প্রথম ডোজ টিকা নেয়ার শর্তে ৫ অক্টোবর চতুর্থ বর্ষ এবং মাস্টার্সের শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল খোলার সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটি।
তবে এই সুপারিশকে 'অবিবেচক' এবং 'অভিভাবকসুলভ' নয় বলছেন শিক্ষার্থীরা। তারা চাইছেন, ১ অক্টোবর থেকেই হল খুলে দেয়া হোক।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষার্থী বর্তমানে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি অক্টোবরের এক তারিখ থেকেই হল খোলার সুপারিশ করত তাহলে তারা মাসের শেষ দিনেই বাসা ছেড়ে দিতে পারতেন। কিন্তু ৫ অক্টোবর হওয়ায় এখন তাদের পাঁচ দিনের জন্য পুরো মাসের ভাড়া পরিশোধ করতে হবে।
শিক্ষার্থীরা আরও জানান, সেপ্টেম্বরেই হল খুলবে ভেবে অনেক শিক্ষার্থী ইতিমধ্যে বাসার মালিককে জানিয়ে দিয়েছেন, তারা এই মাসেই বাসা ছেড়ে দিবেন। কিন্তু পাঁচ তারিখ থেকে হল খোলা হলে এই পাঁচ দিন শিক্ষার্থীরা কোথায় থাকবেন?
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তানিমুল ইসলাম চৌধুরী ইরফান বলেন, ‘বলা হয়ে থাকে, শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের অভিভাবক, কিন্তু সিদ্ধান্ত তো অভিভাবকসুলভ না। পাঁচটা দিন এগিয়ে আনলে তো আহামরি সমস্যা হতো না।
‘শুধু নিজেদের প্রাধান্য দিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল, শিক্ষার্থীদের কথা ভাবলও না। এই পাঁচটা দিনের জন্য শিক্ষার্থীদের কত টাকা গুনতে হবে, সেটা তাদের জানা আছে?’
বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন রিয়াদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন নির্লজ্জ সিদ্ধান্তের প্রতি ধিক্কার জানাই। আপনারা নিজেদের যদি অভিভাবক মনে করেন তাহলে শিক্ষার্থীবান্ধব সিদ্ধান্ত নিন। হল সবার জন্য খুলে দেয়া হোক এবং সেটা সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহেই। দয়া করে এক সপ্তাহের জন্য শিক্ষার্থীদের বিপদে ফেলবেন না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন সুপারিশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও ক্ষোভ জানাচ্ছেন অনেক শিক্ষার্থী।
শোয়ায়েব আহমেদ নিলয় নামের এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, ‘পাঁচ দিনের জন্য পুরো মাসের মেস ভাড়া দিতে হবে অনেক শিক্ষার্থীর। ক্যাম্পাসের আশপাশের মেস থেকে কি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো শেয়ার পায়? সব ছাত্রসংগঠন দাবি জানানো সত্ত্বেও তারা এ রকম অবিবেচক সিদ্ধান্ত কীভাবে নেয়?’
আমানুল্লাহ পারভেজ লিখেছেন, ‘প্রশাসনের সিদ্ধান্তে ক্ষতিগ্রস্ত হাজার হাজার শিক্ষার্থী। আর কত সহ্য করা যায়? সেপ্টেম্বরে হল খুলে দিবে এই আশায় অনেকে মেসের সিট কেটে দিয়েছে। অথচ কয়েক দিন আগে গুঞ্জন উঠল, সেপ্টেম্বরে হল খুলবে।
‘সময় এসেছে হলের তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করার।’
আক্ষেপ করে বিজয় একাত্তর হল সংসদের সহসভাপতি সজীবুর রহমান লিখেছেন, ‘শিক্ষার্থীদের কল্যাণের জন্য ভাববে, বর্তমানে এমন শিক্ষকদের বড়ই অভাব।’
আমির নাজমুল নামের অন্য শিক্ষার্থী লিখেছেন, ‘শুনলাম আগামী ৫ অক্টোবর থেকে হল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিদ্ধান্ত কি প্রভোস্ট কমিটি নিল নাকি ঢাকা শহরের বাড়ির মালিকরা নিল?’
