নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একটি মসজিদের বারান্দা থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার চৌধুরীপাড়া জামে মসজিদের বারান্দা থেকে শুক্রবার সকালে মোহাম্মদ শরীফের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দুপুরে তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মৃত শরীফ উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার বিরাবো খালপাড় এলাকার বাসিন্দা।
রূপগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক ফজলুল হক খান নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্বজনদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, শরীফের বাবা-মা মারা গেছেন। তার পৈতৃক সম্পত্তিও নেই। তিনি এলাকার বিভিন্ন মসজিদে থাকতেন। শুক্রবার সকাল ৬টার দিকে চৌধুরীপাড়া জামে মসজিদের বারান্দায় তার রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা করে। দুপুরের দিকে পুলিশ তার পরিচয় নিশ্চিত হয়।
পুলিশ পরিদর্শক ফজলুল হক জানান, শরীফের মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে হত্যা করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে এলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ঘটনায় মামলা হবে।
সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ‘আসমানে যাইওনারে বন্ধু ধরতে পারব না তোমায়’সহ অনেক জনপ্রিয় গানের গীতিকার, সুরকার শিল্পী মতিউর রহমান হাসান ওরফে পাগল হাসান।
সুনামগঞ্জের ছাতকের সুরমা ব্রিজ এলাকায় বৃহস্পতিবার সকালে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বাসের ধাক্কায় প্রাণ হারান তিনি।
পাগল হাসান অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন। ওই সময় তার সঙ্গে থাকা ছাত্তার নামের একজনের মৃত্যু হয়।
দুর্ঘটনায় অটোরিকশার চালকসহ তিনজন গুরুতর আহত হন।
প্রাণ হারানো পাগল হাসানের বাড়ি সুনামগঞ্জের ছাতকের শিমুলতলা গ্রামে।
পুলিশের ভাষ্য, দোয়ারবাজার থেকে যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছিল অটোরিকশাটি। খালি বাসটি গোবিন্দগঞ্জ থেকে ছাতক যাচ্ছিল। পথে সুরমা ব্রিজ এলাকায় অটোরিকশায় ধাক্কা দেয় বাসটি। ওই সময় পাগল হাসান ও ছাত্তার ঘটনাস্থলেই নিহত হন। অন্য তিন যাত্রী গুরুতর আহত হন।
ছাতক থানার ওসি শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এ বিষয়ে ছাতক ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার জালাল আহমদ বলেন, ‘ঘটনাস্থলেই পাগল হাসানসহ আরেকজন মারা যান। আমরা পুলিশের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করেছি।
‘আহত তিনজনের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
সমাজের অনেকের মতো অনুপ কুমার পালেরও স্বপ্ন ছিল পড়ালেখা শেষে অসহায় দরিদ্র পরিবারের হাল ধরবে। কিছুটা হলেও লাঘব করতে পারবে কষ্ট। কিন্তু মরণব্যাধি ক্যানসার তার সেই স্বপ্নে দেয়াল হয়ে দাঁড়িয়েছে। সব পেরিয়ে অনুপের এখন চাওয়া, এই সুন্দর পৃথিবীতে বেঁচে থাকা। সে জন্য সমাজের প্রতি সাহায্যের আবেদন করেছেন তিনি।
রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার রতনদিয় গ্রামের বাসিন্দা অনুপের বয়স ২৩ বছর। তিনি ২০১৭ সালে এসএসসি পাশ করে ফরিদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ভর্তি হন। ভর্তি হওয়ার পরই তার বা পায়ের হাঁটুর ওপরে একটি টিউমার চোখে পড়ে।
পরবর্তীতে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে টিউমারটি অপারেশন করার পর বায়োপসির মাধ্যমে ক্যানসার শনাক্ত হয়। পরে বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাক্তার দেখানোর পর, বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালের বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের মাধ্যমে ৬টি সাইকেল কেমোথেরাপি দেয়া হয়।
শারীরিক অসুস্থতার মধ্যেও তিনি তার পড়াশোনা ত্যাগ করেননি। ২০২২ সালে তিনি সিভিল টেকনোলজিতে সিজিপিএ ৩.৮৪ নিয়ে ডিপ্লোমা সম্পন্ন করেন।
২০১৮ সালে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ভারতের ভেলোরের খ্রিস্টান মেডিক্যাল কলেজ চেন্নাইয়ে নেয়া হয় এবং চিকিৎসা চলতে থাকে। সেখানে ৩৩টি রেডিও থেরাপি দেয়ার পর তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে দেশে ফিরে আসেন।
এর পর প্রতিবছর মেডিক্যাল চেকাপের জন্য ভারতে যান এবং স্বাভাবিকভাবেই তিনি জীবন অতিবাহিত করছিলেন। এভাবে ৫ বছর অতিবাহিত হওয়ার পর ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে ভারতে চেকাপের ফলে জানা যায়, ক্যানসার ফুসফুসে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভারতে তাকে বর্তমানে পর্যায়ক্রমে ৩ বার কেমোথেরাপি দেয়া হয়। এরপর তাকে সার্জারির জন্য সাজেস্ট করা হয়েছে। এভাবে তার এই ব্যয়বহুল চিকিৎসা করা অসহায় পরিবারের পক্ষে এখন আর সম্ভব হচ্ছে না। এ পর্যন্ত তার চিকিৎসার জন্য খরচ করা হয়েছে ২০ লাখ টাকারও বেশি।
এখন আবার এই মাসের শেষের দিকে তার সার্জারি করা হবে ভারতের সিএমসি হাসপাতাল। এ জন্য খরচ হবে ১০ লাখেরও বেশি টাকা। পরবর্তীতে রেডিও থেরাপি ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ হবে আরও প্রায় ৫ লাখ টাকা।
