সরকারের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ১০টি মেগা প্রকল্পের তিনটির অগ্রগতি সন্তোষজনক হলেও বাকি সাতটি প্রত্যাশার চেয়ে অনেক পিছিয়ে। যে তিন প্রকল্পের অগ্রগতি ভালো, সেগুলো হচ্ছে পদ্মা সেতু, পায়রা বন্দর ও ঢাকা মেট্রোরেল-৬।
বিপুল ব্যয়ের এসব অবকাঠামো প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সরকারের বিশেষ মনোযোগ থাকায় এগুলোকে ‘ফাস্ট ট্র্যাক’ প্রকল্প বলা হয়।
এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে পদ্মা সেতু। এটি প্রায় ৯০ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে। অন্য দুটির অগ্রগতি ৮৩ শতাংশ এবং ৭২ শতাংশ।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সবশেষ প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে।
টেকসই প্রবৃদ্ধি ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে ২০০৯-১০ অর্থবছরে এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের ঘোষণা দেয়া হয়।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ বাস্তবায়ন করলেও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রকল্পগুলো নিয়মিত তদারকি করে থাকে।
অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে অনেক মন্ত্রণালয় ও সংস্থা জড়িত। অনেক ক্ষেত্রে এসব সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের অভাব থাকে। অর্থায়ন একটি বড় সমস্যা। এসব কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি দেখা যায়।
যোগাযোগ করা হলে সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএসের সাবেক ঊর্ধ্বতন গবেষণা পরিচালক বর্তমানে অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখ্ত নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনার কারণে বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন ব্যাহত হয়েছে। একটি প্রকল্পের কাজ যখন থেমে যায়, তখন পুনরায় চালু হতে সময় লাগে।’
ড. জায়েদ বখ্ত জানান, বেশির ভাগ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে বিদেশি অর্থায়নে। তাদের অর্থছাড়ে নানা শর্ত ও জটিলতা থাকে। এতে করে প্রকল্পের বাস্তবায়ন পিছিয়ে পড়ে।
প্রতিবেদনে আইএমইডি জানিয়েছে, চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশের বৃহত্তম সেতু অবকাঠামো পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি প্রায় ৯০ শতাংশ।
গত ডিসেম্বরে ৪১তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এর পর জুলাই মাসের শেষে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সড়কপথের মাধ্যমে নদীর উভয় পাশ সংযোগকারী সব রোড স্ল্যাব স্থাপনের কাজ শেষ করে। এর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ আরেক ধাপ এগিয়ে গেল। এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষা।
আগামী বছরের জুনে এটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মূল সেতু নির্মাণ ও নদীশাসনের জন্য বাকি কাজ শেষ করার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।
নিজস্ব অর্থায়নে ৩০ হাজার ১৯০ কোটি টাকায় ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর কাজ ২০১৪ সালের নভেম্বরে শুরু হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বাংলাদেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দর পায়রার কাজের অগ্রগতি দাঁড়িয়েছে ৮২ দশমিক ৮৬ শতাংশ। বন্দরটির কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০২২ সালের জুনের মধ্যে।
এই বন্দরের কাজ শেষ হলে পাল্টে যাবে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল। দেশ সমৃদ্ধ হবে অর্থনৈতিকভাবে।
ঢাকা মাস র্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প বা মেট্রোরেল-৬-এর বাস্তবায়নের হার ৭১ দশমিক ৭৩ শতাংশ। এই প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। এর ৭৬ শতাংশ অর্থায়ন করছে জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকা। অবশিষ্ট টাকা বাংলাদেশ সরকারের।
মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক যাত্রা এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। গত ২৯ আগস্ট উত্তরা থেকে পল্লবী পর্যন্ত পরীক্ষামূলক যাত্রার মধ্য দিয়ে মেট্রোরেল যুগে প্রবেশের পথে অনেকটাই এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মেট্রোরেল উদ্বোধনের কথা চলতি বছরের ডিসেম্বরে।
এ ছাড়া আরেকটি মেগা প্রকল্প মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট, যা রামপাল পাওয়ার প্লান্ট নামে পরিচিত। কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণের জন্য ভারতের ন্যাশনাল থারমাল পাওয়ার কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড চুক্তি সই করে ২০১০ সালে।
