গাইবান্ধার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘শৌচাগারে বঙ্গবন্ধুর ছবি’ শিরোনামে একাধিক গণমাধ্যমে যে খবর এসেছে, তার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
মূলত শ্রেণিকক্ষকে ‘শৌচাগার’ আখ্যা দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ছবির অবমাননার অভিযোগ এনে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে বলে দাবি স্কুলের শিক্ষক ও বিদ্যালয় কমিটির।
আলোচনায় আসা হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবস্থান সুন্দরগঞ্জ উপজেলায়। এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল আজিজের দাবি, বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান কক্ষে বঙ্গবন্ধুর ছবি টাঙানো। সেই কক্ষের দেয়ালে ব্ল্যাকবোর্ড, বেঞ্চ, চেয়ার ও বিভিন্ন বর্ণ তালিকাও রয়েছে।
তিনি জানান, আগামী ১২ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয় খোলার সিদ্ধান্ত হওয়ায় গত বুধবার থেকে শ্রেণিকক্ষ ধোয়ামোছার কাজ চলছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে হঠাৎ সংবাদকর্মী এসে সেই কক্ষটিকে ‘শৌচাগার’ ভেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি অবমাননা হয়েছে উল্লেখ করে সংবাদ ছেপেছেন।
বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে বিদ্যালয়ে ৩টি কক্ষে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে। মূলত বিদ্যালয়টি তিস্তা নদীর পাড়সংলগ্ন হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এ ছাড়া বিদ্যালয়ের সীমানাপ্রাচীরও নেই।
তারা আরও জানান, বিদ্যালয় ভবনের অফিস কক্ষ ও শ্রেণিকক্ষের মাঝের একটি কক্ষে নিরাপত্তার কথা ভেবে ১০ বছর আগে একটি নলকূপ বসানো হয়। নলকূপটির পাশে ৩ মাস আগে হাত ধোয়ার জন্য ৫টি ট্যাপ লাগানো হয়। করোনা মোকাবিলায় এই ট্যাপ বসানোর নির্দেশ দেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম হারুন-উর রশিদ।
স্থানীয়রা বলছেন, ১৮৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়ের সুনাম উপজেলাজুড়েই। নলকূপ ও ট্যাপ ভবনের বাইরে স্থাপন করা হলে চুরির শঙ্কা রয়েছে।
বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য রওশন আরা বেগম বলেন, ‘স্কুলের বিল্ডিংয়ে মোট চারটা রুম আছে। একটা অফিস রুম; বাকি তিনটা ক্লাসরুম। বিল্ডিংয়ে কোনো শৌচাগার নাই।’
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ওবায়দুল ইসলাম বলেন, যে রুমটাকে ‘শৌচাগার’ বলা হচ্ছে, সেটি শ্রেণিকক্ষ। সেখানে করোনার আগেও পাঠদান হয়েছে। ১২ সেপ্টেম্বর থেকে আবারও হবে।
তিনি বলেন, ‘কক্ষটিতে লেখার ব্ল্যাকবোর্ড, বেঞ্চ, চেয়ার ও বর্ণ চার্টও রয়েছে। একটা টিউবওয়েল আছে; সেটার বয়স ১০ বছর। শিক্ষা অফিসার স্যার পানির অপব্যবহার ও নিরাপত্তার জন্য রুমেই পানির ট্যাপ বসাতে বলেছেন। এখানে বঙ্গবন্ধুর ছবি অবমাননার প্রশ্নেই ওঠে না।’
প্রধান শিক্ষক আবদুল আজিজ বলেন, ‘শ্রেণিকক্ষে জাতির জনকের ছবি রাখা হয়েছে। শ্রেণিকক্ষের এক সাইডে ট্যাপ বসানো হয়েছে; এতে পাঠদানে কোনো সমস্যাও হবে না।’
বিদ্যালয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজের টাইমে এসে শ্রেণিকক্ষের ভেতর টিউবওয়েল ও পানির ট্যাপ দেখে তারা (সংবাদকর্মী) শৌচাগার ভেবে নিয়েছেন। বারবার বিষয়টি পরিষ্কার করা হলেও তারা শোনেননি।
এ নিয়ে বক্তব্য জানতে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম হারুন-উর রশিদের ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
