× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
The new board did not work on alternative ideas for CNA Familitex
google_news print-icon

নতুন পর্ষদে কাজ হয়নি, সিএনএ, ফ্যামিলিটেক্স নিয়ে বিকল্প চিন্তা

নতুন-পর্ষদে-কাজ-হয়নি-সিএনএ-ফ্যামিলিটেক্স-নিয়ে-বিকল্প-চিন্তা
ট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলে ফ্যামিলিটেক্সের কারখানা। ছবি: সংগৃহীত
বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘সিএনএ টেক্সটাইল একটি কোম্পানি কিনতে চায়। ফ্যামিলিটেক্সের জন্য ক্রেতা খোঁজা হচ্ছে। যদি না পাওয়া যায় তাহলে ভালো কোনো গ্রুপের সঙ্গে মার্জ (একীভূত) করার চেষ্টা করব।’

পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে দুটি বন্ধ প্রতিষ্ঠানে উৎপাদন শুরু আর একটি উৎপাদন শুরুর পর্যায়ে থাকলেও বস্ত্র খাতের দুই প্রতিষ্ঠান সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল ও ফ্যামিলিটেক্স নিয়ে হতাশ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।

এখন ফ্যামিলিটেক্স বিক্রি করে দিতে তারা ক্রেতা খুঁজছে। আর সিএনএ টেক্সকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আরেক কোম্পানি আলিফের সঙ্গে একীভূত করার চিন্তা করা হচ্ছে। কমপক্ষে ২ শতাংশ শেয়ার আছে, এমন ব্যক্তিদের কাছে কারখানা দুটি তুলে দেয়ার বিষয়টিও তাদের ভাবনায় আছে।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বন্ধ হয়ে যাওয়া দুটি কোম্পানির পর্ষদ ভেঙে দিয়ে দুটি কোম্পানিকে টেনে তুলতে নতুন পর্ষদকে দায়িত্ব দেয় হয়।

কোম্পানি দুটির মধ্যে ফ্যামিলিটেক্সের পরিচালকরা পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর শেয়ার বিক্রি করে উধাও হয়ে যান। অন্যদিকে সিএনএর পরিচালকরা ২০১৭ সালে কারখানা বন্ধ করে দেয়ার পর আর চালু করেননি।

কোম্পানি দুটির নতুন পর্ষদের কাছ থেকে প্রতিবেদন পেয়ে বিএসইসি প্রথমে আগের পরিচালকদের বিরুদ্ধে মামলা করার চিন্তা করেছিল। তবে সে পথে না গিয়ে এই চিন্তা করছে বলে নিউজবাংলাকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম।

সিএনএ টেক্সটাইলের যে পরিচালনা পর্ষদ ছিল, তাদের কেউ এখন দেশে নেই। আর ফ্যামিলিটেক্সের একজন পরিচালক দেশে আছেন, তিনি আবার অন্য কোম্পানির পাশাপাশি ফ্যামিলিটেক্স দেখভাল করেন।

ফলে নতুন করে কোম্পানিটি চালু করতে পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হলেও বাস্তবে এর কোনো সুফল পাওয়া যায়নি। বরং কোম্পানি দুটির জন্য দেশে সমজাতীয় পণ্য উৎপাদন করে এমন কোম্পানির সঙ্গে একত্রীকরণ বা ২ শতাংশ পর্যন্ত শেয়ার আছে এমন বিনিয়োগকারীদের কাছে কোম্পানি দুটি দিয়ে আবারও চালু করার ভাবনায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

বিএসইসির চেয়ারম্যান বলেন, ‘সিএনএ টেক্সটাইল একটি কোম্পানি কিনতে চায়। ফ্যামিলিটেক্সের জন্য ক্রেতা খোঁজা হচ্ছে। যদি না পাওয়া যায় তাহলে ভালো কোনোা গ্রুপের সঙ্গে মার্জ (একীভূত) করার চেষ্টা করব।’

নতুন পর্ষদে কাজ হয়নি, সিএনএ, ফ্যামিলিটেক্স নিয়ে বিকল্প চিন্তা
বিএসইসির চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল ইসলাম

এম খায়রুল হোসেন বিএসইসির চেয়ারম্যান থাকাকালে এই কোম্পানি দুটি তালিকাভুক্ত হয়েছিল পুঁজিবাজারে। কিন্তু প্রাথমিক গণপ্রস্তাবে টাকা তোলার পর থেকেই সেগুলো ধীরে ধীরে রুগ্ণ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়, একপর্যায়ে বন্ধ হয়ে যায়। মালিকপক্ষ আর বিএসইসির সঙ্গে কোনো যোগাযোগ রাখছে না, বিনিয়োগকারীদেরও কোনো তথ্য দিচ্ছে না। এ অবস্থায় পুঁজি হারিয়ে দিশেহারা হাজার হাজার বিনিয়োগকারী।

শিবলী রুবাইয়াতের নেতৃত্বাধীন নতুন কমিশন দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথমে আলহাজ ও পরে রিংশাইন টেক্সটাইলের পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়। দুটি কোম্পানিই উৎপাদন শুরু করেছে। আর তৃতীয় কোম্পানি হিসেবে এমারেল্ড অয়েল উৎপাদন শুরুর ঘোষণা দিয়েছিল। তবে আগের পর্ষদের ব্যাংকঋণসংক্রান্ত জটিলতার কারণে তারা শেষ পর্যন্ত উৎপাদনে আসতে পারেনি। সেই জটিলতার সমাধানেও এবার উদ্যোগী হয়েছে বিএসইসি।

