× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Farmers will get three thousand crore rupees at five percent interest
google_news print-icon

৪ শতাংশ সুদে কৃষক পাবেন তিন হাজার কোটি টাকা

৪-শতাংশ-সুদে-কৃষক-পাবেন-তিন-হাজার-কোটি-টাকা
বর্তমান গ্রাহকদের মধ্য থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক বা গ্রাহককে বিদ্যমান ঋণসুবিধার অতিরিক্ত ২০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দিতে পারবে ব্যাংকগুলো। এর সর্বোচ্চ সীমা ১০ কোটি টাকা। ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও বর্গাচাষিদের শস্য বা ফসল চাষের জন্য এককভাবে জামানতহীন (শুধু ফসল দায়বন্ধনের বিপরীতে) সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা ঋণ দেয়া যাবে। গৃহস্থালি পর্যায়ে গাভি পালন, গরু মোটাতাজা খাতে ব্যক্তিগত গ্যারান্টির বিপরীতে ঋণ প্রদানে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

কৃষি খাতের জন্য নতুন করে তিন হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্রণোদনামূলক পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ তহবিলের আওতায় ব্যাংক থেকে ৪ শতাংশ সুদে ঋণ নিতে পারবেন কৃষক। আর ব্যাংকগুলো এই প্যাকেজ থেকে ১ শতাংশ সুদে তহবিল পাবে।

ছয় মাসের গ্রেস পিরিয়ডসহ এই ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে হবে ১৮ মাসের মধ্যে। তহবিলের মেয়াদ ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত।

মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কৃষিঋণ বিভাগ থেকে এ-সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।

ঋণচুক্তি ও তহবিল বরাদ্দ

ঋণ নেয়ার জন্য ইচ্ছুক ব্যাংকগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষিঋণ বিভাগের সঙ্গে একটি অংশগ্রহণ চুক্তি করবে। সার্কুলার জারির পর ১৫ দিনের মধ্যে এ চুক্তি করতে হবে।

কৃষি ও পল্লি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা, ঋণ বিতরণের সক্ষমতা ইত্যাদির ভিত্তিতে ব্যাংকগুলোকে তহবিল বরাদ্দ করা হবে। ব্যাংকের ঋণ বিতরণের সক্ষমতা পর্যালোচনা করে বাংলাদেশ ব্যাংক পরে প্রয়োজনবোধে তহবিলের পরিমাণ পুনর্নির্ধারণ করতে পারবে।

কী কী শর্ত

ব্যাংকগুলো নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ঋণ বিতরণ নিশ্চিত করবে।

তবে বর্তমান গ্রাহকদের মধ্য থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক বা গ্রাহককে বিদ্যমান ঋণসুবিধার অতিরিক্ত ২০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দিতে পারবে ব্যাংকগুলো। এর সর্বোচ্চ সীমা ১০ কোটি টাকা।

ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও বর্গাচাষিদের শস্য বা ফসল চাষের জন্য এককভাবে জামানতহীন (শুধু ফসল দায়বন্ধনের বিপরীতে) সর্বোচ্চ দুই লাখ টাকা ঋণ দেয়া যাবে।

গৃহস্থালি পর্যায়ে গাভি পালন, গরু মোটাতাজা খাতে ব্যক্তিগত গ্যারান্টির বিপরীতে ঋণ প্রদানে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

শস্য ও ফসল ঋণ ব্যতীত অন্যান্য খাতের ঋণের ক্ষেত্রে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ন্যূনতম জামানত গ্রহণের বিষয়ে ব্যাংক সিদ্ধান্ত নেবে।

এ তহবিলের ঋণ কোনোভাবেই গ্রাহকের পুরোনো ঋণ সমন্বয়ের জন্য ব্যবহার করা যাবে না।

ঋণখেলাপিরা এ তহবিলের ঋণ নিতে পারবেন না।

ঋণের খাত

কৃষি ও পল্লি ঋণ নীতিমালার অন্তর্ভুক্ত শস্য ও ফসল খাতের আওতাভুক্ত দানা শস্য, অর্থকরী ফসল, শাকসবজি, কন্দাল ফসল ফল ও ফুল চাষ, মৎস্য চাষ, পোলট্রি ও প্রাণিসম্পদ খাত, কৃষি ও সেচ যন্ত্রপাতি, বীজ উৎপাদন খাতসমূহে ঋণ বিতরণ করা যাবে।

