× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Salil Samadhi of bright future
google_news print-icon

উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সলিল সমাধি

উজ্জ্বল-ভবিষ্যতের-সলিল-সমাধি
পানিতে ডুবে প্রাণ হারানো দুই বোন রিচি ও রিয়া। ছবি: নিউজবাংলা
বাবা সোলায়মান মিয়া জানান, দুই বোন লেখাপড়ায় ছিল খুবই মনোযোগী। প্রতিটি শ্রেণিতে তারা প্রথম হতো। রিচি সমাপনী পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে। নবম শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়েছিল।

পড়ার টেবিলে সাজানো আছে বই, আলনায় স্কুলের ইউনিফর্ম। তবে এগুলো আর কোনো কাজে আসবে না রিচি ও রিয়ার।

খালে গোসলে গিয়ে দুই বোনেরই একসঙ্গে মৃত্যু হয়েছে। এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না পরিবার। সান্ত্বনা জানাতে এসে স্বজনরাও কান্নায় ভেঙে পড়ছেন।

১৪ বছরের সাদিয়া আক্তার রিচি ছিল ভাওয়াল মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ও নয় বছরের রিয়া আক্তার শম্পা মডেল অ্যাকাডেমির তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

তাদের বাড়ি গাজীপুর সদর উপজেলার ভাওয়াল মির্জাপুর ইউনিয়নের পানশাইল গ্রামে।

দুই বোনের মা আকলিমা বেগম বলেন, ‘দুই মেয়েকে কখনও একা কোথাও যেতে দেই নাই। আত্মীয়দের বাড়িতে কিংবা মার্কেটে গেলেও তাদের সঙ্গে যেতাম। সোমবার দুপুরে বাড়ির পাশের খালে গোসল করতে যাওয়ার বায়না ধরে দুই মেয়ে। আমি বারবার তাদের বারণ করেছিলাম।

‘খালের পানি আমার দুইটা নয়নের মনিকে কেড়ে নিয়ে গেছে। আমার তো আর কেউ রইল না৷ আমি কীভাবে বাঁচব?’

বাবা সোলায়মান মিয়া জানান, মেয়েদের বড় মামা একজন প্রকৌশলী। ছোটবেলা থেকেই মামাকে দেখে প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন রিচি। রিচির দেখাদেখি ছোট বোন রিয়াও স্বপ্ন দেখতেন প্রকৌশলী হওয়ার।

দুই বোন লেখাপড়ায় ছিল খুবই মনোযোগী। প্রতিটি শ্রেণিতে তারা প্রথম হতো। রিচি সমাপনী পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে। নবম শ্রেণিতে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হয়েছিল।

স্থানীয় দোকানি অতল চন্দ্র দাস বলেন, ‘ছোট মেয়েটা চঞ্চল প্রকৃতির হলেও বড় মেয়ে রিচি ছিল খুবই শান্ত। এভাবে মেয়ে দুইটা দুনিয়া থেকে হারায়ে যাবে ভাবিনি। বারবার তাদের চেহারা ভেসে উঠছে।’

গত সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে প্রতিবেশীদের সঙ্গে বাড়ির পাশের লবণদহ খালে গোসল করতে যায় দুই বোন। হঠাৎ স্রোতের টানে ভেসে যেতে থাকে রিচি। তাকে বাঁচাতে পানিতে ঝাঁপ দেয় রিয়া। তাদের বাঁচাতে ডুবে যায় প্রতিবেশী দুই কিশোরী আইরিন আক্তার ও মায়া আক্তারও।

স্থানীয় লোকজন এক ঘণ্টা পর রিচির মরদেহ উদ্ধার করে। ফায়ার সার্ভিস বিকেল সোয়া ৪টার দিকে উদ্ধার করে আইরিন ও মায়ার মরদেহ। এরপর মঙ্গলবার বিকেলে ভেসে ওঠে রিয়ার মরদেহ।

আইরিন ও মায়ার বাড়িও শোকে স্তব্ধ হয়ে আছে। তারা কোনো গণমাধ্যমকর্মীর সঙ্গে কথা বলতে চাননি।