ফ্যামিলিটেক্সের আদ্যোপান্ত

২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় কোম্পানিটি। ১০ টাকা মূল্যমানের সাড়ে তিন কোটি শেয়ার ছেড়ে তারা সংগ্রহ করে ৩৫ কোটি টাকা।

তালিকাভুক্তির পর ২০১২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক হিসাব পর্যালোচনা করে কোনো লভ্যাংশ দেয়নি। তবে ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত অর্থবছরের জন্য ১০০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ।

ওই বছর কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় দেখানো হয় ৭ টাকা ২৬ পয়সা আর শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য হয় ২১ টাকা ৭২ পয়সা। এই লভ্যাংশ ঘোষণার পরদিন ১ এপ্রিল কোম্পানিটির শেয়ার দর দাঁড়ায় ৬২ টাকা, যদিও একপর্যায়ে দাম ৭৪ টাকা ৮০ পয়সায় দাঁড়িয়েছিল।

বিপুল পরিমাণ বোনাস শেয়ার দেয়ার পর থেকেই ফ্যামিলিটেক্সের আয় কমতে থাকে। ২০১৫ থেকে ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত সমাপ্ত অর্থবছরে তারা সবশেষ মুনাফা করেছিল। তখন শেয়ারপ্রতি আয় হয় ৮২ পয়সা। এর পরের চার বছর ধরে লোকসান দিচ্ছে তারা।

২০১৭ সালে শেয়ারপ্রতি লোকসান হয় সাড়ে ৪ পয়সার মতো। পরের বছর লোকসান হয় ৭ পয়সা, ২০১৯ সালে লোকসান হয় ৮ পয়সা। আর ২০২০ সালে লোকসান হয় ১৫ পয়সা।

২০১৩ সালে ১০০ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ হিসেবে দেয়ার পরের বছর তারা দেয় আরও ১০ শতাংশ বোনাস। এর পরের তিন বছর দেয় ৫ শতাংশ করে। কিন্তু গত দুই বছর কোনো লভ্যাংশই দেয়া হয়নি।

অথচ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার আগে কোম্পানির আয় ক্রমেই বাড়ছিল। তালিকাভুক্তির আগে তিন বছরের আর্থিক প্রতিবেদন জমা দিতে হয় বিএসইসিতে।

সেখানে দেখা গিয়েছিল, ২০১১ ও ২০১২ সালে কোম্পানিটির মুনাফা বেড়েছিল চার গুণের বেশি। আর তালিকাভুক্ত হওয়ার বছরে মুনাফা বাড়ে আরও ৭৬ শতাংশ।

গত বছর কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি ১৫ পয়সা করে লোকসান দেয়। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিক, অর্থাৎ ছয় মাসে লোকসান দিয়েছে ১৩ পয়সার কিছু বেশি।

এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকরা আরেকটি আইনবিরুদ্ধ কাজ করেন। পুঁজিবাজারে ঘোষণা না দিয়েই উদ্যোক্তা-পরিচালকরা তাদের হাতে থাকা সিংহভাগ শেয়ার বিক্রি করে দেন।

এই বিষয়টি তদন্তে ডিসেম্বরের শেষে একটি কমিটি করে বিএসইসি। তারা কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পেরেছে কি না, সেটি এখনও জানা যায়নি। আর এ জন্য পরিচালকদের তেমন কোনো শাস্তিও পেতে হয়নি।

কোম্পানিটির ৩৫ কোটি ৪০ লাখ শেয়ারের মধ্যে এখন মাত্র ৪.০২ শতাংশের মালিক কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকরা। অথচ বিএসইসির নির্দেশনা অনুযায়ী অন্তত ৩০ শতাংশ শেয়ার ধরে রাখতে হবে মালিকপক্ষ।

এই কোম্পানির ৭৭.৫৭ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে। ক্রমাগত লোকসান দিতে থাকা কোম্পানির শেয়ার দরও একেবারে তলানিতে। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ারের সবশেষ মূল্য ২ টাকা ৮০ পয়সা।

সিঅ্যান্ডএর শুরু থেকেই জালিয়াতি

কোম্পানিটি ২০১৫ সালে পুঁজিবাজার থেকে ৪৫ কোটি টাকা সংগ্রহ শেষে একই সালের ২১ জানুয়ারি দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে শেয়ার লেনদেন শুরু করে।

২০০১ সালে মাত্র পাঁচ লাখ টাকা মূলধনের কোম্পানি ছিল সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইল। এরপর ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বরে ৯ লাখ ৯২ হাজার নতুন শেয়ার ইস্যু ও প্রাক-আইপিও প্লেসমেন্টের মাধ্যমে মূলধন বাড়ানো হয় ৯ কোটি ৯২ লাখ টাকা।

মাত্র এক মাসের ব্যবধানে একই বছরের ৩০ ডিসেম্বর আবারও নতুন শেয়ার ছেড়ে ১২০ কোটি টাকার বেশি মূলধন বাড়ানো হয়। এরপর বিএসইসির কাছে কোম্পানিটির আইপিও আবেদন জমা দেয়া হয়।