আরও পড়ুন:টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বাবার বাড়িতে তার অসুস্থ খালাকে দেখতে আসার একদিন পর বাঁশঝাড়ের একটি গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মোছাঃ হালিমা বেগম (৪৫) নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৭ আগস্ট) সকালে উপজেলার বাগবাড়ী এলাকায় তার বাবার পরিত্যক্ত বাড়ির আঙিনার একটি গাছ থেকে তার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
হালিমা বেগম উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের বাগবাড়ী গ্রামের মৃত জুয়াদ আলীর মেয়ে এবং জেলার পাশ্ববর্তী ঘাটাইল উপজেলার মনহরা গ্রামের আব্দুল লতিফের স্ত্রী। তিনি সন্তানের মা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হালিমা গত মঙ্গলবার ২৬ আগস্ট তার অসুস্থ খালাকে দেখতে তার বাবার বাড়িতে আসে। পরদিন বুধবার সকালে স্থানীয়রা তাকে বাড়ির পেছনে বাঁশঝাড়ের একটি গাছে ঝুলে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন। এ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে ভূঞাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম বলেন- স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে রহস্য উদঘাটন হবে। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে স্বর্ণকারের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় মূল হোতাসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।
দেশের বিভিন্ন যায়গা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হচ্ছে মো. সোহাগ মন্ডল, মিন্টু, মোশাররফ, জসিম, আমিনুল, আনোয়ার, ময়নাল।
বুধবার দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়।
দুপুরে পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানান, গেলো ১৮ আগস্ট ভোর রাতে ঘাটাইলের চকপাকুটিয়ার স্বর্ণকার অমল বনিকের বসতবাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়। অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন দেশীয় অস্ত্রে সুসজ্জিত অমল বণিকের মা কৃষ্ণা রাণীদ্বয়কে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, রূপার গহনা, পিতলের প্রতিমা ও মোবাইল সেটসহ ৬ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুণ্ঠন করে নিয়ে যায়। ডাকাতির সময় অমল বাঁধা প্রদান করলে ডাকাতরা তার হাতে থাকা ধারালো ছোরা দিয়ে বাদির বাম হাতের কব্জির উপর পোঁচ মেরে রক্তাক্ত কাঁটা জখম করে। ডাকাতির সময় এলাকার লোকজন অমলের ডাক চিৎকারে টের পেলে ডাকাতরা হিন্দু বাড়িতে পটকার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে অমর বনিক বাদি হয়ে অভিযোগ দায়ের করলে ২৪ আগস্ট রাতে কালিয়াকৈরের সফিপুর থেকে ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য মো. সোহাগ মন্ডলকে গ্রেফতার করে এবং তার হেফাজত হতে অত্র মামলার ঘটনায় লুন্ঠিত ১টি মোবাইল ফোন সেট উদ্ধারপূর্বক জব্দ করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করিলে নিজেকে জড়িয়ে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারা মোতাবেক দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার ও লুষ্ঠিত মালামাল উদ্ধারের জন্য একাধারে অভিযান পরিচালনা করা হয় । পরবর্তীতে আসামী ও প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ডাকাতির ঘটনার মূল মাস্টারমাইন্ড মিন্টুকে মঙ্গলবার নেত্রকোনার কেন্দুয়া থেকে গ্রেফতার করা হয়। মিন্টুর দেখানো মতে অন্যান্য আসামীদের বিভিন্ন সময়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটনের কোনাবাড়ী থানা এলাকার বিভিন্ন স্থান হতে গ্রেফতার করা হয় এবং লুণ্ঠিত মালামাল স্বর্ণ ও রুপা উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য এবং তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তারা অনেকদিন ধরেই বিভিন্ন সময়ে সংঘবদ্ধভাবে ডাকাতি করে আসছে। তাদের কাছ থেকে একটি মোবাইল, ৫ রতি স্বর্ণ ও ৩৪ ভরি রূপা উদ্ধার করা হয়।
