শুল্ক কমেছে। আমদানি বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। সরকারি গুদামে মজুত ১৬ লাখ মেট্রিক টন ছাড়িয়ে গেছে। এরপরও প্রধান খাদ্যপণ্য চালের মূল্য বৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না।
সরকারি হিসাবেই বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতি কেজি মোটা চাল ৪৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। মাঝারি মানের চাল বিক্রি হয়েছে ৫৫ টাকা কেজিতে। আর সরু চাল (নাজিরশাইল ও মিনিকেট) বিক্রি হয়েছে ৬৫ টাকা কেজি দরে।
করোনাভাইরাস মহামারির সময়ে চালের দাম কমাতে সরকার নানা উদ্যোগ নিলেও কার্যত সুফল মেলেনি। শেষ চেষ্টা হিসেবে চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তারই ধারাবাহিকতায় আগস্টে ৪১৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ১৬ লাখ ৯৩ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দেয় সরকার।
আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়। সেই সঙ্গে চলতে থাকে সরকারি পর্যায়ে চাল আমদানি। এরপরও দাম কমার কোনো বালাই নেই; উল্টো সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে এক-দেড় টাকা করে বেড়ে চলেছে চালের দাম।
আগামীতে চালের দাম কমার কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না চাল ব্যবসায়ী, মিল মালিকরাও। তারা আশ্বস্ত করেছেন, যাদের চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে, তারা যদি ঠিকঠাকমতো আমদানি করে, তাহলে দাম আর খুব একটা বাড়বে না।
খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেন, ‘আমরা আশাবাদী যে চালের দাম কমে আসবে। আমন মৌসুমে ধান কাটার আগেই আমদানি প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়া হবে, যাতে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।’
মজুত পরিস্থিতি
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরকারের গুদামগুলোতে খাদ্যশস্যের মজুত ছিল ১৮ লাখ ২১ হাজার টন। এর মধ্যে চাল ১৬ লাখ টন ও গম ১ লাখ ৬৪ হাজার টন। আর ধান ৮৮ লাখ টন।
চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে গত ১২ আগস্ট পণ্যটির আমদানির শুল্ক কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়।
এরপর প্রথম দফায় গত ১৭ আগস্ট ৪১ প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ ১০ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। এরপর ১৮ আগস্ট ৬৯ প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ ১৮ হাজার টন, ২১ আগস্ট ৯১ প্রতিষ্ঠানকে ৩ লাখ ৯১ হাজার টন, ২২ আগস্ট ৭৩ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে ২ লাখ ২২ হাজার টন, ২৩ আগস্ট ৯৪ হাজার টনের জন্য ৪১ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে, ২৪ আগস্ট ৫৭ হাজার টনের জন্য ৩৪ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে এবং সর্বশেষ ৩১ আগস্ট ৭৯ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ১ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দেয় খাদ্য মন্ত্রণালয়।
সব মিলিয়ে এ দফায় ৪১৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে ১৬ লাখ ৯৩ হাজার টন চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল রয়েছে ১৪ লাখ ৮৩ হাজার টন। বাকি ২ লাখ ১০ হাজার টন আতপ চাল।
