রাজধানীর পুরোনো ও নামকরা সিনেমা হলগুলোর মধ্যে অন্যতম নিউমার্কেট এলাকার বলাকা ও মতিঝিল এলাকার মধুমিতা সিনেমা হল।
বলাকা সিনেমা হল প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৪ সালে। একই চত্বরে বলাকা ও বিনাকা নামের দুটি সিনেমা হল ছিল পাশাপাশি। প্রত্যেকটির দর্শক ধারণক্ষমতা ১ হাজার ২৬৫। শুরুর পর থেকে বিভিন্ন ভাষার সিনেমা প্রদর্শিত হলেও ধীরে ধীরে বাংলা ছাড়া অন্য কোনো সিনেমা দেখাত না বলাকা হল কর্তৃপক্ষ।
একই অবস্থা মধুমিতারও। রাজধানীর দর্শকরা জেমস ক্যামেরনের টাইটানিক সিনেমাটি দেখেছিল এই হলে। মধুমিতা সিনেমা হল প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৭ সালে। প্রেক্ষাগৃহের দর্শক ধারণক্ষমতা ১ হাজার ২২১।
দুটি সিনেমা হলই এখন বন্ধ। কবে খুলবে, তার নিশ্চয়তা নেই।
প্রযোজক নেতা ও সনি স্কয়ারের (সনি সিনেমা) মালিক মোহাম্মদ হোসেন বলাকা সিনেমা হল নিয়ে নিউজবাংলাকে বলেছিলেন, ‘বলাকাকে আধুনিক করা হবে। তাই এটা চালু হতে সময় লাগবে।’
অন্যদিকে মধুমিতা সিনেমা হলের মালিক ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ এর আগে নিউজবাংলাকে জানিয়েছিলেন, সেপ্টেম্বরে থেকে চালু হবে মধুমিতা। কিন্তু সেপ্টেম্বরে কোনো সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে না, তাই হলটি চালুও হচ্ছে না।
অনেক দিন থেকেই প্রেক্ষাগৃহটি আধুনিকায়ন করতে চাইছেন নওশাদ, কিন্তু সিনেমা দেখিয়ে যে টাকা আসে, তা দিয়ে সিনেমা হল আধুনিক করার কাজকে ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করেন তিনি। তাই তেমন কিছু না করে যেমন ছিল, অনেকটা তেমনই রয়েছে মধুমিতা। হলটি খোলা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।
মধুমিতার পাশেই টিকাটুলি এলাকার সিনেমা হল অভিসার। রাজধানীর পুরোনো সিনেমা হলগুলোর মধ্যে এটিও অন্যতম। ১৯৭৫ সালে নির্মিত হয় হলটি।
এই হল দুই ভাগে বিভক্ত ছিল। একটি অংশ অভিসার সিনেমা হল নামে পরিচিত এবং অপর অংশটি পরিচিত নেপচুন সিনেমা হল নামে। কিন্তু নেপচুনে সিনেমা প্রদর্শন আগেই বন্ধ হয়ে গেছে। দুটি হল মিলে আসনসংখ্যা ছিল ১ হাজার ১৩৭।
অভিসারও বন্ধ। কবে খুলবে জানা নেই কারও। প্রেক্ষাগৃহের সামনে থাকা নিরাপত্তা প্রহরীকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, মালিক দেশের বাইরে, কবে আসবে তিনি জানেন না।
সহজে খুলছে না হল
প্রদর্শক সমিতির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মিঞা আলাউদ্দিন নিউজবাংলাকে জানান, এসব হল খুলতে সময় লাগবে। সহজে খুলছে না। কারণ হল তিনটির মালিকদের সিদ্ধান্ত নেয়া নিয়ে ঝামেলা আছে। তারা কি হল রাখবেন না ভেঙে ফেলবেন, সেটা তারা নিশ্চিত হতে পারছেন না।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘সারা দেশে চালু সিনেমা হলের সংখ্যা এখন ৬০টি।’
