মাঝে এক দিন নিজেকে ফিরে পাওয়ার পর স্বল্প মূলধনি আর লোকসানি কোম্পানির শেয়ারদর আবার পড়ল ঢালাওভাবে।
গত রোববারের তুলনায় পতনের হার কিছুটা কম থাকলেও এবার সংখ্যটি আরও ব্যাপক। একদিনে দর হারাল তিনশ কোম্পানির দর।
৫২ কোম্পানির দর বৃদ্ধির বিপরীতে ৩০০ কোম্পানির দর পতনের দিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স পড়ল ৭৭ পয়েন্ট।
সূচকের এই পতন গত ৪৬ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বোচ্চ। গত ২৭ জুন ১০০ পয়েন্ট পড়েছিল সূচক।
বিপুল সংখ্যক কোম্পানির দর হারানোর দিন কোনো একক খাতে স্বস্তি ছিল না। ব্যাংক, বিমা, প্রকৌশল, বস্ত্র, ওষুধ ও রসায়ন, জ্বালানি, মিউচ্যুয়াল ফান্ড-সব খাতেই হাতে গোনা দুই একটি কোম্পানির দর বেড়েছে। তবে আর্থিক খাতের কোম্পানিগুলোর বেশিরভাগের দর বেড়েছে।
গত রোববার স্বল্প মূলধনি ও লোকসানি কোম্পানিগুলোর একদিনে ব্যাপকভাবে দর হারানোর ঘটনা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। তবে সোমবার হারিয়ে ফেলা দরের একটি অংশ ফিরে পায় বেশিরভাগ কোম্পানি। কিন্তু তৃতীয় মঙ্গলবার আবার সেখান থেকে পড়ল শেয়ার দর।
গত রোববারের মতোই দিনের প্রথম ভাগে সূচক বেড়েছিল অনেকটা। রোববার ৭৮ পয়েন্ট সূচক বাড়ার পর দিন শেষে পতন হয় ৫৬ পয়েন্ট। সর্বোচ্চ আর দিন শেষে সূচকের ব্যবধান ছিল ১২৪ পয়েন্ট।
সোমবার ১৫ পয়েন্ট সূচক বাড়ার পর মঙ্গলবার লেনদেনের শুরুতে ৪৪ পয়েন্ট বেড়ে গিয়েছিল। সেখান থেকে সূচক পড়ে মোট ১২১ পয়েন্ট।
ক্রমেই বাড়তে থাকা পুঁজিবাজারে হঠাৎ করেই নানা ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোর অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির পর নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নানা পদক্ষেপ ও তদন্তের উদ্যোগ নিয়ে আছে উদ্বেগ।
এর সঙ্গে যোগ হয়েছে কোম্পানির অবণ্টিত মুনাফা নিয়ে তহবিল গঠনে হঠাৎ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আপত্তি।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি এই তহবিল গঠনের কাজটি যখন প্রায় শেষ করেছে, তখন সোমবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ নিয়ে তাদের আপত্তি জানিয়েছে। দুই সংস্থার মধ্যে বৈঠকে ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি বলেছে, ব্যাংকের অবণ্টিত লভ্যাংশ এই তহবিলে দিতে আইনি জটিলতা আছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাখ্যা হচ্ছে, ১০ বছর অবণ্টিত লভ্যাংশ থাকলে তা কেন্দ্রীয় ব্যাংকে পাঠাতে হবে। এরপর সরকার সিদ্ধান্ত নেবে এই অর্থের বিষয়ে।
তবে বিএসইসি বলছে, তারা যে অর্থ নিচ্ছে, তার মালিকানা নিচ্ছে না। কেবল এর জিম্মাদার থাকবে। কেউ টাকা চাইলে তাকে ১৫ দিনের মধ্যে দেয়া হবে। দুই নিয়ন্ত্রক সংস্থার মধ্যে এই মতভিন্নতা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে যে মনস্তাত্ত্বিক চাপ পড়েছে সেটি স্পষ্ট।
লোকসানি ও স্বল্প মূলধনি কোম্পানির লেনদেনের চিত্র
সবচেয়ে বেশি দর হারানো ২০টি কোম্পানির ১৯টিই স্বল্প মূলধনি। এর মধ্যে চারটি ওটিসি থেকে ফেরা কোম্পানি, যেগুলোর সবগুলোর শেয়ারদর বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে।
জেড ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ৩৩টি কোম্পানির মধ্যে মাত্র আটটি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। এই আটটির মধ্যে আবার তিনটির দর বেড়েছে দিনের সর্বোচ্চ।
মেঘনা কনডেন্সড মিল্কের শেয়ারের দর বেড়েছে জেড ক্যাটাগরির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৯.৪৩ শতাংশ। মেঘনা পেট ও এমারেল্ড অয়েলের শেয়ার দর বেড়েছে যথাক্রমে ৮.২১ ও ২.৮৭ শতাংশ।
