সাত হাজার পয়েন্টের মাইলফলক ছাড়িয়ে নতুন গন্তব্যে ছোটা পুঁজিবাজারে এবার দেখা গেল বহুজাতিক কোম্পানি ও জ্বালানি খাতের দাপট।
সিমেন্ট খাতে হেইডেলবার্গ, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানি ও ইউনিলিভার, ওষুধ ও রসায়ন খাতে রেকিট বেনকাইজার, টেলিকমিউনিকেশন খাতে গ্রামীণ ফোন, জ্বালানি খাতের লিনডে বিডির শেয়ার দর বেড়েছে একই দিন।
ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো ও গ্রামীণ ফোনের শেয়ারদর যে হারে বেড়েছে, তা সূচক বৃদ্ধিতে রেখেছে বড় ভূমিকা।
জ্বালানি খাত চাঙা হয়ে উঠার কারণ সরকারের এক সিদ্ধান্ত। মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া তিনটি কোম্পানির বিদ্যুৎকেন্দ্র নতুন করে মেয়াদ বাড়ানোতে আইনি বাধা কেটেছে সরকারের এক সিদ্ধান্তে।
যে আইনের অধীনে কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র অনুমোদন দেয়া হয়েছিল, তার মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়ানো হয়েছে। ফলে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া খুলনা পাওয়ার কোম্পানি বা কেপিসিএলের দুটি, সামিট পাওয়ার ও ওরিয়নের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ানো এখন সময়ের ব্যাপার।
এ বিষয়ে প্রস্তাব তৈরি হয়ে আছে। এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন এ নিয়ে শুনানি করার পর মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় পাঠানো হবে।
বিশেষ করে কেপিসিএলের শেয়ারধারীদের জন্য এই সংবাদ স্বস্তি নিয়ে এসেছে। লেনদেন শুরুই হয় এক দিনে দাম বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমায়। একটি দরেই ১৫ লাখের বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
সামিট পাওয়ারের দরও বেড়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। টানা বাড়তে থাকা ইস্টার্ন লুব্রিকেন্টের শেয়ার দর এক দিনে আরও ১২৩ টাকা বেড়ে গিয়ে দুই হাজার টাকা ছাড়িয়ে গেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত পদ্মা অয়েল কোম্পানির শেয়ারদরও বেড়েছে ৫ শতাংশের মতো।
এই খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে গত কয়েকদিনে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পাওয়া ডরিন পাওয়ার, শাহজিবাজার পাওয়ার ও বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার এবং জিবিবি পাওয়ার ছাড়া এই খাতের বাকি সব কটির দাম বৃদ্ধি সূচকের উত্থানে রেখেছে অবদান।
দিন শেষে সূচক আগের দিনের চেয়ে ৬৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৭ হাজার ১৪০ পয়েন্টে, যা ২০১০ সালের ২ ফেব্রুয়ারির পর সর্বোচ্চ।
সেদিন ডিএসইর প্রধান সূচকের অবস্থান ছিল ৭ হাজার ৩০৯ পয়েন্ট। সে সময় এই সূচকের নাম ছিল ডিএসই। এখন সূচকের নাম ডিএসইএক্স, যা চালু হয় ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারি।
ডিএসই সূচকের তুলনায় ডিএসইএক্স সূচক দুই শতাংশের মতো কম হয়।
টানা ষষ্ঠ কর্মদিবসে সূচক বৃদ্ধির দিন লেনদেন চলাকালে এক পর্যায়ে ধারণা করা হচ্ছিল তা তিন হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। তবে শেষ এক ঘণ্টায় শেয়ার বেচাকেনার গতি কিছু কমায় তা আর হয়নি।
গত বছরের জুলাই থেকে পুঁজিবাজারের এই উত্থান অনেকটাই ছিল অভাবনীয়। এক দশকের মন্দাভাব কাটিয়ে এই সময়ে সূচক প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি ৮ হাজার সূচক হওয়া পর্যন্ত মার্জিন ঋণ ১০০:৮০ টাকা করার পর তা ওই গন্তব্যের পানে ছুটছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বহুজাতিক কোম্পানি ও জ্বালানি খাত ছাড়া পুঁজিবাজারে ভালো দিন গেছে আর্থিক খাতেও। এই খাতের দুটি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে একদিনে যত বাড়া সম্ভব ততই।
বিমা খাতেও দিনটি একেবারে খারাপ যায়নি। ব্যাংক খাতের শেয়ারধারীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস না থাকলেও দাম না কমায় অন্তত নতুন করে হতাশ হতে হয়নি। প্রকৌশল এবং ওষুধ ও রসায়ন খাতে দেখা গেছে মিশ্র প্রবণতা। আগের দিন চাঙা থাকা বস্ত্র খাতে দিনটি ভালো যায়নি। আর মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাত হতাশার বৃত্ত থেকে বের হতে পারেনি।
আইসিবি পরিচালিত আটটি মিউচ্যুয়াল ফান্ড রেকর্ড ডেট শেষে লেনদেন শুরু করেছে। নগদ লভ্যাংশ যারা নিয়েছেন, তাদের মুনাফা হয়নি বললেই চলে। কারণ, যে পরিমাণ লভ্যাংশ এসেছে, দর কমেছে প্রায় সম পরিমাণ।
বহুজাতিকের নতুন যাত্রা
দীর্ঘ সময় পর নতুন করে দর বৃদ্ধির তালিকায় স্থান করে নিল পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানিগুলো। মঙ্গলবার বহুজাতিক সিংহভাগ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে।
৬৫ টাকা ৩০ পয়সা বেড়েছে বাটা শুয়ের দর। আগের দিন শেয়ার মূল্য ছিল ৮৭০ টাকা ৯০ পয়সা। বেড়ে হয়েছে ৯৩৬ টাকা ২০ পয়সা। শতকরা হিসেবে বেড়েছে ৭.৫ শতাংশ, যা এক দিনে দর বৃদ্ধির সর্বোচ্চ সীমা ছিল।
ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর শেয়ারদর বেড়েছে ৪৩ টাকা ৬০ পয়সা। ৬০৫ পাকা ৪০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৪৯ টাকা। শতকরা হিসেবে বেড়েছে ৭.২০ শতাংশ।
