× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Registration is not enough to open a university
google_news print-icon

বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে টিকা লাগবে না, নিবন্ধনই যথেষ্ট

বিশ্ববিদ্যালয়-খুলতে-টিকা-লাগবে-না-নিবন্ধনই-যথেষ্ট
রাজধানীর ইডেন কলেজে ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। ছবি: নিউজবাংলা
১৭ মাস পর গত রোববার থেকে স্কুল-কলেজে ক্লাস শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। তবে এতদিন সরকার জানিয়ে আসছিল, সবাইকে টিকা দেয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে চায়। কিন্তু সবার টিকা কবে নিশ্চিত করা যাবে, সেটিই এখনও নিশ্চিত নয়। নিবন্ধন করা লাখ লাখ মানুষ এখনও টিকার তারিখ পাচ্ছে না। ফলে এই নীতি না পাল্টালে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা পিছিয়ে যেতে পারত।   

শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের করোনার টিকা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত পাল্টেছে সরকার। শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি জানিয়েছেন, টিকার নিবন্ধন করিয়েই বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে পারবেন উপাচার্যরা।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর ইডেন কলেজে ভবন উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন করলেই যদি বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়া হয়, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টারগুলো টিকাদান কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত হবে।

‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তাদের টেকনিক্যাল সহায়তা দেবে এবং টিকা সরবরাহ করবে। রেজিস্ট্রেশন করা শিক্ষার্থীরা তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টার থেকে টিকা নিয়ে নিতে পারবে। সেখানে হয়তো আরও অর্গানাইজড ওয়েতে দেয়া সম্ভব।’

১৭ মাস পর গত রোববার থেকে স্কুল-কলেজে ক্লাস শুরু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। তবে এতদিন সরকার জানিয়ে আসছিল, সবাইকে টিকা দেয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় খুলতে চায়।

কিন্তু সবার টিকা কবে নিশ্চিত করা যাবে, সেটিই এখনও নিশ্চিত নয়। নিবন্ধন করা লাখ লাখ মানুষ এখনও টিকার তারিখ পাচ্ছে না। ফলে এই নীতি না পাল্টালে বিশ্ববিদ্যালয় খোলা পিছিয়ে যেতে পারত।

শিক্ষামন্ত্রী জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকার নিবন্ধনও সহজ করা হচ্ছে। যাদের জাতীয় পরিচয়পত্র নেই, তাদের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেয়া হবে।

যাদের পরিচয়পত্র নেই, তাদের জন্য আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) থেকে একটা লিংক পাঠানো হবে। সেখানে জন্মসনদ দিয়ে নিবন্ধন করা যাবে।

যদি জন্মসনদ না থাকে, তাহলে সেটি করে নেয়া খুবই সহজ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সেটি তারা করে নেবে।’

নিবন্ধনের পর বিশ্ববিদ্যালয়সংশ্লিষ্টদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দিয়ে দেয়া হবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, আগামী ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হবে। যে যত আগে রেজিস্ট্রেশন করবে, তাদের আমরা তত দ্রুত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেয়ার চেষ্টা করব।’

বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার তারিখ এরপর জানানো হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এরপরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের সিন্ডিকেটে টিকা গ্রহণ ও কোভিড পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে যখন তারা মনে করবে, এই সময় বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেয়ার তারিখ ঘোষণা করবে।’

বিশ্ববিদ্যালয় খোলা নিয়ে উপাচার্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউজিসির মতও এমনটিই বলে জানান মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা, ইউজিসির সদস্যরা, সাত কলেজের সমন্বয়ক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও জাতীয় পরামর্শক কমিটির সবাইকে নিয়ে সভা করেছি। সেখানে আমরা পর্যালোচনা করে দেখলাম আমাদের আবাসিক শিক্ষার্থীদের একটি অংশ টিকা দেয়া হয়ে গেছে। শিক্ষক-কর্মচারীদের অধিকাংশের টিকা নেয়া হয়ে গেছে।

‘এখন আমাদের উপাচার্যদের যে অভিমত সেটি হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা যারা তারা অন্ততপক্ষে একটি ডোজ টিকা নিতে পারে, সেখানে হল খোলা অনেক সহজ হবে।’

আরও পড়ুন:
সরকারি নির্দেশেই খুলবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হল
বিশ্ববিদ্যালয় খোলা যাবে ২৭ সেপ্টেম্বরের পর
বিশ্ববিদ্যালয় খোলা নিয়ে বৈঠক চলছে
হল নাকি মেস, দোটানায় জবি ছাত্রীরা
ঝকঝকে ক্যাম্পাসের জন্য খরচ ২৩৭ কোটি টাকা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Inter hall investigation committee to identify deluge gang members