এই ক্যাটাগরির শেয়ারের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ারের দর পতন হয়েছে ওটিসি থেকে ফেরা তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের। মূল মার্কেটে ফেরার পর ১৫ গুণের বেশি দর বেড়ে যাওয়ার পর তদন্তের নির্দেশ এসেছে। আর নির্দেশের পর দিন কোম্পানিটি দর হারাল ৯.৬৯ শতাংশ।
ওটিসি থেকে ফেরা পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের দর কমেছে ৮.১৪ শতাংশ। জুট স্পিনার্সের দর কমেছে ৭.৬৩ শতাংশ।
ওটিসি ফেরত মনোস্পোল পেপারের দর কমেছে ৭.০৫ শতাংশ। অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকা দুলামিয়া কটনের শেয়ার দর কমেছে ৫.৫২ শতাংশ।
লভ্যাংশ না দেয়ার ইতিহাস থাকা, শেয়ার প্রতি ৬ টাকার মতো সম্পদমূল্যের সাভার রিফেক্টরিজের শেয়ার দর ৩০০ টাকা ছাড়িয়ে যাওয়ার পর নিচের দিকে যাত্রায় দাম কমেছে আরও ৫.৩০ শতাংশ। দাম দাঁড়িয়েছে ২৪৮ টাকা ৮০ পয়সা।
অলটেক্স, মুন্নুফেব্রিক্স, বিচ হ্যাচারি তুং হাই মিটেডের দর কমেছে ৪ শতাংশ পর্যন্ত।
ব্যাংকে পতন হলেও আর্থিক খাতে ভালো দিন
ব্যাংক খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ১৬৭ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। লেনদেনে দর বেড়েছে চারটি কোম্পানির। দর পাল্টায়নি দুটির। বাকি ২৬টি কোম্পানির দর কমেছে।
দর বৃদ্ধি পাওয়া চার ব্যাংকের মধ্যে আছে রূপালী ব্যাংক, সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংক, উত্তরা ব্যাংক ও ইস্টার্ন ব্যাংক।
ব্যাংকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর হারিয়েছে এনআরবিসি, যার পতন কমেছে ৪.২৪ শতাংশ। শেয়ার দর ৩০ টাকা ৬০ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ২৯ টাকা ৩০ পয়সা।
এরপরই আাছে আইসিবি ইসলামী ব্যাংক, যার শেয়ার দর ৭ টাকা থেকে ২.৮৬ শতাংশ কমে হয়েছে ৬ টাকা ৮০ পয়সা।
ওয়ান ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ২.১৩ শতাংশ। আইএফআইসি ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে ১.৮০ শতাংশ।
যমুনা ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, প্রাইম ব্যাংক, এবি ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের শেয়ার ছিল মঙ্গলবার পতনের তালিকায়।
এদিন খাতওয়ারি সবচেয়ে ভালো অবস্থানে ছিল ব্যাংক বহির্ভুত আর্থিক খাত। এই খাতে হাতবদল হয়েছে মোট ৩০৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ১৯০ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।
এই খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে একটির লেনদেন স্থগিত। বাকিগুলোর মধ্যে ১১টির দর বেড়েছে, দর ধরে রাখতে পেরেছে তিনটি, আর কমেছে বাকি ৮টির দর।
এই খাতে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে ন্যাশনাল হাউজিং ফিনান্সের দর। ৪.৪৩ শতাংশ বেড়ে শেয়ার দর দাঁড়িয়েছে ৮২ টাকা ৫০ পয়সা।
আরও শেয়ার অফলোড করার নির্দেশ আসার পর আগের দিন ৮ শতাংশেরও বেশি দর হারানো রাষ্ট্রায়ত্ব বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান আইসিবি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ৩.০১ শতাংশ বা ৩ টাকা ৯০ পয়সা বেড়েছে দাম।
আইপিডিসির দর ১ টাকা ২০ পয়সা, ইউনিয়ন ক্যাপিটালের দর ৮০ পয়সা, ইসলামির ফাইন্যান্সের দর ৭০ পয়সা, লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের দর ৪০ পয়সা বেড়েছে।
ফারইস্ট ফাইন্যান্স, জিএসপি ফাইন্যান্স, মাইডাস ফাইন্যান্স, প্রিমিয়ার লিজিং ও ইউনাইটেড ফাইন্যান্সের দর ১০ থেকে ৩০ পয়সা পর্যন্ত বেড়েছে।
পতন হলেও বিনিয়োগ বেড়েছে প্রকৌশল খাতে
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের লেনদেন সোমবার ছিল ২০৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। মঙ্গলবার তা বেড়ে হয়েছে ২২৩ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। ফলে আগের দিনের তুলনায় এ খাতের বিনিয়োগ বেড়েছে ১৪ কোটি টাকা।
তবে বিনিয়োগ বাড়লেও দর হারিয়েছে বেশিরভাগ কোম্পানি।
