গ্রাম পর্যায়ে ছড়িয়ে থাকা সুদ কারবারিদের তালিকা করার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আলোচিত আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন।
এতে ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে বিবাদী করা হয়েছে। সুদ ব্যবসা বন্ধে নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না সে মর্মে রুল জারির আবেদনও করা হয়েছে।
মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করা হয়। বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি জাকির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চে এই আবেদনের ওপর শুনানি হওয়ার কথা।
ব্যারিস্টার সুমন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গ্রামগঞ্জে চড়া সুদের ব্যবসা করে মানুষকে নিঃস্ব করে দিচ্ছে এক শ্রেণির কারবারি। অথচ তাদের সুদ ব্যবসার জন্য নাই কোনো নিবন্ধন।
‘সমবায় সমিতির নামে, কেউবা ব্যক্তিগতভাবে চড়া সুদে ব্যবসা করে যাচ্ছে। এতে গ্রামের মানুষেরা পথে বসে যাচ্ছে। সমাজের প্রভাবশালীরাই এই সুদের ব্যবসা করে যাচ্ছে। তাদের আইনের আওতায় আনতে এ রিট কারা হয়েছে।’
নানা সামাজিক ইস্যুতে সোচ্চার ব্যারিস্টার সুমন সম্প্রতি সুদের ব্যবসা বা দাদন নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন।
গত ২৯ আগস্ট তিনি ফেসবুক লাইভে এসে বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন।
সেদিন সুমন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবাষির্কীতে সরকার অনেক ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করেছে। জঙ্গি দমনে সফলতা অর্জন করেছে; মাদকের বিরুদ্ধে, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে।
‘এবার দরকার দাদনের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করা। কারণ বাংলাদেশের প্রতিটা জেলায়, থানায় গ্রামে দেখবেন দাদন ব্যবসার কারণে কৃষক, শ্রমিক বা মাছ ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।’
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘আমার কথা হচ্ছে, বড় বড় জঙ্গি যদি দমন করা যায়, এদের নেটওয়ার্ক যদি ভেঙে দেয়া যায়, তাহলে দাদন কারবারিদের সিন্ডিকেট ভেঙে দেয়া কোনো বিষয় না। এজন্য ডিসি, ইউএনওরা তালিকা তৈরি করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন। এটা যদি কোনোভাবে ভেঙে দেয়া যায় তাহলে দেখবেন অনেক অনেক মানুষ বেঁচে যাবে।’
আরও পড়ুন:মিয়ানমার থেকে সাগরপথে ট্রলারযোগে কক্সবাজারের টেকনাফে অনুপ্রবেশকালে নারী ও শিশুসহ ৩৭ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের জাহাজপুরা এলাকার সৈকত দিয়ে এসব রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করে বলে জানান টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।
তবে আটক রোহিঙ্গাদের মোট সংখ্যা বলতে পারলেও তাদের মধ্যে কতজন নারী, পুরুষ ও শিশু তা নিশ্চিত করতে পারেননি তিনি।
স্থানীয়দের বরাতে ওসি বলেন, মঙ্গলবার রাতে টেকনাফের জাহাজপুরা সৈকত পয়েন্টে সাগর দিয়ে ট্রলারযোগে একদল রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করে। এ সময় স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে তাদের ধরে ফেলে। খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে এসব রোহিঙ্গাকে আটক করে।
আটক রোহিঙ্গারা জানিয়েছে, তারা মিয়ানমার থেকে টাকার বিনিময়ে দালালদের মাধ্যমে সাগরপথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে।
ওসি জানান, আটক রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। নির্বাহী প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা মোতাবেক এসব রোহিঙ্গার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আপাতত তাদেরকে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন:পতিত স্বৈরাচারের কীটপতঙ্গ প্রশাসনের মধ্যে থাকলে তারা দেশকে বিপজ্জনক পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, স্বৈরাচারের এসব কীটপতঙ্গ সরিয়ে গণতন্ত্রকামীদের পক্ষের মেধাবী লোকজন প্রশাসনে বসাতে হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির উদ্যোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে গণসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণের সময় সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
