× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য ইভেন্ট শিল্প উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ কী-কেন ১৫ আগস্ট আফগানিস্তান বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও ক্রিকেট প্রবাসী দক্ষিণ এশিয়া আমেরিকা ইউরোপ সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ শারীরিক স্বাস্থ্য মানসিক স্বাস্থ্য যৌনতা-প্রজনন অন্যান্য উদ্ভাবন আফ্রিকা ফুটবল ভাষান্তর অন্যান্য ব্লকচেইন অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
There is no sense of responsibility to fly and sit across Prime Minister
google_news print-icon

উড়ে এসে জুড়ে বসাদের দায়িত্ববোধ থাকে না: প্রধানমন্ত্রী

উড়ে-এসে-জুড়ে-বসাদের-দায়িত্ববোধ-থাকে-না-প্রধানমন্ত্রী
ভূমি ডাটা ব্যাংকসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন সরকারপ্রধান। ছবি: সংগৃহীত
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে বিএনপি-জামায়াত এরা তো আর মানুষের জন্য কাজ করে না। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী একটা মিলিটারি ডিক্টেটরের হাতে তৈরি করা এ সংগঠন। কাজেই মানুষের প্রতি এদের কোনো দায়িত্ববোধও নেই, দেশের জন্যও নেই। ক্ষমতা আর ক্ষমতায় থেকে টাকা বাড়ানো, জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস-দুর্নীতি এটাই তাদের কাজ এবং সেটাই তারা করেছে।’

উড়ে এসে ক্ষমতায় জুড়ে বসা ব্যক্তিদের দেশের মানুষের প্রতি কোনো দায়িত্ববোধ থাকে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বুধবার সকালে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভূমি ভবন, উপজেলা ও ইউনিয়নের ভূমি অফিস ভবন, অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ কার্যক্রম এবং ভূমি ডাটা ব্যাংকের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন সরকারপ্রধান।

এ সময় তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় থাকে দেশের মানুষ সেবা পায়, দেশের উন্নতি হয়। আন্তরিকতার সাথে আমরা কাজ করি। আমরা একটা আদর্শ নিয়ে কাজ করি, একটি নীতি নিয়ে কাজ করি। সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করি। কেন করি?

‘কারণ এ দেশের মানুষের মুক্তির জন্য, স্বাধীনতার জন্য সংগ্রাম করেছে আওয়ামী লীগের কর্মীরা, পাশে থেকেছে জনগণ। উড়ে এসে জুড়ে যারা ক্ষমতায় বসে, তাদের সে দায়বদ্ধতা থাকে না। ক্ষমতাকে তারা ভোগদখলের একটা জায়গা বানায়। অর্থসম্পদ বানানোর একটি মেশিন হিসেবে পায়। আর দেশের মানুষ মরুক, বাঁচুক তাদের কোনো খেয়ালই থাকে না। এটাই হলো বাস্তবতা। তাই আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে, তখনই দেশের মানুষের সার্বিক উন্নতি হয়।’

তিনি বলেন, ‘আরও দুর্ভাগ্যের বিষয়, একটি কথা না বলে পারছি না এখানে। বিএনপি-জামায়াত জোট ২০১৩ সালে যেভাবে অগ্নিসন্ত্রাস শুরু করেছিল, তাতে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তারা অনেকগুলো ভূমি অফিস জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেয়।

‘তারা শুধু ভূমি অফিসই জ্বালায়নি, চলন্ত বাসে যাত্রীরা যাচ্ছে, সেখানে নারী-পুরুষ-শিশু, সেই বাসে আগুন দিয়ে জীবন্ত মানুষ পুড়িয়ে মারে। সিএনজি ড্রাইভার সিএনজি চালিয়ে যাচ্ছে, তাকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারে। গাড়ি থেকে ড্রাইভারকে বের করে তার গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করে। এভাবে তারা একটি ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে থাকে। সেখানে প্রায় ছয়টি ভূমি অফিসসহ অনেকগুলো ভূমি অফিস নষ্ট করে দেয়। সেগুলো পুড়িয়ে দেয়।’

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, ‘তখন একটা ঘোষণা দিয়েছিলাম যে, যারা এই ভূমি অফিস পোড়াচ্ছে তাদের যেন আর কোনো দিন জমির মালিকানা না থাকে। কারণ তারা তো আগুন দিয়ে পুড়িয়েই দিয়েছে। তারা আর পাবে কেন? এই হুমকির পরে কিন্তু তাদের এই ভূমি অফিস পোড়ানোটা বন্ধ হয়।