এ খাতের ৪২টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র চারটির। কমেছে বাকি ৩৮টিরই।
দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে আছে কেডিএস একসেসোরিজ, যার দর বেড়েছে ২.৯৭ শতাংশ। আরএসআরএম স্টিল লিমিটেডের দর বেড়েছে ২.৯৩ শতাংশ। এস আলম কোল্ড রিরোলিং স্টিলের দর বেড়েছে দশমিক ৮২ শতাংশ। বিডি অটোকারসের দর বেড়েছে দশমিক ১৮ শতাংশ।
এ খাতের সবচেয়ে বেশি শেয়ার দর কমেছে বিডি ল্যাম্পেসের ৫.১৭ শতাংশ। রংপুর ফাউন্ড্রি লিমিটেডের শেয়ার দর কমেছে ৪.১৬ শতাংশ। মুন্নু এএমজিএল শেয়ার দর কমেছে ৪.১৩ শতাংশ।
আরও কমল বিমার লেনদেন
চলতি সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবস শেষে ধারাবাহিকভাবে কমেছে বিমা খাতে বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ। শেয়ার কেনার চেয়ে বিক্রিতে মনোযোগী বেশি তারা।
এই খাতে লেনদেন হয়েছে ২০০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২২০ কোটি ২৩ লাখ টাকা। আর সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার লেনদেন হয়েছিল ৩৮০ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
এই খাতের ৫১টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে কেবল নয়টির। এর মধ্যে ছয়টি জীবন বিমা খাতের। তিনটি সাধারণ বিমা খাতের।
এই খাতে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পাওয়া মেঘনা লাইফ ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে ৬.২৯ শতাংশ। ডেল্টা লাইফের ৩.২৮ শতাংশ, সোনালী লাইফের দর বেড়েছে ২.৪৩ শতাংশ।
দিনের সবচেয়ে বেশি দর পতন হওয়া কোম্পানির মধ্যে ছিল ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স, যার দর কমেছে ৪.৭১ শতাংশ। দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৪.২১ শতাংশ।
কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের দর ৩.৫৬ শতাংশ, পূরবী জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, ন্যাশনাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর কমেছে ৩.৪০ থেকে ৩.১২ শতাংশ পর্যন্ত।
লেনদেন বেড়েছে বস্ত্রে
দরপতন হলেও আগের দিনের তুলনায় বস্ত্র খাতের লেনদেন বেড়েছে ৩৩ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। হাতবদল হয়েছে ২৩১ কোটি ৬ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৯৭ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।
এই খাতের ৫৮টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে মাত্র ৫টির, দর পাল্টায়নি তিনটির। বাকি ৫০টির কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে।
সর্বোচ্চ দর পতন হওয়া কোম্পানি হচ্ছে তমিজউদ্দিন টেক্সটাইল। দুলামিয়া কটন, আলটেক্স, মুন্নু ফেব্রিক্স, এপেক্স স্পিনিং, আলিফ, তুং হাই, ঢাক্কা ডাইং কোম্পানির শেয়ার দর কমেছে ৯.৬৯ শতাংশ থেকে ৩.৪৮ শতাংশ পর্যন্ত।
অন্যান্য খাতের লেনদেন
ওষুধ ও রসায়ন খাতের ৩১টি কোম্পানির মধ্যে দর হারিয়েছে ২৬টির, বেড়েছে ৪টির দর, পাল্টায়নি একটির।
হাতবদল হয়েছে ২২৩ কোটি ০৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২২৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ২৪টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ২টির, কমেছে ২১টির। লেনদেন হয়েছে ১৫৪ কোটি ৩৪ লাখ। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৬৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ২০টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৫টির, কমেছে ১৫টির।
এই খাতে লেনদেন হয়েছে ৮২ কোটি ১২ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১১০ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
