বাংলাদেশ
New policy on debt rescheduling of financial institutions
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ পুনঃতফসিলে নতুন নীতিমালা
-
মৌসুমী ইসলাম, ঢাকা
- ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:৩৯ | আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৩:১৫
নীতিমালায় বলা হয়েছে, প্রতিটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিচালনা পর্ষদ অনুমোদিত ঋণ পুনঃতফসিলের একটি নীতিমালা থাকতে হবে। সেখানে এমন সব শর্ত দিতে হবে, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই নীতিমালার চেয়ে কোনোভাবে সহজ হবে না। পুনঃতফসিলের আগে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্রেডিট কমিটি লিখিত প্রতিবেদনের মাধ্যমে যৌক্তিকতা ও প্রভাব তুলে ধরবে।
ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান কোনো ঋণ তিনবারের বেশি পুনঃতফসিল করতে পারবে না। তৃতীয় দফা পুনঃতফসিলের পরও গ্রাহক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে তিনি স্বভাবজাত বা ইচ্ছাকৃত খেলাপি হিসেবে বিবেচিত হবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক মঙ্গলবার আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ পুনঃতফসিলে এমন নীতিমালা জারি করেছে।
নতুন নীতিমালা অনুসারে, পুনঃতফসিল করা ঋণের শুধুমাত্র যেটুকু আদায় হবে তার বিপরীতে সুদ আয় খাতে নেয়া যাবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, গ্রাহকের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা যাচাই না করেই বারবার ঋণ পুনঃতফসিল করছে বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান। পরিশোধসূচি পুনঃনির্ধারণ এবং যথাযথভাবে পুনঃতফসিল প্রক্রিয়া অনুসরণ না করায় এসব প্রতিষ্ঠানের আদায়ের প্রকৃত চিত্র প্রতিফলিত হচ্ছে না।
এখন থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো কেবলমাত্র বিরূপমানে শ্রেণিকৃত (নিন্মমান, সন্দেহজনক ও ক্ষতিজনক) ঋণ পুনঃতফসিল করতে পারবে। ঋণ নিয়মিত করার প্রতিটি পর্যায়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নির্ধারিত হারে ডাউন পেমেন্ট নিতে হবে।
কোনো মেয়াদি ঋণ নিন্মমান থাকা অবস্থায় প্রথম দফায় ৪৮ মাস, দ্বিতীয় দফায় ৩৬ মাস ও তৃতীয় দফায় ২৪ মাসের জন্য পুনঃতফসিল করা যাবে। আর সন্দেহজন বা মন্দ মানে শ্রেণিকৃত অবস্থায় পুনঃতফসিলের ক্ষেত্রে প্রথম দফায় ৩৬ মাস, দ্বিতীয় দফায় ২৪ মাস ও তৃতীয় দফায় ১৮ মাসের জন্য পুনঃতফসিল করা যাবে।
স্বল্প মেয়াদি ঋণের মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ বা সর্বশেষ কিস্তি পরিশোধের পর প্রথম দফায় সর্বোচ্চ ১২ মাসের জন্য পুনঃতফসিল করা যাবে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় ৬ মাস করে নিয়মিত করতে পারবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো।
ডাউন পেমেন্টের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, প্রথম দফা ঋণ পুনঃতফসিলের ক্ষেত্রে মেয়াদি ও স্বল্প মেয়াদি উভয় ক্ষেত্রে মেয়াদোত্তীর্ণ কিস্তির ন্যূনতম ১৫ শতাংশ বা মোট বকেয়ার ১০ শতাংশের মধ্যে যা কম, সেই পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করতে হবে।
দ্বিতীয় দফায় মেয়াদোত্তীর্ণ কিস্তির ৩০ শতাংশ বা মোট বকেয়ার ২০ শতাংশের মধ্যে যা কম, তা দিতে হবে। তৃতীয় দফায় মেয়াদোত্তীর্ণ কিস্তির ৫০ শতাংশ বা মোট বকেয়ার ৩০ শতাংশের মধ্যে যা কম, তা পরিশোধ করতে হবে। এ উপায়ে নিয়মিত করা ঋণ মাসিক বা ত্রৈমাসিক কিস্তির মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে।
পুন:তফসিল করা ঋণের অনাদায়ী কিস্তি ৬টি মাসিক কিস্তি বা দুটি ত্রৈমাসিক কিস্তির সমান হলে তা ক্ষতিজনক মানে শ্রেণিকরণ করতে হবে।
নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে, প্রতিটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিচালনা পর্ষদ অনুমোদিত ঋণ পুনঃতফসিলের একটি নীতিমালা থাকতে হবে। সেখানে এমন সব শর্ত দিতে হবে, যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই নীতিমালার চেয়ে কোনোভাবে সহজ হবে না।
পুনঃতফসিলের আগে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্রেডিট কমিটি লিখিত প্রতিবেদনের মাধ্যমে যৌক্তিকতা ও প্রভাব তুলে ধরবে। সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য তার নগদ প্রবাহ বিবরণী, নিরীক্ষিত স্থিতিপত্র, আয়-ব্যয় ও অন্যান্য আর্থিক বিবরণী পর্যালোচনা করতে হবে।
একজন গ্রাহকের ডাউন পেমেন্টর অর্থ জমা হওয়ার এক মাসের মধ্যে পুনঃতফসিলের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে কিস্তি হিসেবে জমা হওয়া অর্থ কোনোভাবেই ডাউন পেমেন্ট বাবদ জমা দেখানো যাবে না।
আরও পড়ুন:ব্যাংকের পর আর্থিক প্রতিষ্ঠানেও ঋণ পরিশোধে ছাড়
কিস্তির ২৫ শতাংশ দিলেই খেলাপি নয়
- ট্যাগ:
- খেলাপি ঋণ
সর্বজনীন পেনশনের মুনাফা চলতি মাসেই বণ্টন
সর্বজনীন পেনশন প্রকল্প কোনো ধরনের পরিবর্তন ছাড়াই চলমান রাখার…
অক্টোবরের ১২ দিনে রেমিট্যান্স এসেছে ৯৮৬ মিলিয়ন ডলার
চলতি অক্টোবর মাসের প্রথম ১২ দিনে ৯৮৬ মিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স…
বেনাপোল দিয়ে টানা পাঁচদিন পর আমদানি-রপ্তানি শুরু
টানা পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর সোমবার সকাল থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল…
বাণিজ্য উপদেষ্টার নেতৃত্বে বাজার তদারকি বিকেলে
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে বাণিজ্য উপদেষ্টা…
আমদানি সত্ত্বেও ডিমের দাম কমছে না, নেপথ্যে সিন্ডিকেট
ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ ডিম আমদানি সত্ত্বেও বাজারে এর ইতিবাচক…
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে নাসা গ্রুপের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আকুল আবেদন
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান…
নেতৃত্ব, ব্যবসায়িক উদ্ভাবন এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতার অসামান্য অবদানের জন্য আকিজ বশির গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেখ বশির উদ্দিনকে সম্মাননা দেয়া হয়। ছবি: আকিজ বশির গ্রুপ
মন্তব্য