বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সভাপতি রাজীব আহসানকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, ‘বুধবার রাত ১১টা ১৫ মিনিটে সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে রাজধানীর রাইফেলস স্কয়ারের সামনে থেকে তুলে নিয়ে গেছে।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কবজায় নিয়ে গণতান্ত্রিক আচার-আচরণের তোয়াক্কা না করে ক্ষমতার দম্ভে অগণতান্ত্রিক পন্থায় দেশ শাসন করছে। জনগণকে উপেক্ষা করে দেশ শাসনের ফলে বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার জনগণ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের ধারাবাহিকভাবে অপহরণ করে গুম করা হচ্ছে, গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আর এরই অংশ হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সাবেক সভাপতি রাজীব আহসানকে সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোকেরা তুলে নিয়ে গেছে।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘গভীর উদ্বেগের বিষয় এই যে, তাকে গ্রেপ্তারের কথা অস্বীকার করা হচ্ছে এবং এখনও পর্যন্ত তার কোনো সন্ধান দেয়া হচ্ছে না। সরকার জনগণকে ভয় পাইয়ে দিয়ে দেশে ফ্যাসিবাদী শাসন চালু রাখতেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে বিরোধী নেতাকর্মীদের হত্যা, অপহরণ ও গুমের মাধ্যমে ভয়ংকর কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখেছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি অবিলম্বে রাজীব আহসানকে সুস্থ অবস্থায় জনসমক্ষে হাজির করে তার পরিবারের নিকট ফিরিয়ে দেয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।’
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় ৯ নেতাকে দল থেকে আজীবন বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত চিঠি পাঠিয়ে তাদেরকে বহিষ্কার করা হয়। শনিবার রাতে স্ব স্ব নেতাদের নামে বহিষ্কারের চিঠি পাঠানো হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মিল্টন।
বহিষ্কৃত নেতারা হলেন- খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ সাজ্জাদ হোসেন তোতন, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আশফাকুর রহমান কাকন, মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুব কায়সার, ৩০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী ও সাবেক কাউন্সিলর আমান উল্লাহ আমান, সংরক্ষিত ৯ নম্বর ওয়ার্ড মহানগর বিএনপির সাবেক মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মাজেদা খাতুন, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাজী ফজলুল কবির টিটো ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মুশফিকুস সালেহীন পাইলট, মহানগর তাঁতী দলের যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার মাতুব্বর, সাবেক ছাত্রদল নেতা ইমরান হোসেন। তারা কেসিসির বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন।
চিঠিতে পাঠানো বহিষ্কারাদেশে বলা হয়েছে, বিএনপি এ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। অথচ আপনি দলের একজন সদস্য হয়ে ব্যক্তিস্বার্থ চিন্তা করে এ সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করেছেন। ১ জুন আপনাদের কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হলে নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হলেও নোটিশের জবাব দেননি, যা গুরুতর অসাদাচারণ। এহেন অবজ্ঞা ও ঔদ্ধাত্যের জন্য বিএনপির গঠনতন্ত্রের বিধান অনুযায়ী দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ দলের সকল পদ থেকে আপনাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হল।’
বিরোধী দলের রাজনীতিকদের মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেয়ার চক্রান্ত শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘এই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়ার মাধ্যমে। উদ্দেশ্য, আদালতকে ব্যবহার করে বিরোধী দলের নেতাদের সরিয়ে দিতে পারলে সরকারি দল নির্বাচনে ফাঁকা মাঠ পেয়ে যাবে।’
রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শনিবার বিকেলে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের বিরুদ্ধে মামলার রায়ে সাজা প্রদানের প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি।
সরকারি দলকে উদ্দেশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিরোধী দলের নেতাদের সরিয়ে দিয়ে নির্বাচনে ফাঁকা মাঠ পাওয়ার সেই আশার গুঁড়ে বালি, সেটা হবে না। এ দেশের মানুষ সেটা কখনোই হতে দেবে না। মানুষ জেগে উঠেছে। যতই অত্যাচার-নির্যাতন চালানো হোক, জনগণ সবরকম ত্যাগ স্বীকার তাদের অধিকার আদায় করে নেবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা (সরকার) বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে ১ হাজার ২৭৫টি মামলা নির্ধারণ করেছে। সেই মামলাগুলোতে দ্রুত সাজা দিয়ে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেয়ার চক্রান্ত শুরু হয়েছে। ইকবাল হাসান মাহমুদ ও আমান উল্লাহ আমানের বিরুদ্ধে সাজার রায় তারই প্রথম পদক্ষেপ।’
বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ দলীয়করণ করা হয়েছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ইকবাল হাসান মাহমুদ ও আমান উল্লাহ আমান এই হাইকোর্ট থেকেই বেকসুর খালাস পেয়েছিলেন। সেই রায় বাতিল করে পুনরায় সে মামলা পুনরুজ্জীবিত করে অতি দ্রুত তাদের আবার সাজা দেয়া হয়েছে। অথচ একই ধরনের মামলায় আওয়ামী লীগের মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী, মহীউদ্দীন খান আলমগীর, মোহাম্মদ নাসিম বেকসুর খালাস হয়ে গেছেন।’
‘গরিব মারার বাজেট’
২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের সমালোচনা করেন মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সরকার বাজেটের নামে জনগণের সঙ্গে মশকরা করেছে। এই বাজেটে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাধারণ মানুষ, গরিব মানুষ। এটা গরিব মারার বাজেট।
‘বাজেটে গরিব মানুষের চাল, ডাল, তেল ও কৃষকের সারের দাম কমানোর কথা নেই। যারা আওয়ামী লীগের লোক, যারা চুরি-ডাকাতি করে টাকা বানিয়েছে তাদের কতটা রেয়াত দেয়া যাবে, কী করে সুবিধা দেয়া যাবে, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতির উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একটা ব্যাপারে তাদের মাথা বেশ গরম হয়েছে। বিভিন্নভাবে বলার চেষ্টা করছে, এটা নাকি তাদের (সরকার) কোনো সমস্যা না। তাদের যদি সমস্যা না হয় তাহলে এল কেন? যুক্তরাষ্ট্র যে ভিসা নীতি দিয়েছে, তা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য মর্যাদাকর নয়।’
সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘এখনও সময় আছে, ক্ষমতা ছেড়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। পেছনে আজরাইল দাঁড়িয়ে গেছে, আপনাদের সময় শেষ।’
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। আওয়ামী লীগ পালানোর পথ পাবে না।’
স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকার মরণ কামড় দেবে। আর আমরাও মরণ কামড় দেবো তাদের বিদায় করতে। আগামী ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত আন্দোলনের ঘোষণা আসবে।’
স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আন্দোলন এবং নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, গ্রেপ্তার ও জেলে পাঠানো হচ্ছে।’
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম।
আরও পড়ুন:বিএনপির ভোট বর্জনের সিদ্ধান্তের পরও সিটি নির্বাচনে নিজের প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করার কারণ জানিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল আহসান রুপন। দলটির দেয়া কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাবে তিনি তা জানিয়েছেন।
এসময় মহানগর বিএনপির আহবায়ক কমিটির নেতৃবৃন্দকে দোষারোপ করেছেন রুপন। মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচনে অংশ নেয়া ও প্রত্যাহারের বিষয়ে কেউ কখনও যোগাযোগ করেনি বলে অভিযোগ তার।
তিনি জানান, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির বেঁধে দেয়া সময়সীমা শুক্রবার রাত ১০টার মধ্যেই শোকজের জবাব দিয়েছেন তিনি।