এ চাল আমদানি করে তা আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাজারে বিক্রি করার শর্ত দেয়া হয়েছে আমদানিকারকদের।
৭ দিনে বেসরকারি পর্যায়ে ১৬ হাজার টন আমদানি
অনুমতির পর বেসরকারি উদ্যোগে শুরু হয় চাল আমদানি। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) বেসরকারি পর্যায়ে কোনো চাল আমদানি হয়নি। চলতি মাসের ৭ দিনে (১ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর) ১৬ হাজার ২৪০ টন চাল আমদানি করা হয়েছে।
চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ৩ লাখ ১৮ হাজার ৩০ লাখ টন চাল আমদানি করা হয়েছে। এর মধ্যে ২ লাখ ৯৬ হাজার ৬৪০ টন সরকার সরাসরি আমদানি করে গুদামগুলোতে মজুত করেছে। বাকি ১৬ হাজার ২৪০ টন বেসরকারি উদ্যোগে আমদানি করা হয়েছে।
গত ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ে (১ জুলাই থেকে ৭ সেপ্টেম্বর) মোট ৭ লাখ ৮৬ হাজার ২৮০ টন চাল আমদানি হয়েছিল, যার পুরোটাই সরকারি পর্যায়ে। ওই সময়ে বেসরকারি উদ্যোগে কোনো চাল আমদানি হয়নি।
আন্তর্জাতিক বাজারে এখন প্রতি টন সিদ্ধ চাল ৩৫৫ থেকে ৩৮৫ ডলারে এবং আতপ চাল ৩৬১ থেকে ৩৯৫ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। গত এক বছর ধরেই এ দাম। ভারত, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম থেকে চাল আমদানি করে বাংলাদেশ। বেশির ভাগই আসে ভারত থেকে।
এবার বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। আনুমানিক প্রায় ২ কোটি টনেরও বেশি ধান কাটা হয়েছে। তবুও চালের দাম কমেনি।
বোরো মৌসুমের আগে ২০২১ সালের শুরু থেকেই চালের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারি গুদামে মজুত এবং বাজারে সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগ নেয় খাদ্য মন্ত্রণালয়। ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সরকারি গুদামে চালের মজুত ছিল মাত্র ৫ লাখ ২৫ হাজার টন, যা ছিল অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে কম।
দেশে সরকারি চালের গুদামগুলোতে মজুতের ক্ষমতা প্রায় ২৫ লাখ টন। এসব গুদামে ন্যূনতম ১২ থেকে ১৫ লাখ টনের মজুত রাখার নিয়ম রয়েছে। গত বছরও একই সময়ে ১৩ লাখ টনের বেশি চাল মজুত ছিল।
সরকারের মজুত সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসায় গত ফেব্রুয়ারিতে প্রতি কেজি মোটা চালের দাম বেড়ে ৫০ টাকায় ওঠে। সরকার স্থানীয় বাজার থেকে ৯ লাখ ৩২ হাজার টন বোরো ও ৩ লাখ ৫০ হাজার টন অন্য জাতের চাল সংগ্রহ করে মজুত বাড়ালেও বাজারে দাম আর কমেনি।
সেসময় বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হলেও শুল্ক বেশি হওয়ায় খুব বেশি চাল আমদানি করেননি ব্যবসায়ীরা।
গত ২৪ আগস্ট পর্যন্ত সরকারের গুদামগুলোতে মোট ১৭ লাখ ২৫ হাজার টন খাদ্য মজুত ছিল। এর মধ্যে ১৪ লাখ ৯ হাজার টন চাল এবং বাকিটা ধান, গম ও আটা।
গত বছরের আগস্ট শেষে এই মজুতের পরিমাণ ছিল ১৩ লাখ ১৪ হাজার টন। এর মধ্যে ৯ লাখ ৮৫ হাজার টন চাল ছিল।
দাম কমার সম্ভাবনা নেই
সরকারের গুদামগুলোতে প্রচুর চাল মজুত থাকার পরও দাম কেন কমছে না, এমন প্রশ্ন করা হয় বাংলাদেশ চাল ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি জাকির হোসেন রনির কাছে।
নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে কী বেসরকারি পর্যায়ে আসলে খুব একটা চাল আমদানি হচ্ছে না। আগেরবার যখন ব্যবসায়ীদের কোটা নির্ধারণ করে দিয়ে আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছিল, সেই কোটা কিন্তু ব্যবসায়ীরা পূরণ করেনি। এবার কী হবে, জানি না।’