স্কুল জীবন থেকেই শিক্ষার্থীদের স্বাবলম্বী হতে সঞ্চয়ের খাতা খোলার পরামর্শসহ প্রশিক্ষণের পাশাপাশি সমাবেশ ও করছে পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি)। এ জন্য ওই প্রতিষ্ঠানটি প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে” করলে সঞ্চয় ২০০ টাকা, সরকার দেবে ৪০০ টাকা” এ শ্লোগানকে সামনে রেখে এগিয়ে চলেছে।
গতকাল দুপুরে পল্লী উন্নয়ন বোর্ড নড়াইল জেলা শাখা সদর উপজেলার গোবরা পার্ব্বতী বিদ্যাপীঠ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এমন এক প্রশিক্ষণসহ সমাবেশের আয়োজন করে। প্রায় দুই শতাধিক কিশোরী অনুষ্ঠানে অংশ নেয় ।
প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট শারমিন আক্তার জাহান। সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সঞ্চিতা বিশ্বাস । অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বিআরডিবির উপ-পরিচালক মো. গোলাম রসুল, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুর রশীদ ।
জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার জাহান বলেন, ছোট থাকতেই সবার সঞ্চয়ী মনোভাব গড়ে তোলা উচিত। সঞ্চয় হচ্ছে বিপদের বন্ধু। তিনি বলেন, আগে দাদা-দাদীকে দেখেছি মাটির ব্যাংক অথবা বাশের খুটি ছিদ্র করে সেখানে টাকা পয়সা জমা রাখতে। তাদের কাছ থেকেই আমরা সঞ্চয়ী হতে শিখেছি। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এখন থেকেই তোমাদের সঞ্চয়ী হতে হবে। সেই টাকা দিয়ে তোমরা তোমাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা করতে পারবে। বাবা-মায়ের মুখাপেক্ষী হতে হবে না। নিজে স্বাবলম্বী হও অপরকেও হতে বলো।
বিআরডিবির উপ-পরিচালক মো. গোলাম রসুল বলেন, সমাজের দরিদ্র মহিলাদের জন্য সমন্বিত কর্মসংস্থান প্রকল্পের (ইরেসপো) দ্বিতীয় পর্যায়ের অংশ হিসেবে এ কার্যক্রম অনুষ্ঠত হচ্ছে। তিনি বলেন, কিশোরীদের শিক্ষা,দক্ষতা,উন্নয়ন, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ ও সমাজ সচেতনতায় এ ধরণের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । এতে কিশোরীদের আত্মবিশ্বাসী হয়ে গড়ে ওঠার সাহস যোগায় ।
পরে সঞ্চয়ের টাকা, বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ সামগ্রী স্যানেটারী নাপকিন, খাতা-কলম, স্কুল ব্যাগ বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি বাল্যবিবাহকে না বলুন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের এমন শপথবাক্য পাঠ করানো হয়। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন, সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা সজল বিশ্বাস।
নওগাঁয় ভজন দেবনাথ সজল নামে এক অটোরিকশা চালককে হত্যার দায়ে পাঁচ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাদের প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদলাতের বিচারক মো. কায়সারুল ইসলাম এ রায় দেন।
রায়ের বিষয়টি রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এবং অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মুনছুর আলী নিশ্চিত করেছেন।
রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- নওগাঁ সদর উপজেলার আরজী নওগাঁ মন্ডল পাড়া এলাকার শুকুর আলীর দুই ছেলে মো: জুয়েল এবং জাহের আলী, আরজী নওগাঁ উত্তরপাড়া এলাকার হাসান মিয়ার ছেলে সুরুজ মিয়া, শহরের চকপ্রসাদ এলাকার আব্দুস সাত্তারের ছেলে রতন মন্ডল, শহরের উত্তরপাড়া পবা মসজিদ এলাকার বেদারুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম এবং বগুড়া জেলার দুপচাচিয়া উপজেলার খানপুর এলাকার মৃত শাহজাহানের ছেলে আব্দুর রশিদ।
আসামীদের মধ্যে জহের আলী পলাতক রয়েছেন।