রাজধানীতে বন্ধ সিনেমা হলের পরিসংখ্যান দিয়ে তিনি বলেন, ‘পদ্মা, সুরমা, মল্লিকা, গ্যারিসন, সাগরিকা আগেই বন্ধ হয়েছে। পূর্ণিমা, পূরবী, এশিয়া, পর্বত, রাজমণি, আগমন বন্ধ হয়ে গেছে। আরও থাকতে পারে, এ মুহূর্তে মনে পড়ছে না।
‘আজাদ, চিত্রামহল, বিডিআর, আনন্দ, জোনাকি (পুরোপুরি নিশ্চিত না), মুক্তি, সৈনিক ক্লাব, পুনম (রায়েরবাগ) চালু রয়েছে।’
সিনেমা হল বা সিঙ্গেল স্ক্রিন বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে তিনি জানান, আগে মানহীন সিনেমা এবং পরবর্তীতে সিনেমার অভাবের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
বাড়ছে মাল্টিস্ক্রিন
সিঙ্গেল স্ক্রিনের যখন এই অবস্থা তখন রাজধানীর মিরপুরে, যেখানে সনি সিনেমা হল ছিল, ঠিক সেখানেই সম্প্রতি চালু হয়েছে স্টার সিনেপ্লেক্সের নতুন শাখা।
স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান নিউজবাংলাকে জানান, রাজধানীর বাইরে কুমিল্লা, রাজশাহী এবং বগুড়ায় সিনেপ্লেক্সের শাখা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
যখন সারা দেশে সিঙ্গেল স্ক্রিন বন্ধ হচ্ছে, তখন মাল্টিপ্লেক্স বাড়ছে কেন?
এ ব্যাপারে স্টার সিনেপ্লেক্সের চেয়ারম্যান মাহবুব রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রথমত আমাদের পরিকল্পনাতেই ছিল যে আমরা সারা দেশে সিনেপ্লেক্স করব। মিরপুরে যে সিনেপ্লেক্সটি করা হয়েছে, তার পরিকল্পনা অনেক দিন আগের।
‘দ্বিতীয়ত, আমাদের কিছু হলেও কনটেন্ট আছে। আমরা বাংলা সিনেমার পাশাপাশি হলিউডের সিনেমা দেখাতে পারি। আমাদের সে ক্যাপাসিটি আছে। কিন্তু সিঙ্গল স্ক্রিনগুলোর সে ক্যাপাসিটি নাই। তারা সময়ের সঙ্গে নিজেদের আপগ্রেড করেনি।’
স্টার সিনেপ্লেক্সে হলিউডের সিনেমা দেখাতে চাইলে বা দেশের বাইরের সিনেমা প্রদর্শন করতে চাইলে নিতে হয় সেন্সর ছাড়পত্র।
সেন্সর বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী ২০১৫ সাল থেকে ২০২০ পর্যন্ত দেশে বিদেশি ছবি মুক্তি পেয়েছে ২৬৪টি। একই সময়ে দেশি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে যথাক্রমে ২৮৮টি।
বিদেশি বা হলিউডের সিনেমা মুক্তির সংখ্যা একই থাকলেও বছরের পর বছর দেশি সিনেমার সংখ্যা কমেছে। ২০২০ সালে দেশে করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলে বছরের অনেকটা সময় ছিল সাধারণ ছুটির আওতায়। এ ছুটির মধ্যেও বিদেশি সিনেমা মুক্তি পাওয়া বন্ধ ছিল না।
মাহবুব রহমান আরও বলেন, ‘করোনার মধ্যে আমরা সবাই দিশেহারা। সিনেপ্লেক্সের যে কোনো ক্ষতি হয়নি তা কিন্তু না। বসুন্ধরা সিটির সবচেয়ে বড় হল যেটি (হল ৪), সেটি বন্ধ করে দিতে হয়েছে। কারণ সামর্থ্যে কুলাতে পারছিলাম না। সেটা আর চালু হচ্ছে না। আমরা হলিউড সিনেমা দেখাতে পারলেও আমাদের আরও কনটেন্ট প্রয়োজন।’
