× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Schools not opened in Sylhet
google_news print-icon

সিলেটে যেসব স্কুল খোলেনি

সিলেটে-যেসব-স্কুল-খোলেনি
বিদ্যারণ্য স্কুল অ্যান্ড মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. মুখলেছুর রহমান বলেন, ‘করোনাকালে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোনো ধরনের ফি পাইনি। কীভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাব? ফলে কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছি।’

করোনা সংক্রমণের কারণে ১৮ মাস বন্ধ থাকার পর রোববার থেকে খুলেছে দেশের সব স্কুল-কলেজ। দীর্ঘদিন পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পদচারণে ফিরেছে প্রাণের উচ্ছ্বাস।

সারা দেশের মতো সিলেটের ১ হাজার ৪৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও শুরু হয় শ্রেণি কার্যক্রম। তবে এদিনও বন্ধ ছিল সিলেটের অনেক বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এগুলোতে ছিল না শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি। বন্ধ ছিল প্রতিষ্ঠানের ফটকও।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় আর্থিক সংকটে পড়েছে এই বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে অনেক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। বাসা ভাড়া না দিতে পারায় কয়েকটি স্কুল নিজেদের সাইনবোর্ডও সরিয়ে নিয়েছে।

সিলেটে প্রায় ৫০টি স্কুল করোনা সংকটে বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এগুলোর বেশির ভাগই কিন্ডারগার্টেন স্কুল। ফলে আজ স্কুল-কলেজ খোলার দিনেও বন্ধ ছিল এগুলো।

এই প্রতিষ্ঠানগুলো আদতে কার্যক্রম শুরু করতে পারবে কি না, এ নিয়ে সন্দিহান তারা।

সিলেট কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাওলানা বদরুল আলম জানান, জেলায় প্লে গ্রুপ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা পাঁচ শতাধিক। এর মধ্যে করোনার কারণে সব গুটিয়ে একেবারে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করেছে অন্তত ৪০টি প্রতিষ্ঠান।

বছর তিনেক আগে সিলেট নগরের সুবিদবাজার এলাকায় শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে রবীন্দ্র-নজরুল মেমোরিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। করোনা সংক্রমণের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণার পর ছাত্রদের বেতন আটকে যাওয়ায় বাসা ভাড়াসহ আনুষঙ্গিক খরচ জোগাতে হিমশিম খেতে হয় প্রতিষ্ঠানটির। কোনো ঘোষণা ছাড়াই বন্ধ হয়ে যায় এটি।

এই স্কুলের মতো নগরের বাগবাড়ি এলাকার বিদ্যারণ্য স্কুল অ্যান্ড মহিলা কলেজ, সুবিদবাজারের নলেজ হোম স্কুল অ্যান্ড কলেজ, চৌকিদেখি এলাকার শাহজালাল প্রি-ক্যাডেট একাডেমি, বনকলাপাড়ার সিলসিটি ট্যালেন্ট হোম, শাহপরাণ এলাকার মা-মণি কিন্ডারগার্টেন (দুটি শাখার মধ্যে একটি), উপশহরের হলিসাইড স্কুলসহ নগরের অর্ধশতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করোনায় বন্ধ হয়ে গেছে।

বাসাভাড়া ও অন্য খরচ জমে যাওয়ায় ২০২০ সালের জুনে বন্ধ করে দেয়া হয় সুবিদবাজার এলাকার নলেজ হোম স্কুল অ্যান্ড কলেজ।

ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়টি যে ভবনে ছিল, সেখানে এখন পাশের এক রেস্টুরেন্টের কর্মীরা ভাড়া থাকছেন। সরিয়ে নেয়া হয়েছে স্কুলের সাইনবোর্ডও।

নলেজ হোম স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. শওকত হোসেন বলেন, ‘আমার প্রতিষ্ঠানের বেশির ভাগ শিক্ষার্থী দরিদ্র পরিবারের সন্তান। করোনার সংক্রমণ শুরুর পর থেকে আমরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোনো বেতন পাইনি। তবু আমরা এক বছরের বেশি সময় বিদ্যালয় খোলার অপেক্ষায় ছিলাম। তবে একপর্যায়ে বিদ্যালয়ের বাসাভাড়াসহ আনুষঙ্গিক খরচ চালানো আমার পক্ষে সম্ভব হয়নি। ধারদেনা করেও শেষ পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটি টিকিয়ে রাখতে পারিনি।’