‘প্রলয় গ্যাং’ সদস্য চিহ্নিত করতে আন্তঃহল তদন্ত কমিটি

‘প্রলয় গ্যাং’ সদস্য চিহ্নিত করতে আন্তঃহল তদন্ত কমিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ফাইল ছবি
বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথিত প্রলয় গ্যাং নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থীর উত্থানের কথা জানা যায়। এই গ্যাং-এর সদস্যদের আচরণে বখাটেপনা ও উচ্ছৃঙ্খলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এই গ্যাং অপকর্মের সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করতে আন্তঃহল তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কথিত প্রলয় গ্যাংয়ের সদস্যদের চিহ্নিত করতে আন্তঃহল তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল রউফ মামুনকে কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। সদস্য সচিব করা হয়েছে সহকারী প্রক্টর ড. এম এল পলাশকে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার প্রভোস্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির এক সভায় আন্তঃহল তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

কমিটিকে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত কাজ শেষ করে উপাচার্যের কাছে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল, স্যার এ এফ রহমান হল, কবি জসীমউদ্‌দীন হল, জগন্নাথ হল, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল, বিজয় একাত্তর হল, জিয়া হল, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল এবং সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষবৃন্দ কমিটির সদস্য হিসেবে রয়েছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথিত প্রলয় গ্যাং নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থীর উত্থানের কথা জানা যায়। কথিত এই গ্যাং-এর সদস্যদের আচরণে বখাটেপনা ও উচ্ছৃঙ্খলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী এই গ্যাং কার্যক্রম কোনোক্রমেই কাম্য হতে পারে না।

এ অবস্থায় যেসব শিক্ষার্থী এই গ্যাং অপকর্মের সঙ্গে জড়িত তাদের চিহ্নিত করার জন্য এই আন্তঃহল তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:
প্রলয় গ্যাংয়ের ২ সদস্যকে ঢাবি থেকে বহিষ্কার
ঢাবির শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় ‘প্রলয় গ্যাংয়ের’ দুই সদস্য গ্রেপ্তার
‘ক্যাম্পাসে যেমন ইচ্ছা তেমন করব বলে সব জায়গায় পেটানো হয়’
গাড়িতে আটকে মৃত্যু: তদন্ত প্রতিবেদন ৭ মে
ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ঢাবি কর্তৃপক্ষের কাছে নালিশ অধিকার পরিষদের

মন্তব্য

বাংলাদেশ
2 members of deluge gang expelled from DU

প্রলয় গ্যাংয়ের ২ সদস্যকে ঢাবি থেকে বহিষ্কার

প্রলয় গ্যাংয়ের ২ সদস্যকে ঢাবি থেকে বহিষ্কার ফাইল ছবি
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় , দুজন শিক্ষার্থীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সাময়িক বহিষ্কারের এই অনুমোদন প্রদান করেন।

বেপরোয়া গাড়ি চালানোর প্রতিবাদ করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীকে পেটানোর ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া প্রলয় গ্যাংয়ের দুই সদস্যকে বিশ্ববিদ্যালয়টি থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বহিষ্কার হওয়া দুই শিক্ষার্থী হলেন- নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. নাইমুর রহমান দুর্জয় এবং অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস্ বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সাকিব ফেরদৌস। সাকিব। দুজনই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২০২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় , দুজন শিক্ষার্থীকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সাময়িক বহিষ্কারের এই অনুমোদন প্রদান করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সাময়িকভাবে বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না' মর্মে পত্রপ্রাপ্তির সাত কার্যদিবসের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে গত রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মর্তুজা মেডিকেল সেন্টারে এই দুই আসামি অবস্থান করছেন খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানীও উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের আটক করে শাহবাগ থানায় সোপর্দ করা হয়। এরপর তাদের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন:
ঢাবির শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় ‘প্রলয় গ্যাংয়ের’ দুই সদস্য গ্রেপ্তার
‘ক্যাম্পাসে যেমন ইচ্ছা তেমন করব বলে সব জায়গায় পেটানো হয়’
গাড়িতে আটকে মৃত্যু: তদন্ত প্রতিবেদন ৭ মে
ঢাবির রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েট প্রতিনিধি নির্বাচনে জয়ী গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের নিজাম চৌধুরী
ঢাবির প্রক্টরিয়াল টিমের চাঁদাবাজি তদন্তে কমিটি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Job students were beaten by locals

