× হোম জাতীয় রাজধানী সারা দেশ অনুসন্ধান বিশেষ রাজনীতি আইন-অপরাধ ফলোআপ কৃষি বিজ্ঞান চাকরি-ক্যারিয়ার প্রযুক্তি উদ্যোগ আয়োজন ফোরাম অন্যান্য ঐতিহ্য বিনোদন সাহিত্য শিল্প ইভেন্ট উৎসব ধর্ম ট্রেন্ড রূপচর্চা টিপস ফুড অ্যান্ড ট্রাভেল সোশ্যাল মিডিয়া বিচিত্র সিটিজেন জার্নালিজম ব্যাংক পুঁজিবাজার বিমা বাজার অন্যান্য ট্রান্সজেন্ডার নারী পুরুষ নির্বাচন রেস অন্যান্য আফগানিস্তান ১৫ আগস্ট কী-কেন স্বপ্ন বাজেট আরব বিশ্ব পরিবেশ বিশ্লেষণ ইন্টারভিউ মুজিব শতবর্ষ ভিডিও যৌনতা-প্রজনন মানসিক স্বাস্থ্য অন্যান্য উদ্ভাবন প্রবাসী আফ্রিকা ক্রিকেট শারীরিক স্বাস্থ্য আমেরিকা দক্ষিণ এশিয়া সিনেমা নাটক মিউজিক শোবিজ অন্যান্য ক্যাম্পাস পরীক্ষা শিক্ষক গবেষণা অন্যান্য কোভিড ১৯ ইউরোপ ব্লকচেইন ভাষান্তর অন্যান্য ফুটবল অন্যান্য পডকাস্ট বাংলা কনভার্টার নামাজের সময়সূচি আমাদের সম্পর্কে যোগাযোগ প্রাইভেসি পলিসি

বাংলাদেশ
Barrister Sumons writ than the list of interest dealers
google_news print-icon

সুদ কারবারিদের তালিকা চেয়ে ব্যারিস্টার সুমনের রিট

সুদ-কারবারিদের-তালিকা-চেয়ে-ব্যারিস্টার-সুমনের-রিট
ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।
‘গ্রামগঞ্জে চড়া সুদের ব্যবসা করে মানুষকে নিঃস্ব করে দিচ্ছে এক শ্রেণির কারবারি। অথচ তাদের সুদ ব্যবসার জন্য নাই কোনো নিবন্ধন। সমবায় সমিতির নামে, কেউবা ব্যক্তিগতভাবে চড়া সুদে ব্যবসা করে যাচ্ছে। এতে গ্রামের মানুষেরা পথে বসে যাচ্ছে। সমাজের প্রভাবশালীরাই এই সুদের ব্যবসা করে যাচ্ছে। তাদের আইনের আওতায় আনতে এ রিট করা হয়েছে।’

গ্রাম পর্যায়ে ছড়িয়ে থাকা সুদ কারবারিদের তালিকা করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আলোচিত আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।

এতে ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে বিবাদী করা হয়েছে। সুদ ব্যবসা বন্ধে নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না সে মর্মে রুল জারির আবেদনও করা হয়েছে।

মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করা হয়। বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি জাকির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে এই আবেদনের ওপর শুনানি হওয়ার কথা।

ব্যারিস্টার সুমন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গ্রামগঞ্জে চড়া সুদের ব্যবসা করে মানুষকে নিঃস্ব করে দিচ্ছে এক শ্রেণির কারবারি। অথচ তাদের সুদ ব্যবসার জন্য নাই কোনো নিবন্ধন।

‘সমবায় সমিতির নামে, কেউবা ব্যক্তিগতভাবে চড়া সুদে ব্যবসা করে যাচ্ছে। এতে গ্রামের মানুষেরা পথে বসে যাচ্ছে। সমাজের প্রভাবশালীরাই এই সুদের ব্যবসা করে যাচ্ছে। তাদের আইনের আওতায় আনতে এ রিট কারা হয়েছে।’

নানা সামাজিক ইস্যুতে সোচ্চার ব্যারিস্টার সুমন সম্প্রতি সুদের ব্যবসা বা দাদন নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন।

গত ২৯ আগস্ট তিনি ফেসবুক লাইভে এসে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন।