এই বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী ইমরান তালুকদার বলে, ‘করোনার কারণে আমি বাড়িতে ছিলাম। কয়েক মাস আগে সিলেটে এসে জানতে পারি স্কুল আর কোনো দিন খুলবে না। শিক্ষকরা আমাদের অন্য স্কুলে ভর্তি হতে বলেছেন।’

২০১০ সালে নগরের বাগবাড়ি এলাকায় বিদ্যারণ্য স্কুল অ্যান্ড মহিলা কলেজ শিক্ষা কার্যক্রম চালু করে। করোনা মহামারিতে তাদেরও শিক্ষা কার্যক্রম স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। এই প্রতিষ্ঠানে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী ভর্তি ছিল।

ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, খুলে ফেলা হয়েছে প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড। বর্তমানে সেখানে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বসবাস করছেন ওই প্রতিষ্ঠানের সাবেক কর্মচারী অঞ্জনা মল্লিক।

তিনি বলেন, ‘চলতি বছর প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে গেছে। এখানে আয়া হিসেবে কাজ করতাম। প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বেকার হয়ে গেছি। আমার স্বামীও এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। তিনিও কাজ হারিয়েছেন। এখন ভ্যান চালান।’

বিদ্যারণ্য স্কুল অ্যান্ড মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. মুখলেছুর রহমান বলেন, ‘করোনাকালে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোনো ধরনের ফি পাইনি। কীভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাব? ফলে কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছি।’

সিলেট কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাওলানা বদরুল আলম বলেন, করোনায় বেসরকারি শিক্ষা খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চলে শিক্ষার্থীদের বেতনে। কিন্তু করোনায় আমরা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোনো বেতন-ফি নিতে পারিনি। এই দুঃসময়ে আমরা সরকারেরও কোনো সহযোগিতা পাইনি। আমাদের বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ভবন নেই। ভাড়া ভবনে শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে হয়। ফলে আর্থিকভাবে দেউলিয়া হয়ে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একেবারে বন্ধ হয়ে গেছে।

যে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এখনও টিকে আছে, তারাও রয়েছে সংকটে। দীর্ঘদিনের বন্ধ শেষে আজ থেকে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু করলেও আর্থিক সংকটে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।

নগরের পীরের বাজার এলাকার মা-মণি কিন্ডারগার্টেনের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান ডালিম বলেন, ‘দেড় বছর বন্ধ থাকার কারণে আমাদের স্কুলের বেশির ভাগ ডেস্ক, বেঞ্চ নষ্ট হয়ে গেছে। অনেক আসবাবপত্রও নষ্ট হয়েছে। এগুলো এখন নতুনভাবে কিনতে হচ্ছে। ফলে এই সংকটেও আমাদের নতুন করে বিনিয়োগ করতে হচ্ছে। এখন বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানেরই বিনিয়োগের সামর্থ্য নেই। ফলে যেসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়নি, সেসব বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও এখন সংকটে আছে।’

আরও পড়ুন:
স্কুল পানিতে তলিয়ে, ক্লাস সড়কে
প্রথম দিন ক্লাসে উপস্থিতি ৮০ শতাংশের বেশি
‘বাবা আজ ঈদের দিনের মতো লাগছে’
স্কুলে অব্যবস্থাপনা দেখে শিক্ষামন্ত্রীর ক্ষোভ
স্টোররুমকে শ্রেণিকক্ষ ভেবে অধ্যক্ষকে শোকজ

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Severe heatwave in Chuadanga Heat alert issued

তীব্র দাবদাহ: ‍চুয়াডাঙ্গায় হিট অ্যালার্ট

তীব্র দাবদাহ: ‍চুয়াডাঙ্গায় হিট অ্যালার্ট চুয়াডাঙ্গার চৌরাস্তার মোড়। ফাইল ছবি
আবহাওয়া অফিসের চুয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘তীব্র দাবদাহ আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকতে পারে, তবে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।’

