রাজধানীর মালিবাগের ঢাকা ক্যাডেট স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী মালিহা। এই স্কুলে আর যাওয়া হবে না তার। কারণ, স্কুলটি বন্ধ হয়ে গেছে করোনার কারণে।
১৭ মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সময় মালিহা অনলাইনেও ক্লাস করেনি। পড়াশোনা করেছে বাসাতেই। এবার তাকে নতুন স্কুলে ভর্তি হতে হবে।
এখানেই জটিলতা। ঢাকা ক্যাডেট যেখানে ছিল, তার এক থেকে দেড় কিলোমিটারের মধ্যে আরও তিনটি স্কুল ছিল, যার প্রতিটিই বন্ধ হয়ে গেছে।
তাহলে মেয়ের পড়াশোনার কী হবে?
মা আফরোজা বেগম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাধ্য হয়েছি মেনে নিতে। কী করব বলেন। বছরের বাকি তিনমাস আর ওকে কোনো স্কুলে দিব না। নতুন বছরে অন্য কোথাও ভর্তি করব।’
তবে এই অন্য কোথাও ভর্তি করাটা যে সহজ হবে না, সেই বিষয়টি আফরোজা জানেন না। তার এলাকার চারটি স্কুলই বন্ধ। রাজধানীতে শিশুদেরকে দূরের স্কুলে যাওয়া-আসা করা বেশ কষ্টকর বলে বাসার পাশের স্কুলেই স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন অভিভাবকরা। তাই স্কুলের পাশেই সাধারণত বাসা নিয়ে থাকেন। ফলে মালিহার পরিবারকেও এমনটি করতে হতে পারে যদি না এই চার স্কুলের একটি চালু না হয়।
মালিবাগের এই চারটি স্কুলের মতো সারাদেশে প্রায় ১৫ হাজার কিন্ডারগার্টেন স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা জানাচ্ছে এই স্কুলগুলোর সমিতি বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। তাদের হিসেবে প্রতি চারটি স্কুলের একটির আর কোনো অস্তিত্ব নেই।
করোনার কারণে রাজধানীর মালিবাগের এই কিন্ডারগার্টেন স্কুলটির (ঢাকা ক্যাডেট স্কুল) আশপাশের দেড় কিলোমিটারে মধ্যে আরও তিনটি স্কুল বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে এ এলাকার মতো শহর অঞ্চলের হাজারো শিশুদের স্কুলে যাওয়া অনিশ্চতায় পড়তে পারে। ছবি: নিউজবাংলা
যখন স্কুল বন্ধ হয়, মাসের পর মাস খরচ মিটিয়ে সঞ্চয় বা জমিজমা বিক্রি করেও পাওনা পরিশোধ করেছেন মালিকরা। নতুন করে স্কুল চালুর সঙ্গতি নেই বহুজনের।
কিন্ডারগার্টেন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন তথ্য বলছে, সারাদেশে ৬০ হাজারের বেশি স্কুল ছিল করোনার আগে। এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারী ছিলেন ১২ লাখ। শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় ৮০ লাখ।
সারাদেশে প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা পৌনে তিন কোটির কিছু বেশি। এদের মধ্যে সরকারি স্কুলে পড়ে দুই কোটির কাছাকাছি। এদের সিংহভাগই মফস্বল ও গ্রাম এলাকার। আর বড় শহরের বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই এখন কিন্ডারগার্টেনে পড়ে। আর এরাই এখন স্কুলে ভর্তি হওয়ার সমস্যায় পড়তে যাচ্ছে।
রাজধানীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে হাতে গোণা কয়েকটি। আর তাতে নিম্ন আয়ের মানুষদের সন্তানরাই মূলত ভর্তি হয়। সেখানে পরিবেশ, অবকাঠামোগত সমস্যার কারণে মধ্যবিত্তরা তাদের সন্তানদেরকে পাঠাতে আগ্রহী হন না।
ফলে সারা দেশে প্রাথমিকে ভর্তির আসন হিসেব করলেই শিশুদের পড়াশোনার সংকট বোঝা যাবে না। শহর এলাকায় হাজার হাজার কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে লাখ লাখ শিশুর ভর্তিই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক এই বিষয়ে কথাই বলতে চান না। এর কারণ হিসেবে তিনি কিন্ডারগার্টেনের সরকারি নথিভুক্ত না থাকার কথা জানান।
তাহলে লাখ লাখ শিশুর ভর্তির সংকটকে আপনারা কি গুরুত্ব দিচ্ছেন না? এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কিন্ডারগার্টেনগুলোর কোনো সরকারি অনুমোদন নেই। তারপরও নতুন শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষার্থীদের বিষয়টি আমাদের বিবেচনায় থাকবে।’
আবার শিক্ষার্থীরা খুব একটা স্কুলে আসবে না বলে মনে করেন বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন এর মহাসচিব জি এম জাহাঙ্গীর কবির রানা।
তিনি বলেন, ‘স্কুল-কলেজ খোলার ঘোষণার পর আমরা অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। কিন্তু তেমন আশানুরূপ ফল পাচ্ছি না। কেউ বলছে ছেলেকে মাদ্রাসায় ভর্তি করেছেন, কেউবা সপরিবারে গ্রামে চলে গেছেন। আর আমাদের অনেক শিক্ষকও পেশা বদল করেছে।’
তিনি বলেন, ‘যেসব কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হয়ে গেছে সেসব স্কুলের শিক্ষার্থীরা চাইলে পাশের স্কুলে মাইগ্রেশন করতে পারে। তবে আমার মনে হয় না খুব বেশি শিক্ষার্থী মাইগ্রেশন করবে। কেননা তাহলে নতুন স্কুলে পুরো বছরের বেতন দিতে হবে।’