রবিউল হাসান রবি নামের এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, ‘এমন সিদ্ধান্তের জন্য ধিক্কার জানাই। তথাকথিত অভিভাবকদের এতটুকুও মনে হলো না, যেসব শিক্ষার্থী ঢাকার বিভিন্ন মেসে বা বাসায় থাকে তারা কোথায় থাকবে?’
বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সুপারিশ পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের স্বার্থের কথা চিন্তা করে সেপ্টেম্বরের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয় খোলা উচিত। সরকারের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে বৈঠক হয়েছে সেখানেও জানানো হয়েছে ২৭ সেপ্টেম্বরের পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সিন্ডিকেট হল খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।’
সাদ্দাম আরও বলেন, ‘শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, শিক্ষার্থীদের টিকার জন্য নিবন্ধন করানো সাপেক্ষে হল খোলা যাবে। সেখানে টিকা দেয়ার কোনো শর্ত ছিল না, বরং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে টিকাকেন্দ্র বসাতে বলা হয়েছে। নানা কারণে সব শিক্ষার্থী টিকার আওতায় আসতে পারেনি।
‘এর দায় তো শিক্ষার্থীদের নয়। কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হলে তোলার জন্য টিকার শর্ত জুড়ে দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই সুপারিশ সুবিবেচনাপ্রসূত নয়।’
শিক্ষার্থীদের ক্ষোভের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এ গোলাম রাব্বানীকে জানালে তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে ছাত্র সংগঠনগুলোর সভা হয়েছে। সেখানে তারা প্রস্তাব দিয়েছেন যেন সেপ্টেম্বরের শেষে বা অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে হল খুলে দেয়া হয়।
‘২৬ সেপ্টেম্বর লাইব্রেরি ও বিভাগীয় সেমিনার এবং ৫ অক্টোবর হল খুলে দেয়ার সুপারিশের মাধ্যমে আমরা কিন্তু তাদের দুটি প্রস্তাবই রেখেছি।’
প্রক্টর বলেন, ‘১ ও ২ তারিখ আমাদের ভর্তি পরীক্ষা আছে। ঢাকার বাইরে সাতটি জায়গায় এসব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে যাওয়া-আসাতে আমাদের এক দিন লেগে যাবে। তারপরও এক দিন হাতে রেখে আমরা হল খুলে দিলাম।’
প্রক্টর আরও বলেন, ‘৫ অক্টোবর সকাল ৮টা থেকে চতুর্থ বর্ষ এবং মাস্টার্সের শিক্ষার্থীরা হলে উঠে যেতে পারবে। মানবিক কারণেই সকাল ১০টা না করে ৮টা থেকে হলে ঢোকানোর সুপারিশ করা হয়েছে। আমার মেধাবী শিক্ষার্থীরা রাতের গাড়িতে ঢাকায় এসে কোথাও যেন দাঁড়িয়ে থাকতে না হয়, সরাসরি হলে ঢুকতে পারে, সে জন্য ৮টা থেকে হলে ঢোকানোর সুপারিশ করেছি।’
আরও পড়ুন:ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ২৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (বিদ্যালয়-২) রেবেকা সুলতানা স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রজ্ঞাপনটি রবিবার মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নামকরণ ও বিদ্যমান নাম পরিবর্তন নীতিমালা, ২০২৩ অনুযায়ী ২৭টি বিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করা হলো।
বিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সূত্রাপুর, ঢাকার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে কারকুনবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোহাম্মদপুর, ঢাকার নাম পরিবর্তন করে তাজমহল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোহাম্মদপুর, ঢাকা, ১৬ নং বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সদর, নারায়ণগঞ্জ পরিবর্তন করে ১৬ নং পাইকপাড়া পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাঁচবাড়িয়া হাসিনা ওয়াজেদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাংশা, রাজবাড়ীর নাম পাঁচবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সদর, গাজীপুরের নাম পরিবর্তন করে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রাখা হয়েছে।
একইভাবে চর সতরাজ শেখ রাসেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাকেরগঞ্জ, বরিশালের নাম পরিবর্তন করে চর সতরাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম পিরোজপুর বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সদর, পিরোজপুরের নাম পরিবর্তন করে পশ্চিম পিরোজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শেখ রাসেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ধামইরহাট, নওগাঁর নাম পরিবর্তন করে জগৎনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শেখ রাসেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পত্নীতলা, নওগাঁর নাম পরিবর্তন করে নাদৌড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় করা হয়েছে।
