× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Khandaker Mahbub in Life Support
google_news print-icon

লাইফ সাপোর্টে খন্দকার মাহবুব

লাইফ-সাপোর্টে-খন্দকার-মাহবুব
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন। ছবি: সংগৃহীত
করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর থেকেই রাজধানীর বসুন্ধরায় এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খন্দকার মাহবুব হোসেন। অবস্থা অবনতি হওয়ায় বুধবার বিকেলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেনকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।

রাজধানীর বসুন্ধরায় এভারকেয়ার (সাবেক অ্যাপোলো) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খন্দকার মাহবুব। অবস্থা অবনতি হওয়ায় বুধবার বিকেলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়।

বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন তার জুনিয়র অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান দুলাল। তিনি বলেন, ‘স্যারের অবস্থা খারাপ হওয়াতে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়েছে। স্যারের জন্য দোয়া চাই।’

খন্দকার মাহবুব করোনা আক্রান্ত হওয়ায় গত ১৬ আগস্ট রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর থেকে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

খন্দকার মাহবুব হোসেন ১৯৩৮ সালের ২০ মার্চ জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ল’ পাস করে ১৯৬৭ সালের ৩১ জানুয়ারি আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। এরপর একই বছরের ২০ অক্টোবর তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।

১৯৭৩ সালে দালাল আইনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময় চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এ আইনজীবী।

এরপর একাধিকবার সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ৫৪ বছরের আইন পেশায় দেশের প্রথম সারির সব রাজনীতিবিদের মামলা পরিচালনা করেছেন এ আইনজীবী। সর্বশেষ ২০০৮ সালে বিএনপিতে যোগ দেন। বর্তমানে বিএনপি চেয়ারপারসনের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।

গত ৬ জুলাই কারাগারে থাকা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দরিদ্র স্বপন কুমার বিশ্বাসের পক্ষে বিনা ফিতে আপিল বিভাগে আইনি লড়াই করে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেন সিনিয়র এ আইনজীবী।

আরও পড়ুন:
করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে খন্দকার মাহবুব

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
4 more deaths due to dengue 2153

ডেঙ্গুতে আরও ৪ মৃত্যু, আক্রান্ত ২১৫৩

ডেঙ্গুতে আরও ৪ মৃত্যু, আক্রান্ত ২১৫৩ ফাইল ছবি
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১০ হাজার ৭১ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৬৫৮ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ৪১৩ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে আরও চারজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ২ হাজার ১৫৩ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৬৭ জন আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১৪৮৬ জন।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টার হিসাবে এদিন বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১০ হাজার ৭১ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৬৫৮ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ৪১৩ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৮১ হাজার ৮৫২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৭৭ হাজার ২৮৯ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ৪ হাজার ৫৬৩ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৭০ হাজার ৯০২ জন। ঢাকায় ৭৩ হাজার ৪১ এবং ঢাকার বাইরে ৯৭ হাজার ৮৬১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৮৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে নারী ৫০৬ জন ও পুরুষ ৩৭৩ জন।

আরও পড়ুন:
ডেঙ্গুতে আরও ৮ প্রাণহানি, হাসপাতালে ২৮৮৯
ভারত থেকে এলো ৫৩ হাজার ব্যাগ স্যালাইন
ডেঙ্গুতে আরও ২১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে তিন সহস্রাধিক

মন্তব্য

বাংলাদেশ
8 more deaths in dengue hospital 2889

ডেঙ্গুতে আরও ৮ প্রাণহানি, হাসপাতালে ২৮৮৯

ডেঙ্গুতে আরও ৮ প্রাণহানি, হাসপাতালে ২৮৮৯ ফাইল ছবি
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আরও দুই হাজার ৮৮৯ জন।

