× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
After 544 days the students of Basal School were overwhelmed
google_news print-icon

৫৪৪ দিন পর বাজল স্কুলের ঘণ্টা, উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা

৫৪৪-দিন-পর-বাজল-স্কুলের-ঘণ্টা-উচ্ছ্বসিত-শিক্ষার্থীরা
স্কুল খোলায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোলাহল আর আনন্দের উচ্ছ্বাস। স্কুল কর্তৃপক্ষ সরকারি নির্দেশনা মেনে শিক্ষার্থীদের স্কুলে প্রবেশ করালেও বেশির ভাগেরই ছিল না স্কুল ইউনিফর্ম।

মহামারি করোনায় ৫৪৪ দিন পর বাজল স্কুলের ঘণ্টা। স্কুল প্রাঙ্গণ আবারও মুখরিত চিরচেনা সেই রূপে। যেখানে শিক্ষার্থীরা আবার সশরীরে ক্লাসে অংশ নিচ্ছে আর শিক্ষকরাও পাঠদান করছেন। এ নিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবার চোখেমুখেই ছিল খুশির ঝিলিক।

রোববার সকাল থেকেই স্কুলের প্রধান ফটকে শিক্ষার্থীদের শরীরে তাপমাত্রা নির্ণয়, হ্যান্ড স্যানিটাইজার প্রদান শেষে ফুল দিয়ে স্বাগত জানানো হয়।

সাভার

স্কুল খোলার প্রথম দিনে দল বেঁধে শিক্ষার্থীরা স্কুলে এসে বেশ উচ্ছ্বসিত। তবে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই এসেছে স্কুল ড্রেস ছাড়া।

৫৪৪ দিন পর বাজল স্কুলের ঘণ্টা, উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা

ঢাকার সাভারে অনেক স্কুলে গিয়েই দেখা গেছে এমন চিত্র। স্কুল কর্তৃপক্ষ সরকারি নির্দেশনা মেনে শিক্ষার্থীদের স্কুলে প্রবেশ করালেও বেশির ভাগের ছিল না স্কুল ইউনিফর্ম।

আশুলিয়ার গাজীরচট এএম হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী তামিম হোসেন নিউজবাংলাকে জানাল স্কুলের পোশাক না পরে আসার কথা।

তামিম বলে, ‘অনেক দিন স্কুল বন্ধ ছিল। তাই ইউনিফর্ম ছোট হয়ে গেছে। নতুন ইউনিফর্ম বানাইতে দিছি। বানানো হলে নতুন ইউনিফর্ম পরে আসব।’

বরিশাল

সরকারঘোষিত সব নিয়ম ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে বরিশালে। উৎসবমুখর পরিবেশে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে শুরু হয়েছে পাঠদান।

৫৪৪ দিন পর বাজল স্কুলের ঘণ্টা, উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা

করোনা মহামারিতে দীর্ঘ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসতে না পারায় অনেক শিক্ষার্থী এরই মধ্যে ঝরে পড়েছে। সশরীরে বিদ্যালয়ে আসতে পারায় তাদের মাঝে কিছুটা প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।

বরিশাল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ‌্যালয়ে গিয়ে শিশু শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বাস দেখা গেছে। একই চিত্র দেখা গেছে বরিশাল সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজেও। একটি বেঞ্চে দুজন শিক্ষার্থীকে বসিয়ে পাঠদান করা হয়েছে।

বরিশালের একে ইনস্টিটিউটের সহকারী শিক্ষক জসীম উদ্দিন বলেন, ‘শ্রেণিকক্ষ জীবাণুমুক্ত করার পাশাপাশি প্রত‌্যকে শিক্ষার্থীর হাতও স‌্যানিটাইজ করা হয়েছে। তারপর সবাইকে ক্লাসে প্রবেশ করতে দেয়া হয়েছে।

৫৪৪ দিন পর বাজল স্কুলের ঘণ্টা, উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা

মথুরানাথ পাবলিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, ‘স্কুলের প্রধান ফটকে “নো মাস্ক নো স্কুল”-সংবলিত ব‌্যানার লাগানো হয়েছে। যে শিক্ষার্থীরা মাস্ক পরেনি তাদের আমরা মাস্ক সরবরাহ করেছি। স্বাস্থ‌্যবিধি মেনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো হয়েছে।’

ভোলা

সারা দেশের মতো ভোলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো প্রাণ ফিরে পেয়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশে চলছে ভোলার ১ হাজার ৬০২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠদান।

রোববার সকাল থেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে উৎসবের আমেজ দেখা যায়। প্রায় সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকারা শিক্ষার্থীদের হাতে ফুল, কলম ও ক্লাসরুটিন দিয়ে বরণ করেন নেন।

কথা হয় ভোলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী এলমার সঙ্গে। এলমা বলে, করোনাকালে অনলাইন ক্লাসে পড়ায় ততটা মনোযোগ বসত না। বোরিং লাগত। এখন স্কুল খুলে দেয়ায় অনেক ভালো লাগছে। সকালে স্কুলে আসার পরে আমরা অনেকটা সারপ্রাইজ হয়েছি। স্যার, ম্যাডামরা আমাদের ফুল ও কলম দিয়ে বরণ করে নিয়েছেন।’

৫৪৪ দিন পর বাজল স্কুলের ঘণ্টা, উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা

ভোলা জেলা মাধ্যমিক ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা মাধব চন্দ্র দাস জানান, জেলায় ২৬৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২৪০টি মাদ্রাসা ও ৫০ কলেজে পাঠদান চলছে। এ ছাড়া মেঘনা ও তেঁতুলিয়ার ভাঙনকবলিত এলাকায় কিছুসংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঝুঁকিতে থাকায় তাদের স্থানান্তর করে পাঠদান করা হচ্ছে।

ঝিনাইদহ

ঝিনাইদহ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, বালিকা বিদ্যালয়সহ জেলার প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শুরু হয়েছে পাঠদান। দীর্ঘদিন পর ক্লাসে শিক্ষার্থীদের দেখে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন শিক্ষকরাও। স্বাস্থবিধি মেনে একটি বেঞ্চে ২ জন শিক্ষার্থীকে বসানো হচ্ছে।

ঝিনাইদহ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেখ শফিয়ার রহমান জানান, প্রথম দিনে দশম, এসএসসি পরীক্ষার্থী, পঞ্চম শ্রেণি ও চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো হচ্ছে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান শুরু হওয়ার পর শহরের বিভিন্ন স্কুল পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মজিবর রহমান।

৫৪৪ দিন পর বাজল স্কুলের ঘণ্টা, উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা

পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ক্লাস করছে। প্রত্যেকে মাস্ক পরিধান করছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া আছে। তারা তা অনুসরণ করবে।’

ময়মনসিংহ

প্রথম দিনেই শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখর ময়মনসিংহের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। এর আগে কয়েক দিন ধরেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয় ক্লাসরুমসহ বিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গা।

স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে পাঠদান দেয়া হবে বলে জানান শিক্ষকরা।

সিরাজগঞ্জ

দীর্ঘদিন পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পা রেখেই আনন্দ-উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। সশরীরে ক্লাসে ফিরে সবারই চোখেমুখে ছিল খুশির ঝিলিক।

স্কুল খোলার প্রথম দিনে উপস্থিতি কিছুটা কম থাকলেও আগামীকাল থেকে আগের মতো শিক্ষার্থী উপস্থিতি পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

নাটোর

নাটোর বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী সাদ হোসেন। রুটিন অনুযায়ী আজ তার ক্লাস না থাকায় বড় ভাইয়ের সঙ্গে দেখতে এসেছে।

সাদ বলে, ‘আজ বড় ভাইয়াদের ক্লাস হবে। তাদের ক্লাস করা দেখতে এসেছি। আমাদেরও ক্লাস হবে ভাবতেই ভালো লাগছে।’