অর্থাৎ আইপিও আবেদনের আগের দুই মাসে পাঁচ লাখ টাকার কোম্পানিটি হয়ে যায় ১৩০ কোটি টাকা মূলধনের কোম্পানি। আইপিওর ৪৫ কোটি টাকা যোগ হওয়ার পর সেটি হয়ে যায় ১৭৫ কোটি টাকা মূলধনের কোম্পানি।

তালিকাভুক্তির পর তিন বছরে যথাক্রমে ১১, ১২ ও ১০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দিয়ে কোম্পানির মূলধন দাঁড়ায় ২৩৯ কোটি ৩১ লাখ টাকা।

সিঅ্যান্ডএর আরও অনিয়মের খবর সে সময় আসে গণমাধ্যমে। আইপিও আবেদনে মিথ্যা তথ্য দেয়ার সুনির্দিষ্ট তথ্য নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদনও হয়। তবে এম খায়রুল হোসেনের নেতৃত্বাধীন কমিশন এসব অভিযোগ বিবেচনায় আনেনি।

শেয়ার লেনদেন শুরুর ২৭ মাস পর অর্থাৎ ২০১৭ সালের ১ মে হঠাৎ উৎপাদন বন্ধ করে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।

যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপভিত্তিক তৈরি পোশাক ক্রেতাদের সংগঠন অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের চাহিদা অনুযায়ী কোম্পানির কারখানা সংস্কার করার কথা বলে উৎপাদন বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয় কর্তৃপক্ষ। এরপর প্রায় চার বছরেও আর উৎপাদনে ফেরেনি কোম্পানিটি।

ঘটনার পরে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি কারখানা পরিদর্শনে যায়। তবে কর্তৃপক্ষ কারখানায় ঢুকতে পারেনি বলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে (বিএসইসি) লিখিত জানায়।

তালিকাভুক্তির প্রথম দিনেই সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলের ১০ টাকার প্রতিটি শেয়ারের দাম এক লাফে ১২০ শতাংশ বেড়ে ২২ টাকায় উন্নীত হয়েছিল।

২০১৬ সালের ৩০ জুন কোম্পানির উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে শেয়ার ছিল ৩০.২৯ শতাংশ। পরে এক-চতুর্থাংশ বিক্রি করেন দেন তারা। এখন পরিচালকদের শেয়ার সংখ্যা ২২.১৪ শতাংশ।

গত জুলাইয়ে কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুখসানা মোর্শেদ, পরিচালক শারমিন আকতার ও প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালক বাংলাদেশ শু ইন্ডাস্ট্রিজকে ১৪ কোটি টাকা জরিমানা করেছিল বিএসইসি। আইন লঙ্ঘন করে কোনো ঘোষণা ছাড়া তাদের হাতে থাকা বিপুল শেয়ার বিক্রি করে দিয়ে ১২ কোটি টাকার বেশি মুনাফা করায় এ জরিমানা করা হয়। তবে সে টাকা পরিশোধ করেননি তারা।

নতুন পর্ষদে যারা আছেন

ফ্যামিলিটেক্সের জন্য বিএসইসির মনোনীত পরিচালক হলেন কাজী আমিনুল ইসলাম, ড. সামির কুমার শীল, ড. গাজী মোহাম্মদ হাসান জামিল, ড. মো. জামিল শরিফ, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরিফ এহসান এবং ড. মো. ফরজ আলী। এই ছয়জন স্বতন্ত্র পরিচালকের মধ্যে কোম্পানিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন কাজী আমিনুল ইসলাম।

আর সিঅ্যান্ডএ টেক্সটাইলের দায়িত্ব পেয়েছেন সাতজন। চেয়ারম্যান করা হয় অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব নারায়ণ চন্দ্র দেবনাথকে। অন্যরা হলেন ড. মোহাম্মদ শরিয়ত উল্লাহ, ড. এ বি এম শহীদুল ইসলাম, ড. রেজওয়ানুল হক খান, ড. এ বি এম আশরাফুজ্জামান, ড. তৌফিক ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শরীফ এহসান।

আরও পড়ুন:
‘পুঁজিবাজার অতি মূল্যায়িত নয়’
স্বল্পমূলধনী দুর্বল কোম্পানিতে বিনিয়োগ নয়: শিবলী রুবাইয়াত
পুঁজিবাজার অনেক দূর যাবে: বিএসইসি চেয়ারম্যান
‘আরও ভালো হবে পুঁজিবাজার, ভয়ে শেয়ার বিক্রি নয়’
‘সব খাত মুভিং, আর পেছনে তাকাতে হবে না’

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
DSEs humble respect to the brave martyrs

বীর শহীদদের প্রতি ডিএসইর বিনম্র শ্রদ্ধা

বীর শহীদদের প্রতি ডিএসইর বিনম্র শ্রদ্ধা ডিএসইর পক্ষ থেকে রোববার সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। ছবি: নিউজবাংলা
মহান স্বাধীনতা দিবসে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান ডিএসই’র নবনিযুক্ত পরিচালনা পর্ষদের সদস্যসহ অন্য কর্মকর্তারা।

মহান স্বাধীনতা দিবসে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) লিমিটেড।

ডিএসইর নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবুর নেতৃত্বে রোববার সকালে শহীদ বেদিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