জাকির হোসেন বলেন, ‘আসলে ব্যবসায়ীরা চাল আমদানি করবেন কি না, তা নিয়ে দ্বিধায় আছেন। অক্টোবরের শেষের দিকে আমন ধান উঠবে তখন যদি দাম কমে যায়, তাহলে তাদের লোকসান হবে। সে ভয়ে তারা আমদানি করতে সাহস পাচ্ছেন না।
‘তবে যেহেতু সরকারের কাছে প্রচুর চাল মজুত আছে, সে কারণে চালের দাম আর বাড়ার কোনো আশঙ্কা নেই। বর্তমানে যে দাম আছে, আগামী কয়েক মাস সে দামই থাকবে বলে আমার মনে হয়।’
একই প্রশ্নে বাংলাদেশ অটো রাইস মিল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে এম খোরশেদ আলম খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শুল্ক কমানোর পর এখনও চাল আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক লাগে। এত বেশি শুল্ক দিয়ে চাল আমদানি করলে ব্যবসায়ীরা লাভের মুখ দেখতে পারবেন না; লোকসান দিতে হবে। সে কারণেই বেসরকারি উদ্যোগে চাল আমদানি করতে আগ্রহ দেখান না ব্যবসায়ীরা।’
চাল আমদানিতে শুল্ক আরও কমানোর পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘সরকারের কাছে আমার পরামর্শ হচ্ছে, চালের আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনুন। তাহলে দেখবেন প্রচুর চাল আমদানি হবে। চালকল মালিকরাও তাদের মজুত করা চাল বাজারে ছেড়ে দেবেন। তখন চালের দাম এমনিতেই কমে আসবে।
‘এভাবে ২৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে চাল আমদানির অনুমতি দিয়ে উল্টো চালকল মালিকদেরই লাভের সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে বলে আমি মনে করি। কেননা সরকারিভাবে যে চাল আমদানি করা হচ্ছে, তা সরকারের গুদামে চলে যাচ্ছে, বাজারে আসছে না। দামে প্রভাব পড়ছে না। সে সুযোগে মিলমালিকরা তাদের কাছে থাকা চাল বাজারে না বিক্রি করে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে আরও দাম বাড়িয়ে দিয়ে তারপর বিক্রি করছে।’
খোরশেদ আলম জানান, মিলমালিকরা আগেই ধান কিনে মজুত করে রাখেন। এ কারণে চালের দাম বাড়লেও কৃষক তার মূল্য পান না। ধান চাষে খরচের তুলনায় কম দামে বিক্রি করতে হয়। তাই কৃষক ধান চাষ থেকে সরে আসছেন। সরকার যে ধান সংগ্রহ করে সেখানে সবাই অন্তর্ভুক্ত হতে পারে না। তাই কম দামে মিল মালিকদের কাছে বিক্রি করতে হয়।
মানুষকে আর কত দুর্ভোগ পোহাতে হবে?
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক গবেষণা পরিচালক কৃষি অর্থনীতিবিদ এম আসাদুজ্জামানের মতে, চালের দাম না কমায় সবচেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছেন চাল ব্যবসায়ী এবং চালকল মালিকরা। আবার তাদেরই চাল আমদানির অনুমতি দেয়া হয়। তারা দ্রুত চাল আমদানি করলে দাম কমে যেতে পারে। সে কারণেই তারা আমদানিতে গড়িমসি করেন।
তিনি বলেন, ‘এরা সবাই মিলে একটা বড় সিন্ডিকেট তৈরি করেছে। দীর্ঘদিন ধরে চলছে এই সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি সরকার, দেশের মানুষ। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া ছাড়া কোনোভাবেই চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে নামনো যাবে না।’
আক্ষেপ করে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আমার খুবই অবাক লাগে, মহামারির এই সংকটকালেও চালের দাম এক পয়সা কমল না। অথচ ধান উৎপাদন হয়েছে পর্যাপ্ত; মজুত আছে প্রচুর। মানুষকে আর কত দুর্ভোগ পোহাতে হবে?’
