× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The body of an old man was recovered from an abandoned building
google_news print-icon

পরিত্যক্ত ভবন থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার

পরিত্যক্ত-ভবন-থেকে-বৃদ্ধের-মরদেহ-উদ্ধার
ওসি মাহফুজার বলেন, স্থানীয়রা মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন। মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

রংপুরের মাহিগঞ্জ থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক বৃদ্ধের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

উপজেলার আফানুল্লাহ্ স্কুলসংলগ্ন একটি পরিত্যক্ত ভবন থেকে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন মাহিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজার রহমান।

ওসি মাহফুজার বলেন, স্থানীয়রা মরদেহ দেখতে পেয়ে থানায় খবর দেন। মরদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (ডিসি) আবু মারুফ হোসেনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

আরও পড়ুন:
৩ কিশোরীর পর খালে ভাসল শিশুর মরদেহ
ঘাস কাটতে গিয়ে নৌকা ডুবে ২ নারীর মৃত্যু
হাসপাতালের নালায় ২ নবজাতকের মরদেহ
কমলাপুর থেকে উদ্ধার, ঢামেকে মৃত ঘোষণা
ঝোপে নারীর গলিত মরদেহ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
If the big party does not come the election is complete Non Participatory EC Alamgir

বড় দল না এলে নির্বাচন পুরোপুরি অংশগ্রহণমূলক নয়: ইসি আলমগীর

বড় দল না এলে নির্বাচন পুরোপুরি
অংশগ্রহণমূলক নয়: ইসি আলমগীর 
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। ফাইল ছবি
নির্বাচন কমিশনার আলমগীর বলেন, বাস্তবতা হচ্ছে যে দেশের ইতিহাসে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে কোনো নির্বাচেনেই সবগুলো দল অংশগ্রহণ করেনি। কাজেই সেই নির্বাচনগুলোকে অংশগ্রহণমূলক হয়নি বলা যাবে না।

দেশের বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলো যদি নির্বাচনে অংশ না নেয় তাহলে সে নির্বাচনকে পুরোপুরি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলা যাবে না বলে মনে করেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর। তবে দেশের ইতিহাসে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে কোনো নির্বাচনেই সবগুলো দল অংশ নেয়নি বলে জানান এই কমিশনার।

বুধবার রাজধানীর আগারগাওঁয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মো. আলমগীর এসব কথা বলেন।

সবগুলো দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে সেটাকে তারা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলবেন জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার আলমগীর বলেন, ‘তবে বাস্তবতা হচ্ছে যে দেশের ইতিহাসে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে কোনো নির্বাচেনেই সবগুলো দল অংশগ্রহণ করেনি। কাজেই সেই নির্বাচনগুলোকে অংশগ্রহণমূলক হয়নি বলা যাবে না।

‘আপনারা দেখবেন ৭০ সালের নির্বাচনে কিন্তু সব দল অংশ নেয়নি। কিছু কিছু দল সেই নির্বাচনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। কাজেই এক দুইটা রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ না করলেই যে অংশগ্রহণমূলক বলা যাবে না; একথা বলা যাবে না। তবে এটা ঠিক যে যেগেুলো বড়বড় রাজনৈতিক দল আছে, সে বড়বড় দলগুলো অংশগ্রহণমূলক না করে তাহলে পুরোপুরি অংশগ্রহণমূলক বলা যাবে না।’

সংসদীয় আসনের সীমানা নিয়ে ১৮৬ আবেদন পড়েছে উল্লেখ করে এই কমিশনার বলেন,‘ ১৮৬টা আবেদন পড়েছে। ১২৬টা আপত্তি খসড়ার বিপক্ষে, ৬০টি পড়েছে পক্ষে। পক্ষে-বিপক্ষে থাকলেও শুনানি। ঈদের আগে শুনানি হবে কি-না বলা যাচ্ছে না। জুনের মধ্যে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। শুনানি শুরু করার তারিখ এখনো হয়নি।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জ ফখরুল ইসলাম আলমগীর চিঠির জবাবে দেবেন না, এখন কী করবেন- এমন প্রশ্নে এই কমিশনার বলেন, ‘আমরা কমিশন বৈঠকে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবো। আমরা একটা সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করবো। এরপর আবার বসে সিদ্ধান্ত করবো। পরবর্তী পদক্ষেপ আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেবো।’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কী প্রার্থী হতে পারবেন- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘উনি নমিমেশন সাবমিট করলে রিটার্নিং কর্মকর্তা অবস্থা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন অবস্থা কী। কারণ এখন যে অবস্থা, আর তখনকার অবস্থা তো আলাদা হতে পার। এই মুহূর্তে তো বলা যাবে না।’

আরও পড়ুন:
বিএনপিকে সংলাপে ডাকিনি: সিইসি
বিএনপিকে ইসির আমন্ত্রণ হঠাৎ নয়: কমিশনার
বিএনপিকে আলোচনার আহ্বান জানিয়ে সিইসির চিঠি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
City bulldozers at Sramik League leaders house