নবনিযুক্ত পরিচালনা পর্ষদের সদস্য অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, মো. আফজাল হোসেন, রুবাবা দৌলা, ডিএসইর শেয়ারহোল্ডার পরিচালক মো. শাকিল রিজভী, শরীফ আনোয়ার হোসেন ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) এম. সাইফুর রহমান মজুমদার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএসই’র প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা সাত্তিক আহমেদ শাহ, প্রধান রেগুলেটরি কর্মকর্তা খাইরুল বাসার, সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মো. ছামিউল ইসলাম, সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার, কোম্পানি সচিব মোহাম্মদ আসাদুর রহমান, উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. শফিকুর রহমান প্রমুখ।

আরও পড়ুন:
প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের অভাবে পুঁজিবাজারের সংকট: সালমান এফ রহমান
১৭ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন ডিএসইতে
নামমাত্র লেনদেনে সূচকের উত্থান
বিনিয়োগ সীমার নিচের ব্যাংকগুলোতে কঠোর হচ্ছে বিএসইসি
রমজানে পুঁজিবাজারে লেনদেনের নতুন সময়সূচি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Capital market crisis due to lack of institutional investment Salman F Rahman

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের অভাবে পুঁজিবাজারের সংকট: সালমান এফ রহমান

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগের অভাবে পুঁজিবাজারের সংকট: সালমান এফ রহমান রাজধানীতে ২০২৩-২৪ প্রাক-বাজেট আলোচনায় বুধবার প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান। ছবি: নিউজবাংলা
‘আমাদের ক্যাপিটাল মার্কেটের একটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্ট্রাকচারাল ডিফেট (কাঠামোগত দুর্বলতা) রয়ে গেছে। আমরা অনেকেই অনেক কথা বলি কিন্তু এসব দুর্বলতা সমাধানে যেসব কাজ করা দরকার আমরা তা করছি না।’

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ না থাকাকে দেশের পুঁজিবাজারের চলমান তারল্য সংকটের মূল কারণ হিসেবে দেখছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান (সালমান এফ রহমান)।

তিনি বলেন, ‘আমাদের ক্যাপিটাল মার্কেটের একটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্ট্রাকচারাল ডিফেট (কাঠামোগত দুর্বলতা) রয়ে গেছে। আমরা অনেকেই অনেক কথা বলি কিন্তু এসব দুর্বলতা সমাধানে যেসব কাজ করা দরকার আমরা তা করছি না।’

বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই), দৈনিক সমকাল এবং চ্যানেল ২৪-এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ২০২৩-২৪ প্রাক-বাজেট আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সালমান এফ রহমান।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি এ বিনিয়োগ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি এনালাইসিস করে দেখেছি যে, আমাদের দৈনিক যে লেনদেন এতে ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ হচ্ছে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের। আর ৫ থেকে ১০ শতাংশ হচ্ছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী। আইসিবি টোটালি ইনঅ্যাকটিভ (নিষ্ক্রিয়), এছাড়া সিটি ব্যাংক ও অন্যান্য বিনিয়োগকারী ব্যাংক রয়েছে তারা দৈনিক লেনদেনের ৫ শতাংশ অংশগ্রহণ করছে। মূল সমস্যাটা এই জায়গাতেই।’

তিনি বলেন, ‘অন্যান্য দেশের ফ্রন্টিয়ার মার্কেটে দৈনিক লেনদেনে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর অংশগ্রহণ থাকে ৯০ শতাংশ আর ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী থাকে ১০ শতাংশ।’

সালমান এফ রহমান বলেন, ‘আমি আজকেও এটা শুনেছি যে, কথার কথায় সবাই বলে ছোট বিনিয়োগকারীদের আমাদের বাঁচাতে হবে। ছোট বিনিয়োগকারীকে রক্ষা করা তো সরকারের দায়িত্ব না। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের এখানে বিনিয়োগ করাই উচিত না। তাদের উচিত প্রাতিষ্ঠানিক মাধ্যমে বিনিয়োগ করা।

‘এখানে আমরা শুধু ব্রোকারকে ব্যবহার করি মধ্যস্থতাকারী হিসেবে, কিন্তু বিনিয়োগের সিদ্ধান্তগুলো একজন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী হিসেবে আমি নিজে নিচ্ছি। আর যখনই আমার ভুলের কারণে আমি লস করি তখন দায়িত্বটা সরকারে হয়ে যাবে। বাহ খুব সুন্দর।’

প্রধানমন্ত্রীর এ উপদেষ্টা বলেন, ‘এই স্ট্রাকচারাল ডিফেটটা (কাঠামোগত দুর্বলতা) যদি আমরা না ঠিক করতে পারি, তাহলে আমাদের পুঁজিবাজার বড় করা অনেক বেশি কষ্টসাধ্য হয়ে যাবে।’

সালমান এফ রহামন বলেন, ‘মুদ্রাস্ফীতি বিশ্বব্যাপী সমস্যা। রিজার্ভের সমস্যা সমাধানে আমরা আমদানি কমাতে সক্ষম হয়েছি। আগামী জুনে রিজার্ভ নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে। বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে, আইএমএফ ঋণ দেবে না বিভিন্ন আশঙ্কা করেছিলেন অনেকে। কিন্তু আইএমএফ থেকে ঋণ পাওয়া গেছে। প্রথম দফায় ঋণ ছাড়ও হয়েছে। ব্যাংক সুদের হার সীমা তুলে দেওয়া হচ্ছে। ম্যাক্রো ইকোনমিতে চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তবে আমরা সঠিক পথেই আছি।’

তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজার চাঙা করতে বন্ড মার্কেটকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। সব পণ্যে প্রণোদনা দিতে হবে। আমরা অনেক দেশ, এমনকি উন্নত দেশের তুলনায় ভালো আছি। বেসরকারি খাতের সহযোগিতায় আমরা অনেক ভালো পজিশনে আছি। কৃষি, প্রবাসী আয় ও রপ্তানি খাতের কারণে আমাদের পজিশন ধরে দেখতে পেরেছি।’

সালমান এফ রহমান বলেন, ‘ট্যাক্স জিডিপি অনুপাত বিশ্বের মধ্যেই কম। ট্যাক্স নেট ও জিডিপি বাড়াতে হলে অটোমেশনের বিকল্প নেই। কাঠামোগত সমস্যা আছে, তা হচ্ছে পরোক্ষ করের নির্ভরশীলতা। এটা কমাতে হবে। প্রত্যক্ষ কর বাড়াতে হবে। বড় সমস্যা হচ্ছে আমরা এখনো রাজস্ব আদায়ে কাস্টমসের নির্ভরতা বেশি। এটা কমাতে হবে।

‘ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন যদি ২০১৪ সালে করতে পারতাম তাহলে এই সেক্টর নিয়ে এতো প্রশ্ন উঠতো না। কর আইন সহজ করতে হবে। কর নেট বৃদ্ধির কথা বলি, কিন্তু ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা কর দিতে চায় না। এটাই বাস্তবতা। সবাই করের আওতায় না এলে করনেট বৃদ্ধি কীভাবে হবে? ব্যবসায় লাভ করছে, কিন্তু কর দিতে সমস্যা কোথায়? সব জায়গায় কর অব্যাহতি দিলে কর কোথা থেকে আসবে।’

মেনমেইড ফাইবারে কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা এখন হঠাৎ ঘুম থেকে উঠে মেনমেইড ফাইভার মেনমেইড ফাইভার শুরু করেছি। এতদিন আমরা কী করলাম? ইয়াংওয়ান ২০ বছর আগে এগুলো করেছে। বর্তমানে তারা বিলিয়ন ডলারের মেনমেইড করতেছে, তাদের কি ইনসেন্টিভ দেয়া হইছে? তাহলে আমরা কেন এতদিন বসে রইলাম?’

ডিসিসিআই সভাপতি সামীর সাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, এফবিসিসিআই’র সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, সাবেক সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম (মহিউদ্দিন) উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
১৭ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন ডিএসইতে
নামমাত্র লেনদেনে সূচকের উত্থান
বিনিয়োগ সীমার নিচের ব্যাংকগুলোতে কঠোর হচ্ছে বিএসইসি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Minimum transaction within 17 working days on DSE

১৭ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন ডিএসইতে

১৭ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন ডিএসইতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বুধবার সব সূচকের পতন হয়। ফাইল ছবি
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে বুধবার সব সূচকের পতন হয়। আজ প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ১৬ দশমিক ২৬ পয়েন্ট হারায়।

দেশের পুঁজিবাজারে সপ্তাহের চতুর্থ কর্মদিবস বুধবার সূচক ও লেনদেনে ভাটা পড়েছে। আজ সূচক কমার সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণও।

প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বুধবার সব সূচকের পতন হয়। আজ প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ১৬ দশমিক ২৬ পয়েন্ট হারায়। সূচকটি অবস্থান নেয় ৬ হাজার ২০৬ পয়েন্টে।

‘ডিএসইএস’ ৩ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ সূচক ৫ দশমিক ১৮ পয়েন্ট কমেছে।

সূচকের পতনের সঙ্গে ডিএসইতে লেনদেনও কমে। আজ ৩২৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়, যা গত ১৭ কর্মদিবসের মধ্যে সর্বনিম্ন।

ডিএসইতে ৩১২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়। এর মধ্যে ২১৩টি কোম্পানির শেয়ারদরই ছিল অপরিবর্তিত। দর বেড়েছে ১৭ কোম্পানির, বিপরীতে ৮২ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে।

অপর বাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়। সিএসইতে ৭ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।

আরও পড়ুন:
সপ্তাহের শেষ দিনে সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেন
ডিএসইর সা‌বেক পরিচালক গোলাম রসুলের মৃত্যু
ডিএসইতে লেনদেন ৭০০ কোটি ছাড়াল
সূচকের সামান্য পতনে লেনদেন শেষ পুঁজিবাজারে
ডিএসইতে সূচকের পতন, লেনদেন ৪৫০ কোটির বেশি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Rise of index in nominal transactions

নামমাত্র লেনদেনে সূচকের উত্থান

নামমাত্র লেনদেনে সূচকের উত্থান ফাইল ছবি।
ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার ৩৪৯ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা বেশি। আর এই সামান্য লেনদেন বৃদ্ধিতেও আগের দিনের সূচকের সঙ্গে যোগ হয়েছে ১৮ দশমিক ৭২ পয়েন্ট।

দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে মঙ্গলবার নামমাত্র লেনদেনে সূচকের উত্থান হয়েছে।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, এদিন ৩৪৯ কোটি ৬১ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে ৪ কোটি ৯৫ লাখ টাকা বেশি। আর এই সামান্য লেনদেন বৃদ্ধিতেও আগের দিনের সূচকের সঙ্গে যোগ হয়েছে ১৮ দশমিক ৭২ পয়েন্ট। বর্তমানে ডিএসইএক্স অবস্থান করছে ৬ হাজার ২২২ পয়েন্টে।

জানা গেছে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৩৫৫ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২ হাজার ২২০ পয়েন্টে।

এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩২৫ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৮৭টির, কমেছে ১৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২২৪টির।

অপর শেয়ারবাজার চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৫৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৩৮২ পয়েন্টে। সিএসইতে ১৫৭টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫০টির দর বেড়েছে, কমেছে ১২টির এবং ৯৫টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

সিএসইতে ১২ কোটি ২৯ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

আরও পড়ুন:
বিনিয়োগ সীমার নিচের ব্যাংকগুলোতে কঠোর হচ্ছে বিএসইসি
রমজানে পুঁজিবাজারে লেনদেনের নতুন সময়সূচি
পুঁজিবাজার: এক মাস পর লেনদেন ফের ৩০০ কোটির ঘরে
সূচকের সঙ্গে কমেছে লেনদেনও
সপ্তাহের শেষ দিনে সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেন

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The financial condition of the countrys banks is actually worse

‘দেশের ব্যাংকগুলোর আর্থিক অবস্থা বাস্তবে আরও খারাপ’

‘দেশের ব্যাংকগুলোর আর্থিক অবস্থা বাস্তবে আরও খারাপ’ পল্টনে সিএমজেএফ কার্যালয়ে সোমবার আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন এফআরসি চেয়ারম্যান মো. হামিদ উল্লাহ ভূঁঞা। ছবি: নিউজবাংলা
এফআরসি চেয়ারম্যান মো. হামিদ উল্লাহ ভূঁঞা বলেন, ‘আইএফআরএস হচ্ছে হিসাব রক্ষণের আন্তর্জাতিক নিয়ম। বাংলাদেশেও আইএফআরএস ৯-এর নিয়ম মেনে হিসাব রাখার কথা। কিন্তু দেশের ব্যাংক খাতে তা মানা হচ্ছে না। বাংলাদেশে আইএফআরএস-এর সব আইন মানলে ব্যাংকের সম্পদ ৪০ শতাংশ অবলোপন করতে হবে বা কমে যাবে।’

বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো তাদের খেলাপি ঋণের হিসাব ঠিকমতো দেখাচ্ছে না। খেলাপি ঋণ হিসাবের আন্তর্জাতিক আইন মানা হলে ব্যাংকগুলোর সম্পদ আরও কম হতো। কিন্তু ব্যাংকগুলো সেই আইন না মেনে নিজেদের সম্পদ বাস্তবের চেয়ে বেশি দেখাচ্ছে।

ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের (এফআরসি) চেয়ারম্যান মো. হামিদ উল্লাহ ভূঁঞা সোমবার এক আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

পুঁজিবাজারভিত্তিক সাংবাদিকদের সংগঠন ক্যাপিট্যাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরাম (সিএমজেএফ) দেশের পুঁজিবাজার নিয়ে ‘সিএমজেএফ টক’ শীর্ষক এই আলোচনার আয়োজন করে।

হামিদ উল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশে আইএফআরএস মেনে হিসাব রাখার কথা। কিন্তু দেশের ব্যাংক খাতে আইএফআরএস ৯-এর নিয়ম মানা হচ্ছে না। বাংলাদেশে আইএফআরএস-এর সব আইন মানলে ব্যাংকের সম্পদ ৪০ শতাংশ অবলোপন করতে হবে বা কমে যাবে।

‘আইএফআরএস হচ্ছে হিসাব রক্ষণের আন্তর্জাতিক নিয়ম। এই নিয়মগুলো বিশ্বের সব দেশের কোম্পানি মেনে চলে, যাতে আর্থিক প্রতিবেদনগুলো স্বচ্ছ হয়।

‘আইএফআরএস-এর ৯ নম্বর আইনটিতে বলা আছে- কিভাবে একটি কোম্পানি তাদের আর্থিক দায় ও আর্থিক সম্পদের হিসাব রাখবে। ব্যাংক যে ঋণগুলো দেয় সেগুলো তাদের হিসাব বইয়ে আর্থিক সম্পদ হিসেবে থাকে। আন্তর্জাতিক মান ব্যবহার করলে এই ঋণ বা আর্থিক সম্পদ অনেক কম দেখাতে হতো।’

এফআরসি চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের আর্থিক প্রতিবেদনে জালিয়াতি ঠেকাতে ২০১৫ সালে গড়ে তোলা হয় ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল (এফআরসি)। এখন যদি কোনো হিসাব নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান আর্থিক প্রতিবেদনে জালিয়াতি করতে সাহায্য করে তাকে শাস্তির আওতায় আনা যায়।

‘এ মুহূর্তে আইএফআরএস-এর ৯ ধারা বাস্তবায়ন করা হলে ব্যাংকের সম্পদ ৪০ শতাংশ রাইট অফ (অবলোপন) করতে হবে। আমরা চাই এটি বাস্তবায়ন করা হোক। তাহলে ব্যাংকের প্রকৃত চিত্র উঠে আসবে।’