৫৪৪ দিন পর বাজল স্কুলের ঘণ্টা, উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী নাটোরের প্রতিটি স্কুলে হাত ধোয়া ও তাপমাত্রার যন্ত্র দিয়ে শিক্ষার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

রংপুর

দেড় বছর পর খুলেছে শিক্ষার্থীদের প্রাণের বিদ্যালয়। আগ্রহ উচ্ছ্বাস আর উৎসবের কমতি ছিল না রংপুরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে। একই আমেজ ছিল শিক্ষক এবং অভিভাবকদের মাঝেও।

কোনো কোনো বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ফুল ছিটিয়ে বরণ করা হয়েছে। কোথাও আবার কাটা হয়েছে কেক।

রংপুর মহানগরীর অন্তত ১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে দেখা গেছে এই চিত্র।

বিদ্যালয়ে প্রবেশের আগে গেটে হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করে নিয়েছে প্রত্যেকে। ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বন্ধুদের কাছে গিয়ে হইহুল্লোড় করতে পারছে না। এক বেঞ্চে কাছাকাছি বসতেও পারছে না। শুধু দূর থেকে হাত নেড়ে বিদ্যালয়ে আসার অভিব্যক্তি প্রকাশ করছে একে অপরের সঙ্গে।

রংপুর কারমাইকেল কলেজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আবু তালহা বলে, ‘এত ভালো লাগছে যে বলে বোঝাতে পারব না। আর যেন আমাদের স্কুল বন্ধ না হয়, স্যার-ম্যাডামদের একটু বলে দিও।’

আরও পড়ুন:
জুতা রেখে, প্যান্ট গুটিয়ে স্কুলে শিক্ষার্থীরা
মাউশির নজর অলিগলিতেও
অর্পিতা খুঁজছে ঝালমুড়ি মামাকে
ক্লাস শুরু হয়নি শিবচরের ৮ বিদ্যালয়ে
‘মনে হচ্ছে স্বর্গে এসেছি’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Saree lungi for eight rupees

আট টাকায় শাড়ি, লুঙ্গি

আট টাকায় শাড়ি, লুঙ্গি কুড়িগ্রামে ভ্রাম্যমাণ শাড়ি লুঙ্গির হাটের আয়োজন করেছে ‘ফাইট আনটিল লাইট (ফুল)’ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ছবি: নিউজবাংলা
ফাইট আনটিল লাইটের নির্বাহী পরিচালক আবদুল কাদের বলেন, ‘আমরা ত্রাণে নয়, বিনিময়ে উপহার দিয়ে মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন আনতে চাই। তাই অসহায় বাবা-মায়ের কাছে মাত্র ৮ টাকার বিনিময়ে শাড়ি লুঙ্গি বিক্রি করার ব্যবস্থা করছি।’

কুড়িগ্রামে শতাধিক দুস্থ অসহায় বাবা মায়ের জন্য ভ্রাম্যমাণ শাড়ি লুঙ্গির হাটের আয়োজন করেছে ফাইট আনটিল লাইট (ফুল) নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

ভ্রাম্যমাণ এ হাটে আট টাকা দরে একটি শাড়ি, একটি লুঙ্গি এবং দুই টাকায় একটি ব্লাউজের পিস বিক্রি করা হয়।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙা ইউনিয়নের কুমোরপুর দাখিল উলুম মাদ্রাসা মাঠে শুক্রবার দুপুরে এসব শাড়ি, লুঙ্গি বিক্রি করা হয়েছে।

আট টাকায় শাড়ি পেয়ে বৃদ্ধ আমেনা বেওয়া বলেন, ‘বর্তমানে বাজারে একটা শাড়ির দাম নিম্নে ৩০০ টাকা। সেই শাড়ি আট টাকায় পেয়ে খুব উপকার হলো।’