জবি শিক্ষার্থীদের পেটাল স্থানীয়রা

জবি শিক্ষার্থীদের পেটাল স্থানীয়রা হাসপাতালে হামলার শিকার হওয়ার ঘটনার বর্ণনা দেন এক শিক্ষার্থী। ছবি: নিউজবাংলা
সোমবার রাত ১০টার দিকে গেন্ডারিয়ার মুরগিটোলা মোড়ে প্রথম দফায় ও ১১টার দিকে বানিয়ানগর এলাকায় দ্বিতীয় দফায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।

পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়া এলাকায় স্থানীয়দের হাতে মারপিটের শিকার হয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।

সোমবার রাত ১০টার দিকে গেন্ডারিয়ার মুরগিটোলা মোড়ে প্রথম দফায় ও ১১টার দিকে বানিয়ানগর এলাকায় দ্বিতীয় দফায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় অন্তত পাঁচ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত এক শিক্ষার্থীকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

হামলার সময় পুলিশ উপস্থিত থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন আহত শিক্ষার্থীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর ফোন ছিনতাইয়ের ঘটনায় স্থানীয়দের সঙ্গে মারামারির ঘটনা ঘটে শিক্ষার্থীদের। তখন এক শিক্ষার্থী ও স্থানীয় দুইজনকে আটক করে সূত্রাপুর থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরবর্তীতে তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।

পরে রাত ১১টার দিকে আবু সুফিয়ান ও শিহাব নামের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের টি-শার্ট পরা অবস্থায় মুরগিটোলা মোড়ে চা খেতে গেলে হঠাৎ ৫০-৬০ জন স্থানীয় যুবক এসে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন। ওই দুই শিক্ষার্থীর ওপর অতর্কিত হামলা চালান তারা।

এসময় তাদের চিৎকারে আরও আশেপাশে অবস্থান করা আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী এগিয়ে এলে তাদের ওপরও আক্রমণ করেন স্থানীয়রা।

আহত সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সুফিয়ান বলেন, ‘আমি চা খাওয়ার জন্য আমার বন্ধুর সাথে বের হয়েছিলাম। হঠাৎ স্থানীয় কয়েকজন এসে আমাদের আটকিয়ে কোথায় থাকি জিজ্ঞাসা করে। বানিয়ানগর থাকি বলতেই আমাদের ওপর অনেকগুলো ছেলে আক্রমণ করে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের টি-শার্ট পরা থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম নিয়ে গালিগালাজ করতে থাকে আর মারতে থাকে। আমরা আগের ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানতাম না।’

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালালেও পাশে অবস্থান করা পুলিশ চেয়ে চেয়ে দেখেছে। হামলার শিকার শিক্ষার্থীদের সহায়তায় এগিয়ে যায়নি পুলিশ।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যায়, ৫০ থেকে ৬০ জন মিলে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। ঘটনাস্থলে ১০-এর বেশি পুলিশ সদস্য অবস্থান করলেও তারা কার্যকর কোনো ভূমিকা পালন করেনি।

হামলার শিকার শিহাব নামের আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমাদের মারধর করার পর পুলিশ এসে থামায়। কিন্তু বলতে থাকে তোরা জগন্নাথের স্টুডেন্ট এখানে আসছিস কেন? এই কথা বলেই পুলিশ আমাকে মারতে থাকে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানার পর আহতদের চিকিৎসার জন্য ব্যবস্থা করে দিয়েছি। আর সূত্রাপুর ও গেন্ডারিয়া দুই থানার ওসির সাথেই কথা বলেছি। থানায় অভিযোগ দিলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। পুলিশ যে শিক্ষার্থীদের ওপর হাত তুলেছে সেই ভিডিওটিও ওসিকে দিয়েছি।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে গেন্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু সাঈদ আল মামুন বলেন, ‘এটা সূত্রাপুর থানা অধীনে। তবে ঘটনার সময় সেখানে আমাদের পুলিশ সদস্যরা ছিল। তারা মারামারি থামিয়ে দিয়েছে। পরে আমি নিজে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। তবে এ ঘটনায় আমাদের এখানে কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি।’