প্রকল্পটির ভৌত অগ্রগতি ৬৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৬৯ দশমিক ২০ শতাংশ। পুরো প্রকল্পের ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের মধ্যে এ পর্যন্ত প্রায় ১১ হাজার ৭১ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।
প্রকল্পটির আওতায় বাগেরহাটের রামপালে একটি ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে। প্রকল্পের অবকাঠামো কার্যক্রম শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। বয়লার, চিমনি, পাওয়ার হাউস, জেটি ইত্যাদির নির্মাণকাজ চলছে।
কক্সবাজার জেলার মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াটের আরেকটি কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। জাইকার অর্থায়নে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র বাংলাদেশের অন্যতম মেগা প্রকল্প।
প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটির অগ্রগতি ৪৯ শতাংশ। এ প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় পাকশি ইউনিয়নের রূপপুর গ্রামে নির্মিত হচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এখন পর্যন্ত অবকাঠামো খাতের সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্প এটি। এ প্রকল্পের আওতায় দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে। প্রতি ইউনিটে ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।
রাশিয়ার রোসাটাম করপোরেশনের অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন এ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজের অগ্রগতি ৩৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
সরকার চলতি অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) থেকে প্রকল্পটির জন্য ১৮ হাজার ৪২৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। ১ লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি টাকার প্রকল্পটি ২০২৫ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা।
চলতি বছরের মার্চে প্রকল্পটি পরিদর্শন করার পর আইএমইডি সরকারের অংশের ব্যয় ত্বরান্বিত করার সুপারিশ করেছে এবং এর বাস্তবায়নের গতি বাড়ানোর লক্ষ্যে বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা এবং ক্রয় পরিকল্পনা প্রণয়নে আরও কৌশলী ও তৎপর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
দোহাজারী-রামু-ঘুমধুম রেললাইনের কাজে জুলাই পর্যন্ত ৩২ দশমিক ২২ শতাংশ আর্থিক অগ্রগতি এবং ৬১ শতাংশ ভৌত অগ্রগতি হয়েছে। আইএমইডি ২০২২ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি সম্পন্ন করার জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
পদ্মা সেতু দ্বিতলবিশিষ্ট। এর ভেতর দিয়ে রেলও চলবে। এ জন্য ১৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৩৪ হাজার কোটি টাকা।
পদ্মা সেতু চালুর সঙ্গে একই দিনে এর ওপর ট্রেন চলার কথা মাওয়া থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত। কিন্তু এটির আর্থিক অগ্রগতি ৪৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং ভৌত অগ্রগতি ৪৩ শতাংশ।
এ ছাড়া শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত এমআরটি লাইন-১-এর ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকার প্রকল্প ১ দশমিক ৫ শতাংশ অগ্রগতি অর্জন করেছে। এর মেয়াদ ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
হেমায়েতপুর থেকে রাজধানীর ভাটারা পর্যন্ত চলা ৪১ হাজার ২৩৮ কোটি টাকার এমআরটি-৫ প্রকল্পের অগ্রগতি হয়েছে ৩ দশমিক ১১ শতাংশ। প্রকল্পটি বাস্তবায়নকারী সংস্থা ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড জুলাই পর্যন্ত ১ হাজার ২৮১ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২৮ সাল পর্যন্ত।
উত্তরা তৃতীয় পর্যায় থেকে মতিঝিল পর্যন্ত এমআরটি-৪ প্রকল্প জুলাই পর্যন্ত ৭১ দশমিক ৩৩ শতাংশ আর্থিক অগ্রগতি করেছে। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। এ পর্যন্ত সেখানে ১৫ হাজার ৬৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।
চলতি অর্থবছরের বাজেটে মেগা প্রকল্পগুলোর জন্য ৫১ হাজার ৩২১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মেগা প্রকল্পের বাস্তবায়নের গতি ত্বরান্বিত করার জন্য টাকা ছাড়ে কোনো সমস্যা হবে না বলে বাজেটে বক্তৃতায় উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
আইএমইডির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা মহামারি সত্ত্বেও চীনা ও স্থানীয় শ্রমিকরা এ প্রকল্পে পুরোদমে কাজ করছেন। প্রতিবেদনে বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ রেলওয়েকে মাসভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়েছে।
র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি), অতিরিক্ত আইজিপি এ কে এম শহিদুর রহমান বলেছেন, মব ভায়োলেন্স বা মব সন্ত্রাস করে এ দেশের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত করা যাবে না। অপরাধী যেই হোক বা যে দলেরই হোক, আমরা তাদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করব।