লুঙ্গি পেয়ে হামিদ মিয়া বলেন, ‘৬৫ বছর বয়সে কোন দিন দেহি নাই আট টাহায় এহান (একটা) লুঙ্গি পাওয়া যায়। আইজ সেই আট টাহায় লুঙ্গি কিনলাম। খুব খুশি নাগছে।’

ভোগডাঙা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান বলেন, “‘ফুল’ দীর্ঘদিন ধরে জেলায় স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও অসহায় বাবা মাকে নিয়ে কাজ করে আসছে। তাদের আজকের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।”

ফাইট আনটিল লাইটের নির্বাহী পরিচালক আবদুল কাদের বলেন, ‘কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সামাজিক সংগঠন ফুল শহর গ্রাম ও প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের মানুষ মাঝে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক উন্নয়নে এক যুগের বেশি সময় ধরে কাজ করে আসছে।

‘আমরা ত্রাণে নয়, বিনিময়ে উপহার দিয়ে মানুষের মানসিকতার পরিবর্তন আনতে চাই। তাই অসহায় বাবা-মায়ের কাছে মাত্র আট টাকার বিনিময়ে শাড়ি লুঙ্গি বিক্রি করার ব্যবস্থা করছি।’

আরও পড়ুন:
বাগেরহাটে হাত-পা ও মুখ বাঁধা এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার
সাংবাদিককে মারধর: আওয়ামী লীগ নেতাসহ তিনজনের নামে মামলা
ইউপি চেয়ারম্যান থেকে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হলেন আবু বক্কর
রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রে ডাকাতির চেষ্টা, ৫ নিরাপত্তাকর্মী আহত
মোংলায় ৬ হাজার বস্তা সরকারি চাল নিয়ে বাল্কহেড ডুবি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The maximum temperature of the season in Chuadanga is 42 7 degrees

চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২.৭ ডিগ্রি, মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ

চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২.৭ ডিগ্রি, মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ প্রচণ্ড গরম মাথায় নিয়ে কাজে নামতে হচ্ছে চুয়াডাঙ্গার লোকজনকে। ছবি: নিউজবাংলা
আবহাওয়া অধিদপ্তরের চুয়াডাঙ্গা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র দাবদাহ অব্যাহত রয়েছে। আগামী তিন দিন এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে।’

অতি তীব্র দাবদাহের মধ্যে মৌসুমে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়।

সীমান্তবর্তী জেলাটিতে শুক্রবার বেলা তিনটায় ৪২ দশমিক সাত ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

জেলায় অতি তীব্র দাবদাহে ওষ্ঠাগত জনজীবন। গরমে একটু স্বস্তি পেতে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছেন অনেকে। কেউ কেউ পান করছেন ফুটপাতের অস্বাস্থ্যকর পানীয়।

তীব্র গরমে চুয়াডাঙ্গার হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে গরমজনিত রোগী। এতে ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ।

পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে সেচ কার্যক্রম। তা ছাড়া অতি গরমে নষ্ট হচ্ছে ধান, আম, লিচু ও কলাসহ মাঠের অন্যান্য ফসল।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তালতলা গ্রামের কৃষক আবু তালেব বলেন, ‘এই তাপে মাঠে দাঁড়ানো যাচ্ছে না। ভ্যাপসা গরমে কৃষিকাজ করা যাচ্ছে না।

‘ধানের জমি শুকিয়ে যাচ্ছে। ধানে বেশি সেচ লাগছে, কিন্তু সেচ পাম্পে ঠিকমতো পানিও উঠছে না।’

আবহাওয়া অধিদপ্তরের চুয়াডাঙ্গা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র দাবদাহ অব্যাহত রয়েছে। আগামী তিন দিন এমন পরিস্থিতি থাকতে পারে।’

দেশের কোনো অঞ্চলের তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে সেখানে মৃদু তাপপ্রবাহ বা দাবদাহ বইছে ধরা হয়।

তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রির মধ্যে থাকলে মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তীব্র দাবদাহ ধরা হয়। অন্যদিকে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হলে বলা হয় অতি তীব্র দাবদাহ।

আবহাওয়া অধিদপ্তর শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানায়, চুয়াডাঙ্গা ও যশোর জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।

আরও পড়ুন:
ছয় জেলায় তীব্র দাবদাহ, দুই বিভাগে বৃষ্টির আভাস
দাবদাহে পুড়ছে জীবন, পুড়বে আরও
নতুন করে ৭২ ঘণ্টার ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি
দাবদাহ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ
গাছহীন সড়কটি যেন ‘উত্তপ্ত কড়াই’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bloody corpse of a female garment worker in a deserted bamboo plantation

নির্জন বাঁশবাগানে নারী পোশাকশ্রমিকের রক্তাক্ত মরদেহ

নির্জন বাঁশবাগানে নারী পোশাকশ্রমিকের রক্তাক্ত মরদেহ প্রতীকী ছবি
প্রাণ হারানো আনজু খাতুন আশুলিয়ার নরসিংহপুরের হা-মীম গ্রুপের একটি তৈরি পোশাক কারখানার অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন। তার বাড়ি গাইবান্ধা সদর থানার ঘাগুয়া ইউনিয়নে।

রাজধানীর উপকণ্ঠ সাভারের আশুলিয়ায় একটি নির্জন বাঁশবাগানের ভেতর থেকে এক নারী পোশাকশ্রমিকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আশুলিয়ার কাঠগড়া নয়াপাড়া এলাকার বাঁশবাগান থেকে শুক্রবার সকালে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

প্রাণ হারানো আনজু খাতুন আশুলিয়ার নরসিংহপুরের হা-মীম গ্রুপের একটি তৈরি পোশাক কারখানার অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন। তার বাড়ি গাইবান্ধা সদর থানার ঘাগুয়া ইউনিয়নে।

পুলিশের ভাষ্য, বাঁশবাগানের ভেতর নারী পোশাকশ্রমিকের মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয়রা। এর পরিপ্রেক্ষিতে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ আরও জানায়, ওই নারীর গলায় ঝোলানো পরিচয়পত্রে দেখা যায়, তিনি হা-মীম গ্রুপের একটি পোশাক কারখানার অপারেটর।

হা-মীম গ্রুপের টিআইএসডব্লিএল-১ কারখানার মহাব্যবস্থাপক (জিএম) ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘আনজু খাতুন নামে এক নারী শ্রমিক গতকাল রাত ৯টা ১৫ মিনিটের পরে কারখানা থেকে বাসায় যায়, কিন্তু আজ সকালে তিনি আর কারখানায় আসেননি।

‘পরে লাইনের সুপারভাইজার আনজুকে কল দিলেও সে রিসিভ করেনি।’

আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ভজন চন্দ্র বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে কেউ তাকে (পোশাকশ্রমিক) হত্যা করে ফেলে রেখে যেতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডের কারণ উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।’

আরও পড়ুন:
গোলাপশাহ মাজারের সামনে থেকে মরদেহ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জে শ্রমিক-পুলিশ সংঘর্ষ গাড়ি ভাংচুর, আহত ৩০
মুহুরী নদীতে মিলল নিখোঁজ নৌ সৈনিকের মরদেহ
ছেলের বিরুদ্ধে মাকে খুন করার অভিযোগ
রূপপুরে পড়ে গিয়ে আহত শ্রমিকের মৃত্যু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bangladeshi shepherd killed in BSF firing at Lalmonirhat border

লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি রাখাল নিহত

লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি রাখাল নিহত বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া। ফাইল ছবি
পাটগ্রাম থানার ওসি আবু সাইদ বলেন, ‘বিএসএফের গুলিতে আহত যুবক আবুল কালাম ডাকুকে পরিবারের সদস্যরা পাটগ্রাম হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যান। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় একটি ইউডি (অপমৃত্যুর) মামলা করা হবে।’