৪ শতাংশ সুদে কৃষক পাবেন তিন হাজার কোটি টাকা

আমদানি বিকল্প ফসল, যেমন ডাল, তেলবীজ, মসলাজাতীয় ফসল ও ভুট্টা চাষে গ্রাহক পর্যায়ে ৪ শতাংশ সুদহারে ঋণ বিতরণের পৃথক স্কিম চালু থাকায় এ খাতে বিশেষ তহবিলের এ ঋণ দেয়া যাবে না।

বরাদ্দকৃত তহবিলের ন্যূনতম ৩০ শতাংশ শস্য ও ফসল খাতে বিতরণ নিশ্চিত করতে হবে।

ঋণের মেয়াদ

ব্যাংকগুলো পুনঃঅর্থায়ন গ্রহণের তারিখ থেকে অনধিক ১৮ মাসের (১২ মাস + গ্রেস পিরিয়ড ৬ মাস) মধ্যে আসল এবং বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত ১ শতাংশ সুদ পরিশোধ করবে।

কৃষক বা গ্রাহক পর্যায়ে শস্য বা ফসল খাতে বিতরণকৃত ঋণের সর্বোচ্চ মেয়াদ হবে ১২ মাস। অন্যান্য খাতে বিতরণকৃত ঋণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ মেয়াদ হবে ন্যূনতম ৩ মাস গ্রেস পিরিয়ডসহ ১৮ মাস।

আবেদন পদ্ধতি

ঋণ বিতরণ শুরু করার পর অংশগ্রহণকারী ব্যাংক মাসিক ভিত্তিতে পুনঃঅর্থায়ন দাবি করতে হবে।

তহবিলের জন্য ব্যাংকগুলোকে বিতরণসংক্রান্ত প্রত্যয়নপত্র, বিতরণকৃত ঋণের বিবরণী, পরিশোধের প্রতিশ্রুতিপত্র ও লেটার অব কন্টিনিউটি, সংশ্লিষ্ট অন্যান্য তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষিঋণ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক বরাবর দাখিল করতে হবে।

পরিশোধ পদ্ধতি

বিভিন্ন দফায় ব্যাংকের অনুকূলে ছাড় করা অর্থ সংশ্লিষ্ট দফার মেয়াদ পূর্তির মধ্যেই সুদসহ আসলের সব অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংককে পরিশোধ করতে হবে।

ঋণের বকেয়া নির্ধারিত তারিখের মধ্যে পরিশোধিত না হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের রক্ষিত সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের চলতি হিসাব বিকলন করে তা সমন্বয় করা হবে।

স্কিমের আওতায় প্রদত্ত ঋণের অর্থ বা এর কোনো অংশের সদ্ব্যবহার না হলে বাংলাদেশ ব্যাংক সে পরিমাণ অর্থের ওপর নির্ধারিত হারের অতিরিক্ত ২ শতাংশ হারে সুদ ধার্য করে এককালীন আদায় করবে।

৪ শতাংশ সুদে কৃষক পাবেন তিন হাজার কোটি টাকা
ব্যাংক ও আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক

কোনো ব্যাংক সুদ বেশি নিলে নির্ধারিত ৪ শতাংশ ছাড়াও অতিরিক্ত ১ শতাংশ হারে এককালীন আদায় করা হবে।

বিতরণকৃত প্রতিটি ঋণের জন্য আলাদা হিসাব সংরক্ষণ করতে হবে।

ঋণ বিতরণের পুঞ্জীভূত বিবরণী বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষিঋণ বিভাগে পাক্ষিক ভিত্তিতে (পক্ষ সমাপনান্তে সাত কর্মদিবসের মধ্যে) দাখিল করতে হবে।

আরও পড়ুন:
কৃষিতে ২৮,৩৯১ কোটি টাকা ঋণ দেবে ব্যাংকগুলো

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
The trading ended with the ups and downs of the index

সূচকের উত্থান-পতনে শেষ হলো লেনদেন

সূচকের উত্থান-পতনে শেষ হলো লেনদেন ফাইল ছবি
বুধবার ডিএসইতে ৩৮২ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের দিন থেকে ১১০ কোটি ৬২ লাখ টাকা বেশি লেনদেন হয়েছে। মঙ্গলবার ডিএসইতে ২৭২ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচকের উত্থান-পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। ডিএসইতে টাকার অঙ্কে লেনদেন নামমাত্র বেড়েছে।

