× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Announcing more homes for climate refugees
google_news print-icon

জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য আরও ঘরের ঘোষণা

জলবায়ু-উদ্বাস্তুদের-জন্য-আরও-ঘরের-ঘোষণা
বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বাড়ছে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট যাতে স্বাবলম্বীভাবে কাজ করতে পারে সেজন্য আইন সংশোধন, মাঠপর্যায়ে অফিস স্থাপন এবং পর্যাপ্ত সংখ্যক জনবল নিয়োগসহ প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য আরও ঘর নির্মাণের ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন।

মঙ্গলবার রাজধনীর মহাখালীতে পুরাতন বন ভবনে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

বনমন্ত্রী বলেন, ‘ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গৃহহীনদের জন্য অধিক হারে গৃহনির্মাণ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সরকার।

‘জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিবিধ ঝুঁকি মোকাবিলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। পৃথিবীর প্রথম দেশ হিসেবে গঠিত জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮০০টি প্রকল্প নেয়া হয়েছে। এসব প্রকল্পের মাধ্যমে শুধু উপকূলীয় এলাকারই প্রায় তিন কোটি মানুষ উপকৃত হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট যাতে স্বাবলম্বীভাবে কাজ করতে পারে সেজন্য আইন সংশোধন, মাঠপর্যায়ে অফিস স্থাপন এবং পর্যাপ্ত সংখ্যক জনবল নিয়োগসহ প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সভায় ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে নির্মিত সাইক্লোন সেল্টার কাম প্রাথমিক বিদ্যালয় চার তলা ভিত্তির ওপর নির্মাণ করতে এবং বজ্রপাত পূর্বাভাস সিস্টেম সারা দেশে স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনাও দেন মন্ত্রী।

এর আগে তিনি জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অর্থায়নে বাস্তবায়িত বিভিন্ন কার্যক্রমের আলোকচিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন।

আরও পড়ুন:
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা চুক্তি বাস্তবায়নে ভারতের তাড়া
ইইউর জলবায়ু অভিযোজন ক্যাম্পেইন শুরু
ক্লাইমেট সায়েন্স অলিম্পিয়াড নিয়ে আশাবাদী বাংলাদেশ
জলবায়ু তহবিল ছাড়ে উন্নত দেশগুলোকে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ঢাকা-লন্ডন একমত

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Chuadanga temperature is 406 degree Celsius due to intense heat wave

তীব্র তাপপ্রবাহের কবলে চুয়াডাঙ্গা, তাপমাত্রা ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস

তীব্র তাপপ্রবাহের কবলে চুয়াডাঙ্গা, তাপমাত্রা ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে মঙ্গলবার চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের রাস্তা ছিল অনেকটাই ফাঁকা। ছবি: নিউজবাংলা
চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, কয়েকদিন ধরে চু্য়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও আশপাশের অঞ্চলের ওপর দিয়ে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল। মঙ্গলবার তা তীব্র তাপপ্রবাহে রূপ নিয়েছে। আরও কয়েকদিন এমন তাপমাত্রা অব্যাহত থাকতে পারে।

চুয়াডাঙ্গায় বয়ে যাচ্ছে মাঝারি থেকে তীব্র তাপপ্রবাহ। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সে সঙ্গে বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় অনুভূত হচ্ছে ভ্যাপসা গরম। খুব প্রয়োজন ছাড়া দিনের বেলায় মানুষ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না।

মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এই মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

তীব্র তাপপ্রবাহের কবলে চুয়াডাঙ্গা, তাপমাত্রা ৪০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস

তীব্র তাপপ্রবাহে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবীরা। চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ভ্যানচালক সারিজুল হক বলেন, ‘এমুন তাপ সজজু করা কঠিন হয়ি পড়িচে। ভ্যান চালাতি গিয়ি সারা শরীল পুড়ি যাচ্চি। ছামায় গিয়িও কুনু লাব হচ্চি না। সব জায়গায় ভেপসা গরম।’

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, কয়েকদিন ধরে চু্য়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও আশপাশের অঞ্চলের ওপর দিয়ে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল। মঙ্গলবার তা তীব্র তাপপ্রবাহে রূপ নিয়েছে। আরও কয়েকদিন এমন তাপমাত্রা অব্যাহত থাকতে পারে।