বিবিধ খাতের ১৪টি কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ১২টির, বেড়েছে ১টির। হাতবদল হয়েছে ১৩৮ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২০৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
তথ্য প্রযুক্তি খাতের ১১টি কোম্পানির মধ্যে দর হারিয়েছে ৮টি। একটির দর বেড়েছে, অপরিবর্তিত ছিল দুটির দর।
এই খাতে লেনদেন হয়েছে ৩৪ কোাট ২০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ৩৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা।
মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে লেনদেন হয়েছে ৪৬ কোটি ১০ লাখ টাকা। ৩৬টি ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে কেবল তিনটির, দর ধরে রাখতে পেরেছে সাতটি। দর কমেছে বাকি ২৬টির। বেশিরভাগের দর কমেছে ১০ থেকে ২০ পয়সা। সর্বোচ্চ ৪০ পয়সা কমেছে সিএপিএম আইবিবিএল মিউচ্যুয়াল ফান্ড।
সূচক ও লেনদেন
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৭৭ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ১৪০ পয়েন্টে।
শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ২২ দশমিক ৬০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৫৬ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ২৩ দশমিক ৪৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬১১ পয়েন্টে।
লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৯৭ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৪০ কোটি টাকা।
চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৭১ দশমিক ৬৯ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৮৫৭ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে ৬৮ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬৭ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মূল্য সূচকের উত্থান-পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। ডিএসইতে টাকার অঙ্কে লেনদেন নামমাত্র বেড়েছে।
বুধবার ডিএসইতে ৩৮২ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের দিন থেকে ১১০ কোটি ৬২ লাখ টাকা বেশি লেনদেন হয়েছে। মঙ্গলবার ডিএসইতে ২৭২ কোটি ৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৬ হাজার ১৯৬ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৪৭ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২ হাজার ২০৬পয়েন্টে।
এদিন ডিএসইতে ৩০৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ৮০টির, কমেছে ২৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯৮টির।
আরেক বাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। সিএসইতে ৫ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) টানা পতন চলছে। সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্য দিবসে সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এর মাধ্যমে টানা দু’দিন পতন দেখল পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা। সূচকের সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও।
ডিএসই’র তথ্যমতে, মঙ্গলবার ১০ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট সূচক কমে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন ডিএসইতে ২৭২ কোটি ৫ লাখ ৫১ হাজার টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে। এটা আগের দিনের চেয়ে ৪৫ কোটি ৫৪ লাখ ৮৯ হাজার টাকা কম। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩১৭ কোটি ৬০ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এর আগে ২৩ মার্চ পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছিল ২৮৬ কোটি ৯৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকার শেয়ার।
তথ্যমতে, মঙ্গলবার ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৮৫টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ২৮টির এবং কমেছে ৫৬টির। শেয়ার দর পরিবর্তন হয়নি ২০১টির।