ইউনিলিভারের দর বেড়েছে ৩.৮৬ শতাংশ বা শেয়ার প্রতি ১০৯ টাকা। আগের দির দর ছিল ২ হাজার ৮৩২ টাকা। বেড়ে হয়েছে ২ হাজার ৯৪২ টাকা ১০ পয়সা।
ম্যারিকোর দর বেড়েছে ১.১৯ শতাংশ বা ২৮ টাকা ১০ পয়সা। ২ হাজার ৩৬১ টাকা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩৯০ টাকা।
রেকিড বেনকিউজারের দর ৬০ টাকা ৫০ পয়সা বেড়ে ৪ হাজার ৫৬২ টাকা ৬০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ৬২৩ টাকা ১০ পয়সায়।
বার্জার পেইন্টের দর হাজার ৮৩৪ টাকা ১০ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৮৪৬ টাকায়।
ওটিসি ফেরত কোম্পানির দাপট
দিনের সর্বোচ্চ দর বৃদ্ধি পাওয়া কোম্পাটিও ছিল স্বল্পমূলধনী কোম্পানির তালিকার।
৩০ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের তমিজউদ্দিন টেক্সটাইলের দর ৯.৯৪ শতাংশ বেড়ে ১৫১ টাকা ৯০ পয়সা থেকে হয়েছে ১৬৭ টাকা।
১০ কোটি টাকা মূলধনের সমতা লেদারের দরও বেড়েছে সমপরিমাণ। ১০৭ টাকা ৮০ পয়সা থেকে হয়ে গেছে ১১৮ টাকা ৫০ পয়সা।
বাংলাদেশ মনুস্পোল পেপারের দর ২১৫ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৮.৭২ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২৩৪ টাকা ৩০ পয়সা। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
ওটিসি থেকে মূল মার্কেটে ফেরা আরেক স্বল্পমূলধনী পেপার প্রসেসিং অ্যান্ড প্যাকেজিংয়ের দর ৫.৪১ শতাংশ বেড়েছে। ২২১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ৫.৪১ শতাংশ বেড়ে হয়েছে ২৩৩ টাকা ৫০ পয়সা।
বিনিয়োগ বাড়ছে প্রকৌশলে, দর বেড়েছে বিমায়
চলতি সপ্তাহে প্রকৌশল খাতে আগ্রহ বেড়েই চলেছে। রোববার এই লেনদেন ছিল ৩২৭ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। সোমবার আরও বেড়ে হয় ৩৩৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। আজ আরও ৬৭ কোটি ২৫ লাখ টাকা বেড়ে হয়েছে ৪০১ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। এদিন ২২টি কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। কমেছে ২০টির।
অপরদিকে তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ বিমা খাতের শেয়ার দরে উত্থান দেখা গেছে মঙ্গলবার। এদিন লেনদেন ৩৩টি বিমা কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। কমেছে ১৭টির। লেনদেন হয়েছে ২০০ কোটি ১০ লাখ টাকা। আগের দিন সোমবার লেনদেন হয়েছিল ২৩৪ কোটি ৪০ লাখ টাকা।
অন্যান্য খাতের লেনদেন
ওষুধ ও রসায়ন খাতের ৩১টি কোম্পানির মধ্যে দর পতন হয়েছে ১৫টির, বেড়েছে ১৫টির। হাতবদল হয়েছে ২৮৩ কোটি ৫৫ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২৬১ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।
তুমুল আগ্রহ দেখা গেছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতে। ২০টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ৯টির, কমেছে ১০টির। লেনদেন হয়েছে ১৮৬ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১১২ কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
ব্যাংক খাতে দর বেড়েছে ১৫টির, কমেছে ১০টির। লেনদেন হয়েছে ১৪৯ কোটি ২০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন ছিল ১৬৪ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
ব্যাংক খাতে দর বৃদ্ধি ও কমার হার খুব একটা বেশি না হলেও আর্থিক খাত ছিল চাঙা। এই খাতের ২৩টি কোম্পানির মধ্যে দুটির লেনদেন ছিল স্থগিত, তিনটির দর কমেছে, দুটির ছিল অপরিবর্তিত। বেড়েছে বাকি ১৬টির।
এই খাতে লেনদেন ছিল ১৯৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা যা আগের দিন ছিল ১৮৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।
বিবিধ খাতের ১৪টি কোম্পানির মধ্যে দাম কমেছে ১০টির, বেড়েছে ৪টির। হাতবদল হয়েছে ১৯৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা। আগের দিন হাতবদল হয়েছিল ৩১৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা।
তথ্য প্রযুক্তি খাতের ১১টি কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৪টির। দর কমেছে ৬টির। লেনদেন হয়েছে ৭১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১১৮ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
মিউুচ্যয়াল ফান্ড খাতের মোট লেনদেন হয়েছে ৪২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। এদিন লেনদেন ৮টি ইউনিটের দর বেড়েছে। কমেছে ১৫টির। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ৩৯ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।
সূচক ও লেনদেন
ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৬৫ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ১৪০ পয়েন্টে।
শরিয়াহভিত্তিক কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসইএস ১৫ দশমিক ৭৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৫৫৫১ পয়েন্টে।
বাছাই করা কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক ৩৭ দশমিক ৩১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৮৩ পয়েন্টে।
লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৮৬৬ কোটি টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৯০১ কোটি টাকা।
চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১৩৪ দশমিক ৮০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৭৯৭ পয়েন্টে। লেনদেন হয়েছে ১০৪ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন:সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে লেনদেন চলছে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। লেনদেনের প্রথম দুই ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১২ পয়েন্ট।
বাকি দুই সূচক—শরিয়াভিত্তিক ডিএসইএস বেড়েছে ১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ১৭ পয়েন্ট। ১৭৪ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১৫৫ কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৫ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার বাজারে প্রথমার্ধে ৪৭৫ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। উত্থানের ধারা একইভাবে বজায় আছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই), সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭৯ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৫৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৭২ কোম্পানির, কমেছে ৫৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ২৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সিএসইতে দিনের প্রথম দুই ঘণ্টায় প্রায় ৪ কোটি টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
তিন দিন ছুটি শেষে পুঁজিবাজারের প্রথম কার্যদিবসের প্রথম ঘণ্টায় সূচকের বড় উত্থান হয়েছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫৯ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১১ এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ২০ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় ডিএসইতে ১৪০ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।
এ সময় ২৫৯টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ৪৮টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৭০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকার মতোই উত্থানের মধ্য দিয়ে চলছে চট্টগ্রামের লেনদেন, সার্বিক সূচক বেড়েছে ৭২ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৫৬টি কোম্পানির মধ্যে ৩২টি কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২টি কোম্পানির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে ১ কোটি টাকার ওপর শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন শুরু হয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে, দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির।
লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ১ এবং বাছাইকৃত ব্লুচিপ সূচক ডিএস-৩০ বেড়েছে ৪ পয়েন্ট।
দিনের শুরুতেই দাম বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির। ১৮৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ১২৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৬৮ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
প্রথম ঘণ্টায় ঢাকার বাজারে ১৩০ কোটি টাকার ওপরে শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ১৩ পয়েন্ট।
প্রথম ঘণ্টায় লেনদেনে অংশ নেয়া ৭৯ কোম্পানির মধ্যে ৪৫ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দিনের শুরুতে চট্টগ্রামে লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ কোটি ১৯ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের পথ খুঁজে বের করতে, একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট গড়ে তুলতে এবং ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কমাতে শিগগিরই একটি যৌথ কমিটি গঠন করবে সরকার।
বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) মধ্যে গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকের পর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কমিটিতে অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং বিএসইসির প্রতিনিধিরা থাকবেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির কর্মকর্তা বলেন, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।
তারা বলেন, ব্যাংক ঋণের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ঝুঁকি কমিয়ে দেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি মূলধন সংগ্রহের সুযোগ কাজে লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
এ সময় দীর্ঘমেয়াদি মূলধন কীভাবে এবং কোনো প্রক্রিয়ায় পুঁজিবাজার থেকে সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয় বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং এর তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়।