আরও পড়ুন:
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে বেশি গরম কর্কটক্রান্তির প্রভাবে
চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড ৪২.৬ ডিগ্রিতে তাপমাত্রা
দাবদাহে পুড়ছে ইউরোপ, মরছে মানুষ
৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে চুয়াডাঙ্গায় হাসফাঁস
দাবদাহ ও প্রকৃতির প্রতি দায়

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Dhakas air is unhealthful low mean fourth

ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’, নিম্ন মানে চতুর্থ

ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’, নিম্ন মানে চতুর্থ মানে সামান্য হেরফের হলেও অস্বাস্থ্যকর বাতাসের চক্রে ঘুরপাক খাচ্ছে ঢাকা। ফাইল ছবি
এ সময় স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে আইকিউএয়ার চারটি পরামর্শ দিয়েছে। এক, বাইরে গিয়ে ব্যায়াম না করা; দুই, বাসা-বাড়ির জানালা বন্ধ রাখা যেন দূষিত বায়ু ঘরে প্রবেশ না করতে পারে; তিন, বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করা এবং চার, এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করা।

বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় মঙ্গলবার সকালে ঢাকার অবস্থান চতুর্থ।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মানবিষয়ক প্রযুক্তি কোম্পানিটির র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সময় সকাল ৯টা ১০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর ১৫৭ নিয়ে রাজধানীর বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে।

একই সময়ে যথাক্রমে ২২৫ ও ১৭৬ স্কোর নিয়ে তালিকায় প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে ছিল ভারতের দিল্লি ও নেপালের কাঠমান্ডু।

আইকিউএয়ার জানিয়েছে, আজ সকালের ওই সময়ে ঢাকার বাতাসে মানবস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অতি ক্ষুদ্র কণা পিএম২.৫-এর উপস্থিতি ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আদর্শ মাত্রার চেয়ে ১৩ দশমিক ২ গুণ বেশি।

এ সময় স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে আইকিউএয়ার চারটি পরামর্শ দিয়েছে। এক, বাইরে গিয়ে ব্যায়াম না করা; দুই, বাসা-বাড়ির জানালা বন্ধ রাখা যেন দূষিত বায়ু ঘরে প্রবেশ না করতে পারে; তিন, বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহার করা এবং চার, এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করা।

নির্দিষ্ট স্কোরের ভিত্তিতে কোনো শহরের বাতাসের ক্যাটাগরি নির্ধারণের পাশাপাশি সেটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকর, তা জানায় আইকিউএয়ার।

কোম্পানিটি শূন্য থেকে ৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘ভালো’ ক্যাটাগরিতে রাখে। অর্থাৎ এ ক্যাটাগরিতে থাকা শহরের বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।

৫১ থেকে ১০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘মধ্যম মানের বা সহনীয়’ হিসেবে বিবেচনা করে কোম্পানিটি।

আইকিউএয়ারের র‌্যাঙ্কিংয়ে ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরিতে ধরা হয়।

১৫১ থেকে ২০০ স্কোরে থাকা শহরের বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরির বিবেচনা করা হয়।

র‌্যাঙ্কিংয়ে ২০১ থেকে ৩০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।

তিন শর বেশি স্কোর পাওয়া শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করে আইকিউএয়ার।

আজ সকাল ৯টা ১০ মিনিটে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ১৫৭। এর মানে হলো ওই সময়টাতে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বাতাসের মধ্যে বসবাস করতে হয় রাজধানীবাসীকে।

মানে সামান্য হেরফের হলেও অস্বাস্থ্যকর বাতাসের চক্রে ঘুরপাক খাচ্ছে ঢাকা।

একই সময় ১২২টি দেশের এ তালিকায় ০ স্কোর নিয়ে সর্বশেষ অবস্থানে থাকা আফগানিস্তানের কাবুলের বাতাস ছিল ‘ভালো’।

আরও পড়ুন:
ছুটির দিনে বাতাসের নিম্ন মানে সপ্তম ঢাকা
সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ঢাকার বাতাস
লাহোরের বাতাস সবচেয়ে দূষিত, ঢাকা অষ্টম
ছুটির দিনে মানে উন্নতি, তবু ‘অস্বাস্থ্যকর’ ঢাকার বাতাস
ছুটির দিনে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ঢাকার বাতাস, নিম্ন মানে দ্বিতীয়