এদিন ডিএসইতে ইস্টার্ন হাউজিংয়ের শেয়ার কেনাবেচায় কদর সবচেয়ে বেশি ছিল। সে সুবাদে কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেনের শীর্ষে স্থান পায়। এদিন ইস্টার্ন হাউজিংয়ের ২০ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়।
লেনদেনের শীর্ষ অবস্থানে থাকা অন্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে ইউনিক হোটেল ১৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকা, সী পার্ল বিচ ১৮ কোটি ২২ লাখ টাকা, আরডি ফুড ১২ কোটি ১৬ লাখ টাকা, জেনেক্স ইনফোসিস ১২ কোটি ৯ লাখ টাকা, রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স ৯ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন ৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা, শাইনপুকুর ৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, আলহাজ্ব টেক্সটাইল ৬ কোটি ৫৬ লাখ টাকা এবং আমরা নেটওয়ার্ক ৬ কোটি ৩৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
অপর শেয়ারবাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) মঙ্গলবার লেনদেন হয়েছে ৪ কোটি ২২ লাখ টাকা শেয়ার। আগের কার্যদিবস সোমবার ৭ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছিল।
এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ১০১টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ১৯টির, কমেছে ৩৪টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৪৮টির।
আরও পড়ুন:দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে সব মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। তবে টাকার অংকে লেনদেন বেড়েছে ৩০ কোটি।
সোমবার ডিএসইর প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ১১ পয়েন্ট কমেছে। বর্তমানে সূচকটি অবস্থান করছে ৬ হাজার ২০৩ পয়েন্টে। একইসঙ্গে ‘ডিএস-৩০’ সূচক ২ পয়েন্ট কমে এবং ‘ডিএসইএস’ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে যথাক্রমে ২২১৫ ও ১৩৪৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এদিন ডিএসইতে ৩১৭ কোটি ৬০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছে ২৮৬ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ একদিনের ব্যবধানে লেনদেন বেড়েছে ৩০ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
ডিএসইতে মোট ২৮৩ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে দর বেড়েছে ২৮ কোম্পানির। দরপতন হয়েছে ৭২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮৩ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দর।
অপর বাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। সিএসইতে ৭ কোটি ১৯ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
মহান স্বাধীনতা দিবসে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) লিমিটেড।
ডিএসইর নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবুর নেতৃত্বে রোববার সকালে শহীদ বেদিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
নবনিযুক্ত পরিচালনা পর্ষদের সদস্য অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, মো. আফজাল হোসেন, রুবাবা দৌলা, ডিএসইর শেয়ারহোল্ডার পরিচালক মো. শাকিল রিজভী, শরীফ আনোয়ার হোসেন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এম. সাইফুর রহমান মজুমদার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএসই’র প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা সাত্তিক আহমেদ শাহ, প্রধান রেগুলেটরি কর্মকর্তা খাইরুল বাসার, সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মো. ছামিউল ইসলাম, সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার, কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আসাদুর রহমান, উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুর রহমান প্রমুখ।