আদালত সুত্রে জানা যায়, ভজন দেবনাথ সজল একজন অটোরিকশা চালক ছিলেন। ২০১৯ সালের ১৬ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬ টার দিকে তার নিজস্ব অটোরিকশাটি নিয়ে প্রতিদিনের ন্যায় ভাড়ায় চালানোর জন্য নিজ বাড়ি হতে বাহিরে যায়। তারপর ওই দিন রাতেই সে আর বাড়িতে ফিরে আসেনা। এরপর স্বজনরা তাকে বিভিন্ন জায়গায় ও আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে খোঁজাখুজি করেও তার কোন সন্ধান পায়না। পরের দিন ১৭ নভেম্বর সকালে নওগাঁ সদর উপজেলার হাঁসাইগাড়ি গোটার বিলে পাকা রাস্তা সংলগ্ন কাঁদা পানিতে কচুরি পানার মধ্য থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় তার পিতা ভূপেনন্দ্রাথ দেবনাত বাদী হয়ে নওগাঁ সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘদিন ধরে চলা এ মামলায় সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এ রায় প্রদান করেন।
মামলায়, আলতাফ হোসেনের ছেলে আব্দুল আজিজের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাকে খালাস প্রদান করা হয়েছে। মামলার এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মনছুর আলী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে ২০২৪ এর গণঅভ্যুথানে শহীদ ও আহতদের চিকিৎসা সহায়তা ও অটোরিকসা প্রদান করেছে আমরা বিএনপি পরিবার নামের একটি সামাজিক সংগঠন।
বুধবার (২৭ আগষ্ট) বিকালে দেওয়ানগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আমরা বিএনপি পরিবার এর আয়োজন করে। আমরা বিএনপি পরিবারের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানে যারা আহত ও নিহত হয়েছেন তাদের পাশে দাঁড়াতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সামাজিক ও মানবিক সংগঠন করেছেন আমরা বিএনপি পরিবার। শুধু তাই নয় যারা খেলাধুলায়, মেধা চর্চায় কৃতিত্ব অর্জন করেছে এবং সমাজে বিভিন্নভাবে অবদান রেখেছে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে এই সংগঠন আমরা বিএনপি পরিবার। তিনি আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সেই আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়েছেন, যেই আদর্শ প্রয়াত রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমান দেখিয়েছেন। এ সময় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এম,রশিদুজ্জামান মিল্লাত, বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ডা.মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল, কেন্দ্রীয় কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ মনিরুর রহমান মনিরসহ আরো অনেক।
এ সময় আমরা বিএনপি পরিবারের পক্ষ থেকে আহত ৯জন ও নিহত ২জন মোট ১১ জনকে চিকিৎসা সহায়তা ও একটি অটোরিকসা প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী সারাদেশে উপজেলা/থানা আনসার কোম্পানি ও ইউনিয়ন আনসার প্লাটুন সদস্যদের নতুনধারার মৌলিক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করেছে। এ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ধানমন্ডির বিসিএসআইআর স্কুল এন্ড কলেজে ঢাকা মেট্রোপলিটন আনসার-দক্ষিণ জোন আয়োজিত প্রশিক্ষণ পরিদর্শন করেন বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ, এসজিপি, বিএএম, এনডিইউ, এএফডব্লিউসি, পিএসসি।
মহাপরিচালক তাঁর বক্তব্যে বলেন—
“উপজেলা/ থানা আনসার কোম্পানি সামাজিক অপরাধ দমন ও আভ্যন্তরীন নিরাপত্তায় বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ । সাধারন আনসার সদস্যের যথাযথ প্রশিক্ষণ সম্পৃক্ততা ও ধারাবাহিকতার অনুপস্হিতিতে দীর্ঘদিন যাবৎ উপজেলা আনসার কোম্পানি কাঠামো দুর্বল হয়ে পড়ে। চলমান সংস্কারের আওতায় অঙ্গীভূত আনসারদের সুনির্দিষ্টকরনের মাধ্যমে উপজেলা আনসার কোম্পানির প্রশিক্ষন ধারণাকে ঢেলে সাজিয়ে একটি জাতীয় নিরাপত্তা প্লাটফর্মে আনা হয়, যেখানে তারা অন্যান্য বাহিনীর সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে গণপ্রতিরক্ষা ও জাতীয় প্রয়োজনে কাজ করতে সক্ষম হয়।”