মন্তব্য

বাংলাদেশ
7 people lost their lives in Kalbaisakhi storm in Barisal division

বরিশাল বিভাগে কালবৈশাখী ঝড়ে ৭ জনের প্রাণহানি

বরিশাল বিভাগে কালবৈশাখী ঝড়ে ৭ জনের প্রাণহানি বরিশাল বিভাগের ৩০টিরও বেশি উপজেলায় রোববার কালবৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়। ছবি: সংগৃহীত
পটুয়াখালীর বাউফলে দুজন, পিরোজপুরে দুজন এবং ঝালকাঠিতে তিনজন মারা গেছেন। ঝড় ও বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়। গাছপালা ভেঙে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত। ব্যাহত হচ্ছে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থাও।

বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাতে ৭ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে পটুয়াখালীর বাউফলে দুজন, পিরোজপুরে দুজন এবং ঝালকাঠিতে তিনজন মারা গেছেন।

সংশ্লিষ্ট জেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তারা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ঝড় ও বজ্রপাতে নিহতরা হলেন- রুবি বেগম, অনিল পাল, হেলেনা বেগম, মিনারা বেগম, মাহিয়া আক্তার, রাতুল ও সুফিয়া বেগম।

জানা গেছে, রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পিরোজপুরে কালবৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়েছে জেলার বিভিন্ন উপজেলা।

এ সময় ঝোড়ো বাতাস ও বৃষ্টিতে গাছচাপায় রুবি বেগম নামে এক নারী মারা যান। এছাড়াও ঝড় থেমে যাওয়ার পর গ্রামের একটি খাল থেকে অনিল পাল নামে এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

শারিকতলা ডুমুরিতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজমির হোসেন মাঝি বলেন, ‘রোববার সকালে ঘর থেকে বের হয়ে অনিল পাল ঝড়ের তাণ্ডবের মধ্যে পড়েন। ধারণা করছি, ঝড়ের কারণে সম্ভবত তিনি খালের মধ্যে পড়ে গিয়েছিলেন। ঝড় থামার পর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, ‘ঝড়ে গাছপালা উপড়ে পড়ে পিরোজপুর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যাদের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের জন্য শুকনো খাবার ও ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

‘নিহতদের পরিবারকে সরকারের তরফ থেকে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে এবং ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত পরিমাণ নিরূপণ করে পরে জানানো হবে।’

পিরোজপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক রমজান আলী বলেন, ‘ঝড়ের পর রুবি বেগম নামে এক নারীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল। এই ঝড়ে এখন পর্যন্ত ১২ থেকে ১৩ জনকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

এদিকে ঝালকাঠি সদর উপজেলার শেখেরহাট, পোনাবালিয়া ইউনিয়ন ও কাঁঠালিয়া উপজেলার আওরাবুনিয়া ইউনিয়নে ঝড়ের সময়ে মাঠ থেকে গরু আনতে গিয়ে দুই নারী ও এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে।

তারা হলেন- শেখেরহাট এলাকার ফারুক হোসেনের স্ত্রী মিনারা বেগম, আওরাবুনিয়া ইউনিয়নের মৃত আলম গাজীর স্ত্রী হেলেনা বেগম ও পোনাবালিয়া এলাকার মো. বাচ্চুর ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে মাহিয়া আক্তার ঈশান।

রোববার বেলা ১১টার দিকে ঝড় শুরু হয়।

ঝালকাঠির পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আফরুজুল হক টুটুল বলেন, ‘ঝালকাঠিতে ঝড়ের সময় মাঠে গরু আনতে গিয়ে দুই উপজেলায় এক শিশু ও দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে অপমৃত্যুর মামলা হবে।’

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টা ৫ মিনিট পর্যন্ত বয়ে যাওয়া ঝড়ে রাতুল নামে এক কিশোর ও সুফিয়া বেগম নামের এক বৃদ্ধা প্রাণ হারিয়েছেন।

রাতুল উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের রায় তাঁতের কাঠি গ্রামের জহির সিকদারের ছেলে। তাকে রাস্তায় মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে- বজ্রপাতের শব্দে হার্ট অ্যাটাক করে সে মারা গেছে।

আর সুফিয়া বেগম দাশপাড়া ইউনিয়নের চরআলগী গ্রামের মৃত আহম্মেদ প্যাদার স্ত্রী। ঘরের উপর গাছ পড়ে তিনি মারা যান।

বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মারজান বলেন, ‘রাতুলকে হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা যান। তার শরীরে বজ্রপাতে ঝলসানোর কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে বজ্রপাতের শব্দে হার্ট অ্যাটাক করে তার মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।

দাশপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনএম জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘ঘরের উপর গাছ ভেঙে পড়ে সুফিয়া বেগম মারা যান।’

এছাড়া ঝড়ে বিভিন্ন এলাকায় গাছ পড়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সেগুলো সরানো হচ্ছে। পুরো এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

বরিশাল বিভাগীয় আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বশির আহম্মেদ বলেন, বিভাগের উপকূলীয় এলাকা পটুয়াখালী, পিরোজপুর ও বরগুনার ওপর দিয়ে কালবৈশাখী বয়ে গেছে।

এখন পর্যন্ত বরিশাল জেলায় ১৫ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। তবে পটুয়াখালী, বরগুনা ও পিরোজপুরে বৃষ্টি এবং বাতাসের গতি অস্বাভাবিক ছিল।

পটুয়াখালীর খেপুপাড়া আবহাওয়া অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের পাওয়া যায়নি।

জানা গেছে, ঝড়ে বিভিন্ন এলাকায় বৈদ্যুতিক তারের ওপর গাছ পড়ে লাইন বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এজন্য পিরোজপুর ও বরগুনার তথ্য অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিভাগের ৪২টি উপজেলার মধ্যে ৩০টিরও বেশি উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানে। এসব এলাকায় শতাধিক সড়কে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আছে। ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েক হাজার।

আরও পড়ুন:
বাগেরহাট ও পিরোজপুরে ঝড়ে দু’জনের মৃত্যু, শিশুসহ আহত ৪
খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রবল ঝড়ের শঙ্কা
কালবৈশাখীতে লন্ডভন্ড নেত্রকোণার ৬ গ্রাম
চট্টগ্রামে কালবৈশাখীর শঙ্কা
পশ্চিমবঙ্গেও কালবৈশাখী-বৃষ্টি, ঝরল দুই প্রাণ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In Bagerhat and Pirojpur two people died and 4 children were injured in the storm

বাগেরহাট ও পিরোজপুরে ঝড়ে দু’জনের মৃত্যু, শিশুসহ আহত ৪

বাগেরহাট ও পিরোজপুরে ঝড়ে দু’জনের মৃত্যু, শিশুসহ আহত ৪ রোববার কালবৈশাখী ঝড়ে বাগেরহাটে বাসের ওপর বিলবোর্ডের খুঁটি উপড়ে পড়ে তিনজন আহত হন। ছবি: নিউজবাংলা
রোববার সকালের প্রবল কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানলে বাগেরহাটে এক যুবক ও পিরোজপুরে গৃহবধূ মারা যান। এছাড়া বাসের ওপর বিলবোর্ডের খুঁটি উপড়ে পড়লে চালকসহ তিনজন আহত হন। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা। ভেঙে পড়েছে অনেক ঘরবাড়ি।

কালবৈশাখী ঝড়ে দুই জেলায় গৃহবধূসহ দুজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে বাগেরহাটে আরিফুল ইসলাম নামে এক যুবক মারা যান এবং পৃথক ঘটনায় বাসের ওপর বিলবোর্ডের খুঁটি উপড়ে পড়লে তিনজন আহত হনে। অপর ঘটনায় পিরোজপুরে বসতঘরের ওপর গাছ ভেঙে পড়ে রুবী বেগম নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত হয়েছে তার ৬ বছরের শিশু সন্তান।

বাগেরহাট প্রতিনিধি জানান, রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জেলায় কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানে। ঝড়ের আঘাতে শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ, রামপাল, কচুয়া ও বাগেরহাট সদর উপজেলার কয়েক হাজার গাছ উপড়ে পড়েছে। বিধ্বস্ত হয়েছে কয়েক শ’ কাঁচা ও আধা কাঁচা বাড়িঘর।

ঝড়ে গাছ পড়ে ও খুঁটি উপড়ে পড়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে পুরো জেলার বিদ্যুৎ সংযোগ।

বাগেরহাট ও পিরোজপুরে ঝড়ে দু’জনের মৃত্যু, শিশুসহ আহত ৪
বাগেরহাটে কালবৈশাখীর ছোবল। ছবি: নিউজবাংলা