আরও পড়ুন:
আত্রাইয়ে নিখোঁজ দম্পতির মরদেহ উদ্ধার
পুনর্ভবায় ডুবল খালা-ভাগনে
বিলে ডুবে কলেজছাত্রের মৃত্যু
৪ শিশুর ডুবে মৃত্যু, নিখোঁজ ২
সাগরে গোসলে নেমে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের মৃত্যু

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Bike rider killed in bus accident 2 buses set on fire by excited crowd

বাসের রেষারেষিতে বাইক আরোহী নিহত, দুই বাসে আগুন

বাসের রেষারেষিতে বাইক আরোহী নিহত, দুই বাসে আগুন বাইক আরোহী নিহতের ঘটনায় দুই বাসে আগুন দেন সংক্ষুব্ধ লোকজন। ছবি: নিউজবাংলা
আশুলিয়া থানার এসআই মাসুদ আল মামুন জানান, এ ঘটনায় একটি বাসের চালককে আটক করা হয়েছে। পুড়িয়ে দেয়া বাস দুটিকে রেকার দিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। এ সময় সড়কটিতে যান চলাচল কিছুটা বিঘ্নিত হয়েছে।

ঢাকার সাভারে দুই বাসের রেষারেষিতে এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আগুন দিয়ে দুটি বাস পুড়িয়ে দিয়েছেন বিক্ষুব্ধরা।

টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের জিরাবো বেঙ্গল প্লাস্টিক কারখানার সামনে রোববার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুর্ঘটনায় আর কেউ হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিহত ২৫ বছর বয়সী মেহেদী হাসান রাজধানীর ডেমরা থানার থুলথুলিয়া এলাকার মাজেদ ওরুফে বাহারুলের ছেলে। তিনি ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে কাজ করতেন।

প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে জিরাবো ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার কবির হোসেন জানান, সকালে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কে আলী নুর পরিবহনের দুটি বাস রেষারেষি করে আবদুল্লাহপুরের দিকে যাচ্ছিল। ওই সময় বিপরীত দিক থেকে বাইপাইলের দিকে আসা এক মোটরসাইকেল আরোহী একটি বাসের চাপায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন। ওই সময় উপস্থিত উত্তেজিত লোকজন বাস দুটিতে আগুন ধরিয়ে দেন। খবর পেয়ে দ্রুত এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট।

আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ আল মামুন জানান, এ ঘটনায় একটি বাসের চালককে আটক করা হয়েছে। পুড়িয়ে দেয়া বাস দুটিকে রেকার দিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। ওই সময় সড়কটিতে যান চলাচল কিছুটা বিঘ্নিত হয়েছে।

আরও পড়ুন:
ফ্লাইওভারে মোটরসাইকেল আরোহী শিক্ষার্থী নিহত
‘পোলাডা ১২ দিনের ছুটি পাইয়া চির ছুটিতে চইলা গেল’
যাত্রাবাড়ীতে ‘বাড়িওয়ালার কিল-ঘুষিতে’ মারা গেলেন যুবক
শাহজাদপুরে অটোরিকশাকে চাপা ট্যাংকলরির, নিহত ২
সৌদিতে বাস উল্টে নিহতদের মধ্যে ৮ জন বাংলাদেশি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Case against 859 leaders and activists of BNP in Khulna

খুলনায় সংঘর্ষ: বিএনপির ৮৫৯ নেতা-কর্মীর নামে মামলা

খুলনায় সংঘর্ষ: বিএনপির ৮৫৯ নেতা-কর্মীর নামে মামলা খুলনায় সংঘর্ষে আহত একজনকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত
খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য (মিডিয়া সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত) মিজানুর রহমান মিলটন বলেন, ‘শনিবারের এ কর্মসূচির আগে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ নেতা-কর্মীকে বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাংবিধানিকভাবে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি পালনের অধিকার আছে, কিন্তু পবিত্র রমজান মাসে রোজাদার বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর নারকীয় তাণ্ডব কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। দমন-নিপীড়ন করে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।’

খুলনায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির সংঘর্ষের ঘটনায় ৮৫৯ নেতা-কর্মীকে আসামি করে মামলা হয়েছে। এতে ৫৯ জনকে এজাহারভুক্ত ও ৭০০ থেকে ৮০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

এ মামলায় এজাহারভুক্ত প্রথম সাতজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।