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের অন্যতম বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আরডিআরএস বাংলাদেশ-এর ট্রাস্টি বোর্ডের নতুন চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হলেন ফারুক আহমেদ।
ট্রাস্টি বোর্ডের ৬৬তম সভায় এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ফারুক আহমেদ ২৭ এপ্রিল থেকে পরবর্তী তিন বছরের জন্য চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব পালন করবেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এবং যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্বাস্থ্য বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিপ্রাপ্ত ফারুক আহমেদের উন্নয়ন খাতে রয়েছে বিস্তৃত অভিজ্ঞতা।
তিনি এক সময় ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক ছিলেন এবং ঢাকায় বিশ্বব্যাংক কার্যালয়ে বিভিন্ন পদে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জেনেভাভিত্তিক গ্যাভি, দ্যা ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স (এঅঠও)-এর বোর্ড সদস্য ছিলেন, এছাড়া তিনি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং বিশ্বব্যাংকের বিভিন্ন কমিটিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
ফারুক আহমেদ সোশ্যাল মার্কেটিং কোম্পানি (এসএমসি) এন্টারপ্রাইজের পরিচালনা পরিষদের একজন সদস্য। তিনি বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ ওয়ার্কিং গ্রুপেরও একজন সদস্য।
ফারুক আহমেদ ২০২০ সালের ১৬ মার্চ থেকে আরডিআরএস-এর ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
আরডিআরএস বিশ্বাস করে, ফারুক আহমেদের নেতৃত্বে সংস্থাটি দেশজুড়ে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি অব্যাহত রাখতে এবং এ সম্পর্কিত কার্যক্রমকে বেগবান করতে সক্ষম হবে। প্রেস রিলিজ
দেশের বাজারে টানা তৃতীয় দিনের মতো কমেছে স্বর্ণের দাম। ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেট স্বর্ণের দাম ভরিতে কমেছে ৬৩০ টাকা। সে হিসাবে স্বর্ণের ভরি দাঁড়িয়েছে এক লাখ ১৩ হাজার ৫৬১ টাকা। আগের দিন বুধবার তা ছিল এক লাখ ১৪ হাজার ১৯১ টাকা।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানানো হয়।
স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠনটি জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিট থেকে স্বর্ণের নতুন নির্ধারিত দাম কার্যকর হবে।
বাজুস এর আগে চলতি এপ্রিল মাসের ৬, ৮ ও ১৮ তারিখ তিন দফা স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। এর মধ্যে ভালো মানের স্বর্ণের ভরিতে ৬ এপ্রিল ১ হাজার ৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১ হাজার ৭৫০ টাকা ও ১৮ এপ্রিল দুই হাজার ৬৫ টাকা বাড়ানো হয়। মাঝে ২০ এপ্রিল ভরিতে ৮৪০ টাকা দাম কমানোর পরদিন ২১ এপ্রিল আবার ৬৩০ টাকা বাড়ায় বাজুস।
এবার শুরু হয় দাম কমানোর পালা। সবশেষ দাম বাড়ানোর দু’দিন পর ২৩ এপ্রিল ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে তিন হাজার ১৩৮ টাকা ও ২৪ এপ্রিল দু’হাজার ৯৯ টাকা কমানোর ঘোষণা দেয় বাজুস। আর বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানোর ঘোষণা দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ টানা তিন দিনে স্বর্ণের দাম ভরিতে কমেছে পাঁচ হাজার ৮৬৮ টাকা।
