উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে থাকা শেয়ার ছাড়ার আদেশ দেয়ার পর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানি বার্জার পেইন্ট, প্রকৌশল খাতের কোম্পানি ওয়ালটন এবং রাষ্ট্রায়াত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ-আইসিবির শেয়ারে দরপতন হয়েছে।
শেয়ারের সরবরাহ বাড়লে দাম আরও কমে যাবে, এমন আশঙ্কা থেকে কম টাকাতেও শেয়ার ছেড়ে দিতে চেয়েছেন শেয়ারধারীরা।
কোম্পানি তিনটির মধ্যে ওয়ালটন ও আইসিবির সঙ্গে কথা হয়েছে নিউজবাংলার। তারা এই আদেশ বাস্তবায়নে আরও সময় চেয়েছেন।
ওয়ালটন হাইটেক কর্তৃপক্ষের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শেয়ার দরে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে তারা পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কাছ থেকে আরও এক বছর সময় চাইবেন। অন্যদিকে আইসিবির মুখপাত্র বলেছেন, বার্ষিক সাধারণ সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পরে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন।
তিনটি কোম্পানিকেই মোট শেয়ারের ১০ শতাংশ পুঁজিবাজারে ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। আগামী এক বছরে এই শেয়ার বিক্রি করতে হবে। আর প্রতি মাসে মোট শেয়ারের সর্বোচ্চ এক শতাংশ বিক্রি করা যাবে।
রোববার এই আদেশ দেয়ার পর তিনটি কোম্পানির মধ্যে আইসিবি ৮.৬৬ শতাংশ, ওয়ালটন ৬.২৪ শতাংশ এবং বার্জার পেইন্টসের দর কমেছে ৬.১৩ শতাংশ।
আইসিবি যা বলছে
বিএসইসির আদেশের পর সবচেয়ে বেশি দরপতন হয়েছে আইসিবির শেয়ার দরে।
কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৮০ কোটি ৫৮ লাখ ১৫ হাজার ৫২৭টি। এর মধ্যে ৩.১৯ শতাংশ অর্থাৎ ২ কোটি ৫৭ লাখ ৫ হাজার ৫১৫টি শেয়ার ছাড়া হয়েছে। মোট শেয়ারের ১০ শতাংশ ছাড়তে হলে আরও ছাড়তে হবে ৫ কোটি ৪৮ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭টি শেয়ার বিক্রি করতে হবে। অর্থাৎ প্রতি মাসে বিক্রি করতে হবে ৪৫ লাখ ৭৩ হাজার ৩টি করে।
এত বেশি শেয়ার বাজারে এলে দাম কমে যাবে এমন আশঙ্কার মধ্যে কোম্পানিটির দরপতন হয় ৮.৬৬ শতাংশ। আগের দিন দাম ছিল ১৪২ টাকা। সেটি কমে হয়েছে ১২৯ টাকা ৭০ পয়সা।
আইসিবির মুখপাত্র বিভাস সাহা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের অর্থ বছর শেষ হয়েছে জুন। ইতিমধ্যে আমাদের সব ধরনের আর্থিক বিবরণী তৈরি শেষ হয়েছে। ফলে এখনই শেয়ার বিক্রি করে সরবরাহ বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে না।’
তিনি বলেন, ‘সামনে আমাদের বার্ষিক সাধারণ সভা আছে, সেখানে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে। তারপরও এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।’
সবচেয়ে বেশি শেয়ার ছাড়তে হবে ওয়ালটনকে
তিনটি কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার ছাড়তে হবে ওয়ালটনকে। কোম্পানিটির মোট শেয়ারের মাত্র ০.৯৭ শতাংশ শেয়ার ছাড়া হয়েছে। ১০ শতাংশ ছাড়তে হলে উদ্যোক্তা পরিচালকদেরকে বিক্রি করতে হবে শেয়ারের ৯.০৩ শতাংশ।
কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৩০ কোটি ২৯ লাখ ২৮ হাজার ৩৪৩টি। এই হিসাবে ২ কোটি ৭৩ লাখ ৫৪ হাজার ৪২৯টি শেয়ার বিক্রি করতে হবে।
অর্থাৎ প্রতি মাসে বিক্রি করতে হবে ২২ লাখ ৭৯ হাজার ৫৩৫টি।
কোম্পানিটি গত বছরের সেপ্টেম্বরে পুঁজিবাজার থেকে ১০০ টাকা তুলেছে। বুকবিল্ডিং প্রক্রিয়ায় কোম্পানির কাট অফ প্রাইস নির্ধারিত হয় ২৮৩ টাকা।
এই হিসাবে মাত্র ২৯ লাখ ৩৮ হাজার ৪০৫টি শেয়ার ছেড়েছে কোম্পানিটি। আর শেয়ার সংখ্যা অপ্রতুল হওয়ার কারণে এর চাহিদা থাকে তুঙ্গে। এ কারণে এক বছরেরও কম সময়ে শেয়ার মূল্য ৫ গুণ হয়ে গেছে।
নতুন করে শেয়ার ছাড়লে সরবরাহ বাড়লে দাম আরও কমে যেতে পারে, এমন আলোচনার মধ্যে প্রথম দিনই কোম্পানিটি দর হারাল ৮৯ টাকা ৮০ পয়সা।
আগের দিন দাম ছিল ১ হাজার ৪৩৭ টাকা ৭০ পয়সা। সেখান থেকে কমে হয়েছে ১ হাজার ৩৪৭ টাকা ৯০ পয়সা।
দাম বাড়া বা কমার যে সর্বোচ্চ সীমা দেয়া আছে, তাতে এর চেয়ে বেশি কমার সম্ভব ছিল না কোম্পানিটির শেয়ার মূল্য।
কোম্পানি সচিব রফিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এক বছর অনেক সময় হলেও আমরা মনে করি এর জন্য আমাদের আরও কিছু সময় প্রয়োজন হবে। আমরা বিএসইসিকে এ বিষয়ে বলব, যে আমাদের আরও এক বছর বেশি সময় দেয়া হয়। তাহলে পর্যায়ক্রমে উদ্যোক্তারা তাদের হাতে থাকা শেয়ার বিক্রি করে বাজারে শেয়ারের সরবরাহ বাড়াতে পারে।‘
তিনি বলেন, ‘এমন সিদ্ধান্তের কারণে আমাদের শেয়ার দরে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। বিনিয়োগকারীদের মধ্যেও একটি ভুল ম্যাসেজ গেছে, যে আমাদের উদ্যোক্তারা হয়ত এখনও তাদের শেয়ার বিক্রি করা শুরু করবে।’
বার্জারের কী চিত্র
কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৪ কোটি ৬৩ লাখ ৭৭ হাজার ৮৮০টি। ২০০৬ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির মোট শেয়ারের ৫ শতাংশ, অর্থাৎ ২৩ লাখ ১৮ হাজার ৮৯৪টি বাজারে ছাড়া আছে। ছাড়তে হবে আরও সম পরিমাণ।
সোমবার বার্জার পেইন্টসের শেয়ার দর কমেছে ৬.১৩ শতাংশ। শেয়ার দর ১ হাজার ৯২১ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১ হাজার ৮০৩ টকা ১০ পয়সা। দর কমেছে ১১৭ টাকা ৯০ পয়সা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য