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভুইয়া বলেন, ‘এ বছরের বাকি কয়েকমাাসের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলায় এখন আমরা আরও বিপদে পড়েছি। কেননা অধিকাংশ অভিভাবকই বাকি কয়েক মাসের জন্য শিক্ষার্থীদের স্কুলে পাঠাবে না। আর যেসব কিন্ডারগার্টেন বন্ধ হয়ে গেছে তাদের শিক্ষার্থীরা যাতে যদি অন্য কিন্ডারগার্টেন এ ভর্তি হতে পারে সে বিষয়ে সভা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আমরা নতুন বছরকে মাথায় রেখেই আবার শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সংগ্রহে কাজ করছি।’
কিন্ডারগার্টেন ও সমমান স্কুল রক্ষা জাতীয় কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী মোহাম্মদ আবদুল অদুদ বলেন, ‘করোনার কারণে ১৭ মাস বন্ধ শুধুমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আমরা কিন্ডারগার্টেন বিদ্যালয়গুলোর দৈন্যতা নিরসনে সরকারের কাছে ১০ হাজার কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা চেয়েছি। মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে আমাদের প্রস্তাব তোলা হয়েছে ও বিশেষজ্ঞ কমিটিও গঠন করা হয়েছে। তবে আমারা এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সরকারি আশ্বাস পাইনি।’
২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়ার পর ১৭ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এরপর দফায় দফায় বাড়ানো হয় ছুটির মেয়াদ। সর্বশেষ ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছুটির মেয়াদ বাড়ানো হয়। এই ছুটি শেষে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে খুলবে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
আরও পড়ুন:গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে ভুয়া প্রবেশপত্র নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করে আটক হয়েছেন এক তরুণ। পরীক্ষা দিতে আসা প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতেই মূলত তিনি ওই কাজ করেন। ছাড়া পেতে পরে মুচলেকা দিতে হয়েছে তাকে।
গুচ্ছের বিজ্ঞান শাখার ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রে ঘটনাটি ঘটে।
আটক তরুণ সাইফুল্লাহ্ জাহান প্রিন্স ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পঞ্চম সেমিস্টারের ছাত্র।
এক পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র সংগ্রহ করে তিনি কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। কিন্তু দেখা করে বের হওয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে আটক করে।
সাইফুল্লাহ্ জানান, প্রেমিকার সঙ্গে মামা আসায় পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরে তিনি দেখা করতে পারছিলেন না। তাই তিনি ওই কাজ করেছেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আবেগের বশে ছেলেটি এ ধরনের কাজ করেছে। তবে অপরাধের জন্য তিনি লিখিতভাবে ক্ষমা চেয়েছেন। ভবিষ্যতে আর এমন কাজ করবেন না বলেও জানিয়েছেন।’
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে লিখিত প্রতিশ্রুতি (মুচলেকা) নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান প্রক্টর।
আরও পড়ুন:দেশের ২২টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ও বিবিএ প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। বিজ্ঞান শাখার এই ইউনিটের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ বছরের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা।
২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯টি কেন্দ্রে একযোগে শনিবার দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয়ে ১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টাব্যাপী এ ভর্তি পরীক্ষা চলবে।
‘এ’ ইউনিটে অংশ নিচ্ছেন ১ লাখ ৬৬ হাজার ৯৩৩ পরীক্ষার্থী। মোট আসন ৯ হাজার ৮৭৫টি। ফলে আসন প্রতি লড়বেন ১৭ পরীক্ষার্থী। সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে মোট ১০০ নম্বরের নৈর্ব্যক্তিক পরীক্ষায় প্রতি প্রশ্নের সঠিক উত্তরে নম্বর থাকবে এক। প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য কাটা যাবে দশমিক ২৫ নম্বর। ১০০ নম্বরের এ ভর্তি পরীক্ষায় পাশ নম্বর ৩০।
বরাবরের মতোই আবেদনকারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেয়ার জন্য কেন্দ্র হিসেবে পছন্দ করেছেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ৫৬ হাজার ৫৩৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেবেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, নটরডেম কলেজ, উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ, ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সরকারি বাংলা কলেজ ও গভ. কলেজ অফ অ্যাপ্লাইড হিউম্যান সায়েন্স এই আটটি উপকেন্দ্রে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এ বছর গুচ্ছের শেষ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
