উড়তে থাকা পুঁজিবাজারে হঠাৎ ধাক্কা। স্বল্প মূলধনি লোকসানি কোম্পানির শেয়ারদরে ব্যাপক পতনের পর দিন বেশ কিছু কোম্পানি হারিয়ে ফেলা শেয়ারদর কিছুটা ফিরে পেয়েছে। তবে বাজার নিয়ে বিভ্রান্তির প্রভাব গিয়ে পড়েছে লেনদেনে।
১০ কর্মদিবসের মধ্যে সবচেয়ে কম লেনদেন দেখল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ। এক পর্যায়ে লেনদেন দুই হাজার কোটি টাকার নিচে নেমে যাওয়ার নমুনা দেখা গেলেও শেষ আধা ঘণ্টায় ক্রয়চাপে শেষ পর্যন্ত তা হয়নি।
গত ৩১ আগস্টের পর সর্বনিম্ন লেনদেন হলো ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে। আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কমেছে ৭০০ কোটি টাকার মতো।
আগের দিন ৫৬ পয়েন্ট সূচকের পতনের দিন লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৭০৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। পরের দিন সূচক ১৬ পয়েন্ট যোগ হওয়ার দিন লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৪০ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। লেনদেন কমেছে ৬৬৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।
গত কয়েক মাস ধরে স্বল্প মূলধনী কোম্পানির শেয়ারগুলোর অস্বাভাবিক দর বৃদ্ধির মধ্যে রোববার ঢালাও পতনে তৈরি হয় উদ্বেগ। ৫৪টি কোম্পানির শেয়ারদর কমপক্ষে ৫ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমে, যার মধ্যে ১০টির শেয়ারদর কমে প্রায় ১০ শতাংশ।
একদিনেই এরকম ঢালাও পতনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তৈরি হয় উদ্বেগ। কারণ, পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা থেকে শুরু করে বাজার সংশ্লিষ্ট নানা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে শক্তিশালী মৌলভিত্তির কোম্পানিতে লেনদেনের পরামর্শ আসছিল। এর মধ্যে এমন পতন এসব কোম্পানির শেয়ারে আরও পতন আনে কি না, তা নিয়ে ছড়িয়ে যায় উদ্বেগ।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কর্মদিবস সোমবার সকালে লেনদেন শুরু হতেই সূচক টানা দ্বিতীয় দিনের মতো পড়ে যায়। সকাল ১০টা ৭ মিনিটে ৩০ পয়েন্ট এবং ১০টা ৪৭ মিনিটে আগের দিনের তুলনায় ৩১ পয়েন্ট সূচক পড়ে যাওয়ায় উৎকণ্ঠা তৈরি হয়।
তবে শেষ পর্যন্ত আগের দিন দর হারিয়ে ফেলা কোম্পানিগুলো দর কিছুটা ফিরে পেতে শুরু করে এরপর থেকে।
বেলা পৌনে ১১টা থেকে ৪০ মিনিট আবার সূচক বাড়লেও সাড়ে ১১টা থেকে সূচক আবার কমতে থাকে। তবে বেলা ১২টার কিছু সময় আগে থেকে টানা বাড়তে বাড়তে এক পর্যায়ে আগের দিন হারিয়ে ফেলা সূচকের প্রায় পুরোটাই উদ্ধার হয়ে বেলা ১টা ৭ মিনিটের দিকে।
কিন্তু পরের সোয়া এক ঘণ্টায় সূচক কেবল পড়েছে। তবে শেষ চার মিনিটে হঠাৎ করেই ১৩ পয়েন্ট বেড়ে যাওয়ার পর আগের দিনের তুলনায় ২৬ পয়েন্ট যোগ হয় সূচকে।
একদিনের ব্যবধানে দুর্বল হলো সবল
রোববার লোকসানি, স্বল্প মূলধনী কোম্পানির শেয়ারদর যেভাবে ঢালাওভাবে পড়েছিল, পরদিন সেভাবেই হলো উত্থান। বেশ কয়েকটি কোম্পানি আগের দিন যতটা দর হারিয়েছিল, ফিরে পেয়েছে ততটাই।
দিনের সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধি পাওয়া ১০টি কোম্পানির মধ্যে ৫টি ছিল লোকসানি, স্বল্প মূলধনি কোম্পানি।
ওটিসি থেকে ফেরা মুন্নু ফেবিক্সের শেয়ার দর ৯.৯২ শতাংশ বেড়ে ২৭ টাকা ২০ পয়সা থেকে হয়েছে ২৯ টাকা ৯০ পয়সায়।
মেঘনা কনডেন্সড মিল্কের শেয়ার দর ৯.৯০ শতাংশ বেড়ে ২১ টাকা ২০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ২৩ টাকা ৩০ পয়সা।
বিচ হ্যাচারির দর ৯.৮৪ শতাংশ বেড়ে ২৪ টাকা ৪০ পয়সা থেকে হয়েছে ২৬ টাকা ৮০ পয়সা।
তাল্লু স্পিনিংয়ের দর ৯.১৫ শতাংশ বেড়ে ১৩ টাকা ১০ পয়সা থেকে হয়েছে ১৪ টাকা ৩০ পয়সা।
শীর্ষ ১০ কোম্পানির বাইরেও ৭.৫৭ শতাংশ বেড়েছে মিথুন নিটিংয়ের। আগের দিন ১০ শতাংশ পড়েছিল দর।
রোববার দর পতনের শীর্ষে থাকা শ্যামপুর সুগার মিলসের শেয়ার দর বেড়েছে ৬.৬৯ শতাংশ।
অলটেক্সের দর বেড়েছে ৬.৬৫ শতাংশ, ইমামবাটনের বেড়েছে ৫.৩৩ শতাংশ।
ব্যাংকে পরিবর্তনের আভাস