অন্তর্বর্তী সরকারকে উদ্দেশ করে রিজভী বলেন, ‘মানবতা অবশ্যই রাখবেন। কিন্তু যারা নিজেরা মানবতা দেখায়নি, যারা শেখ হাসিনাকে উদ্বুদ্ধ করেছে আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতাকে গুলি করতে, সেই স্বৈরাচারের কীটপতঙ্গ যদি প্রশাসনের মধ্যে থাকে, আপনাদের পদে পদে বাধা দেবে।
‘স্বৈরাচারের এসব কীটপতঙ্গকে অতি দ্রুত চিহ্নিত করে গণতন্ত্রকামী মানুষের পক্ষে যারা ছিল অথবা যারা নিরপেক্ষ ছিল তারা যে দলেরই সমর্থক হোক না কেন এসব মেধাবী লোকদের প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় বসান।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন, পুনরুত্থান মানে দেশ হবে এক ভয়ংকর বধ্যভূমি। এই বধ্যভূমি যাতে তৈরি না হয় সেজন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে যেতে হবে।
‘সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে যে রাজনৈতিক দলই রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে তাদেরও অন্তরে সততার আলো নিয়ে খুব দ্রুতগতিতে কাজ করতে হবে। সেই পথ, সেই মত তৈরি করতে হবে ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারকে। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে মাঠ দরকার, সেটি তাদের তৈরি করতে হবে।’
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাপসী তাবাসসুম ঊর্মি প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘তিনি আবু সাঈদের মতো একজন মহিমান্বিত আত্মদানকারীকে বলছেন সন্ত্রাসী। তাকে বলছেন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী। এদের মতো লোকজন প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় আছে।
‘নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তো প্রশাসনের একটি অংশ; তাহলে আজকে সচিবালয় থেকে শুরু করে বিচারালয় থেকে শুরু করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কীভাবে এই স্বৈরাচারের দোসররা একটি বিপ্লবের সরকারকে ব্যর্থ করতে চাইবে, সেটা তো আমরা প্রত্যেকেই জানি।’
রিজভী বলেন, ‘প্রশাসনে যাদের নতুন প্রমোশন হচ্ছে তাদের উদ্দেশে বলতে চাই- আওয়ামী প্রশাসন জনগণের টাকা লুট করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। আপনারা বঞ্চিত ছিলেন। আপনাদের চিহ্নিত করা হয়েছিল বিরোধী দলের লোক হিসেবে। এখন আপনারা যদি মনে করেন এতদিন বঞ্চিত ছিলাম এখন ভাগ-বাঁটোয়ারা করে সেটি পূরণ করব, তাহলে কিন্তু এই জাতি চিরদিনের জন্য অন্ধকারে চলে যাবে।’
বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দীন আলম, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা ডা. জাহিদুল কবির প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মুহিবুর রহমান মানিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জের কাঞ্চন ব্রিজ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার আ. ফ. ম. আনোয়ার হোসেন খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মুহিবুর রহমান মানিক সুনামগঞ্জের ছাতক-দোয়ারাবাজার আসনে আওয়ামী লীগ থেকে সাত বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
ইতালি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিকদের ২০ হাজার অনিষ্পন্ন ভিসা আবেদন নিষ্পত্তি করবে। রোম থেকে ২০ হাজারের মতো ভিসা সংক্রান্ত আবেদনের ছাড়পত্র পাওয়া গেছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
ইতালীয় ভিসা প্রার্থীদের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠকের পর উপদেষ্টা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘রোম থেকে ভিসা সংক্রান্ত আবেদনের ছাড়পত্র পাওয়া গেলেও ঢাকায় ভিসা ইস্যুর গতি ধীর। আমি এখানে ইতালির রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে ডিসেম্বরের মধ্যে তারা ২০ হাজার ভিসা ইস্যু করবেন।
‘নিষ্পত্তি করা ২০ হাজার বাদে বাকি আবেদনের বিষয়েও তারা কাজ করছেন এবং কতটা অগ্রগতি করা যায় তা দেখবেন।’
তিনি বলেন, ‘প্রক্রিয়াটি ধীর, তবে আমরা আশা করি এটি দ্রুত গতি পাবে। প্রক্রিয়াটি ত্বরান্বিত করতে ঢাকায় ইতালি দূতাবাস অতিরিক্ত মানবসম্পদ নিযুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
তৌহিদ হোসেন ভিসা আবেদনকারীদের প্রতিবাদ বা বিক্ষোভ এড়ানোর পরামর্শ দিয়ে বলেন, ‘এসব কার্যক্রম ইস্যু প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করবে না।