সবশেষে, এসব বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে একটি যৌথ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. হাবিবুর রহমান, গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহ, বিএসইসি চেয়ারম্যান খোন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও কমিশনার ফারজানা লালারুখসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে সূচকের উত্থানে লেনদেন চলছে দেশের দুই পুঁজিবাজারে। লেনদেনের শুরুতে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪৬৭ পয়েন্টে। শরিয়াভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৫ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ১০ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৭৭ কোম্পানির মধ্যে ২২৯টির দর বেড়েছে, ৬২টির কমেছে এবং ৮৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
প্রথম দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার বেশি।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক বেড়েছে ২৯ পয়েন্ট।
সিএসইতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৭৭ কোম্পানির মধ্যে ৩১টির দর বেড়েছে, ২৯টির কমেছে এবং ১৭টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রথমার্ধে সিএসইতে ৩ কোটি টাকার বেশি লেনদেন হয়েছে।
সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে ঢাকা-চট্টগ্রামের পুঁজিবাজারে সূচকের বড় পতন হয়েছে, কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। চট্টগ্রামে লেনদেন কিছুটা বাড়লেও কমেছে ঢাকায়।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১০ পয়েন্ট। বাকি দুই সূচক শরীয়াভিত্তিক ডিএসইএস ৪ পয়েন্ট এবং বাছাইকৃত কোম্পানির ব্লু-চিপ সূচক ডিএস-৩০ কমেছে ৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬ কোম্পানির দাম কমেছে বেশিরভাগের। ১০০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দর কমেছে ২১৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৮১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ক্যাটাগরির হিসাবে এ, বি এবং জেড তিন ক্যাটাগরিতেই তালিকাভুক্ত বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। লভ্যাংশ দেয়া ভালো কোম্পানির শেয়ার এ ক্যাটাগরির ২১৭ কোম্পানির মধ্যে ৪৮ কোম্পানির দরবৃদ্ধি হলেও দর কমেছে ১২৮ এবং অপরিবর্তিত আছে ৪১ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
দাম কমেছে লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৬ মিউচুয়াল ফান্ডেও। ১০ কোম্পানির দরবৃদ্ধির বিপরীতে দাম কমেছে ১০ এবং অপরিবর্তিত আছে ১৬ কোম্পানির ইউনিটের দাম।
১৮ কোম্পানির ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি হয়েছে ডিএসই ব্লক মার্কেটে। ফাইন ফুডস সর্বোচ্চ ৯ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করেছে।
ঢাকার বাজারে সারাদিনে মোট ২৩৫ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ২৭৮ কোটি টাকা।
৯.৬৬ শতাংশ দাম বেড়ে ডিএসইতে শীর্ষ শেয়ার বারাকা পতেঙ্গা পাওয়ার। অন্যদিকে ৭.৫২ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক।
চট্টগ্রামেও পতন
ঢাকায় মতো সূচক কমেছে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই)। সারাদিনের লেনদেনে সিএসইতে সার্বিক সূচক কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৮৪ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ৫৫, কমেছে ৯৫ এবং অপরিবর্তিত আছে ৩৪ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
সিএসইতে মোট ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকার শেয়ার এবং ইউনিট লেনদেন হয়েছে, যা গত কার্যদিবসে ছিল ৪ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।
১০ শতাংশ দাম বেড়ে সিএসইতে শীর্ষ শেয়ার আইসিবি সোনালি ব্যাংক ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ড এবং ৯ শতাংশের ওপর দর হারিয়ে তলানিতে এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ।
সপ্তাহের পঞ্চম কার্যদিবসে (মঙ্গলবার) লেনদেনের প্রথম ঘণ্টায় উত্থানে শুরু হয়েছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জে, বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ১৫ পয়েন্ট বেড়েছে। শরিয়াহভিত্তিক সূচক ডিএসইএস বেড়েছে ৪ পয়েন্ট এবং ব্লু-চিপ সূচক ডিএস৩০ বেড়েছে ৯ পয়েন্ট।
ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ারের দাম বেড়েছে ২৩৬টির, কমেছে ৭৮টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৬২টি কোম্পানির শেয়ার দাম।
এই সময়ে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৯০ কোটি টাকার বেশি।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) সার্বিক সূচক ৮ পয়েন্ট বেড়েছে। লেনদেন হওয়া ৭৫টি কোম্পানির মধ্যে ৩৭টির শেয়ারদর বেড়েছে, ১৯টির কমেছে এবং ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সিএসইতে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন ২ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
মন্তব্য