× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Of the 10 high speed mega projects only seven are slow
google_news print-icon

১০ দ্রুতগতির মেগা প্রকল্পের ৭টিরই গতি ধীর

১০-দ্রুতগতির-মেগা-প্রকল্পের-৭টিরই-গতি-ধীর
রামপাল পাওয়ার প্লান্ট প্রকল্পটির ভৌত অগ্রগতি ৬৮.৮৫ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৬৯.২০ শতাংশ। ছবি:নিউজবাংলা
অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে অনেক মন্ত্রণালয় ও সংস্থা জড়িত। অনেক ক্ষেত্রে এসব সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের অভাব থাকে। অর্থায়ন একটি বড় সমস্যা। এসব কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি দেখা যায়।

সরকারের অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত ১০টি মেগা প্রকল্পের তিনটির অগ্রগতি সন্তোষজনক হলেও বাকি সাতটি প্রত্যাশার চেয়ে অনেক পিছিয়ে। যে তিন প্রকল্পের অগ্রগতি ভালো, সেগুলো হচ্ছে পদ্মা সেতু, পায়রা বন্দর ও ঢাকা মেট্রোরেল-৬।

বিপুল ব্যয়ের এসব অবকাঠামো প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সরকারের বিশেষ মনোযোগ থাকায় এগুলোকে ‘ফাস্ট ট্র্যাক’ প্রকল্প বলা হয়।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে রয়েছে পদ্মা সেতু। এটি প্রায় ৯০ শতাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে। অন্য দুটির অগ্রগতি ৮৩ শতাংশ এবং ৭২ শতাংশ।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সবশেষ প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে।

টেকসই প্রবৃদ্ধি ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে ২০০৯-১০ অর্থবছরে এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের ঘোষণা দেয়া হয়।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ বাস্তবায়ন করলেও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রকল্পগুলো নিয়মিত তদারকি করে থাকে।

অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে অনেক মন্ত্রণালয় ও সংস্থা জড়িত। অনেক ক্ষেত্রে এসব সংস্থার মধ্যে সমন্বয়ের অভাব থাকে। অর্থায়ন একটি বড় সমস্যা। এসব কারণে প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতি দেখা যায়।

যোগাযোগ করা হলে সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএসের সাবেক ঊর্ধ্বতন গবেষণা পরিচালক বর্তমানে অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখ্‌ত নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনার কারণে বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন ব্যাহত হয়েছে। একটি প্রকল্পের কাজ যখন থেমে যায়, তখন পুনরায় চালু হতে সময় লাগে।’

ড. জায়েদ বখ্‌ত জানান, বেশির ভাগ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে বিদেশি অর্থায়নে। তাদের অর্থছাড়ে নানা শর্ত ও জটিলতা থাকে। এতে করে প্রকল্পের বাস্তবায়ন পিছিয়ে পড়ে।

প্রতিবেদনে আইএমইডি জানিয়েছে, চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশের বৃহত্তম সেতু অবকাঠামো পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি প্রায় ৯০ শতাংশ।

গত ডিসেম্বরে ৪১তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় স্বপ্নের পদ্মা সেতু। এর পর জুলাই মাসের শেষে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সড়কপথের মাধ্যমে নদীর উভয় পাশ সংযোগকারী সব রোড স্ল্যাব স্থাপনের কাজ শেষ করে। এর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ আরেক ধাপ এগিয়ে গেল। এখন শুধু উদ্বোধনের অপেক্ষা।

আগামী বছরের জুনে এটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মূল সেতু নির্মাণ ও নদীশাসনের জন্য বাকি কাজ শেষ করার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে।

নিজস্ব অর্থায়নে ৩০ হাজার ১৯০ কোটি টাকায় ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর কাজ ২০১৪ সালের নভেম্বরে শুরু হয়।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বাংলাদেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দর পায়রার কাজের অগ্রগতি দাঁড়িয়েছে ৮২ দশমিক ৮৬ শতাংশ। বন্দরটির কাজ শেষ হওয়ার কথা ২০২২ সালের জুনের মধ্যে।

এই বন্দরের কাজ শেষ হলে পাল্টে যাবে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল। দেশ সমৃদ্ধ হবে অর্থনৈতিকভাবে।