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ আগের তুলনায় বেড়েছে। লেনদেনও কিছুটা বেড়েছে।
ব্যাংক খাতে মোট লেনদেন হয়েছে ১৯৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৮৬ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।
লেনদেনে ২টি ব্যাংকের শেয়ার দর কমেছে, ৫টির পাল্টায়নি। বাকি ২৭টির দর বেড়েছে।
আর্থিক খাতের ২২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সাতটির দর কমেছে, ছয়টির পাল্টায়নি। বাকি ১০টির দর বেড়েছে।
এই খাতে লেনদেন হয়েছে ১৯০ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।
ব্যাংক খাতে প্রায় সব কটি কোম্পানির শেয়ারদর বৃদ্ধির পাশাপাশি দর বৃদ্ধির হারও তুলনামূলক বেশি। গত কয়েক মাস ধরেই দেখা যাচ্ছে, এই খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ারদর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ১০ থেকে ৩০ পয়সা করে উঠানামা করে।
সোমবার সাউথবাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের দর ৯.৮৪ শতাংশ বেড়ে ২০ টাকা ৩০ পয়সা থেকে হয়েছে ২২ টাকা ৩০ পয়সা।
এনআরবিসি ব্যাংকের দর ৫.৫১ শতাংশ বেড়ে ২৯ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩০ টাকা ৬০ পয়সা।
ইস্টার্ন ব্যাংকের শেয়ার দর বেড়েছে ৪.০৬ শতাংশ। শেয়ার প্রতি দর ৩৯ টাকা ৩০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪০ টাকা ৯০ পয়সা।
উত্তরা ব্যাংকের শেয়ার দর ২৫ টাকা ২০ পয়সা থেকে ২.৩৮ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২৫ টাকা ৮০ পয়সা।
১ থেকে ২ শতাংশ পর্যন্ত ব্যাংক খাতের নয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর বেড়েছে। এগুলোর মধ্যে রূপালী ব্যাংকের ১.৫৪ শতাংশ, ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংকের ১.৫৩ শতাংশ, ব্যাংক এশিয়ার ১.৪৮ শতাংশ, ওয়ান ব্যাংকের ১.৪৪ শতাংশ শেয়ার দর বেড়েছে।
আর্থিক খাতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার দর বেড়েছে ন্যাশনাল হাইজিং ফাইনান্সের দর। ৫.৮৯ শতাংশ বেড়ে শেয়ার দর ৭৪ টাকা ৬০ পয়সা থেকে হয়েছে ৭৯ টাকা।
আগের দিন প্রায় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পাওয়া উত্তরা ফাইন্যান্সের দর ৫.০৫ শতাংশ বেড়ে ৫১ টাকা ৪০ পয়সা থেকে হয়েছে ৫৪ টাকা।
ফারইস্ট ফাইনান্সের দর ৩.৩২ শতাংশ আর ফাস ফাইনান্সের দর বেড়েছে ২.৭৮ শতাংশ।
বিমায় সংশোধন, কাটিয়ে উঠেছে বস্ত্র
রোববার বিমা খাতের উচ্ছাস থাকলেও সোমবার সংশোধন এই খাতের শেয়ারদর। আগের দিন বস্ত্র খাত ব্যাপকভাবে দর হারারেও প্রায় সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। যেখানে রোববার দর পতন হয়েছিল প্রায় সব কোম্পানির।
বিমা খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ২২০ কোটি ২৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩৮০ কোটি ৩১ লাখ টাকা।
বস্ত্র খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ১৯৭ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২৭৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
বিমা খাতে পদ্মা লাইফের শেয়ার দর বেড়েছে ৩. ৪৫ শতাংশ। সাধারণ বিমা খাতের কন্টিনেন্টাল ইন্স্যুরেন্সের দর বেড়েছে ৩.২২ শতাংশ।
সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের ২.৪৩ শতাংশ, প্রাইম ইন্স্যুরেন্সের ১.২৯ শতাংশ, অগ্রণী ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার দর বেড়েছে দশমিক ৯৮ শতাংশ।
বস্ত্র খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে মেট্টোস্পিনিংয়ের ৯.৯২ শতাংশ।
এরপরই আছে বস্ত্র খাতের মুন্নু ও তাল্লু স্পিনিং। আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার দর বেড়েছে ৮.৫৭ শতাংশ।
অন্যান্য খাতের লেনদেন
ওষুধ ও রসায়ন খাতের ৩১টি কোম্পানির মধ্যে দর হারিয়েছে ১৮টির, বেড়েছে ১২টির দর।
হাতবদল হয়েছে ২২৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩২১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