ঝড়ের সময় গরু আনতে গিয়ে কচুয়া উপজেলা চরসোনাকুড় গ্রামে আরিফুল ইসলাম নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বাগেরহোট শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিলবোর্ডের খুঁটি ভেঙে যাত্রীবাহী বাসের ওপর পড়ে বাসের চালকসহ তিনজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. খালিদ হোসেন বলেন, ‘কালবৈশাখী ঝড়ে জেলা সদরসহ অন্যান্য উপজেলায় গুগাছপালা উপড়ে পড়ার পাশাপাশি কিছু বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ঝড়ে গাছ পড়ে ও বিদ্যুৎতের খুটি উপড়ে পড়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে পুরো জেলার বিদ্যুৎ সংযোগ। জেলার প্রতিটি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৮ লাখ টাকা ও ৬শ টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে।’

বাগেরহাট ও পিরোজপুরে ঝড়ে দু’জনের মৃত্যু, শিশুসহ আহত ৪
পিরোজপুরে রোববার সকালে ঝড়ে বসতঘরের ওপর গাছ পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে। ছবি: নিউজবাংলা

পিরোজপুর প্রতিনিধি জানান, ঝড়ে বসতঘরের ওপর গাছ ভেঙে পড়ে রুবী বেগম নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছে তার ছয় বছরের মেয়ে। রোববার সকালে পিরোজপুর পৌরসভার মরিচাল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ঝড়ে সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় শত শত গাছ উপড়ে পড়ে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অনেক বাড়িঘরের চালা উড়ে গেছে। ঝড়ে খুঁটি উপড়ে ও তার ছিঁড়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা।

পৌরসভার মরিচাল গ্রামে বসতবাড়ির ওপর গাছ ভেঙে পড়লে রুবী বেগম ও তার মেয়ে মেহজাবিন আহত হন। স্থানীয় লোকজনতাঁদের উদ্ধার করে সদর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রুবী বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন। রুবী বেগম পিরোজপুর পৌরসভার মরিচাল গ্রামের মিরাজ সরদারের স্ত্রী।

হাসপাতালের চিকিৎসক মো. রমজান আলী জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আহত রুবী বেগমকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়েছিল। এ ঘটনায় গুরুতর আহত মেহজাবিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ঝড়ে সড়কের ওপর গাছ ভেঙে পড়ায় পিরোজপুরের সঙ্গে বরিশালের সড়ক যোগাযোগও বন্ধ হয়ে গেছে।

পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান বলেন, ‘এ পর্যন্ত রুবি নামের একজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। শতাধিক ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। যাদের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের জন্য শুকনো খাবার ও ত্রাণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
লাইন থেকে গাছ সরানোয় খুলনায় স্বাভাবিক ট্রেন চলাচল
১০ মিনিটের ঝড়ে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন ৪ ইউনিয়ন
কালবৈশাখীতে লণ্ডভণ্ড ঈদগাহে নিহত ১, আহত ১২
কালবৈশাখী: বগুড়ায় ১৫ হাজার হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি
‘কালবৈশাখীতে হামার ঈদ আনন্দ উড়ে গেছে’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Wind lows on holidays mean seventh cover

ছুটির দিনে বাতাসের নিম্ন মানে সপ্তম ঢাকা

ছুটির দিনে বাতাসের নিম্ন মানে সপ্তম ঢাকা ঢাকায় অস্বাস্থ্যকর বাতাসে চলাচল। ফাইল ছবি
আজ সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ১৫৩। এর মানে হলো ওই সময়টাতে নিশ্বাসের সঙ্গে অস্বাস্থ্যকর বাতাস নিতে হয়েছে রাজধানীবাসীকে।

সরকারি ছুটির দিনে নিম্ন মানে শীর্ষে না থাকলেও অস্বাস্থ্যকরই রয়ে গেছে ঢাকার বাতাস।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বাতাসের মানবিষয়ক প্রযুক্তি কোম্পানি আইকিউ এয়ারের র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশ সময় শনিবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ১৫৩ স্কোর নিয়ে ১২২টি শহরের মধ্যে বায়ুর নিম্ন মানে সপ্তম ছিল ঢাকা।

একই সময়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে ছিল থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই, ভারতের দিল্লি ও পাকিস্তানের লাহোর।

আইকিউএয়ার জানিয়েছে, আজ দিনের ওই সময়ে ঢাকার বাতাসে অতি ক্ষুদ্র কণা পিএম২.৫-এর উপস্থিতি ছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) আদর্শ মাত্রার চেয়ে ১২ গুণ বেশি।