‘ভিসা প্রদান করা যে কোনো দেশের সার্বভৌম অধিকার এবং আমরা প্রশ্ন করতে পারি না যে তারা কেন ভিসা দেয়নি। বিষয়টি নিয়ে ইতালি কর্তৃপক্ষের ওপর চাপ দেয়ার ফল উল্টো হতে পারে এবং পুরো ভিসা কর্মকাণ্ডকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।’
এর আগে ঢাকায় ইতালির দূতাবাস একটি বিবৃতি জারি করে আবেদনকারীদের জাল নথি জমা দেয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানায়। তাতে জোর দিয়ে বলা হয়, জালিয়াতি রোধে সব আবেদন কঠোরভাবে যাচাই-বাছাই করা হবে।
দূতাবাস আবেদনকারীদের আশ্বস্ত করেছে যে ইতালীয় অভিবাসন কর্তৃপক্ষের কাছে বাংলাদেশিসহ ইইউ-বহির্ভূত নাগরিকরা কাজের ভিসার জন্য একবার ‘নুলা ওস্তা’র আবেদন করলে এর মেয়াদ শেষ হয় না।
তবে দূতাবাস জোর দিয়েছিল যে নুলা ওস্তা থাকা ভিসা অনুমোদনের গ্যারান্টি দেয় না। কারণ সব নথি ইতালিয়ান আইন অনুসারে যাচাই করা হবে।
আবেদনকারীদের আপিল করার অধিকারের কথা মনে করিয়ে দেয়া হলেও সতর্ক করা হয়েছে যে সিদ্ধান্তগুলো ইতালির আইনি কাঠামোর মধ্যে কঠোরভাবে নেয়া হবে।
ইতালির দূতাবাস অনিয়মিত অভিবাসন রোধ এবং আইনি পথ উন্নীত করতে বাংলাদেশ সরকার ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে।
অভিবাসন ও চলাফেরার বিষয়ে একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে। শিগগিরই তা চূড়ান্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের বিশেষ নজর রয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর।
মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে এক বিফ্রিংয়ে তিনি বলেন, ‘বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ভোক্তা অধিদপ্তর মিলে দুটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে। তারা সবাই সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছে। আমরা আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি এটা কন্ট্রোলে চলে আসবে।’
অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে অনেকে আপসেট। সেদিকে সরকারের বিশেষ নজর রয়েছে। সাড়ে চার কোটি ডিম আমদানির জন্য সাত প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দেয়া হয়েছে।
এছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও জাতীয় ভোক্তা অধিদপ্তর মিলে দুটি টাস্কফোর্স গঠন করেছে। তারা বাজার মনিটরিং করছে। অনিয়ম হলে জরিমানা করা হচ্ছে। প্রতিটি জেলায় ১০ সদস্যবিশিষ্ট টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। সেখানে দু’জন শিক্ষার্থীর উপস্থিতি থাকবে। খুব তাড়াতাড়ি এটা কন্ট্রোলে চলে আসবে।’
উপ-প্রেস সচিব আরও বলেন, হিন্দু সম্প্রদায় থেকে যে নিরাপত্তার বিষয়ে চাহিদা দেয়া হয়েছে, সেগুলো নিয়ে সরকার বিশেষভাবে কাজ করছে। আইপি ক্যামেরার মাধ্যমে পূজা মণ্ডপগুলো ইউএনও অফিস ও থানার মাধ্যমে মনিটরিং করা হবে৷
‘সার্বক্ষণিক সেবা প্রদানের জন্য জরুরি সেবা ৯৯৯-এর বিশেষ একটি টিম কাজ করবে। পুলিশ ও র্যাবের টহল থাকবে। গোয়েন্দা সংস্থার একটি বিশেষ টিম কাজ করবে। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা চীবরদান অনুষ্ঠান যাতে নির্বিঘ্নে করতে পারে, সেই ব্যবস্থাও সরকারের পক্ষ থেকে নেয়া হবে। তাদের সঙ্গে কথা হবে, তাদের মতামত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ব্রিফিংয়ে জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের বিষয়ে অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেন, পঙ্গু হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিক্যাল থেকে তথ্য নেয়া হয়েছে। দু’দিনের মধ্যে কার্যকর করা হবে। জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন একটি হটলাইন নম্বর চালু করেছে, যেটার কার্যকারিতা দু’দিনের মধ্যে শুরু হবে। সেটির নম্বর হচ্ছে ১৬০০০।
এছাড়া, জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন একটি ওয়েবসাইট খুলেছে। সেটি হচ্ছে jssfbd.com।
নতুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. শেখ আব্দুর রশিদ। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব পদেও তাকে চুক্তিতে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
ড. শেখ আব্দুর রশিদকে দু’বছরের জন্য এই পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮’ এর ৪৯ ধারা অনুযায়ী অন্য যেকোনো পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে তিনি এ নিয়োগ পেয়েছেন। আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে তার নিয়োগ কার্যকর হবে।