শ্রমিক লীগ নেতার বা‌ড়িতে সিটির বুল‌ডোজার

শ্রমিক লীগ নেতার বা‌ড়িতে সিটির বুল‌ডোজার বুধবার বিকেলে নগরীর নতুন বাজারে শ্রমিক লীগ নেতার মালিকানাধীন ভবন‌ ভাঙ‌তে আসে বরিশাল সি‌টি কর‌পো‌রেশন। ছবি: নিউজবাংলা
বরিশাল সিটি করপোরেশনের রোড ইন্স‌পেক্টর রা‌কিবুল ইসলাম রা‌কিব ব‌লেন, ‘ভবন‌টির প্ল্যান র‌য়ে‌ছে ছয়তলার। প্ল্যানে গ‌্যা‌রেজও র‌য়ে‌ছে। কিন্তু ভবনটি সাততলা পর্যন্ত করা হয়েছে, গ‌্যা‌রেজ রাখা হয়নি। এ কার‌ণে ভবন মা‌লিককে একা‌ধিক বার নোটিশ দি‌লেও কো‌নো জবাব মেলেনি।’

ব‌রিশাল জেলা শ্রমিক লীগ সভাপ‌তি শাহজাহান হাওলাদা‌রের মা‌লিকানাধীন ভবন ভাঙ‌তে অভিযান চা‌লি‌য়ে‌ছে ব‌রিশাল সি‌টি করপো‌রেশন। নকশাব‌হির্ভূতভা‌বে ভবনটি নির্মানের অভিযোগে বুধবার এই অভিযান চালানো হয়। ভবন মা‌লি‌কের দাবি, বিনা নো‌টি‌শে সি‌টি কর‌পো‌রেশন বুল‌ডোজার নি‌য়ে ভবনটি ভাঙ‌তে এসে‌ছে।

এদিকে ঘটনাস্থলের ছ‌বি তুল‌তে সাংবা‌দিক‌দের বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে রোড ইন্স‌পেক্ট‌রের সহ‌যোগী‌দের বিরু‌দ্ধে। সাধারণ মানু‌ষের সঙ্গে রুঢ় আচর‌ণেরও অভিযোগ করেছেন অনেকে।

বুধবার বিকেল পৌ‌নে ৩টার দি‌কে নগরীর নতুন বাজারের টেম্পু স্ট‌্যান্ড এলাকায় ভবন‌টি ভাঙ‌তে আসে সি‌টি কর‌পো‌রেশন। ত‌বে ভবন মা‌লিক‌কে কিছু সময় দি‌য়ে বুল‌ডোজার তার ভব‌নের সাম‌নেই রে‌খে দেন কর‌পো‌রেশ‌নের রোড ইন্স‌পেক্টররা।

রোড ইন্স‌পেক্টর রা‌কিবুল ইসলাম রা‌কিব ব‌লেন, ‘ভবন‌টির প্ল্যান র‌য়ে‌ছে ছয়তলার। প্ল্যানে গ‌্যা‌রেজও র‌য়ে‌ছে। কিন্তু ভবনটি অনিয়মের মাধ্যমে সাততলা করা হয়েছে এবং গ‌্যা‌রেজ রাখা হয়নি। এ কার‌ণে ভবন মা‌লিককে একা‌ধিক বার নোটিশ দি‌লেও কো‌নো জবাব মেলেনি।

‘সবশেষ বুধবার এই বা‌ড়ি‌তে এসে নো‌টিশ দি‌য়ে যথাযথ ব‌্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া নেয়া হয়। ভবন মা‌লি‌ক আমা‌দের কা‌ছে সময় চে‌য়ে‌ছেন। বা‌কিটা ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষ বল‌তে পার‌বেন।’

সি‌টি কর‌পো‌রেশন সূ‌ত্রে জানা গে‌ছে, ১৯ নম্বর ওয়া‌র্ডের নতুন বাজা‌রের বা‌সিন্দা এবং ব‌রিশাল পৌরসভার টানা ১৮ বছর ক‌মিশনার প‌দে দা‌য়ি‌ত্বে থাকা শাহজাহান হাওলাদার‌কে ভবনটির ব্যাপারে গত ৬, ২০ ও ২৭ মার্চ চূড়ান্ত নো‌টিশ দেয়া হয়। তি‌নি কো‌নো জবাব দেননি কর‌পো‌রেশন‌কে। তাছাড়া নো‌টিশপ্রা‌প্তির ২৪ ঘণ্টার ম‌ধ্যে অন‌ু‌মো‌দিত প্ল্যান কর‌পো‌রেশ‌নে দা‌খি‌লের নি‌র্দেশ দেয়া হ‌লেও তি‌নি তা ক‌রেনন‌ি।