নির্দিষ্ট স্কোরের ভিত্তিতে কোনো শহরের বাতাসের ক্যাটাগরি নির্ধারণের পাশাপাশি সেটি জনস্বাস্থ্যের জন্য ভালো নাকি ক্ষতিকর, তা জানায় আইকিউএয়ার।

কোম্পানিটি শূন্য থেকে ৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘ভালো’ ক্যাটাগরিতে রাখে। অর্থাৎ এ ক্যাটাগরিতে থাকা শহরের বাতাস জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়।

৫১ থেকে ১০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘মধ্যম মানের বা সহনীয়’ হিসেবে বিবেচনা করে কোম্পানিটি।

আইকিউএয়ারের র‌্যাঙ্কিংয়ে ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘সংবেদনশীল জনগোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরিতে ধরা হয়।

১৫১ থেকে ২০০ স্কোরে থাকা শহরের বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ ক্যাটাগরির বিবেচনা করা হয়।

র‌্যাঙ্কিংয়ে ২০১ থেকে ৩০০ স্কোরে থাকা শহরগুলোর বাতাসকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয়।

তিন শর বেশি স্কোর পাওয়া শহরের বাতাসকে ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচনা করে আইকিউএয়ার।

আজ সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ঢাকার বাতাসের স্কোর ছিল ১৫৩। এর মানে হলো ওই সময়টাতে নিশ্বাসের সঙ্গে অস্বাস্থ্যকর বাতাস নিতে হয়েছে রাজধানীবাসীকে।

আরও পড়ুন:
সপ্তাহের চতুর্থ কর্মদিবসে বাতাসের নিম্ন মানে দ্বিতীয় ঢাকা
সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবসে বাতাসের নিম্ন মানে তৃতীয় ঢাকা
ছুটির দিনে বাতাসের নিম্ন মানে তৃতীয় ঢাকা
বাতাসের নিম্ন মানে শীর্ষে সেনেগালের ডাকার, তৃতীয় ঢাকা
বৃষ্টির পরও ‘অস্বাস্থ্যকর’ ঢাকার বাতাস

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The Eid expenses of those affected by the last hailstorm were to buy Dheutin

ঢেউটিন কিনতেই শেষ শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্তদের ঈদ খরচ

ঢেউটিন কিনতেই শেষ শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্তদের ঈদ খরচ কোলাজ: নিউজবাংলা
শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত সিলেট ও সুনামগঞ্জের অর্ধলক্ষাধিক বাড়ির টিনের চাল। ঈদ পোশাকের টাকাই শুধু নয়, অনেকের ঢেউটিন কিনতে করতে হচ্ছে ঋণ। চাহিদা বাড়ায় ঢেউটিনের দাম বাড়িয়ে দেয়ারও অভিযোগ উঠেছে।

ঈদের বাকি আর মাত্র কয়েকটা দিন। দেশের সবাই এখন ব্যস্ত ঈদের কেনাকাটায়। পছন্দসই পোশাকের দোকানগুলোতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। সিলেটেও এখন চলছে জমজমাট কেনাকাটা। তবে এই ঈদের মৌসুমে সিলেটে সবচেয়ে চাহিদাসম্পন্ন পণ্য পোশাক নয়। শুনতে অবাস্তব লাগলেও সিলেটে এখন সবেচেয়ে বেশি চাহিদা ঢেউটিনের।

পোশাকের চাইতেও এখন ঢেউটিনের দোকানগুলোতে বেশি ভিড়। চাহিদা এতই বেড়েছে যে, প্রয়োজনীয়সংখ্যক ঢেউটিন সরবরাহও করতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। অনেকে আবার এই সুযোগে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

সিলেটে ঈদের কোনাকাটার গতিপথ বদলে যায় গত ৩১ মার্চ রাতে। ওইদিন রাত সোয়া ১০টা থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত তুমুল শিলাবৃষ্টি ঝড় হয় সিলেটে। মাত্র ১৫ মিনিট চলে তাণ্ডব। তাতেই মাটি হয়ে যায় সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার লাখো পরিবারের ঈদ আনন্দ; ভেঙে যায় কয়েক হাজার ঘর। বিশেষত শিলাবৃষ্টিতে ঝাঁজরা হয়ে যায় এসব ঘরের চালের টিন।