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে আরও ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২ হাজার ৮৮৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৭৮৯ জন আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২১০০ জন।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১০ হাজার ২৮০ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৬৯৬ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ৫৮৪ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৭৯ হাজার ৬৯৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৭৬ হাজার ৬২২ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ৩ হাজার ২৫৪ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৬৮ হাজার ৫৪৪ জন। ঢাকায় ৭২ হাজার ৩৩৭ এবং ঢাকার বাইরে ৯৬ হাজার ২০৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৮৭৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আরও পড়ুন:
ডেঙ্গু বাড়াচ্ছে হাসপাতালের শয্যাসংকট, স্যালাইন-রক্তেরও অভাব
ডেঙ্গুতে আরও ১৭ প্রাণহানি, হাসপাতালে ৩০৮৪
ডেঙ্গু রোগী ঢাকায় না পাঠানোর নির্দেশনা, আরও ১৮ মৃত্যু
‘ঢাকা দক্ষিণে ডেঙ্গু রোগী দৈনিক ৫০-৫৪ জনে সীমাবদ্ধ’
ডেঙ্গুতে আরও ১৪ প্রাণহানি, হাসপাতালে ২৫৯৮

মন্তব্য

বাংলাদেশ
53 thousand bags of saline came from India

ভারত থেকে এলো ৫৩ হাজার ব্যাগ স্যালাইন

ভারত থেকে এলো ৫৩ হাজার ব্যাগ স্যালাইন বেনাপোল বন্দরে ভারত থেকে আমদানি করা স্যালাইনের চালান। ছবি: নিউজবাংলা
প্রতি ব্যাগ স্যালাইন ভারত থেকে কেনা হয়েছে ৬১ টাকা ৩৫ পয়সা দরে। পর্যায়ক্রমে প্রাথমিক অবস্থায় ৭ লাখ ব্যাগ স্যালাইন আমদানি করা হবে।

দেশে ডেঙ্গু মহামারিতে স্যালাইনের সংকট স্বাস্থ্য সেবা খাতের বড় আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। অনেক স্থানে আবার কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে কয়েক গুণ বেশি দাম হাতিয়ে নিচ্ছে দোকানিরা। এমনই পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে এসেছে ৫৩ হাজার ব্যাগ স্যালাইন।

ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুই দিনে ভারত থেকে প্রায় ৫৩ হাজার ব্যাগ স্যালাইন আমদানি করা হয়েছে। এর মধ্যে বুধবার এসেছে ২৭ হাজার ৭৮০ ব্যাগ এবং সোমবার আনা হয়েছে ২৫ হাজার ৪৭০ ব্যাগ স্যালাইন।

স্যালাইন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ঢাকার জাস করপোরেশন। আর ভারতের রপ্তানিকারী প্রতিষ্ঠানটি হলো জেনটেক্স ফার্মাসিউটিক্যাল।

প্রতি ব্যাগ স্যালাইন ভারত থেকে কেনা হয়েছে ৬১ টাকা ৩৫ পয়সা দরে। পর্যায়ক্রমে প্রাথমিক অবস্থায় ৭ লাখ ব্যাগ স্যালাইন আমদানি করা হবে বলে জানা গেছে।

আমদানিকারকের প্রতিনিধি জানান, বর্তমান সংকটের মুহূর্তে আমদানিকৃত স্যালাইন বড় ভূমিকা রাখবে ও কম মূল্যে মানুষ কিনতে পারবে।

বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, ভারত থেকে আমদানিকৃত স্যালাইন বন্দর থেকে দ্রুত ছাড়করণে সহযোগিতা করছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

প্রসঙ্গত, বাজার নিয়ন্ত্রণ ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ৯ সেপ্টেম্বর স্যালাইন আমদানির কথা জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Vitamin D Be careful taking supplements even if you dont get it from food

ভিটামিন ‘ডি’: খাবারে পাওয়া না গেলেও সাপ্লিমেন্ট গ্রহণে সতর্ক হোন

ভিটামিন ‘ডি’: খাবারে পাওয়া না গেলেও সাপ্লিমেন্ট গ্রহণে সতর্ক হোন
প্রাকৃতিক খুব কম খাবারেই ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়। তাই খাবারের পাশাপাশি যদি শরীরে ভিটামিন ‘ডি’র চাহিদা পূরণ করতে হয় তবে নির্দিষ্ট কিছু খাবার বা ভিটামিন ‘ডি’ সাপ্লি্মেন্ট গ্রহণ করা জরুরি।