এই ব্যয়বহুল চিকিৎসা এখন আর তার অসহায় দরিদ্র পরিবারের পক্ষে চালিয়ে যাওয়া কিছুতেই সম্ভব হচ্ছে না। তার বাবা অধীর চন্দ্র পাল মাটির হাড়িপাতিল বিক্রি করে কোনোরকমভাবে পরিবারের ভরণপোষণ করে থাকেন। ছেলের চিকিৎসার জন্য খরচ মেটানো এবং সময় দেয়ার ফলে তিনি কাজেও মনোযোগ দিতে পারছেন না।
এখন তার আর্থিক অবস্থা এমন পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে যে, তিনি পরিবারের আহার পর্যন্ত ঠিকমতো জোগাড় করকে পারছেন না। তার সকল সহায়-সম্বল, জমিজমা বিক্রি ও আত্মীয়-স্বজনের সহযোগিতায় এ পর্যন্ত চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে তার পক্ষে ছেলের চিকিৎসা চালানো কিছুতেই সম্ভব হচ্ছে না।
একজন অসহায় বাবা তার ছেলের জীবন বাঁচাতে দেশবাসীর কাছে সাহায্যের আবেদন করছেন। অনুপকে বাঁচতে আপনার হাত বাড়িয়ে দিন।
অনুপকে সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা:
অনুপ কুমার পাল, ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড ,কালুখালী শাখা, রাজবাড়ী।
অ্যাকাউন্ট নাম্বার: 0561110010815
অধীর কুমার পাল, সোনালী ব্যাংক পিএলসি, কালুখালী শাখা, রাজবাড়ী।
অ্যাকাউন্ট নাম্বার: 2213100000286, ডাচ বাংলা ব্যাংক, অ্যাকাউন্ট নাম্বার:2551050039312, বিকাশ নাম্বার: 01792-639549, রকেট নাম্বার: 01792-6395492, নগদ নাম্বার: 01537-367600
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে বারুনীর মেলায় রাতভর জুয়ার আসর চালানোর অভিযোগে জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্যের নামে মামলা করা হয়েছে।
সাদুল্লাপুর থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বুধবার রাতে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুরে ওই ইউপি সদস্যের নামে সাদুল্লাপুর থানায় পুলিশ বাদী হয়ে জুয়া আইনে মামলা করেন।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের নাম আল-আমিন সরকার, যিনি সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।
জামালপুর ইউনিয়নের কল্যাণপুরে গত ১৫ এপ্রিল রাতে বারুনীর মেলা উপলক্ষে জামুডাঙ্গা গ্রামের গোলজারের বাড়ির সামনে জুয়া বসান আল-আমিন।
জুয়ার আসরের একটি ভিডিও এরই মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে।
জুয়া খেলার সময় প্রত্যক্ষদর্শী একজনের ধারণ করা ১৭ সেকেন্ডের ভিডিওতে দেখা যায়, জুয়ার বোর্ডে বসে আল-আমিন নিজেই গুনে গুনে টাকা নিচ্ছেন।
ইউপি সদস্যের জুয়ার আসর বসানোর ঘটনাটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয়দের মধ্যে নানা সমালোচনা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
অভিযোগের বিষয়ে মোবাইলে কল করে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আল-আমিন সরকার তার নেতৃত্বে জুয়া বসানোর বিষয়টি অস্বীকার করেন।
তিনি মেলা উপলক্ষে জুয়ার আসরে যাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘আমি জুয়ার আসরে ছিলাম, কিন্তু জুয়া আমি বসাইনি।’
মামলার বিষয়ে সাদুল্লাপুর থানার ওসি শফিকুল ইসলাম মোবাইল ফোনে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘কল্যাণপুরের বারুনীর মেলায় জুয়া খেলার অভিযোগে সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে সাত জুয়াড়িকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
‘এই জুয়ার আসর বসানোর অভিযোগে ইউপি সদস্য আল-আমিনের বিরুদ্ধে জুয়া আইনে মামলা করা হয়েছে, তবে ঘটনার পর থেকে আল-আমিন পলাতক। তাই গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে।’
আরও পড়ুন:মানিকগঞ্জ পৌরসভায় জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই ভাইয়ের হাতাহাতিতে একজন নিহত হয়েছেন।
পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বুধবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
প্রাণ হারানো কমল রায় (৬২) মানিকগঞ্জ পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বদাশড়া এলাকার প্রয়াত কৃষ্ণ রায়ের ছেলে। এ ঘটনায় ছোট ভাই মিঠু রায়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
স্বজন ও স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে কমল রায়ের সঙ্গে ছোট ভাই মিঠু রায়ের কথাকাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। হাতাহাতিতে বড় ভাই কমল রায় অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি হাবিল হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
‘এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মিঠু রায়কে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
আরও পড়ুন:ঝালকাঠিতে সিমেন্টবাহী একটি ট্রাক কয়েকটি গাড়িকে ধাক্কা দিয়েছে, এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ জনে।
সদর উপজেলার গাবখান সেতুর টোল প্লাজায় বরিশাল-পিরোজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে বুধবার দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ঝালকাঠির পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আফরুজুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের ১০ জনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের রাখা হয়েছে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে।
