গ্রিসের এথেন্সে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম উদ্বোধন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
বাংলাদেশ দূতাবাসে সোমবার অনুষ্ঠানিকভাবে প্রবাসীদের সুবিধায় এ কার্যক্রম চালু করা হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন পাসপোর্ট ও ইমিগ্রেশন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আইয়ূব চৌধুরী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মুজিববর্ষে সাধারণ জনগণের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে ই-পাসপোর্ট। বাংলাদেশ সরকার ২০১০ সালে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট এবং বিদেশি নাগরিকদের মেশিন রিডেবল ভিসা দেয়। বর্তমানে ৭৩টি বিদেশি মিশনে এমআরপি ও এমআরভি সেবা চালু আছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের সব পাসপোর্ট অফিসে ই-পাসপোর্ট ইস্যু করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত দশ লাখ ৬২ হাজার ই-পাসপোর্ট দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের বিমানবন্দরে ই-গেইট স্থাপন করা হয়েছে, যা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম।
এর আগে ৫ সেপ্টেম্বর প্রথম বৈদেশিক মিশন হিসেবে জার্মানির বার্লিনে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।
এথেন্স থেকে দূরে বসবাসকারী প্রবাসীরা যেন সহজে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারেন সেজন্য যন্ত্রপাতিসহ একটি মোবাইল ইউনিট রাষ্ট্রদূতের কাছে হস্তান্তর করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পরে প্রবাসী বাংলাদেশীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন মন্ত্রী।
সৌদি আরবের রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসে শুক্রবার প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য ই-পাসপোর্ট সেবার উদ্বোধন করা হয়েছে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স এস এম রকিবুল্লাহ।
এ ছাড়া ঢাকা থেকে ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের কর্মকর্তা ও কারিগরি দল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
দূতাবাস মিলনায়তনে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে প্রবাসী প্রভাবশালী ব্যক্তি, পেশাজীবী, গণমাধ্যমকর্মী ও বিপুল প্রবাসী বাংলাদেশির অংশগ্রহণে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
সহকারী প্রকল্প পরিচালক মেজর সুমিরিয়ার সাদেকিন উপস্থিত বাংলাদেশিদের বাংলাদেশ ও বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা দেন।
তিনি বলেন, আবেদনকারীরা আবেদন করতে পারবেন পাঁচ বছর বা ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্টের জন্য। আবেদন পাওয়ার এক মাসের মধ্যে ই-পাসপোর্ট দেয়া সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে ই-পাসপোর্ট নিয়ে প্রবাসীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেয় কারিগরি দল।
আরও পড়ুন:কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমর্থনে বিক্ষোভ করায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ৫৭ বাংলাদেশিকে ক্ষমা করেছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান।
এসব বাংলাদেশিকে শিগগিরই দেশে পাঠানো হবে।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মঙ্গলবার সকালে গণমাধ্যম সম্পাদক ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এ কথা জানান।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
গত ১৯ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করায় ৫৭ জন বাংলাদেশিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয় দেশটির একটি আদালত। তাদের মধ্যে তিনজনকে যাবজ্জীবন, ৫৩ জনকে ১০ বছর এবং বাকি একজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