ঢাকা মাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প বা মেট্রোরেল-৬-এর বাস্তবায়নের হার ৭১ দশমিক ৭৩ শতাংশ। এই প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। এর ৭৬ শতাংশ অর্থায়ন করছে জাপানের উন্নয়ন সংস্থা জাইকা। অবশিষ্ট টাকা বাংলাদেশ সরকারের।

১০ দ্রুতগতির মেগা প্রকল্পের ৭টিরই গতি ধীর
মেট্রোরেল-৬-এর বাস্তবায়নের হার ৭১ দশমিক ৭৩ শতাংশ। ছবি: নিউজবাংলা

মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক যাত্রা এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। গত ২৯ আগস্ট উত্তরা থেকে পল্লবী পর্যন্ত পরীক্ষামূলক যাত্রার মধ্য দিয়ে মেট্রোরেল যুগে প্রবেশের পথে অনেকটাই এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের মেট্রোরেল উদ্বোধনের কথা চলতি বছরের ডিসেম্বরে।

এ ছাড়া আরেকটি মেগা প্রকল্প মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট, যা রামপাল পাওয়ার প্লান্ট নামে পরিচিত। কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণের জন্য ভারতের ন্যাশনাল থারমাল পাওয়ার কোম্পানির সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড চুক্তি সই করে ২০১০ সালে।

প্রকল্পটির ভৌত অগ্রগতি ৬৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৬৯ দশমিক ২০ শতাংশ। পুরো প্রকল্পের ১৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ের মধ্যে এ পর্যন্ত প্রায় ১১ হাজার ৭১ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।

প্রকল্পটির আওতায় বাগেরহাটের রামপালে একটি ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে। প্রকল্পের অবকাঠামো কার্যক্রম শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। বয়লার, চিমনি, পাওয়ার হাউস, জেটি ইত্যাদির নির্মাণকাজ চলছে।

কক্সবাজার জেলার মহেশখালীর মাতারবাড়ীতে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াটের আরেকটি কয়লাচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। জাইকার অর্থায়নে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র বাংলাদেশের অন্যতম মেগা প্রকল্প।

প্রায় ৩৬ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটির অগ্রগতি ৪৯ শতাংশ। এ প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় পাকশি ইউনিয়নের রূপপুর গ্রামে নির্মিত হচ্ছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এখন পর্যন্ত অবকাঠামো খাতের সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রকল্প এটি। এ প্রকল্পের আওতায় দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে। প্রতি ইউনিটে ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে।

রাশিয়ার রোসাটাম করপোরেশনের অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন এ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজের অগ্রগতি ৩৭ দশমিক ৯৯ শতাংশ।

সরকার চলতি অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) থেকে প্রকল্পটির জন্য ১৮ হাজার ৪২৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। ১ লাখ ১৩ হাজার ৯২ কোটি টাকার প্রকল্পটি ২০২৫ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা।

চলতি বছরের মার্চে প্রকল্পটি পরিদর্শন করার পর আইএমইডি সরকারের অংশের ব্যয় ত্বরান্বিত করার সুপারিশ করেছে এবং এর বাস্তবায়নের গতি বাড়ানোর লক্ষ্যে বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা এবং ক্রয় পরিকল্পনা প্রণয়নে আরও কৌশলী ও তৎপর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

দোহাজারী-রামু-ঘুমধুম রেললাইনের কাজে জুলাই পর্যন্ত ৩২ দশমিক ২২ শতাংশ আর্থিক অগ্রগতি এবং ৬১ শতাংশ ভৌত অগ্রগতি হয়েছে। আইএমইডি ২০২২ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি সম্পন্ন করার জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে।

পদ্মা সেতু দ্বিতলবিশিষ্ট। এর ভেতর দিয়ে রেলও চলবে। এ জন্য ১৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা রেল সংযোগ প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৩৪ হাজার কোটি টাকা।

পদ্মা সেতু চালুর সঙ্গে একই দিনে এর ওপর ট্রেন চলার কথা মাওয়া থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত। কিন্তু এটির আর্থিক অগ্রগতি ৪৬ দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং ভৌত অগ্রগতি ৪৩ শতাংশ।

১০ দ্রুতগতির মেগা প্রকল্পের ৭টিরই গতি ধীর
এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের অর্থায়নে পদ্মা সেতু প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৩৪ হাজার কোটি টাকা। ছবি: নিউজবাংলা