সূত্রাপুর থানায় ওসি মো. মইনুল ইসলাম বলেন, ‘ওই ঘটনায় হামলার শিকার কেউ এখনো আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ করেনি। কোথা থেকে ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে তা তারা আসলে তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারবো। আর যেই দুজন কে আটক করা হয়েছিল তারা এ ঘটনার সাথে জড়িত না। তাই তাদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন:
২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দাবি
গুচ্ছ নয়, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থী ভর্তি চায় জবি শিক্ষক সমিতি
জবি ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীর মামলা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Proloy Gang Affiliated terrorist organization of Chhatra League Chhatra Dal

‘প্রলয় গ্যাং’ ছাত্রলীগের সহযোগী সন্ত্রাসী সংগঠন: ছাত্রদল

‘প্রলয় গ্যাং’ ছাত্রলীগের সহযোগী সন্ত্রাসী সংগঠন: ছাত্রদল সোমবার বিকেলে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ও সমাবেশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। ছবি: নিউজবাংলা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে কখনও কোনো গ্যাংস্টার সংস্কৃতির জন্ম হয়নি। কিন্তু ছাত্রলীগ তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য এই গ্যাং সংস্কৃতির জন্ম দিয়েছে। সংগঠনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৫ বছর ধরে পেশিশক্তির মাধ্যমে নানা অপকর্মসহ সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।’

বেপরোয়া গতিতে গাড়ি না চালাতে বলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে বেদম পিটুনির ঘটনার পর প্রকাশ্যে এসেছে ‘প্রলয় গ্যাং’। এই গ্যাংয়ের সদস্যরা মারধরসহ বিভিন্ন চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত।

জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের একদল শিক্ষার্থী এই গ্যাং তৈরি করেছেন। আর এই গ্যাং-এর কিছু সদস্য ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।

প্রলয় গ্যাংস্টারের উদ্ভব ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশব্যাপী সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের ‘সিরিজ অপকর্ম’-এর প্রতিবাদে সোমবার বিকেলে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল। এ সময় সংগঠনটির নেতারা প্রলয় গ্যাংকে ছাত্রলীগের নতুন সহযোগী সন্ত্রাসী সংগঠন বলে উল্লেখ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি খোরশেদ আলম সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে এই বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে শুরু হয়ে কার্জন হলের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে এই বিক্ষোভ শেষ হয়।

এ সময় খোরশেদ আলম সোহেল বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে কখনও কোনো গ্যাংস্টার সংস্কৃতির জন্ম হয়নি। কিন্তু ছাত্রলীগ তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য এই গ্যাং সংস্কৃতির জন্ম দিয়েছে। সংগঠনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৫ বছর ধরে পেশিশক্তির মাধ্যমে নানা অপকর্মসহ সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এসব অপকর্ম ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের তীব্র নিন্দা ও কঠোর প্রতিবাদ জানায় এবং সব সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিহত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছে। আমরা সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রদলসহ সব ছাত্র সংগঠনের সহাবস্থান নিশ্চিত করার জোর দাবি জানাচ্ছি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি।’

সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একটি নব্য সন্ত্রাসী সংগঠন হচ্ছে প্রলয় গ্যাং, যা সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিপীড়ন সেল।

‘ছাত্রলীগ তাদের অতীত ঐতিহ্যগত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অব্যাহত রেখেছে। চাঁদাবাজি, ছিনতাই, টেন্ডারবাজি, হলে সিট বাণিজ্য, ভর্তি বাণিজ্য, মাদকের কারবার ইত্যাদি কর্মকাণ্ডের কারণে ছাত্রলীগ সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের কাছে ঘৃণ্য সংগঠনে পরিণত হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল ছাত্রলীগের এহেন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় এবং সাংগঠনিক অভিভাবক তারেক রহমানের নির্দেশনায় ছাত্রদল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অচিরেই সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে নিয়ে ছাত্রলীগকে ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করবে ইনশাআল্লাহ।’

ঢাবি ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ, যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, মাসুম বিল্লাহ, তরিকুল ইসলাম তারিক, নাছির উদ্দিন শাওন, সাদ্দাম হোসেন, রাজু আহমেদ, হান্নান তালুকদারসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
কোমরে পিস্তল নিয়ে ফেসবুকে ছাত্রলীগ নেতা
জাবিতে ছাত্রলীগের দেশীয় অস্ত্রের মহড়া, সাংবাদিকের ওপর হামলা
আলোচিত সেই ছাত্রলীগ সভাপতি গ্রেপ্তার
বিছানায় চবি ছাত্রলীগ সভাপতি, পা টিপছেন ২ নেতা
ছাত্র অধিকারের ২৪ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে প্রতিবেদন ২৬ এপ্রিল

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Chabi honors 50 brave freedom fighters