প্রকৌশল খাতের ৪২টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ২৯টির, কমেছে ১২টির। লেনদেন হয়েছে ২০৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২৯৪ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ২৪টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৯টির, কমেছে ১০টির। লেনদেন হয়েছে ১৬৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ২২৬ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ২০টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১২টির, কমেছে ৭টির।
এই খাতে লেনদেন হয়েছে ১১০ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৪৪ কোটি ৫২ লাখ টাকা।
বিবিধ খাতের ১৪টি কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ৬টির, বেড়েছে ৮টির। হাতবদল হয়েছে ২০৬ কোটি ৯২ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৫৩ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।
তথ্য প্রযুক্তি খাতের ১১টি কোম্পানিটির মধ্যে দর বেড়েছে ৭টির। একটিরও দর না কমেনি। বেড়েছে ৭টির দর। লেনদেন হয়েছে ৩৬ টাকা ১৭ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪১ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
সূচক ও লেনদেন
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ১৫ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ২১৮ পয়েন্টে।
শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ২ দশমিক ৮৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৭৮ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ২ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৩৫ পয়েন্টে।
লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৪০ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৭০৮ কোটি টাকা।
চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ৪৪ দশমিক ৭২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ হাজার ২৯ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে ৬৭ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১১৪ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে সূচকের পতন দিয়ে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথমার্ধে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক কমেছে ১৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচকের মধ্যে শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ২ পয়েন্ট।
বাছাই করা কোম্পানির ব্লুচিপ শেয়ার ডিএস-৩০ কমেছে ৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০৩ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭৭ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথমার্ধে ঢাকার বাজারে লেনদেন ১৩০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
একই দশা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই)। সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৩ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১০৮ কোম্পানির মধ্যে ২৯ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৬৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে প্রথমার্ধে ৩ কোটি টাকার ওপর শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
টানা দুদিন পতনের পর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনেও অব্যাহত আছে পতনের ধারা, সূচক কমেছে ঢাকা-চট্রগ্রাম দুই বাজারেই।
লেনদেনের শুরুতেই ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৯ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৩ পয়েন্ট।
এই সময়ে লেনদেনে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ কোম্পানি দর হারিয়েছে। ১০৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৭৯টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে প্রায় ৬৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
ঢাকার মতো চট্টগ্রামের বাজারেও বজায় আছে পতনের ধারা, সেখানে সার্বিক সূচক কমেছে ৩২ পয়েন্ট।