ভবনটির মা‌লিক ব‌রিশাল জেলা শ্রমিক লী‌গের সভাপ‌তি ও ব‌রিশাল জেলা মু‌ক্তি‌যোদ্ধা কমা‌ন্ডের সা‌বেক ডেপু‌টি কমান্ডার শাহজাহান হাওলাদার। তিনি ব‌লেন, ‘সি‌টি কর‌পো‌রেশন থে‌কে আমরা আগে কো‌নো ধর‌নের নো‌টিশ পাইনি। এখা‌নে বুলডোজার নিয়ে আসার ৩০ মি‌নিট আগে প্ল্যান ব‌হির্ভূতভা‌বে ভবন তৈরির কথা জানিয়ে আমা‌দেরকে নো‌টিশ দেয়া হ‌য়ে‌ছে। সিটি করপোরেশন উদ্দেশ্যমূলকভাবে এটা ক‌রে‌ছে।’

এদিকে বুধবার বিকেলে ‌শ্রমিক লীগ নেতার ভবন ভাঙার প্রস্তু‌তির আগেই নতুন বাজার টেম্পু স্ট‌্যান্ড থে‌কে গুপ্ত কর্নার মোড় পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ ক‌রে দেয় সি‌টি কর‌পো‌রেশন। ব‌্যস্ততম সড়কটি বন্ধ করে দেয়ায় ভোগান্তিতে পড়া অনেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান।

ভবন ভাঙার কার্যক্রম না ক‌রে বুল‌ডোজার শাহজাহান হাওলাদা‌রের বা‌ড়ির সাম‌নে রে‌খে দি‌য়ে বিকেল ৪টার দি‌কে ঘটনাস্থল ত‌্যাগ ক‌রেন সি‌টি কর‌পো‌রেশ‌নের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। প‌রে বুল‌ডোজার‌টিও স‌রি‌য়ে নেয়া হয়।

মহানগর আওয়ামী লী‌গের বিশ্বস্ত এক‌টি সূত্রের দাবি, ব‌রিশাল নগরী থে‌কে বি‌ভিন্ন রু‌টে থ্রি হুইলার মা‌হিন্দ্রা চলাচলে চাঁদাবাজি নি‌য়ে শ্রমিক লীগ নেতা শাহজাহান হাওলাদা‌রের সঙ্গে সি‌টি মেয়র সের‌নিয়াবাত সা‌দিক আব্দুল্লাহর দ্বন্দ্ব হয়। মেয়র নিজ ফেসবুক পে‌জে লাইভে এসেও শাহজাহান হাওলাদা‌রের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে কথা ব‌লেন থ্রি হুইলার মা‌হিন্দ্রা শ্রমিক‌দের সঙ্গে নিজ বাসায় আলোচনার সময়। ওই বিষয়‌কে কেন্দ্র ক‌রেই শাহজাহান হাওলাদা‌রের মা‌লিকানাধীন ভবন ভাঙার প্রক্রিয়া নেয় সি‌টি কর‌পো‌রেশন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
One Eleven Kushilab and BNP are in conspiracy Information Minister

এক-এগারোর কুশীলব ও বিএনপি এক হয়ে ষড়যন্ত্রে: তথ্যমন্ত্রী


এক-এগারোর কুশীলব ও বিএনপি এক হয়ে ষড়যন্ত্রে: তথ্যমন্ত্রী
ফাইল ছবি
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এক-এগারোর কুশীলবরা আবার দেশে-বিদেশে সক্রিয় হয়েছে। তারা আবার বিশেষ ধরনের সরকারের স্বপ্ন দেখছে। বিএনপিও তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে।

এক-এগারোর কুশীলবরা এবং বিএনপি একজোট হয়ে ষড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জিল্লুর রহমান পরিষদ আয়োজিত এই সভায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এবং প্রয়াত জিল্লুর রহমান তনয়া তানিয়া রহমান বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এক-এগারোর কুশীলবরা আবার দেশে-বিদেশে সক্রিয় হয়েছে। তারা আবার বিশেষ ধরনের সরকারের স্বপ্ন দেখছে। বিএনপিও তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে।

‘কারণ বিএনপি বুঝতে পেরেছে, গত ১৪ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে উন্নয়ন অগ্রগতি হয়েছে এতে জনগণ তাকে আবার নির্বাচিত করবে এবং বিএনপির জ্বালাও-পোড়াও, মানুষ পোড়ানোর অপরাজনীতির কারণে মানুষ তাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এ সব কারণে এক-এগারোর কুশীলবরা, বিএনপি আর বিশেষ পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিসহ সবাই এক জোট হয়ে দেশে একটি গণ্ডগোল লাগানোর জন্য আন্তর্জাতিকভাবে সক্রিয় হয়েছে, কিন্তু সেটি বাংলাদেশের মানুষ আর কখনো হতে দেবে না।

‘আগামী নির্বাচন যথাসময়ে এবং সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধিনে অনুষ্ঠিত হবে। সংসদীয় গণতন্ত্রের দেশগুলোর মতো আমাদের দেশেও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনকালীন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন, তার সরকার নির্বাচনকালীন সরকারের দায়িত্ব পালন করবে।’