৫০ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে চবির সম্মাননা

৫০ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে চবির সম্মাননা রোববার ৫০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা জানায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: নিউজবাংলা
সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, ‘মহান স্বাধীনতা দিবসে আমরা সম্মানিত করছি ৫০ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে, যারা আমাদের হৃৎস্পন্দন। যাদের ত্যাগের বিনিময়ে আজকের এই বাংলাদেশ, তাদেরকে সম্মাননা দিতে পেরে আমরা গৌরবান্বিত।’

মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ বদান রাখার জন্য চট্টগ্রাম বিভাগের ৫০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ মিলনায়তনে রোববার দুপুরে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে তাদেরকে এই সম্মাননা দেয়া হয়েছে। এ সময় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্রেস্ট ও উত্তরীয় দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স সেল (আইকিউএসি)-এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ মামুন। স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোহাম্মদ নূরুল আজিম সিকদার৷

সম্মাননা পাওয়া বীর মুক্তিযোদ্ধারা হলেন- জাহাঙ্গীর আলম, জাহিদ হোসেন, জাহাঙ্গীর চৌধুরী, রফিক আহম্মাদ (বিল্লা), অমল মিত্র, মোহাম্মদ মহিউদ্দিন শাহ আলম, মুকুল দাস, মোহাম্মদ ইসমাইল, আনোয়ারুল আজিম, প্রফেসর ডা. জাহিদ শরিফ, মোহাম্মদ ইউসুফ, এ. এইচ. এম. জিলানী চৌধুরী, মো. আবুল ফয়েজ, নির্মল চন্দ্র নাথ, ফজরুল হক ভূঁইয়া, মহিউদ্দিন আহমেদ রাশেদ, বদিউল আলম, মোহাম্মদ ইউনুস, এ কে এম সরওয়ার কামাল দুলু, মো. গোফরানুল হক ও আলহাজ্ব সুলতানুল কবির চৌধুরী (মরণোত্তর)।

অন্য বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে রয়েছেন- মোহাম্মদ আবু ইউসুফ চৌধুরী, রাজেন্দ্র প্রসাদ চৌধুরী, মোহাম্মদ সোলায়মান, সৈয়দ মোহাম্মদ মাহবুব উল আলম, পংকজ কুমার দস্তিদার, নাসির উদ্দীন চৌধুরী, নওশের আলী খান, এস এম কামাল উদ্দিন (মরণোত্তর), মো. ইদ্রিস (মরণোত্তর), আবুল কাশেম চিশতী, ইউসূফ সালাহউদ্দিন আহমদ, মো. ছালেহ আহমেদ, শহীদুল হক চৌধুরী (সৈয়দ), আহামদ উল্লাহ, মোহাম্মদ নূর উদ্দিন, আবু সাঈদ সরদার, শেখ সাইফুল আনোয়ার, নুরুল বশর, শাহজাহান খান, হাজী জাফর আহমদ, সৌরেন্দ্র নাথ সেন, সেলিম উল্লাহ, রফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইলিয়াছ মিঞা, শেখ মো. নুরুজ্জামান (মরণোত্তর), ফজলুল হক ভূঁইয়া, আফছার উদ্দিন আহমদ, মোখতার আহমদ (মরণোত্তর) ও এস. এম. ফজলুল হক।

সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেন, ‘মহান স্বাধীনতা দিবসে আমরা সম্মানিত করছি ৫০ বীর মুক্তিযোদ্ধাকে, যারা আমাদের হৃৎস্পন্দন। তাদের ত্যাগের বিনিময়ে আজকের এই বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত। তাদেরকে সম্মাননা দিতে পেরে আমরা গৌরবান্বিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত বছরও আমরা ৫০ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা দিয়েছি। আমরা দুটি ক্রাইটেরিয়া অনুসরণ করে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করে এই সম্মাননা দিচ্ছি। একটি হলো যারা ভাতাপ্রাপ্ত, আরেকটি হচ্ছে যাদের নাম লাল বইয়ে আছে। আমরা যেসব নাম প্রস্তাব করি, সেগুলো আবার মুক্তিযোদ্ধা সংসদ থেকে ভেরিফাই করেছি।

‘মুক্তিযোদ্ধা যারা আজ সম্মাননা নিচ্ছেন তাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আমরা প্রতিবছর সম্মাননা দেয়ার এই ধারা অব্যাহত রাখব।’

অনুষ্ঠান বর্জন শিক্ষক সমিতি ও কর্মকর্তা সমিতির

এদিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা অনুষ্ঠান বর্জন/বয়কট করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার সমিতি।