স্থানীয় প্রবীণদের মতে, ৩১ মার্চ বৃষ্টির সঙ্গে পড়া শিলার আকার ছিল অনেক বড়। এত বড় শিলা আগে কখনওই পড়েনি এখানে।

ওই রাতের শিলাবৃষ্টির কিছু ছবি ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুকে। একটি ছবিতে দেখা যায়, বৃষ্টির সঙ্গে পড়া একটি শিলা ওজন মেশিনে পরিমাপ করা হচ্ছে। দেখা যায়, একটি শিলার ওজন দুইশ’ গ্রাম। ওই রাতের শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় জেলার বোরো ধান। অনেকের গাড়িরও কাঁচও ভেঙে যায়। তবে সবেচেয় ক্ষতিগ্রস্থ হয় টিনের চাল দেয়া দোকান ও বসতঘরগুলো।

এমনই একজন সিলেট সদর উপজেলার কুমারগাঁও এলাকার বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করেই বৃষ্টি শুরু হয়, সঙ্গে শিলা পড়তে থাকে। মনে হচ্ছিল, কেউ ইট দিয়ে চালে ঢিল ছুঁড়ছে। ১৫/২০ মিনিট এমন অবস্থা ছিল, এতেই আমার বাড়ির চালের টিন একেবারে ঝাঁজরা হয়ে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘ঘরের সবগুলো টিন পরিবর্তন করতে হচ্ছে। হাজার দশেক টাকা জমিয়ে রেখেছিলাম ঈদের জন্য, কিন্তু টিন কেনা ও ঘর মেরামতের জন্যে এই টাকা খরচ করে আরও ২৫ হাজার ঋণ করতে হয়েছে। এবার আমাদের ঈদ একেবারে মাটি হয়ে গেল!’

ঢেউটিন কিনতেই শেষ শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্তদের ঈদ খরচ

কেবল দেলোয়ার নন, এমন অবস্থা সিলেট ও সুনামগঞ্জের অর্ধলক্ষাধিক পরিবারের। দুই জেলার জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এখনও ক্ষয়ক্ষতির হিসাব চলছে।

তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৩১ মার্চের শিলাবৃষ্টিতে অর্ধ লক্ষাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

অন্যান্য বছর ঈদের আগমূহূর্তে নগরের বিভিন্ন সড়কে দাঁড়ালেই দেখা যেত, শপিং ব্যাগ হাতে করে লোকজন বাড়ি ফিরছেন। তবে গত দুদিন ধরে সিলেটের চিত্র ভিন্ন। এখন নগরের যেকোনো সড়কে দাঁড়ালেই দেখা যায়, লাইন ধরে ট্রাক, পিকআপ, ঠেলাগাড়ি বা রিকশায় করে ঢেউটিন নিয়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ। ঈদের শপিং করার তৃপ্তি নয়, বরং বিমর্ষ-বিধ্বস্ত তাদের চেহারা।

নগরের সোবহানঘাট এলাকার আল ছালিম ম্যানশনে পাশপাশি কয়েকটি ঢেউটিনের দোকান। বৃহস্পতিবার সেখানে গিয়ে দেখা যায়, দোকানগুলোর সামনে পিকআপ, মিনি ট্রাক আর ঠেলা গাড়ির জটলা লেগে আছে। সবগুলো গাড়ি এসেছে ঢেউটিন নেয়ার জন্য। আর দোকানগুলোর সামনে ক্রেতাদের ভিড়। ক্রেতাদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন বিক্রয়কর্মীরা। কথা বলবারও জো নেই তাদের।

সদর উপজেলার বাঁধাঘাট থেকে এখানে টিন কিনতে এসেছেন আলিম উদ্দিন। পেশায় দিনমজুর আলিম বলেন, ‘শিল পড়ে টিনের অবস্থা আস্ত রাখেনি। এই দুদিন চালে পলিথিন দিয়ে ছিলাম, কিন্তু কালকের বৃষ্টিতে পলিথিনও ছিঁড়ে গেছে। তাই এখন সব জমানো টাকা নিয়ে টিন কিনতে এসেছি।’

ঢেউটিন কিনতেই শেষ শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্তদের ঈদ খরচ

তিনি বলেন, ‘ঈদে মেয়েকে নতুন জামা কিনে দেয়ার জন্য কিছু টাকা জমিয়ে রেখেছিলাম। সব টাকা দিয়ে এখন টিন কিনতে হচ্ছে। রোজা শুরুর পর থেকেই মেয়ে নতুন জামার জন্য আবদার করছে। এখন তাকে কীভাবে সামলাব জানি না!’