মন্ত্রী বলেন, ‘এক-এগারোর পর দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখার ক্ষেত্রে প্রয়াত জিল্লুর রহমান অসাধারণ ভূমিকা রেখেছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হয়েছিলেন বলেই অনেক চাপ, রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে মুক্ত করার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, সর্বোপরি দলকে ঐক্যবদ্ধ রেখেছেন। দেশের ইতিহাসে, দেশের রাজনীতির ইতিহাসে একজন ভালো মানুষ এবং অজাতশত্রু রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি যুগ যুগ ধরে বেঁচে থাকবেন।’

জিল্লুর রহমান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আক্তারুজ্জামান খোকার সভাপতিত্বে এবং রোকন উদ্দীন পাঠানের সঞ্চালনায় আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, এ বি এম বায়েজিদ, মুক্তিযোদ্ধা হারুন-অর-রশিদ বীরপ্রতীক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি মানিক লাল ঘোষ সভায় বক্তব্য দেন।

নূরে আলম সিদ্দিকীর মৃত্যুতে শোক

মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, স্বাধীনবাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক এবং ঢাকসুর সাবেক ভিপি নূরে আলম সিদ্দিকীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি প্রয়াতের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান তিনি।

হাছান মাহমুদ তার শোকবার্তায় বলেন, ‘দেশ ও মানুষের প্রতি নূরে আলম সিদ্দিকীর ছিলো গভীর অনুরাগ। মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে এবং বাংলাদেশের রাজনীতিতে তার বীরোচিত অবদান স্মরণীয় হয়ে রয়েছে।’

আরও পড়ুন:
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকায় বিদেশিরা বিনিয়োগে আগ্রহী: তথ্যমন্ত্রী
মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে পাকিস্তানিদের দোসর ছিলেন জিয়া: তথ্যমন্ত্রী
রমজানের পবিত্রতা নষ্ট করতে চায় বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Protest march in Jabi demanding the release of journalist Shamsuzzaman

সাংবাদিক শামসুজ্জামানের মুক্তি দাবিতে জাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

সাংবাদিক শামসুজ্জামানের মুক্তি দাবিতে জাবিতে বিক্ষোভ মিছিল সাংবাদিক শামসুজ্জামানের মুক্তি দাবিতে বুধবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। ছবি: নিউজবাংলা
সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলী বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে। সরকার তার প্রয়োজনের সময় অসৎ উদ্দেশ্যে এই আইন ব্যবহার করছে। নিকৃষ্ট উপায়ে সাদা পোশাকে এসে রাষ্ট্রীয় গুণ্ডা বাহিনী সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে তুলে নিয়ে গেছে।’

সাভারে কর্মরত দৈনিক প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে তার বাসা থেকে তুলে নেয়ার প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে শিক্ষার্থীরা এই বিক্ষোভ মিছিল করেন।

মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

সমাবেশে ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলী বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে। সরকার তার প্রয়োজনের সময় অসৎ উদ্দেশ্যে এই আইন ব্যবহার করছে। নিকৃষ্ট উপায়ে সাদা পোশাকে এসে রাষ্ট্রীয় গুণ্ডা বাহিনী সাংবাদিক শামসুজ্জামানকে তুলে নিয়ে গেছে।’

প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী সুদীপ্ত দে বলেন, ‘কোনো সংবাদে আপত্তি থাকলে তার নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া আছে। কিন্তু এখানে অন্যায়ভাবে সাংবাদিককে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাকে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হোক। একই সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হোক।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Rubel used to see Ayanis sacked body every day

আয়নীর বস্তাবন্দি মরদেহ প্রতিদিন দেখে আসত রুবেল

আয়নীর বস্তাবন্দি মরদেহ প্রতিদিন দেখে আসত রুবেল শিশু আবিদা সুলতানা আয়নীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় সবজি বিক্রেতা রুবেলকে বুধবার আটক করে পিবিআই। ছবি: নিউজবাংলা
জিজ্ঞাসাবাদের পাওয়া তথ্যের উল্লেখ করে পুলিশ সুপার নাঈমা সুলতানা বলেন, ‘২১ মার্চ রাত ৯টার পর আঁখির বস্তাবন্দি মরদেহ সবজির ভ্যানে করে ত্রিফল দিয়ে ঢেকে মুরগি ফার্ম এলাকার ডোবায় ফেলে আসে রুবেল। রাত ১০টার দিকে শিশুটির পরিহিত স্যান্ডেল, পায়জামা ও হিজাব কনকা সিএনজি স্টেশনের পাশে নালায় ফেলে দেয় সে। এরপর থেকে রুবেল প্রতিদিন মরদেহের অবস্থা দেখে আসত এবং খড়কুটো দিয়ে তা ঢেকে দিত।’