রাজধানীর পল্টনে সিএমজেএফ-এর নিজস্ব কার্যালয়ে এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফোরামের সভাপতি জিয়াউর রহমান। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবু আলী।

হামিদ উল্লাহ ভূঁঞা বলেন, ‘খেলাপি ঋণ বছরের পর বছর টেনে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে। এই টাকা কি কখনো ফেরত পাওয়া যাবে? ব্যাংকগুলো যদি আদায় করতে সক্ষম হয় তাহলে সমস্যা নেই। তবে আমাদের দেশের সংস্কৃতিতে দেখি খেলাপি ঋণ আদায় করা যায় না। বরং ২ শতাংশ জমা দিয়ে এগুলোকে আবার নিয়মিত ঋণে কনভার্ট করা হয়।

‘এ ২ শতাংশ দিয়ে তো ইন্টারেস্ট (সুদ আয়) আসে না। কারণ ইন্টারেস্ট তার চেয়ে অনেক বেশি। অথচ রি-সিডিউল করে রেগুলার করা হচ্ছে। আর ওই ঋণখেলাপি তখন আরেক ব্যাংকে গিয়ে লোন নিচ্ছে।’

হামিদ উল্লাহ বলেন, ‘আমি মনে করি আইএফআরএস-৯ বাস্তবায়ন করা হোক। ব্যাংকের সব ফিগার রিটার্ন অফ করে ব্যাংক একটি সেটেলড পজিশনে আসুক। কিন্তু সম্ভব না। আমি অনেকবার চেষ্টা করেছি। বাংলাদেশ ব্যাংক এটা মেনেই নিচ্ছে না।’

এফআরসিতে নিবন্ধিত হতে হবে অডিটরদের

আগামী ৩০ মে-র মধ্যে অডিটরদের এফআরসিতে নিবন্ধিত হতে হবে। কোনো অডিটর নিবন্ধিত না হলে তিনি তালিকাভুক্ত কোম্পানিসহ জনস্বার্থ-সংশ্লিষ্ট কোনো প্রতিষ্ঠান অডিট করতে পারবে না।

এফআরসি চেয়ারম্যান বলেন, কোনো কোম্পানির রাজস্ব ৫০ কোটি টাকা বা তার বেশি হলে, সেই কোম্পানি জনস্বার্থ-সংশ্লিষ্ট কোম্পানি হিসেবে বিবেচিত হবে।

এ ধরনের প্রতিষ্ঠান আছে ৩ হাজার চার শ’র মতো। এর বাইরে আড়াই হাজারের মতো ক্ষুদ্র ঋণ দেয়া প্রতিষ্ঠান আছে। এগুলোও জনস্বার্থ-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচিত হবে। সব মিলিয়ে সাড়ে ৫ হাজারের মতো প্রতিষ্ঠান জনস্বার্থ-সংশ্লিষ্ট হিসেবে বিবেচিত হবে। কোনো অডিটর এফআরসিতে তালিকাভুক্ত না হলে এসব প্রতিষ্ঠান অডিট করতে পারবে না।

নিয়ম মানছে না বিমা কোম্পানি

হামিদ উল্লাহ ভূঁইয়া বলেন, ‘জীবন বিমা কোম্পানিগুলো কখনও প্রফিট অ্যান্ড লস অ্যাকাউন্ট করে না। তারা একটা অ্যাকাউন্ট করে, সেটি হলো রেভিনিউ অ্যাকাউন্ট। কিন্তু আইএএস ১-এ স্পষ্ট বলা আছে, আপনার কোম্পানির নেচার যাই হোক না কেন প্রফিট অ্যান্ড লস অ্যাকাউন্ট করতে হবে। কিন্তু এরা তা করে না। এমনকি আমরা চিঠি দিলে রেসপন্সও করে না।

‘অন্যান্য রেগুলেটর কিছুটা হলেও রেসপন্স করে। এই একটা সেক্টর, যেখান থেকে আমরা আজ পর্যন্ত কোনো রেসপন্স পাইনি।’

এফআরসিকে শক্তিশালী করা হচ্ছে

হামিদ উল্লাহ ভূঁঞা বলেন, এফআরসিতে জনবল নিয়োগ দেয়ার পর আমি প্রথম হাত দেব ক্যাপিটাল মার্কেটে। আমি ক্যাপিটাল মার্কেটের কোম্পানিগুলোর আর্থিক প্রতিবেদনের স্বচ্ছতার অবস্থা দেখতে চাই। ক্যাপিটাল মার্কেটের কোম্পানিগুলোর আর্থিক প্রতিবেদনে যদি ম্যানিপুলেশন হয় তাহলে অনেক মার্জিনাল ইনভেস্টর ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
BSEC is cracking down on banks below the investment limit

বিনিয়োগ সীমার নিচের ব্যাংকগুলোতে কঠোর হচ্ছে বিএসইসি

বিনিয়োগ সীমার নিচের ব্যাংকগুলোতে কঠোর হচ্ছে বিএসইসি
বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানিগুলো একক হিসাবে মূলধনের সর্বোচ্চ ২৫% ও সাবসিডিয়ারিসহ সমন্বিতভাবে ৫০% শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু অনেক ব্যাংক এর ধারে কাছেও নেই। অথচ ওইসব প্রতিষ্ঠানগুলো শেয়ারবাজার থেকে নিয়মিত অর্থ উত্তোলন করে ব্যবসার পরিধি বাড়িয়ে থাকে।