‘তাদের এই ধ্বংসযযজ্ঞ আমরা দেখেছি। আসলে বিএনপি-জামায়াত এরা তো আর মানুষের জন্য কাজ করে না। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী একটা মিলিটারি ডিক্টেটরের হাতে তৈরি করা এ সংগঠন। কাজেই মানুষের প্রতি এদের কোনো দায়িত্ববোধও নেই, দেশের জন্যও নেই। ক্ষমতা আর ক্ষমতায় থেকে টাকা বাড়ানো, জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাস-দুর্নীতি এটাই তাদের কাজ এবং সেটাই তারা করেছে।’

দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেয়াই লক্ষ্য

সাধারণ মানুষ যেন কোনো ভোগান্তি ছাড়াই সরকারি বিভিন্ন সেবা ঘরে বসেই পায় তা নিশ্চিত করাই ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় দফায় যখন আমরা ২০০৯-এ সরকার গঠন করি, তার আগে ২০০৮-এর নির্বাচনে আমরা আমাদের ইশতেহারে ঘোষণা দিয়েছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলব। ডিজিটাল বাংলাদেশ অর্থাৎ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সেবাটা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়া এবং মানুষের জীবনটা সহজ করা।

‘দুর্নীতি, অনিয়ম দূর করা—এটাই ছিল আমাদের লক্ষ্য। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিই এবং ভূমি ব্যবস্থাপনাটাকে ডিজিটাইজড করে মানুষের কাছে সেবাটা পৌঁছে দেয়ার জন্য আর মানুষের অধিকার সুরক্ষিত করবার জন্য আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছিলাম।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমাদের সরকারের নির্বাচনি ইশতেহারে যে রূপকল্প-২০২১ আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম, আমরা একটি সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনাই নিয়েছিলাম। ২০২১-এর মধ্যে বাংলাদেশ কেমন বাংলাদেশ হবে তারই একটি দিকনির্দেশনা আমরা দিয়েছিলাম। পরবর্তী সময়ে ২০৪১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ কীভাবে তৈরি হবে আমরা সেই পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনাও ইতিমধ্যে প্রণয়ণ করেছি।

‘এতে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে শতভাগ মিউটেশন কার্যক্রম যেন সম্পন্ন হয় এবং বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনা যেন সম্পূর্ণ ডিজিটাইজড হয়। কারণ মানুষ যেন খামোখা হয়রানির শিকার না হয়, মানুষকে যেন ভোগান্তির শিকার না হতে হয়, দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে বেড়াতে না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই ভূমি সেবাটা যেন হাতের মুঠোয় পায়, সে ব্যবস্থাটাই আমরা করতে চেয়েছি। কাজেই হাতের মুঠোয় ভূমিসেবা নিশ্চিত করতে অনলাইনে খতিয়ান সংগ্রহ, উত্তরাধিকার ক্যালকুলেটর, অনলাইন ডাটাবেজসহ ভূমি সেবার সব ক্ষেত্রে অধিকতর ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘অনলাইনে খতিয়ান সংগ্রহ সিস্টেম বাস্তবায়ন হচ্ছে। এতে ঘরে বসে সহজেই মানুষ তাদের জমির পর্চা পাচ্ছে। এতে তারা খুবই খুশি। সারা বাংলাদেশে প্রায় ৪ কোটি ৯৪ লাখ ডিজিটাইজড খতিয়ান নিয়ে তৈরি করা হয়েছে ভার্চুয়াল রেকর্ড রুম। এই রুম থেকে যে কেউ বিনা পয়সায় তার কাঙ্ক্ষিত খতিয়ান সংগ্রহ করতে পারবে।

‘আর যারা ঘরে বসে কম্পিউটার ব্যবহার করে করতে পারবে না, তাদের জন্য ডিজিটাল সেন্টার করে দেয়া হয়েছে। সেখানেও তারা সেই সেবাটা নিতে পারেন। তাদের জন্য সেই সুযোগটাও আমরা তৈরি করে দিয়েছি। প্রত্যেকটা এলাকায় যেমনটা করা হয়েছে, আবার প্রত্যেক পোস্ট অফিসেও করা হয়েছে, সেখান থেকেই মানুষ সেই সেবাটা নিতে পারে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভূমি ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটাইজড করতে তিনটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে, ভূমি ব্যবস্থাপনা অটোমেশন প্রকল্প, ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ করার জন্য ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরে শক্তিশালীকরণ প্রকল্প এবং মৌজা ও ব্লকভিত্তিক ভূমি জোনিং প্রকল্প।

‘এটা এখন পর্যন্ত যতটুকু হয়েছে, আগামীতে সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হবে। এই কাজগুলো শেষ হলে আমি মনে করি বাংলাদেশের জন্য একটি আমূল পরিবর্তন আসবে। মানুষও প্রযুক্তি ব্যবহার করে তার সেবাটা পাবে।’