এ ছাড়া শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত এমআরটি লাইন-১-এর ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকার প্রকল্প ১ দশমিক ৫ শতাংশ অগ্রগতি অর্জন করেছে। এর মেয়াদ ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।

হেমায়েতপুর থেকে রাজধানীর ভাটারা পর্যন্ত চলা ৪১ হাজার ২৩৮ কোটি টাকার এমআরটি-৫ প্রকল্পের অগ্রগতি হয়েছে ৩ দশমিক ১১ শতাংশ। প্রকল্পটি বাস্তবায়নকারী সংস্থা ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড জুলাই পর্যন্ত ১ হাজার ২৮১ কোটি টাকা ব্যয় করেছে। প্রকল্পটির মেয়াদ ২০২৮ সাল পর্যন্ত।

উত্তরা তৃতীয় পর্যায় থেকে মতিঝিল পর্যন্ত এমআরটি-৪ প্রকল্প জুলাই পর্যন্ত ৭১ দশমিক ৩৩ শতাংশ আর্থিক অগ্রগতি করেছে। ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। এ পর্যন্ত সেখানে ১৫ হাজার ৬৮৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।

চলতি অর্থবছরের বাজেটে মেগা প্রকল্পগুলোর জন্য ৫১ হাজার ৩২১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মেগা প্রকল্পের বাস্তবায়নের গতি ত্বরান্বিত করার জন্য টাকা ছাড়ে কোনো সমস্যা হবে না বলে বাজেটে বক্তৃতায় উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

আইএমইডির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা মহামারি সত্ত্বেও চীনা ও স্থানীয় শ্রমিকরা এ প্রকল্পে পুরোদমে কাজ করছেন। প্রতিবেদনে বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ রেলওয়েকে মাসভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন এবং তা বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়েছে।

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Mothers press conference against two boys in Joypurhat

জয়পুরহাটে দুই ছেলের বিরুদ্ধে মায়ের সংবাদ সম্মেলন

জয়পুরহাটে দুই ছেলের বিরুদ্ধে মায়ের সংবাদ সম্মেলন
জয়পুরহাটে দুই ছেলে সন্তানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মা। জয়পুরহাট শহরের চিত্র শিল্পী মাহবুব আলম ও তার ছোট ভাই মারুফ হাসানের বিরুদ্ধে মায়ের বৈধ জমি আত্মসাৎ, নির্যাতন ও নানা রকম হুমকি ও নিজের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মা মেহেরুন নেছা।
শনিবার (০৬ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় জয়পুরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের স্ত্রী ভুক্তভোগী মেহেরুন নেছা।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার তিন ছেলে চিত্র শিল্পী মাহবুব আলম, মারুফ হোসেন মাসুদ রানা ও এক মেয়ে রিনা পারভীন। আমার স্বামীর মৃত্যুর পূর্বে ভবিষতের কথা চিন্তা করে ও মেয়ে রিনাকে পিতার অছিয়ত হিসেবে আমাকে ৩২ শতাংশ জমি হেবা রেজিষ্ট্রেরী দলিল মুলে লিখে দেন। উক্ত সম্পত্তি পরবর্তীতে আমার নামে অনলাইন খারিজ করা হয়। যার ডিসিআর নং- ২৫৩৮৪৭০২৪০৮০০৭, খতিয়ান-৭০৩, হোল্ডিং নম্বর- ১৮৪, জমির দাগ নং- ১৩৯২ ও ১৩৯৪। সেই জমি জোর পূর্বক দুই ছেলে চিত্র শিল্পী মাহবুব আলম ও মারুফ হোসেন দখল করে আসছে। ওই জমি চাইতে গেলে মা মেহেরুন নেছা, মেঝো ছেলে মাসুদ রানা, তার স্ত্রী খুরশিদা বেগম, নাতনি মুন্নি ও তার জামাই ফজলে রাব্বিসহ তাদের উপর মিথ্যা মামলা, নির্যাতন, হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেন তিনি। তিনি আরো অভিযোগ করেন, যে কোন সময় তাদেরকে হত্যা সহ বড় রকমের ক্ষতি করতে পারে। বাড়িতে ঠিকমত থাকতেও পারছিনা, চরম আতঙ্কের মধ্যে নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি আমিসহ আমার মেঝো ছেলে মাসুদ রানার পরিবার। এ অবস্থায় বৈধ জমি উদ্ধারসহ নিরাপত্তার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহযোগীতা চান মেহেরুন নেছা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ভুক্তভোগীর মেঝো ছেলে মাসুদ রানা, তার স্ত্রী খুরশিদা বেগম, নাতনি মরিয়ন নেছা মুন্নি, নাতি জামাই ফজলে রাব্বী, ভাতিজা শাহীন ও এলাকাবাসী এনায়েত আলী ও মুনির হোসেন খান সাজু।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
The unique biography of the Prophet peace be upon him can ensure peace and welfare in the world Chief Advisor