ভিটামিন ‘ডি’ এমন একটি পুষ্টি উপাদান যা আমরা খাবার হিসেবে যেমন গ্রহণ করি, তেমনি হরমোন হিসেবেও আমাদের শরীরে আপনা-আপনি তৈরি হয়। সূর্যের আলো গ্রহণ করে হরমোনোর মাধ্যমে শরীরে তৈরি হয় ভিটামিন ‘ডি’। এ কারণে এর আরেক নাম ‘দ্য সানশাইন ভিটামিন’।

ভিটামিন ‘এ’র মতো এই ভিটামিনটিও চর্বিতে দ্রবণীয় যা খাবার থেকে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস শোষণ করে শরীরের পুষ্টির প্রয়োজন মেটাতে সাহায্য করে। এটি আমাদের হাড়, দাঁত ও শরীরের পেশী গঠনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সহায়ক।

মানব শরীর যখন সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসে, আলোর প্রতিক্রিয়ায় আমাদের শরীরে প্রাকৃতিকভাবেই হরমোন হিসেবে ভিটামিন ‘ডি’ তৈরি হয়।

প্রাকৃতিক খুব কম খাবারেই ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়। তাই খাবারের পাশাপাশি যদি শরীরে ভিটামিন ‘ডি’র চাহিদা পূরণ করতে হয় তবে নির্দিষ্ট কিছু খাবার বা ভিটামিন ‘ডি’ সাপ্লি্মেন্ট গ্রহণ করা জরুরি।

যাদের ভিটামিন ‘ডি’র অভাব বেশি হয়

সাধারণত মার্চের শুরু থেকে সেপ্টেম্বর মাসের শেষ পর্যন্ত পর্যাপ্ত সূর্যের আলো শরীরে লাগানোর মাধ্যমে শরীরে ভিটামিন ‘ডি’র উৎপাদন বেশি হয়। তবে সারা বছরই সকালের মিষ্টি রোদে অন্তত ৩০ মিনিট ঘোরাঘুরি করেও দৈনন্দিন ভিটামিন ‘ডি’র চাহিদা মেটাতে পারেন।

যারা বাইরে ঘোরাঘুরি কম করেন, তাদের শরীরে এ ভিটামিনটির অভাব বেশি দেখা যায়। আবার সম্পূর্ণ শরীর ঢেকে যারা বাইরে বের হন, তাদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। তবে বাড়ির মধ্যে থেকে সকালের রোদ গায়ে লাগালে এ সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে পারেন।

অন্যদের তুলনায় শিশু, গর্ভবতী ও বুকের দুধ পান করান এমন মায়েদের শরীরে ভিটামিন ‘ডি’র প্রয়োজনীয়তা বেশি। তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নির্দিষ্ট খাবার ও ভিটামিন ‘ডি’ সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের মাধ্যমে শরীরে এ ভিটামিনের ভারসাম্য আনতে হবে।

শরীর নিজে থেকেই এই ভিটামিনটি তৈরি করলেও আরও কয়েকটি বিষয় রয়েছে যাতে শরীরে ভিটামিন ‘ডি’র ঘাটতি হতে পারে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে-

  • ত্বকের রঙ
  • বয়স বৃদ্ধি
  • যাদের শরীরে চর্বি শোষণ ক্ষমতা কম
  • অতিরিক্ত ওজন
  • যাদের গ্যাস্ট্রিক বাইপাসের অপারেশন হয়েছে

ভিটামিন ‘ডি’র অভাবজনিত লক্ষণ

হাইপোক্যালসেমিয়া, ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত রোগ ও হাইপার প্যারাথাইরয়েডিজমের কারণ হতে পারে ভিটামিন ‘ডি’র দীর্ঘস্থায়ী ঘাটতি।

চলুন জেনে নেই কোন কোন লক্ষণ দেখে বোঝা যাবে আপনার শরীরে ভিটামিন ‘ডি’র অভাব রয়েছে-

  • হাড়ক্ষয় রোগ (বিশেষ করে বয়স্কদের ক্ষেত্রে)
  • অস্টিওপরোসিস
  • ক্লান্তি
  • পেশীর টান
  • পেশীর দুর্বলতা
  • পেশীতে ব্যাথা
  • আর্থ্রালজিয়াস বা জয়েন্টের জড়তা
  • স্নায়ুতন্ত্রের সমস্যা
  • বিভিন্ন সংক্রামক রোগ
  • গর্ভাবস্থায় বিভিন্ন জটিলতা
  • স্তন, প্রোস্টেট ও কোলনসহ অন্যান্য ক্যান্সার