তিনি বলেন, ‘যেকোনো একজন জমির মালিককে ভূমি উন্নয়ন কর প্রদানের জন্য ইউনিয়ন ভূমি অফিস পর্যন্ত যেতে হয়। কিন্তু আজকের যে পদ্ধতি তাতে অনলাইনেই দিতে পারবেন। আর এখন তো মোবাইল ফোন সকলেরই হাতে। আমরা শুধু মুখেই বলিনি; কাজেও সেটা বাস্তবায়ন করেছি। ভূমি কর প্রদানের জন্য আবশ্যিকভাবে ভূমি অফিস পর্যন্ত যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। ডিজিটালাইজড পদ্ধতিতে তিনি কর পরিশোধ করতে পারেন।

‘দেশে-বিদেশে যেখানেই থাকেন, সেখান থেকেই সেটা করতে পারবেন। সে সুযোগটা সৃষ্টি করা হয়েছে। ঘরে বসেই যেন ভূমির মালিক উন্নয়ন কর পরিশোধ করতে পারেন, তার জন্য বাস্তবায়ন করা হচ্ছে অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধের ডিজিটাল পদ্ধতি। এর মাধ্যমে মানুষের ভোগান্তিও কমে যাবে। তিন কোটি হোল্ডিংয়ের মধ্যে প্রায় এক কোটি হোল্ডিংয়ের ডাটা এন্ট্রির কাজ এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে যেকোনো নাগরিক যেকোনো স্থান থেকে ভূমি উন্নয়ন কর সংক্রান্ত তথ্য জানতে পারবেন। অনলাইনে পরিশোধ করতে পারবেন, অনলাইনেই দাখিলা পেয়ে যাবেন। এতে সময় বাঁচবে, খরচ বাঁচবে। হয়রানি থেকেই মানুষ রক্ষা পাবে। পাশাপাশি ভূমি উন্নয়ন কর সরাসরি সরকারের কোষাগারে জমা হবে। আগে হয়তো যা পাওয়া যেত কিছু যেত, কিছু যেত না। এখন আর তা হবে না।’

উপজেলা ভূমি অফিস জীর্ণ কেন?

দেশের বিগত কোনো সরকারই উপজেলা ভূমি অফিসগুলো সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেয়নি কেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘আমরা ভূমি ব্যবস্থাপনাটা আরও উন্নত করতে চাই। সেই সাথে আমরা জানি, সারা দেশে ঠিকমতো কাজ করা যেত না।

‘কিছুক্ষণ আগে আপনারা যে ভিডিওটা দেখালেন তাতে উপজেলা ভূমি অফিসগুলোর যে জীর্ণ দশা, এই জীর্ণ দশা কেন? আমি জানি না। আমাদের আগে তো আরও অনেকেই ক্ষমতায় এসেছেন। কেন এ ব্যাপারে কোনো সংস্কার করা হয়নি, এটাই বড় প্রশ্ন।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যেকটি এলাকায় আমাদের ভূমি অফিসগুলো উন্নত করার যে পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি এবং সেখানে যে কর্মকর্তাদের অভাব ছিল, সেটা পূরণেরও ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বর্তমানে প্রায় সব উপজেলায় সহকারী ভূমি কমিশনার পদায়ন করা হয়েছে।

‘একই সাথে দাপ্তরিক কাজ পরিচালনা, মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য যানবাহন প্রদান করা হয়েছে। এতে প্রশাসনের গতিশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং জনগণকে কাঙ্ক্ষিত সেবাও দিতে পারছে।’

তিনি বলেন, ‘দেশের বেশির ভাগ উপজেলা ভূমি অফিসগুলো জরাজীর্ণ ছিল। এখন সব জায়গায় আমরা নতুন অফিস করে দিচ্ছি। ১৩৯টি উপজেলা ভূমি অফিস নির্মাণের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়, তার মধ্যে ১২৯টির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রত্যেকটি উপজেলার অফিসগুলোকে নতুনভাবে গড়ে তোলা। যেগুলো হয়নি, সেগুলো দ্রুত প্রকল্প নিয়ে কাজ সম্পন্ন করতে হবে। এখান থেকেও মানুষ যথাযথ সেবা পাবে।

‘আমাদের ভূমি অফিসগুলো বিভিন্ন জায়গায় ছড়ানো-ছিটানো ছিল। আমরা আস্তে আস্তে সব অফিসকে এক ভবনে আনছি। মানুষ যাতে সব সেবা এক জায়গায় পেতে পারে, সে ব্যবস্থাটা আমরা নিয়েছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নটা পূরণ করতে হবে। তার জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার মানুষের বাসস্থান, মানুষের অধিকার নিশ্চিত করা এবং মানুষের জীবনটাকে সুন্দর করে গড়ে তোলা। সে লক্ষ্য নিয়েই আমরা পদক্ষেপ নিই। তা ছাড়া আমরা দেখেছি শুধু আমাদের দেশই নয়, বিশ্বের সব দেশেই যখন নগরায়ণ শুরু হয়, তখন কিন্তু সেটা যদি সুপরিকল্পিতভাবে হয়, তাহলে কোনো অসুবিধা হয় না।