অন্যদিকে ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পীরগঞ্জ, রংপুরের নাম পরিবর্তন করে সুবর্ণপুকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফুলপুর, ময়মনসিংহের নাম পরিবর্তন করে নয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুক্তাগাছা, ময়মনসিংহের নাম পরিবর্তন করে ভালুক চাপড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শেখ রাসেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুলাউড়া, মৌলভীবাজারের নাম পরিবর্তন করে কুলাউড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মুজিবাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পার্বতীপুর, দিনাজপুরের নাম পরিবর্তন করে পার্বতীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডোলোপাড়া শেখ রাসেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সদর, পঞ্চগড়ের নাম পরিবর্তন করে ডোলোপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সদর, পঞ্চগড়ের নাম পরিবর্তন করে রাজমহল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দাগনভূঞা, ফেনীর নাম পরিবর্তন করে পশ্চিম করমূল্যাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় করা হয়েছে।
মুজিব রাসেল বিদ্যাপীঠ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জাজিরা, শরীয়তপুরের নাম পরিবর্তন করে হরিয়াসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নিতারকান্দি বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাজিতপুর, কিশোরগঞ্জের নাম পরিবর্তন করে নিতারকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সদর, কিশোরগঞ্জের নাম পরিবর্তন করে বত্রিশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোপালপুর, টাঙ্গাইলের নাম পরিবর্তন করে দক্ষিণ সোনামুই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) ষষ্ঠ সমাবর্তন সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ঢাকার শেরে বাংলা নগরের বিসিএফসিসিতে আয়োজিত এ বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও পবিত্র ধর্মগ্রন্থগুলো থেকে পাঠের মাধ্যমে শুরু হয়।
রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলরের প্রতিনিধি হিসেবে সমাবর্তনে সভাপতিত্ব ও গ্র্যাজুয়েটদের ডিগ্রি প্রদান করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ।
সমাবর্তনে বিইউবিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ বি এম শওকত আলী স্বাগত বক্তব্য দেন, যিনি গ্র্যাজুয়েটদের অ্যাকাডেমিক সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানান।
উপাচার্য তার বক্তব্যে বলেন, ‘প্রিয় শিক্ষার্থীরা, আজ আপনারা যে সফলতা অর্জন করেছেন, এতে সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা, এবং অভিভাবকদের অবদানও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। স্মরণ রাখবেন, সাফল্য একদিনে আসে না; এটি অনেক বছরের পরিশ্রম এবং মানুষের কল্যাণে কাজ করার মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়।
‘আমি বিশ্বাস করি, যেখানেই যান, নিজেদের মধ্যে শৃঙ্খলা, সততা এবং মানবিক মূল্যবোধ বজায় রাখবেন।’
অতিথিদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন বিইউবিটি বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মো. শামসুল হুদা, এফসিএ।
তিনি তার বক্তব্যে গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা দেশের ভবিষ্যৎ এবং আমি দৃঢ় বিশ্বাসী যে, আজ যারা ডিগ্রি পাচ্ছেন, তারা সমাজের জন্য ভালো কিছু করবেন। মনে রাখবেন, আপনাদের পথচলা শুধু বিইউবিটির নয়, বরং সমগ্র জাতির উন্নতি ও সমৃদ্ধির জন্য।’
অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষা জীবনের এই অর্জন শুধু ব্যক্তিগত কল্যাণেই সীমাবদ্ধ থাকবে না; বরং এটি পুরো সমাজ ও দেশকে এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে। জীবনে সফলতা পেতে হলে শিক্ষা, কঠোর পরিশ্রম এবং মানবিক মূল্যবোধে বিশ্বাস রাখা প্রয়োজন।’