চুয়াডাঙ্গায় গত দুই দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। জেলায় বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার দিকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এমন বাস্তবতায় হিট অ্যালার্ট জারি করেছে জেলা প্রশাসন।

টানা দাবদাহে অতিষ্ঠ সীমান্তবর্তী জেলাটির মানুষ। হাসপাতালে বাড়ছে গরমজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা।

তীব্র দাবদাহে হিট অ্যালার্ট জারি করে জেলা প্রশাসনের ভাষ্য, খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হতে নিষেধ করা হচ্ছে।

জেলায় দিনের বেশির ভাগ সময় তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে। এতে কম আয়ের শ্রমজীবী মানুষরা পড়েছেন চরম বিপাকে। নির্মাণশ্রমিক, কৃষিশ্রমিক, ইজিবাইকচালক ও ভ্যান-রিকশাচালকদের গরমে নাভিশ্বাস উঠেছে। হতাশ হতে দেখা গেছে তাদের।

প্রয়োজনের তাগিদে ঘর থেকে বেরিয়েও কাজ করতে পারছেন না অনেকে।

দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড এলাকার ভ্যানচালক আবদুর রহিম বলেন, ‘যে তাপ পড়চি, তাতে বাইরি বের হওয়া যাচ্চি না। তাপে হাত-পা জ্বালাপুড়া করচি। ছায়ায় গিয়িও শান্তি নেই।’

আবহাওয়া অফিসের চুয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘তীব্র দাবদাহ আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকতে পারে, তবে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।’

আরও পড়ুন:
দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি ঝরতে পারে ঢাকাসহ চার বিভাগে
বিস্তৃত হতে পারে ঢাকাসহ ৬ বিভাগের দাবদাহ
বইছে তাপপ্রবাহ, নেই বৃষ্টির সম্ভাবনা
মেঘ মেঘ করবে, হতে পারে বৃষ্টিও
ঈদের দিনে ‘সহনশীল’ থাকতে পারে আবহাওয়া

মন্তব্য

বাংলাদেশ
A case of rape of a college girl in Kalkini

কালকিনিতে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

কালকিনিতে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা প্রতীকী ছবি
কালকিনি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, ‘কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় আদালতে একটি মামলা হয়েছে। পরে ওই ছাত্রীকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং আসামিকে গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলছে।’

মাদারীপুরের কালকিনিতে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

ওই কলেজছাত্রীর মা এ মামলা করেন বলে বৃহস্পতিবার সকালে জানিয়েছে থানা পুলিশ।

মামলার প্রধান আসামি ও তার পরিবারের সদস্যরা গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছেন।

স্থানীয়, পুলিশ ও কলেজছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার একটি গ্রামের নাজমুছ সাকিবের সঙ্গে একই এলাকার কলেজছাত্রীর প্রায় দুই বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এর জেরে গত শুক্রবার রাতে ওই কলেজছাত্রীকে তার বসতঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন নাজমুছ সাকিব।

এ ঘটনা জানতে পেরে স্থানীয় লোকজন সালিশ করে নাজমুছ সাকিবকে জিজ্ঞাসা করলে ওই কলেজছাত্রীকে বিয়ে করবেন বলে তিনি আশ্বাস দেন, কিন্তু সালিশের বেশ কয়েক দিন পার হলেও ওই কলেজছাত্রীকে বিয়ে না করে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান সাকিব।

পরে কলেজছাত্রীর মা বাদী হয়ে নাজমুছ সাকিবসহ তার পরিবারের তিনজনকে আসামি করে আদালতে ধর্ষণের মামলা করেন। এর প্রেক্ষাপটে থানা পুলিশ ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে চিকিৎসা পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠায়।

মামলার বাদী কলেজছাত্রীর মা বলেন, ‘আমার মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ করেছে নাজমুছ সাকিব, কিন্তু এখন আমার মেয়েকে বিয়ে করতে চায় না বলে ধর্ষণকারীসহ তার পরিবারের তিনজনের নামে আমি মামলা করেছি। আমি এর বিচার চাই।’