সোনার দামে এমন উত্থান-পতনের কারণ জানতে চাইলে বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান বলেন, ‘আমরা এখন নতুন পদ্ধতি বা পলিসি অনুসরণ করে গোল্ডের দাম নির্ধারণ করি। সেটি হচ্ছে বিশ্ব স্বীকৃত ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল পলিসি।
‘এতদিন আমরা আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে গোল্ডের দাম নির্ধারণ করতাম। সেক্ষেত্রে বিশ্ববাজারে যখন স্বর্ণের দাম কমত তখন আমরা কমাতাম। আর যখন বাড়ত তখন বাড়াতাম।’
তিরি আরও বলেন, ‘এখন আমরা আমাদের স্বর্ণের সবচেয়ে বড় বাজার তাঁতীবাজারের বুলিয়ান মার্কেট ফলো করে দর নির্ধারণ করি। এই বাজারে স্বর্ণের দাম ঘণ্টায় ঘণ্টায় উঠা-নামা করে। সেটা অনুসরণ করে আমরা নতুন দর নির্ধারণ করে থাকি। সেক্ষেত্রে দিনে দু’বারও গোল্ডের দাম বাড়ানো-কমানো হতে পারে।’
আরও পড়ুন:ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০২৩ সালে ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড সুপারিশ করেছে।
ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে এ ডিভিডেন্ড প্রদান করা হবে।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসানুল আলমের সভাপতিত্বে বুধবার অনুষ্ঠিত পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদসহ অন্যান্য পরিচালক, ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস উপস্থিত ছিলেন।
আগামী ২৫ জুন ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। লভ্যাংশ প্রাপ্তি এবং সাধারণ সভায় যোগদানের ক্ষেত্রে রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয় ১৬ মে।
সভায় অন্যান্য আলোচ্যসূচির সঙ্গে ৩১ মার্চ শেষ হওয়া ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুমোদন করা হয়।
আরও পড়ুন:কোভিড-১৯ মহামারির অভিঘাতে সমগ্র বিশ্ব যখন টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে পতিত হয়, ঠিক সেই সময় বাংলাদেশের পুঁজিবাজারকে টেনে তুলতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম। তার নেতৃত্বে বিভিন্ন যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার বিশ্বের দরবারে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে যায়।
যদিও একটি শ্রেণি বাজারে নেতিবাচক ভূমিকা রাখতে বরাবরই সক্রিয় ছিল। তবে দূরদর্শী নেতৃত্বগুণে বিনিয়োগকারীদের অর্থের সুরক্ষা দিতে বারবার বহুমাত্রিক পদক্ষেপ গ্রহণ করে সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হতে দেননি অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।
সম্প্রতি বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে অস্বাভাবিক আচরণ করছে পুঁজিবাজার। নিয়ন্ত্রক সংস্থাও এ পরিস্থিতি সামাল দিতে এরই মধ্যে অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠক করে বাজারকে স্থিতিশীল করতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এমনকি পরিস্থিতি অনুকূলে আনতে গতকাল ফ্লোর প্রাইসমুক্ত সব শেয়ারে একদিনের দর কমার নিম্নসীমা (সার্কিট ব্রেকার) ৩ শতাংশে বেঁধে দিয়েছে সংস্থাটি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএসইসির সময়োপযোগী এমন পদক্ষেপ বাজারকে আবারও টেনে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে সন্দেহভাজন বেশকিছু লেনদেন পরিলক্ষিত হয়েছে বাজারে। এতে বিশেষ একটি শ্রেণি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য বাজারকে ম্যানিপুলেট করার চেষ্টা করছে। কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউসও এতে জড়িত রয়েছে। বাজারে অবাঞ্ছিত বিক্রির আদেশ দিয়ে তারা অস্থিরতা তৈরি করছে। তাছাড়া বিভিন্ন গুজব ছড়িয়ে বাজারে একটা শ্রেণি স্বার্থ আদায়ের চেষ্টা করছে। ফলে বেশ কিছুদিন ধরে বাজার কিছুটা অস্বাভাবিক আচরণ করছে।