বিনিয়োগ সীমার অনেক নিচে বা তুলনামূলক সক্ষমতার কম শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা ব্যাংকগুলোর ওপর কঠোর হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এলক্ষ্যে মঙ্গলবার থেকে চিঠি ইস্যু করা হবে।

শেয়ারবাজারে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের মাধ্যমে সহায়তার প্রত্যাশা থাকে। কিন্তু ফেব্রুয়ারির তথ্য অনুযায়ী, অনেক ব্যাংকের বিনিয়োগ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সীমার তুলনায় কম। এই অবস্থায় ওইসব ব্যাংকগুলোকে বিনিয়োগে আনার জন্য পদক্ষেপ নিতে চিঠি ইস্যু করা হবে।

বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, ব্যাংক ও লিজিং কোম্পানিগুলো একক হিসাবে মূলধনের সর্বোচ্চ ২৫% ও সাবসিডিয়ারিসহ সমন্বিতভাবে ৫০% শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু অনেক ব্যাংক এর ধারে কাছেও নেই। অথচ ওইসব প্রতিষ্ঠানগুলো শেয়ারবাজার থেকে নিয়মিত অর্থ উত্তোলন করে ব্যবসার পরিধি বাড়িয়ে থাকে।

এবার তাতে অনীহা প্রকাশ করতে যাচ্ছে বিএসইসি।

বিএসইসির একটি সূত্রে জানা গেছে, শেয়াবাজার থেকে অর্থ নিয়ে ব্যাংকগুলো বড় হচ্ছে। কিন্তু শেয়ারবাজারে তাদের বিনিয়োগে অনীহা। তাই ওইসব প্রতিষ্ঠানের বন্ডেও অনীহা প্রকাশ করবে বিএসইসি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, কমিশন নিয়মিতভাবে ব্যাংকের শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের বিষয়টি তদারকি করে। কিন্তু গত ফেব্রুয়ারির তথ্য অনুযায়ি অনেক ব্যাংকের বিনিয়োগ সক্ষমতার বা বিনিয়োগ সীমার তুলনায় কম। কিন্তু শেয়ারবাজারের সহায়তায় ব্যাংকের বিনিয়োগ প্রত্যাশা করা হয়। যে প্রত্যাশা পূরণে ব্যাংকগুলোকে বিনিয়োগে আনতে চিঠি দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, যেসব ব্যাংক শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সীমার অনেক তলনাতি বা তুলনামূলক কম বিনিয়োগ, সেসব কোম্পানির পারপিচ্যুয়াল ও সাবঅর্ডিনেটেড বন্ডে অনুমোদনের ক্ষেত্রে ধীরগতি নীতি অনুসরন করা হবে। আর যেসব প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ সীমার কাছাকাছি বিনিয়োগ, সেগুলোকে সুপার ফাস্ট (দ্রুত গতিতে) বন্ডের অনুমোদন দেওয়া হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
New schedule of trading in stock market during Ramadan

রমজানে পুঁজিবাজারে লেনদেনের নতুন সময়সূচি

রমজানে পুঁজিবাজারে লেনদেনের নতুন সময়সূচি বাংলাদেশে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ভবন। ছবি: নিউজবাংলা
সোমবার বিএসইসির সহকারি পরিচালক মোসাভীর আল আশিকের সই করা এক চিঠিতে জানানো হয়েছে, রমজানে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা ২০ মিনিট পর্যন্ত দেশের দুই শেয়ারবাজার-ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হবে। আর ক্লোজিং সেশন থাকবে ১টা ২০ মিনিট থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।

আসন্ন পবিত্র মাহে রমজানে দেশের পুঁজিবাজারে লেনদেনের নতুন সময়সূচি নির্ধারণ করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সোমবার বিএসইসির সহকারি পরিচালক মোসাভীর আল আশিকের সই করা এক চিঠিতে জানানো হয়েছে, রমজানে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা ২০ মিনিট পর্যন্ত দেশের দুই শেয়ারবাজার-ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) লেনদেন হবে। আর ক্লোজিং সেশন থাকবে ১টা ২০ মিনিট থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।

ওই চিঠিটি উভয় স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) কাছে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে সিডিবিএল ও সিসিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বিএমবিএ, ডিবিএ, এএএমসি এবং সিএমএসএফের চেয়ারম্যান কাছে পাঠানো হয়েছে। এর কপি বিএসইসির কমিশনার, পরিচালক ও চেয়ারম্যানের পিএসের কাছেও দেয়া হয়েছে।

স্বাভাবিক সময়ে শেয়ারবাজারে সকাল ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত লেনদেন অনুষ্ঠিত হয়।

আরও পড়ুন:
সূচকের সামান্য পতনে লেনদেন শেষ পুঁজিবাজারে
ডিএসইতে সূচকের পতন, লেনদেন ৪৫০ কোটির বেশি
পুঁজিবাজারে অস্থিরতা নিরসনে বিনিয়োগকারীদের ১২ দাবি
আসিফ ইব্রাহিম সিএসইর চেয়ারম্যান পুনর্নির্বাচিত
পুঁজিবাজার জোর করে ভালো রাখার উদ্যোগ ভেস্তে গেছে

মন্তব্য

p
উপরে