চট্টগ্রামে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৩টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৬টির, কমেছে ৪৪টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৩টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
উত্থান দিয়ে সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসের লেনদেন শুরু হলেও শেষ হয়েছে সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে। দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ঢাকা-চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৪৬ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস কমেছে ১২ পয়েন্ট এবং বাছাই করা কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ১৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৮ কোম্পানির মধ্যে বেশিরভাগের দাম ছিল নিম্নমুখী। ৫৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ৩০৯ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড- তিন ক্যাটাগরিতেই কমেছে শেয়ারের দাম। লভ্যাংশ দেওয়া ভালো শেয়ারের এ ক্যাটাগরিতে তালিকাভুক্ত ২২০ কোম্পানির মধ্যে ৩২ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হয়েছে। দর কমেছে ১৭৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ১০ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডের বেশিরভাগের। ৩২ কোম্পানির দর পতনের বিপরীতে দর বেড়েছে ২ এবং অপরিবর্তিত আছে ২ কোম্পানির।
২২ কোম্পানির ৯ কোটি ১৪ লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। এসইএমএল লেকচার ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড সর্বোচ্চ ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
সূচকের পাশাপাশি লেনদেন কমেছে ঢাকার বাজারে। সারাদিনে মোট ৩৪৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৩৬৪ কোটি টাকা।
৮.১১ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ইনকাম ফান্ড। অন্যদিকে ১৬ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকার মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ৩৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ২০১ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ১১৩ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৭ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড এবং ১৩ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে ডিএসই'র মতো সিএসইতেও তলানিতে মিডাস ফাইন্যান্সিং।
শেষ কার্যদিবসে ঢাকার পুঁজিবাজারে লেনদেন চলছে উত্থানে, বেড়েছে প্রধান সূচক। অন্যদিকে বিগত দিনের মতো এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার।
লেনদেনের প্রথম দুই ঘন্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৮ পয়েন্ট।
এর বাইরে বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) শরীয়াভিত্তিক সূচক ডিএসএসের উত্থান দশমিকের ঘরে থাকলেও ব্লু-চিপ শেয়ারের সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২ পয়েন্ট।
সূচক কিছুটা বাড়লেও বিগত কয়েকদিনের টানা পতনে লেনদেন অনেকটাই কমে এসেছে। এতদিন প্রথমার্ধে লেনদেন ২০০ কোটি ছাড়িয়ে গেলেও, এদিন লেনদেন হয়েছে ১৫০ কোটিরও কম।
দাম বেড়েছে লেনদেন অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৬১ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৩২ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৯৬ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এদিকে এখনো পতন থেকে বের হতে পারেনি চট্টগ্রামের বাজার। লেনদেনের প্রথমার্ধে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক হারিয়েছে ৭৩ পয়েন্ট।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ কোম্পানির। ৩৩ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে ৬৬ কোম্পানির হয়েছে দরপতন, অপরিবর্তিত আছে ২৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
পুঁজিবাজারের প্রথম দুই ঘন্টায় সিএসইতে লেনদেন ছাড়িয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
মন্তব্য