শনিবার সকাল ৯টা থেকেই শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রে প্রবেশ করেছে। তবে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে নির্ধারিত রুম খোলা হয়। প্রবেশপত্র ও নির্দেশিত অন্যান্য কাগজপত্র প্রদর্শন করে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। কোনো ব্যাগ, মোবাইল কিংবা ইলেকট্রনিকস ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
এদিকে বাস-ট্রাক-লেগুনা, রিক্সার কারণে সৃষ্ট এই যানজটের ফলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পৌঁছাতে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় পার্শ্ববর্তী সবগুলো রাস্তায় অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীদের ভিড়ের কারণে যান চলাচল স্থবির হয়ে পড়ে। এর ফলশ্রুতিতে মারাত্মক অসুবিধায় পড়েছে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা যাত্রীরা।
এ ছাড়াও প্রচণ্ড দাবদাহে চরম দুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীরা।
এদিকে দয়াগঞ্জ নতুন রাস্তার মোড়ে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রেললাইনের কাজ চলমান থাকায় এক লেনেই সব ধরনের যানবাহন চলাচল করছে, ফলে যাত্রাবাড়ী ও এর আশপাশের এলাকা এবং ঢাকার বাইরে থেকে যে সকল শিক্ষার্থী জবিতে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসছে, তারা দীর্ঘক্ষণ জ্যামে আটকা পড়েছেন।
ভর্তি পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের গুণতে হচ্ছে অধিক ভাড়া। তাদের অভিযোগ, ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ নিয়ে বেশ কিছু রিকশাচালক অধিক ভাড়া আদায় করছেন।
ফারুক মিয়া নামের এক রিকশাচালক বলেন, ‘১০-২০ টাকাই তো বেশি চাই। রাস্তা ঘাটে বহুত জ্যাম। একবার ভার্সিটির ওইদিক গেলে সারাদিন লাইগা যায়।’
ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের সন্তানরা জ্যামের কারণে পরীক্ষার হলে পর্যন্ত ঢুকতে পারছে না। বাস রিক্সাসহ অন্যান্য যানবাহন একেবারেই গেটের কাছে যার কারণে জ্যামে একেবারে নাজেহাল অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রচণ্ড এই গরমে এমনিতেই মানুষের এতো ভিড় তার ভিতর এই জ্যাম সত্যিই হতাশাজনক।’
ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা শিক্ষার্থী হৃদয় মিত্র বলেন, ‘পরীক্ষা শুরুর ৪ ঘণ্টা আগে মোহাম্মদপুর থেকে রওনা দিয়েছি, পরীক্ষা শুরু হতে আর ৩০ মিনিট বাকি। এই গরমে এভাবে জ্যাম ঠেলে এসে পরীক্ষা দিতে আর মনোবল থাকে না।’
গুচ্ছভুক্ত ২২টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সিলেট), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুলনা), হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (দিনাজপুর), মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (টাঙ্গাইল), নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোয়াখালী), কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুমিল্লা), জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ), যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যশোর), বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (রংপুর), পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবনা), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোপালগঞ্জ), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (বরিশাল), রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাঙ্গামাটি), রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ (সিরাজগঞ্জ), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি (গাজীপুর), শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় (নেত্রকোণা), বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (জামালপুর), পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পটুয়াখালী), কিশোরগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কিশোরগঞ্জ) এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চাঁদপুর)।