মহানবী (সা.)-এর অনুপম জীবনাদর্শ বিশ্বে শান্তি ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে : প্রধান উপদেষ্টা

মহানবী (সা.)-এর অনুপম জীবনাদর্শ বিশ্বে শান্তি ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে : প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর অনুপম জীবনাদর্শ, সর্বজনীন শিক্ষা ও সুন্নাহর অনুসরণ আজকের এ দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় বিশ্বে শান্তি, ন্যায় এবং কল্যাণ নিশ্চিত করতে পারে।

‘পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.)’ উপলক্ষ্যে দেওয়া আজ শুক্রবার এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ বিশ্ববাসীর জন্য উৎকৃষ্টতম অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় এবং এর মধ্যেই মুসলমানদের জন্য অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে।’

বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, সর্বশেষ নবী ও রাসূল হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের পবিত্র স্মৃতি বিজড়িত ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) সারাবিশ্বের মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত একটি দিন উল্লেখ করে এ উপলক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা দেশবাসীসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানান।

তিনি বলেন, ‘হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন ‘রাহমাতুল্লিল আলামিন’ তথা সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য রহমত। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁকে সমগ্র মানবজাতির হেদায়েত ও নাজাতের জন্য প্রেরণ করেছেন। নবী করিম (সা.) সম্পর্কে পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ বলেছেন, ‘হে নবী, আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য কেবল রহমতরূপে প্রেরণ করেছি’ (সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত : ১০৭)। হজরত মুহাম্মদ (সা.) দুনিয়ায় এসেছিলেন ‘সিরাজাম মুনিরা’ অর্থাৎ আলোকোজ্জ্বল প্রদীপরূপে। সব ধরনের কুসংস্কার, অন্যায়, অবিচার, দাসত্ব ও পাপাচারের অন্ধকার থেকে মানুষকে মুক্তি ও আলোর পথ দেখাতে শান্তি, প্রগতি ও কল্যাণের বার্তা নিয়ে এসেছিলেন তিনি।’

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আল্লাহর প্রতি অসীম আনুগত্য ও ভালোবাসা, অনুপম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, অপরিমেয় দয়া ও মহৎ গুণের জন্য পবিত্র কুরআনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনকে বলা হয়েছে ‘উসওয়াতুন হাসানাহ্’ অর্থাৎ সুন্দরতম আদর্শ। তিনি বিশ্ব মানবতার জন্য যে অনিন্দ্য সুন্দর অনুসরণীয় শিক্ষা ও আদর্শ রেখে গেছেন, তা প্রতিটি যুগ ও শতাব্দীর মানুষের জন্য মুক্তির দিশারী হিসেবে পথ দেখাবে।’

পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) সকলের মাঝে বয়ে আনুক অপার শান্তি ও সমৃদ্ধি এই কামনা করে তিনি বলেন, ‘সমগ্র মুসলিম উম্মাহর ঐক্য আরো সুসংহত হোক। মহানবী (সা.)-এর সুমহান জীবনাদর্শ লালন ও অনুসরণের মাধ্যমে আমাদের ইহকালীন ও পরকালীন জীবনের সার্বিক কল্যাণ ও মুক্তি সুনিশ্চিত হোক—এ কামনা করি। আমিন।’

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Bus Microbus clash in Kaukhali

