দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ফের উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত গ্লাস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান উসমানিয়া গ্লাস শিট ফ্যাক্টরি। গত বছরের জুন মাসে অগ্নি-দুর্ঘটনায় উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেলে লোকসানে পড়ে দেশের গ্লাস তৈরির সর্বপ্রথম সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার (অ্যাডমিন) মাসুদ উল আলম মঙ্গলবার বলেন, ‘দুটি চুল্লি সংস্কার করে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। লকডাউন তুলে নেয়ার পর সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে উৎপাদন কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়েছে।’
গত বছরের ২৩ জুন আগুন লেগে কারখানার একটি চুল্লি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর ওই চুল্লিটির উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে থেকে বন্ধ ছিল অন্য চুল্লিটি। দুর্ঘটনার পর দুটি চুল্লি বন্ধ থাকায় কারখানার উৎপাদনও বন্ধ হয়ে যায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সরকারের অনুমতি নিয়ে বুয়েটের পরামর্শ ও সংস্কারের পর পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হয়। ঈদুল আজহার আগে উৎপাদনে গেলেও ফের বন্ধ করে দেয়া হয় কারখানা। লকডাউনের পর সীমিত আকারে উৎপাদন কার্যক্রম চালু করা হয়। বর্তমানে পুরোদমে উৎপাদন শুরু হয়েছে উসমানিয়া গ্লাস শিট কারখানায়।
উৎপাদন খরচের চেয়ে কম মূল্যে গ্লাস বিক্রি, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি আর উৎপাদিত গ্লাস অবিক্রীত পড়ে থাকায় দীর্ঘদিন ধরে লোকসান গুনে আসছে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানটি।
জানা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে গ্লাস শিট উৎপাদনে খরচ হয় ৪ কোটি ৭১ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। প্রায় অর্ধেক মূল্যে গ্লাস বিক্রি করে প্রতিষ্ঠানটি আয় করে ২ কোটি ৫৪ লাখ ৮ হাজার টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে লোকসান হয় ১০ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। প্রতিবছর এভাবে লোকসান গুনে আসছে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক আল আমিন বলেন, ‘কর্মকর্তাদের অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে লাভজনক প্রতিষ্ঠানটি ধীরে ধীরে রুগ্ণ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। আর এসব অনিয়ম-দুর্নীতি ও দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ কখনও খুঁজে বের করা হয় না।’
১৯৫৯ সালে দেশে কাচশিল্পের গোড়াপত্তন ঘটে উসমানিয়া গ্লাস শিট কারখানার মাধ্যমে। বেসরকারি মালিকানাধীন এ প্রতিষ্ঠানটি ১৯৭২ সালে জাতীয়করণ করা হয়। শুরুতে বেশ লাভজনক ছিল। নব্বই দশকের পর থেকে নানা কারণে লোকসানি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়।
তবে এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘কারখানার মেশিনগুলো পুরোনো হয়ে গেছে। প্রায়ই মেরামত করে চালু রাখতে হয়। এখন প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে সরকারের সদিচ্ছার ওপরে।’
তিনি আরও জানান, দেশে ঘরবাড়ি থেকে শুরু করে শিল্প-কারখানা, বহুতল ভবন, বিপণিবিতান, গৃহ-অফিস সজ্জায় ব্যাপকভাবে গ্লাসের কদর বেড়েছে। সরকারি ছাড়াও বেসরকারিভাবে নতুন নতুন গ্লাসশিল্প কারখানা গড়ে উঠছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো লাভজনক অবস্থানে থাকায় ব্যবসায় পরিধিও বাড়ছে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে অত্যাধুনিক মেশিন বসানো হয়। আধুনিক মেশিনগুলোতে খরচ কম, উৎপাদন বেশি। তাই তারা লাভে থাকে। উসমানিয়া গ্লাস শিটের মেশিনগুলো লক্কড়ঝক্কড় হয়ে পড়েছে। এতে বাজারের চাহিদা মতো গ্লাস তৈরি করা যাচ্ছে না। উৎপাদনের চেয়ে খরচ বেশি পড়ে। তাই লোকসান গুনতে হচ্ছে সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটিকে।
উসমানিয়া গ্লাস শিট ফ্যাক্টরি সিবিএর সভাপতি শেখ তাজ উদ্দিন বলেন, ‘গ্লাস উৎপাদনের তিনটি মেশিনই পাকিস্তান আমলের। পুরোনো মেশিনে উৎপাদন কমে এসেছে। উন্নত প্রযুক্তির মেশিন স্থাপনের মাধ্যমে কারখানা চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। আশা করছি, সরকার নতুন রূপে আধুনিক মানের মেশিন স্থাপন করে কারখানা পুনরায় চালুর উদ্যোগ নেবে।’
চট্টগ্রামের কালুরঘাটের উসমানিয়া গ্লাস শিট ফ্যাক্টরি ১৯৫৯ সালে সাদা রঙের গ্লাস শিট উৎপাদন শুরু করে। একসময় দেশে গ্লাস সরবরাহের অন্যতম ভরসা ছিল এই প্রতিষ্ঠান। স্থায়ী-অস্থায়ী মিলে এই প্রতিষ্ঠানে ৩০০ জন কর্মরত আছেন।
বেসরকারি খাতে পিএইচপি, নাসির ও এমইবি গ্লাস আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে বর্তমানে উন্নত মানের কাচ তৈরি করছে। এসব প্রতিষ্ঠান উৎপাদনক্ষমতা নিয়মিত বাড়ালেও কাচশিল্পকে পথ দেখানো উসমানিয়ার লোকসান প্রতিবছর বাড়ছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, বর্তমানে সারা দেশে প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার কোটি টাকার কাচের বাজার রয়েছে। দেশে বার্ষিক কাচের চাহিদা ২৫ কোটি বর্গফুট। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে দেশে মোট উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে ৩২ কোটি বর্গফুট।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
মন্তব্য