নোটিশের জবাবে রুপন উল্লেখ করেন, ‘বরিশাল সিটি নির্বাচনের প্রার্থীতা ঘোষণার পর গণমাধ্যমে এই মর্মে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয় যে আমি বিএনপির কেউ নই। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া আমার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয় বলে উল্লেখ করা হয়। তারপরও আমি সবসময় মিডিয়ায় বক্তব্য দিয়েছি, বিএনপির পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা আসলে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করব।’
বর্তমানে তিনি কোনো সাংগঠনিক পদে নেই জানিয়ে বলেন, ‘এখন প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সুযোগ নেই। তবে দল যে সিদ্বান্ত দেবে, তা মেনে নেব।’
বরিশাল সিটি নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে মেয়র পদের রুপনসহ সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদের ১৯ জনকে শোকজ দেয় বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি।
২৪ ঘন্টার মধ্যে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত ওই নোটিশের জবাব দিতে নির্দেশ দেয়া হয়।
নোটিশের জবাবে রুপনকে দায়ী করা প্রসঙ্গে বরিশাল মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মীর জাহিদুল কবির জাহিদ বলেন, ‘সে বিএনপি পরিবারের সন্তান। সারা দেশের মানুষ জানে নিশিরাতে ভোটের এ সরকারের বিরুদ্ধে বিএনপির কেউ অংশ নেবে না। সে যদি বিএনপিকে ভালবাসত, তাহলে নির্বাচনে অংশ নিত না।’
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, ‘নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তটি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সিদ্বান্ত। বিএনপির সবাই এটা জানে। ঘরে ঘরে গিয়ে তো বলার কিছু নেই।’
আরও পড়ুন:বরিশালে সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে ভীত-সন্ত্রস্ত পরিবেশ তৈরির চেষ্টার পাশাপাশি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করছেন মেয়র প্রার্থীরা। এমন কোনো ঘটনা ঘটলে কড়া আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়মী লীগের মনোনীত প্রার্থী ছাড়া বাকি মেয়র প্রার্থীরা।
শনিবার নগরের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগের সময় এ হুঁশিয়ারি দেন তারা।
গণসংযোগকালে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস বলেন, ‘ভোট দিতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন ভোটাররা। তবে বরিশালে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এখনও নিশ্চিত হয়নি। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এখানে বিভিন্নভাবে ভীত-সন্ত্রস্ত পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করছে।
‘ছাত্রলীগের বিশেষ এক নেতা এসে নৌকার লোগো লাগিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন বরিশালে। তিনি বরিশালের সিটি নির্বাচনে বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে লোক এনে একটা ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছেন। তাদের উদ্দেশ্য, জনগণ যেন ভোটকেন্দ্রে না যায়।’
এ ধরনের অবস্থা চলতে থাকলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সম্মিলিতভাবে তা প্রতিহত করার ঘোষণা দেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘সরকারের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি, তারা যেন এখানে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডটা নিশ্চিত করেন। নাহলে সারা দেশে ভোট চুরির বিরুদ্ধে যে গণআন্দোলন শুরু হবে, সেই আন্দোলনে পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে সরকার।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘বরিশালে ধীরে ধীরে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নষ্ট হওয়ার দিকেই যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। আমাদের কিছু লোককে হয়রানি করা হয়েছে।
‘টুপি-দাড়ি দেখে আমাদের লোকজনকে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে, কোথায় বাড়ি? কেন এসেছেন? অথচ, নির্বাচনী আচরণবিধির মধ্যে কোথাও লেখা নেই যে শহরের বাইরের কেউ ভোট চাইতে পারবে না বা আসতে পারবে না।’