গত ১৮ আগসট ফাউন্ডেশন ফর ল’ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ফ্লাড) চেয়ারপারসন সিনিয়র অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম আরব আমিরাতে সাজাপ্রাপ্তদের পাশে থাকার ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, ‘তখন (দূতাবাসের) দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা দুবাইয়ের কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন, এরা সন্ত্রাসী (প্রবাসী আন্দোলনকারীরা), এরা স্বাধীনতাবিরোধী। এদেরকে অ্যারেস্ট করলে উনাদের আপত্তি নেই, যার কারণে কোনো প্রকার আইনগত সহায়তা দেয়া হয়নি।
‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রত্যেক দূতাবাসে চিঠি দিয়েছে এদেরকে (আন্দোলকারীদের) চুপ করাতে হবে, শাস্তি দিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রধান উপদেষ্টা, অন্যান্য উপদেষ্টাসহ পররাষ্ট্র উপদেষ্টাকে চিঠি দিয়েছি উনারা যেন রেমিটেন্স যোদ্ধাদের নিয়ে ব্যবস্থা নেন। আমরা দেশ থেকে লিগ্যাল সাপোর্ট দেব।’
এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশন থেকে নিন্দা জানানো হয়।
আরও পড়ুন:দেশ ও বিদেশে ১৪ কোটির বেশি বাংলাদেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করেন বলে রোববার জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
দেশে ফোরজি মোবাইল ইন্টারনেট সেবা ফের চালু নিয়ে অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠকের পর রাজধানীর বিটিআরসি ভবনে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
পলক বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে বর্তমানে যে ১৯ কোটি মোবাইল সিম গ্রাহক আছে, যারা বাংলাদেশে প্রায় ১৩ কোটির বেশি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী আছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যে, বাংলাদেশের নাগরিক কিন্তু ১৪ কোটি মানুষই ইন্টারনেট ব্যবহার করে।
‘বাংলাদেশের ভূখণ্ডে বসে বাংলাদেশের মোবাইল নেটওয়ার্ক, ব্রডব্যান্ড কানেকটিভিটি মিলিয়ে ১৩ কোটি, কিন্তু বাংলাদেশের বাইরে যে এক কোটি প্রবাসী ভাই-বোনেরা থাকে, তারাও কিন্তু মোবাইল ফোন ব্যবহার করে এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করে। তো সেই ক্ষেত্রে কিন্তু বাংলাদেশের বলতে গেলে ১৪ কোটির ওপরের মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করা নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তো আপনারা জানেন যে, গত ১৭ জুলাই থেকে ২৭ জুলাই, আজকে ২৮ জুলাই। এই ১০ দিন সময়ের মধ্যে আমাদের বিভিন্ন পর্যায়ে মোবাইল নেটওয়ার্ক ফোরজি, এটা আমরা অনেক ক্ষেত্রে সাময়িকভাবে কিছু কিছু জায়গায় ১৭ এবং ১৮ তারিখে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থার অনুরোধ এবং নির্দেশনা, পরামর্শ সাপেক্ষে আমরা বিটিআরসি থেকে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করি। সেটা হচ্ছে নিরাপত্তা এবং শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে।’
দেশজুড়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতায় মঙ্গলবার আন্দোলনকারীসহ ছয়জন নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে কানাডার টরন্টোতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মৌন প্রতিবাদ সভা করেছেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা।
স্থানীয় সময় বুধবার বিকেলে টরন্টোর শহীদ মিনার চত্বরে অন্যস্বর ও অন্য থিয়েটারের আয়োজনে মৌন প্রতিবাদের আয়োজন করা হয়।
অনুসরের প্রধান সংস্কৃতিকর্মী আহমাদ হোসেনের সভাপতিত্বে এই প্রতিবাদে টরন্টোর সংস্কৃতিকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ স্বতস্ফূর্তভাবে যোগ দেন। তারা এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান।