তিনি আরও বলেন—
“প্রতিটি আনসার সদস্য যদি এই মৌলিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দায়িত্ব সম্পর্কে অবগত হন, তবে তারা বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি’র যোগ্য দেশপ্রেমিক প্রতিনিধি হয়ে উঠবে।” আনসার বাহিনী প্রচলিত ধারা থেকে বেরিয়ে অধিকতর তারুণ্যনির্ভর, নৈতিকতা ও মূল্যবোধসম্পন্ন এবং রাষ্ট্রীয় নিয়ম-কানুনে শ্রদ্ধাশীল সদস্যদের নিয়ে উপজেলা আনসার কোম্পানি গঠনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এজন্যই শারীরিকভাবে সক্ষম ও উত্তম চরিত্রের অধিকারী সদস্যদের এই প্রশিক্ষণের জন্য বাছাই করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এ প্রশিক্ষণে আধুনিক নিরাপত্তা ও মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ বিষয়ক ধারনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে যোগ্য সদস্যরা উন্নত প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবেন এবং বিভিন্ন প্রকল্পভিত্তিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে অবদান রাখতে পারবেন। পাশাপাশি আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক তাদের আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করবে। রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, দুর্যোগকালীন কার্যক্রম, সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষা এবং পূজা ও নির্বাচনসহ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনে উপজেলা আনসার সদস্যরা সরাসরি ভূমিকা পালন করবে। তাদের দায়িত্বপরিধি সুনির্দিষ্ট করা, সামাজিক ও আর্থসামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করা এবং বাহিনীর সংস্কারমূলক কর্মপরিকল্পনার সাথে সমন্বিত করতে এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। ধাপে ধাপে সারাদেশের মোট ৫২,১৮৩ জন সদস্য এতে অংশ নেবেন। ২৬ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া এ প্রশিক্ষণ ৮ ধাপে সারাদেশে অনুষ্ঠিত হয়ে ১০ জানুয়ারি ২০২৬ তারিখে সমাপ্ত হবে। প্রতিটি ধাপ ১৪ দিনব্যাপী। মহাপরিচালক মহোদয়ের পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর আনসারের পরিচালক মো: আসাদুজ্জামান গনী এবং বিভিন্ন পদবীর কর্মকর্তাবৃন্দ।
বুধবার ২৭ আগস্ট ২০২৫ তারিখ সকালে কোস্ট গার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সিয়াম-উল-হক এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, আজ ২৭ আগস্ট ২০২৫ তারিখ বুধবার সকাল ৭ টায় কোস্ট গার্ড স্টেশন হিজলা ও কালীগঞ্জ কর্তৃক বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ থানাধীন দড়ির চর খাজুরিয়া এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান চলাকালীন উক্ত এলাকা হতে ১ টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ১ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ১ টি চাইনিজ কুড়াল, বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রা এবং ইয়াবা সেবনের সরঞ্জামাদিসহ দুর্ধর্ষ ডাকাত নাইম (২৯) কে আটক করা হয়।
আটককৃত ডাকাত বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ থানাধীন দড়ির চর খাজুরিয়া এলাকার বাসিন্দা।
আটককৃত ডাকাত ও জব্দকৃত সকল আলামতের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মেহেন্দিগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়।
তিনি আরও বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবে।
মন্তব্য