‘কিন্তু যখন এটা শুরু হয় তখন সেটা পরিকল্পনা মাফিক হয় না। কাজেই নগরায়ণের চাপে একদিকে আমরা যেমন কৃষিজমি হারাই, অন্যদিকে বনায়ন ধ্বংস হয়, পরিবেশ নষ্ট হয়। এটা খুব একটা স্বাভাবিক নিয়মই ছিল। কিন্তু আমরা সরকারে আসার পর থেকে আমাদের প্রচেষ্টাই ছিল ভূমির ব্যবহার, ভূমি উন্নয়ন এবং ভূমিকে যথাযথভাবে রক্ষা করা। যেমন কৃষিজমি রক্ষা করা, আবার মানুষের বসতিও সুন্দরভাবে গড়ে তোলা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মানুষকে রক্ষা করা এসব বিষয় মাথায় রেখেই আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিই।’

তিনি বলেন, ‘ভূমি ব্যবহারের জন্য যে একটা নীতিমালা প্রয়োজন, আমাদের নির্বাচনি ইশতেহারেও এটা আমরা যুক্ত করেছিলাম। ২০০১ সালে আমরা সে ধরনের একটি নীতিমালা প্রণয়নও করি। ১৯৯৬ সালে আমরা যখন সরকার গঠন করি, তখনই আমরা কিছু পদক্ষেপ নিই।

‘২৮টি মৌলিক বিষয় এতে সংযোজন করি। একটি জাতীয় ভূমি ব্যবহার কমিটিও আমরা সে সময় গঠন করেছিলাম।’

অধিগ্রহণের জমি ব্যবহারে আর সমস্যা হবে না

দেশের সরকারি সব জমির তথ্যভান্ডার তৈরির ফলে এখন থেকে অধিগ্রহণ করা জমিতে প্রকল্প নিতে আর কোনো সমস্যা হবে না বলে আশা প্রকাশ করেছেন সরকারপ্রধান।

তিনি বলেন, ‘দেশের সায়রাত মহাল অর্থাৎ যেখানে জলাভূমি আছে সেগুলোর ডিজিটাল ডেটাবেজ ছিল না। এর জন্য এগুলোর তথ্য পেতে দীর্ঘ সময় লাগে। যেকোনো প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গেলে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় এই ভূমি নিয়ে।

‘কোথায় ভূমি পাওয়া যাবে, সেগুলোর মালিকানা খোঁজা, তারপর অর্থ পরিশোধ করা…অনেক ঝামেলা। ডিজিটাইজড হলে আর ডাটাবেজ থাকলে কোথায় কোন জমি আছে, কী অবস্থায় আছে, সেটা এই ভূমি তথ্য থেকে সব পাওয়া যাবে। এতে কাজগুলো করতে সুবিধা হবে। ভবিষ্যতে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন আরও সহজতর হবে।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আরেকটা সমস্যা ছিল, ডাটাবেজ না থাকার কারণে অনেক সময় অনেক দপ্তর বা সংস্থা তাদের কত জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে বা কোথায় আছে, তা জানতে পারত না।

‘ফলে আবার নতুন জমি অধিগ্রহণের জন্য…আর যেকোনো প্রকল্প হলে একটু নতুন জমি অধিগ্রহণের বিষয়ে অনেকের আবার আকাঙ্ক্ষাটাও বেশি থাকে। এ রকম একটি মানসিকতা আমি লক্ষ করি। কিন্তু এখন যেহেতু একটি ভূমি ব্যাংক হয়ে যাচ্ছে, এখন আর অধিগ্রহণকৃত জমি ব্যবহারে কোনো সমস্যা হবে না।’

তিনি বলেন, ‘নতুন পদ্ধতিতে রেকর্ডগুলো সুরক্ষিত থাকবে। হার্ড কপিও যেমন থাকবে, আবার ডিজিটাল পদ্ধতিতেও সফট কপি থাকবে। তথ্য পেতে আর কোনো অসুবিধা হবে না।

‘এই সেবা নিশ্চিত করতে ইউনিয়ন পর্যায়ে ১৪৯৮টি ভূমি অফিস নির্মাণের প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর মধ্যে ৯৯৫টির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। আশা করি বাকিগুলিও খুব দ্রুত শেষ হবে।’

আরও পড়ুন:
আমি শুধু শাসক নই, মানুষের সেবক: প্রধানমন্ত্রী
অক্টোবর থেকে মাসে দুই কোটি টিকা: প্রধানমন্ত্রী
‘যুদ্ধাপরাধীর স্বজনরা ষড়যন্ত্রে, জাতি সাবধান’
পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে গুলি চালাননি জিয়া: প্রধানমন্ত্রী