সেদিন সুমন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবাষির্কীতে সরকার অনেক ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করেছে। জঙ্গি দমনে সফলতা অর্জন করেছে; মাদকের বিরুদ্ধে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে।

‘এবার দরকার দাদনের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা। কারণ বাংলাদেশের প্রতিটা জেলায়, থানায় গ্রামে দেখবেন দাদন ব্যবসার কারণে কৃষক, শ্রমিক বা মাছ ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।’

ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘আমার কথা হচ্ছে, বড় বড় জঙ্গি যদি দমন করা যায়, এদের নেটওয়ার্ক যদি ভেঙে দেয়া যায়, তাহলে দাদন কারবারিদের সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়া কোনো বিষয় না। এজন্য ডিসি, ইউএনওরা তালিকা তৈরি করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন। এটা যদি কোনোভাবে ভেঙে দেয়া যায় তাহলে দেখবেন অনেক অনেক মানুষ বেঁচে যাবে।’

আরও পড়ুন:
বিমানবন্দরে র‍্যাপিড পিসিআর ল্যাব চান ব্যারিস্টার সুমন
দাদনের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স চান ব্যারিস্টার সুমন
পরিবেশের দায়িত্ব নিতে চান ব্যারিস্টার সুমন
মোশতাকের বেইমানির ফসল ঘরে তুলেছিলেন জিয়া: ব্যারিস্টার সুমন
সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে সচেতন করতে ব্যারিস্টার সুমনের চেষ্টা

মন্তব্য

আরও পড়ুন

বাংলাদেশ
Press conference to protest the attack on Murapara College Help Desk

মুড়াপাড়া কলেজের হেল্প ডেস্কে হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

মুড়াপাড়া কলেজের হেল্প ডেস্কে হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মুড়াপাড়া সরকারি কলেজের হেল্প ডেস্কে হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ইসলামী ছাত্র শিবিরের নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখা। রোববার বিকালে মুড়াপাড়া কলেজ ক্যাম্পাসে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন ছাত্রশিবিরের নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার প্রচার সম্পাদক ইমরান হাসান তুহিন। তিনি বলেন, ‘হেল্প ডেস্ক’ কার্যক্রমের মাধ্যমে একাদশ শ্রেণির ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করা হচ্ছিল। এ সময় শিক্ষার্থীদের সহায়তার কাজে ব্যস্ত অবস্থায় শিবিরকর্মীদের ওপর প্রতিপক্ষ ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এতে আবরারুল হক, সাইদুল ইসলাম শান্ত, বিল্লাল মিয়া

সিফাত আহত হন এবং কলেজের শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

শিবির নেতারা অভিযোগ করেন, হামলাকারীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাদের কার্যক্রম ব্যাহত করতে এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভয়-ভীতি ও সন্ত্রাস ছড়িয়ে দিয়ে কোনো দলই টিকতে পারে না। ছাত্রশিবির সর্বদা শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কাজ করে এসেছে এবং আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত বক্তারা অবিলম্বে এ হামলার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। পাশাপাশি কলেজে একটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রশাসনের প্রতি জোর আহ্বান জানান।

সংবাদ সম্মলে উপস্থিত ছিলেন মুড়াপাড়া সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রশিবিরের সাইনুল হাসান শান্ত, ইমরান হাসান, মো. শাহিন আকন্দ, মো. শুভ সরকার, আরাফাত হোসেন আরিফ আজারুল ইসলাম নাহিদ প্রমুখ।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Allegations of child abuse against police

পুলিশের বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতনের অভিযোগ

পুলিশের বিরুদ্ধে শিশু নির্যাতনের অভিযোগ

পটুয়াখালীর বাউফলে ১০ বছরের এক শিশুকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে বাউফল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদুর রহমানের বিরুদ্ধে।

কানে ব্যথায় অসুস্থ অবস্থায় গত শনিবার রাতে ওই শিশুকে বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের ছয়হিস্যা গ্রামের ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী হামিম (১০) মোবাইল ফোনে খেলার ছলে ভিডিও ধারণ করলে বাউফল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদুর রহমান তার কাছ থেকে ফোনটি নিয়ে নেন এবং কানে কয়েকটি চড় মারেন। এতে শিশুটি কানে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে।