দেশের প্রযোজকরা তাদের ভালো ভালো সিনেমাগুলো মুক্তি দিচ্ছেন না। এমন অবস্থায় সিনেমা হলমালিকরা চান বলিউডের সিনেমা আনতে।
ভারতীয় সিনেমা আনতে চিঠি
প্রদর্শক সমিতির সভাপতি কাজী শোয়েব রশিদ, প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাশ এবং সিনিয়র সহসভাপতি মিয়া আলাউদ্দিন স্বাক্ষরিত একটি চিঠি বেশ কিছু দিন আগে দেয়া হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে। চিঠিটি ১৬ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গ্রহণ করেছে।
সেই চিঠিতে প্রদর্শক সমিতি চলচ্চিত্র প্রদর্শনী ব্যবসা টিকিয়ে রাখার স্বার্থে ভারতীয় ছায়াছবি আমদানির ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছে। সীমিত সংখ্যায়, নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ভারতীয় সিনেমা আমদানি ও প্রদর্শনের সুযোগ দিতে বলেছেন তারা।
দীর্ঘ চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করে সবশেষ বলা হয়েছে, সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় তিন বছরের জন্য প্রতিবছর ১০টি করে ভারতীয় ছবি আমদানি করতে দেয়া হোক।
স্টার সিনেপ্লেক্সের জ্যেষ্ঠ বিপণন কর্মকর্তা মেজবাউর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের অভিজ্ঞতা বলে হলিউডি সিনেমা এবং নামকরা পরিচালক বা অভিনশিল্পীদের বাংলা সিনেমা একসঙ্গে চললে দর্শকরা বাংলা সিনেমাই বেশি দেখেন। কিছু হলিউডি সিনেমাও বেশি দর্শক দেখার রেকর্ড আছে। তবে বাংলা সিনেমার দর্শক বেশি।’
মাহবুব রহমানও জানান, সিনেমা হল টিকিয়ে রাখতে এখন উপমহাদেশের সিনেমা সহজে আমদানি করার সুযোগ করে দিতে হবে। তা না হলে সিনেমা হল বিশেষ করে সিঙ্গল স্ক্রিন টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন:মুক্তির আগ থেকেই তুমুল আলোচনায় ছিল ভারতের দক্ষিণের কন্নড় সিনেমা কেজিএফ চ্যাপ্টার টু।
যেমনটি আলোচনায় ছিল, বাস্তবেও ঠিক তেমনই ঘটছে। গত ১৪ এপ্রিল মুক্তির পর থেকেই বক্স অফিসে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে কেজিএফ টু।
ইতোমধ্যে হিন্দি ভার্সনে রেকর্ড গড়েছে সিনেমাটি। ৭ দিনে ২৫৫ কোটি রুপি আয় করেছে। যা বাহুবলি টুর রেকর্ডও ভেঙেছে।
হিন্দি ছাড়াও সিনেমাটি কন্নড়, তেলেগু, তামিল ও মালায়ালাম ভাষায় মুক্তি পেয়েছে। সব মিলিয়ে প্রথম সপ্তাহের শেষে সিনেমাটি বিশ্বব্যাপী ৭০০ কোটি রুপির বেশি ব্যবসা করেছে।
ভারতীয় চলচ্চিত্র বাণিজ্য বিশ্লেষক মনোবালা বিজয়বালান বৃহস্পতিবার দুপুরে এক টুইটে এ তথ্য জানিয়েছেন।
#KGFChapter2 ZOOMS past ₹700 cr milestone mark.