আরও পড়ুন:ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে চাকরিচ্যুত ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষক আসাদুজ্জামানকে প্রায় ছয় বছর পর পুনর্বহালের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। হাইকোর্টের আদেশে বিশ্ববিদ্যালয় এ সিদ্ধান্ত নেয়।
গত সোমবার অনুষ্ঠেয় সিন্ডিকেটের ২৫৯তম সভার ৫৫ নম্বর প্রস্তাবে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
শিক্ষক আসাদুজ্জামান ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এবং বিভাগটির সাবেক সভাপতি।
তার বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩৬তম সিন্ডিকেটে আসাদুজ্জামানকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল।
রেজিস্ট্রার সূত্র জানায়, সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের আদেশ অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে ১৬ এপ্রিল ২০১৭ থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পুনর্বহাল করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান বলেন, ‘তিনি মামলা করলে হাইকোর্ট তার পক্ষে রায় দেয়। এ জন্য তাকে পুনর্বহাল করা হয়।’
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নিজ বিভাগের ছাত্রীর সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ উঠে আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে।
২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের এক ছাত্রী তার বিরুদ্ধে উপাচার্য বরাবর এ অভিযোগ করেন।
সেই আবেদনপত্রে ওই ছাত্রী উল্লেখ করেন, তার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান আসাদ ২০১৪ সালের শুরুর দিকে তার সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তোলেন এবং নিয়মিত ফোন দিতেন।
পরে শিক্ষকের জোরাজুরিতে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং শিক্ষক তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখান।
কিন্তু পরে ওই শিক্ষক তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাচ্ছেন না।
ওই ছাত্রী আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ এনে প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি করেন।
বিষয়টি নিয়ে সে সময় জরুরি বৈঠক হয়। এতে আসাদুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়।
পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে সত্যতা মিললে বিশ্ববিদ্যালয়ের আসাদুজ্জামানকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
এ বিষয়ে আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। আমি সম্মানের সঙ্গে পদটি ফিরে পেয়েছি। তখন আমার প্রতি অবিচার করা হয়েছিল, উচ্চ আদালতে সুবিচার পেয়েছি এবং আমি যোগদান করেছি।’
আরও পড়ুন:জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আবাসিক হলগুলোতে আসন সংকট সমাধানের দাবিতে মীর মশাররফ হোসেন হলের সামনে ৪৮ ঘণ্টা ধরে অনশন করছেন এক ছাত্র।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিনি অনশন শুরু করেন।
ওই ছাত্রের নাম সামিউল ইসলাম প্রত্যয়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের ৪৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
তার দাবিগুলো হলো গণরুম বিলুপ্তি, মেয়াদোত্তীর্ণ ছাত্রদের হল ত্যাগ এবং গণরুম-মিনি গণরুমে অবস্থান করা বৈধ ছাত্রদের আসন বরাদ্দ দেয়া।
এর আগেও নিজের সিটের দাবিতে হলের অফিসের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছিলেন ওই ছাত্র। তখন ৪৪৭ নম্বর কক্ষে আসন বরাদ্দ দেয়া হয়।
এদিকে প্রত্যয়ের দ্বিতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা চলছে। আন্দোলনের পাশাপাশি তিনি পরীক্ষা দিচ্ছেন।
সামিউল ইসলাম প্রত্যয় বলেন, ‘গত দেড় বছর ধরে প্রশাসনকে এই দাবিগুলো জানিয়ে আসছি। কোনো ফল না পাওয়ায় অনশন করতে বাধ্য হয়েছি।’
এ বিষয়ে মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্ট সাব্বির আহমেদ বলেন, ‘আমরা তার দাবিগুলো শুনেছি। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে তার দাবিগুলো সমাধানের আশ্বাস দিয়েছি।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কমিটির সভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদার বলেন, ‘আমি তার দাবিগুলোর সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। একটি পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন সমস্যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমি বিষয়টি নিয়ে প্রভোস্টসহ হল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমরা চাই না বিশ্ববিদ্যালয়ে গণরুম থাকুক।’