চট্টগ্রামে নিখোঁজের ৮ দিন পর বুধবার উদ্ধার হয়েছে শিশু আবিদা সুলতানা আয়নীর মরদেহ। আর বস্তাবন্দি এই মরদেহ প্রতিদিন গিয়ে দেখে আসত অভিযুক্ত রুবেল। লোকজনের দৃষ্টির আড়ালে রাখতে সে খড়কুটো দিয়ে ওই বস্তা ঢেকে রাখত নিয়মিত।

বুধবার দুপুরে ডবলমুরিং এলাকায় নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের পুলিশ সুপার (এসপি, চট্টগ্রাম মেট্রো) নাঈমা সুলতানা।

তিনি বলেন, ‘ঘটনার দিন (২১ মার্চ) রাত ৯টার পর আখির মরদেহ বস্তাবন্দি করে সবজির ভ্যানে করে ত্রিফল দিয়ে ঢেকে মুরগি ফার্ম এলাকার ডোবায় ফেলে আসে রুবেল। রাত ১০টার দিকে আঁখির পরিহিত স্যান্ডেল, পায়জামা ও হিজাব কনকা সিএনজি স্টেশনের দক্ষিণ পাশের নালায় ফেলে দেয় সে। ডোবায় মরদেহ ফেলে আসার পর থেকে রুবেল প্রতিদিন মরদেহের অবস্থা দেখে আসত এবং লোকজনের দৃষ্টির আড়ালে রাখতে খড়কুটো দিয়ে ঢেকে দিত।’

২১ মার্চ বিকেলে চট্টগ্রামের পাহাড়তলী থানার কাজীর দিঘি এলাকার বাসা থেকে আরবি পড়তে বেরিয়ে নিখোঁজ হয় ১০ বছর বয়সী আবিদা সুলতানা আয়নী ওরফে আঁখি মনি। নিখোঁজের ৮ দিন পর বুধবার ভোরে পার্শ্ববর্তী পুকুরপাড়া মুরগি ফার্ম এলাকার একটি জলাশয় থেকে শিশুটির বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পিবিআই। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হত্যায় জড়িত সন্দেহে সবজি বিক্রেতা রুবেলকে আটক করে পিবিআই।

আয়নীর বস্তাবন্দি মরদেহ প্রতিদিন দেখে আসত রুবেল
আবিদা সুলতানা আয়নী ওরফে আঁখি মনি। ছবি: সংগৃহীত

সংবাদ সম্মেলনে নাঈমা সুলতানা জানান, পাহাড়তলী থানায় দায়ের করা সাধারণ ডায়েরি ও আঁখি মনির মায়ের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ২৩ মার্চ ছায়া তদন্ত শুরু করে পিবিআই। সিসিটিভি ফুটেজ ও শিশুটির স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় সবজি বিক্রেতা রুবেলকে শনাক্ত করে তারা৷

‘মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রুবেলকে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে রুবেল আঁখি মনিকে বিড়ালছানার প্রলোভন দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি খালি ভবনের চতুর্থ তলায় নিয়ে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে তার দেখানো মতেই মঙ্গলবার ভোরে আঁখি মনির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘আটক রুবেলের স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে মঙ্গলবার ভোর সোয়া ৫টার দিকে পাহাড়তলী থানার মুরগি ফার্ম বাজারের পাশে আলমতারা পুকুর এলাকার ডোবার আবর্জনায় চটের বস্তায় বাঁধা অবস্থায় শিশুটির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মরদেহে কালো রঙের একটি গেঞ্জি ছাড়া আর কোনো কাপড় ছিল না। পরবর্তীতে আটক রুবেলের তথ্যে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পাহাড়তলীর পোর্ট কানেকটিং রোডে কনকা সিএনজি স্টেশনের দক্ষিণ পাশের নালা থেকে শিশুটির স্যান্ডেল, পায়জামা ও হিজাব উদ্ধার করা হয়।

‘তিন মাস আগে স্বামী আবুল হাশেমের সঙ্গে বিয়েবিচ্ছেদ হওয়ায় আঁখি মনিকে নিয়ে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে এসে মায়ের বাসায় ওঠেন বিবি ফাতেমা। মেয়েকে স্থানীয় বিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে একটি তৈরি পোশাক কারখানায় চাকরি নেন তিনি।’

পিবিআই এসপি জানান, সবজি বিক্রির সুবাদে আঁখি মনির নানী বিবি খাদিজার সঙ্গে পরিচয় ছিল রুবেলের। মাস তিনেক আগে একটি বিড়ালছানা ধরতে গিয়ে রিকশার সঙ্গে ধাক্কা লাগে আঁখি মনির। তখন শিশুটির সঙ্গে পরিচয় হয় রুবেলের। সব সময় রুবেলের কাছে বিড়ালছানা চাইতো আঁখি, রুবেলও বোনের বাসা থেকে আঁখিকে বিড়ালছানা এনে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।