এই এলাকার লোদী স্টিল মার্চেন্ট নামক দোকানে গিয়েও দেখা যায় ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তারা ক্রেতা মনে করে পরে আসতে বলেন।

একজন বলেন, ‘এখন নতুন করে টিন বিক্রি বন্ধ আছে। ইতোমধ্যে যেগুলোর মেমো হয়ে গেছে সেগুলো আগে ডেলিভারি দেয়া হচ্ছে। ইফতারের পর থেকে নতুন অর্ডার নেয়া হবে।’

এরপর নিজের পরিচয় দিলে বিক্রেতা মাহবুব আহমদ বলেন, ‘১ এপ্রিল থেকে টিনের চাহিদা কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। দিনে শতাধিক ক্রেতার কাছে টিন বিক্রি করতে হচ্ছে। ক্রেতাদের চাপের কারণে ইফতার করারও সময় পাচ্ছি না আমরা। চাহিদা অনুযায়ী টিন সরবরাহ করাও সম্ভব হচ্ছে না।’

চাহিদা বাড়ায় বিক্রেতারা ঢেউটিনের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ থেকে টিন কিনতে সিলেটের কালীঘাটে এসেছিলেন কাসেম মিয়া। তিনি বলেন, ‘যে টিনের বান আগে ছিল ৬ হাজার টাকা, তা এখন ১০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ৮ হাজার টাকার টিনের বান ১২ হাজার টাকা হয়ে গেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দুর্যোগে পড়া মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে বিক্রেতারা অহেতুক দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। শিলাবৃষ্টি আমাদের ক্ষতির মুখে ফেলেছে। আর টিন ব্যবসায়ীরা সর্বশান্ত করে দিচ্ছেন।

তবে এমন অভিযোগ অস্বীকার লালদিঘির পাড়ের টিনের দোকান কাজী অ্যান্ড সন্সের সত্ত্বাাধিকারী কাজী আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘দাম কিছুটা বেড়েছে, তবে তা ২ থেকে তিনশ’ টাকার মতো।’

আকার ও মান অনুসারে প্রতি বান টিন এখন ৬ থেকে ১৪ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করে ব্যাপক হারে টিনের চাহিদা বেড়ে গেছে। সিলেটের কোনো দোকানই চাহিদা অনুযায়ী টিন এখন সরবরাহ দিতে পারছে না। আচমকা চাপ বেড়ে যাওয়ায় এখন বাড়তি বিক্রয়কর্মী নিয়োগ দিতে হয়েছে।’

সিলেট জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, প্রায় সাত হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এছাড়া প্রায় ৫০০ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

‘ক্ষয়ক্ষতির তালিকা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া তাৎক্ষণিকভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচ উপজেলায় ৩০ বান্ডিল করে ঢেউটিন, নগদ এক লাখ ৫৬ হাজার টাকা ও চাল প্রেরণ করা হয়েছে। পুরো ক্ষয়ক্ষতির তালিকা পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Fisherman killed by lightning in Hakaluki Haore

হাকালুকি হাওরে বজ্রপাতে জেলে নিহত

হাকালুকি হাওরে বজ্রপাতে জেলে নিহত ফাইল ছবি
শুক্রবার ভোরে মাছ ধরতে হাকালুকি হাওরে যান রতন মনি দাস। আনুমানিক সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে বজ্রপাত হয়। এতে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান।

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় হাকালুকি হাওরে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে রতন মনি দাস নামে এক জেলে নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

৪০ বছর বয়সী রতন দাস দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউপির পশ্চিম গাংকুল গ্রামের মৃত নন্দলাল দাসের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার ভোরে মাছ ধরতে হাকালুকি হাওরে যান রতন মনি দাস। আনুমানিক সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে বজ্রপাত হয়। এতে ঘটনাস্থলে তিনি মারা যান। পরে তার মরদেহ উদ্ধার করে বাড়িতে আনা হয়।

দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সাহেদুল ইসলাম সুমন বজ্রপাতে জেলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ‘বজ্রপাতে রতনের শরীর পুড়ে গেছে। কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফনের জন্য রতনের স্বজনরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছিলেন। কর্তৃপক্ষের অনুমতি পাওয়ায় স্বজনরা ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী তার সৎকারের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।’

মন্তব্য

p
উপরে