এ বিষয়ে বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে বেশ কিছু ট্রেডার নিজেদের মধ্যে যোগশাজসের মাধ্যমে প্রথমে কম দরে শেয়ার বিক্রি করত। পরে তাদের দেখাদেখি সাধারণ বিনিয়োগকারীরা যখন প্যানিক হয়ে শেয়ার বিক্রি করত তখন তারা আবার কম দরে শেয়ারগুলো কিনে নিত। এভাবে তারা নিজেদের মধ্যে শেয়ার লেনদেন করে প্যানিক সৃষ্টির মাধ্যমে ভালো শেয়ারগুলোর দাম কমাত। এই কাজে তাদের বেশ কয়েকটি ব্রোকারেজ হাউসও সহযোগিতা করত।’
বাজার বিশ্লেষকদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে শেয়ারের দর কমার কথা নয়। গুটি কয়েক অসাধু ট্রেডারের কারসাজিতে বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। এতে বড় বড় ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এ বিষয়ে পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আল-আমিন বলেন, ‘এক শ্রেণির অসাধু বিনিয়োগকারী চাচ্ছেন বর্তমান কমিশন বিদায় হয়ে নতুন কেউ দায়িত্বে আসুক, যাতে তারা নতুন করে আরও সুযোগ নিতে পারেন। তারাই বিভিন্ন দুর্বল শেয়ারে কারসাজি করে সুবিধা নিচ্ছেন।
‘ফোর্সড সেলের মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের শেয়ার তারা কম দরে কিনে নিচ্ছেন। কমিশনের উচিত হবে কারসাজিকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা, যাতে তারা বারবার বাজারকে ম্যানিপুলেট করার সাহস না পায়।’
এদিকে শেয়ারবাজারের সাম্প্রতিক সময়ের টানা পতন ঠেকাতে আবারও শেয়ারের মূল্যসীমায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে বিএসইসি এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছে।
ওই আদেশে বলা হয়, এখন থেকে তালিকাভুক্ত কোনো কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের দর এক দিনে ৩ শতাংশের বেশি কমতে পারবে না। বর্তমানে দরভেদে কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত দরপতন হতে পারে।
দেশের পুঁজিবাজার ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে আদেশে জানানো হয়েছে। সার্কিট ব্রেকারের এ সিদ্ধান্ত বুধবার থেকে কার্যকর করতে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জকে নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘আজকের এই সার্কিট ব্রেকার আরোপ বাজারে কারসাজি রোধ করবে। এটি সন্দেহভাজন লেনদেন বন্ধ করবে। আর এ সিদ্ধান্তের ফলে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী ও উচ্চ সম্পদশালী একক বিনিয়োগকারীরা আরও বেশি সক্রিয় হবে বলে আশা করছি।’
তিনি বলেন, ‘অনেক ভালো শেয়ার বর্তমানে আন্ডারভ্যালুতে আছে। এখানে তারা বিনিয়োগ করবে বলে আমাদের প্রত্যাশা।’
সার্কিট ব্রেকার বাজারের দরপতন ফেরাতে ব্যর্থ হলে আবারও ফ্লোর প্রাইস দেয়ার কোনো সিদ্ধান্ত আছে কি না জানতে চাইলে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, ‘আশা করছি, আমাদের বাজারে আর কখনও ফ্লোর প্রাইস দিতে হবে না। শিগগিরই বাজার একটা স্থিতিশীল অবস্থানে ফিরবে।’
আরও পড়ুন:দেশের পুঁজিবাজারে শেয়ারের দরপতনের গতি কমিয়ে আনার চেষ্টার অংশ হিসেবে এবার মূল্যসীমায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। এখন থেকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর শেয়ার আগের দিনের শেষ হওয়া দরের ভিত্তিতে ৩ শতাংশের বেশি কমতে পারবে না।