শেখ আব্দুর রশিদ দেশের ২৫তম মন্ত্রিপরিষদ সচিব। বিসিএস ১৯৮২ ব্যাচের এই কর্মকর্তা বর্তমান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের স্থলাভিষিক্ত হলেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেনের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ ১৩ অক্টোবর শেষ হবে। দুর্গাপূজা এবং সাপ্তাহিক ছুটির কারণে বৃহস্পতিবার থেকে আগামী রোববার পর্যন্ত টানা চারদিন বন্ধ থাকায় বুধবারই হবে মাহবুব হোসেনের শেষ কর্মদিবস।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার। গত ১৭ আগস্ট চুক্তিতে দু’বছরের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব হিসেবে নিয়োগ পান অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব শেখ আব্দুর রশিদ। পরদিন তাকে সিনিয়র সচিব করা হয়।
আব্দুর রশিদ ১৯৫৭ সালের ৫ মে সাতক্ষীরা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি নেদারল্যান্ডসের দি হেগ শহরের ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল স্টাডিজ থেকে পাবলিক পলিসি অ্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিষয়ে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।
পরবর্তীতে তিনি ২০০৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লোকপ্রশাসন বিষয়ে পিএইচডি অর্জন করেন। আব্দুর রশিদ এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। তিনি বিসিএসের ১৯৮২ ব্যাচের সম্মিলিত মেধা তালিকায় চতুর্থ ও প্রশাসন ক্যাডারে প্রথম স্থান অর্জন করেন।
আব্দুর রশিদ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, জেলা প্রশাসক হিসেবে মাঠ প্রশাসনে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক হন। এছাড়া তিনি পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ছিলেন।
আরও পড়ুন:কক্সবাজারের টেকনাফে শাহপরীর দ্বীপের অদূরে নৌকাসহ বাংলাদেশের পাঁচ জেলেকে ধরে নিয়ে মিয়ানমারের আরাকান আর্মি। সোমবার বিকেলে টেকনাফের নয়াপাড়া নাফ নদ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তবে মঙ্গলবার রাত ৮টা পর্যন্তও জেলেদের ফেরত দেয়নি তারা।
ধরে নিয়ে যাওয়া জেলেরা হলেন- রাশেদ হোসেন, বোরহান, সাইফুল ইসলাম, মোহাম্মদ রাশেল ও মোহাম্মদ আলম। তাদের মধ্যে তিনজন টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা।
টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুস সালাম বলেন, ‘আমার এলাকায় পাঁচ জেলে নাফ নদে মাছ শিকার করতে গেলে তাদেরকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের কোনো একটি গ্রুপ।
‘জেলেদের কারা ধরে নিয়ে গেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে মিয়ানমারে চলমান যুদ্ধে রাখাইন রাজ্যের সংশ্লিষ্ট অঞ্চল বিদ্রোহী আরাকান আর্মির দখলে। তাই ধারণা করা হচ্ছে আরাকান আর্মির সদস্যরাই আমাদের জেলেদের ধরে নিয়ে গেছে।’
স্থানীয় জেলেদের ভাষ্যমতে, সোমবার সকালে প্রতিদিনের মতো টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা আবদুল মজিদের মালিকাধীনসহ তিনটি নৌকা নাফ নদে মাছ শিকার মাছ শিকারে যান। এ সময় মিয়ানমারের আরাকান আর্মির সদস্যরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জেলেদের ধাওয়া করে। এতে দুটি নৌকাসহ মাঝিমাল্লারা পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও মজিদের নৌকাসহ পাঁচ জেলেকে তারা ধরে নিয়ে যায়।
অপহরণের শিকার জেলে মো. আলমের মা হামিদা খাতুন বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো আমার ছেলে অন্য জেলেদের সঙ্গে নাফ নদে মাছ শিকারে যায়। এ সময় ওপারের লোকজন তাদের ধাওয়া করে। অন্য জেলেরা পালিয়ে আসতে পারলেও আমার ছেলেসহ পাচঁ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মির লোকজন। এখন পর্যন্ত আমার ছেলের কোনো খোঁজখবর পাইনি।’
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, ‘জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি। তাদেরকে ফেরত আনতে বিষয়টি নিয়ে কোস্টগার্ড ও বিজিবি’র সঙ্গে কথা হচ্ছে।’
এ বিষয়ে টেকনাফ-২ বিজিবি অধিনায়ক লে. কর্নেল মহিইদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘জেলেদের ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনায় মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। আশা করছি তাদের দ্রুত ফেরত আনতে সক্ষম হবো।’
আরও পড়ুন:
মন্তব্য