সমাবর্তনের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ ছিল স্নাতকদের আনুষ্ঠানিকভাবে ডিগ্রি প্রদান। এর পাশাপাশি কৃতী শিক্ষার্থীদের স্বর্ণপদক ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
এবারের সমাবর্তনে চ্যান্সেলর’স গোল্ড মেডেল অর্জন করেন এমবিএর ৪৮তম ইনটেকের শিক্ষার্থী ইশরাত জাহান।
চেয়ারম্যান, বোর্ড অব ট্রাস্টিজ গোল্ড মেডেল লাভ করেন এমএসসি ইন ইকোনমিকসের ৩৮তম ইনটেকের শিক্ষার্থী লাবিবা ফেরদৌস। অন্যদিকে উপাচার্য গোল্ড মেডেল লাভ করেন বিবিএর ৪৫তম ইনটেকের শিক্ষার্থী রাবেয়া আফরিন মীম।
স্বর্ণপদক ও ক্রেস্ট প্রদান শেষে সমাবর্তনের সভাপতি অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেন, ‘আজকের এই দিনটি আপনাদের সবার জন্য অত্যন্ত গর্বের মুহূর্ত। আপনাদের এই অর্জন শুধু অ্যাকাডেমিক সাফল্য নয়; এটি আপনার নিষ্ঠা, পরিশ্রম এবং মানবিক গুণাবলীর ফল।
‘আমরা আশা করি, ভবিষ্যতে আপনি যেখানে থাকবেন, সেখানে আপনি শুধু নিজের উন্নতির দিকে মনোযোগ দেবেন না, বরং আপনার অর্জিত জ্ঞান এবং দক্ষতা ব্যবহার করে সমাজের উন্নয়ন ও কল্যাণে অবদান রাখবেন। আপনাদের মধ্যে অনেকেই ইতোমধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলী দেখিয়েছেন, এবং আমরা বিশ্বাস করি, আপনারা দেশের অগ্রগতি ও সাফল্যের জন্য ভবিষ্যতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।’
আরও পড়ুন:আগামী ২৬ জুন শুরু হতে যাচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষা।
সূচি অনুযায়ী, তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হবে ১০ আগস্ট। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ১১ আগস্ট শুরু হয়ে শেষ হবে ২১ আগস্ট।
আন্তশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এসএম কামাল উদ্দিন হায়দার বুধবার সময়সূচিতে সই করেন।
এতে পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ নির্দেশনাবলীও জানানো হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে।
প্রথমে বহুনির্বাচনি ও পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৩০ নম্বরের বহুনির্বাচনি (এমসিকিউ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ৩০ মিনিট এবং ৭০ নম্বরের সৃজনশীল (সিকিউ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট।
ব্যবহারিক বিষয় সংবলিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে ২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনি পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২৫ মিনিট ও ৫০ নম্বরের সৃজনশীল পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট।
পরীক্ষা বিরতিহীনভাবে প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় পর্যন্ত চলবে। এমসিকিউ এবং সিকিউ উভয় অংশের পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না।
সকাল ১০টা থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে সকাল সাড়ে ৯টায় অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনি ওএমআর শিট বিতরণ করা হবে। সকাল ১০টায় বহুনির্বাচনি প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে।
সকাল সাড়ে ১০টায় বহুনির্বাচনি উত্তরপত্র সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে। (২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনি পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ সময় ১০টা ২৫ মিনিট)। আর দুপুর ২টা থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে দুপুর দেড়টায় অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনি ওএমআর শিট বিতরণ।
দুপুর দুইটায় বহুনির্বাচনি প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে। দুপুর আড়াইটায় বহুনির্বাচনি উত্তরপত্র সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে। ২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনি পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ সময় ২টা ২৫ মিনিট।
প্রত্যেক পরীক্ষার্থী সরবরাহকৃত উত্তরপত্রে তার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি ওএমআর ফরমে যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। কোনো অবস্থাতেই মার্জিনের মধ্যে লেখা কিংবা অন্য কোনো প্রয়োজনে উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না।