আরও পড়ুন:দেশের ২২টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক ও বিবিএ প্রথম বর্ষের বিজ্ঞান শাখার ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শনিবার অনুষ্ঠিত হবে।
২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯টি কেন্দ্রে একযোগে দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয়ে ১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টাব্যাপী এ ভর্তি পরীক্ষা চলবে। এরই মধ্যে ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রতিটি কেন্দ্রের আসন বিন্যাসও প্রকাশ করা হয়েছে।
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক শুক্রবার নিউজবাংলাকে এসব তথ্য জানান।
উপাচার্য অধ্যাপক ইমদাদুল হক জানান, এবার ‘এ’ ইউনিটে অংশ নিচ্ছেন ১ লাখ ৬৬ হাজার ৯৩৩ পরীক্ষার্থী। মোট আসন ৯ হাজার ৮৭৫টি। ফলে আসন প্রতি লড়বেন ১৭ পরীক্ষার্থী। আসন বিন্যাস ওয়েবসাইটে দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মোট ১০০ নম্বরের নৈবত্তিক পরীক্ষায় প্রতি প্রশ্নের সঠিক উত্তরে নম্বর থাকবে এক, প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য কাটা যাবে দশমিক ২৫ নম্বর।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় লাইফ অ্যান্ড আর্থ সাইন্স অনুষদের ডিন খন্দকার মনিরুজ্জামান বলেন, বরাবরের মতোই আবেদনকারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেয়ার জন্য কেন্দ্র হিসেবে পছন্দ করেছেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ৫৬ হাজার ৫৩৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেবেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, নটরডেম কলেজ, উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ, ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সরকারি বাংলা কলেজ ও গভ. কলেজ অব অ্যাপ্লাইড হিউম্যান সায়েন্স এই আটটি উপকেন্দ্রে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এ বছর গুচ্ছের শেষ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
ভর্তি পরীক্ষার নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সকাল ৯টা থেকেই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। তবে নির্ধারিত রুম খোলা হবে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে। প্রবেশপত্র ও নির্দেশিত অন্যান্য কাগজপত্রসহ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। কোন ব্যাগ, মোবাইল কিংবা ইলেকট্রনিকস ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবেনা। ১০০ নম্বরের এ ভর্তি পরীক্ষায় পাশ নম্বর ৩০।
ভর্তি পরীক্ষার সকল তথ্য গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে (www.gstadmission.ac.bd) পাওয়া যাবে।
গুচ্ছভুক্ত ২২টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সিলেট), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুলনা), হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (দিনাজপুর), মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (টাঙ্গাইল), নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোয়াখালী), কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুমিল্লা), জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ), যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যশোর), বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (রংপুর), পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবনা), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোপালগঞ্জ), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (বরিশাল), রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাঙ্গামাটি), রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ (সিরাজগঞ্জ), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি (গাজীপুর), শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় (নেত্রকোনা), বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (জামালপুর), পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পটুয়াখালী), কিশোরগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কিশোরগঞ্জ) এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চাঁদপুর)।
ব্যাপক সমালোচনার মুখে অবশেষে রাষ্ট্রপতির নির্দেশে লিফট কিনতে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) প্রতিনিধি দলের বিদেশযাত্রা স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার দুপুরে পাবিপ্রবির জনসংযোগ দপ্তরের উপপরিচালক ফারুক হোসেন চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মহামান্য রাষ্ট্রপতির নির্দেশে পাবিপ্রবি প্রশাসন প্রতিনিধি দলের সফর স্থগিত করার সিন্ধান্ত জানিয়েছে।’