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Democracy established on January 7 will fail if upazila elections fail CEC

উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত গণতন্ত্র ব্যর্থ হবে: সিইসি

উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত গণতন্ত্র ব্যর্থ হবে: সিইসি সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। ফাইল ছবি
সিইসি বলেন, ‘দেশের নির্বাচনে আবেগ-অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। যেকোনো মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, আসন্ন উপজেলা নির্বাচন ব্যর্থ হলে ৭ জানুয়ারি (দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন) যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেটি ব্যর্থ হবে।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বিষয় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

সিইসি বলেন, ‘দেশের নির্বাচনে আবেগ-অনুভূতির জন্য কিছুটা বিশৃঙ্খলা হয়। ভোটাররা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। যেকোনো মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হবে। এই নির্বাচনে ব্যর্থ হলে বিগত সংসদ নির্বাচনে যে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে, তা ক্ষুণ্ন হতে পারে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র আছে, তা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে হবে।’

সভায় দেশের সব জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন:
নৌকা ২২২ লাঙ্গল ১১ স্বতন্ত্র পেল ৬২ আসন
ভোট ৪০ শতাংশের মতো, আরও বাড়তে পারে: সিইসি
বেশির ভাগ জায়গায় নৌকা ছাড়া অন্য এজেন্ট পেলাম না: সিইসি
ভোট দিলেন সিইসি
জাতির উদ্দেশে ভাষণে সিইসি

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Say no to war Prime Minister

যুদ্ধকে ‘না’ বলুন: প্রধানমন্ত্রী

যুদ্ধকে ‘না’ বলুন: প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে জাতিসংঘের কনফারেন্স সেন্টারে (ইউএনসিসি) বৃহস্পতিবার এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ইয়াসিন কবির জয়/ফোকাস বাংলা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সব ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে এবং যুদ্ধকে ‘না’ বলতে হবে। বাংলাদেশ জাতিসংঘ মহাসচিবের ‘শান্তির জন্য নতুন এজেন্ডা’র পক্ষে।”

সব ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর পাশাপাশি যুদ্ধকে ‘না’ বলতে বৃহস্পতিবার সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

থাইল্যান্ডে জাতিসংঘের কনফারেন্স সেন্টারে (ইউএনসিসি) এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে দেয়া ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান বলে বার্তা সংস্থা বাসসের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সব ধরনের আগ্রাসন ও নৃশংসতার বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে এবং যুদ্ধকে ‘না’ বলতে হবে। বাংলাদেশ জাতিসংঘ মহাসচিবের ‘শান্তির জন্য নতুন এজেন্ডা’র পক্ষে।”

ভাষণে সব ধরনের যুদ্ধ, আগ্রাসন ও নৃশংসতা বন্ধে বিশ্ব নেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গাজায় ইসরায়েলের হামলা ‍শুধু হতাহতের সংখ্যা বাড়াচ্ছে, বিশেষত নারী ও শিশুরা এর বলি হচ্ছে। অথচ আলোচনায় আসতে পারে শান্তি।

তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনি যুদ্ধ ও গণহত্যা চলছে। এটি অবশ্যই বন্ধ হতে হবে। যুদ্ধ কোনো সমাধান দিতে পারে না।’

এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা তার উদ্যোগ ও শাসনামলে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশে ‘পার্বত্য শান্তি চুক্তি’র কথা উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে আঞ্চলিক বিরোধ ও উত্তেজনা নিষ্পত্তি করতে হবে।’

আরও পড়ুন:
প্রধানমন্ত্রী থাইল্যান্ডে, লাল গালিচা সংবর্ধনা
থাইল্যান্ডের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা ত্যাগ
বাংলাদেশ-কাতার ১০ চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই
জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলায় প্রতিশ্রুত অর্থ ছাড়ের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
ন্যাপ এক্সপো উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The fire may continue for another 72 hours

আরও ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে দাবদাহ

আরও ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে দাবদাহ গরমের তীব্রতা বাড়ার মধ্যে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় গোসল করছেন এক ব্যক্তি। ছবি: পিয়াস বিশ্বাস/নিউজবাংলা
সতর্কবার্তায় বলা হয়, ‘দেশের ওপর চলমান তাপপ্রবাহ আজ (২৫ এপ্রিল, ২০২৪) হতে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে।’

দেশজুড়ে চলমান দাবদাহ আরও ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

রাষ্ট্রীয় সংস্থাটির আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বৃহস্পতিবার তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানিয়েছেন।

সতর্কবার্তায় বলা হয়, ‘দেশের ওপর চলমান তাপপ্রবাহ আজ (২৫ এপ্রিল, ২০২৪) হতে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে।’

৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাস

আবহাওয়া অধিদপ্তর বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে তাপপ্রবাহ বা দাবদাহ নিয়ে জানায়, খুলনা বিভাগসহ দিনাজপুর, নীলফামারী, রাজশাহী, পাবনা, ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও বান্দরবান জেলাসহ বরিশাল বিভাগ এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অবশিষ্টাংশের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের দাবদাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

তাপমাত্রার বিষয়ে পূর্বাভাসে বলা হয়, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিভাব বিরাজমান থাকতে পারে।

আরও পড়ুন:
দাবদাহ পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব হাসপাতাল প্রস্তুত রাখার নির্দেশ
গাছহীন সড়কটি যেন ‘উত্তপ্ত কড়াই’
অতি তীব্র দাবদাহ চুয়াডাঙ্গায়, তাপমাত্রা ৪২.২
দাবদাহে ঢাবি জবিতে বন্ধ সশরীরে ক্লাস
দাবদাহ থেকে মুক্তি মিলবে কবে

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Tribute to memorial on 11th anniversary of Rana Plaza tragedy

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১১তম বার্ষিকীতে স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১১তম বার্ষিকীতে স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বুধবার সকাল থেকে ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনে অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানানো শুরু হয়। ছবি: নিউজবাংলা
সমাবেশে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১১ বছর পর এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের সুচিকিৎসা, ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত না হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়ে তা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান বক্তারা।

রাজধানীর উপকণ্ঠ সাভারে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১১ বছর পূর্তিতে বুধবার প্রাণ হারানো শ্রমিকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন হতাহত শ্রমিক, তাদের পরিবার, বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন ও পুলিশ সদস্যরা।

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল ঘটে যাওয়া ওই দুর্ঘটনায় পাঁচটি পোশাক কারখানার এক হাজার ১৩৮ জন শ্রমিক প্রাণ হারান। পঙ্গুত্ব নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন দুই সহস্রাধিক শ্রমিক।

ট্র্যাজেডির বার্ষিকীতে আহত শ্রমিকদের পুনর্বাসন ও সুচিকিৎসা নিশ্চিতের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন শ্রমিক ও সংগঠনগুলোর সদস্যরা।

সাভার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বুধবার সকাল থেকে ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনে অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা জানানো শুরু হয়।

একে একে নিহত শ্রমিকের পরিবার, আহত শ্রমিক, পুলিশ ও বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের ফুলের শ্রদ্ধায় সিক্ত হয়ে ওঠে বেদি। ওই সময় নিহত শ্রমিকদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

পরে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি আদায়ে বিক্ষোভ সমাবেশ, র‌্যালি ও মানববন্ধন করা হয়।

রানা প্লাজা ট্র্যাজেডিতে প্রাণ হারানো শ্রমিকদের অনেক স্বজন প্রিয়জনের কথা স্মরণ করে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।

সমাবেশে রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ১১ বছর পর এখন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের সুচিকিৎসা, ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসন নিশ্চিত না হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়ে তা দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান বক্তারা।

একই সঙ্গে ভবনের মালিক সোহেল রানার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডেরও দাবি জানান তারা।

আরও পড়ুন:
সাভারে যুগান্তরের সাংবাদিকের ওপর রাসায়নিক নিক্ষেপ
সাভারে গোডাউন খুলতেই বিস্ফোরণ, দগ্ধ তিন
টেইলার্সে এসি বিস্ফোরণে আটজন আহত
ধামরাইয়ে বাইক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আরোহীর মৃত্যু
সাভার থেকে চুরি হওয়া শিশু নারায়ণগঞ্জে উদ্ধার

মন্তব্য

বাংলাদেশ
1500 megawatts loadshedding people suffer in extreme heat

প্রচণ্ড গরমে দেড় হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং, দুর্ভোগে মানুষ

প্রচণ্ড গরমে দেড় হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং, দুর্ভোগে মানুষ প্রতীকী ছবি।
এনএলডিসির তথ্য বলছে, মঙ্গলবার রাত ১টায় লোডশেডিং ছিল ১ হাজার ৪৬৮ মেগাওয়াট। বুধবার সকাল ৭টায় তা ৫৪২ মেগাওয়াটে নেমে এলেও বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে লোডশেডিং বাড়তে থাকে। বিকেল ৩টায় লোডশেডিং বেড়ে দাঁড়ায় ৮২১ মেগাওয়াট।

দেশজুড়ে বয়ে চলেছে তাপপ্রবাহ। প্রচণ্ড গরমে অস্থির জনজীবন। বিদ্যুতের লোডশেডিং সেই অস্বস্তি-অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন রেকর্ড গড়লেও সারাদেশে লোডশেডিং কমার কোনো লক্ষণ নেই। বরং আগের তুলনায় লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ।