— Manobala Vijayabalan (@ManobalaV) April 21, 2022
২০১৮ সালের শেষের দিকে মুক্তি পায় প্রশান্ত নীল পরিচালিত এই ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রথম সিনেমা কেজিএফ চ্যাপ্টার ওয়ান।
মুক্তির পর শুধু ভারতে নয়, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় সিনেমাপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল এটি। বক্স অফিসে গড়েছিল ইতিহাস।
গ্যাংস্টারদের নিয়ে গল্পের এই সিনেমায় দুর্দান্ত মারকুটে অভিনয় দিয়ে পুরো ভারত মাতিয়েছিলেন কন্নড় সুপারস্টার যশ। শুধু তা-ই নয়, এই সিনেমা দিয়ে দেশের বাইরেও লাখো ভক্ত-অনুরাগী জুটিয়েছেন এই অভিনেতা।
যশ বাদেও কেজিএফ চ্যাপ্টার টু-তে আরেক মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্তকে। এ ছাড়া এতে গুরুত্বপূর্ণ সব চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাবিনা ট্যান্ডন, প্রকাশ রাজ, শ্রীনিধি শেট্টির মতো তারকারা।
আরও পড়ুন:করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে স্থগিত থাকা ২৭তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হচ্ছে আগামী ২৫ এপ্রিল নজরুল মঞ্চে। উৎসব চলবে ১ মে পর্যন্ত।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বলিউড অভিনেতা ও আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে বিজয়ী তৃণমূল এমপি শত্রুঘ্ন সিনহা।
আরও উপস্থিত থাকবেন অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়সহ অনেকে।
উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান পরিচালক রাজ চক্রবর্তী বলেন, ‘করোনার বিধিনিষেধ শিথিল হলেও আমাদের সাবধানে থাকতে হবে। সাবধানতার কথা বিবেচনা করেই এবার বাইরের কাউকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।’
কিংবদন্তি পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষের শ্রদ্ধায় উৎসবের উদ্বোধনী ফিল্ম হিসেবে একই সঙ্গে নজরুল মঞ্চ ও রবীন্দ্র সদনে দেখানো হবে সত্যজিৎ রায় পরিচালিত অরণ্যের দিনরাত্রি।
পরিচালক অরিন্দম শীল সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে সত্যজিতের সঙ্গে কাজ করা জীবিত শিল্পী ও কলাকুশলীদের এবার সংবর্ধনা দেয়া হবে।
এবার সত্যজিৎ রায় স্মারক বক্তব্য দেবেন পরিচালক সুজিত সরকার। সত্যজিতের জীবন ও কাজের ওপর প্রদর্শনীও থাকছে উৎসবে।
চলচ্চিত্র উৎসবের থিম ‘কান্ট্রি ফিনল্যান্ড’। কলকাতা শহরের ১০ হলে ৪০ দেশের ১৬৩টি সিনেমা দেখানো হবে এবারের উৎসবে।
২৭তম কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে আটটি বিলুপ্তপ্রায় ভাষার সিনেমা দেখানো হবে। ভাষাগুলো হলো বোরো, টুলু, রাজবংশী, সান্তাড়, ও কোঙ্কনী ও কুড়ুম্বা।
চিদানন্দ দাশগুপ্ত, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, দিলীপ কুমার, স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত ও নিকোলাস জাঙ্কসোকে নিয়ে প্রদর্শনীর ব্যবস্থা থাকছে।
শিশির মঞ্চে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবের প্রস্তুতি নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব শান্তনু বসু, মন্ত্রী বিরবাহা হাঁসদা, উৎসব কমিটির চেয়ারম্যান রাজ চক্রবর্তী, পরিচালক গৌতম ঘোষ, পরিচালক অরিন্দম শীল, হরনাথ চক্রবর্তী, অভিনেত্রী জুন মালিয়া।