খুলনার সদর থানায় শনিবার রাতে এসআই অজিত কুমার দাস বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল-মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন খুলনার রূপসা উপজেলার যুগিহাটি গ্রামের ২৩ বছর বয়সী ইশারাত ইসলাম, দিঘলিয়া উপজেলার চন্দ্রদিঘলিয়া গ্রামের ৪৭ বছর বয়সী শেখ কামাল উদ্দিন, মহানগরীর রুপসা স্ট্যান্ড রোডের ৩৫ বছর বয়সী মো. জালাল হোসেন, রূপসা উপজেলার চর রুপসা গ্রামের ২৮ বছর বয়সী মো. রাজু শেখ, মহানগরীর খানজাহান আলী থানার ফুলবাড়ি গেট এলাকার ৪৬ বছর বয়সী আব্দুল হাই রুমি, ৩৪ বছর বয়সী দেলোয়ার হোসেন জসিম ও ফুলতলা উপজেলার পয়গ্রাম গ্রামের ৩২ বছর বয়সী মিজানুর রহমান। তাদের কাছ থেকে ১৫ টুকরো ভাঙা ইটের খণ্ড, ৯টি কাঠের আছাড়ি ও ৭টি লোহার রড জব্দ দেখানো হয়েছে।

মামলায় পলাতক আসামিদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমির এজাজ খান, সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পি, খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম তুহিন, যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম জহির।

এজাহারে বলা হয়, শনিবার বিকেল ৩টায় খুলনা থানাধীন কে ডি ঘোষ রোডে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপির উদ্যোগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হচ্ছিল। আকস্মিকভাবে বিএনপির নেতা-কর্মীরা লাঠিসোঁটা, লোহার রড, কাঠের বাতা, ইট-পাটকেল, দেশীয় অস্ত্র ও বাঁশের লাঠি নিয়ে মিছিলসহ সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে জনমনে ভীতি, দোকানপাট ভাঙচুর করতে উদ্যত হন। তারা যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি ও শান্তি-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে চরম মারমুখী অবস্থায় পুলিশের কর্তব্যকাজে বাধা দেন। ওই সময় তারা পরিকল্পিতভাবে পুলিশের ওপর হামলা করে গুরুতর ও সাধারণ জখম করেন। সে সময় সরকারি অস্ত্র ও জানমাল রক্ষার্থে তাদের ওপর ১৪টি লং সেল গ্যাস গান, ৬টি শর্ট সেল গ্যাস গান, ৩০টি শর্টগানের রাবার বুলেট, ৫টি সিসা বুলেট ও তিনটি গ্রেনেড ফায়ার করে পুলিশ।

এজাহার অনুযায়ী, বিএনপির নেতা-কর্মীদের হামলায় সেখানে দায়িত্বরত এসআই মো. সাইদুর রহমান, মো. আব্দুল হাই, মো. অলিয়ার রহমান, সনজিত কর্মকার, মো. শান্তিরাম পাল, মো. আব্দুস সালাম, মো. শাকিম হোসেন, মো. রিপন শেখ, নায়েক তুহিন ও এসএএফ মো. শাহিন রক্তাক্ত জখম হন।

শনিবার দুপুরে ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে খুলনায় অবস্থান কর্মসূচি পালনের কথা ছিল বিএনপির।

খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য (মিডিয়া সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত) মিজানুর রহমান মিলটন বলেন, ‘আমাদের কর্মসূচি পণ্ড করতে বেলা ১১টা থেকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশ উপস্থিত হতে থাকে। দুপুর ২টার দিকে নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করলে পুলিশ হঠাৎ করে লাঠিপেটা, টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ শুরু করে। প্রায় ২ ঘণ্টাব্যাপী নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়।’

তিনি বলেন, ‘টিয়ারশেল ও রাবার বুলেটে ঘাটভোগ ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ কবির শেখ, রূপসা উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব রুবেল মীর, বটিয়াঘাটা উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব বাহাদুর মুন্সী, ডুমুরিয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহিন মোল্লা, ডুমুরিয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক তামিম মোল্লা, খুলনা জেলা যুবদলের সাজু হাওলাদার, খুলনা জেলা ছাত্রদলের মনিরুজ্জামান নয়ন হাওলাদার, ইয়াসিন, ফিরোজ মাহমুদ, ইসমাইল হোসেন, ইবাদুল হক রুবায়েত, ইস্তিয়াক আহমেদ ইস্তিসহ ১৫ থেকে ২০ গুরুতর আহত হয়েছেন।’