ঘটনার আগের দিন, ২০ মার্চ এক বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে বিড়ালছানা আনতে রুবেলের বাসায় যায় আঁখি। ওইদিন বেলা ১১টায় সবজি বিক্রির সময় নিজেদের বাসার নিচে রুবেলের সঙ্গে কথা হয় আঁখির। সে সময় বিকেলে বিড়ালছানা দেয়ার কথা বলে আঁখিকে পার্শ্ববর্তী একটি নির্দিষ্ট স্থানে যেতে বলে রুবেল।

বিকেলে আঁখি ওই নির্দিষ্ট স্থানে গেলেও রুবেলের দেখা না পেয়ে ফিরে আসে সে। পরদিন স্কুলের সামনে রুবেলকে দেখে বিড়ালছানার কথা জিজ্ঞেস করে সে। ওই সময় স্কুল শেষে আঁখিকে আগের নির্ধারিত স্থানে যেতে বলে রুবেল। স্কুল শেষে আঁখি পোশাক পরিবর্তন করে হিজাব পরে নির্ধারিত স্থানে যায়। হিজাব পরায় শুরুতে রুবেল চিনতে না পারলেও আঁখির ডাকে চিনতে পারে৷ তখন আঁখিকে কৌশলে রুবেল তার ফুফুর ভবনের চতুর্থ তলার খালি বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় আঁখি চিৎকার করলে গলাটিপে ও বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে রুবেল।

আয়নীর বস্তাবন্দি মরদেহ প্রতিদিন দেখে আসত রুবেল
বুধবার দুপুরে বন্দর নগরীর পাহাড়তলী থানার সাগরিকা মোড় এলাকায় মানববন্ধন করে আয়নীর সহপাঠিরা। এতে অংশ নেন অভিভাবকরাও। ছবি: নিউজবাংলা

আঁখি হত্যা ও ধর্ষণের প্রতিবাদে সহপাঠীদের মানববন্ধন

চট্টগ্রামে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া আবিদা সুলতানা আয়নী ওরফে আঁখি মনিকে ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদ এবং অভিযুক্তের বিচার দাবিতে বুধবার মানববন্ধন করেছে ওর সহপাঠীরা। আয়নীর স্কুল সরাইপাড়া হাজি আব্দুল আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মানববন্ধনে যোগ দেন অভিভাবকরাও।

বুধবার দুপুরে নগরীর পাহাড়তলী থানার সাগরিকা মোড় এলাকায় এই মানববন্ধন হয়।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত রুবেলের ‘ফাঁসি চাই, ফাঁসি চাই’ স্লোগান দিতে থাকে। শিক্ষার্থীদের অভিবাবক এবং শিক্ষকরাও দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘটনায় জড়িত সবজি বিক্রেতা রুবেলের যথোপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান।

আঁখি মনির সহপাঠী সুমাইয়া আক্তার সানজিদার বাবা মো. সেলিম বলেন, ‘এক সময় আমাদের বাসা পাশাপাশি ছিল। কিছুদিন আগে আমরা বাসা চেঞ্জ করে একটু দূরে চলে গেছি। বাচ্চাটি আমার মেয়ের সঙ্গে হাজী আব্দুল আলী স্কুলে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়তো। দুজনের বন্ধুত্বও ছিল। ঘটনাটি শুনে খুবই খারাপ লাগছে। আমরা খুনির ফাঁসি চাই।’

বর্ষা ও আয়াতের পথ ধরে আয়নী আঁখি

আবিদা সুলতানা আয়নী হত্যাকাণ্ডের আগে চট্টগ্রামে গত বছরের অক্টোবর ও নভেম্বরে নিখোঁজের পর দুটি শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

২৪ অক্টোবর চিপস কিনতে বের হয়ে নগরীর জামালখান এলাকায় নিখোঁজ হয় ৭ বছর বয়সী মার্জনা হক বর্ষা। এর তিন দিন পর একই এলাকার একটি নালা থেকে বর্ষার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে লক্ষণ দাশ নামের এক দোকান কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এরপর ১৫ নভেম্বর নগরীর ইপিজেড থানার বন্দরটিলা নয়ারহাট বিদ্যুৎ অফিস এলাকার বাসা থেকে পার্শ্ববর্তী মসজিদে আরবি পড়তে যাওয়ার সময় নিখোঁজ হয় আলিনা ইসলাম আয়াত। পরদিন এ ঘটনায় ইপিজেড থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করেন তার বাবা সোহেল রানা।

নিখোঁজের ৯ দিন পর সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জড়িত সন্দেহে আয়াতের পরিবারের ভাড়াটিয়া আবির আলীকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে আয়াতকে অপহরণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে বলে আদালতে জবানবন্দি দেয় আবির। এরপর পিবিআইয়ের কয়েক দফা চেষ্টায় নগরীর আকমল আলী সড়কের আশপাশে বিভিন্ন জলাশয় থেকে আয়াতের খণ্ডিত পা ও মাথা উদ্ধার করা হয়। সে সময় আয়াতের ওই মৃত্যুর ঘটনাও নাড়া দেয় সবাইকে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Former A League MP acquitted in rape case for marrying plaintiff