তিনি বলেন, ‘আশেপাশের কিছু লোক তো আসতেই পারে এবং সব প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণার জন্যই তারা আসেন। আমি মনে করি নির্বাচনী আচরণবিধির মধ্যে যা আছে, সেই দিকে প্রশাসনের লক্ষ্য রাখা উচিত। এর বাইরে অতি উৎসাহিত হয়ে অন্য কিছু না করাই ভালো।
‘নির্বাচনী বিধি ছাড়া যদি আমি কোনো কাজ করি, তাহলে বলবেন। কিন্তু বিধির মধ্যে থেকে কাজ হলে অতি উৎসাহী হয়ে আমাদের বাধা দেয়ার কোনো আইনগত ভিত্তি নেই। আমি প্রশাসনের কাছে দাবি করব, বরিশালের নির্বাচনের দিকে গোটা দেশ তাকিয়ে আছে। ফলে নির্বাচন যদি কোনো অবস্থায় প্রশ্নবিদ্ধ হয়, যদি গ্রহণযোগ্য না হয়, তাহলে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ আন্দোলনের পরিস্থিতি ভিন্ন দিকে মোড় নেবে।
ভোটারদের সমর্থনের ব্যাপারে এসময় তিনি বলেন, ‘ভোটারদের কাছ থেকে যথেষ্ট সাড়া পাচ্ছি। তারা ইতোমধ্যে ভোট দেয়ার প্রস্তুতি নিয়ে ফেলছে। যে ব্যক্তির মাধ্যমে বরিশালের সব দিকের উন্নয়ন হবে, সে রকম একজন প্রার্থীকে ভোটাররা যাতে নির্বাচিত করেন, আমি সে দাবি জানাই। ফেয়ার-ফ্রি ভোট হলে হাতপাখা জয়লাভ করবে।’
জাকের পার্টির প্রার্থী মিজানুর রহমান বাচ্চুও মাঠে নেমে যথেষ্ট সাড়া পাচ্ছেন বলে জানান। তিনি বলেন, যদি সুষ্ঠু নির্বাচন হয় ও কমিশন যদি সঠিকভাবে ভোট গ্রহণের ব্যবস্থা করতে পারে, তাহলে আমি জয়ের আশা রাখি।’
তবে এখন পর্যন্ত অস্বাভাবিক কিছু দেখছেন না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ (খোকন সেরনিয়াবাত)।
এদিকে নির্বাচনে প্রচারের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক ছাত্রদল নেতা কামরুল আহসান রুপনের তিন কর্মীকে আটকের অভিযোগ উঠেছে।
বিষয়টি নিয়ে রুপন বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে পুলিশের কাছে গেলেও তারা সঠিকভাবে কিছু বলছে না। বিকেল সাড়ে ৪টায় আদালতে গিয়ে জানতে পারলাম রমজান, মোনায়েম খান, সৈয়দ রফিকুল ইসলাম মন্টু নামে আমার তিন কর্মীকে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ বিনা কারণে গ্রেপ্তার করেছে। কিন্তু তাদের এখনও আদালতে তোলেনি।’
এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ সূত্র জানায়, বরিশাল মেট্রোপলিটনের কাউনিয়া ও কোতোয়ালি থানা পুলিশ শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত সন্দেহজনক কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের ছেড়ে দেয়াও হয়েছে।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কাউনিয়া থানার ওসি আব্দুর রহমান মুকুল।
আরও পড়ুন:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘২০ ঘণ্টা বিমান ভ্রমণ করে আমেরিকা না গেলে কিচ্ছু আসে যায় না। পৃথিবীতে আরও অনেক মহাসাগর আছে, মহাদেশ আছে। সেসব জায়গায় যাবো, তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করবো।
শনিবার ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের নবনির্মিত কার্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশে উৎপাদন বাড়ানোর ওপর আবারও জোর দিয়ে সরকার প্রধান বলেন, ‘আমরা নিজের পায়ে চলব। নিজের দেশকে গড়ে তুলব। কারও মুখাপেক্ষি হয়ে থাকব না। কে স্যাংশন দিল, কে ভিসা দিল না, তা নিয়ে মাথাব্যথা করে লাভ নেই।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা ভোট চুরি করে, ভোট নিয়ে খেলে, জনগণের ভাগ্য নিয়ে খেলছে, তাদের দিকে, ওই সন্ত্রাসী দলের দিকে নজর দিন। কানাডার আদালত বিএনপিকে সন্ত্রাসী দল হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। আর দুর্নীতির দায়ে আমেরিকাই তারেক জিয়াকে ভিসা দেয়নি। যদিও তারাই (বিএনপি) এখন আমেরিকার কাছে ধর্না দেয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের উৎপাদন বাড়াতে হবে। এক ইঞ্চি মাটিও যেন অনাবাদি না থাকে। শুধু ফসল নয়; মাছ চাষ, ডেইরি ফার্ম, হাঁস-মুরগি পালন, যার যে সুযোগ আছে তিনি তা-ই করবেন। বৃক্ষরোপণ করতে হবে।
‘মোদ্দা কথা, উৎপাদন বাড়াতে হবে। বিশ্বব্যাপী যে খাদ্য মন্দা চলছে, তা যেন আমাদের স্পর্শ করতে না পারে। তার জন্য আমাদের উর্বর মাটি ব্যবহার করতে হবে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘দেশের জনগণ জানে নৌকায় ভোট দিলে ভাগ্যের উন্নয়ন হয়। দেশের স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসার উন্নয়ন হয়। নৌকায় ভোট দিয়ে তারা স্বাধীনতা পেয়েছে, উন্নত জীবন পেয়েছে, ডিজিটাল দেশ পেয়েছে।