মিলটন আরও বলেন, ‘শনিবারের এ কর্মসূচির আগে ২৪ ঘণ্টায় ১৬ নেতা-কর্মীকে বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাংবিধানিকভাবে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি পালনের অধিকার আছে, কিন্তু পবিত্র রমজান মাসে রোজাদার বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর নারকীয় তাণ্ডব কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। দমন-নিপীড়ন করে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।’

আরও পড়ুন:
মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানিদের দোসর ছিলেন জিয়া: তথ্যমন্ত্রী
ইসির চিঠি অতীতের মতো ভোট করার নতুন কৌশল: ফখরুল
বিএনপিকে ইসির আমন্ত্রণ হঠাৎ নয়: কমিশনার
বিএনপিকে আলোচনার আহ্বান জানিয়ে সিইসির চিঠি
বিনা পরোয়ানায় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার বন্ধ চায় বিএনপি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Heavy rain in Chittagong

একপশলা বৃষ্টিতেই বন্দর নগরে হাঁটুপানি

একপশলা বৃষ্টিতেই বন্দর নগরে হাঁটুপানি একপশলা বৃষ্টিপাতে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা। ছবি: নিউজবাংলা
চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার একাধিক প্রকল্প চলমান থাকলেও আলোর মুখ দেখেনি কোনোটিই। হাজার হাজার কোটি টাকার এসব প্রকল্পের সুফল পাচ্ছেন না নগরবাসীরা।

একপশলা বৃষ্টিপাতে জলাবদ্ধতায় তলিয়ে গেছে চট্টগ্রাম নগরী। জলাবদ্ধতার কারণে শনিবার চরম দুর্ভোগে পড়েন জরুরি প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হওয়া সাধারণ মানুষ।

এদিক সকাল ৬ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত বৃষ্টিতে চকবাজার, মুরাদপুর, হালিশহর,সঙ্গীত-হামজারবাগ, বহদ্দারহাটসহ বন্দর নগরের বিভিন্ন এলাকায় হাঁটু পরিমাণ পানি জমে থাকতে দেখা গেছে।

সকাল ১০ টায় নগরীর বহদ্দারহাট এলাকা থেকে নিউমার্কেট যাচ্ছিলেন আব্দুল কাইয়ুম নামের একজন। তিনি বলেন, ‘একটু বৃষ্টি হলেই শহরে জলাবদ্ধার সৃষ্টি হয়। চালকরা গাড়ি চলানো বন্ধ করে দেন। সড়কে গাড়ি কম থাকে। সেই সুযোগে যেসব গাড়ি চলাচল করে, সেসবে বেশি ভাড়া আদায় করা হয়। এখানে এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও এখনও কোনো গাড়ি পাইনি। তাছাড়া অনেক মানুষ আমার মত গাড়ি না পেয়ে এখানে দাঁড়িয়ে আছে। ‘

এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ৩৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে নগরীর আমবাগান আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়া পর্যবেক্ষক বিজন কুমার বলেন, ‘এখন যে বৃষ্টিপাত হচ্ছে সেটা সিজনাল, মৌসুমী বায়ু প্রবাহের কারণে এটা হচ্ছে। আট দিন আগে থেকেই এই বৃষ্টিপাত নিয়ে পূর্বাভাস দেয়া হচ্ছে। শনিবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় ৩৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।’

চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার একাধিক প্রকল্প চলমান থাকলেও আলোর মুখ দেখেনি কোনোটিই। হাজার হাজার কোটি টাকার এসব প্রকল্পের সুফল পাচ্ছেন না নগরবাসীরা।

চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে গত পাঁচ বছর ধরে ১০ হাজার ৯২১ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪টি প্রকল্পের কাজ করছে তিনটি সরকারি সংস্থা। এর মধ্যে ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকার সবচেয়ে বড় প্রকল্পটি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) হাতে। ‘চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে খাল পুনঃখনন, সম্প্রসারণ, সংস্কার ও উন্নয়ন’ নামের এই প্রকল্পে এরইমধ্যে খরচ হয়েছে ২ হাজার ২৭০ কোটি টাকা।