শেয়ারের দাম কমার ক্ষেত্রে আগে মূল্যসীমা ছিল ১০ শতাংশ। তবে ঊর্ধ্বসীমা অর্থাৎ কোনো শেয়ারের দাম বাড়ার সীমা ১০ শতাংশ অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) বুধবার এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছে। বৃহস্পতিবার থেকেই এ আদেশ কার্যকর হবে বলে আদেশে জানানো হয়েছে।
বিএসইসি জানিয়েছে, যেসব শেয়ার ফ্লোর প্রাইসের আওতায় আছে সেসব শেয়ারের ক্ষেত্রে নতুন আদেশ প্রযোজ্য হবে না।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মধ্যে বাজার সূচকের অবাধ পতন ঠেকাতে এর আগে ২০২২ সালের জুলাই শেষে প্রতিটি শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে দিয়েছিল বিএসইসি। ফ্লোর প্রাইস ছিল ২০২২ সালের ২৮ জুলাই ও তার আগের চার দিনের ক্লোজিং প্রাইসের গড়।
বর্তমানে বেক্সিমকো, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, খুলনা পাওয়ার কোম্পানি, মেঘনা পেট্রোলিয়াম ও শাহজীবাজার পাওয়ার কোম্পানির ক্ষেত্রে ওই ফ্লোর প্রাইস কার্যকর রয়েছে।
আরও পড়ুন:দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম একদিনের ব্যবধানে আরেক দফা কমেছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ভরিতে দু’হাজার ১৩৯ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ১৪ হাজার ১৫১ টাকা।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। বলা হয়েছে,
স্থানীয় বাজারে তেজাবী স্বর্ণের (পাকা স্বর্ণ) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। নতুন নির্ধারিত দাম বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেল ৪টা ৫০ মিনিট থেকে কার্যকর হবে।
বাজুস এর আগের দিন মঙ্গলবার ঘোষণা দিয়ে ওই দিন থেকে ভালো মানের এক ভরি স্বর্ণের দাম ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা নির্ধারণ করে। সে হিসাবে দুদিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে ভালো মানের স্বর্ণের দাম ভরিতে কমলো ৫ হাজার ২৭৭ টাকা।
নতুন নির্ধারিত মূল্য অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ হাজার ১৩৯ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ১৫১ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ হাজার ৯৯৫ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ৯ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের ভরি ১ হাজার ৭১৪ টাকা কমিয়ে ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ৩৭৭ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৫ হাজার ২০৯ টাকা।
অবশ্য স্বর্ণালঙ্কার কেনার ক্ষেত্রে ক্রেতাদের এর চেয়ে বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে স্বর্ণের গহনা বিক্রি করা হয়। সে সঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় নূন্যতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের গহনা কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হবে ১ লাখ ২৩ হাজার ৩৫৮ টাকা।
স্বর্ণের দাম কমানো হলেও অপরিবর্তিত রয়েছে রূপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রূপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেট ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেট ১ হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রূপার ভরি ১ হাজার ২৮৩ টাকা নির্ধারণ করা আছে।