শনিবার (১২ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সামনে ঘটে যাওয়া ব্যবসায়ী হত্যাকাণ্ডে ব্যবস্থা গ্রহণের অগ্রগতিসহ আরও কয়েকটি ঘটনায় অপরাধীদের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে প্রেস ব্রিফিং করেন র্যাবের ডিজি। ব্রিফিংকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ কে এম শহিদুর রহমান বলেন, ‘র্যাব এবং দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যেকোনো ধরনের অপরাধ সংঘটনের সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের বিষয়ে তৎপর রয়েছে। দেশে বিগত কয়েক মাসে ঘটে যাওয়া অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের র্যাব গ্রেপ্তার করেছে। তাদের যেন শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়, সে ব্যাপারে আমরা দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছি। মব ভায়োলেন্স সৃষ্টির অপরাধে এ পর্যন্ত প্রায় ২০ জন অপরাধীকে র্যাব আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে।’
‘গত ২ জুলাই লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম থানায় সন্ত্রাসী কর্তৃক মব সৃষ্টির মাধ্যমে পুলিশ সদস্যদের আহত করে আসামিদের ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আমরা ৩ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। এ ছাড়াও গত ৩ জুলাই কুমিল্লার মুরাদনগরে ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় একই পরিবারের মা ও দুই সন্তানের ওপর মব ভায়োলেন্সের অযাচিত ঘটনায় ৬ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
সলিমুল্লাহ মেডিকেলের সামনে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন ও জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে র্যাব কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত এজাহারনামীয় ৪ নম্বর আসামি আলমগীর (২৮) এবং ৫ নম্বর আসামি মনির ওরফে লম্বা মনিরকে (৩২) আমরা গতকাল (শুক্রবার) রাজধানীর কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।’
‘এ ঘটনায় আমরা ছায়া তদন্ত করছি, আর পুরো বিষয়টি দেখছে ডিএমপির তদন্ত বিভাগ।’
র্যাবের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।
রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ সোহাগকে (৩৯) নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনাকে খুবই দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
শনিবার (১২ জুলাই) রাজধানীর পুরান ঢাকার মিল ব্যারাকে পুলিশের বিশেষ কল্যাণ সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ব্যবসায়ী হত্যা ও মব সহিংসতা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র বলেন, ‘ঢাকায় যে হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে, সেটা খুবই দুঃখজনক। এ ঘটনায় এরই মধ্যে পাঁচজনকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। গতকালও র্যাব দুজন ও ডিএমপি দুজনকে ধরেছে। পরে আরও একজনকে ধরা হয়েছে।’
বাকিদেরও আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সতর্ক অবস্থায় আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘আমরা মোটামুটি অসহিষ্ণু হয়ে পড়েছি। ছোটখাট ঘটনায়ও সংঘাতে জড়িয়ে পড়ি। এই জিনিসটা বন্ধ করতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এর আগে চাঁদপুরে, খুলনা ও চট্টগ্রামের ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। যেগুলো হচ্ছে, আমরা সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ নিচ্ছি।’
পুলিশের মিল ব্যারাক এলাকা পরিদর্শন নিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে পরিদর্শনের উদ্দেশ্য হচ্ছে তাদের সঙ্গে একটু কথা বলা। তাদের থাকা ও খাবারের মান দেখা। আগামী নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজনে তাদের একটি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করব এখানে।’
আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আমরা নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে চাই বলেও এ সময় মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কবে হবে, সেটা আমরা জানি না। সেটা জানাবে নির্বাচন কমিশন।’
অভিযানে গৌরবময় অবদান রাখায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের টাগবোট ‘বিসিজিটি প্রমত্ত’ এবং এর ক্রুদের ‘প্রশংসাপত্র’ দিয়েছে আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও)।
শনিবার সকালে কোস্টগার্ড সদর দপ্তরের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ বাসস’কে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে অবস্থানকালে গত বছর ৫ অক্টোবর রাতে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের (বিএসসি) মালিকানাধীন তেলবাহী জাহাজ ‘এমটি বাংলার সৌরভ’-এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। দ্রুত ও কার্যকর অগ্নিনির্বাপণ এবং সামুদ্রিক পরিবেশগত বিপর্যয় রোধে ‘বিসিজিটি প্রমত্ত’ অসাধারণ ভূমিকা রাখে।