বুধবার ডিএসইতে ৩৮২ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের দিন থেকে ১১০ কোটি ৬২ লাখ টাকা বেশি লেনদেন হয়েছে। মঙ্গলবার ডিএসইতে ২৭২ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ১৯৬ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৪৭ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২ হাজার ২০৬পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে ৩০৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮০টির, কমেছে ২৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯৮টির।

আরেক বাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। সিএসইতে ৫ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

আরও পড়ুন:
ফের ২০০ কোটিতে নামল লেনদেন
সূচকের পতনে শেষ হলো লেনদেন
বীর শহীদদের প্রতি ডিএসইর বিনম্র শ্রদ্ধা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Padma Bank money can be withdrawn by scanning the QR code

কিউআর কোড স্ক্যান করে তোলা যাবে পদ্মা ব্যাংকের টাকা

কিউআর কোড স্ক্যান করে তোলা যাবে পদ্মা ব্যাংকের টাকা পদ্মা ব্যাংকের নতুন পরিষেবা হিসেবে যুক্ত হলো কিউআর কোড স্ক্যান করে টাকা উত্তোলন। ছবি: পদ্মা ব্যাংক
‘পদ্মা ওয়ালেট’ অ্যাপে নতুন সার্ভিসটি অন্তর্ভুক্ত করে ডিজিটাল সেবা আরও ত্বরান্বিত করল পদ্মা ব্যাংক। এই ডিজিটাল ও নিরাপদ সেবার আওতায় গ্রাহকরা পদ্মা ব্যাংকের যেকোনো শাখা ও উপশাখা থেকে কার্ড ও চেক বই ব্যবহার না করে দ্রুততার সঙ্গে নগদ টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। এতে নেই স্বাক্ষর যাচাইয়ের ঝামেলা এবং চেক বহন ও হারানোর ঝুঁকি। এতে গ্রাহকের সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় হবে।

স্বাধীনতার চেতনায় স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যাত্রায় আরও এক ধাপ এগিয়ে গেল পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড। স্বাধীনতার মাসে পদ্মা ব্যাংকে চালু হলো কিউআর কোড সেবা। মোবাইল ওয়ালেটের মাধ্যমে কিউআর কোড স্ক্যান করে নগদ টাকা উত্তোলন করা যাবে এখন থেকে।

‘পদ্মা ওয়ালেট’ অ্যাপে নতুন সার্ভিসটি অন্তর্ভুক্ত করে ডিজিটাল সেবা আরও ত্বরান্বিত করল পদ্মা ব্যাংক। এই ডিজিটাল ও নিরাপদ সেবার আওতায় গ্রাহকরা পদ্মা ব্যাংকের যেকোনো শাখা ও উপশাখা থেকে কার্ড ও চেক বই ব্যবহার না করে দ্রুততার সঙ্গে নগদ টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। এতে নেই স্বাক্ষর যাচাইয়ের ঝামেলা এবং চেক বহন ও হারানোর ঝুঁকি। ফলে গ্রাহকের সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় হবে।

সেবাটি পেতে প্রথমেই পদ্মা ওয়ালেট অ্যাপটি গ্রাহকের স্মার্টফোনে ইনস্টল করতে হবে। তারপর প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে পদ্মা ব্যাংকের হিসাবধারীরা লগইন করতে পারবেন। পরের ধাপে পদ্মা ওয়ালেট অ্যাপে দেখানো কিউআর আইকনটি স্পর্শ করে পদ্মা ব্যাংকের যেকোনো শাখা এবং উপশাখায় প্রদর্শিত কিউআর কোড স্ক্যান করে টাকা উত্তোলন করা যাবে।

কিউআর কোড স্ক্যানের মাধ্যমে টাকা উত্তোলনের এই পরিষেবা চালু করায় শতভাগ ডিজিটালাইজেশন নিশ্চিতের পথে এগিয়ে গেল পদ্মা ব্যাংক।

ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক রিয়াজ খান বলেন, ‘প্রযুক্তিভিত্তিক ব্যাংকিং সেবা প্রদানে সবসময় অগ্রগামী পদ্মা ব্যাংক। এবার পদ্মা ওয়ালেট অ্যাপে সংযুক্ত কিউআর কোড স্ক্যান করে নগদ টাকা উত্তোলনের সুবিধা গ্রাহকদের আরও দ্রুত ও নিরাপদে লেনদেনের নিশ্চয়তা দিল।’

ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ বিজনেস অফিসার মোহাম্মদ ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘স্বাধীনতার মাসে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের শপথের সাথে শামিল হয়েছি আমরাও। ভবিষ্যতে আরও উন্নত, আধুনিক ও নিরাপদ প্রযুক্তিভিত্তিক ব্যাংকিং সেবা নিয়ে পদ্মা ব্যাংক দেশের সকল গ্রাহকের পাশে থাকার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ।’

ব্যাংকিং সকল সেবার জন্য আপনার নিকটস্থ পদ্মা ব্যাংকের যেকোনো শাখা ও উপশাখায় যোগাযোগ করতে পারেন অথবা কল করতে পারেন ১৬৬১২ নম্বরে অথবা ভিজিট করুন https://www.padmabankbd.com

আরও পড়ুন:
গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের চান্দিনা শাখা নতুন ঠিকানায় স্থানান্তর
ঢাকা মোটর শো-তে ব্যাপক সাড়া পেল পদ্মা ব্যাংক
বাংলাদশে ব্যাংক-সোনালী ব্যাংকের গ্রিন ট্রান্সফর্মেশন ফান্ড চুক্তি
জন্মবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে রূপালী ব্যাংকের শ্রদ্ধা
জন্মবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ইসলামী ব্যাংকের শ্রদ্ধা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Broiler chicken reduced by Tk 100 per kg

‘ব্রয়লারের দাম কেজিতে কমেছে ১০০ টাকা’

‘ব্রয়লারের দাম কেজিতে কমেছে ১০০ টাকা’ ফাইল ছবি
ক্রেতাদের একবারে বেশি পণ্য ক্রয় ‘প্যানিক বায়িং’ না করার পরামর্শ দিয়ে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘ভোক্তাদের বলবো আপনারা প্যানিক বায়িং করবেন না। বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য আপনাদেরকেও দায়িত্বশীল হতে হবে।’

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তররের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, দেশব্যাপী অভিযান এবং তৎপরতার কারণে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে ১০০ টাকা কমেছে। অন্যান্য বছর রমজান মাসে ভোগ্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা দেখা গেলেও এবার বাজার স্থিতিশীল রয়েছে।

এ এইচ এম সফিকুজ্জামান মঙ্গলবার বলেন, ‘মুরগির দাম অযৌক্তিভাবে বেড়ে যাওয়ায় ২৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছিল। আমরা এর প্রেক্ষিতে দেশব্যাপী অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদেরকে সঙ্গে নিয়ে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করি। এর ফলস্বরুপ পোল্ট্রি মুরগি এখন ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিতে ১০০ টাকা কমেছে।’

তিনি বলেন, ‘রমজানে ভোগ্যপণ্যের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অভিযান পরিচালনা করছে। বাজার স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে পুরো রমজান মাসজুড়ে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। ’

ক্রেতাদের একবারে বেশি পণ্য ক্রয় ‘প্যানিক বায়িং’ না করার পরামর্শ দিয়ে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘ভোক্তাদের বলবো আপনারা প্যানিক বায়িং করবেন না। বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য আপনাদেরকেও দায়িত্বশীল হতে হবে।’

ভোক্তারা কোথাও প্রতারিত হলে ভোক্তা অধিদপ্তরে অভিযোগ দাখিলের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, প্রত্যেকটি অভিযোগের শুনানি করা হবে।

তিনি আরও বলেন, অনেক সময় পোশাকের স্টিকার পরিবর্তন করে বেশি দামে বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া যায়। কিন্তু এবারের ঈদে যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে-এজন্য আমরা আগামী বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের নিয়ে বৈঠক করব। কোনো বিক্রেতার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের সত্যতা মিললে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ব্রয়লার মুরগির দাম বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে সম্প্রতি জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর চারটি বড় পোল্ট্রি কোম্পানি কাজী ফার্মস লিমিটেড, সিপি বাংলাদেশ, আফতাব বহুমুখী ফার্মস লিমিটেড এবং প্যারাগন পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি লিমিটেডের সঙ্গে বৈঠক করে। সেখানে এই চার কোম্পানি মুরগির দাম কমানোর ঘোষণা দেয়। এরপর খুচরা পর্যায়ে পোল্ট্রি মুরগি দাম কমতে শুরু করে।