আরও পড়ুন:বাংলাদেশের বাজারে গত বছর প্রথমবারের মতো ল্যাপটপ নিয়ে আসে ট্রেন্ডি প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স। ইনবুক ওয়াইটু প্লাস নামের ল্যাপটপটি দিচ্ছে চমৎকার ডিজাইন, শক্তিশালী পারফরম্যান্স ও সাশ্রয়ী দামের প্রতিশ্রুতি। অল্প সময়ের মধ্যেই প্রযুক্তিপ্রেমী শিক্ষার্থী ও এক্সিকিউটিভদের নজর কাড়তে সক্ষম হয়েছে এ ল্যাপটপ।
দেখে নেওয়া যাক কী আছে ইনফিনিক্স ইনবুক ওয়াইটু প্লাস ল্যাপটপটিতে। এর ফিচার, পারফরম্যান্স ও ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতাই বা কেমন।
ডিজাইন ও গঠন
স্লিক ও হালকা ডিজাইনের ইনফিনিক্স ইনবুক ওয়াইটু প্লাস সহজেই সবার মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। শিক্ষার্থী ও ব্যস্ত এক্সিকিউটিভদের জন্য এ ল্যাপটপ যথার্থ। এর পরিচ্ছন্ন ও আধুনিক মেটালিক ডিজাইন স্থায়িত্ব নিশ্চিত করে। একই সঙ্গে দেয় প্রিমিয়াম অনুভূতি। স্লিক প্রোফাইল ও প্রাণবন্ত ডিসপ্লের সঙ্গে যুক্ত সরু বেজেল ল্যাপটপটির সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে। ফলে বাজারের একই ধরনের দামি ল্যাপটপের সমকক্ষ হয়ে ওঠে ওয়াইটু প্লাস।
তা ছাড়া এর মসৃণ এজি গ্লাস টাচ প্যানেলের কারণে সিল্কি-স্মুথ ও স্থায়ী টাচের অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। ১.৫ মিলিমিটার কি ট্র্যাভেল এবং ব্যাকলাইটিংযুক্ত রেসপনসিভ কি-বোর্ড টাইপিংকে করে তোলে সহজ ও আরামদায়ক। তাই কম আলোতেও টাইপ করতে কোনো সমস্যা হয় না।
পারফরম্যান্স ও প্রোডাক্টিভিটি
১১তম প্রজন্মের কোর আই৫ প্রসেসর ও ৮ জিবি র্যাম রয়েছে ইনফিনিক্স ওয়াইটু প্লাসে। স্টোরেজের প্রয়োজন মেটাতে এতে আছে ৫১২ জিবি এনভিএমই পিসিআইই এসএসডি। প্রোডাক্টিভিটি সফটওয়্যার, ওয়েব ব্রাউজ করা কিংবা কনটেন্ট স্ট্রিম করাসহ সব ধরনের উচ্চ চাহিদাসম্পন্ন অ্যাপ্লিকেশন চালানো যায় খুব সহজেই। এর ইন্টিগ্রেটেড ইন্টেল ইউএইচডি গ্রাফিকস সাধারণ গেমিং ও মাল্টিমিডিয়া এডিটিংয়ের জন্য স্বাচ্ছন্দ্যময় গ্রাফিকস পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। উইন্ডোজ ১১ পরিচালিত ইনফিনিক্স ইনবুক ওয়াইটু প্লাসের অপারেটিং সিস্টেম সবার পরিচিত ও ব্যবহার করা সহজ।
ডিসপ্লে ও মাল্টিমিডিয়া অভিজ্ঞতা
উজ্জ্বল রং ও ওয়াইড অ্যাঙ্গেলের সঙ্গে স্পষ্ট ও পরিষ্কার ভিজ্যুয়াল দেয় ১৫.৬ ইঞ্চি ফুল এইচডি আইপিএস ডিসপ্লেযুক্ত ইনবুক ওয়াইটু প্লাস। ৮৫ শতাংশ স্ক্রিন-টু-বডি রেশিওর সঙ্গে চমৎকার মাল্টিমিডিয়া অভিজ্ঞতার জন্য ডিসপ্লেটি দারুণ। কাজেই আপনার প্রিয় নেটফ্লিক্স সিরিজ দেখা কিংবা ফটো এডিট করা— সবই হবে স্বাচ্ছন্দ্যে।
ল্যাপটপটিতে আছে ডুয়েল এলইডি ফ্ল্যাশ ও এআই নয়েজ ক্যান্সেলেশন প্রযুক্তিযুক্ত ১ হাজার ৮০ পিক্সেলের ফুল এইচডি+ ক্যামেরা। এর ফলে ভিডিও কলের অভিজ্ঞতা হবে আরও উন্নত।
ব্যাটারি লাইফ ও চার্জিং
ইনবুক ওয়াইটু প্লাসের ৫০ ওয়াট-আওয়ার ব্যাটারি ক্যাপাসিটি কোনো চার্জ ছাড়াই প্রতিদিনের কাজে আট ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যাকআপ দিতে সক্ষম। পাশাপাশি এর ৪৫ ওয়াট টাইপ-সি পোর্টযুক্ত চার্জারে ডিভাইসটি দ্রুত ও সহজেই চার্জ করা যায়। ফলে ভারী চার্জার বহনের প্রয়োজন হয় না।
দাম
ল্যাপটপটির বর্তমান বাজারমূল্য ৫৮ হাজার ৯৯০ টাকা। অনুমোদিত ইনফিনিক্স রিটেইলার থেকে ল্যাপটপটি কেনা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য