বেশি ভিটামিন ‘ডি গ্রহণের ফল

শরীরের জন্য অবশ্যই ভিটামিন ভিটামিন ‘ডি’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে সাপ্লিমেন্টের মাধ্যমে অতিরিক্ত ভিটামিন ‘ডি’ গ্রহণ করলে হিতে বিপরীত হতে পারে।

অতিরিক্ত ভিটামিন ‘ডি’র ফলে শরীরে তৈরি হতে পারে বিষক্রিয়া। এর ফলে দেখা দিতে পারে ক্ষুধামন্দা, ওজন হ্রাস, অনিয়মিত হৃদস্পন্দন, শরীরে রক্তনালীর সমস্যার মতো শারীরিক জটিলতা।

আবার অনেকদিন ধরে ভিটামিন ‘ডি’ সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করলে শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম জমা হতে পারে। এতে হাড়, কিডনি ও হৃদযন্ত্রের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।

একজন সাধারণ মানুষের শরীরে প্রতিদিন ১০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন ‘ডি’ই যথেষ্ট। তবে এর অন্যথা হলে চিকিৎকের পরমর্শ না নিয়ে কোনোভাবেই ‘ডি’ সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করা উচিৎ নয়।

তবে বলে রাখা ভালো, বেশি সূর্যের আলো শরীরে লাগলেও শরীরের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ভিটামিন ‘ডি’ উৎপন্ন হয় না। তাই যারা রোদে কাজ করেন, তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

যেসব খাবারে পাবেন ভিটামিন ‘ডি

প্রকৃতিতে খুব কম খাবারেই ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়। তবে তেলযুক্ত মাছ, লাল মাংস, কলিজা, ডিমের কুসুম, কিছু প্রক্রিয়াজাত খাবার যেমন: সিরিয়াল জাতীয় খাবার, কমলার জুস ও টুনা মাছে সল্প পরিমাণে ভিটামিন ‘ডি’ পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন:
বেশি খেলেও শরীরে থাকে না ভিটামিন ‘সি’, সংরক্ষণ যেভাবে
ভিটামিন ‘এ’: কেন খাবেন, কীসে পাবেন, বেশি খেলে যে সমস্যা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
21 more people died in dengue 3000 in hospital

ডেঙ্গুতে আরও ২১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে তিন সহস্রাধিক

ডেঙ্গুতে আরও ২১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে তিন সহস্রাধিক ফাইল ছবি
আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৫৭ জন আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩০২৫ জন।

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে আরও ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসময় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৩ হাজার ১৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৮৫৭ জন আর ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩০২৫ জন।

বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে মোট ১০ হাজার ২৬৩ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। ঢাকার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে বর্তমানে ৩ হাজার ৮১৯ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ৬ হাজার ৪৪৪ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি রয়েছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে সারা দেশে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ৭৬ হাজার ৮১০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ৭৫ হাজার ৮৩৩ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন ১ লাখ ৯৭৭ জন।

আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬৮০ জন। ঢাকায় ৭১ হাজার ৪২৬ এবং ঢাকার বাইরে ৯৪ হাজার ২৫৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৮৬৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আরও পড়ুন:
এফেরেসিস: ডেঙ্গু মহামারিতে জীবন রক্ষায় বড় সহায়
প্রতীকী মশা ও মশারি নিয়ে শোভাযাত্রা শিক্ষার্থীদের
ডেঙ্গু বাড়াচ্ছে হাসপাতালের শয্যাসংকট, স্যালাইন-রক্তেরও অভাব
ডেঙ্গু রোগী ঢাকায় না পাঠানোর নির্দেশনা, আরও ১৮ মৃত্যু

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In BSMMU two children are separated