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ না থাকাকে দেশের পুঁজিবাজারের চলমান তারল্য সংকটের মূল কারণ হিসেবে দেখছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান (সালমান এফ রহমান)।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ক্যাপিটাল মার্কেটের একটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্ট্রাকচারাল ডিফেট (কাঠামোগত দুর্বলতা) রয়ে গেছে। আমরা অনেকেই অনেক কথা বলি কিন্তু এসব দুর্বলতা সমাধানে যেসব কাজ করা দরকার আমরা তা করছি না।’
বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), দৈনিক সমকাল এবং চ্যানেল ২৪-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ২০২৩-২৪ প্রাক-বাজেট আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সালমান এফ রহমান।
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি এ বিনিয়োগ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি এনালাইসিস করে দেখেছি যে, আমাদের দৈনিক যে লেনদেন এতে ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ হচ্ছে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের। আর ৫ থেকে ১০ শতাংশ হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী। আইসিবি টোটালি ইনঅ্যাকটিভ (নিষ্ক্রিয়), এছাড়া সিটি ব্যাংক ও অন্যান্য বিনিয়োগকারী ব্যাংক রয়েছে তারা দৈনিক লেনদেনের ৫ শতাংশ অংশগ্রহণ করছে। মূল সমস্যাটা এই জায়গাতেই।’
তিনি বলেন, ‘অন্যান্য দেশের ফ্রন্টিয়ার মার্কেটে দৈনিক লেনদেনে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর অংশগ্রহণ থাকে ৯০ শতাংশ আর ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী থাকে ১০ শতাংশ।’
সালমান এফ রহমান বলেন, ‘আমি আজকেও এটা শুনেছি যে, কথার কথায় সবাই বলে ছোট বিনিয়োগকারীদের আমাদের বাঁচাতে হবে। ছোট বিনিয়োগকারীকে রক্ষা করা তো সরকারের দায়িত্ব না। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের এখানে বিনিয়োগ করাই উচিত না। তাদের উচিত প্রাতিষ্ঠানিক মাধ্যমে বিনিয়োগ করা।
‘এখানে আমরা শুধু ব্রোকারকে ব্যবহার করি মধ্যস্থতাকারী হিসেবে, কিন্তু বিনিয়োগের সিদ্ধান্তগুলো একজন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী হিসেবে আমি নিজে নিচ্ছি। আর যখনই আমার ভুলের কারণে আমি লস করি তখন দায়িত্বটা সরকারে হয়ে যাবে। বাহ খুব সুন্দর।’
প্রধানমন্ত্রীর এ উপদেষ্টা বলেন, ‘এই স্ট্রাকচারাল ডিফেটটা (কাঠামোগত দুর্বলতা) যদি আমরা না ঠিক করতে পারি, তাহলে আমাদের পুঁজিবাজার বড় করা অনেক বেশি কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে।’
সালমান এফ রহামন বলেন, ‘মুদ্রাস্ফীতি বিশ্বব্যাপী সমস্যা। রিজার্ভের সমস্যা সমাধানে আমরা আমদানি কমাতে সক্ষম হয়েছি। আগামী জুনে রিজার্ভ নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে, আইএমএফ ঋণ দেবে না বিভিন্ন আশঙ্কা করেছিলেন অনেকে। কিন্তু আইএমএফ থেকে ঋণ পাওয়া গেছে। প্রথম দফায় ঋণ ছাড়ও হয়েছে। ব্যাংক সুদের হার সীমা তুলে দেওয়া হচ্ছে। ম্যাক্রো ইকোনমিতে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে আমরা সঠিক পথেই আছি।’
তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজার চাঙা করতে বন্ড মার্কেটকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। সব পণ্যে প্রণোদনা দিতে হবে। আমরা অনেক দেশ, এমনকি উন্নত দেশের তুলনায় ভালো আছি। বেসরকারি খাতের সহযোগিতায় আমরা অনেক ভালো পজিশনে আছি। কৃষি, প্রবাসী আয় ও রপ্তানি খাতের কারণে আমাদের পজিশন ধরে দেখতে পেরেছি।’