শিশুর বাবা কবির মোল্লা জানান, পুলিশের হুমকির ভয়ে তারা বিষয়টি গোপন করেছিলেন। কিন্তু গত শনিবার রাতে ছেলের তীব্র ব্যথা শুরু হলে বাধ্য হয়ে হাসপাতালে আনেন।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শিশুটিকে মারধরের পর পুলিশের গাড়িতে তোলার চেষ্টা করা হলে গ্রামবাসীর বাধার মুখে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত এসআই মাসুদুর রহমান বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত ঘটনায় সেখানে গেলে শিশুটি আমাদের ভিডিও করছিল। মারধরের অভিযোগ সঠিক নয়, শুধু মোবাইল ফোনটি নিয়েছি।

বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নুরজাহান জানান, শিশুটির কানে আঘাতজনিত ব্যথা রয়েছে, তাকে নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ দেখানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এদিকে বাউফল থানার ওসি আকতারুজ্জামান সরকার বলেন, ঘটনার বিষয়ে এসআই মাসুদুর রহমানের সাথে কথা হয়েছে। সে স্বীকার করেছে, শিশুটির মাথা ধরে ঝাঁকি দিয়ে মোবাইল ফোন নিয়েছে।

মন্তব্য

সোনারগাঁয়ে নদী দূষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

সোনারগাঁয়ে নদী দূষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ ও আড়াইহাজার উপজেলার বিভিন্ন শিল্প কারখানার দূষিত বর্জ্যে ব্রহ্মপুত্র নদ-খাল বিলের পানি দূষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী।

রোববার বিকেলে সোনারগাঁয়ে জামপুর ইউনিয়নের মাঝেরচর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি মদনপুর-আড়াইহাজার সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

মানববন্ধন কর্মসুচিতে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আল মুজাহিদ মল্লিক, জামপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. কামরুজ্জামান, জামপুর মাঝেরচর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নূর মোহাম্মদ মিয়া, জামপুর ইউনিয়ন বিএনপির ৪নং ওয়ার্ড সভাপতি আকরাম আজাদ মিল্টন, ৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শরীফুজ্জামান শাহীন, ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. আমানউল্লাহ মিয়া, ৩ নংওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ফারুক মিয়াসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন সোনারগাঁ ও আড়াইহাজার উপজেলার বিভিন্ন শিল্প কারখানার বিষাক্ত বর্জ্য ব্রহ্মপুত্র নদে ফেলে পরিবেশের মারাতক্তভাবে ক্ষতি করছে। শুধু ব্রহ্মপুত্র নদের পানিই নয়, খাল বিলের পানি দূষণের কবলে পড়েছে। বর্জ্যে মিশ্রিত পানিগুলো কালো আলকাতরার রং ধারণ করেছে। ফলে পরিবেশ ও কৃষকের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তাছাড়া নদীতে এখন আর দেশী মাছ পাওয়া যায় না। দূষণের ফলে জনর্দূভোগ চরমে পৌঁছেছে। তারা আরো বলেন, কলকারখানার বিষাক্ত বর্জ্যে পানি দূষণের ফলে বিভিন্ন রোগ বালাই হচ্ছে। কিছু সুবিধাভোগীদের জন্য আজ নদীর এ অবস্থা। নদী বাচাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় নদী বাঁচাতে পরিবেশ অধিদপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন বক্তারা।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Shyamnagar Upazila Executive Officer to prevent the transfer of locals

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বদলি ঠেকাতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বদলি ঠেকাতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. রনী খাতুনের বদলির আদেশ ঠেকাতে মানববন্ধন করেছে এলাকার কিছু মানুষ। তাকে শ্যামনগর দায়িত্বে পুনর্বহালের দাবি জানান আন্দোলনকারীরা।

রোববার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে শ্যামনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সামনে শ্যামনগরের সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে এ আয়োজন করা হয়। ইউএনও মানুষের মন জয় করেছেন বলে দাবি তোলেন বক্তারা।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাবেক চেয়ারম্যান সাদেকুর রহমান সাদেম, শ্যামনগর উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি প্রভাষক সামিউল আযম মনির, বিএনপির নেতা প্রভাষক আব্দুল ওহাব, মুনছুর সরদার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ তপন কুমার মন্ডল সহ অনেকে।