ঘটনার সময় ট্যাংকারটিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে এবং আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, যা সামুদ্রিক জীববৈচিত্র ও পরিবেশের জন্য বড় ধরনের হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। তৎক্ষণাৎ জরুরি উদ্ধার অভিযান শুরু করে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড।
‘বিসিজিটি প্রমত্ত’ এবং এর সাহসী নাবিকরা ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সফল অভিযান পরিচালনা করেন। সেই অভিযানে ৪৮ জন নাবিককে উদ্ধার করা হয়। পাশাপাশি তেল ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে কার্যকর ব্যারিয়ার স্থাপন ও বর্জ্য সংগ্রহের মাধ্যমে গভীর সমুদ্রে দূষণরোধ করা হয়।
এই দৃষ্টান্তমূলক ও সাহসিকতাপূর্ণ অভিযানের জন্য আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশন (আইএমও) ‘বিসিজিটি প্রমত্ত’ এবং এর ক্রুদের ‘লেটার অব কমান্ডেশন' দিয়েছে।
আইএমও এই অভিযানে প্রদর্শিত পেশাদারিত্ব, দক্ষতা, পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা এবং আন্তর্জাতিক নৌ নিরাপত্তা নীতিমালা অনুসরণের বিষয়গুলোকে গুরুত্বের সঙ্গে মূল্যায়ন করেছে।
বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আইএমও’র এই স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও দেশের জন্য বড় অর্জন। এটি শুধু কোস্টগার্ড নয়, পুরো দেশের জন্যই গর্বের। এই স্বীকৃতি প্রমাণ করে, কোস্টগার্ড একটি আধুনিক ও দক্ষ বাহিনী হিসেবে যেকোন দুর্যোগে সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সর্বদা সমুদ্রসীমায় নিরাপত্তা বিধান, বিপদগ্রস্তদের উদ্ধার, সমুদ্র দূষণ প্রতিরোধ ও পরিবেশ সুরক্ষার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ভবিষ্যতেও বাহিনী দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী দায়িত্ব পালনে বদ্ধপরিকর থাকবে।
টানা চার দিনের মুষলধারে বৃষ্টিপাতের পর টানা দুদিন নোয়াখালীতে রোদ্রৌউজ্জ্বল আবহাওয়া বিরাজ করছে। এতে অধিকাংশ উপজেলায় জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর, দুর্গাপুর ও লক্ষীনারায়ণপুর গ্রামসহ কয়েকটি গ্রামে পানি বেড়েছে। স্থানীয়দের ধারণা ফেনীর পানি ঢুকে বৃষ্টি না থাকলে এ অঞ্চলে পানি বেড়েছে।
শনিবার (১১ জুলাই) সকালে জেলার সদর, সুবর্ণচর, কোম্পানীগঞ্জ ও কবিরহাট উপজেলার বাসিন্দারা জানায় তাদের এলাকায় পানি নামছে ধীর গতিতে। এজন্য বেশিরভাগ এলাকায় এখনো বন্যার পানি জমে থাকায় জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে জেলার ছয়টি উপজেলার ৫৭টি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়েছে। এতে ৪৬ হাজার ৭০টি পরিবারের প্রায় ১ লাখ ৯২ হাজার ৫০৩ মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। কবিরহাট ও সুবর্ণচর উপজেলায় আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪৫টি বসতঘর। সুবর্ণচরে একটি বসতঘর সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ,পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাব এবং পানি নিষ্কাশনের নালা ও জলাশয় গুলো ভরাট হয়ে যাওয়ায় শহরবাসীর এ দুর্ভোগ। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতাকে দায়ী করছেন অনেকে। হালকা বৃষ্টিতেই নোয়াখালী পৌরসভা এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এদিকে মাইজদীর লক্ষ্মীনারায়ণপুর, সেন্ট্রাল রোড, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জেলা শিল্পকলা একাডেমিসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় এখনো রাস্তাঘাট পানিতে ডুবে রয়েছে। আশপাশের অনেক বাসাবাড়িতেও পানি জমে রয়েছে। টানা বৃষ্টির বিরতিতে মানুষ কিছুটা স্বস্তি পেলেও জলাবদ্ধতা ও বন্যা পরিস্থিতির তেমন কোনো উন্নতি হয়নি।
জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় নোয়াখালীতে তেমন কোনো বৃষ্টিপাত হয়নি। আপাতত ভারী বৃষ্টিরও সম্ভাবনা নেই। তবে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে।
জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান বলেন, পাঁচটি উপজেলায় ৪৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে ১ হাজার ৮৫০ জন মানুষ এবং ১৭১টি গবাদি পশু। দুর্গতদের চিকিৎসায় ৫১টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে, যার মধ্যে ২৯টি কাজ শুরু করেছে। বন্যার ক্ষয়ক্ষতির প্রতিবেদন ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, পানি নিষ্কাশনে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে। বৃষ্টি না হলে জলাবদ্ধতা পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হবে।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, মিটফোর্ডের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারে সরকার বদ্ধপরিকর। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল আইনের অধীনে দ্রুততম সময়ে বিচার শেষ করা হবে।