জলাবদ্ধতা নিরসনে আরেকটি বড় প্রকল্প কর্ণফুলী নদীর তীর বরাবর কালুরঘাট সেতু থেকে চাক্তাই খাল পর্যন্ত সড়ক নির্মাণও সিডিএর হাতে। দুই হাজার ৩১০ কোটি টাকার এই প্রকল্পে ইতোমধ্যে খরচ হয়েছে ১ হাজার ৭০ কোটি টাকা। তারপরও বর্ষা মৌসুমে এর সুফল পাচ্ছেন না নগরবাসী।

এসব প্রকল্পের পুরোপুরি সুফল পেতে প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘এটা অনেক লম্বা স্টোরি। তবে যেটা বলা যায়, তা হলো প্রকল্পগুলো পুরোপুরি বাস্তবায়ন হলে তবেই এর সুফলতা পাওয়া যাবে।’

আরও পড়ুন:
২০ ঘণ্টা পর তুলার গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে
চট্টগ্রামে আগুন নিয়ন্ত্রণে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী
চট্টগ্রামে ট্রেনে বাসের ধাক্কা, নিহত ৩
গ্রাহকের ছুরিকাঘাতে এনজিও কর্মকর্তার মৃত্যু
ব্যানারে আড়াল চবির ফটক

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The patients family apologized for cutting the uterus during surgery in Faridpur

ফরিদপুরে অস্ত্রোপচারে জরায়ু কাটার অভিযোগ তুলে ক্ষমা চাইল রোগীর পরিবার

ফরিদপুরে অস্ত্রোপচারে জরায়ু কাটার অভিযোগ তুলে ক্ষমা চাইল রোগীর পরিবার ফরিদপুর মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতাল। ছবি: সংগৃহীত
ফরিদপুরের মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের ডা. কল্যাণ কুমার সাহা বলেন, ‘ওটিতে নেবার পর রোগীর অবস্থা ভাল ছিল না। মা ও সন্তানের মধ্যে একজনকে বাঁচানোর অবস্থা তৈরি হয়। তখনও রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলি। কাকে বাঁচাবো মতামত নিই। এরপর অস্ত্রোপচার সঠিক হয়। একটি ছেলে সন্তান হয়। সন্তান সুস্থ ছিল। কিন্তু তখনও মায়ের রক্তক্ষরণ বন্ধ হচ্ছিল না। তখনও আমরা রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলি ও দ্রুত রক্ত জোগাড় করতে বলি। একপর্যায়ে মাকে বাঁচাতে তার জরায়ু কাটতে বাধ্য হই। এখন মা ও সন্তান সুস্থ আছেন। এখানে ভুল অস্ত্রোপচার কোথায় বলুন?’

ফরিদপুরে ভুল অস্ত্রোপচারে প্রসূতির জরায়ু কেটে ফেলার অভিযোগটি সঠিক নয় জানিয়ে সবার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন রোগীর পরিবারের সদস্যরা।

অভিযোগটির বিষয়ে হাসপাতাল ও ডাক্তারের কোনো প্রকার দায় নেই জানিয়ে হাসপাতালে গণমাধ্যমের কাছে শনিবার একটি অঙ্গিকারনামা পাঠিয়েছেন প্রসূতির শ্বশর ফরিদপুর সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল ইউনিয়নের গেন্দু মোল্লার হাটের রফিক মোল্যা।

এর আগে গত ২৪ মার্চ সন্ধ্যায় রফিক মোল্যা তার পুত্রবধূকে নিয়ে শহরের মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের জন্য ভর্তি হন। সেখানে রাতে একটি ছেলে সন্তান জন্ম দেন পুত্রবধূ। অস্ত্রোপচারের সময় রোগী ও সন্তানকে বাঁচাতে প্রসূতির পরিবারের সম্মতিতে তার জরায়ু কেটে ফেলেন ডাক্তার। এ ঘটনায় দেশের বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় ফরিদপুরে ‘ভুল অস্ত্রোপচারে প্রসূতির জরায়ু কেটে ফেলার অভিযোগ’ এ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়।