চেয়ারম্যান বিএনপির নেতা সাদেকুর রহমান সাদেম বলেন, জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর ইউএনও দক্ষভাবে শ্যামনগরকে আগলে রেখেছেন। গত শীতে কম্বল নিয়ে মানুষের ঘরে-ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন। তিনি মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন। এ অবস্থায় ইউএনওর বদলি ঠিক হয়নি। এখনই জনগণ তাকে এ উপজেলার দায়িত্ব থেকে যেতে দিতে চায় না। এজন্য জেলা প্রশাসকসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি তাকে শ্যামনগর পুনর্বহাল করা হোক।

ইউএনও রনী খাতুন বলেন, আমাকে ঝিকিরগাছা উপজেলায় বদলি করা হয়েছে। এটি সরকারি সিদ্ধান্ত। নির্দিষ্ট সময়ে আমাকে সেখানে যোগদান করতে হবে। অতীত কর্মকাণ্ডে খুশি হয়ে হয়ত এলাকার জনগণ আমাকে শ্যামনগর পুনর্বহাল চেয়ে মানববন্ধন করেছেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
In Barayagram the robbery loot of Tk 1 lakh in the cover van

বড়াইগ্রামে কাভার্ড ভ্যানে ডাকাতি, ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট

বড়াইগ্রামে কাভার্ড ভ্যানে ডাকাতি, ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট

নাটোরের বড়াইগ্রামে একটি কাভার্ড ভ্যান আটকিয়ে প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ভ্যানচালক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী চালক মো. মিজান শেখ (২৭), পিতা মো. মোবারক শেখ, নড়াইল সদর উপজেলার বরাশুলা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি নুরজাহান ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির কাভার্ড ভ্যানচালক। ভ্যানটির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঢাকা মেট্রো-ট ১৫৮৫৫০।

চালক জানান, ১৩ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে তিনি তার সহকারী মো. ওয়াসিমকে (২৪) সঙ্গে নিয়ে ঢাকার বাটারফ্লাই মার্কেটিং লিমিটেডের মালামাল (টিভি, ফ্রিজ, এসি, ওভেন, ওয়াশিং মেশিন) নিয়ে নাটোরের উদ্দেশে রওয়ানা দেন।

১৪ সেপ্টেম্বর ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে বড়াইগ্রাম থানার মোড় অতিক্রম করার পর ফাঁকা রাস্তায় পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা ৫-৭ জন দুর্বৃত্ত একটি ড্রাম ট্রাক দিয়ে কাভার্ড ভ্যানটির গতিরোধের চেষ্টা করে। দুর্ঘটনার আশঙ্কায় চালক পাশের একটি লোকাল রাস্তায় ঢুকে পড়েন। কিছুক্ষণ পর একটি ছোট পিকআপ ভ্যান কাভার্ড ভ্যানের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়।

অভিযোগে বলা হয়, দুর্বৃত্তরা চালক ও হেলপারকে হত্যার হুমকি দিয়ে কাভার্ড ভ্যানের পেছনের দরজার তালা ভেঙে ভেতরে থাকা মালামাল লুট করে নেয়। এতে আনুমানিক ১০ লাখ টাকার পণ্য তারা নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে ভ্যানচালক মিজান শেখ বলেন, ঘটনার পর কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পরামর্শ করে কিছুটা বিলম্বে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।

বড়াইগ্রাম থানার ওসি মো. গোলাম সারোয়ার জানান, অভিযোগ পেয়েছেন এবং বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Breaks in Patharghata Nachpara breaking two bridges