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অফ বাংলাদেশের (পিজিসিবি) ন্যাশনাল লোড ডিসপ্যাচ সেন্টারের (এনএলডিসি) তথ্যের উল্লেখ করে বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানায়, বুধবার (দেশে প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট লোডশেডিং হয়েছে। আগের দিন মঙ্গলবার তা ছিল ১ হাজার ৪৯ মেগাওয়াট।

এনএলডিসির তথ্যে আরও দেখা যায়, মঙ্গলবার রাত ১টায় লোডশেডিং ছিল ১ হাজার ৪৬৮ মেগাওয়াট। তবে বুধবার দিনের বেলায় বিদ্যুৎ ঘাটতির মাত্রা কমে সকাল ৭টায় ৫৪২ মেগাওয়াটে নেমে আসে। আবার বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়তে থাকে। বিকেল ৩টায় লোডশেডিং বেড়ে দাঁড়ায় ৮২১ মেগাওয়াট।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ও পিজিসিবির তথ্য বলছে, ১৫ হাজার ২০০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে বুধবার বিকেল ৫টায় দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে ১৪ হাজার ৪৭৩ মেগাওয়াট। সে হিসাবে সন্ধ্যার এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উৎপাদন ঘাটতি ছিল ৭২৭ মেগাওয়াট।

ওদিকে বুধবার সন্ধ্যায় চাহিদার পূর্বাভাস ছিল ১৬ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট এবং সরবরাহের পূর্বাভাস ছিল ১৬ হাজার ৫৩০ মেগাওয়াট।

সরকারি সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকা ও অন্যান্য বড় শহরে লোডশেডিং এড়াতে গিয়ে গ্রামাঞ্চলে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বেড়েছে।

বিভিন্ন এলাকা থেকে পাওয়া সংবাদে জানা যায়, এই গ্রীষ্মে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে লোডশেডিংয়ের মাত্রা গ্রামীণ মানুষের দুর্দশা আরও বাড়িয়ে তুলছে।

এদিকে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন পেট্রোবাংলার সরকারি তথ্যে দেখা যায়, ৩ হাজার ৭৬০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে দেশে গ্যাস উৎপাদন হয়েছে দৈনিক ৩ হাজার ৫৬ মিলিয়ন ঘনফুট।

বেশ কিছু বিদ্যুৎকেন্দ্র, বিশেষ করে যেগুলো প্রাথমিক জ্বালানি হিসেবে গ্যাস ব্যবহার করে, সেগুলোতে গ্যাস সংকটের কারণে উৎপাদন বন্ধ রয়েছে।

বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ২ হাজার ৩১৬ দশমিক ৯ মিলিয়ন ঘনফুট চাহিদার বিপরীতে ১ হাজার ৩৪৯ দশমিক ৯ মিলিয়ন ঘটফুট গ্যাস সরবরাহ পেয়েছে।

আরও পড়ুন:
তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে লোডশেডিং বাড়ার শঙ্কা
তীব্র লোডশেডিং, পানির সংকটে অতিষ্ঠ সিলেটবাসী
জনরোষ এড়াতে বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কোপ গ্রামে
সিলেটে গ্রামের চেয়ে বেশি লোডশেডিং শহরে
গ্যাস সংকটে লোডশেডিংয়ের সতর্কতা

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Appointment of 3 judges in Appellate Division

আপিল বিভাগে ৩ বিচারকের শপথ বৃহস্পতিবার

আপিল বিভাগে ৩ বিচারকের শপথ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ। ফাইল ছবি
আপিল বিভাগে নবনিযুক্ত বিচারপতিগণ হলেন- বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ, বিচারপতি মো শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন। বৃহস্পতিবার তারা শপথ নেবেন।

সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নতুন তিন বিচারপতি নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। বৃহস্পতিবার তারা শপ্রথ গ্রহণ করবেন।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে বুধবার।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মহামান্য রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের তিনজন বিচারককে তাদের শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করেছেন।

আপিল বিভাগে নবনিযুক্ত বিচারপতিগণ হলেন- বিচারপতি মুহাম্মদ আবদুল হাফিজ, বিচারপতি মো শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি কাশেফা হোসেন।

বৃহস্পতিবার শপথ

সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার বলা হয়, আপিল বিভাগে নবনিযুক্ত তিন বিচারপতি বৃহস্পতিবার শপথ গ্রহণ করবেন। এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেজ লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি তাদেরকে শপথ পাঠ করাবেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
173 Bangladeshis returned from Myanmar after serving their sentences