বিষয়টি জানার জন্য অভিযুক্ত পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের এলাকায় পাওয়া যায়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ‘এই ঘটনা জানতে পেরে আমরা নাজমুছ সাকিবকে জিজ্ঞেস করলে ওই কলেজছাত্রীকে বিয়ে করবে বলে আশ্বাস দেয়, কিন্তু ঘটনার বেশ কয়েক দিন পার হলেও ওই কলেজছাত্রীকে বিয়ে না করে ধর্ষণকারী ও তার পরিবার এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়, তবে ওই যুবকের বিরুদ্ধে এই ধরনের ঘটনা আরও আছে।’

কালকিনি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, ‘কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় আদালতে একটি মামলা হয়েছে। পরে ওই ছাত্রীকে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং আসামিকে গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলছে।’

আরও পড়ুন:
স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে তরুণীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ
প্রতিবেশীর কাছে পেঁয়াজ চাইতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার শিশু
এবার বন্দুকের মুখে ধর্ষণের অভিযোগ টাঙ্গাইলের বড় মনিরের বিরুদ্ধে
রামপালে ধর্ষণের মামলা তুলে নিতে হুমকি, অভিযোগ গৃহবধূর স্বামীর
গ্রাম পুলিশ সদস্যকে ধর্ষণের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যানের নামে মামলা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Uncle nephew died after being hit by a bus on a motorcycle

মোটরসাইকেলে বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল মামা-ভাগ্নের 

মোটরসাইকেলে বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল মামা-ভাগ্নের  সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো দুজন। ছবি: সংগৃহীত
কটিয়াদী হাইওয়ে থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’ 

কিশোরগঞ্জে একটি মোটরসাইকেলে বাসের ধাক্কায় মামা-ভাগ্নে নিহত হয়েছেন।

সদরের ভৈরব মহাসড়কের কামালিয়ারচর এলাকায় বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রাণ হারানো দুজন হলেন বাজিতপুর উপজেলার কৈলাগ গ্রামের দিলবাহারের ছেলে মামুনুর রশিদ মামুন (২৫) ও একই এলাকার আবদুল্লাহ আল রাজিবের ছেলে আশরাফুল ইসলাম লাদেন (২০)। সম্পর্কে তারা মামা-ভাগ্নে।

কটিয়াদী হাইওয়ে থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মামুন এবং তার ভাগ্নে লাদেন মোটরসাইকেল করে বাজিতপুর থেকে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরে যাওয়ার সময় কামারিয়ারচর এলাকায় পৌঁছালে মোটরসাইকেলটিকে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগামী বাস ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান তারা।

‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় বাসটিকে শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।’

ওসি আরও বলেন, ‘এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Three youths arrested for hacking a woman to death in Mymensingh

ময়মনসিংহে চার সন্তানের জননীকে কুপিয়ে হত্যা, আটক তিন যুবক

ময়মনসিংহে চার সন্তানের জননীকে কুপিয়ে হত্যা, আটক তিন যুবক নান্দাইল মডেল থানা ভবন। ছবি: নিউজবাংলা
নান্দাইল মডেল থানার ওসি আবদুল মজিদ বলেন, ‘মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চাঁন মিয়া, ফাহিম ও নাঈম নামে তিন যুবককে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। নাজমার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা প্রক্রিয়াধীন।’

ময়মনসিংহের নান্দাইলে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তিন যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

পৌর শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের চারি আনি পাড়া এলাকায় বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

প্রাণ হারানো ৩৫ বছর বয়সী নাজমা আক্তার একই এলাকার আবদুল মান্নানের স্ত্রী। তিনি চার সন্তানের মা।

নান্দাইল মডেল থানার ওসি আবদুল মজিদ বলেন, ‘পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে খাওয়াদাওয়া শেষে রাতে পান কিনতে বের হন নাজমা আক্তার। বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় পরিবারের লোকজন তার খোঁজ শুরু করলে সাড়ে ১১টার দিকে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে ধানক্ষেতে ওই নারীকে ক্ষতবিক্ষত উলঙ্গ অবস্থায় মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা।