বাদীকে বিয়ে করায় ধর্ষণ মামলায় আ.লীগের সাবেক এমপিকে অব্যাহতি

বাদীকে বিয়ে করায় ধর্ষণ মামলায় আ.লীগের সাবেক এমপিকে অব্যাহতি আদালতে সাবেক এমপি খন্দকার আজিজুল হক আরজু। ছবি: সংগৃহীত
পাবনা-২ আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজুকে ১৩ মার্চ আদালত জামিন দেয়। শর্ত ছিল তার বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলার বাদীকে বিয়ে করতে হবে। জামিনের সেই শর্ত মানার পর বুধবার তাকে ওই মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

ধর্ষণ মামলার বাদীকে ৫০ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করে সংসার শুরু করায় পাবনা-২ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজুকে ধর্ষণের মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।

ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক বেগম সামছুন্নাহার বুধবার এই অব্যাহতির আদেশ দেন।

এর আগে ১৩ মার্চ একই আদালত বাদীকে বিয়ের শর্তে আরজুকে জামিন দিয়েছিল। সে অনুযায়ী বাদীকে বিয়ে করেন আসামি।

গত বছরের ২২ এপ্রিল শিক্ষানবিশ এক আইনজীবী আদালতে মামলাটি করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০০০ সালের ডিসেম্বরে বাদীর সঙ্গে প্রথম স্বামীর বিয়েবিচ্ছেদ হয়। সে সময় ওই নারী একটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিতে চাকরি করা অবস্থায় অনেকটা নিঃসঙ্গ জীবনযাপন করছিলেন। স্বজনরা তাকে ফের বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন।

একপর্যায়ে ২০০১ সালের শেষের দিকে চাচার মাধ্যমে আসামি আরজুর সঙ্গে পরিচয় হয় বাদীর। আরজু নিয়মিত ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তাকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে একপর্যায়ে সফল হন। আরজু তাকে জানান, তার প্রথম পক্ষের স্ত্রী মারা গেছেন। একাকীত্বের অবসান ঘটাতে নতুন সংসার শুরু করতে চান তিনি। ওই নারী আরজুর প্রেমে পড়ে তার বিয়ের প্রস্তাবে সাড়া দেন। ২০০৩ সালের ১০ ডিসেম্বর তারা বিয়ে করেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০০৮ সালের ১৬ জানুয়ারি ওই দম্পতির একটি মেয়ে সন্তান হয়। এ সন্তান গর্ভে আসার সময় থেকে আরজু বিভিন্ন ছলচাতুরির মাধ্যমে ভ্রূণ নষ্ট করার চেষ্টা করেন। ওই নারীর দৃঢ়তায় তার সে চেষ্টা সফল হয়নি।

মামলার বিবরণে আরও বলা হয়, সন্তান হওয়ার পর আরজুর আচার-আচরণে পরিবর্তন লক্ষ‍্য করা যায়। তিনি ওই নারীর বাসায় আসা কমিয়ে দেন। এ ছাড়া ফ্ল্যাট কিনে দেয়ার কথা বলে ওই নারীর বাবার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা এবং নারীর জমানো ৮ লাখ টাকা নিলেও ফ্ল্যাট কিনে দেননি আরজু। তিনি টাকাও ফেরত দেননি।

পরে খোঁজ নিয়ে ওই নারী জানতে পারেন, আরজুর প্রথম পক্ষের স্ত্রী জীবিত। তার ঘরে মেয়েসন্তান আছে এবং স্ত্রীর সঙ্গেই থাকেন তিনি।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, আসামি বাদীর কাছে ফারুক হোসেন নামে পরিচয় দিলেও প্রকৃতপক্ষে তার নাম খন্দকার আজিজুল হক আরজু। শারীরিক সম্পর্ক করার জন্যই বিয়ের নামে প্রতারণা করেছেন তিনি। আরজু কয়েকবার নিজে এবং ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে বাদীকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালান। একপর্যায়ে বাদীর সঙ্গে বিয়ে এবং তার ঔরসের সন্তানকে সরাসরি অস্বীকার করেন তিনি।

মামলার তদন্তে বাদীর মেয়ে সন্তানের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। এতে ওই সন্তান বাদীর গর্ভজাত এবং আরজু তার জন্মদাতা বলে তথ্য-প্রমাণ উঠে আসে।

আরও পড়ুন:
ধর্ষণ মামলায় জামিন নাকচ, সাবেক এমপি আরজু কারাগারে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Awami League was created by destroying BNP Prime Minister