চলতি বছরের শুরুর দিকে বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জানান যে, তার এবং নিক জোনাসের জীবনে সন্তান এসেছে। সারোগেসির মাধ্যমে তারা মা-বাবা হয়েছেন। তবে ছেলে না মেয়ে সন্তান তা জানাননি তিনি।
সেসময় বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যম জানায়, কন্যা সন্তানের মা-বাবা হয়েছেন তারকা দম্পতি।
কিন্তু কখনো সন্তানের নাম কিংবা ছবি, কোনোটাই প্রকাশ্যে আনেননি অভিনেত্রী।
তবে দেশটির একাধিক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, প্রিয়াঙ্কা-নিক তাদের মেয়ের নাম কী রেখেছেন তা এবার প্রকাশ্যে। তারকা দম্পতি কন্যার নাম রেখেছেন মালতী মারি চোপড়া জোনাস।
জন্ম সনদও নাকি হাতে পেয়েছে হলিউড কেন্দ্রিক একটি সংবাদ সংস্থা। সেই সূত্রেই জানা গেছে এই নাম।
সংস্কৃত এবং ল্যাটিন দুই শব্দ মিশিয়ে মেয়ের নাম রেখেছেন প্রিয়াঙ্কা-নিক। সংস্কৃতে ‘মালতী’ শব্দের অর্থ হল একরকম সুগন্ধযুক্ত ছোট সাদা ফুল অথবা চাঁদের আলো।
অন্যদিকে ‘মারি’ শব্দের অর্থ সমুদ্রকে রক্ষা করে যে নারী। মূলত মাতা মেরিকে অনেক সময় এই আখ্যা দেয়া হয়। যিশুর মাতা মেরিকে ফ্রাঞ্চে ‘মারি’ বলা হয়।
যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও মেয়ের নাম বা ছবি কোনোটাই প্রকাশ্যে আনেননি তারকা জুটি।
যুক্তরাষ্ট্রের সান দিয়াগো শহরের এক হাসপাতালে গত ১৫ জানুয়ারি জন্ম হয়েছে নিক-প্রিয়াঙ্কার মেয়ের।
এরপর ২২ জানুয়ারি ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে সারোগেসির মাধ্যমে সন্তান হওয়ার কথা প্রকাশ্যে আনেন প্রিয়াঙ্কা।
প্রিয়াঙ্কার হাতে রয়েছে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রোজেক্ট। এর মধ্যে টেক্স অফ ইউ রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়। পাশাপাশি আমাজনের টিভি সিরিজ সিটাডেল-এর শুটিংও শেষ করেছেন অভিনেত্রী।
সম্প্রতি এক পান মসলার কোম্পানির বিজ্ঞাপন করেন বলিউডের অভিনেতা অক্ষয় কুমার। শাহরুখ খান, অজয় দেবগনের মতো বলিউড তারকারা আগে থেকেই সেই সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর।
তবে অক্ষয় এই বিজ্ঞাপনে অংশ হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা প্রতিক্রিয়া জানান তার ভক্ত-অনুরাগীরা। তাই তাদের ভাবনাকে সম্মান জানিয়ে ক্ষমা চেয়ে সেই সংস্থা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন অভিনেতা।
নিজের স্বাস্থ্য এবং শরীরচর্চা নিয়ে অত্যন্ত সজাগ অক্ষয়। যা তার চারপাশের লোকজন এবং অনুরাগীদেরও অনুপ্রেরণা জোগায়। তাই তিনি এই ধরনের বিজ্ঞাপনে অংশ নেয়ায় রুষ্ট হন অনেকেই।
এ জন্য বুধবার গভীর রাতে এক টুইট বার্তায় বিজ্ঞাপন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা করেন অক্ষয়।
সেই পোস্টে ক্ষমা প্রার্থনা করে অভিনেতা লেখেন, ‘আমি ক্ষমাপ্রার্থী। আমার অনুরাগী, শুভাকাঙ্ক্ষীসহ সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। গত কয়েক দিন ধরে আপনাদের কাছে থেকে যে প্রতিক্রিয়া পেয়েছি তা আমাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। আমি তামাকজাত পণ্যের বিজ্ঞাপন কখনই করিনি এবং কোনো দিন করব না। বিমন ইলাইচির সঙ্গে আমার চুক্তি নিয়ে আপনাদের আবেগ বুঝতে পারছি। সেই আবেগকে সম্মান জানিয়েই বিনয়ের সঙ্গে সরে দাঁড়াচ্ছি।’