সাজা ভোগ শেষে মিয়ানমার থেকে ফিরলেন ১৭৩ বাংলাদেশি

সাজা ভোগ শেষে মিয়ানমার থেকে ফিরলেন ১৭৩ বাংলাদেশি প্রিয়জনের উদ্দেশে তীর থেকে হাত নাড়ছে অপেক্ষায় স্বনজরা। ছবি: নিউজবাংলা
বাংলাদেশ সফররত মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলটি দেশটির সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড পুলিশের ২৮৫ সদস্যকে নিয়ে বৃহস্পতিবার ফিরে যাবে।

মিয়ানমারের কারাগারে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ শেষে ১৭৩ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। গভীর সাগরে অবস্থানরত মিয়ানমার প্রতিরক্ষা বাহিনীর জাহাজ ‘চিন ডুইন’ থেকে তাদের নিয়ে বাংলাদেশ নৌ বাহিনীর একটি জাহাজ বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ার ছড়া ঘাটে এসে পৌঁছায়।

এর আগে বুধবার বেলা ১১টার দিকে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজার এসে পৌঁছায়।

প্রতিনিধি দলটি কক্সবাজার পৌঁছানোর পরপরই ঘাট থেকে গাড়িযোগে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার উদ্দেশে রওনা হয়, যেখানে বিজিবির অধীনে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ২৮৫ সদস্য রয়েছেন। তাদের নিয়ে বৃহস্পতিবার মিয়ানমার ফেরত যাবে প্রতিনিধি দলটি।

এদিন বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন জাতীয় সংসদের হুইপ ও কক্সবাজার ৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল।

তিনি বলেন, ‘দুপুর ১টার দিকে ১৭৩ বাংলাদেশি ঘাটে এসে পৌঁছাতে পারেন। তারা মিয়ানমারের কারাগারে ভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ করে সরকারের প্রচেষ্টায় ফিরছেন।’

সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, ১৭৩ জনের মধ্যে ১২৯ জন কক্সবাজার জেলার, ৩০ জন বান্দরবান জেলার, সাতজন রাঙ্গামাটি জেলার এবং একজন করে রয়েছেন খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম, রাজবাড়ী, নরসিংদী ও নীলফামারী জেলার। ইতোমধ্যে ফেরত আসাদের অপেক্ষায় ঘাটে ভীড় করছেন তাদের স্বজনরা।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম জানিয়েছেন, দেশে ফেরত আসাদের গ্রহণ করে পুলিশে হস্তান্তর করবে বিজিবি। তারপর যাচাই-বাছাই শেষে স্ব স্ব থানার পুলিশের মাধ্যমে তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।

এদিকে ইয়াঙ্গুনে বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্র জানিয়েছে, রাখাইন রাজ্যে সংঘাতের কারণে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আসতে বাধ্য হওয়া মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যদের ফিরিয়ে নিতে বাংলাদেশ সফররত মিয়ানমারের প্রতিরক্ষা বাহিনীর ‘চিন ডুইন’ জাহাজটি ১৭৩ বাংলাদেশিকে বহন করে মঙ্গলবার যাত্রা শুরু করে। এর মধ্যে ১৪৪ জন কারাগারে পূর্ণ মেয়াদে সাজা ভোগ করেছেন। অপর ২৯ জন মিশনের প্রচেষ্টায় ক্ষমা পেয়ে বাংলাদেশে ফিরছেন।

মূলত বাংলাদেশিদের নিয়ে আসা মিয়ানমারের জাহাজটিই বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও বিজিপির ২৮৫ সদস্যকে নিয়ে ফেরত যাবে।

মিয়ানমারের ২৮৫ সদস্যকে ফেরত নেয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতেই মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলটি নাইক্ষ্যংছড়ি গেছে।

মিয়ানমারে ফেরত যাওয়াদের মধ্যে গত ১৯ এপ্রিল একদিনে নতুন ২৪ জন, ১৬ এপ্রিল ৬৪ জন, ১৪ এপ্রিল ১৪ জন, ৩০ মার্চ ৩ জন ও ১ মার্চ ১৭৭ জন বিজিপি ও সেনা সদস্য পালিয়ে আশ্রয় নেন। এরও আগে ফেব্রুয়ারির শুরুতে কয়েক দফায় বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছিলেন আরও ৩৩০ জন, যাদের গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছিল।

প্রথম দফায় ফেরতের সময় ঘটনাস্থলে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশ ও সংশ্লিষ্টরা কথা বললেও এবার তা হচ্ছে না। ফেরত আসা বাংলাদেশিদের গ্রহণ এবং ২৮৫ জনকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শেষ করে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে প্রেস ব্রিফিং করে বিস্তারিত জানানো হবে। সেখানেও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশ সংরক্ষিত হতে পারে।

আরও পড়ুন:
মিয়ানমারের কারাগার থেকে ফিরছেন ১৭৩ বাংলাদেশি

মন্তব্য

p
উপরে