বিএনপি ধ্বংস করে, আওয়ামী লীগ সৃষ্টি করে: প্রধানমন্ত্রী

বিএনপি ধ্বংস করে, আওয়ামী লীগ সৃষ্টি করে: প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী বুধবার ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় ভূমি সম্মেলন ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের ৭টি উদ্যোগের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। ছবি: পিআইডি
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা চাই বাংলাদেশ থেকে সব ধরনের অনিয়ম দূর হোক। আমরা আজ ৭টি উদ্যোগ উদ্বোধন করলাম। প্রতিটি উপজেলায় উন্নত ভূমি অফিস ও রেকর্ড সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসবের সুবাদে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন সহজ হবে।’

প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘মানুষের সেবা করে যাওয়াটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। এই লক্ষ্যে ভূমি সেবা ডিজিটালাইজেশনের পাশাপাশি ভূমি ব্যবস্থাপনাকে আধুনিকায়ন করা হয়েছে, যাতে সব অনিয়ম দূর হয় এবং জমি নিয়ে হানাহানি বন্ধ হয়।’

বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘জাতীয় ভূমি সম্মেলন-২০২৩ ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাতটি প্রকল্প উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘বিএনপি ৬টি ভূমি অফিস আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছিল। রেকর্ড পুড়িয়ে দেয়া হয়। ফলে ভূমি অফিসের দুরবস্থা সবার নজরে এসেছে। তারই ধারাবাহিকতায় সরকার চারশ’ আধুনিক ভূমি অফিস করে দিয়েছে।

‘একদিক থেকে ভালো হয়েছে যে, ওদের আগুন লাগানোর ফলে নতুন ও আধুনিক ভূমি অফিসের ব্যবস্থা হয়েছে। আর এও প্রমাণ হয়েছে- ওরা ধ্বংস করে আর আওয়ামী লীগ সৃষ্টি করে মানুষের কল্যাণে। মানুষের সেবা করে যাওয়াটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা চাই বাংলাদেশ থেকে সব ধরনের অনিয়ম দূর হোক। আমরা আজ ৭টি উদ্যোগ উদ্বোধন করলাম। প্রতিটি উপজেলায় উন্নত ভূমি অফিস ও রেকর্ড সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসবের সুবাদে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন সহজ হবে।’

সম্পদ বণ্টন নিয়ে সরকার প্রধান বলেন, ‘আমরা দেখি- বোনকে বঞ্চিত করে ভাই। আবার বোনও ভাইকে বঞ্চিত করে। বোন বোনকে বঞ্চিত করে এমন ঘটনাও আছে। বণ্টন ব্যবস্থাটা ডিজিটালাইজড করলে এই সমস্যা হবে না।

‘অধিকাংশ পারিবারিক সমস্যা এই বণ্টনের কারণে হয়। খুন-খারাবিও হয়। এর মধ্য দিয়ে অনেক পারিবারিক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। মানুষ শান্তি পাবে। মানুষের জীবনের শান্তি ও সমৃদ্ধি আমাদের কামনা।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী পহেলা বৈশাখ থেকে ভূমি উন্নয়ন কর শতভাগ অনলাইনে আদায় করা হবে। দেশের সাধারণ জনগণের পাশাপাশি ১৯২টি দেশ থেকে কল সেন্টারে বা ভূমি সেবা পোর্টালে আবেদন করলে প্রবাসীদের ঠিকানায়ও খতিয়ান পাঠানো হবে। ইতোমধ্যে অনলাইনে ৭৭০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। সে হিসাবে দিনে গড়ে রাজস্ব আদায় ৫ কোটি টাকার বেশি।’

প্রধানমন্ত্রী জানান, ভূমি সেবা ডিজিটালাইজেশনের পাশাপাশি ভূমি ব্যবস্থাপনাকে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। ১৬১২২ নম্বরে ফোন করে কিংবা ঘরে বসে পোর্টাল থেকে নামজারি, খতিয়ান নেয়া এবং ভূমি কর দেয়া যাচ্ছে।

ভূমি সংক্রান্ত অপরাধ ঠেকাতেও নেয়া হয়েছে ব্যবস্থা। ভূমিতে নতুন নিয়োগ বিধিমালার মাধ্যমে নিয়োগের সমস্যারও সমাধান করা হয়েছে। সামনে আর জনবল সংকট থাকবে না। সব উপজেলায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) নিয়োগ করা হয়েছে। তাদের যানবাহনও দেয়া হয়েছে।

অনুষ্ঠানে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার এবং ভূমি সচিব মোস্তাফিজুর রহমান বক্তব্য দেন।

আরও পড়ুন:
অগণতান্ত্রিক দল কীভাবে গণতন্ত্র দেবে, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর
স্বাধীনতা দিবসে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী
স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছাবার্তায় কী বললেন প্রধানমন্ত্রী
স্বাধীনতা দিবসে ডাকটিকিট অবমুক্ত প্রধানমন্ত্রীর
পার্টি না করে গরিবদের ইফতার সামগ্রী দিতে নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

মন্তব্য

p
উপরে