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তের ওপারে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে আবুল কালাম ডাকু (২২) নামের বাংলাদেশি রাখাল নিহত হয়েছেন।

উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ঝালাংগী বিজিবি ক্যাম্পের ৮৪৮ নম্বর মেইন পিলারের ৯ নম্বর সাব পিলার এলাকায় শুক্রবার ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও যুবকের পরিবারের কাছ থেকে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে কয়েকজন রাখালসহ শ্রীরামপুর ইউনিয়ন সীমান্তের ৮৪৮ নম্বর মেইন পিলারের ৯ নম্বর সাব পিলারের ওপারে ভারতীয় গরু ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় গরু আনতে যান আবুল কালাম ডাকু। গরু নিয়ে ফেরার পথে শুক্রবার ভোররাতে বিএসএফের ডোরাডাবরী ক্যাম্পের টহল দলের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। ওই সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ডাকু গুরুতর আহত হলে সঙ্গীরা তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে বাংলাদেশ সীমান্তে। পরে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।

এ বিষয়ে পাটগ্রাম ৬১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ঝালাংগী ক্যাম্পের ইনচার্জ নায়েক সুবেদার নুরুল আমিন বলেন, ‘বিএসএফের গুলিতে আবুল কালাম ডাকু নামে একজন যুবক নিহত হয়েছেন। পাটগ্রাম থানা পুলিশ পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিহতের মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদপত্র পাঠিয়ে বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে।’

নিহত যুবকের মা মমতা বেগম বলেন, ‘আমার ছেলের বিয়ে ঠিক হয়েছে। কী অপরাধের জন্য বিএসএফ তাকে গুলি করে হত্যা করল জানি না। আমি এই হত্যার বিচার চাই।’

পাটগ্রাম থানার ওসি আবু সাইদ বলেন, ‘বিএসএফের গুলিতে আহত যুবক আবুল কালাম ডাকুকে পরিবারের সদস্যরা পাটগ্রাম হাসপাতালে নেওয়ার পথে সে মারা যান। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় একটি ইউডি (অপমৃত্যুর) মামলা করা হবে।’

আরও পড়ুন:
লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে সাবেক ইউপি সদস্য আহত
সাইফুলের মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ
বেনাপোল সীমান্তে বিএসএফের রাবার বুলেটে দুই বাংলাদেশি আহত
লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত, দুজন আহত
সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Two vegetable traders were killed by a covered van

কাভার্ড ভ্যানের চাপায় দুই সবজি ব্যবসায়ী নিহত

কাভার্ড ভ্যানের চাপায় দুই সবজি ব্যবসায়ী নিহত প্রতীকী ছবি
গোলড়া হাইওয়ে থানার ওসি সুখেন্দু বসু জানান, সকালে মানিকগঞ্জ সদর থেকে চাষীদের কাছ থেকে সবজি কিনে তিন চাকার ভ্যানের মাধ্যমে কাটিগ্রাম যাচ্ছিলেন ব্যবসায়ী আবদুস সালাম ও ছানোয়ার হোসেন। ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গোলড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে পাটুরিয়াগামী একটি কাভার্ড ভ্যান ওভারটেক করতে গিয়ে ওই তিন চাকার ভ্যানকে ধাক্কা দেয়।

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় তিন চাকার ভ্যানের সঙ্গে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় দুই সবজি ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।

উপজেলার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গোলড়া বাসস্ট্যান্ডে শুক্রবার সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

প্রাণ হারানো আবদুস সালাম (৫০) ও ছানোয়ার হোসেন (৪৫) মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার কাটিগ্রাম এলাকার বাসিন্দা। তারা স্থানীয় কাটিগ্রাম বাজারে সবজির ব্যবসা করতেন।