বিএসএমএমইউতে আলাদা হলো জোড়া লাগানো দুই শিশু

বিএসএমএমইউতে আলাদা হলো জোড়া লাগানো দুই শিশু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বুধবার আলাদা করা হয় জোড়া লাগানো দুই শিশুকে। ছবি: নিউজবাংলা
বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের অপারেশন থিয়েটারে এ অস্ত্রোপচার করা হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) পেটে ও বুকে জোড়া লাগানো দুটি শিশুর দেহে সফলভাবে অস্ত্রোপচার শেষ হয়েছে। এই অস্ত্রোপচারে শিশু দুটিকে আলাদা করা হয়েছে।

বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেবিন ব্লকের অপারেশন থিয়েটারে এই অস্ত্রোপচার করা হয়। এতে আলাদা হওয়া দুটি শিশু হলো গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার ৭৮ দিন বয়সী আবু বকর ও ওমর ফারুক।

অস্ত্রোপচারের আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ অস্ত্রোপচারে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ এবং শিশু দুটির মা-বাবার সঙ্গে দেখা করে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেন।

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আল আমিন শেখ ও চায়না বেগম দম্পতির ঘরে চলতি বছরের ৪ জুলাই পেটে জোড়া লাগা ওই শিশুর জন্ম হয়।

জন্মগ্রহণের পর শরীরে জটিলতা দেখা দিলে ৫ জুলাই তাদেরকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিশু সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কেএম জাহিদ হোসেনের অধীনে ২০১ নম্বর কেবিনে ভর্তি করা হয়।

এরপর পেটে জোড়া লাগানো যমজ এ দু শিশুর চিকিৎসার সব দায়িত্বভার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রহণ করেন এবং প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দল আবু বকর ও ওমর ফারুকের নানান পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে বুধবার সকাল সাড়ে আটটায় তাদের শরীরে অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নেন।

এ অস্ত্রোপচারে শিশু সার্জারি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কে এম জাহিদ হোসেনের নেতৃত্বে বিভাগের অধ্যাপক ডা. রুহুল আমিন, সহকারী অধ্যাপক ডা. কে.এম. সাইফুল ইসলাম, মেডিক্যাল অফিসার ডা. উম্মে হাবিবা দিলশান মুনমুন এবং নার্সিং অনুষদের ডিন ও অ্যানেসথিয়া বিভাগের অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বনিক, এনেসথিয়া বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. দেবাশীষ বণিক এবং নার্সিং ইনচার্জ মেহেরুন্নেসাসহ অন্যরা অংশ নেন।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আবু বকর ও ওমর ফারুকের লিভার ও বুকের হাড় সংযুক্ত ছিল। পোস্ট অপারেটিভে এ দু শিশু বিশেষজ্ঞদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে রয়েছে। এ শিশু দুজনের শারীরিক অবস্থা এখন পর্যন্ত সংকটমুক্ত।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের দেশের সার্জনরা এ ধরনের জটিল রোগের চিকিৎসা সেবা প্রদান করতে সক্ষম এবং এ রকম জটিল রোগের চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই। স্বল্প খরচে দেশের প্রাপ্ত সুযোগ সুবিধাতেই বিশ্বমানের চিকিৎসা সেবা দেয়া সম্ভব।’

আরও পড়ুন:
বাবা-মা কর্মস্থলে, বাসায় ছোট্ট তানহার বিবস্ত্র মরদেহ
ব্রাজিলে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারাল ৩ বছরের শিশু
নিখোঁজের সাড়ে ১৬ ঘণ্টা পর পুকুরে শিশুর মরদেহ

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Apheresis a major life saver in dengue epidemics
এফেরেসিস সচেতনতা দিবস-২০২৩ পালিত

এফেরেসিস: ডেঙ্গু মহামারিতে জীবন রক্ষায় বড় সহায়

এফেরেসিস: ডেঙ্গু মহামারিতে জীবন রক্ষায় বড় সহায় এফেরেসিস প্রযুক্তির মাধ্যমে ডোনার থেকে রক্তের প্লাটিলেট সংগ্রহ। ছবি: সংগৃহীত
এফেরেসিস বা প্লাটিলেট মেশিন দিয়ে একজন ডোনারের শরীর থেকে ২৫০ মিলিলিটারের মতো রক্ত টেনে নিয়ে যন্ত্রের মাধ্যমে প্রসেসিং করে প্লাটিলেট বের করে নেয়া হয়। আর টেনে নেয়া রক্তের বাকি অংশটুকু পুনরায় ডোনারের শরীরে পুশ করে দেয়া হয়।