আরও পড়ুন:
ব্রয়লারের দামে রেকর্ডের কারণ কী
ব্রয়লার মুরগির মাংস ঝুঁকিপূর্ণ নয়: কৃষিমন্ত্রী
ব্রয়লার মুরগি খাওয়ার ক্ষতিকারক দিক
ব্রয়লারের দামে ধস, হতাশ খামারিরা
ব্রয়লার নিয়ে কৃষিমন্ত্রীর দুঃখ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Ramadan gifts for children from Bengal Group

বেঙ্গল গ্রুপের পক্ষ থেকে শিশুদের জন্য রমজানের উপহার

বেঙ্গল গ্রুপের পক্ষ থেকে শিশুদের জন্য রমজানের উপহার মাহে রমজান উপলক্ষে বেঙ্গল গ্রুপের পক্ষ থেকে কিছু উপহার মাস্তুল ফাউন্ডেশনের এতিমখানার শিশুদের মধ্যে বিতরণ করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
মাস্তুল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কাজী রিয়াজ রহমান বলেন, আমরা খুবই আনন্দিত বেঙ্গল গ্রুপকে আমাদের পাশে পেয়ে। আমরা সবসময় তাদের পাশে চাই।

পবিত্র মাহে রমজান এবং স্বাধীনতা দিবসকে স্মরণীয় করে রাখতে বেঙ্গল গ্রুপের পক্ষ থেকে কিছু উপহার মাস্তুল ফাউন্ডেশনের এতিমখানার শিশুদের মধ্যে বিতরণ করা হয়।

২৬ মার্চ এবং পবিত্র রমজানের দিনগুলোকে আরও উৎসবমুখর করতে বেঙ্গল গ্রুপ এগিয়ে এসেছে মাস্তুল ফাউন্ডেশনের এতিমখানার শিশুদের জন্য উপহার নিয়ে। মাস্তুল ফাউন্ডেশনের এতিম শিশুরা, ধন্যবাদ জানাতে একটি ছোট অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানটি শুরু হয় কোরআন তিলাওয়াত এর মধ্য দিয়ে।

অনুষ্ঠানে বেঙ্গল পলিমার ওয়্যারস লিমিটেডের ডিজিএম জোহেব আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, আমরা খুবই আনন্দিত হয়েছি এই এতিম শিশুদের পাশে থাকতে পেরে।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্র্যান্ড ম্যানেজার সমীর কুমার এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ মুস্তাফিজুর রহমান।

মাস্তুল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কাজী রিয়াজ রহমান বলেন, আমরা খুবই আনন্দিত বেঙ্গল গ্রুপকে আমাদের পাশে পেয়ে। আমরা সবসময় তাদের পাশে চাই। মাস্তুল ফাউন্ডেশন বরাবরের ন্যায় এ রমজানেও ১ লক্ষ অসহায় রোজাদারদের ইফতার করানোর লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।

বেঙ্গল গ্রুপ বাংলাদেশের একটি শীর্ষস্থানীয় শিল্প গোষ্ঠী। বেঙ্গল গ্রুপ সমাজের সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায়ের উন্নতির জন্য অনুরূপ সি.এস.আর কার্যক্রম বরাবর করে থাকে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The transaction again fell to 200 crores

ফের ২০০ কোটিতে নামল লেনদেন

ফের ২০০ কোটিতে নামল লেনদেন ডিএসইতে লেনদেন। ফাইল ছবি
ডিএসই-তে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্য দিবসে মঙ্গলবার সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এর মাধ্যমে টানা দু’দিন পতন দেখল পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা। সূচকের সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও।

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টানা পতন চলছে। সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্য দিবসে সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এর মাধ্যমে টানা দু’দিন পতন দেখল পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা। সূচকের সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও।

ডিএসই’র তথ্যমতে, মঙ্গলবার ১০ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট সূচক কমে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন ডিএসইতে ২৭২ কোটি ৫ লাখ ৫১ হাজার টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে। এটা আগের দিনের চেয়ে ৪৫ কোটি ৫৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকা কম। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩১৭ কোটি ৬০ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এর আগে ২৩ মার্চ পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছিল ২৮৬ কোটি ৯৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকার শেয়ার।