গোলড়া হাইওয়ে থানার ওসি সুখেন্দু বসু বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সকালে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার জাগীর বন্দর আড়ত থেকে চাষীদের কাছ থেকে সবজি কিনে তিন চাকার ভ্যানের মাধ্যমে কাটিগ্রাম যাচ্ছিলেন ব্যবসায়ী আবদুস সালাম ও ছানোয়ার হোসেন, কিন্তু ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের গোলড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে পাটুরিয়াগামী একটি কাভার্ড ভ্যান ওভারটেক করতে গিয়ে ওই তিন চাকার ভ্যানকে ধাক্কা দেয়।

এতে ঘটনাস্থলেই আবদুস সালাম নিহত হন এবং গুরুত্ব অবস্থায় ছানোয়ার হোসেনকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি জানান, নিহতদের একজনের মরদেহ সদর হাসপাতালে এবং অপরজনের মরদেহ গোলড়া থানায় রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনার পর কাভার্ড ভ্যানের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেলেও কাভার্ড ভ্যানটি জব্দ করা হয়।

এ ঘটনায় গোলড়া থানায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

আরও পড়ুন:
ময়লার গাড়ির ধাক্কায় মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের ছাত্র নিহত
সিলেটে ট্রাকের ধাক্কায় অটোরিকশার দুই যাত্রী নিহত
নাটোরে ট্রাকচাপায় ভ্যানচালক নিহত
সাজেকে ডাম্প ট্রাক খাদে, নিহত বেড়ে ৯
সাজেকে ডাম্প ট্রাক খাদে পড়ে ৬ শ্রমিক নিহত, আহত ৮

মন্তব্য

বাংলাদেশ
137th Port Day celebration in a festive atmosphere

উৎসবমুখর পরিবেশে ১৩৭তম বন্দর দিবস উদযাপন

উৎসবমুখর পরিবেশে ১৩৭তম বন্দর দিবস উদযাপন চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনারের সারি। ফাইল ছবি
পতাকা উত্তোলনকালে চট্টগ্রাম বন্দরে অবস্থানরত সব জলযান ও জাহাজ থেকে একনাগাড়ে এক মিনিট হুইসেল বাজানো হয়। এরপর বন্দর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহায়েল উপস্থিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে বন্দর দিবসের কেক কাটেন ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

উৎসবমুখর পরিবেশে বৃহস্পতিবার উদযাপন করা হয়েছে ১৩৭তম বন্দর দিবস।

এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের শুরুতে বন্দর ভবন চত্বরে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য ও বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পতাকা উত্তোলন করেন বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল।

ওই সময় বোর্ড সদস্য (প্রকৌশল) কমোডর মোহাম্মদ মাহবুবুবর রহমানসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পতাকা উত্তোলনকালে চট্টগ্রাম বন্দরে অবস্থানরত সব জলযান ও জাহাজ থেকে একনাগাড়ে এক মিনিট হুইসেল বাজানো হয়। এরপর বন্দর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহায়েল উপস্থিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে বন্দর দিবসের কেক কাটেন ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

ওই সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম বন্দর কর্মচারী পরিষদ, বন্দরের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার ও অন্যান্য সংগঠনের নেতারা।

কর্ণফুলীর মোহনায় ১৩৬ বছর আগে ২৫ এপ্রিল প্রতিষ্ঠা হয়েছিল দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর। ইংরেজ শাসনামলের প্রথম দিকে ইংরেজ ও দেশীয় ব্যবসায়ীরা বার্ষিক এক টাকা সালামির বিনিময়ে নিজ ব্যয়ে কর্ণফুলী নদীতে জেটি নির্মাণ করেন। পরে ১৮৬০ সালে প্রথম দুটি অস্থায়ী জেটি নির্মাণ করা হয়। ১৮৭৭ সালে চট্টগ্রাম পোর্ট কমিশনার গঠিত হয়।