কাউখালীতে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে আহত ৫

কাউখালীতে বাস-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে  আহত ৫
আজ শনিবার সকালে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়কের কাউখালী উপজেলার বেতবুনিয়ায় যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামগামী একটি যাত্রীবাহী বাস এবং রাঙামাটিগামী একটি মাইক্রোবাসের মধ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটে। রাঙামাটি থেকে চট্টগ্রামে ঈদে মিলাদুন্নবীর জশনে জুলুসে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন মাইক্রোবাসের যাত্রীরা।
আহতদের মধ্যে স্বর্ণটিলা জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুহাম্মদ ইসমাইল, তাঁর সন্তান মুহাম্মদ ইলিয়াস, মুহাম্মদ লিটন ও মাইক্রোবাস চালক মো. সেলিমের পরিচয় জানা গেছে। স্থানীয়রা জানান, আহতদের মধ্যে চালক মো. সেলিমের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
দুর্ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা দ্রুত আহতদের উদ্ধার করে রাউজান জে কে মেমোরিয়াল হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ ব্যাপারে কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম সোহাগ দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Eid Miladunnabi d held a procession in the capital in the capital

ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উপলক্ষে  রাজধানীতে জশনে জুলুশ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত

ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উপলক্ষে  রাজধানীতে জশনে জুলুশ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত

১২ রবিউল আউয়াল ও পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উপলক্ষে প্রতি বছরের মতো এবারও রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যাণ হতে আঞ্জুমানে রহমানিয়ার মইনীয়া মাইজভাণ্ডারীয়ার সভাপতি ও বিএসপি চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারীর নেতৃত্বে লাখো নবীপ্রেমী সুফিবাদী জনতার অংশগ্রহণে জাঁক-জমকভাবে জশনে জুলুস র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উপলক্ষে  রাজধানীতে জশনে জুলুশ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত

শনিবার(৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পশ্চিমদিক থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রাটি দোয়েল চত্তর, শিক্ষা ভবনূ? ও কদম ফোয়ারা সড়ক প্রদক্ষিন করে আবার পশ্চিম গেট দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শান্তি মহাসমাবেশে মিলিত হয়।

ভোর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত লাখো ধর্মপ্রাণ সুফিবাদী জনতা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমবেত হন। এবার ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) এর ১৫০০ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ও মানুষের মধ্যে ছিল ব্যপক উচ্ছ্বাসও উদ্ধিপনা।

শোভাযাত্রার অগ্রভাগে বড় অক্ষরে লেখা ‘ইয়া নবী সালামু আলাইকা’, ‘ইয়া রাসূল সালামু আলাইকা’। অংশগ্রহণকারীদের হাতে কালেমা খচিত পতাকা, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন। তারা বিশাল জাতীয় পতাকা বহন করে রাজধানীর রাস্তাঘাট মুখরিত করে তোলেন। চারদিকে ধ্বনিত হতে থাকে নারায়ে তাকবির ও নারায়ে রিসালতের স্লোগান। অংশগ্রহনকারীদের গায়ে ছিলো সাদা টিশার্ট মাথায় সাদা ক্যাপ।শোভাযাত্রা শেষে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শান্তি সমাবেশে নারীদের ও অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো।

শোভাযাত্রা পূর্ব সমাবেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বিএসপি’র চেয়ারম্যান শাহসূফী ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী বলেন, মহানবী (দ.) সমগ্র মানবজাতির জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ রহমত। তাঁর আদর্শ অনুসরণ করে শান্তিপূর্ণ, ন্যায়ভিত্তিক ও কল্যাণকর সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব।

রাসূলুল্লাহ (দ.) আমাদের সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ব ও মানবিকতার দীক্ষা দিয়েছেন। অথচ আজ পৃথিবী জুড়ে চলছে যুদ্ধ-বিগ্রহ, সন্ত্রাস ও অমানবিকতা। স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ হলো প্রিয় নবীর শিক্ষা বাস্তবায়ন।

বিএসপি চেয়ারম্যান আরও বলেন, আমাদের উচিত ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.)-এর পবিত্র বার্তা হৃদয়ে ধারণ করে ব্যক্তি, পরিবার ও রাষ্ট্রীয় জীবনে তা প্রয়োগ করা। তবেই সমাজে শান্তি, ভ্রাতৃত্ব ও মানবিকতার আলো ছড়িয়ে পড়বে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
A child was accused of drowning a child in Kasampur in Satkhira

সাতক্ষীরার কাশেমপুরে এক শিশুকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করার অভিযোগ

সাতক্ষীরার কাশেমপুরে এক শিশুকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করার অভিযোগ