তথ্যমতে, মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৮৫টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ২৮টির এবং কমেছে ৫৬টির। শেয়ার দর পরিবর্তন হয়নি ২০১টির।

এদিন ডিএসইতে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের শেয়ার কেনাবেচায় কদর সবচেয়ে বেশি ছিল। সে সুবাদে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনের শীর্ষে স্থান পায়। এদিন ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ২০ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।

লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ইউনিক হোটেল ১৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকা, সী পার্ল বিচ ১৮ কোটি ২২ লাখ টাকা, আরডি ফুড ১২ কোটি ১৬ লাখ টাকা, জেনেক্স ইনফোসিস ১২ কোটি ৯ লাখ টাকা, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ৯ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা, শাইনপুকুর ৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, আলহাজ্ব টেক্সটাইল ৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা এবং আমরা নেটওয়ার্ক ৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।

অপর শেয়ারবাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ২২ লাখ টাকা শেয়ার। আগের কার্যদিবস সোমবার ৭ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।

এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১০১টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ১৯টির, কমেছে ৩৪টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৪৮টির।

আরও পড়ুন:
বিনিয়োগ সীমার নিচের ব্যাংকগুলোতে কঠোর হচ্ছে বিএসইসি
রমজানে পুঁজিবাজারে লেনদেনের নতুন সময়সূচি
পুঁজিবাজার: এক মাস পর লেনদেন ফের ৩০০ কোটির ঘরে
সূচকের সঙ্গে কমেছে লেনদেনও
সপ্তাহের শেষ দিনে সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Not more than 3 directors from one family in the bank

ব্যাংকে এক পরিবার থেকে ৩ জনের বেশি পরিচালক নয়

ব্যাংকে এক পরিবার থেকে ৩ জনের বেশি পরিচালক নয় মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিং করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান। ছবি: নিউজবাংলা
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. মাহমুদুল হোসাইন খান জানান, বর্তমানে এক পরিবার থেকে চারজন পরিচালক থাকতে পারার বিধান রয়েছে। মন্ত্রিসভার বৈঠকে এটা পরিবর্তন করে সর্বোচ্চ ৩ জন করার বিধান রেখে ব্যাংক কোম্পানি (সংশোধন) আইন ২০২৩-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

কোনো ব্যাংকে এক পরিবার থেকে তিনজনের বেশি পরিচালক না থাকার বিধান রেখে ব্যাংক কোম্পানি (সংশোধন) আইন ২০২৩-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মঙ্গলবার মন্ত্রিসভা কমিটির এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

সভা শেষে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. মাহমুদুল হোসাইন খান।

তিনি বলেন, বর্তমানে এক পরিবার থেকে চারজন পরিচালক থাকতে পারার বিধান রয়েছে। এটা পরিবর্তন করে এখন সর্বোচ্চ ৩ জন করা হয়েছে।

এছাড়া ভূমি উন্নয়ন কর আইন ২০২২-এর খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়েছে আজকের মন্ত্রিসভায়। পাশাপাশি বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে একাদশ জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের খসড়া অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন:
সমুদ্রে যেতে নৌযানের লাগবে নিবন্ধন
মন্ত্রিসভার ৬৬ ভাগ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন
‘আদালতের অনুমতি ছাড়া চারিত্রিক বিষয়ে প্রশ্ন নয়’
রুয়ান্ডার সঙ্গে সরাসরি ফ্লাইটে মন্ত্রিসভার সায়
পদ্মা সেতু উদ্বোধনে সিলেটে উৎসব নয়

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Market surveillance should be increased CPD

বাজারে নজরদারি বাড়াতে হবে: সিপিডি

বাজারে নজরদারি বাড়াতে হবে: সিপিডি ফাইল ছবি
সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘জীবনযাত্রার ব্যয় ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে। ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েই যাচ্ছে। পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কমছে, কিন্তু সেগুলোর সুফল আমরা পাচ্ছি না। শুধু বিদেশি পণ্য নয়, দেশি পণ্যের দামও বেড়ে যাচ্ছে। দাম বাড়ার অনেক কারণ দেখানো হয়, এর কোনোটা যৌক্তিক কোনোটা যৌক্তিক নয়।