‘পরে খবর পেয়ে নাজমার পরিবারের লোকজন গিয়ে তাকে শনাক্ত করে। এরপর পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চাঁন মিয়া, ফাহিম ও নাঈম নামে তিন যুবককে হেফাজতে নেয়া হয়েছে। নাজমার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা প্রক্রিয়াধীন।’

আরও পড়ুন:
গরু চুরির আসামির বিরুদ্ধে বাদীকে হত্যার অভিযোগ
চকরিয়ায় দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যা
ফেনীতে মাকে গাছে বেঁধে ছেলেকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
ভাতিজার দায়ের কোপে সাবেক পুলিশ সদস্য নিহত
পঞ্চগড়ে প্রেমিকের হাতে নারী খুন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Accused of cow theft accused of murdering the plaintiff

গরু চুরির আসামির বিরুদ্ধে বাদীকে হত্যার অভিযোগ

গরু চুরির আসামির বিরুদ্ধে বাদীকে হত্যার অভিযোগ প্রতীকী ছবি
প্রাথমিক পুলিশি তদন্তে আসামিরাই রাহিদুলকে হত্যা করেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ঘটনার পরপরই একজনকে আটক করা হয়েছে।

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে গরু চুরি মামলার এক আসামির ছুরিকাঘাতে ওই মামলার বাদী হত্যার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ব্যক্তি মারা যান।

নিহত রাহিদুল ইসলাম বাবু (৩২) উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের পূর্বগোপালপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে।

বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নে আমলাগাছি-ঢোলভাঙা সড়কের বেলতলা নামক এলাকায় হামলা চালিয়ে আহত করা হয় তাকে।

মামলার জেরেই রাহিদুলকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।

গাইবান্ধার সহকারী পুলিশ সুপার (সি সার্কেল) উদয় কুমার সাহা নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, চলতি বছরের একটি গরু চুরি মামলার বাদী ছিলেন রাহিদুল ইসলাম। আর ওই মামলর আসামি ছিলেন খলিলসহ অন্যরা।

উদয় কুমার বলেন, সেই মামলার জেরে বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মহদীপুর ইউনিয়নে আমলাগাছি-ঢোলভাঙা সড়কের বেলতলা নামক এলাকায় একই মামলার আসামিরা পরিকল্পিতভাবে রাহিদুলের ওপর হামলা চালায়। ওই সময় হামলাকারীরা রাহিদুলের বুকে ছুরিকাঘাত করে। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিলে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে তিনি মারা যান।

তিনি আরও জানান, প্রাথমিক পুলিশি তদন্তে আসামিরাই রাহিদুলকে হত্যা করেছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ঘটনার পরপরই একজনকে আটক করা হয়েছে। চুরি মামলার মূল আসামি ও ঘটনার সাথে জড়িত খলিলসহ অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতিও চলছে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Cultivation of Philippine foreign variety MD 2 pineapple started in Comilla

ফিলিপাইনের আনারস চাষ কুমিল্লায়

ফিলিপাইনের আনারস চাষ কুমিল্লায় কুমিল্লায় কৃষি বিভাগের উদ্যোগে ফিলিপাইনের আনারসের জাত এমডি-২ চাষ শুরু হয়েছে। ছবি: নিউজবাংলা
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কুমিল্লা কার্যালয়ের উপপরিচালক আইয়ুব মাহমুদ বলেন, ‘এমডি-২ জাতের আনারসের আন্তর্জাতিক বাজারে অনেক সুনাম আছে। বিশেষ করে ইউরোপ-আমেরিকায় বেশ জনপ্রিয়। এ জাতের আনারস দেশীয় আনারসের তুলনায় অনেক বেশি মিষ্টি।’

কুমিল্লা কৃষি বিভাগের উদ্যোগে জেলায় শুরু হয়েছে আনারসের ফিলিপাইনের একটি জাত।

এ উদ্যোগে ‍যুক্ত একজন কৃষি কর্মকর্তা জাতটির বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, এ বছর আনারস চাষ সফল হলে আগামী বছর আরও বড় পরিসরে এ জাতের চাষ করা হবে।