অনুষ্ঠানে প্রক্টরকে স্বাগত বক্তা হিসেবে রাখা, প্রশাসনিক পদে নেই এমন একজনকে অনুষ্ঠানের সভাপতি করা এবং মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কাদের সম্মাননা দেয়া হচ্ছে সে বিষয়ে কারও সঙ্গে আলোচনা না করায় অনুষ্ঠান বর্জন করে শিক্ষক সমিতি।

অন্যদিকে অনুষ্ঠানে সভাপতির দায়িত্বে রেজিস্ট্রারকে না রাখায় অফিসার সমিতি অনুষ্ঠান বর্জন করেন।

আলোচনা সভা বয়কটের বিষয়ে চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মুস্তাফিজুর রহমান ছিদ্দিকী বলেন, ‘অনুষ্ঠানে এমন একজন ব্যক্তিকে (প্রক্টর) স্বাগত বক্তা হিসেবে রাখা হয়েছে যার বিরুদ্ধে স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকাণ্ড ও জামায়াত-শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে৷ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেবেন স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকা এক ব্যক্তি। এটা আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারি না। এটা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী।’

তিনি আরও বলেন, অনুষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে আইকিউএসির পরিচালককে রাখা হয়েছে, যিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কোনো পদে নেই। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে কাদের সম্মাননা দেয়া হচ্ছে সে বিষয়েও কারও সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। তবে আমরা সংগঠন থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ও স্বাধীনতা স্মৃতি ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছি।’

অন্যদিকে চবি অফিসার সমিতির সভাপতি রশীদুল হায়দার জাবেদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষ্ঠানগুলো পরিচালনা বা সভাপতিত্ব করে থাকেন রেজিস্ট্রার। কিন্তু স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান পরিচালনা বা সভাপতিত্ব কোনটিতেই রেজিস্ট্রারকে রাখা হয়নি। এছাড়া অন্যান্যবার স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অফিসার সমিতিসহ অন্যান্য কর্মচারী সমিতির সভাপতিদের জন্য মঞ্চে আসন রাখা হয়। এবার এটাও করা হয়নি। সব মিলিয়ে আমরা মনে করেছি যে অনুষ্ঠানে আমাদের মূল্যায়ন নেই, সেখানে না যাওয়াই ভালো।’

আরও পড়ুন:
মাঝসমুদ্রে চবি শিক্ষার্থীদের মারধর, আহত ১০
চবিতে ১৬ জনের পর আরও তিনজনের পদত্যাগ
চবি প্রশাসনে গণপদত্যাগের নেপথ্য কারণ কী?
চবিতে প্রক্টরের পদত্যাগের ঘণ্টাখানেক পর নতুন প্রক্টর
চবি প্রক্টরসহ বিভিন্ন পর্ষদের ১৬ জনের পদত্যাগ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Canadian University of Bangladesh Summer Semester admission process has started

সিইউবিতে সামার সেমিস্টারের ভর্তি কার্যক্রম শুরু

সিইউবিতে সামার সেমিস্টারের ভর্তি কার্যক্রম শুরু
স্নাতক পর্যায়ের প্রোগ্রামগুলোতে রয়েছে শিপিং ও মেরিটাইম সায়েন্স, বিবিএ, সিএসই, ইইই, এলএল.বি, ইংলিশ, মিডিয়া কমিউনিকেশন ও জার্নালিজম এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে রয়েছে মাস্টার্স ইন মেরিটাইম ট্রান্সপোর্টেশন ও লজিস্টিকস, এমবিএ ও ইএমবিএ।

রাজধানীর প্রগতি সরণি এলাকায় অবস্থিত কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশের (সিইউবি) নিজস্ব ক্যাম্পাসে শুরু হয়েছে সামার ২০২৩ সেমিস্টারের ভর্তি কার্যক্রম।

স্নাতক পর্যায়ের প্রোগ্রামগুলোতে রয়েছে শিপিং ও মেরিটাইম সায়েন্স, বিবিএ, সিএসই, ইইই, এলএল.বি, ইংলিশ, মিডিয়া কমিউনিকেশন ও জার্নালিজম এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে রয়েছে মাস্টার্স ইন মেরিটাইম ট্রান্সপোর্টেশন ও লজিস্টিকস, এমবিএ ও ইএমবিএ।

কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ-ই দেশের একমাত্র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে রয়েছে শিপিং এবং মেরিটাইম সাইন্স নিয়ে পড়াশোনার সুযোগ। শিপিং এন্ড মেরিটাইম সায়েন্সে পড়ালেখার মূল উদ্দেশ্য সমুদ্র সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন, ভূ-ভাগ ও সাগরের আন্তঃসম্পর্ক, সমুদ্রসম্পদ আহরণের উপায় ও সুষ্ঠু ব্যবহার সম্পর্কে জানা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের প্রধান কম্পিউটার সায়েন্স বিষয়ের স্বনামধন্য প্রফেসর সৈয়দ আখতার হোসেন। বিভাগে রয়েছে একঝাঁক তরুণ মেধাবী শিক্ষক, রয়েছে উন্নত কম্পিউটার ল্যাব এবং ডিজিটাল ক্লাসরুম। বিভাগের পক্ষ থেকে নিয়মিত আয়োজন করা হয় প্রোগ্রামিং কনটেস্ট, ইনোভেশন ইনকিউবেশন এনবং রোবোটিক্স প্রতিযোগিতা।

স্কুল অফ বিজনেসের সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ'র অধ্যাপক এবং সিইউবি’র ট্রাস্টি বোর্ডের উপদেষ্টা ড. রিদওয়ানুল হক। ডিনের দায়িত্ব পালন করছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর মুহাম্মদ জহুরুল হক। এমবিএ ও ইএমবিএ’র কোর্স পরিচালনা করেন মার্কেটিংয়ের কিংবদন্তী শিক্ষক এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান। বিভাগে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাহরিন আশরাফসহ আরও অনেকে।

তাছাড়াও মিডিয়া গ্র্যাজুয়েটদের শতভাগ চাকরির নিশ্চয়তা রয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া কমিউনিকেশন ও জার্নালিজম বিভাগে পড়ার মাধ্যমে।

এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে টিউশন ফির ওপরে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত বৃত্তি থাকছে। এর মধ্যে এসএসসি ও এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় যাদের চতুর্থ বিষয় ছাড়া জিপিএ–৫ রয়েছে, তারা টিউশন ফিতে শতভাগ ছাড় পাবেন। পাশাপাশি তিন বা ততোধিক ছাত্র/ছাত্রী একসাথে ভর্তি হলে আরো ৫ শতাংশ ছাড় পাবেন। স্নাতক পর্যায়ের প্রোগ্রামগুলোতে রয়েছে ৪০% ছাড়। মাস্টার্স ইন মেরিটাইম ট্রান্সপোর্টেশন ও লজিস্টিকস-এ ভর্তিতে রয়েছে ২৫% ছাড়। তাছাড়াও ৫০ শতাংশ ছাড়ে ভর্তি হওয়া যাবে এমবিএ (রেগুলার) প্রোগ্রামে ও ৬০ শতাংশ ছাড়ে ইএমবিএ (এক্সিকিউটিভ) প্রোগ্রামে।

ভর্তি সংক্রান্ত সকল তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে (www.cub.edu.bd) পাওয়া যাবে। বিস্তারিত তথ্যের জন্য ফোন করা যাবে ০১৭০৭০৭০২৮০-৮৪ নম্বরে। উক্ত নম্বরগুলোতে হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ করেও চ্যাট করা যাবে সিইউবির অ্যাডমিশন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে। কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অফ বাংলাদেশ-এর ক্যাম্পাসের ঠিকানা: প্লট-খ, ২০১/১, প্রগতি সরণী, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ।

আরও পড়ুন:
শিক্ষা নিয়ে ব্যবসার মানসিকতা ছাড়তে হবে: রাষ্ট্রপতি
সিইউবির প্রথম সমাবর্তন আজ, থাকছেন রাষ্ট্রপতি
সিইউবির প্রথম সমাবর্তন ৩১ জানুয়ারি
ইংলিশ অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণকারীদের জন্য সিইউবিতে ছাড়
সিইউবিতে ৩ দিনব্যাপী রোবোফেস্ট

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The judge of Bogra lost his judicial power

বিচারিক ক্ষমতা হারালেন বগুড়ার সেই বিচারক

বিচারিক ক্ষমতা হারালেন বগুড়ার সেই বিচারক বিচারকের বিরুদ্ধে অভিভাবকদের লাঞ্ছনার অভিযোগ এনে মঙ্গলবার বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে সড়কে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। ফাইল ছবি
বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেয়াকে কেন্দ্র করে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রুবাইয়া ইয়াসমিনের মেয়ের সঙ্গে সহপাঠীদের বচসা ও ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত হয়। এর জের ধরে মঙ্গলবার দুই ছাত্রীর মাকে অপদস্ত করার অভিযোগ ওঠে ওই বিচারকের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে।