বাজার ব্যবস্থাপনার মান বাড়িয়ে দ্রব্যমূল্য কমিয়ে মানুষকে স্বস্তি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সিপিডি। তারা বলেছে, বিশ্ববাজারের দোহাই দেয়া হলেও অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশে অনেক পণ্যের দাম বেশি। বাজারে পণ্য নিয়ে যারা কারসাজি করে তাদের ওপর নজরদারি বাড়াতে হবে।

নতুন ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বাজেট সামনে রেখে সোমবার এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এ পরামর্শ দিয়েছে।

অনুষ্ঠানে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘জীবনযাত্রার ব্যয় ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলেছে। ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েই যাচ্ছে। পণ্যের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে কমছে, কিন্তু সেগুলোর সুফল আমরা পাচ্ছি না। শুধু বিদেশি পণ্য নয়, দেশি পণ্যের দামও বেড়ে যাচ্ছে। দাম বাড়ার অনেক কারণ দেখানো হয়, এর কোনোটা যৌক্তিক কোনোটা যৌক্তিক নয়।

‘আমাদের যে বাজার ব্যবস্থাপনা, যে করের ব্যবস্থাপনা, সেখানে কমিয়ে এনে কিছুটা স্বস্তি দেয়া যেতে পারে। এছাড়া বাজার ব্যবস্থাপনা বলতে যেটা থাকার কথা, সেটা আমরা দেখছি না। যার ফলে যেকোনো সংকট হলে, সেটার সুযোগ নেয়া হচ্ছে।’

এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘খোলা বাজারে পণ্য বিক্রি বাড়ানো দরকার। আর এই পণ্য যাদের দরকার তারা যেন পায়। আরও বেশি পণ্য বিক্রি করা দরকার। প্রতিযোগিতা কমিশনের কাজ বাড়াতে হবে। বাজারে পণ্য নিয়ে যারা কারসাজি করে তাদের ওপর নজরদারি বাড়াতে হবে।

‘প্রতিযোগিতা আইনকে শক্তিশালী করে একচেটিয়া ব্যবসাকে ঠেকাতে হবে। প্রত্যক্ষ অর্থ সহায়তা দেয়া দরকার, যেন সেটা গরিব মানুষের হাতে যায়।’

ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘আমরা ২৮টি পণ্য পেয়েছি, যেগুলোর ওপর কর কমাতে হবে। যদিও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বলবে কর আহরণ কমে যাবে। তবু আমরা মনে করি, কর কমিয়ে জনগণকে স্বস্তি দিলে সেটা সামগ্রিক কর আহরণে তেমন একটা প্রভাব ফেলবে না।’

সিপিডির নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘বাংলাদেশে চালের দাম থাইল্যান্ড অথবা ভিয়েতনামের চেয়ে বেশি। সয়াবিন তেলের দাম বিশ্ববাজারে নিচের দিকে। কিন্তু বাংলাদেশে বেশি আছে। বাংলাদেশে চিনির দাম বিশ্ব বাজারের তুলনায় বেশি। আমরা গুরুর মাংস আমদানি করি না। তারপরও বাংলাদেশে গুরুর মাংসের দাম বিশ্ব বাজারের তুলনায় বেশি। আমরা যে সবসময় বিশ্ববাজারকে দোষ দেব সেটা নয়।’

ফাহমিদা খাতুন বলেন, ‘আমরা হিসাব করে দেখেছি, ঢাকা শহরে চার সদস্যের একটি পরিবার যদি পুরো মাস ভালো খায়, তাহলে তাদের খরচ হবে ২২ হাজার ৬৬৪ টাকা। কিন্তু বেশির ভাগ খাতেই যারা কাজ করছেন তাদের আয় এই খরচের তুলনায় কম। যদিও মূল্যস্ফীতির হার কম, কিছু কিছু পণ্যের দাম বেড়ে গেছে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ। মূল্যস্ফীতির সঙ্গে বাজারের পণ্যের দামের মিল নেই। আমরা দেখেছি বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের দাম গড়ে ২৪ শতাংশ বেড়েছে।’

আরও পড়ুন:
সূচকের পতনে শেষ হলো লেনদেন
বীর শহীদদের প্রতি ডিএসইর বিনম্র শ্রদ্ধা
ময়মনসিংহে এক মাসে কেজিতে ৮০ টাকা বাড়ল ব্রয়লারের দাম

মন্তব্য

p
উপরে