‘জনগণের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস আছে, তারা নৌকায় ভোট দেবে। কারণ আওয়ামী লীগ থাকলে সবার জন্য কাজ করে, সবার সেবা করে।
‘জনগণের জন্য কাজ করলে তারা এর মর্যাদা দেয়। সেভাবে জনগণের কাছে যেতে হবে।’
নেতাকর্মীদের জনগণের জন্য ত্যাগ স্বীকার করার আহ্বান জানান বঙ্গবন্ধু-কন্যা। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ত্যাগ করতে এসেছে- এটা মাথায় রেখে কাজ করে যাচ্ছি। কোনো অশুভ শক্তি যাতে দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে সেভাবে দেশের মানুষকে রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের ওপর বার বার আঘাত, হামলা হয়েছে। আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা হয়েছে। ইয়াহিয়া খান চেষ্টা করেছে, জিয়াউর রহমান চেষ্টা করেছে, এরশাদ-খালেদা জিয়াও চেষ্টা করেছে- আওয়ামী লীগকে কীভাবে ধ্বংস করা যায়।
‘আওয়ামী লীগ এদেশের মানুষের সংগঠন হিসেবে গড়ে উঠেছে। তাই এই সংগঠনকে কেউ ধ্বংস করতে পারেনি, পারবেও না। আওয়ামী লীগ শুধু একটি দল নয়, আওয়ামী লীগ ইনস্টিটিউটের মতো। আওয়ামী লীগ এদেশের মানুষের জন্য আন্দোলন-সংগ্রামে সবসময় ভূমিকা পালন করেছে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে মানুষের কল্যাণে কাজ করে সেটা আমরা প্রমাণ করেছি। আমরা যেসব কাজ করি, আওয়ামী লীগ যেসব পরিকল্পনা নেয়, প্রকল্প নেয়, তা সুপরিকল্পিতভাবেই করা হয়।
‘আমাদের মাটি, মানুষ, পরিবেশ, ভৌগোলিক অবস্থান, প্রাকৃতিক অবস্থা- সবকিছু বিবেচনা করেই আমরা প্রকল্প গ্রহণ করি। তার ফলে আমাদের প্রতিটি প্রকল্পই সাফল্য অর্জন করে। মানুষ তার সুফল পায়।’
তিনি বলেন, ‘২০০৮-এর বাংলাদেশ কী ছিল, এখন বাংলাদেশ কী অবস্থায় আছে- কেউ তুলনাটা বিবেচনা করলেই পরিবর্তনটা দেখতে পারবেন। একই দিনে ১০০ সড়ক উদ্বোধন করা- এটা কি কোনো সরকার আগে করেছে? পারেনি। কে পেরেছে? আওয়ামী লীগ।
‘আজকে আমরা বাংলাদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি, এখন আমাদের বেকারত্ব মাত্র ৩ শতাংশ। সেটাও থাকবে না। যদি কেউ উদ্যোগ নেয় সেও কাজ করতে পারবে। আমরা সেই ব্যবস্থাটাও করে দিয়েছি। আমাদের গ্রামের অর্থনীতি অনেক মজবুত। গ্রামের দারিদ্র্যের হার হ্রাস পেয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কৃষকদের আমরা সব ধরনের প্রণোদনা দিচ্ছি। দুই কোটি ১০ লাখ কৃষককে কার্ড দিয়েছি। ভর্তুকির টাকাটা তার ব্যাংকে চলে যায়। ১০ টাকা দিয়ে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার সুযোগ আমরা করে দিয়েছি। এক কোটি ২ লাখ ৭০ হাজার ১৪৩ জন কৃষক পুরো বাংলাদেশে অ্যাকাউন্ট খুলেছে। এখন তারা সেখানে বসে টাকা পেয়ে যায়।
‘ধান কাটার মৌসুমে মানুষ পাওয়া যায় না, মজুরের দাম বেড়ে গেছে। আমি আহ্বান করেছি আমার ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মাঠে চলে গেছে। তারা কৃষকের ধান কেটে ঘরে পৌঁছে দিয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিদ্যুৎ শতভাগ দিতে পেরেছি। এখন তেলের দাম বেড়ে গেছে, গ্যাসের দাম বেড়ে গেছে, কয়লার দাম বেড়ে গেছে, কয়লাও পাওয়া যাচ্ছে না। আগে এক সময় যারা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রপাগান্ডা করেছিল, তারাই এখন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র করছে। তার কারণে কয়লা কিনে আনতে সমস্যা হচ্ছে।
‘আমি জানি মানুষের অনেক কষ্ট হচ্ছে। আমরা লোডশেডিং একেবারে দূর করে দিয়েছিলাম। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ যদি না হতো আর করোনা ভাইরাস যদি না দেখা দিতো, আজকে যদি বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা না দেখা দিতো, মুদ্রাস্ফীতি না দেখা দিতো, তাহলে মানুষের কষ্ট হতো না। আজকে আমরা ভেতরে যতই চেষ্টা করি, যে জিনিসটা বাইরে থেকে আনতে হচ্ছে। সেটা কষ্ট করে আমাদেরকে জোগাড় করতে হচ্ছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কাতার ও ওমানের সঙ্গে আমাদের চুক্তি হয়ে গেছে। আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে করছি, যাতে গ্যাস কিনতে পারি। এই কষ্ট দূর করতে পারি।
