। বাংলাদেশের সোনালি আঁশ পাটের ‘সোনালি দিন’ ফিরে আসার হাতছানি দেখা দিয়েছিল ২০২০-২১ অর্থ বছরে। ওই বছরে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ১১৬ কোটি ১৫ লাখ (১.১৬ বিলিয়ন) ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে রপ্তানি তালিকায় চামড়াকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছিল এই খাত। আগের অর্থ বছরের (২০১৯-২০) চেয়ে রপ্তানি বেড়েছিল ৩১ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
কিন্তু এর পর থেকে কমছেই; নেমে এসেছে ১ বিলিয়ন (১০০ কোটি) ডলারের নিচে।
গত ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি থেকে ৮৫ কোটি ৫২ লাখ ডলার আয় হয়েছিল, যা ছিল আগের অর্থ বছরের চেয়ে ৬ দশমিক ১৬ শতাংশ কম।
২০২২-২৩ অর্থ বছরে আয়ের অঙ্ক ছিল ৯১ কোটি ১৫ লাখ ডলার। আগের অর্থ বছরের চেয়ে কমেছিল ১৯ দশমিক ১৭ শতাংশ।
২০২১-২২ অর্থ বছরে এই খাত থেকে আয় হয়েছিল ১১২ কোটি ৭৬ লাখ (১.১২ বিলিয়ন) ডলার। আগের অর্থ বছরের চেয়ে কমেছিল ২ দশমিক ৯১ শতাংশ।
বছরের পর বছর লোকসানের অজুহাত দেখিয়ে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) ২৫টি পাটকল ২০২০ সালের ১ জুলাই বন্ধ করে দেয় তৎকালীন সরকার। সে কারণে রাষ্ট্রায়ত্ত কোনো পাটকল এখন উৎপাদনে নেই; সরকারিভাবে পাট ও পাটজাত পণ্য এখন আর রপ্তানি হয় না। অথচ বন্ধ হওয়ার আগে বিজেএমসির পাটকলগুলো থেকে এ খাতের রপ্তানির ২০ শতাংশের মতো আসত।
বাংলাদেশ পাটপণ্য রপ্তানিকারক সমিতির (বিজেজিইএ) চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসাইন সোহেল বলেন, ২০২০-২১ অর্থবছরে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি থেকে প্রায় সোয়া বিলিয়ন ডলার আয় হওয়ায় আমরা আশায় বুক বেঁধেছিলাম- আমাদের সোনালি আঁশ পাটের সুদিন হয়তো ফিরে আসতে শুরু করেছে। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, সে আশায় গুড়েবালি।
‘কেনোদিনই আর সোনালী আঁশের সোনালি দিন ফিরে আসবে না। কেননা, প্রতি বছরই এই খাত থেকে রপ্তানি আয় কমছে। চলতি অর্থ বছরেও সেই নেতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘সবাই আশা করেছিল, কোভিড-১৯ মহামারি পরিবেশের ক্ষেত্রে নতুন ভাবনার জন্ম দেওয়ায় পাটপণ্যের চাহিদা অনেক বেড়ে যাবে। এ খাতের সম্ভাবনাও দেখা দেবে নতুন করে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন দেশের ক্রেতারা পাটের পরিবর্তে কটন ও সিল্ক দিয়ে তৈরি পণ্য কিনছেন। পলি ফাইবারও ব্যবহার করছেন অনেকে। পাটজাত পণ্যের দাম অনেক বেড়ে যাওয়ায় এ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন ক্রেতারা।’
মন্তব্য