যা ভুল বলে অঙ্গিকারনামায় রফিক মোল্লা বলেন, ‘আমি গ্রামের সহজ সরল কৃষক। আমার পুত্রবধূর অস্ত্রোপচারের পর তার জরায়ু অপসারণের বিষয়টিকে একটি মহল ভুলভাবে আমার কাছে উপস্থাপন করে। আমি অন্যের প্ররোচনায় বিষয়টি প্রথমে মিডিয়ার সামনে তুলে ধরলে তারা সংবাদ প্রকাশ করে। এর ফলে হাসপাতালের সুনামের যে ক্ষতি হয়েছে এজন্য আমি জাতির কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’

ফরিদপুরে অস্ত্রোপচারে জরায়ু কাটার অভিযোগ তুলে ক্ষমা চাইল রোগীর পরিবার
ফরিদপুরে ভুল অস্ত্রোপচারে প্রসূতির জরায়ু কেটে ফেলার অভিযোগটি সঠিক নয় বলে স্বীকারোক্তিনামা দিয়েছেন প্রসূতির শ্বশুর রফিক মোল্যা। ছবি:সংগৃহীত

তিনি আরও বলেন, ‘সংবাদকর্মীরা সংবাদে ডাক্তার বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য নেননি। তাদের বক্তব্য নিলে আমার ভুল তথ্য উপস্থাপনের সঠিক ব্যাখ্যা পাওয়া যেত। এখন আমার পুত্রবধূ ও নাতি সুস্থ আছে। এ হাসপাতালেই তারা চিকিৎসা নিচ্ছে। আমার কোনো অভিযোগ নেই, আমি অন্যের প্ররোচনায় পরে মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলাম, আমি ক্ষমা চাই।’

অস্ত্রোপচারের পূর্বে বন্ড সই করা রফিকের জামাতা সোহান শরীফ বলেন, ‘অস্ত্রোপচারের পূর্বে আমিই স্বাক্ষর করি। অস্ত্রোপচার চলার সময় ওটি রুম থেকে কয়েকবার রোগীর অবস্থা সম্পর্কে আমাদের সঙ্গে পরামর্শ করা হয়। রোগীর প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে তাই রক্ত জোগাড় করতে বলেন। কিন্তু আমরা না বুঝেই ডাক্তারকে দোষারোপ করতে থাকি।’

ওই হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে প্রসূতি মা রিক্তা বলেন, ‘আমি ও আমার সন্তান সুস্থ আছি। কোথায় কি হয়েছে আমি কিছুই জানি না। শুধু এটুকু জানি জীবনের চেয়ে বড় মূল্যবান কিছু নেই।’

প্রসূতির অস্ত্রোপচার করেন ডা. কল্যাণ কুমার সাহা ৷ তিনি মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে সপ্তাহে দুইদিন শুক্রবার ও শনিবার চেম্বার ও ওটি করেন। তিনি মূলত ঢাকার পিজি হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের ডাক্তার।

ডা. কল্যাণ কুমার সাহা বলেন, ‘ওটিতে নেবার পর রোগীর অবস্থা ভাল ছিল না। মা ও সন্তানের মধ্যে একজনকে বাঁচানোর অবস্থা তৈরি হয়। তখনও রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলি। কাকে বাঁচাবো মতামত নিই। এরপর অস্ত্রোপচার সঠিক হয়। একটি ছেলে সন্তান হয়। সন্তান সুস্থ ছিল। কিন্তু তখনও মায়ের রক্তক্ষরণ বন্ধ হচ্ছিল না। তখনও আমরা রোগীর স্বজনদের সঙ্গে কথা বলি ও দ্রুত রক্ত জোগাড় করতে বলি। একপর্যায়ে মাকে বাঁচাতে তার জরায়ু কাটতে বাধ্য হই। এখন মা ও সন্তান সুস্থ আছেন। এখানে ভুল অস্ত্রোপচার কোথায় বলুন?’

মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক মানিক চৌধুরী বলেন, ‘বিভিন্ন মিডিয়াতে যে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে তাতে ডাক্তার বা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো মতামত বা বক্তব্য নেই। একটি অসম্পূর্ণ তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে আমার প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। যা আইন সমর্থন করে না।’

হাসপাতালটির চেয়ারম্যান নুর মো. মাজেদ বলেন, ‘একটি মহল আমাদের প্রতিষ্ঠানের নামে অপপ্রচার চালানোর জন্য তাদেরকে প্ররোচনা দিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করিয়েছেন। অপরদিকে রোগীর স্বজনরাও তাদের ভুল বুঝতে পেরে ক্ষমা চেয়েছেন। আমরা অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা ভাবছি।’

আরও পড়ুন:
প্রসূতির পেটে গজ রেখে সেলাই, তদন্তে কমিটি
পেটে কাঁচি রেখে সেলাইয়ে কারও দায় পায়নি কমিটি  
পেটে কাঁচি রেখে সেলাই, ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে নোটিশ
কাঁচি বের হলেও ক্ষত কি শুকাবে মনিরার জীবনের
দেড় বছর পর বের করা হলো পেটে থাকা সেই কাঁচি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Jasmins death in custody Judicial inquiry demanded

হেফাজতে জেসমিনের মৃত্যু: বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি

হেফাজতে জেসমিনের মৃত্যু: বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি সুলতানা জেসমিন। ফাইল ছবি
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে লেখক ও হেরিটেজ রাজশাহীর সভাপতি মাহবুব সিদ্দিকী বলেন, ‘সরেজমিন অনুসন্ধানের জন্য রাজশাহীর বিশিষ্ট নাগরিকদের একটি দল শুক্রবার নওগাঁয় যাই। এ সময় আমরা জানতে পারি, জেসমিনের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার না করে সরাসরি তুলে নিয়ে যাওয়া অপহরণের শামিল। পরে সরকারি বাহিনীর হেফাজতে তার মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত রহস্যময়। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমেই এর পেছনের মূল কারণ উদঘাটন করা সম্ভব হবে।’

নওগাঁ শহর থেকে আটকের পর র‍্যাবের হেফাজতে সুলতানা জেসমিন (৪৫) নামের এক নারীর মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করা হয়েছে।

রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়নে শনিবার দুপুরে ‘রাজশাহীর সচেতন নাগরিকবৃন্দ’ ব্যানারে সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন লেখক ও হেরিটেজ রাজশাহীর সভাপতি মাহবুব সিদ্দিকী।

তিনি বলেন, ‘সরেজমিন অনুসন্ধানের জন্য রাজশাহীর বিশিষ্ট নাগরিকদের একটি দল শুক্রবার নওগাঁয় যাই। এ সময় আমরা জানতে পারি, জেসমিনের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার না করে সরাসরি তুলে নিয়ে যাওয়া অপহরণের শামিল। পরে সরকারি বাহিনীর হেফাজতে তার মৃত্যুর ঘটনা অত্যন্ত রহস্যময়। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমেই এর পেছনের মূল কারণ উদঘাটন করা সম্ভব হবে।

‘যুগ্মসচিব পদমর্যাদার একজন ব্যক্তির এ ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততার যে বর্ণনা ইতিমধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, তার যথাযথ তদন্ত হওয়া দরকার। কেননা নিহত জেসমিনও প্রজাতন্ত্রের একজন কর্মচারী ছিলেন। সুতরাং জেসমিন অপরাধ করে থাকলে খুব সহজেই বিভাগীয় পদক্ষেপ নেয়া যেত। তা না করে র‌্যাবকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। এ জন্য রাজশাহীর বিশিষ্টজনরা বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে জেসমিনের নিহত হবার ঘটনার যথাযথ কারণ অনুসন্ধান এবং দোষীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, জেসমিনের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে অনুসন্ধানকারী দলের ধারণা জন্মেছে যে, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে তারা ভীতসন্ত্রস্ত এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।

প্রেক্ষাপট

গত ২২ মার্চ নওগাঁ শহর থেকে সুলতানা জেসমিনকে আটক করা হয়। প্রতারণার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আটক করা হয় বলে র‌্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়। আটকের পর মস্তিষ্কে গুরুতর রক্তক্ষরণে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।

রাজশাহী মেডিক‍্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুলতানা জেসমিন মারা যান বলে র‌্যাব দাবি করে, তবে স্বজনদের অভিযোগ, র‍্যাব হেফাজতে নির্যাতনের কারণে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু হয়েছে।

সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় পোস্টমর্টেম রিপোর্টসহ যাবতীয় তথ্য হাইকোর্টে জমা দেয়া হয়েছে। প্রথমে রিপোর্ট অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে আসে, পরে তা হাইকোর্টে জমা দেয়া হয়।

ওই রিপোর্টে বলা হয়, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে জেসমিনের মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন:
ছেলেকে দেখতে এসে গ্রেপ্তার ফাঁসির আসামি
নদীপথে আসছে হেরোইন, বাহক নারীরা
পাহাড় থেকে পালিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আত্মগোপন দুই জঙ্গির: র‍্যাব
কক্সবাজারে অভিযানে ‘জামাতুল আনসারের সামরিকপ্রধান’ গ্রেপ্তার
২০২২ সাল: বন্দুকযুদ্ধে ৪, হেফাজতে ১৫ মৃত্যু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Rohingyas killed in shelling from both sides in Ukhia

উখিয়ায় দুই পক্ষের গোলাগুলিতে রোহিঙ্গা নিহত

উখিয়ায় দুই পক্ষের গোলাগুলিতে রোহিঙ্গা নিহত কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা আশ্রয় কেন্দ্র। ফাইল ছবি
উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সেখান থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।  

কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্পে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এক শিশু আহত হয়েছে।

শনিবার ভোররাতে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প ৮/ডব্লিউতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ৬০ বছর বয়সী সৈয়দ আলম কুতুপালং ক্যাম্প ৮/ডব্লিউর এ/৪২ ব্লকের পচা বাজার এলাকার বাসিন্দা।

আহত ১২ বছর বয়সী শিশু তাইফুর একই ক্যাম্পের সাব ব্লক ডি/৫ এর নুরুল আমিনের ছেলে।

১৪ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি সৈয়দ হারুনুর রশিদ জানান, শুক্রবার রাত দুইটা থেকে ক্যাম্প ৮/ডব্লিউতে থেমে থেমে গোলাগুলি হয়। যা চলে শনিবার ভোর পর্যন্ত। পরবর্তীতে এপিবিএন ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সেখানে ঘটনাস্থল থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আহত শিশুকে উদ্ধার করে ব্র্যাকের প্রাইমারি হেলথ কেয়ারে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সেখান থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন:
কালীগঞ্জে পিকআপের ধাক্কায় দম্পতি নিহত
বাসের ধাক্কায় পিকআপ চালক নিহত, ৩ সন্তানকে নিয়ে দিশেহারা স্ত্রী
দেয়াল ধসে মাদ্রাসার নৈশপ্রহরী নিহত
খিলগাঁওয়ে ভবন থেকে পাইলিংয়ের পাইপ পড়ে পথচারীর মৃত্যু
কালিহাতীতে দুই ট্রাকের সংঘর্ষে চালক নিহত

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Death of woman Hajti in Kashimpur Jail

কাশিমপুর কারাগারে নারী হাজতির মৃত্যু

কাশিমপুর কারাগারে নারী হাজতির মৃত্যু গাজীপুর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার।ফাইল ছবি

গাজীপুর কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে বন্দি এক হাজতির মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার সকাল ১০টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

মারা যাওয়া ওই কয়েদি হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের সুহাতা গ্রামের মোশারফ হোসেনের স্ত্রী নাজমা বেগম । তার বিরুদ্ধে ঢাকার লালবাগ থানায় একটি মামলা ছিল। সেই মামলায় তিনি কারাবাস করছিলেন।

কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মো. ওবায়দুল রহমান জানান, শনিবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে বন্দি ৪৮ বছর বয়সী ওই নারী হাজতির কারাগারের ভেতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সকাল ১০ টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কারাগারের আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

আরও পড়ুন:
শিশুকে হত্যার পর মাটিচাপা, বোনজামাই গ্রেপ্তার
গাজীপুরে ট্রেনে কাটা পড়ে মানসিক প্রতিবন্ধীসহ দুজন নিহত
জাহাঙ্গীরকে মেয়র পদে ফেরাতে মন্ত্রণালয়ে ৬১ কাউন্সিলরের আবেদন
গাজীপুরে শিক্ষা সফরের বাসে আগুন, আহত ১০
পুলিশ পরিচয়ে অতিরিক্ত ডিআইজির বাড়িতে ডাকাতি

মন্তব্য

p
উপরে