এর আগে লিফট কিনতে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশবিদ্যালয়ের ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলের তুরস্ক সফরে যাত্রার কথা জানাজানি হলে সারা দেশে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে পাবিপ্রবি সাধারণ শিক্ষক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান রিজেন্ট বোর্ড সদস্যরাও।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, ৬ জুন পাবিপ্রবির ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলের লিফট প্রাক জাহাজিকরণ পরিদর্শনে তুরস্ক যাওয়ার সফরসূচি নির্ধারিত ছিল ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মোস্তফা কামাল খানের নের্তৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ উদ্দিন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) ফরিদ আহমেদ, উপ-বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশলী (ইইই) মো. রিপন আলী, উপ-বিশ্ববিদ্যালয় প্রকৌশলী জহির মোহা. জিয়াউল আবেদীন, প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) জি এম আজিজুর রহমান।
বিষয়টি নিয়ে ব্যপক সমালোচনার মুখেও সফর বাতিল না করে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদলিপি পাঠায় পাবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার দুপুরে রাষ্ট্রপতির নির্দেশে সে সফর স্থগিতের ঘোষণা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন:
স্নাতক পাস না করেও স্নাতকোত্তরে ভর্তি এবং চূড়ান্ত পরীক্ষায় পাস করে সনদ নিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্র।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ওই ছাত্রের স্নাতকোত্তরের সনদ বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২৬তম একাডেমিক কাউন্সিলে এ সিদ্ধান্ত হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫৮তম সিন্ডিকেট সভায় এটি পাস হয়।
তবে অভিযুক্ত শামীরুল ইসলামকে বিশেষ ব্যবস্থায় পরীক্ষার সুযোগ দেয়া হয়েছে। তিনি ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।
সভায় উপস্থিত একাধিক সদস্য সূত্রে জানা যায়, সভায় সব শিক্ষকের মতামতের ভিত্তিতে মানবিক দিক বিবেচনায় বিশেষ ব্যবস্থায় শামীরুল ইসলামের স্নাতক চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়।
এ পরীক্ষায় পাস করলে আবার স্নাতকোত্তরে ভর্তি হতে পারবেন তিনি। পরীক্ষার দিনক্ষণ পরে বিভাগ থেকে জানিয়ে দেয়া হবে।
শামীরুল ইসলাম ২০১৭ সালে স্নাতক শেষবর্ষের পরীক্ষায় অংশ নেন।
পরে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে এমবিএ কোর্সে ভর্তির সুযোগ পান এবং ২০১৮ সালে তিনি ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।
কিন্তু মূল সনদ তুলতে এসে বিপাকে পড়েন শামীরুল। চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি তিনি জানতে পারেন স্নাতক শেষ বর্ষের ফলাফলে ৪১৫ নম্বর কোর্সে তিনি অকৃতকার্য হয়েছিলেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান জানান, সিন্ডিকেটে ওই ছাত্রের সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে ওই পত্রে উপাচার্য এখনও সই করেননি।
ওই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করে কর্তৃপক্ষ। তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা পায়।
শামীরুল ইসলাম বলেন, ‘মূল সনদ তুলতে গিয়ে চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি জানতে পারি স্নাতকের একটি বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছিলাম। এর আগে বিষয়টি আমাকে জানানো হয়নি। এমনকি বিভাগ থেকেও কিছু জানায়নি।’
শামীরুল দাবি করেন, ‘এর আগে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তর থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের সাময়িক সনদপত্র উত্তোলন করি। সেখানে আমাকে কৃতকার্যই দেখানো হয়। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাকে ডেকেছিল। আমি সব প্রমাণ সেখানে উপস্থাপন করি।’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, স্নাতকের পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরই স্নাতকোত্তরে পাঠদান শুরু হয়ে যায়। ফলাফল পরে প্রকাশ করা হয়।
শিক্ষার্থীদের দায়িত্ব ফলাফল পেয়ে খারাপ করা বিষয়গুলোতে মানোন্নয়ন পরীক্ষা দেয়া।
তবে অভিযুক্ত ছাত্র তার অকৃতকার্য বিষয় এড়িয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রেখেছিলেন।
আরও পড়ুন:
মন্তব্য