ওই বিজ্ঞাপন থেকে পাওয়া টাকা সমাজসেবার কাজে দান করে দেবেন বলেও জানিয়েছেন অক্ষয়।
তিনি লেখেন, ‘বিজ্ঞাপনের পারিশ্রমিক বাবদ পাওয়া টাকা দান করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ওই সংস্থা হয়তো বিজ্ঞাপনটির সম্প্রচার চালিয়ে যাবে, অন্তত আইনিভাবে চুক্তির মেয়াদ শেষ না পর্যন্ত। তার দায় আমারই। তবে কথা দিচ্ছি, আগামী দিনে কাজের ব্যাপারে অত্যন্ত সতর্ক থাকব। বিনিময়ে আপনাদের ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছা প্রার্থনা করি।’
তবে সংস্থাটির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ কবে শেষ, তার উল্লেখ করেননি অক্ষয়।
আরও পড়ুন:২০১৮ সালের শেষের দিকে মুক্তি পায় ভারতের দক্ষিণের কন্নড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বিগ বাজেটের সিনেমা কেজিএফ চ্যাপ্টার ওয়ান।
মুক্তির পর শুধু ভারতে নয়, বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা ভারতীয় সিনেমাপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল এটি। বক্স অফিসে গড়েছিল ইতিহাস।
গ্যাংস্টারদের নিয়ে গল্পের এই সিনেমায় দুর্দান্ত মারকুটে অভিনয় দিয়ে পুরো ভারত মাতিয়েছিলেন কন্নড় রকিং স্টার যশ। শুধু তা-ই নয়, এই সিনেমা দিয়ে দেশের বাইরেও লাখো ভক্ত-অনুরাগী জুটিয়েছেন এই অভিনেতা।
এরপর আবার ১৪ এপ্রিল কেজিএফ চ্যাপ্টার টু মুক্তির পর ঝড় তুলেছে বক্স অফিসে। জনপ্রিয়তা আর খ্যাতির শীর্ষে এখন যশ। তার সঙ্গে যখন অভিনয় করতে মুখিয়ে আছেন একাধিক অভিনেত্রী, কিন্তু তিনি কার সঙ্গে অভিনয় করার অপেক্ষায় রয়েছেন।
সেই অভিনেত্রী আর কেউ নন তিনি বলিউডের মাস্তানি দীপিকা পাডুকোন। ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন যশ।
সেই সাক্ষাৎকারে যশ জানান, যদি সুযোগ দেয়া হয় তাহলে দীপিকা পাডুকোনের সঙ্গে কাজ করতে চান তিনি। আর তার বিপরীতে অভিনয় করেই বলিউডে পা রাখতে চান তিনি।
শুধু দর্শকদের নয় অনেক তারকারও পছন্দের অভিনেত্রী দীপিকা। তার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ারের ইচ্ছা প্রকাশ করেন অনেকেই। এবার সেই তালিকায় যোগ হল কেজিএফ তারকা যশ।
আরও পড়ুন:বিগত কয়েক বছরে বলিউডের চেয়ে বেশি সাড়া ফেলছে ভারতের দক্ষিণী সিনেমা। তার উদাহরণ বাহুবলী, পুষ্পা, আরআরআর, কেজিএফসহ অনেক সিনেমা। বর্তমানে বক্স অফিসে চলছে দক্ষিণী কন্নড় সিনেমা কেজিএফ টু-এর ঝড়।
কন্নড়, তেলেগু, তামিল, মালয়ালাম ও হিন্দি ভাষায় মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। এতে প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেছেন কন্নড় রকিং স্টার যশ। আর অন্যতম আরেক প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন সঞ্জয় দত্ত।