সাতক্ষীরা পারিবারিক বিরোধের জেরে মোরসালিন নামের ১১ বছরের এক শিশুকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে । এঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত মাহফুজুর রহমান শাওন ও তার মা নাজমা আক্তারকে থানা হেফাজতে নিয়েছে।এছাড়া মোরসালিনের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। শুক্রবার পৌনে একটার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের জনৈক আব্দুল মাজেদের পুকুরে পানিতে ডুবিয়ে হত্যার এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মোরসালিন সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের নির্মাণ শ্রমিক রাজু আহমেদের ছেলে ও কাশেমপুর সরদারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।

আর পুলিশ হেফাজতে নেওয়া মাহফুজুর রহমান শাওন একই গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে।

নির্মাণ শ্রমিক রাজু আহমেদ জানান, প্রতিবেশী আবু সাঈদের সাথে তাঁর দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। আবু সাঈদ আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তাকেসহ গ্রামের বহু নিরীহ মানুষকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করিয়ে হয়রানি করেছে।আজকের তুচ্ছ একটি ঘটনায় তার ছেলে ও স্ত্রী দুজনে মিলে আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। ‘’

অভিযুক্ত শাওনের দাদী আলেমা খাতুন জানান, ‘‘ আমার ছেলে এবং ছেলে বউ আমাদের স্বামী স্ত্রীকে খুব নির্যাতন করে। তাদের থেকে আমরা আলাদা থাকি। শুক্রবার সকালে বাড়ির লেবু গাছ থেকে দুটি লেবু প্রতিবেশী রাজুর স্ত্রী রেহানার কাছে বিক্রয় করি। এতে আমার ছেলের বউ নাজমা এবং পোতাছেলে শাওন ক্ষিপ্ত হয়ে রাজুর ছেলেকে পানিতে চুবিয়ে মেরে ফেলে ‘’

হত্যাকারীদের কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়ে নিহত মোরসালিনের মা রেহানা খাতুন জানান,‘‘ আমি শাওনের দাদির কাছ থেকে দুটো লেবু কিনেছি। এতে শাওন ও তার মা নাজমা খাতুন আমাকে প্রচুর গালিগালাজ করেছে। এর ঘন্টা দুই পরে আমার ছেলে মোরসালিন পুকুরে গোসল করতে গেলে শাওন ও তার মা তাকে চুবিয়ে মেরে ফেলেছে।’’

স্থানীয় অধিবাসি শহিদুল ইসলাম জানান, ‘‘ শিশুটিকে পানিতে ডুবিয়ে হত্যার পর ক্ষুদ্র জনতা ঘাতক মাহফুজুর রহমান শাওন ও তার মা নাজমা আক্তারকে আটক করে গণধোলাই দেয়। পরে তাদেরকে একটি গাছের সাথে বেঁধে রাখা হয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।’’

সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম জানান, ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীর হাত থেকে শাওন ও তার মা নাজমা আক্তারকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। নিহত মোরসালিনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত করা হয়েছে শনিবার । এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In the wake of the dispute over the land the young man was stabbed to death in front of the police station 

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে থানার সামনে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ 

জমি নিয়ে বিরোধের জেরে থানার সামনে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ 

কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে থানার সামনে সালিশি দরবারে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে মজনু মিয়া (৩০) নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে করিমগঞ্জ থানার সামনে একটি চায়ের স্টলে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত মজনু মিয়া উপজেলার জয়কা ইউনিয়নের কান্দাইল ক্ষিদিরপুর গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে। তিনি একজন- মুদি দোকানি।

পুলিশ জানায়,জয়কা এলাকার তোতা মিয়া ও ইসলাম উদ্দিনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় দেনদরবার হয়।

সম্প্রতি ইসলাম উদ্দিনের লোকজন প্রতি পক্ষের বাড়িঘর ভাঙচুর করলে এ নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে করিমগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল আলীম এলাকার গণ্যমানদের নিয়ে উভয় পক্ষকে থানায় ডাকেন।

শুক্রবার বিকেলে ওই পুলিশ কর্মকর্তার উপস্থিতিতে করিমগঞ্জ থানার সামনে একটি চা-স্টলে উভয় পক্ষের মধ্যে সালিশ দরবার বসে। সালিশ চলাকালে থানার সামনে দুপক্ষ মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে।