বেসরকারি চাকুরে হাসান সাহেবের স্ত্রী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর মগবাজারের কমিউনিটি হাসপাতালে ভর্তি। জ্বর কমে যাওয়ার পর রোগীর রক্তের প্লাটিলেট কমতে কমতে এক পর্যায়ে মাত্র ১০ হাজারে নেমে আসে।

জরুরিভিত্তিতে রক্তের প্রয়োজন। অথচ কোনো ডোনারের তথ্য জানা নেই। কারণ স্ত্রীর রক্তের গ্রুপ এবি-নেগেটিভ। নানামুখী তৎপরতায় একজন ডোনার পাওয়া যায়।

ওদিকে হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক জানিয়ে দিয়েছেন, চারজন ডোনার থেকে এক ব্যাগ করে চার ব্যাগ রক্ত যোগাড় করে তা থেকে এক ব্যাগ প্লাটিলেট বের করে রোগীর শরীরে দ্রুত পুশ করতে হবে।

নেগেটিভ গ্রুপের এই রক্তের একজন ডোনারই যোগাড় হয় না, সেখানে চারজন কোথা থেকে মিলবে? এমন দিশেহারা অবস্থায় তাকে ওই ডোনার জানান, তিনি একটাই প্রয়োজনীয় প্লাটিলেট দিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে প্রয়োজন এফেরেসিস মেশিন। ওই মেশিনের মাধ্যমে একজন ডোনার থেকেই এক ব্যাগ প্লাটিলেট নেয়া যাবে।

শেষ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে থাকা এফেরেসিস মেশিন বা প্লাটিলেট মেশিন দিয়ে ওই ডোনার থেকেই প্রয়োজনীয় প্লাটিলেট সংগ্রহ করা হয়।

এফেরেসিস কী?

বর্তমানে এফেরেসিস প্লাটিলেট ডেঙ্গু রোগীদের জীবন রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বিশেষ করে যেসব ডেঙ্গু রোগীর এফেরেসিস প্লাটিলেট প্রয়োজন হয় তাদের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এই প্রযুক্তি।

এফেরেসিস বা প্লাটিলেট মেশিন দিয়ে একজন ডোনারের শরীর থেকে ২৫০ মিলিলিটারের মতো রক্ত টেনে নিয়ে যন্ত্রের মাধ্যমে প্রসেসিং করে প্লাটিলেট বের করে নেয়া হয়। আর টেনে নেয়া রক্তের বাকি অংশটুকু পুনরায় ডোনারের শরীরে পুশ করে দেয়া হয়।

অবশ্য ব্যয়টা একটু বেশি, একজন ডোনার থেকে প্রয়োজনীয় প্লাটিলেট বের করে নিতে ২০/২২ হাজার টাকা লাগে। আর খোদ রাজধানীতেই সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক মিলে হাতেগোনো কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে এই অত্যাধুনিক চিকিৎসা প্রযুক্তির সুবিধা রয়েছে।

এফেরেসিস: ডেঙ্গু মহামারিতে জীবন রক্ষায় বড় সহায়
‘বিশ্ব এফেরেসিস সচেতনতা দিবস’ উপলক্ষে মঙ্গলবার বিএসএমএমইউ-তে শোভাযাত্রা বের করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা

এফেরেসিস দিবস পালন

রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশেই ডেঙ্গুর ভয়াবহ প্রকোপ চলছে। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন তিন হাজারেরও বেশি রোগী। মৃত্যুর সংখ্যাও থাকছে প্রায় ২০-এর ঘরে। মুমূর্ষু রোগীর জন্য প্রয়োজনীয় রক্তের সন্ধানে হাসপাতালগুলোতে রোগী রেখে স্বজনরা ছুটছেন বিভিন্ন ব্লাড ব্যাংকে। হয়রানির চূড়ান্ত হয়ে সময়মতো রক্তের যোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছেন তারা।

ডেঙ্গু মহামারির এমন বাস্তবতায় বিশ্বের অন্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও মঙ্গলবার পালন করা হয়েছে ‘বিশ্ব এফেরেসিস সচেতনতা দিবস’।