উপদেষ্টা শনিবার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন, মিটফোর্ডের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারে সরকার বদ্ধপরিকর। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৫ জনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।
তিনি আরো বলেন, এই পাশবিক হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হবে এবং ধারা ১০-এর অধীনে দ্রুততম সময়ে বিচার নিশ্চিত করা হবে।
গত বুধবার রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে (৩৯)। হত্যার আগে তাকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে ও ইট-পাথরের আঘাতে মাথা ও শরীর থেঁতলে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ, মামলার এজাহার, নিহতের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা এবং তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে হত্যাকাণ্ডের এমন বর্ণনা উঠে এসেছে।
মিটফোর্ড (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) হাসপাতালের সামনের ব্যস্ত সড়কে প্রকাশ্যে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। তদন্তকারী কর্মকর্তারা ও স্থানীয় সূত্র জানায়, হত্যাকাণ্ডের মূল কারণ চাঁদাবাজি। নিহত লাল চাঁদ একসময় যুবদলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।
এদিকে, অভিযুক্ত নেতা-কর্মীদের দল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছে বিএনপি। পাশাপাশি ঘটনার নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। বিএনপি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা পুনর্ব্যক্ত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আসকর আলী (২৪) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।
শনিবার (১২ জুলাই) ভোরে উপজেলার মিনাপুর সীমান্তের ৩৫৩ নম্বর প্রধান পিলারের কাছে ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আসকর আলী হরিপুর উপজেলার জীবনপুর গ্রামের কানুরার ছেলে। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
স্থানীয় সূত্র ও বিজিবি জানায়, শনিবার ভোর আনুমানিক চারটার দিকে আসকর আলীসহ কয়েকজন মিনাপুর সীমান্তের ৩৫৩ নম্বর প্রধান পিলার সংলগ্ন এলাকা দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে কাঁটাতারের বেড়ার কাছে যান। এ সময় ভারতের কিষাণগঞ্জ ব্যাটালিয়নের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে আসকর আলী ঘটনাস্থলেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। তার মরদেহ ভারতের প্রায় ২০০ গজ অভ্যন্তরে পড়ে আছে বলে জানা গেছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সীমান্তে অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। অপরদিকে, ভারতের সীমান্তেও অতিরিক্ত বিএসএফ সদস্য মোতায়েন রয়েছে বলে জানা গেছে।
দিনাজপুর ৪২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা শুরু করেছে। নিহত যুবকের লাশ ফেরত আনার জন্য বিএসএফকে পতাকা বৈঠকে বসার আহ্বান জানানো হয়েছে।
৪২ বিজিবি জানিয়েছে, "আমরা বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে লাশটি ফেরত আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)-এর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক কার্যালয়ের আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে অনির্দিষ্টকালের ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে পুতুলের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের গুরুতর অভিযোগের তদন্ত চলাকালীন শুক্রবার এ সিদ্ধান্ত নেয় সংস্থাটি।
ডব্লিউএইচও’র এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বাংলাদেশ সরকার বলেছে, আমরা এটিকে জবাবদিহিতার পথে গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে দেখি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম শনিবার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে সরকারের এই বক্তব্য তুলে ধরেন।
সায়মা ওয়াজেদকে পদ থেকে অপসারণ প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এর একটি স্থায়ী সমাধান প্রয়োজন, যেখানে সায়মা ওয়াজেদকে তার পদ থেকে অপসারণ করা হবে, তার সকল সুযোগ-সুবিধা বাতিল করা হবে এবং এই মর্যাদাপূর্ণ দায়িত্বের সততা ও জাতিসংঘ ব্যবস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা পুনরুদ্ধার করা হবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ও বিশ্ববাসী স্বচ্ছতা, সততা ও ন্যায়বিচারের আবির্ভাবে আনন্দিত।
মন্তব্য