দুই ছাত্রীর মাকে অপদস্ত করার অভিযোগ ওঠার পর বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রুবাইয়া ইয়াসমিনের বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেয়া হয়েছে। তাকে বদলি করে মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।

বদলি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বগুড়ার অতিরিক্তি জেলা জজ রুবাইয়া ইয়াসমিনকে বদলি করে আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করা হয়েছে।

বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেয়াকে কেন্দ্র করে বিচারকের অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ের সঙ্গে সহপাঠীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনার সূত্রপাত।

বগুড়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, “এই বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে বগুড়ার জজ আদালতের এক বিচারকের মেয়ে। বিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থীরা পালাক্রমে শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে থাকে। সোমবার ওই বিচারকের মেয়ের শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দেয়ার কথা ছিল। তবে নিজেকে বিচারকের মেয়ে পরিচয় দিয়ে সে শ্রেণিকক্ষ ঝাড়ু দিতে অস্বীকার করে। এ নিয়ে সহপাঠীদের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়।

“ওই রাতেই বিচারকের মেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মাধ্যমে মেসেঞ্জারে তার সহপাঠীদের বস্তির মেয়ে উল্লেখ করে পোস্ট দেয়। সে পোস্টে উল্লেখ করে, ‘তোরা বস্তির মেয়ে। আমার মা জজ। তোদের মায়েদের বল আমার মায়ের মতো জজ হতে।’

“ওই পোস্টে বিচারকের মেয়ের চার সহপাঠী পাল্টা উত্তর দেয়। এ নিয়ে ওই বিচারক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুনকে মঙ্গলবার অভিভাবকদের ডাকতে বলেন। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে প্রধান শিক্ষকের ডাকে ওই ৪ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিদ্যালয়ে আসেন। সে সময় ওই বিচারক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে জেলে দেয়ার হুমকি দেন। এ সময় দুই অভিভাবককে ওই বিচারকের পা ধরে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করা হয়।”

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহকারী শিক্ষিকা বলেন, ‘বিচারকের মেয়ে ও কিছু শিক্ষার্থী পাল্টাপাল্টি পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে প্রধান শিক্ষিকার কক্ষে বিচার বসানো হয়। এ সময় বিচারক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের জেলে দেয়ার হুমকি দিলে দুইজন অভিভাবক নিজে থেকেই পা ধরে ক্ষমা চান। তাদেরকে কেউ বাধ্য করেনি বা পা ধরতে বলেনি।’

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খাতুন বলেন, ‘বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সরকারি চাকরিজীবীদের সন্তানদের সঙ্গে বেসরকারি চাকরিজীবী বা ব্যবসায়ীদের সন্তানদের মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব কাজ করে।

‘যতটুকু জেনেছি সোমবার বিচারকের মেয়ের ঝাড়ু দেয়ার কথা ছিল। তবে সে তিন মাস আগেই স্কুলে আসায় এই পরিবেশ হয়তো বুঝে উঠতে পারেনি। এজন্য সে ঝাড়ু দিতে প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে কাজটি সম্পন্ন করে। এ সময় অন্য শিক্ষার্থীরা তাকে ক্রিটিসাইজ করে। এ নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয়।’

প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, ‘এ কারণে কয়েকজন শিক্ষার্থী ও অভিভাবককে ডাকা হয়। তাদের সঙ্গে কথা বলা হয়। কিন্তু অভিভাবকদের মাফ চাওয়াকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীরা রাস্তা অবরোধ করে। অভিভাবকেরা ভয় পেয়ে এভাবে মাফ চেয়েছেন। তাদেরকে কেউ বাধ্য করেনি।’

এদিকে অভিভাবকদের লাঞ্ছনা ও শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে বগুড়ার জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নিলুফা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেলেনা আকতার বিদ্যালয়ে আসেন। তারা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সুরাহা করার আশ্বাস দেন।

একইসঙ্গে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নিলুফা ইয়াসমিনকে তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দেন জেলা প্রশাসক।

আরও পড়ুন:
বিচারকের পা ধরলেন অভিভাবকরা, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিচারক বদলির আল্টিমেটামের সময় বাড়ালেন আইনজীবীরা
বিচারককে গালির ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি নারী বিচারকদের
বিচারকের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের বিচার আদালত করবে: আইনমন্ত্রী
বিচারকের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা: খুলনার ৩ আইনজীবী নেতাকে ভর্ৎসনা

মন্তব্য

p
উপরে