এর আগে বাংলা টাউনে বাংলাদেশি স্টুডেন্ট ইন কানাডার উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের এক বিক্ষোভ সমবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সমাবেশেও শিক্ষার্থীরা ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ যোগ দেন এবং তারা এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানান। একই সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সব দাবি মেনে নেয়ার দাবি জানান তারা।
জীবিকার তাগিদে প্রায় দুই বছর আগে নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বিয়াঘাট চরপাড়া গ্রামের সোহান প্রামানিক, সাগর হোসেন ও বিদ্যুৎ হোসেন পাড়ি জমান আফ্রিকার দেশ লিবিয়ায়। একই গ্রামের নাজিম আলী দুই মাস আগে লিবিয়াতে যান কাজের জন্য।
সবই ঠিকঠাক চলছিল, কিন্তু গত ২ জুন লিবিয়া প্রবাসী এ চার যুবককে জিম্মি করে অমানুষিক নির্যাতনের ভিডিও পাঠিয়ে তাদের পরিবারের কাছ থেকে জনপ্রতি ১০ লাখ টাকা করে মোট ৪০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়।
অপহরণকারীদের পাঠানো ভিডিওতে দেখা যায়, লিবিয়া প্রবাসী সোহানকে অমানুষিক শারীরিক নির্যাতন করছে অপহরণকারীরা। এরপর এক এক করে নাজিম, সাগর ও বিদ্যুৎকেও নির্যাতন করা হচ্ছে।
পরে সেই ভিডিও তাদের পরিবারের সদস্যদের পাঠিয়ে মুক্তিপণ দাবি করছেন অপহরণকারীরা। গত এক সপ্তাহ ধরে মুক্তিপণের দাবিতে জিম্মি যুবকদের পরিবারের কাছে শারীরিক নির্যাতনের ভিডিও পাঠাচ্ছেন তারা।
এতে অপহৃতদের পরিবারে চলছে আহাজারি। দ্রুত চারজনকে মুক্ত করতে সরকারের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তারা।
সরেজমিনে শুক্রবার বিয়াঘাট চরপাড়া গ্রামে গিয়ে কথা হয় এ চার পরিবারের সঙ্গে। তাদের আহাজারি ঘিরে জমা হয়েছে গ্রামের শতাধিক নারী পুরুষ।
সোহানের মা দুলি বেগম ও বাবা শাহজাহান আলী বলেন, ‘ইমো নম্বরে কল করে সোহান বলছে তাদেরকে অপহরণ করা হয়েছে। অপহরণকারীরা বাংলায় কথা বলছেন। ১০ লাখ টাকা না দিলে সোহানকে মেরে ফেলবে বলছে। ছেলেকে ঋণ করে বিদেশে পাঠিয়েছি। বাড়ির ভিটে ছাড়া কোনো জমি-জমাও নেই।’
এ অবস্থা থেকে ছেলেকে মুক্ত করতে তারা সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।
জিম্মি সাগরের বিধবা মা ছকেরা বেওয়া জানান, তিনি সরকারি টিআর কাবিখা প্রকল্পে কাজ করেন। অনেক কষ্টে ঋণ করে সন্তানকে বিদেশে পাঠিয়েছেন। এখন আবার ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ছেলেকে ছাড়াতে হবে।
এত টাকা তার পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব না বলে জানান তিনি।
অপহৃত নাজিমের স্ত্রী নাদিরা বেগম বলেন, ‘অপহরণকারীরা স্বামীকে ছেড়ে দিতে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চেয়েছে। এখন ১০ হাজার টাকা দেয়ার মতোও সামর্থ্য নেই।’
স্থানীয় বাসিন্দা রাশেদুল ইসলাম বলেন, ‘অপহরণকারীরা বাংলায় কথা বলছে, তার মানে তারা বাংলাদেশি। তারা বাংলাদেশের একটি বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে মুক্তিপণের টাকা দাবি করেছে, তবে পরিবারগুলোর পক্ষে টাকা পরিশোধের সামর্থ্য না থাকায় তাদের জীবন এখন হুমকির মুখে।’
সরকারের কাছে তাদের দ্রুত উদ্ধারের পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
নাটোরে পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। যেহেতু পুরো ঘটনাটি লিবিয়ায় ঘটছে এবং এখন পর্যন্ত কোনো মোবাইল নাম্বার কিংবা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নাম্বার তারা দেয়নি। তাই এখনও নির্দিষ্টভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত ভুক্তভোগী পরিবারগুলো কোনো ব্যক্তি বা এজেন্সির বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়নি।