এদিকে নিহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম জহিরুল ইসলাম।
শেখেরহাট হাট ইউনিয়ন পরিষদে কর্মরত গ্রাম পুলিশ মো. কামাল হোসেন বলেন, আমরা চারটি ইজিবাইক এবং একটি মাইক্রো গাড়িতে শেখেরহাট গ্রামে বিয়ের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলাম। গাবখান সেতুর টোলে আসার পর বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক আমাদেরকে সামনো থেকে চাপা দেয়। এতে আমার ছোট ভাই দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া আতিকুর রহমান সাদি নিহত হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী মাইনুল হোসেন বলেন, বেপরোয়া গতিতে আসা ট্রাকটি ব্রেক ফেল করে চারটি ইজিবাইক এবং একটি মাইক্রোবাসকে সামনে থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জন বিয়ের যাত্রী মারা যান।
কক্সবাজারের চকরিয়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সেলিম ও শফিউল আলম নামে দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী। এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে গত ইউপি নির্বাচনের সৃষ্ট বিরোধের জের রয়েছে বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার সুরাজপুর মানিকপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তরপাড়ায় এই জোড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত সেলিম ওই এলাকার নূর মোহাম্মদের ছেলে। অপরজন শফিউল আলম একই এলাকার আবু সালামের ছেলে।
নিহত সেলিমের পিতা নুর মোহাম্মদ জানান, স্থানীয় ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাহেদুল ইসলাম ও সেলিমের মধ্যে গত ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এর জের ধরে মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে মানিকপুর উত্তরপাড়া বাজার এলাকার নবীন ক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় জাহেদুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল ভাড়াটে সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা চালায় নিহতদের ওপর।
ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত সেলিমকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অপরজন শফিউল আলমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে নেয়ার পথে রাত সাড়ে ১২টার দিকে শফিউল আলমের মৃত্যু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেনে সুরাজপুর মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিমুল হক।
প্রসঙ্গত, বিগত ইউপি নির্বাচনে বর্তমান মেম্বার জাহেদুল ইসলামের সঙ্গে সেলিম ও শফিউল আলমের বড় ভাই শামসুল আলম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনের দিন দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনার জের ধরে এই জোড়া হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে ধারণা স্থানীয়দের।
চকরিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘নিহত দুজনই একটি হত্যা মামলার আসামি। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্বের জের ধরে এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।’
আরও পড়ুন:কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় পুকুরে মাছ ধরতে গিয়ে পুকুরের পানিতে ডুবে আহাদ ও আফরোজা নামের যথাক্রমে ৫ ও ৭ বছরের দুই শিশু নিহত হয়েছে।
বুধবার দুপুরে উপজেলার নেওয়াশি ইউনিয়নের পশ্চিম সুখাতি গ্রামের বোর্ডঘর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশুদুটি সম্পর্কে খালাতো ভাইবোন।
নিহত আহাদ নাগেশ্বরীর আমতলা এলাকার মমিনুল ইসলামের ছেলে এবং বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর আফরোজা ওই এলাকায় মায়ের সঙ্গে নানা বাড়িতে থাকত।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরে বাড়ির পাশের পুকুরে মাছ ধরতে যায় আহাদ ও আফরোজাসহ তিন শিশু। নানা বাড়ির পাশের পুকুরে মাছ ধরার জন্য ফাঁসি জাল ফেলে রাখে আহাদ ও আফরোজা। সেখানে ওই তিন শিশু জাল থেকে মাছ ধরতে যায়। এ সময় বাড়ির লোকজন সবাই কাজে ব্যস্ত থাকায় তাদের খবর রাখতে পারেননি। কিছুক্ষণ পর এক শিশু বাড়িতে ফিরে আসলেও বাকি দুজনের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে ওই শিশুকে জিজ্ঞাসা করলে বাকি দুজন পুকুরের পানিতে পড়েছে বলে জানতে পারে পরিবারের লোকজন।
পরে পুকুরে নেমে খোঁজার এক পর্যায়ে দুজনকে পানিতে ডুবন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যসহ স্থানীয়রা। এরপর তাদের নাগেশ্বরী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে দ্বায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
নাগেশ্বরী থানার ওসি রুপ কুমার সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঘটনাস্থলে রয়েছি। বিষয়টির খোঁজখবর নিয়ে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
মন্তব্য