আমেরিকান সোসাইটি ফর এফেরেসিস প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় মঙ্গলবার বিশ্ব এফেরেসিস সচেনতা দিবস পালনের নির্দেশনা দিয়ে থাকে। এফেরেসিস ডোনার এবং সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ ও অন্যদের ধন্যবাদ জ্ঞাপনই দিবসটি পালনের মুখ্য উদ্দেশ্য।

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের উদ্যোগে উক্ত দিবসটি পালিত হয়েছে।

এদিন সকাল ৯টায় বিএসএমএমইউতে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভা। বের হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা।

বিএসএমএমইউ’র উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ। বেলুন উড়িয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন। পরে ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের ক্লাস রুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ‘প্রতিটি দিবসের উদ্দেশ্য থাকে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ৮ অক্টোবর ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগ উদ্বোধন করেছিলেন।

‘বঙ্গবন্ধু জনসাধারণকে রক্তদানে এগিয়ে আসার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলেন। একই ভাবনা থেকে তিনি রক্ত নিয়ে গবেষণায় জোর দিয়েছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় বিএসএসএমইউ’র শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা রক্ত নিয়ে অনেক গবেষণা করে চলেছেন। ফলে রক্তের মাধ্যমে বর্তমানে অনেক জটিল রোগের সেবা বাংলাদেশেই দেয়া সম্ভব হচ্ছে।’

মানুষকে স্বেচ্ছায় রক্তদানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘রক্তদানে কোনো ক্ষতি নেই। বরং রক্ত দিলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। তবে রক্তদানের ক্ষেত্রে নিরাপদ রক্ত সঞ্চালনের বিষয়টিও মনে রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপদ রক্তদানের আধুনিক ব্যবস্থা রয়েছে।’

অধ্যাপক ডা. মো. আসাদুল ইসলাম বলেন, ‘ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগে বিভাগে আরও অত্যাধুনিক চিকিৎসার ব্যবস্থা যোগ করা হচ্ছে। সে সুবাদে রক্তরোগে আক্রান্ত কোনো রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য আর দেশের বাইরে যাওয়ার প্রয়োজন পড়বে না।’

আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- অধ্যাপক ডা. আয়েশা খাতুন, সহযোগী অধ্যাপক ডা. আতিয়ার রহমান, সহকারী অধ্যাপক ডা. সোনিয়া শারমিন, গবেষণা সহকারী ডা. খান আনিসুল ইসলাম, মেডিক্যাল অফিসার ডা. ফিরোজা বেগম, ডা. সুর্বণা সাহা, ব্লাড প্রোগ্রাম অফিসার ডা. নাদিয়া শারমিন তৃষা, কাউন্সিলর ও মিডিয়া সেলের সমন্বয়ক সুব্রত বিশ্বাস, চিফ রেসিডেন্ট ডা. খাদিজাতুল কোবরা, সিনিয়র রেসিডেন্ট ডা. মেহেদী হাসান, ডা. রনি রায় প্রমুখ।

এছাড়াও ছাত্র-ছাত্রী, ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগে কর্মরত কর্মকর্তা, নার্স, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের এফেরেসিস ইউনিটে ১০ বছর ধরে এফেরেসিস প্লাটিলেট সেবা দেয়া হচ্ছে। এই বিভাগ থেকে করোনা মহামারির সময়ে কনভালেসেন্ট প্লাজমা সংগ্রহ করে তা কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়া বন্ধ্যাত্বসহ অন্যান্য রোগে আক্রান্তদের জন্য স্টেম সেল সংগ্রহ এবং চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:
‘ঢাকা দক্ষিণে ডেঙ্গু রোগী দৈনিক ৫০-৫৪ জনে সীমাবদ্ধ’
ডেঙ্গুতে আরও ১৪ প্রাণহানি, হাসপাতালে ২৫৯৮
ডেঙ্গুতে প্রাণ নিল আরও ১২ জনের
দক্ষিণ সিটির দুই ওয়ার্ড ডেঙ্গুর ‘রেড জোন’
ডেঙ্গুতে আরও ১১ মৃত্যু, হাসপাতালে ২৬৬৩

মন্তব্য

p
উপরে