পরীক্ষার্থীকে তত্ত্বীয়, বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক অংশে (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) পৃথকভাবে পাস করতে হবে।
প্রত্যেক পরীক্ষার্থী শুধু রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্রে উল্লেখিত বিষয়/বিষয়গুলোর পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই অন্য বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।
কোনো পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নিজ কলেজ/প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে না। পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করতে হবে।
পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে। প্রোগ্রামিং ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না।
কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষার কেন্দ্রে মোবাইল ফোন আনতে পারবে না।
আরও পড়ুন:প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার জানিয়েছেন, চলতি মাসেই শতভাগ স্কুলে বই পৌঁছে যাবে।
ডিসি সম্মেলনের শেষ দিন মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান গণশিক্ষা উপদেষ্টা।
উপদেষ্টা বলেন, দেশের ৮৫ ভাগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই এরই মধ্যে দেওয়া হয়েছে। এ মাসেই বাকি স্কুলগুলোতেও বই পৌঁছে যাবে।
তিনি বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকরা যুক্ত রয়েছেন। ডিসিরা প্রাথমিক শিক্ষার নানান সমস্যা চিহ্নিত করেছেন, যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজ যেন সঠিকভাবে হয়, সে বিষয়ে ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বেসরকারি যেসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিবন্ধন নেই, সেগুলোকে দ্রুত নিবন্ধনের আওতায় আনার জন্য ডিসিদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছেও বলে জানান উপদেষ্টা।
ওই সময় প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষক পদে সুপারিশপ্রাপ্তদের নিয়োগের আন্দোলনে বিষয় জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা জানান, সুপারিশপ্রাপ্তদের প্রতি তার সহমর্মিতা আছে, তবে বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। তাই এ বিষয়ে মন্তব্য সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন:সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে হাইকোর্ট ছয় হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ বাতিল করলেও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার জানিয়েছেন, সব ধরনের আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই ফল ঘোষণা করা হয়েছিল। এ কারণে নিয়োগ বাতিল হওয়া প্রার্থীদের প্রতি তাদের সহানুভূতি রয়েছে।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের তৃতীয় দিন মঙ্গলবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কার্য অধিবেশন শেষে এক প্রশ্নের উত্তরে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘আদালত থেকে একটি রায় হয়েছে, যেটিতে তারা ক্ষুব্ধ। আমরা আপিল করেছি।
‘যেহেতু এটি এখন আদালতে বিচারাধীন বিষয়, তাই প্রশাসনিকভাবে আলাদা কোনো উদ্যোগ নেওয়ার সুযোগ নেই।’
বিধান রঞ্জন রায় জানান, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়েই তারা ফল ঘোষণা করেছেন।
তিনি বলেন, ‘যখন ফল ঘোষণা করা হয়েছে আমাদের মন্ত্রণালয় স্বাধীনভাবে ফল ঘোষণা করেনি। আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়েই ফল ঘোষণা করেছি। ফলে আমরা মনে করছি আমরা আইনি কাঠামোতেই আমাদের কাজগুলো করেছি।
‘সে হিসাবে তারা (আন্দোলনরতরা) যেটা চাচ্ছেন তাদের সঙ্গে আমাদের সহানুভূতি রয়েছে।’
গত ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে ছয় হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ বাতিল করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এরপর থেকে আন্দোলন করছেন ফল বাতিল হওয়া শিক্ষক প্রার্থীরা।
ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় ধাপে চূড়ান্তভাবে উত্তীর্ণ ছয় হাজার ৫৩১ জন সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ বাতিলের রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একই সঙ্গে মেধার ভিত্তিতে নতুন করে নিয়োগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