সালমান এফ রহমান বলেন, ‘ট্যাক্স জিডিপি অনুপাত বিশ্বের মধ্যেই কম। ট্যাক্স নেট ও জিডিপি বাড়াতে হলে অটোমেশনের বিকল্প নেই। কাঠামোগত সমস্যা আছে, তা হচ্ছে পরোক্ষ করের নির্ভরশীলতা। এটা কমাতে হবে। প্রত্যক্ষ কর বাড়াতে হবে। বড় সমস্যা হচ্ছে আমরা এখনো রাজস্ব আদায়ে কাস্টমসের নির্ভরতা বেশি। এটা কমাতে হবে।
‘ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন যদি ২০১৪ সালে করতে পারতাম তাহলে এই সেক্টর নিয়ে এতো প্রশ্ন উঠতো না। কর আইন সহজ করতে হবে। কর নেট বৃদ্ধির কথা বলি, কিন্তু ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা কর দিতে চায় না। এটাই বাস্তবতা। সবাই করের আওতায় না এলে করনেট বৃদ্ধি কীভাবে হবে? ব্যবসায় লাভ করছে, কিন্তু কর দিতে সমস্যা কোথায়? সব জায়গায় কর অব্যাহতি দিলে কর কোথা থেকে আসবে।’
মেনমেইড ফাইবারে কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা এখন হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে মেনমেইড ফাইভার মেনমেইড ফাইভার শুরু করেছি। এতদিন আমরা কী করলাম? ইয়াংওয়ান ২০ বছর আগে এগুলো করেছে। বর্তমানে তারা বিলিয়ন ডলারের মেনমেইড করতেছে, তাদের কি ইনসেন্টিভ দেয়া হইছে? তাহলে আমরা কেন এতদিন বসে রইলাম?’
ডিসিসিআই সভাপতি সামীর সাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, এফবিসিসিআই’র সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, সাবেক সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন) উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:দেশের পুঁজিবাজারে সপ্তাহের চতুর্থ কর্মদিবস বুধবার সূচক ও লেনদেনে ভাটা পড়েছে। আজ সূচক কমার সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও।
প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বুধবার সব সূচকের পতন হয়। আজ প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ১৬ দশমিক ২৬ পয়েন্ট হারায়। সূচকটি অবস্থান নেয় ৬ হাজার ২০৬ পয়েন্টে।
‘ডিএসইএস’ ৩ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ সূচক ৫ দশমিক ১৮ পয়েন্ট কমেছে।
সূচকের পতনের সঙ্গে ডিএসইতে লেনদেনও কমে। আজ ৩২৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়, যা গত ১৭ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
ডিএসইতে ৩১২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়। এর মধ্যে ২১৩টি কোম্পানির শেয়ারদরই ছিল অপরিবর্তিত। দর বেড়েছে ১৭ কোম্পানির, বিপরীতে ৮২ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে।
অপর বাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়। সিএসইতে ৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।
আরও পড়ুন:দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে মঙ্গলবার নামমাত্র লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, এদিন ৩৪৯ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা বেশি। আর এই সামান্য লেনদেন বৃদ্ধিতেও আগের দিনের সূচকের সঙ্গে যোগ হয়েছে ১৮ দশমিক ৭২ পয়েন্ট। বর্তমানে ডিএসইএক্স অবস্থান করছে ৬ হাজার ২২২ পয়েন্টে।
জানা গেছে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৫৫ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২ হাজার ২২০ পয়েন্টে।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২৫ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮৭টির, কমেছে ১৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২৪টির।
অপর শেয়ারবাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩৮২ পয়েন্টে। সিএসইতে ১৫৭টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫০টির দর বেড়েছে, কমেছে ১২টির এবং ৯৫টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে ১২ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য