পাথরঘাটার নাচনাপাড়ায় দুটি ব্রিজ ভেঙে জনদুর্ভোগ চরমে

পাথরঘাটার নাচনাপাড়ায় দুটি ব্রিজ ভেঙে জনদুর্ভোগ চরমে

বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার নাচনাপাড়া বাজারসংলগ্ন দুটি ব্রিজ ভেঙে পড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন দুই উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ। সবচেয়ে বেশি বিপাকে রয়েছেন নারী, শিশু ও শিক্ষার্থীরা। প্রতিদিনই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খেয়া নৌকায় পারাপার করতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, নাচনাপাড়া বাজারের উত্তর পাশে মাঠবাড়িয়া ও পাথরঘাটা উপজেলার সংযোগকারী কাঠের ব্রিজটি অনেক আগেই ভেঙে যায়। পরে এলাকাবাসী নিজ উদ্যোগে একটি সাঁকো তৈরি করলেও সম্প্রতি জোয়ারের চাপে সেটিও ভেঙে পড়ে। ফলে দুই পাড়ের মানুষ বাধ্য হয়ে নৌকায় পারাপার করছেন।

এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, প্রায় ২০ বছর আগে বরগুনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ নূরুল ইসলাম মনি সেখানে একটি গার্ডার ব্রিজ নির্মাণ করেছিলেন। কিন্তু এরপর প্রায় ১৬ বছর টানা ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আর কোনো নতুন ব্রিজ নির্মাণ হয়নি। প্রায় এক দশক আগে নতুন একটি ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হলেও তা অর্ধসমাপ্ত অবস্থায় বছরের পর বছর বন্ধ রয়েছে।

অন্যদিকে, নাচনাপাড়া বাজারের দক্ষিণ পাশেও একই চিত্র। এখানে প্রায় ২ বছর আগে বেড়িবাঁধ ভেঙে যাওয়ায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা মিলে একটি অস্থায়ী সাঁকো নির্মাণ করেছিলেন। কিন্তু সেটিও গত ১০ সেপ্টেম্বর জোয়ারের পানির তোড়ে ভেঙে পড়ে। এতে কাঠালতলী, চরদুয়ানী ও নাচনাপাড়ার হাজারো মানুষের চলাচল আরও চরম দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে।

ভুক্তভোগীরা জানান, শিক্ষার্থী ও কর্মজীবীদের প্রতিদিনই বড় ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় যাতায়াত করতে হচ্ছে। জরুরি রোগী পরিবহনেও ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। তাদের দাবি- দ্রুত বিকল্প সাঁকো নির্মাণ, স্থায়ী স্লুইসগেট ও অসমাপ্ত ব্রিজ নির্মাণ কাজ চালু করতে হবে।

এলাকাবাসীর ভাষ্য, এক দশকের বেশি সময় ধরে প্রতিশ্রুতি শুনে যাচ্ছেন, কিন্তু বাস্তবে কোনো কাজ হচ্ছে না। তারা আশা করছেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবেন।

মন্তব্য

বাংলাদেশ
Natore trucks and passenger buses were arrested from 5 kg of marijuana

নাটোরে ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাস থেকে ১৭৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৪

নাটোরে ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাস থেকে ১৭৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার, গ্রেপ্তার ৪

নাটোরে দুটি অভিযানে ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাস থেকে ১৭৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার ভোরে শহরের বনবেলঘরিয়া এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার ভগরইল এলাকার মো. ওয়াদুদ আলী (২৫), শিবগঞ্জ উপজেলার কয়লার দিয়ার এলাকার মো. ফসের আলী সোহেল (২৯), শেখটোলা কাশিবাটিপাড়া এলাকার মো. লালন (২৫) এবং একই এলাকার মো. সাবেরুল ইসলাম শহিদ (৩৫)।

পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভোরে প্রথমে নোয়াখালী থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী গ্রামীণ ট্রাভেলসের একটি যাত্রীবাহী বাসে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় যাত্রী সিটের নিচে রাখা দুটি বস্তা থেকে ১৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয় এবং এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে একই এলাকায় নারায়গঞ্জ থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জগামী একটি প্লাস্টিক ক্যারেট বহনকারী ট্রাককে থামানো হয়। তল্লাশিতে ক্যারেটের নিচে রাখা ছয়টি চটের বস্তা থেকে ১৬০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। এ সময় আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।

পুলিশ সুপার আরও জানান, মাদকের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে। এই অভিযান চলমান থাকবে এবং ভবিষ্যতে আরও জোরদার করা হবে।

মন্তব্য

p
উপরে