এ সময় ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হন মজনু মিয়া (৩০)। তাকে প্রথমে করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। সেখান থেকে আশংকাজনক অবস্থায় কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহবুব মুর্শেদ কথা বলতে রাজি হননি।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Today is the 5th death anniversary of Emperor Alauddin Khan

আজ সুর সম্রাট আলাউদ্দিন খাঁর ৫৩তম মৃত্যুবার্ষিকী

আজ সুর সম্রাট আলাউদ্দিন খাঁর ৫৩তম মৃত্যুবার্ষিকী

আজ ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, উপমহাদেশের কিংবদন্তি সংগীতজ্ঞ, শ্রদ্ধেয় সুর সম্রাট উস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর ৫৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি ১৯৭২ সালের এই দিনে ভারতের মাইহারে পরলোকগমন করেন।

উস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ ১৮৬২ সালের ৮ অক্টোবর তৎকালীন ত্রিপুরা জেলার (বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া) নবীনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম সাবদর হোসেন খাঁ ওরফে সদু খাঁ এবং মাতার নাম সুন্দরী বেগম। পাঁচ ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন তৃতীয়। তাঁর স্ত্রীর নাম মদনী বিবি। তাঁদের এক পুত্র (বিশ্ববিখ্যাত সরোদ বাদক আলী আকবর খাঁ) ও দুই কন্যা (সরিজা ও রৌশন আরা/অন্নপূর্ণা) ছিলেন।

ছোটবেলা থেকেই সংগীতের প্রতি গভীর অনুরাগ ছিল তাঁর। মাত্র আট বছর বয়সে মায়ের অসুস্থতার অজুহাতে ১২ টাকা নিয়ে গভীর রাতে বাড়ি ছেড়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে পাড়ি জমান। সেখানে ‘মনমোহন দেব’ নামে পরিচিত হয়ে ওস্তাদ নুলো বাবুর কাছ থেকে সংগীত শিক্ষার সূচনা করেন। সংগীতের প্রতি একাগ্রতা এতটাই প্রবল ছিল যে, তিনি এমনকি নিজের বিবাহের রাতেও স্ত্রীকে রেখে দ্বিতীয়বারের মতো কলকাতায় পালিয়ে যান।

তিনি পরবর্তী জীবনে ওস্তাদ ওয়াজির খাঁর কাছে বীণা শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে প্রায় ৩৩ বছরের দীর্ঘ সংগীত শিক্ষা পর্ব শেষ করেন। সংগীত জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে তিনি কলকাতা, লাহোর, মাইহারসহ নানা জায়গায় সংগীত চর্চা ও শিক্ষাদান করেছেন। ১৯৫৪ সালে তিনি শেষবারের মতো জন্মস্থান শিবপুরে আসেন এবং মায়ের ইচ্ছায় একটি পুকুর খনন ও একটি পাকা মসজিদ নির্মাণ করেন।

সুর সম্রাট আলাউদ্দিন খাঁ উপমহাদেশের দ্রৌপদী ঘরানার প্রবর্তক। তিনি সংগীতকে রাজ দরবার থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে পৌঁছে দিয়ে গণমুখী করে তোলেন। জীবনের প্রথম প্রতিযোগিতায় কলকাতার সর্বভারতীয় সংগীতানুষ্ঠানে স্বর্ণপদক অর্জন করেন। ১৯৩৬ সালে বিশ্বভ্রমণে বের হলে লন্ডনে তাঁর পারফরম্যান্সে মুগ্ধ হয়ে ব্রিটেনের রানী তাঁকে “সুর সম্রাট” উপাধিতে ভূষিত করেন।

তাঁর রচিত উল্লেখযোগ্য রাগসমূহ:
মদিনা মঞ্জুরী, শোভাবতী, ধবলশ্রী, ভুবনেশ্বর, দুর্গেশ্বরী, হেমন্ত, উমাবতী, প্রভাতী, হেম বেহাগ, নাগার্জুন প্রভৃতি।

তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য তিনি লাভ করেন:
পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ, দেশিকোত্তম, ডক্টরেট ডিগ্রি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেলোশিপসহ বহু আন্তর্জাতিক ও জাতীয় সম্মাননা। তিনি ভারতের কেন্দ্রীয় শিক্ষা কমিশনের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

মন্তব্য

p
উপরে