১৮৮৮ সালে চট্টগ্রাম বন্দরে দুটি মুরিং নির্মাণ হয়। একই বছরের ২৫ এপ্রিল চট্টগ্রাম পোর্ট কমিশনার কার্যকর হয়। এরপর ১৮৯৯ থেকে ১৯১০ সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম পোর্ট কমিশনার এবং আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে যুক্তভাবে চারটি স্থায়ী জেটি নির্মাণ করে। ১৯১০ সালে চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে রেলওয়ের সংযোগ সাধন হয়।

১৯২৬ সালে চট্টগ্রাম বন্দরকে মেজর পোর্ট ঘোষণা করা হয়। সেই থেকেই চট্টগ্রাম বন্দর দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রেখে আসছে।

আরও পড়ুন:
বাংলাবান্ধায় আবারও তিন দিন বন্ধ পণ্য ও যাত্রী পারাপার
চট্টগ্রামে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ২৪ ঘণ্টার কর্মবিরতির ডাক
বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রায় বন্ধ পচনশীল পণ্য আমদানি
পটিয়ায় দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজন নিহত, আহত চার
বাংলাবান্ধা দিয়ে পণ্য ও যাত্রী পারাপার তিন দিন বন্ধ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
A farmer died after being crushed by an elephant in Sherpur

শেরপুরে হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে কৃষকের মৃত্যু

শেরপুরে হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে কৃষকের মৃত্যু প্রতীকী ছবি
নালিতাবাড়ী থানার ওসি মনিরুল আলম ভুইয়া জানান, প্রায় তিন-চার দিন ধরে বাতকুচি গ্রামের পাহাড়ি ঢালে বোরো ধান ক্ষেতে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫টি বন্য হাতি নেমে আসে। বৃহস্পতিবার রাতে হাতির পালটি বাতকুচি গ্রামের ধান ক্ষেতে যায়। এ সময় উমর আলি ও গ্রামবাসীরা তাদের ফসল বাঁচানোর জন্য মশাল জ্বালিয়ে ডাক ও চিৎকার শুরু করেন।

শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বন্য হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।

উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বাতকুচি গ্রামে বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

প্রাণ হারানো ৬০ বছর বয়সী হাজী উমর আলী একই গ্রামের বাসিন্দা।

নালিতাবাড়ী থানার ওসি মনিরুল আলম ভুইয়া জানান, প্রায় তিন-চার দিন ধরে নালিতাবাড়ী উপজেলার পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বাতকুচি গ্রামের পাহাড়ি ঢালে বোরো ধান ক্ষেতে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫টি বন্য হাতি নেমে আসে। বৃহস্পতিবার রাতে হাতির পালটি বাতকুচি গ্রামের ধান ক্ষেতে যায়। এ সময় উমর আলি ও গ্রামবাসীরা তাদের ফসল বাঁচানোর জন্য মশাল জ্বালিয়ে ডাক ও চিৎকার শুরু করেন।

একপর্যায়ে বন্যহাতির পালটি একটু পিছিয়ে যায়। পরে বাড়িতে যাওয়া সময় পাহাড়ে লুকিয়ে থাকা হাতির পালটি উমর আলিকে ঘিরে ফেলে ও পা দিয়ে পিষ্ট করে।

বন বিভাগের ময়মনসিংহ মধুটিলা ফরেস্টের রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে নিহত উমর আলির পরিবারকে বন বিভাগের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে তিন লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’

থানার ওসি মনিরুল আলম ভুইয়া বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। একই সঙ্গে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

আরও পড়ুন:
হাতিয়া সৈকতে ‘ইয়েলো বেলিড সি স্নেক’
মানিকগঞ্জে দুই ভাইয়ের হাতাহাতিতে বড় ভাই নিহত
বন্যহাতির তাড়া খেয়ে যুবকের মৃত্যু
চকরিয়ায় দলছুট বন্যহাতির আক্রমণে কৃষকের মৃত্যু
ময়মনসিংহে ভারতীয় হাতির আক্রমণে একজন নিহত

মন্তব্য

p
উপরে