রোপণ করা চারা থেকে আগামী মাস ছয়েকের মধ্যে ফলন পাওয়া যাবে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভাষ্য, বিদেশি আনারসের এ জাতটির নাম এমডি-২। এটির আদি নিবাস ফিলিপাইন। এর আগে বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলায় এ জাতের আনারস চাষ হয়েছে। এ আনারসের চামড়া পাতলা ও প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে।

অধিদপ্তরের কুমিল্লা কার্যালয়ের উপপরিচালক আইয়ুব মাহমুদ বলেন, ‘এমডি-২ জাতের আনারসের আন্তর্জাতিক বাজারে অনেক সুনাম আছে। বিশেষ করে ইউরোপ-আমেরিকায় বেশ জনপ্রিয়। এ জাতের আনারস দেশীয় আনারসের তুলনায় অনেক বেশি মিষ্টি।

‘এ আনারস দ্রুত পচে না। প্রথমবারের মতো এ বছর আমরা পুরো কুমিল্লা জেলায় দেড় হাজার চারা বিতরণ করেছি। জেলায় আদর্শ সদর, বুড়িচং, ব্রাহ্মণপাড়া, সদর দক্ষিণ ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় বেশ কিছু টিলা ও পাহাড় রয়েছে। ছাড়াও লালমাই পাহাড়কে টার্গেট করে আমরা চারা বিতরণ করেছি। আশা করছি কুমিল্লার মাটি ও আবহাওয়া এমডি ২ জাতের আনারস চাষে বেশ উপযোগী হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফলন ভালো পাওয়া যাবে। এ বছর আমরা সফল হলে আমাদের আগামী বছরে আরও ব্যাপকভাবে এমডি-২ জাতের আনারস চাষ করার পরিকল্পনা রয়েছে।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The government will provide financial assistance to the families of those killed in the road accident in Jhalkathi

ঝালকাঠিতে সড়ক দুর্ঘটনা: নিহত প্রত্যেকের পরিবার পাবে ৫ লাখ টাকা

ঝালকাঠিতে সড়ক দুর্ঘটনা: নিহত প্রত্যেকের পরিবার পাবে ৫ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তার বিষয়ে নিউজবাংলার সঙ্গে কথা বলছেন ঝালকাঠির ডিসি ফারাহ গুল নিঝুম। ছবি: নিউজবাংলা
ডিসি ফারাহ গুল নিঝুম বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের পরিবারের জন্য পাঁচ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে। এ ছাড়া যারা পঙ্গুত্বের শিকার হয়েছেন, তাদের প্রত্যেককে তিন লাখ টাকা এবং আহতদের জন্য এক লাখ টাকা সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হবে।’

ঝালকাঠিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি)।

ফারাহ গুল নিঝুম বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের পরিবারের জন্য পাঁচ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দেয়া হবে। এ ছাড়া যারা পঙ্গুত্বের শিকার হয়েছেন, তাদের প্রত্যেককে তিন লাখ টাকা এবং আহতদের জন্য এক লাখ টাকা সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হবে।’

জেলার গাবখান সেতুর টোল প্লাজায় বুধবার দুপুরে প্রাইভেটকার ও ইজিবাইককে পেছন থেকে ট্রাক ধাক্কা দেয়। এতে ১৪ জন নিহত ও কয়েকজন আহত হন।

সেতুর টোল প্লাজায় সিমেন্টবোঝাই বেপরোয়া গতির ট্রাক তিনটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও একটি প্রাইভেট কারকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে ১২ জন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। হাসপাতালে নেয়ার পর আরও দুজনের মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন:
সড়কে প্রাণ গেল জনপ্রিয় শিল্পী পাগল হাসানের
মার্চে ৫৫২ সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৬৫ জন নিহত
ঝালকাঠিতে ইজিবাইক ও মাইক্রোতে ট্রাকের ধাক্কা, নিহত বেড়ে ১৪
কাপাসিয়ায় বাসের ধাক্কায় অটোরিকশার চালক নিহত
তেজগাঁওয়ে পড়ে গেছে যমুনা এক্সপ্রেসের বগি

মন্তব্য

p
উপরে