এর আগে ৩০ চাকরিপ্রার্থীর করা এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে গত ১৯ নভেম্বর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন। আদেশে নিয়োগ প্রক্রিয়া ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। ফলে ৬ হাজার ৫৩১ জন উত্তীর্ণ প্রার্থীর নিয়োগ আটকে যায়। বৃহস্পতিবার সেই রুলের ওপর রায় দেওয়া হলো।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ফয়েজ উদ্দিন আহমদ। তার সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী কামরুজ্জামান ভূইয়া। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী ও আখতার হোসেন মো. আবদুল ওয়াহাব।
২০২৩ সালের ১৪ জুন ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপর ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীকে নির্বাচন করে গত ৩১ অক্টোবর নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ৩১ অক্টোবরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রার্থীদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ অনুসরণ করে উপজেলাভিত্তিক মেধাক্রম অনুযায়ী নিয়োগের জন্য প্রাথমিক তালিকা প্রণয়ন করা হয়।
গত বছরের ১১ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় নিয়োগ আদেশ সংবলিত নির্দেশনা জারি করে। এ সংক্রান্ত আদেশ অনুসারে নির্বাচিত প্রার্থীদের অনুকূলে ২০ নভেম্বর নিয়োগপত্র ইস্যু করার কথা ছিল।
ওই নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা অনুসরণের অভিযোগ তুলে ফল প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নিয়োগবঞ্চিত ৩০ প্রার্থী গত নভেম্বরে রিটটি করেন।
রিটে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত বছরের ২৩ জুলাই কোটা পদ্ধতি সংশোধনের পর একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে বলা হয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবরের জারি করা পরিপত্রসহ আগের এ সংক্রান্ত সব পরিপত্র বা প্রজ্ঞাপন বা আদেশ রহিত করা হলো। ফলে আগের কোনো আদেশ বহাল থাকছে না।
অথচ ওই নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯ অনুসরণ করা হয়েছে। এ অনুসারে নারী কোটা ৬০ শতাংশ, পোষ্য কোটা ২০ শতাংশ, ৪ শতাংশ অন্যান্য কোটা ছিল।
এ রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট রুল দিয়ে নিয়োগের কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন।
রুলে ৩১ অক্টোবর ফলাফল প্রকাশের বিজ্ঞপ্তি ও নিয়োগ বিষয়ে ১১ নভেম্বরের নির্দেশনা সংবলিত স্মারক কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, মহাপরিচালকসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
পরে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষে করা আবেদনের (লিভ টু আপিল) শুনানি নিয়ে গত ৯ ডিসেম্বর আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ আপাতত বহাল রাখেন। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত রুল ২৫ জানুয়ারির মধ্যে হাইকোর্টে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ। সে অনুযায়ী বৃহস্পতিবার এ রুলের চূড়ান্ত শুনানি করে রায় দেন হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন:কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর স্থায়ী ক্যাম্পাসে রবিবার সফলভাবে আন্তবিভাগ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ টুর্নামেন্টে সিইউবির বিভিন্ন বিভাগের প্রতিযোগী দলগুলো অংশগ্রহণ করে। ব্যতিক্রমী ক্রিকেটিং দক্ষতা ও দলগত কাজ খেলাকে প্রাণবন্ত করে তুলে।
গ্র্যান্ড ফিনালের আয়োজনে ব্ল্যাকআউটস এবং সিইউবি অলস্টারদের মধ্যে দুর্দান্ত ম্যাচ হয়।
সিইউবি ব্ল্যাকআউটস দল চ্যাম্পিয়ন হয়ে শিরোপা অর্জন করে। সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাফিন।
খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণ ও চ্যাম্পিয়ন ট্রফি প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান চৌধুরী জাফরুল্লাহ শারাফাত, এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান জাবেদ হোসেন, উপাচার্য প্রফেসর ড. এইচ এম জহিরুল হক এবং উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. গিয়াস উ আহসান।
সিইউবি স্পোর্টস ক্লাব আয়োজিত ইভেন্টটি শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য