‘তাদের ধারণা, ওইখানে বাংলাদেশি কোনো মাফিয়া বা সিন্ডিকেটের খপ্পরে পড়েছে প্রবাসী চারজন। আমরা বিষয়টিকে গুরুত্ব সহকারে দেখছি, বাংলাদেশে কেউ জড়িত রয়েছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন:প্রয়োজনীয় কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও টিকিট না পাওয়ায় তিন থেকে চার হাজার বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মী মালয়েশিয়া যেতে পারেননি বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিস (বায়রা)।
বায়রা মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আজ (শনিবার) আমাদের অফিস বন্ধ থাকায় কতজন বাংলাদেশি কর্মী মালয়েশিয়ায় গেছেন এবং কতজন সেখানে যেতে পারেননি তার চূড়ান্ত সংখ্যা আমরা এখনও পাইনি। আমরা আগামীকাল (রোববার) বলতে পারব।’
তিনি জানান, কুয়ালালামপুরে পৌঁছানোর সময়সীমা ৩১ মে শেষ হওয়ায় এবং তাদের কাছে উড়োজাহাজের টিকিট না থাকায় প্রায় তিন থেকে চার হাজার বাংলাদেশি অভিবাসী শ্রমিক মালয়েশিয়া যেতে পারেননি।
শ্রমিকদের প্রবেশের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ায় অনিশ্চয়তার মধ্যে শনিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মালয়েশিয়াগামী কয়েকশ প্রবাসী শ্রমিক ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেন। স্থানীয় রিক্রুটিং এজেন্টরা সময়মতো টিকিট দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর তারা উড়োজাহাজের টিকিট ছাড়াই বিমানবন্দরে আসেন।
শনিবার বিমানবন্দরের দুটি আন্তর্জাতিক টার্মিনালের সামনে ছিল প্রচণ্ড ভিড়। বৃহস্পতিবার রাতে বা তার আগেই অনেক শ্রমিক বিমানবন্দরে চলে আসেন। শ্রমিকদের কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন যে, রিক্রুটিং এজেন্টরা তাদের ফোন ধরছেন না।
বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক কামরুল ইসলাম জানান, ‘মালয়েশিয়া যেতে ব্যর্থ শ্রমিকরা চলে যাওয়ায় বিমানবন্দরের পরিস্থিতি এখন শান্ত।’
আরও পড়ুন:বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নাসিমা বেগম যুক্তরাজ্যের লোয়েস্টওফট টাউন হল থেকে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
সম্প্রতি ওই ভোটাভুটিতে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে তিনি এই জয় পান। এই খবরে যুক্তরাজ্যের বাঙালি সম্প্রদায়ের সদস্যরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের কামারখাল গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান প্রয়াত আবদুল হাশিমের মেয়ে নাসিমা বেগম। যুক্তরাজ্যের লোয়েস্টওফট টাউনে জন্মগ্রহণ করেন নাসিমা। তিনি পাঁচ ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তৃতীয়।
নাসিমা বেগম পড়ালেখা করেছেন লোয়েস্টওফট টাউনে। তখন থেকেই তিনি সমাজসেবামূলক কাজে জড়িত হন। তিনি টানা তিনবার লোয়েস্টওফট টাউন হলের ডেপুটি মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এবার তিনি মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর ফেসবুক পোস্টে নাসিমা বেগম বলেন, ‘আমি সব সময় চিন্তা করেছি যে টাউন কাউন্সিলের মতো একটি তৃণমূল সংস্থাকে সমাজের প্রতিনিধিত্ব করে তা প্রতিফলিত করা প্রয়োজন। তাই সব বয়স ও ব্যাকগ্রাউন্ডের কাউন্সিলর থাকা গুরুত্বপূর্ণ।
‘একজন তরুণ কাউন্সিলর হিসেবে, একজন নারী, একজন মা এবং একটি জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু থেকে কেউ আমি মেয়র হিসেবে আমার সময় ব্যবহার করার চেষ্টা করব টাউন কাউন্সিলকে সমর্থন করার জন্য, লোয়েস্টওফটের সবার হয়ে কাজ করার জন্য।’
যুক্তরাজ্যের বাংলা মিরর পত্রিকার সম্পাদক আবদুল করিম গণি বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে আমাদের বাঙালিদের অংশগ্রহণ ও প্রতিনিধিত্ব বেড়েছে। নাসিমা বেগম মেয়র নির্বাচিত হয়ে বাঙালি কমিউনিটিতে আমাদের মুখ উজ্জ্বল করেছেন।’
নাসিমা বেগম কামারখাল গ্রামের বাড়িতে আসেন সর্বশেষ গত শুক্রবার। তিনি বাবার কবর জিয়ারত ও আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। ওই দিনই তিনি দেশ ত্যাগ করেন।
মন্তব্য