‘একবার অভ্যাস হয়ে গেলে মানুষের কষ্ট বাড়ে। বিএনপি-জামায়াতের আমলে তো বিদ্যুৎ ছিলই না। তখন মানুষ হাহাকার করত। বিদ্যুৎ চাওয়ার কারণে কানসাটে খালেদা জিয়া গুলি করে মানুষ হত্যা করেছিলেন। সারের দাবি করেছিল বলে ১৮ জন কৃষককে হত্যা করছিলেন। শ্রমের মজুরি দাবি করেছিল বলে ২৭ জন শ্রমিককে রোজার সময় হত্যা করা হয়েছিল।’
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজীর আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন:ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের অফিস ভবন উদ্বোধন করেছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলে নবনির্মিত এই ভবন উদ্বোধন করেন তিনি। এরপর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ প্রধান।
এই অফিস ভবন উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হলো। তেজগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ভবনে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের অবস্থান।
ভবন উদ্বোধনকালে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বেনজীর আহমদ, সাধারণ সম্পাদক পনিরুজ্জামান তরুণসহ কেন্দ্রীয় ও শাখা নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন উপলক্ষে ব্যাপক শো-ডাউন করে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন উপজেলা থেকে তারা মিছিল-স্লোগান নিয়ে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আসন্ন রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। ‘উন্নয়ন দৃশ্যমান, এবার হবে কর্মসংস্থান’ স্লোগান সামনে রেখে দেয়া এই ইশতেহারে ১০ খাতে ১০৫ দফার উন্নয়ন প্রতিশ্রুতি রয়েছে।
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ অডিটরিয়ামে শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই ইশতেহার ঘোষণা করা হয়।
আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও দু’বারের সাবেক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে বিগত সময়ে তার বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন। তিনি শুধু রাজশাহী শহরের উন্নয়নেরই ঘোষণা দেননি। বরং রাজশাহী অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
লিটন বলেন, ‘আমি যে উন্নয়ন পরিকল্পনা ঘোষণা করেছি মেয়র হিসেবে এর প্রায় অর্ধেকটাই আমার কাজের মধ্যে পড়ে না। কিন্তু আমি যেহেতু আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীরও সদস্য, সে কারণে আমি মেয়র হলে এই অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নেই ভূমিকা রাখতে চাই। আমার বিশ্বাস, প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা নিয়ে আমি এসব কাজ করতে পারব।’
নৌকার এই মেয়র প্রার্থী বলেন, ‘একজন মেয়র হিসেবে আপনারা আমাকে দায়িত্ব দেয়ার পর প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীর মানুষের উন্নয়নের জন্য প্রায় ২৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেন। এই নগরীর সমৃদ্ধির জন্য শতাধিক উন্নয়ন প্রকল্প নেয়া হয়েছে। নগরীর সড়ক বর্ধিতকরণ, সৌন্দর্য বর্ধন, নাগরিক পরিষেবা নিশ্চিতকরণ, পরিচ্ছন্নতা ও সবুজায়নসহ শিক্ষা, চিকিৎসা, অনগ্রসর জনসমষ্টির জন্য বিশেষ প্রণোদনা, নতুন নতুন স্থাপনা প্রতিষ্ঠা, কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে নতুন নতুন ক্ষেত্র প্রস্তুত করা ইত্যাদি কার্যক্রমে সুশাসন নিশ্চিত করে আপনাদের অধিকতর সেবা প্রদানে আমি সর্বদা সচেষ্ট থেকেছি। এবার নির্বাচনে তাই আমার ঘোষণা- উন্নয়ন দৃশ্যমান, এবার হবে কর্মসংস্থান।’
ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠান আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য প্রফেসর ড. আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় সদস্য বেগম আখতার জাহান, রাজশাহী মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামাল, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল কুমার সরকারসহ ১৪ দলের নেতৃবৃন্দ এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী, ক্রীড়াসহ নগরীর গুরত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য