বলিউড ও দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে পার্থাক্য কোথায়? সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তা নিজের অভিমত জানিয়েছেন সঞ্জয় দত্ত।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সেই সাক্ষাৎকারে সঞ্জয় দত্ত বলেন, ‘আমার মনে হয় হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি হিরোইজম ভুলতে বসেছে, কিন্তু দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি বীরত্বকে এখনও ভুলে যায়নি। আমি বলছি না যে স্লাইস অফ লাইফ খারাপ। কিন্তু আমরা কেন আমাদের উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, রাজস্থানের দর্শকদের ভুলে গিয়েছি, যারা আমাদের দর্শকমহলের একটি বড় অংশ।
‘আমি আশা করি, হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে সেই প্রবণতা ফিরে আসবে। আগে আমাদের স্বতন্ত্র প্রযোজক এবং অর্থদাতা ছিল, যা ফিল্ম স্টুডিওগুলোর করপোরেটাইজেশনের অবসান ঘটিয়েছে। করপোরেটাইজেশন ভালো, তবে এটি সিনেমার পছন্দের ক্ষেত্রে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়।’
উদাহরণ দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘দেখুন এস এস রাজমৌলির নির্দিষ্ট প্রযোজক রয়েছেন, যারা তার দৃষ্টিভঙ্গিতে সম্পূর্ণ বিশ্বাস রাখেন। আমাদের সঙ্গে আগেকার দিনে গুলশান রাই, যশ চোপড়া, সুভাষ ঘাই এবং যশ জোহরের মতো প্রযোজকও ছিলেন। তারা যে সিনেমাগুলো তৈরি করেছেন তা দেখুন। দক্ষিণে তারা কাগজে স্ক্রিপ্ট দেখে, এখানে আমরা কাগজে পরিসংখ্যান দেখি।’
সঞ্জয়কে পরবর্তী সময়ে যশ রাজ ফিল্মসের ব্যানারে নির্মিতব্য পৃথ্বীরাজ সিনেমায় দেখা যাবে। এতে আরও রয়েছেন অক্ষয় কুমার, মানুষী চিল্লার, সাক্ষী তানওয়ার এবং সোনু সুদ। এ ছাড়া শামশেরায় দেখা যাবে তাকে।
আরও পড়ুন:ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী কাজল আগারওয়াল মা হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে তার কোলজুড়ে এসেছে ফুটফুটে পুত্রসন্তান। মা ও সন্তান দুজনেই সুস্থ আছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে এ তথ্য জানিয়েছেন অভিনেত্রীর বোন নিশা আগারওয়াল।
এটি জীবনের সেরা সুখবর উল্লেখ করেন নিশা। এর আগে তিনি ইনস্টাগ্রামে লিখেছিলেন, ‘এটি একটি আনন্দের দিন, একটি বিশেষ খবর আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নেয়ার অপেক্ষা সইছে না।’
চলতি বছর জানুয়ারিতে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর জানিয়েছিলেন কাজল। ২০২০ সালের অক্টোবরে প্রেমিক গৌতম কিসলুর সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন অভিনেত্রী। এবার তাদের পরিবারে এলো নতুন সদস্য। তা নিয়ে ব্যাপক উচ্ছ্বসিত তারকাদম্পতি।
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় গৌতম কিসলু তাকে যেভাবে দেখভাল করেছেন, তাতে ভীষণ খুশি অভিনেত্রী। গত সপ্তাহে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্বামীকে ধন্যবাদ জানিয়ে একটি আবেগঘন বার্তাও লিখেছিলেন কাজল।
সেখানে তাকে তিনি লিখেছিলেন, ‘আমাদের সন্তান আসার আগে কতটা যত্ন নিচ্ছ আমার, আমি জানতে চাই, তুমি ঠিক কতটা অসাধারণ একজন মানুষ আর কতটা অসাধারণ একজন বাবা হতে চলেছ।’
শিগগিরই কাজলকে দেখা যাবে চিরঞ্জীবী এবং রামচরণ অভিনীত আচার্য সিনেমায়। ২৯ এপ্রিল প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
মন্তব্য